পারমিতা” পর্ব-১৩

0
1948

#পারমিতা
পর্ব ১৩

_নীলাভ্র জহির

রোদকে দেখার পর থেকেই পারমিতার মন ফুরফুরে। কাজ করতে অনেক আনন্দ পেলো। অফিসে ফিরলো বিকেলবেলা। সারাদিন অনেক ছোটাছুটি করার পরও আজকে ক্লান্ত লাগছে না। মাহতাব স্যার পারমিতাকে জিজ্ঞেস করলেন, মিটিংয়ে কতদূর কাজ হয়েছে? পারমিতা ডিটেইলস বলতে গেলে তিনি পারমিতাকে নিয়ে ক্যান্টিনে চললেন। ক্যান্টিনের টেবিলে বসে কফি খেতে খেতে সবকিছু শুনছিলেন তিনি। এমন সময় সেখানে প্রবেশ করল রোদ। পারমিতা এক পলক রোদকে দেখেই সতর্ক হয়ে উঠল। যেন তাকে দেখে কিছুতেই রোদের সন্দেহ না হয়। বসের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কফি খায় অনেকেই। কেউ কাউকে সন্দেহ করার কথা নয়। কিন্তু তবুও পারমিতার বারবার মনে হতে লাগল, তাদেরকে দেখে প্রেমিক প্রেমিকা মনে হচ্ছে না তো? রোদ আবার উলটা পালটা ভাব্বে না তো? শেষদিকে পারমিতা নিজেকে বোঝালো, রোদ আমাকে নিয়ে কি ভাবল তাতে আমার কিছুই যায় আসে না।

মাহতাব স্যার রোদকে তাদের টেবিলে বসতে বললেন। রোদ সেখানে এসে পারমিতার মুখোমুখি বসলো। মাহতাব পারমিতার কাজের প্রশংসা করলেন।
রোদ হেসে বলল, বাহ তাই নাকি? কংগ্রাচুলেশনস মিস পারমিতা।
পারমিতা মুচকি হেসে উত্তর দিলো, থ্যাংক ইউ স্যার।
রোদ মাহতাবকে বলল, উনি ভালো কাজ করছেন। কোম্পানির উচিৎ দ্রুত ওনাকে প্রমোশন দেয়া।
– ঠিক বলেছেন।
পারমিতা মনেমনে বলল, রোদ একাই সব ক্রেডিট নেবে নাকি? কখনোই না।
বলল, স্যার আমার প্রমোশন নিয়ে কোনো তাড়া নেই। আমি নিজের যোগ্যতায় সেটা পেতে চাই। আপনারা সুপারিশ করে পাইয়ে দেবেন, আমার সেটা চাই না।
ভ্রু কুঁচকে ফেলল রোদ। বাহ, পারমিতার আত্মসম্মান বোধ প্রবল। এই সম্মানবোধ মুগ্ধ করলো রোদকে। যেখানে সবাই প্রমোশন পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। কেউবা স্যারদের সঙ্গে প্রেম করতেও পিছপা হয় না শুধুমাত্র এই প্রমোশনের আশায়। সেখানে পারমিতার তীব্র আত্মসম্মান বোধ ওকে ভীষণ ইমপ্রেসড করে ফেলল।
রোদ বলল, আমরা আপনার জন্য সুপারিশ করবো কে বলেছে? আমরা তো আপনার কাজের প্রশংসা করছিলাম।
– থ্যাংক ইউ স্যার। আমি আরও কাজ করতে চাই। আরও কাজ শিখতে চাই। কোম্পানির সঙ্গে থেকে কাজ শিখে তারপর প্রমোশন হোক, সেটাই চাইবো। কাজ না শিখে, দু একটা কাজ দেখিয়ে প্রমোশন নেবার কোনো ইচ্ছেই আমার নেই।

মাহতাব স্যার চোখ কপালে তুলে বললেন, দারুণ বলেছেন। আপনার মন মানসিকতা অনেক উচ্চ পর্যায়ের। কিপ ইট আপ। কোম্পানিতে এরকম অনেস্ট লোক ভীষণ দরকার।
পারমিতা বলল, রোদ স্যারের মতো অনেস্ট মানুষ জীবনেও দেখিনি আমি। তিনিও আমাদের কোম্পানির প্রাউড।
রোদ ঠোঁট উলটে অবাক হওয়ার ভান করলো, বাবাহ তাই নাকি?
পারমিতা বলল, জি স্যার। আপনি যেমন ভালো একজন মানুষ, কর্মক্ষেত্রেও সবচেয়ে সেরা মানুষ আপনি।
– আমার এত প্রশংসা করলে আবার মাহতাব স্যার মন খারাপ করবেন। তাকে নিয়েও একটু করুন।

হেসে ফেলল রোদ। পারমিতাও হাসলো। মাহতাব বললেন, আরে কি বলেন? আমি কি ছোট বাচ্চা নাকি?
রোদ উত্তর দিলো, ছোট বাচ্চা না স্যার। অনেক বড় বাচ্চারাও ভুল বুঝে কষ্ট পেয়ে বসে থাকেন।
– হা হা। আমাকে তাদের দলে ফেললেই বরং কষ্ট পাবো আমি।

মাহতাব হেসে উঠে গেলেন ফোনে কথা বলতে। পারমিতা বলল, আমি তাহলে আসি স্যার।
– খুব তাড়া?
– কাজ আছে।
– যান।
পারমিতা উঠে দাঁড়াল চলে যাওয়ার জন্য। রোদও সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়ল। পারমিতার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে বলল, শুধু কি কোম্পানিই রোদকে নিয়ে প্রাউড? আর কেউ প্রাউড না?
পারমিতা চমকে উঠল। রোদের দিকে তাকাতে পারল না সে। মাথা নিচু করে সেখান থেকে চলে এলো। পেছন ফিরে তাকানোর সাহস বা ইচ্ছে কোনোটাই নেই। তথাপি রোদের কথাটা ওর কানে লেগে রইলো। বারবার বেজে উঠতে লাগল সেই একই কথা, আর কেউ প্রাউড না?

পারমিতা বাসায় ফিরলো। প্রীতুলকে খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দিলো সে। সব কাজ শেষ করে শুতে গিয়েছে, এমন সময় আবারও কথাটা মনে পড়ে গেল। পারমিতা মনেমনে বলল, হ্যাঁ প্রাউড। আমি আপনাকে নিয়ে অনেক প্রাউড ফিল করি রোদ। কিন্তু এর বাইরে কিছুই না। আপনার সঙ্গে আমার কখনো বন্ধুত্ব হতে পারে না, কখনো বিয়েও হতে পারে না। আমি জানিনা জালালুদ্দিন স্যার কেন আপনার জন্য আমাকে পছন্দ করেছিলেন। আমার মধ্যে কী এমন আছে? হ্যাঁ এটা সত্য, আমি নিজেকে একজন সৎ ও আদর্শ মেয়ে ভাবি। আমার মধ্যে কোনো খারাপ গুণ নেই। আমি সবকিছু ভালো বুঝি। আমার মতো অন্য কাউকে আপনি নির্দ্বিধায় বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু আমাকে না। আমি যে ডিভোর্সি। এই কথা জানলে আমাকে আর কখনোই ভালো লাগবে না আপনার। জালালুদ্দিন স্যার জানলে আমার মতো মেয়ের সঙ্গে কখনো বিয়ের কথা চিন্তাও করতেন না। আমার যে একটা ছেলেও আছে। আপনার জন্য প্রয়োজন একদম নিঁখুত, সুন্দরী, নিষ্পাপ একটা মেয়ে। যার গায়ে কোনো দাগ লাগে নি। এই সমাজ আমার গায়ে দাগ লাগিয়ে দিয়েছে। ডিভোর্সি নামের দাগ।

একটা নিশ্বাস ফেলে পারমিতা শুয়ে রইলো। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে ওর চোখে পানি চলে এসেছে। গাল বেয়ে সেই পানি গড়িয়ে পড়ল। আজকাল রাতগুলো এত কষ্টদায়ক হয় কেন? দেখতে দেখতে দিন পেরিয়ে যাচ্ছে, পেরিয়ে যাচ্ছে মাস, বছর। একা একা থাকা বড়ই দায়। মাঝরাতে বিছানায় শুয়ে যখন ঘুম আসে না, কষ্টগুলো দ্বিগুণ যন্ত্রণা দেয়। আবার কখনো হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে, শরীরে বেদনা টের পায় পারমিতা। কাউকে কাছে পাবার তীব্র আকাঙ্খা জাগে। তখন রাসিফের সঙ্গে কাটানো রোমান্টিক মুহুর্ত গুলো ওর মনে পড়ে যায়। সেই রোমান্স, সেই প্রেম, শরীর ছোঁয়ার খেলা। সবকিছু মিস করতে শুরু করে পারমিতা। শরীর শিরশির করে ওর। আবার তখনই রাসিফের বদলে যাওয়ার স্মৃতি ওকে তাড়না দেয়। কষ্ট হতে থাকে। রোমান্টিক চিন্তা মুহুর্তেই কষ্টের স্মৃতিতে রুপান্তরিত হয়ে যায়।

আজ অফিসে এসে পারমিতা মাহতাব স্যারের চেম্বারে নোট নিতে আসলো। আজ তাকে কোথাও যেতে হবেনা। অফিসেই বসে কাজ করতে হবে। আবার আগামীকাল যেতে হবে সাভারে। সাভার বেশ দূরে। একাই যেতে হবে। অফিসের গাড়ি নিয়ে যাবে পারমিতা। একা এতদূর যেতে হবে ভেবেই পারমিতার চিন্তা হচ্ছে। যদিও ড্রাইভার সাহেব থাকবেন। তবুও চিন্তা।
লাঞ্চের সময় রোদ সবার সঙ্গে আলাপ বিনিময় করছিল। এক পর্যায়ে পারমিতার কাছে জানতে চাইলো, এরপর কবে বাইরে যাচ্ছেন?
– আগামীকাল।
– কোথায়?
– সাভারে। আরজে সিরামিক কোম্পানিতে।
– চিন্তার কারণ নেই। কোম্পানির গেটে গেলেই ওখানকার কর্মকর্তারা আপনাকে রিসিভ করার জন্য উপস্থিত থাকবে।
– হুম।
– তারপরও যদি ভয় পান, আমি সঙ্গে যেতে পারি।

পারমিতা চমকে উঠলো। রোদের কণ্ঠে এক ধরনের মায়া খুঁজে পেলো পারমিতা। সে ভয় পায় না। কিন্তু কেন যেন দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। রোদ সঙ্গে যেতে পারে, কথাটা ওকে চমকিত করেছে। রোদ সঙ্গে যাবে কেন? সে এখানকার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।সে পারমিতার জন্য যাবে? কথাটা ভেবে পারমিতা মাথা নামিয়ে ফেলল।
রোদ বলল, কী ভাবছেন?
– আমি ভয় পাচ্ছি না।
– তাহলে আর কি করার। তারপরও ভেবে দেখবেন। রাতে জানালেও হবে। আমি সঙ্গে যাবো। কোনো সমস্যা হবে না।
– প্রয়োজন নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।

রোদ সেখান থেকে চলে গেল। চলে গেলেও রেখে গেল একটা মিষ্টি সুঘ্রাণ। পারমিতার মন খচখচ করতে শুরু করেছে। সে কি রোদকে বলবে তার সঙ্গে যেতে? না, সে এটা বলতে পারবে না। এটা বললে রোদ ভাব্বে সেও রোদকে পছন্দ করে। সে রোদকে স্যার হিসেবে পছন্দ করে। এর বাইরে কিছুই না। কিন্তু তারপরও ইচ্ছে করছে, রোদ সঙ্গে যাক। মানব মন এত বিচিত্র কেন?

পারমিতা বাসায় ফিরে প্রীতুলকে কোলে নিয়ে আদর করে দিলো। সামান্তা বলল, ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে। তারপর ছেলেকে আদর করিস।
– সারাদিন ওকে ছেড়ে ছিলাম।
– ওরে স্পনা রে। খিদে পায়নি বুঝি?
– তা তো পেয়েছে। কাল আমাকে সাভার যেতে হবে।
– কখন ফিরবি?
– অফিস টাইমের মধ্যেই চলে আসবো। দেরি হবে না।
– একা যাবি?

পারমিতা চমকে উঠল রোদের কথা ভেবে। একজন তার সঙ্গী হতে চেয়েছে। কিন্তু সে চাইছে না। মুচকি হেসে নিজের ঘরে চলে গেল সে। শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে মায়া হল পারমিতার। এই বয়সে এসে একা একা থাকতে হচ্ছে থাকে। বাইরে থেকে কেউ কেউই বুঝতে পারে না। সেও তো সারাক্ষণ থাকে ব্যস্ত। কিন্তু শরীর তো শরীর ই। কন্ট্রোল করে রাখলেও মন জানে, সে কতটা পাগল হয়ে আছে কারও উষ্ণতা পাবার আশায়। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে গোসল সেরে বেরিয়ে এলো পারমিতা।

খাবার টেবিলে বসে খেতে খেতে প্রীতুলকেও খাওয়াচ্ছিল। সামান্তা বলল, তোর সঙ্গে কথা ছিল।
– হ্যাঁ। বল না?
সামান্তা মাথা চুলকাচ্ছে। পারমিতা বলল, কি রে? টাকা লাগবে?
– না। সেরকম কিছু না।
– তাহলে? বলে ফেল। আমাকে কিছু বলতে তোর এত ভাবতে হবে?

সামান্তা বলল, রাকিবের বাসা থেকে চাপ দিচ্ছে। চাকরি করছে অনেকদিন হলো। এবার ওনারা বিয়ে দিতে চায়। আমার বাসাতেও সবাই জানে ব্যাপারটা। এখন আমি আম্মুকে বলেছি যে রাকিব’রা প্রস্তুত। আম্মু বলল তাহলে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে। দুই ফ্যামিলি থেকেই আল্লাহর রহমতে কোনো সবাই রাজি।

লাজুক ভঙ্গিতে কথাটা বললো সামান্তা। পারমিতা ভীষণ খুশি হলো। রাকিবের সঙ্গে সামান্তার অনেকদিনের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করছে ওরা। রাকিব অনেক কেয়ারিং একটা ছেলে। সামান্তা ওর কাছে সুখেই থাকবে। ওর সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে।
পারমিতা বলল, এটা তো খুব ভালো খবর। তোর বলা উচিৎ ছিল, একটা গুড নিউজ আছে। হাসিখুশি থাকা উচিৎ ছিল।
– কিন্তু দোস্ত..

পারমিতার হাতের ওপর হাত রাখলো সামান্তা। পরক্ষণেই বিষয়টা আঁচ করতে পারল পারমিতা। সামান্তা হয়তো ওর আর প্রীতুলের জন্যই টেনশন করছে। এই কয়েকটা বছর সামান্তাই প্রীতুলকে দেখেছে, সারাদিন নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করেছে। সামান্তা না থাকলে প্রীতুলকে বাসায় কে দেখবে? তারচেয়েও বড় কথা, সামান্তাকে ছাড়া একা কীভাবে থাকবে পারমিতা? সামান্তা সারাক্ষণ ওকে ভরসা দিতো, সাহস দিতো, ওর একমাত্র সঙ্গী। মন খারাপ হয়ে গেল পারমিতার। কিন্তু তবুও মুখে হাসি ধরে রইল সে। এই মুহুর্তে সামান্তাকে তার সাপোর্ট করা উচিৎ। যেভাবে এতদিন সে পারমিতাকে সাপোর্ট দিয়ে গেছে।
পারমিতা বলল, তুই আমার জন্য টেনশন করছিসনা ধুর পাগলী। তুই নিশ্চিন্তে তোর নিউ লাইফ শুরু কর। আমি এই প্রজেক্ট থেকে মোটামুটি ভালো টাকা পাবো। একটা ছোট দেখে মেয়ে রেখে দিবো৷ ও সবসময় বাসায় থাকবে। বাবুকে নিয়ে থাকবে। তুই আমাদের জন্য চিন্তা করিস না।
– একা একা বাসা ভাড়া দিবি, তোর প্রেশার হয়ে যাবে।
– আরে ধুর। কোনো প্রেশার হবে না। আমার এখন যা স্যালারি, তাতে মোটামুটি হয়ে যাবে। আমি অনেক হিসেব করে খরচ করি জানিস ই তো।
– পারমিতা, বলছি কি। ভালো প্রস্তাব পেলে তুই একটা বিয়ে করে ফেল।
– ধুর। আমাকে চিনিস না তুই। এই ভুল আর আমি করবো না রে। আমি সংগ্রাম করে ছেলেটাকে মানুষ করে তুলবো।
– তুই পারবি। অবশ্যই পারবি।

সামান্তা জড়িয়ে ধরল পারমিতাকে। ওর চোখে পানি। কেঁদেই ফেলল মেয়েটা। প্রীতুলকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল, কিন্তু আমি প্রীতুলকে ছাড়া কিভাবে থাকবো? ও তো আমারই ছেলে। আমারই ছেলে।
সামান্তার কান্না দেখে পারমিতা বলল, আরে পাগলী। ও তোরই ছেলে। যখন মন চাইবে চলে আসবি।
– দোস্ত, তোকেও খুব মিস করবো।
– হয়েছে। বাসায় কবে প্রস্তাব দিচ্ছে সেটা বল?
– দু একটা র মধ্যেই। আজকে কথা বলবো রাকিবের সঙ্গে।

পারমিতা বিছানায় শুয়ে দুশ্চিন্তায় ডুবে গেল। এতদিন সামান্তা আর ও দুজন মিলে এই ছোট্ট ফ্ল্যাটের ভাড়া দিতো। দুজন মিলে বাজার করতো। সামান্তা চলে গেলে ওর খরচ অনেক বেড়ে যাবে। একটা কাজের মেয়েও রাখতে হবে। সবকিছু ভেবে এপাশ ওপাশ করলো পারমিতা। সামান্তার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে ও। ওর জন্য শুভকামনা জানাতেই হবে। কিন্তু মেয়েটা চলে যাবে ভাবলেই কষ্ট হচ্ছে। ওরা তিনজন মিলে একটা পরিবারের মতো ছিল এতদিন ধরে।

অনেক্ষণ ঘুম এলো না। আগামীকাল আবার সাভারে যেতে হবে। ঘুমানো দরকার। চোখ বন্ধ করে পারমিতার মনে পড়ে গেল রোদের কথা। রোদ বলেছিল তাকে রাতে জানালেও হবে। সে কি রোদকে বলবে, আমার সঙ্গে সাভারে চলুন?

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here