পারমিতা” পর্ব-৩৩

0
1256

#পারমিতা
পর্ব ৩৩
_নীলাভ্র জহির

গোধূলির রক্তিম আভা ছড়িয়েছে। শিরশিরে বাতাসে জানালা খোলা রেখে লংড্রাইভে বেরিয়েছে রোদ ও পারমিতা। পারমিতার পরনে শাড়ি, চুলের বেণীতে গোঁজা বেলিফুলের মালা। এই মালাটা কিনে দিয়েছে রোদ। সিগন্যালে দাঁড়ানো গাড়ি থেকে হঠাৎ নেমে গেল, ফিরে এলো হাতে একটা মালা নিয়ে। পারমিতা ঘ্রাণ শুঁকে মুগ্ধ হয়ে বলল, থ্যাংক ইউ।
– চুলে গুঁজে রাখো।
পারমিতা একটা বেণী করে বামপাশে ঝুলিয়ে রেখেছে। বেণীর ওপর হতে ক্লিপ দিয়ে বেলিফুলের মালাটা আটকে দিলো ও। রোদ মুগ্ধতার সঙ্গে তাকিয়ে রইলো ওর দিকে। চুলে ফুলের মালা গোঁজার সময় পারমিতাকে কত মিষ্টি লাগছিল দেখতে। ও দুই ঠোঁটের মাঝখানে দাঁতে চেপে ধরে রেখেছিল ক্লিপটা। আর দুই হাত দিয়ে চুলে মালা গুঁজে দিচ্ছিল। রোদের মনে হচ্ছিল এরচেয়ে সুন্দর দৃশ্য জগতে আর হয়ই না। ওর মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল দৃশ্যটা দেখে।
রোদ গাড়ি থামালো একটা শপিং মলের সামনে। পারমিতা কাঁচের বাইরে তাকিয়ে রইল। গাড়ি পার্কিং করে দাড় করিয়েছে। দরজা খুলে পারমিতাকে নামতে বলল রোদ। পারমিতা জানতে চাইলো, এখন আবার কি?
– আসো না।
পারমিতা গাড়ি থেকে নামতেই ওর হাতটা মুঠোয় ধরে রোদ শপিং মলের দিকে এগিয়ে চললো। চলন্ত সিঁড়িতে ওঠার সময় পারমিতাকে বুকের সঙ্গে লেপ্টে ধরে রইল রোদ। নিজেকে বড্ড পূর্ণ মনে হচ্ছে পারমিতার। ধরায় আজ সুখের বর্ষণ নেমেছে যেন। ওর সবকিছু এত ভালো লাগছে কেন? রোদ এমন মানুষ, যার কাছাকাছি আসলে ভালো না লেগে থাকতেই পারে না।
রোদ পারমিতাকে নিয়ে জুয়েলারির দোকানে এলো। এক্সারপাশে ঝলমল করছে গয়নাগাটি। স্বর্ণ, রৌপ্য আর হিরার ঝলমলে আলোয় পারমিতা মুখর হয়ে উঠছিল। ও জানতে চাইলো, এখানে কেন এলেন?
রোদ পারমিতার উত্তর না দিয়ে দোকানীকে বলল, ওনার পায়ের মাপটা নিন তো। আমাকে মনে আছে সেদিন এসেছিলাম। দাঁড়ান, অর্ডারের রিসিভ টা দেখাচ্ছি।
পারমিতা হতচকিত হয়ে বলল, এসবের মানে কি!
রোদ বলল, কিচ্ছু না। চুপ করে থাকো। তোমার পায়ের মাপটা দাও তো।
একটা মেয়ে এসে পারমিতার পায়ের মাপ নেবার চেষ্টা করলো। পারমিতা ভ্রু কুঁচকে বলল, আপনি কি করতে চাচ্ছেন?
রোদ জিজ্ঞেস করল, হয়ে গেছে?
– হ্যাঁ হয়ে গেছে।
– ডিজাইনটা ম্যাডামকে দেখান। ওনার যদি পছন্দ না হয়, আমি কি ডিজাইন চেঞ্জ করতে পারবো?
– জি স্যার, পারবেন।

পারমিতা রোদের হাত ধরে অন্যদিকে টেনে নিয়ে এসে জানতে চাইলো, কি হচ্ছে এসব?
রোদ পারমিতাকে বলল, ওই রাতে তোমার খালি পা দেখে আমার এত ভালো লেগেছে! বারবার মনে হচ্ছিল কি যেন একটা নেই। এখন পা দুটোকে পরিপূর্ণ লাগবে। আমি তো আর দেরী করতেই পারছি না।
পারমিতা রোদের হাত খপ করে ধরে বলল, এমন পাগলামি করেন কেন আপনি? আপনাকে কি করে বোঝাই..
– এগুলো পাগলামি হলে আমাকে পাগল ডেকো৷ কিছু মনে করবো না। ডিজাইনটা দেখবে চলো।
পারমিতা রোদের পছন্দ করা ডিজাইনটা সবার আগে দেখতে চাইল। ও মুহুর্তেই মনস্থির করেছে, ডিজাইন যেমনই হোক, রোদ যেটা পছন্দ করেছে সেটাই নেবে ও। কিন্তু রোদের পছন্দ করা নূপুরের ডিজাইন দেখে ও চোখ কপালে তুলে বলল, এত সুন্দর!
মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে রইলো পারমিতা। রোদ জিজ্ঞেস করল, পছন্দ হয়েছে?
– এত সুন্দর একটা জিনিস আমার পছন্দ হবেনা? আপনি এত চমৎকার ডিজাইন কিভাবে পেলেন!
– ঠিক আছে। তাহলে এটাই সই। আর কিছু নিতে চাও?
– না না।
রোদ হেসে বলল, আমি আজকে আর জোর করবো না।
– আজকে আর মানে কি? আবার আরেকদিনএসব পাগলামি করবেন? একদমই না। আমি কিন্তু খুব রাগ করবো।
– করলে করবে।
– কিহ!
হেসে ফেলল রোদ। পারমিতার হাতে একটা আইসক্রিম ধরিয়ে দিয়ে গাড়িতে এসে উঠল ওরা। রোদ বলল, তোমাকে মুগ্ধ হলে দারুণ দেখায় জানো?
– জানতাম না।
– এখন থেকে তোমাকে বারবার মুগ্ধ করে দেবো ভাবছি। তাহলে এই চমৎকার মুগ্ধতা দেখার সুযোগ পাবো।
– একদমই না। আমি তাহলে রাগ করবো
– হা হা হা। করলে করবে।
– আমার রাগকে আজকাল আর ভয় পান না মনে হচ্ছে?
– নাহ, পাই না।
– অনেক আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দেখছি।
– আত্মবিশ্বাস নয় রে পাগলী, পারমিতা বিশ্বাস।
– পারমিতা বিশ্বাস জিনিসটা আবার কি?
– পারমিতার প্রতি বিশ্বাস।

পারমিতা মাথা দোলালো। রোদের সঙ্গে পারা যাবে না। সুন্দর নূপুর দুইটা এখনও ওর চোখের সামনে ভাসছে। রোদের পছন্দ এত অসাধারণ হবে, সেটা ও কল্পনাই করেনি। এখন মনে হচ্ছে যেকোনো কিছুর জন্য চোখ বন্ধ করে রোদের ওপর ভরসা করা যায়।
রোদ গাড়ি চালাচ্ছে। শহর ছেড়ে গাড়ি বেরিয়ে পড়তে পড়তে গোধুলি হয়ে গেল। শিরশিরে বাতাস আসতে লাগল জানালা দিয়ে। সূর্য ডোবার পর আকাশের এই রংটা এত চমৎকার লাগে পারমিতার! ও মুগ্ধ চোখে বাইরে তাকিয়ে রইল।
রোদ রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বলল, নামো।
গাড়ি থেকে নামতে নামতে সূর্য একেবারেই ডুবে গেছে। রাস্তার পাশে এক লোক ছাতার নিচে ফুচকা বিক্রি করছেন। আশেপাশে লোকজন নেই, ফাঁকা জনমানবশূন্য স্থানে ফুচকার দোকান দেখে রোদ হাসতে হাসতে জানতে চাইলো, মামা এখানে কি ফুচকা বেচো না খাও?
– বেচি মামা।
– কেউ কেনে?
– এইযে আপনারা থামলেন। এরকম অনেকেই থামে মামা। আশেপাশে আর চা’র দোকান নাই তো।
– দিনের বেলা লোকজন হয়?
– হয়। বহুত লোকজন হয়। এখন তো সন্ধ্যা, আমার চইলা যাওনের সময় হইছে। বেঞ্চি দুইটা বাড়িত পাঠাই দিছি। আপনারা আর দশ মিনিট লেট হইলেই আমারে পাইতেন না।
– ওহ আচ্ছা তাহলে জম্পেশ ফুচকা বেচো তুমি। আমিতো ভাবলাম বিক্রি করোনা, খাও।
– হা হা। কি যে কন না মামা। খালি বইয়া বইয়া খাইলে কি আর সংসার চলবো? বিড়ি সিগারেটও বেচি। রুটি, কলা, বিস্কুট। আগে চা বেচতাম। বউটা বাড়িত নাই, বাপের বাড়ি গেছে। তাই দুদিন হইল চা আনি না। বউ ভালো কইরা চা বানায় দেয়, আমি তো অত ভালো চা বানাই না।

রোদ এক প্লেট ফুচকা পারমিতার দিকে এগিয়ে দিলো। পারমিতা ফুচকার টক দিয়ে আয়েশ করে ফুচকা খাচ্ছে। রোদ বলল, মজা হয়েছে?
– হ্যাঁ। অনেক মজা। আপনি নিন না একটা।
– আমি খেতে পারিনা এটা।
রোদ দাঁড়িয়ে রইল পারমিতার দিকে। ফুচকা খেয়ে ‘ঝাল’ হয়নি বলে পারমিতা এক টানে সবটুকু টক খেয়ে ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে ঢেকুর তুলে বলল, উফফ ঝাল লেগেছে।
হাসতে হাসতে গাড়ির দিকে দৌড়ে গেল রোদ। গাড়ি থেকে এক বোতল পানি নিয়ে ছুটে এলো। পারমিতা ফুচকাওয়ালা মামার কাছে পানি না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছে হতাশ হয়ে। রোদ যখন ওকে পানি এগিয়ে দিলো, অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইল পারমিতা।
রোদ বলল, খাও?
পারমিতা পানি খেয়ে ঢোক গিলে আবারও কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে রইলো। রোদ মুচকি হেসে বলল, কিছুক্ষণ দাঁড়াবে?
– হুম।
হাইওয়ের পাশে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রইল ওরা। গাজীপুর আরও বেশ দূর। তবে পারমিতার একটুও চিন্তা হচ্ছে না। নিজেকে মনে হচ্ছে পাখি। যে পাখির নীড়ে ফেরার তাড়া নেই। জন্মের পর থেকে এই প্রথম এতটা স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করছে ও। প্রাণ ভরে শ্বাস নিয়ে পারমিতা খোলা মাঠের দিকে তাকিয়ে রইলো।
রোদ বলল, কি ভাবছো?
– স্বাধীনতার কথা। এত সুন্দর হয় স্বাধীনতার স্বাদ, আগে জানতাম না৷ আমার যে কী ভালো লাগছে!
– কিরকম?
পারমিতা একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, ছোট থেকে খুব শাসনে বড় হয়েছি। আমার মা বাবা কোথাও যেতে দিতেন না। বন্ধুদের বাড়ি, স্কুল কলেজ শেষ করে একটু ঘুরাঘুরি, এগুলোর সুযোগ পাইনি কখনো। খুব জোর করে কখনো কোথাও গেলে আবার ফিরে আসার জন্য বারবার কল দিতো। এইভাবেই আমার বিয়ের আগের জীবন কেটেছে। আর বিয়ের পর রাসিফ যদিও বলেছিল ও আমাকে সবসময় স্বাধীন করে রাখবে। সেটাকে কোনো দিক থেকেই স্বাধীনতা বলে না। বলে দিবে, অমুকের বাসায় যাও, ভালোমতো থাকবে, তাদেরকে সম্মান করবে। আবার সময়মত ফিরে আসা। নিজের মতো থাকার আনন্দটা পাইনি কখনো। ডিভোর্সের পরও প্রীতুলের জন্য সবসময় চিন্তা। বাইরে গেলে কখন বাসায় আসবো সেই চিন্তায় অস্থির হয়ে থাকি। এই প্রথম একটা দিন এসেছে, আজকে আমার বাসায় ফেরার তাড়া নেই। প্রীতুলকে নিয়ে চিন্তা নেই। আমার নিরাপত্তা নিয়ে ভয় নেই। আমি এত স্বস্তি পাচ্ছি, এটা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। এটাই হয়তো মুক্তির আসল স্বাদ।
রোদ পারমিতাকে আশ্বাস দিয়ে বললো, তোমার জন্য বাকি জীবনটা এমন স্বাধীনতার হবে। আমি কথা দিচ্ছি।
পারমিতা চমকে উঠলো। রোদের দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ওর চোখে পানি এসে গেল। রোদ বলল, অন্ধকার নামছে। চলো আমরা রওনা দেই।

গাড়ি আবারও চলতে শুরু করল। জানালা খুলে দিয়ে বাইরের খোলা হাওয়ার তালে ওরা নিজেকে ছেড়ে দিলো। বাতাসে ভাসছে মন। মৃদু ভলিউমে গান বাজছে। পারমিতা জানালায় মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছে কে জানে। রোদ একমনে গাড়ি চালাচ্ছে।
ঘুমিয়ে পড়েছিল পারমিতা। গাড়ি থামানোর আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল ওর। দুজন লোক কথা বলছে। পারমিতা মাথা বের করে দেখল সামনেই সুবিশাল বাগান। পেছনে একটা সুন্দর বাড়ি উঁকি দিচ্ছে। রোদ বলল, এসো পারমিতা। ঘুম ভেঙেছে তাহলে?
পারমিতা জানতে চাইলো, এটা কোথায় এলাম আমরা?
– ভেতরে চলো। দেখতে পাবে।
পারমিতা আশেপাশে তাকাচ্ছে। সদ্য ঘুম ভেঙেছে ওর। আশেপাশে গা ছমছমে পরিবেশ। অনেক দূর পর্যন্ত গাছ ছাড়া কিছু দেখা যায় না। ঢোকার পথে একটা সাইনবোর্ড দেখে নিশ্চিত হল এটা একটা রিসোর্ট। রিসিপশনে ওদেরকে বসতে দেয়া হয়েছে।
পারমিতা বলল, আমার ব্যাগটা?
– ওরা রুমে পৌঁছে দেবে।
– রুমে? আমরা কোথায় থাকবো?
পারমিতা প্রশ্ন নিয়ে রোদের দিকে তাকালো। দুজনে কি এক রুমে থাকবে ওরা? নাকি আলাদা আলাদা? রোদের সঙ্গে একরুমে থাকা যাবে না। লজ্জার ব্যাপার। আর আলাদা থাকলে বিষয়টা কেমন দেখাবে!
একজন বেয়ারা এসে দুই গ্লাস শরবত দিয়ে গেল। শরবত খেয়ে রোদ বলল, চলো তাহলে। রুমে যাই।
একজন বেয়ারা ওদেরকে রুমে নিয়ে এলো। দুই কামরার ফ্ল্যাটের মতো একটা ঘর। সুবিশাল ড্রয়িং রুম, সেখানে দুইটা সোফা পাশাপাশি। একদিকে ডাইনিং টেবিল। রোদ পারমিতাকে বলল, যে ঘরটা তোমার পছন্দ হয় নিতে পারো।
– এই পুরো বাসাটা আমাদের!
– হ্যাঁ।
পারমিতার আনন্দ যেন আর ধরেই না। ছোটাছুটি করে এ ঘর, ও ঘর দৌড়ে বেড়াল ও। তারপর এসে বলল, আমি ওই রুমটা নেই?
রোদ হেসে বলল, নাও।
ওই রুমের জানালাটা বেশ বড়। জানালার পাশেই বাগান। জানালার পর্দা সরালে অনেক ভয় ভয় লাগে। পারমিতা ওই রুমে ঢুকে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। রোদ দরজায় দাঁড়িয়ে বলল, পছন্দ হয়েছে?
– খুউউউব পছন্দ হয়েছে। আমরা মাঝেমাঝে এখানে বেড়াতে আসবো ঠিক আছে? এত্ত সুন্দর!
– আচ্ছা। মাঝেমাঝে আসবো।
– মাঝেমাঝে আমরা কতগুলো জায়গায় যাবো বলুন তো?
হেসে ফেলল রোদ। হাসলো পারমিতাও। রোদ পারমিতার ঘরে একটা সোফায় বসতে বসতে বলল, আমি এখানে আগে আসিনি। অনলাইনে দেখে বুক করেছি। ভালোই..
– আচ্ছা, পুরোটার ভাড়া কত?
– বেশী না। একুশ হাজার টাকা।
– একুশ হাজার! কয়দিনের জন্য?
– একদিনের জন্য।
– কি বলেন! একদিনের জন্য একুশ হাজার! নাহ, আর আসবো না এখানে।
রোদ হাসতে হাসতে বললো, আসবো। মাঝেমাঝেই আসবো। তোমার ভালো লেগেছে যখন।
– আমার ভালো লাগার জন্য আপনি কি কি করতে পারবেন?
– জগতের সবকিছু।
পারমিতা চমকে উঠল। শোয়া অবস্থা থেকে উঠে এসে রোদের সামনে দাঁড়াল ও। দুজনে কাছাকাছি ঘেঁষে দাঁড়িয়ে। রোদ বলল, আমি ফ্রেশ হই গিয়ে। জামাকাপড় বদলাই, তারপর কথা বলবো।
পারমিতা দূরে সরে দাঁড়াল, ঠিক আছে যান। ফ্রেশ হোন।
রোদ যখন রুম থেকে বের হচ্ছিল, পারমিতার বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল। বারবার মনে হচ্ছিল, রোদ না যাক। এখানেই থাকুক।
ও কিছু বলতে পারল না। রোদ বেরিয়ে যাচ্ছে। পারমিতা বলল, শুনুন।
এরপর..

চলবে..
শুভাকাঙ্খীদের মতামত আশা করছি পরবর্তীতে কেমন চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here