পারমিতা” পর্ব-৮

0
2006

#পারমিতা
পর্ব ৮
_নীলাভ্র জহির

রোদ কি বিয়ের প্রস্তাবের ব্যাপারে কিছু জানে?
পারমিতাকে প্রশ্ন করলো সামান্তা।
পারমিতা গম্ভীর মুখে উত্তর দিলো, আমি জানি না। কিচ্ছু জানি না। রোদ আমার প্রতি এত সদয় হওয়া, এতদূর এসে আমাকে পৌঁছে দিয়ে যাওয়া, ওর কেয়ারিং সবকিছু আমাকে ভাবাচ্ছে। একবার মনে হচ্ছে রোদ আমার ছবি দেখেছে। অথবা জানে যে ম্যানেজার স্যার আমাকে পছন্দ করেছিলেন ওর জন্য।
সামান্তা জিজ্ঞেস করলো, তুই ম্যানেজারকেই জিজ্ঞেস কর। উনি এই লোককে কিছু জানিয়েছেন কিনা?
– যেখানে আমি বিয়েই করবো না। সেখানে এই লোকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করাটাই উচিৎ হবে না আমার।
– ছেলেটাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। বিয়ে করে নিতে পারিস। মেরুদণ্ডহীন মনে হয়নি কোনো দিক থেকেও।
– ওটা একটা কোম্পানির এমডির ছেলে। ভবিষ্যত এমডি।
– ভাবা যায় একজন এমডির ছেলে তোর এত উপকার করলো, আবার তোকে যেচে বাসায় পৌঁছে দিয়ে গেল! নিশ্চয়ই সে তোর ব্যাপারে জানে। তুই ওর সাথে মিশে দ্যাখ। তবে আমার মনে হচ্ছে ওকে বিয়ে করলে তোর জন্য..
– চুপ কর। দ্বিতীয়বার আমাকে বিয়ে করার কথা বলবি না। আমি আর যাই করি বিয়ে করার মতো ভুল আর করবো না। এটা তুই আমার চাইতে বেশি ভালো জানিস। তাছাড়া, ওর প্রেমিকা আছে।
– ওহ আচ্ছা। তাহলে তো আমি বেশি ভেবে ফেলেছি।
পারমিতা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, আমার তাহলে চাকরিটা আর করা হলো না।

পারমিতা ইউটিউবে নিউজ দেখতে বসলো। সাইমুন খান ও তৌশিকের নাম সার্চ করে, কোম্পানির নাম সার্চ করে সব নিউজ ঘেটে ঘেটে দেখলো। তৌশিক ওর কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। ওকে লোক সুবিধার মনে হয়নি পারমিতার।

রাতে ঘুমানোর আগে ফেসবুকে নিউজফিড স্ক্রল করছিল পারমিতা। হঠাৎ মেসেঞ্জারে ওর একজন কলিগ মেয়ে নক দিলো। জানালো পারমিতার সাথে জরুরি কথা আছে। পারমিতা বারবার জিজ্ঞেস করলো, কি বিষয়ে? মেয়েটা বলল, সে দেখা করে কথা বলতে চায়। মেসেঞ্জারে কল দিলো পারমিতা। মেয়েটা ফোনেও কিছু বললো না। সে দেখা করেই কথাগুলো বলবে।
পারমিতা বলল, আমি দুদিন পর বাসায় আসবো। তখন দেখা করার সুযোগ পাবো।অবশেষে বাধ্য হয়ে ফোন দিলো মেয়েটা। বলল, আপনি যেসব বলেছেন একদম ঠিক করেছেন। কিন্তু আপনি সাইমন খান এর ব্যাপারে কিছু বলেননি কেন?
– মানে? ওনার ব্যাপারে যা বলার সব তো বললাম ই।
– আপনি জানেন না, সাইমুন খান কত ভয়ংকর লোক। উনি আমাকে সরাসরি ওনার চেম্বারেই এবিউজ করার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি আমাদের কলিগ রুমুকে ব্লাকমেইল করে বিছানায় নিয়ে গেছেন।

অবাক হয়ে গেল পারমিতা। বিস্মিত হয়ে জানতে চাইল, কি বলছেন এসব? সাইমুন খান আমাকে বলেছেন ওনার নাকি মেয়ে সংক্রান্ত কোনো ঝামেলাই নেই। ওনার মেয়েদের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই।
– এসব আপনি বিশ্বাস করেন? ওনার চাইতে খারাপ লোক আর একটাও নেই এই জগতে।
– কিন্তু আমি এসব জানিনা। উনি আমার কাছে সরাসরি অস্বীকার করেছেন। আমি বলতে পারছি না কিছু। আমি আর এসব ব্যাপারে কথা বলতে চাইনা। আমি ওই অফিসেও আর যাবো না কোনোদিন।
– সাইমুন খানেরও বিচার হওয়া দরকার ছিল।
– কিছু করার নেই আমার। আমি আমার মতো থাকতে চাই আপু। আর কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাইনা।

পারমিতা ফোন রেখে দিলো। ওর ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে। সামান্তা জানতে চাইলো, কি হয়েছে?
– সাইমুন খান নাকি অনেক ভয়ংকর লোক! কি যে করি…

রাতে ঘুম আসছিল না পারমিতার। কিছুক্ষণ বিছানায় এপাশ ওপাশ করে ভাবলো একবার রোদকে ফোন দিয়ে সবকিছু জানানো যেতে পারে। কিন্তু এত রাতে ফোন করাটা নিশ্চয়ই ঠিক হবে না।
পারমিতা ম্যানেজারের হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ দিলো, স্যার ভালো আছেন? একটা ব্যাপার আলোচনা করতাম আপনার সাথে।
ম্যানেজার দ্রুত রিপ্লাই দিলেন।
পারমিতা লিখল, স্যার আমাকে একজন ফোন করে সাইমুন খানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ দিলো। সে স্যারের বিচার চায়। আমাকে এ ব্যাপারে সহযোগীতা করতে বলে।
ম্যানেজার হোয়াটসঅ্যাপে কল দিলেন। পারমিতা প্রথমে ইতস্তত করলেও রিসিভ করলো। ম্যানেজার বললেন, আপনি আর জল ঘোলা করবেন না। চুপচাপ থাকুন। সাইমুন খানের বিরুদ্ধে আর কিছুই করবেন না। আপনি যেহেতু চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, সেহেতু এসব নিয়ে নাক না গলানোই ভালো। নিজের ভালো পাগলও বোঝে।
– স্যার ওনার দ্বারা আরও অনেক মেয়ে টর্চারের শিকার হবে।
– সেটা তাদের দুর্ভাগ্য। আপনি চুপ থাকুন। নয়তো বাবার দেয়া প্রাণটাও যাবে। বুঝলেন? যাদের অনেক ক্ষমতা থাকে তাদের বিরুদ্ধে কখনো লাগতে নেই।
– স্যার তাই বলে..
– চুপ থাকুন পারমিতা। এ ব্যাপারে আর কথা না বলাই ভালো। নিউজে যতদুর গেছে, এতেই সাইমুন খানের টনক নড়বে। অফিসের কারও সাথে ওসব করার আগে একশোবার ভাব্বে উনি। আমিও খেয়াল রাখবো।
– থ্যাংক ইউ স্যার। আপনাকে অনেক রাতে বিরক্ত করলাম।
– সমস্যা নেই। ভালো থাকবেন।
– স্যার এক মিনিট, একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
– অবশ্যই। বলুন কি জানতে চান?
– আপনি যার ছবি আমাকে পাঠিয়েছেন, ওনাকে কি আমার ব্যাপারে কিছু বলেছিলেন?
– না। কেন?
– এমনি। প্রোগ্রামে ওনার সাথে আমার দেখা হয়েছে।
– কথা বলেছেন?
– হুম।
– পছন্দ হয়েছে?
– স্যার এখানে পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার আসছে না। আসলে আমার পক্ষে সম্ভব নয় বিয়ে করা।
– ঠিক আছে। জোর করছি না।
– থ্যাংক ইউ স্যার। ভালো থাকবেন আপনিও।

ম্যানেজারের সাথে কথা শেষ করে পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো পারমিতা। প্রীতুলকে বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো।

সকালে পারমিতাকে নিয়ে সামান্তা চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসলো। একটু পরপর প্রীতুলকে বিভিন্ন খাবার কিনে দিচ্ছিল সামান্তা। যাতে প্রীতুল বুঝতে পারে সে রূপকথার দেশে এসেছে। এখানে যা চাওয়া যায়, তাই পাওয়া যায়।
পারমিতা অবাক হয়ে সামান্তার কাণ্ড দেখে বলল, তুই ওকে এত কিছু কিনে দিচ্ছিস। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।
– ওকে বোঝাতে হবে খালামনি মিথ্যে বলেনি।
– তা ঠিক। খালামনির সম্পর্কে বাজে ধারনা করা যাবে না। ওর খালামনি এদেশের সবচেয়ে ভালো মেয়েটা।
– ধুর, তুইও না।

হাসতে হাসতে সারাদিন চিড়িয়াখানায় ঘুরলো ওরা। প্রীতুলের সব আবদার পূরণ করছিল সামান্তা। পারমিতার মানসিক অশান্তি হচ্ছে। এখানে সে সম্পূর্ণ নিরাপদ। কিন্তু তবুও ভেতরে এক ধরনের ভয় দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ভয়টা কিসের পারমিতা সেটা জানে না। তৌশিক ওর কোনো ক্ষতি করতে পারে সেই ভয় নাকি সাইমুন খানের ভয়? পারমিতা ভেবে পায় না। ওর নিজেকে ফাকা ফাকা লাগছে। কারণ চাকরিটা আর নেই ওর।

পারমিতা পরেরদিন বাসায় ফিরে এলো। পরের কয়েকটা দিন কাটলো উদ্বেগ নিয়ে। আর কোনো নিউজ হয়নি ওর কোম্পানি বা তৌশিক খানকে নিয়ে। হয়তো চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেয়াটাই একমাত্র শাস্তি।
পারমিতার সময় কাটে ছেলে প্রীতুলের সাথে খেলা করে, গল্প করে। ওকে সারাদিন সময় দেয় পারমিতা। একসাথে খায়, ঘুমায়, গোসল করিয়ে দেয় প্রীতুলকে। এভাবেই দিন গড়াচ্ছে। কিন্তু বেকার বসে থাকলে আর কতদিন? সামান্তা একা বাজার করছে। ঘর ভাড়াও সেই দিয়েছে। ওর কাছে এত ঋণে ঋণী হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনো ভাবেনি পারমিতা। সামান্তা না থাকলে ওর কী যে হতো!

পারমিতা এই কয়েকদিন দুশ্চিন্তায় কাটিয়েছে। রোদের কোম্পানিতে চাকরি করার ইচ্ছে ওর নেই। কারণ কোনোদিন যদি ম্যানেজার জানতে পারেন পারমিতা রোদের ওখানে কাজ করছে তাহলে পারমিতা লজ্জা পাবে। কিন্তু তবুও পারমিতা আশা করে ছিল রোদ ওকে একবার কল দেবে। ফোনে টুং করে এসএমএস এলেই পারমিতা ভাবে এই বুঝি রোদ মেসেজ দিয়ে ওকে ইমেইল এড্রেস দেবে সিভি পাঠানোর জন্য। কিন্তু না, ফোনে কোনো এসএমএস আসে না।

পারমিতা রোদকে ফোন দিতে পারছে না। আর পারছে না চুপচাপ বসে থাকতে। একটা চাকরি ওকে জোগাড় করতেই হবে। সিভি রেডি করে রেখেছে পারমিতা। বিভিন্ন খবরের কাগজে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে লাগলো সে। কোথাও সিভি পাঠিয়ে দেখা যাক ভাগ্যে কী আছে!

এমন সময়েই হঠাৎ কল এলো রোদের নাম্বার থেকে। পারমিতার বুক কেঁপে উঠলো। ও ফোন নিয়ে রিসিভ করবে কিনা ভাবতে ভাবতে রিসিভ করেই ফেললো।
রোদ বলল, হ্যালো পারমিতা বলছেন?
– জি। আপনি কে?
– আমাকে চিনতে পারেননি?
– না, সরি। চিনতে পারছি না।
পারমিতা রোদকে ঠিকই চিনেছে। গত কয়েকদিন ধরে বারবার কল লিস্ট চেক করেছে ও। রোদ কল দিয়ে ওকে ইমেইল এড্রেস দিয়ে সিভি পাঠাবে বলবে সেই আশায়। তবুও বলল, চিনতে পারছি না।

রোদ বলল, আমি রোদ। বিআরসি কোম্পানির রোদ। চিনতে পেরেছেন?
– জি। আপনাকে ভুলার কথা নয়।
– হা হা। ভালো আছেন মিস পারমিতা?
– হুম। আপনি কেমন আছেন?
– ভালো। আচ্ছা আপনার মেইল তো এখনো পেলাম না। আপনাকে না বলেছিলাম সিভি পাঠিয়ে দিতে?
– মানে.. আপনি তো ইমেইল এড্রেস দেননি।
– ওহ মাই গড! এটা আপনি আগে বলবেন না? একবার ফোন দিয়েও তো মেইল নিতে পারতেন। আমি ভুলে গেছি। ভেবেছিলাম মেইল এড্রেস দিয়েছি। কি মনভুলা আমি বলেন তো?

পারমিতা কি বলবে বুঝতে পারলো না। ওর একটা চাকরি খুব দরকার। মনে মনে এই চাকরির আশায়ও ছিল পারমিতা। কিন্তু অন্যদিকে সচেতন মনে বারবার বলছে, আমি রোদের কোম্পানিতে চাকরি করবো না। এদিকে আবার ঠিকই আশা করছে।
রোদ বলল, আমি এসএমএস পাঠিয়ে দিয়েছি আপনার নাম্বারে। চেক করুন।
– হ্যাঁ এসেছে।
– সিভি রেডি করে পাঠিয়ে দেবেন প্লিজ।
– কিন্তু.. আমার জন্য আসলে.. থাক, লাগবে না।
– কি লাগবে না?
– আমার চাকরিটা.. লাগবে না।
– আপনি কি চাকরি পেয়ে গেছেন?
– না। কিন্তু আমি এটা করতে চাইছি না।
– কেন?
– আপনার কোম্পানিতে চাচ্ছি না। ঝামেলা আছে।
– কি ঝামেলা?
– কিছু না। আমি রাখি।
– শুনুন, ফোন রাখবেন না। কিসের ঝামেলা? আপনি সিভি রেডি করে পাঠান। আর কোনো কিছু জানার থাকলে খোলাখুলি বলুন আমাকে?

পারমিতা চুপ করে থেকে উত্তর দিলো, না। আসলে আমার সংকোচ লাগছিল।
– কাজ দরকার না আপনার? কাজের ক্ষেত্রে সংকোচ করবেন না কখনো।

রোদ ফোন রেখে দিলো। পারমিতা ওর পাঠানো ইমেইলে ওর সিভি পাঠিয়ে দিলো। সাত পাঁচ ভেবে অস্থির হয়ে গেল পারমিতা। কাজ তো কাজই, সেটা বলে স্বান্তনা দিলো নিজেকে।

মিনিট দশেক পর ফোন এলো রোদের নাম্বার থেকে। বলল, আপনার সিভি পেয়েছি। এটা আমার রেফারেন্সে পাঠাচ্ছি। আপনাকে একটা এড্রেস দিচ্ছি। কালকে যাবেন ইন্টারভিউ দিতে। বেলা এগারোটায়। পারবেন না?
– জি, পারবো।
– নার্ভাস কেন? বি স্ট্রং। কালকে ইন্টারভিউ দিয়ে আসেন। কোনো প্রয়োজন হলে আমাকে কল দেবেন।

পারমিতা সারা রাত ছটফট করলো। ইন্টারভিউ কেমন হবে, কি প্রশ্ন করবে, কে নেবে সেসব ব্যাপারে কিছুই বলে নি রোদ। বিস্তারিত জানেনা কিছু পারমিতা। ইন্টারভিউতে গিয়ে কি করবে বুঝতে পারছে না। তবুও সারা রাত বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও, গুগল ডকুমেন্টস পড়ে যতটুকু পারলো জানার চেষ্টা করলো ইন্টারভিউ সম্পর্কে।

পরেরদিন সকাল এগারোটায় ভয় ভয় চেহারা নিয়ে বিআরসির অফিসে এলো পারমিতা। ওখানে যে ফ্লোরের ঠিকানা দিয়েছে সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো। ওকে ডাকা হলো ইন্টারভিউয়ের জন্য। পড়াশোনা, কি ধরনের কাজ করতে পারবে, অভিজ্ঞতা আছে কিনা এসব সাধারণ দু একটা প্রশ্ন করেই ছেড়ে দিলো ওকে। বলে দিলো, আপনি তো রোদের রেফারেন্সে এসেছেন তাইনা? তাহলে আর টেনশনের কিছু নাই। কালকে আরেকবার আসেন। বারোটার দিকে আসেন।

পারমিতা বেশ বুঝতে পারলো এত বড় কোম্পানিতে রোদের অনেক পাওয়ার। সবাই ওকে এক নামে চেনে। যারা ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন তারাও রোদের রেফারেন্স আছে বলেই তেমন একটা প্রশ্ন করেননি। পারমিতা ভালোভাবেই বুঝতে পারলো, আর যাই হোক অন্তত রোদকে যখন তখন কল দেয়া একদমই উচিত হবেনা তার।

পরেরদিন যথারীতি অফিসে এলো পারমিতা। ওনারা একটা জয়েনিং লেটার দিলো পারমিতার হাতে। লেটারটার দিকে তাকাতেই পারমিতার চোখ ছলছল করে উঠলো। বিশ হাজার টাকা স্যালারিতে এই চাকরিটা হঠাৎ পেয়ে যাওয়াটা ওর জীবনে অনেক বড় কিছু।

পারমিতা রোদকে কল দিলো ধন্যবাদ জানানোর জন্য। কল রিসিভ হলো না। পারমিতা অফিস থেকে বেরিয়ে বাইরে এসেছে, রিকশা ডাকতে যাবে ঠিক তখনই একটা গাড়ি এসে সামনে দাঁড়াল। গাড়ির জানালা খুলে মাথা বের করলো রোদ। বলল, গাড়িতে উঠুন।

পারমিতা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে রইলো। রোদ বলল, কি হলো? উঠুন?

চলবে..


https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1360007717714327&id=439669216414853

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here