#পারমিতা
পর্ব ৯
_নীলাভ্র জহির
রোদের কথামতো পারমিতা ওনার গাড়িতে উঠে বসলো। রোদ নিঃসন্দেহে বিশ্বাসযোগ্য একজন মানুষ। পারমিতার সর্বাঙ্গে আজকে খুশির ঝিলিক বইছে। রোদ বলল, আমাকে নাটকীয় স্টাইলে ধন্যবাদ জানাতে হবে না।
পারমিতা লজ্জা পেয়ে হাসতে হাসতে বললো, আপনি কিভাবে বুঝলেন আমি এখন ধন্যবাদ জানাবো?
– আমি সবকিছু না হলেও কিছু কিছু জিনিস বুঝতে পারি ম্যাডাম।
– আমি কিন্তু সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ থাকবো।
– আপনাকে কৃতজ্ঞ রাখতে পেরে আমারও আজীবন ভালো লাগবে। হা হা হা।
রোদ ড্রাইভারকে একটা রেস্টুরেন্টের নাম বলে দিলো। গাড়ি ঘুরিয়ে সেদিকে যাওয়া শুরু করল ড্রাইভার। পারমিতা কৌতুহলী হয়ে জানতে চাইলো, আপনি কী আমাকেও রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবেন? দেখুন আমি বাসায় যাবো।
– আপনি চাকরি পেয়েছেন সেটাকে সেলিব্রেট করতে হবে না?
পারমিতা লজ্জা পেয়ে হাসলো। বলল- অবশ্যই। কিন্তু আজকে..
– আজকেই খাবো। আর আপনি খাওয়াবেন। ট্রিট তো চাইই চাই। এটা কোনোভাবে মিস করা যাবে না।
– আচ্ছা।
মুখে আচ্ছা বললেও দুশ্চিন্তায় ডুবে গেল পারমিতা। কারণ ওর হাত খালি। ব্যাগে মাত্র হাজার খানেক টাকা আছে। এই টাকায় ওনাকে সম্মান করা যাবে কিনা পারমিতা সন্দিহান।
গাড়ি একটা বিশাল রেস্টুরেন্টের সামনে এসে দাঁড়াল। বাইরে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জায়গা আছে। তারমানে অনেক বড় রেস্টুরেন্ট। পারমিতা গাড়ি থেকে নেমে ভয় ভয় চোখে আশেপাশে তাকালো। যারা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করছে এবং বের হচ্ছে সবাই দামী ও গরজিয়াস পোশাকে সজ্জিত। মুখে মেক আপ ও চুলে লাল রং। পারমিতা নিতান্তই সাধারণ একটা মেয়ে। ওর প্রথমে সংকোচ লাগছিল এখানে ঢুকতে। কিন্তু ঢোকার পর যখন বুঝতে পারলো কেউই ওর দিকে তাকাচ্ছে না, সবাই যার যার মতো ব্যস্ত। তখন ওর চিন্তাটা দূরীভূত হলো।
রোদ পারমিতাকে নিয়ে একটা টেবিলে এসে বসলো। ঝকঝকে টেবিল। ওপরে মখমল বিছানো। চেয়ারগুলো জাঁকজমক। মাথার ওপরে জ্বলছে অসংখ্য ঝাড়বাতি যার প্রত্যেকটাই দেখতে অভিজাত। এত সুন্দর রেস্টুরেন্ট এর আগে কখনো দেখেনি পারমিতা। ঢোক গিললো পারমিতা। এই হোটেলে খাবার খেলে না জানি কত বিল আসবে। ওর কাছে মাত্র হাজার খানেক টাকা। রোদ নিজের মুখে ট্রিট চেয়েছে, বিলটা যদি ওকেই দিতে হয় তাহলে বিষয়টা বিশ্রী হয়ে যাবে। পারমিতার উচিৎ এই ট্রিটের বিল পরিশোধ করা। মাথা নিচু করে এসব এলোমেলো ভাবছিল ও। রোদের কথা শুনে চমকে উঠে ওর দিকে তাকালো।
রোদ জানতে চাইলো, অফিস দেখেছেন আপনার?
– না।
পারমিতা মাথা ঝাঁকিয়ে উত্তর দিলো।
রোদ বলল, কেন? আপনার অফিস আপনি দেখেন নি?
– না।
পারমিতা মুখ কাচুমাচু করে ফেললো। ওই অফিসের কোনো জায়গাই পারমিতা চেনে না। কোনো বসকেও চেনে না। এত ঝকঝকে অফিসে হাঁটতেও ওর বুক কাঁপছিল কখন আবার পিছলে পড়ে যায়।
রোদ বলল – আপনার কি পোস্ট পছন্দ হয়েছে?
– হুম।
– আসলে হুট করেই তো আপনাকে বড় কোনো পোস্টের জন্য রেফারেন্স দিতে পারি না। বুঝতেই পারছেন সবকিছু। আপনার গ্রাজুয়েশন করা নেই। একটু ঝামেলার ব্যাপার আসলে।
– না না সমস্যা নেই। আমার একটা চাকরি দরকার ছিল শুধু। এত স্যালারি আমি আশাও করিনি। আমার জন্য এটা অনেক বেশি।
রোদ খাবারের মেনু এগিয়ে দিলো পারমিতার দিকে। অর্ডার দিতে বললো। পারমিতা মেনুর পাতা ওল্টাতে লাগল আর মন দিয়ে দেখছে। খাবার গুলোর যেমন আকর্ষণীয় নাম তেমনই মূল্য। কোনো প্লেটারের মূল্য ৯০০, কোনো প্লেটার ১২৫০। এর কাছে মোটেই আছে আট নয়শো টাকা। একজনের খাবারও হবেনা। এক গ্লাস শরতের মূল্য ৩৫০ দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেলল পারমিতা। ও জানতো এমনই হবে। আজকে মান সম্মান সব বুঝি নষ্ট হয়ে যায়।
পারমিতা আর ভাবতে পারছিল না। ওর নিজেকে অনেক ছোট লাগছিল। রোদের কাছে অপমানিত হওয়ার ইচ্ছে ওর একেবারেই নেই। কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তো..
পারমিতা মুখে হাসি ধরে রাখার চেষ্টা করলো। রোদকে বলল, আমি তো আপনাকে ট্রিট দিচ্ছি। কাজেই আমার মনেহয় আপনি কি খাবেন সেটা আপনারই পছন্দ করলে ভালো হয়। দেখুন না কি খাবেন।
পারমিতা রোদের দিকে মেনু এগিয়ে দিলো। তারপর ফোন বের করে হাসিহাসি মুখে সামান্তাকে মেসেজ পাঠালো, আমি একটা ঝামেলায় পড়েছি। আমাকে দুই হাজার টাকা ধার দে। বিকাশে পাঠাস দ্রুত। প্লিজ।
মেসেজটা পাঠিয়ে হাসি মুখে বসে রইল পারমিতা। রোদ ওকেই খাবার পছন্দ করতে পারলো। পারমিতাও রোদকে জোর করল যেন সে-ই পছন্দ করে। রোদ বাধ্য হয়ে মেনু দেখতে লাগল। পারমিতাকে জিজ্ঞেস করল, চিংড়ি পছন্দ আপনার?
পারমিতা বলল, ‘হ্যা খুব।
মুখে হাসি ধরে রাখলেও পারমিতার টেনশন হচ্ছে। যতক্ষণ না টাকা আসছে ততক্ষণ ওর শান্তি লাগবে না। সামান্তা কল দিলো। কল কেটে মেসেজ পাঠালো পারমিতা, এখন ধরতে পারবো না। আমি রোদের সামনে রেস্টুরেন্টে আছি। বিল আমাকে দিতে হবে। প্লিজ দুই হাজার টাকা পাঠাই দে।
পারমিতার ফোন সাইলেন্ট করা। ফোন হাতে নিয়ে ও হাসিমুখে নিশ্চিত মনে বসে থাকার চেষ্টা করলো। যেন ওর খুব মন ভালো আজকে। রোদ অবশেষে পারমিতার কাছে দু একটা পছন্দ জেনে নিয়ে খাবার অর্ডার দিলো।
পারমিতা বলল, দেখি কোনটা অর্ডার দিলেন? এই ছবিটা?
রোদ খাবারটা দেখালো। ছবি দেখার অজুহাতে পারমিতা আসলে খাবারের মূল্যটাই দেখলো। যাতে অসম্মানে পড়তে না হয়। খাবারের প্রাইস দুজন মিলে আসবে সতেরশো টাকা। জুস বা কোল্ড ড্রিংকস নিলে নাহয় আরও তিন থেকে পাঁচশো। তিন হাজার টাকায় ভালোভাবেই হয়ে যাবে। কিন্তু সামান্তার কাছে আদৌ টাকা আছে তো?
ফোন কেঁপে উঠল। দ্রুত মেসেজ চেক করল পারমিতা। সামান্তা দুই হাজার টাকা পাঠিয়েছে। অবশেষ স্বস্তি। এখন নিশ্চিত মনে কথা বলতে পারবে ও।
পারমিতা বলল, ফালুদা খাবেন? আমি ফালুদা খুব পছন্দ করি। আপনি করেন না?
রোদ বলল, না। পছন্দ করিনা বললে ভুল হবে। তবে কম খাই।
– ওহ আচ্ছা।
রোড ওয়েটারকে ডেকে একটা ফালুদা দিতে বললো। পারমিতার মুখ হাসি হাসি। খাবার চলে আসা পর রোদের সাথে দেশ, সমাজ এসব নিয়ে কথা হতে লাগল। এর বাইরে আসলে বলার মতো কথা খুঁজে পাচ্ছিল না পারমিতা।
কথা বলার ফাকে দুইবার কল এলো রোদের মোবাইলে। রোদ একবার রিসিভ করে বলল, বিজি আছি। পরে ফোন দিচ্ছি।
পারমিতার নিজেকে খুব ভিআইপি ব্যক্তি বলে মনে হচ্ছিল। তবে এই মনে করার মাঝে আসলে আনন্দের কিছু নেই। বড়লোকদের কাজ কারবার বোঝা যায় না।
খাবার চলে এলো। খাওয়ার ফাঁকে রোদ বলল, আপনার বাসায় কে কে আছে?
পারমিতা মাথা তুললো। প্রীতুলের কথা বলবে কিনা ভাবছে। কর্মক্ষেত্রে কোথাও প্রীতুলের ব্যাপারে কিছু বলেনি ও। এমনকি ও ডিভোর্সি, এটাও কেউ জানেনা। পারমিতা চোয়াল শক্ত করে বসে রইল।
রোদ বলল, মনে করার চেষ্টা করছেন নাকি? বাসায় কে কে আছে সেটা ভুলে গেছেন?
রোদের মুখে হাসি। পারমিতা বলল, আমি আর আমার বান্ধবী, সামান্তা। আমরা একসাথে থাকি।
– ওহ।
– আমাকে তারাতাড়ি বাসায় যেতে হবে। কাজ আছে।
– খাবার নিয়েই যাবেন?
– মানে?
– খাবারটা শেষ করুন। আপনাকে আটকে তো রাখবো না।
এমন সময় একটা ছেলের কথা শোনা গেল। ছেলেটার বাহু ধরে রেখেছে একটা সুন্দরী মেয়ে। সে এগিয়ে এসে রোদকে বলল, হ্যালো.. কি অবস্থা?
রোদ উঠে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো ছেলেটাকে, আরে তুই! তোকে দেখাই যায় না আজকাল।
ছেলেটা এক পলক পারমিতাকে দেখে বলল, এরকম রেস্টুরেন্টে রেস্টুরেন্টে ঘুরে বেড়ালে দেখা পাবে কি করে? আমরা তো রেস্টুরেন্টে ঘুরি না।
– তাই না শালা?
রোদ ছেলেটার পেটে আস্তে করে একটা ঘুষি দিয়ে বলল, রেস্টুরেন্টে ঘুরিস না? পার্কে ঘুরিস? দেখা তো সেই রেস্টুরেন্টেই হলো।
– আমাকে রাইসা নিয়ে এসেছে।
– ওহ তাই নাকি? হ্যালো রাইসা, ভালো আছো?
– জি ভাইয়া। আপনি কেমন আছেন?
– ভাল। তুমি শুধু ওকেই খাওয়াবা? আমাকে চোখে পড়ে না?
ছেলেটা রোদের বুকে একটা ঘুষি মেরে বলল, আমার গার্লফ্রেন্ড আমাকে খাওয়াবে। তোকে খাওয়াবে কেন? শালা।
হাসতে লাগল সবাই। ছেলেটা পারমিতাকে দেখিয়ে ইশারায় বলল, কে রে?
– ফ্রেন্ডস।
– ওহ আচ্ছা। ভালো। থাক তাহলে। আসি।
চলে গেল ওরা। রোদ আবার এসে টেবিল খেতে বসল। পারমিতা চুপচাপ খাচ্ছে। রোদ বলল, ও আমার কলেজের ফ্রেন্ড।
– হুম।
– অনেক ফাজিল। আর ওর সাথে মেয়েটা ওর গার্লফ্রেন্ড।
পারমিতার ইচ্ছে করছিল জিজ্ঞেস করতে, আপনার গার্লফ্রেন্ড নেই? কিন্তু ও চুপ করে রইল। বড়লোকদের সাথে বেশি কথাবার্তা বলা ঠিক না।
খাবার খাওয়া শেষ করে রোদ একটা কোল্ড ড্রিংকস দিতে বলল। ওয়েটারকে ইশারায় ডেকে বিল দিতে বলল রোদ। রোড মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে এত দ্রুত বিল দিয়ে দিলো যে, পারমিতা লজ্জায় পড়ে গেল। সেখানে, নিজের বিল দেয়ার কথা তুলতেই পারল না সে। তবুও বলল, আরে আপনি কেন বিল দিচ্ছেন? আমি তো আপনাকে ট্রিট..
পারমিতাকে থামিয়ে দিয়ে রোদ বলল, আমি নিয়ে এসেছি আপনাকে। আর আপনাকে বলবো বিল দিতে? তাছাড়া একজন পুরুষ মানুষ হয়ে আপনার থেকে বিল নেবো?
হেসে ফেলল রোদ। পারমিতা অপ্রস্তুত বোধ করছে। ও বিষণ্ণ ভঙ্গীতে বলল, আমি আপনাকে ট্রিট দিতে চেয়েছিলাম।
– অন্য আরেকদিন। সেদিন আপনি নিজে নাহয় আমাকে ডেকে নেবেন।
– আচ্ছা।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে রোদ বলল, আপনার প্রিয় রং কি?
– প্রিয় রং? কাঠগোলাপ ফুলের রংটা আমার প্রিয়।
– কোন রংয়ের জামা পরতে ভালো লাগে বেশি?
– সেটা কখনও ভেবে দেখিনি।
রোদ হেসে বলল, কি বলেন। মেয়েরা নিজের জামাকাপড়, রূপচর্চা এসব নিয়েই তো সারাক্ষণ পরে থাকে জানতাম।
– মেয়েরা নয়, কিছু মেয়ে। সবাই তো একরকম না।
– এ জন্যই আপনাকে আমার ভালো লাগে।
– কি!
চমকে উঠলো পারমিতা। রোদ বলল, আপনাকে আমার অন্যান্য মেয়েদের চাইতে অনেক সরল, অনেক পরিষ্কার মনে হয়েছে। আপনার মাঝে কোনো জটিলতা নেই।
– সবার মাঝে কি জটিলতা থাকে?
– হুম থাকে।
চুপ করে রইল পারমিতা। রোদও চুপ করে রইল অনেক্ষণ। কিছুটা সময় নিরবে কেটে যাওয়ার পর রোদ বলল, আমরা কি বন্ধু হতে পারি? ভালো ফ্রেন্ডস।
পারমিতা অবাক চোখে রোদের দিকে তাকিয়ে রইল। স্বনামধন্য কোম্পানির এমডির ছেলে ওর সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইছে। বিষয়টা স্বাভাবিক না মোটেও। এত অস্বাভাবিক বিষয়গুলো কেন ওর সাথেই ঘটে?
রোদ পারমিতার দিকে তাকিয়ে আছে, ক্যান উই?
পারমিতা রোদের চোখে চোখ রাখল। ওই চোখ যথেষ্ট ভরসা দেয়। কিন্তু বন্ধুত্ব? পারমিতার জীবনে একজন মাত্র পুরুষ এসেছে, সে পারমিতার স্বামী রাসিফ। এর আগে বা পরে কেউ আসেনি ওর জীবনে। কাউকে সুযোগ দেয়নি পারমিতা। কিন্তু রোদ তাদের সবার চাইতে আলাদা। তাই বলে বন্ধুত্ব করাটা কি ঠিক হবে? পারমিতা চায় না ওর জীবনে কোনো পুরুষ আসুক। সে যত ভালো বন্ধুই হোক না কেন।
রোদ জানতে চাইল, কি ভাবছেন?
– কিছু না। আমাকে উঠতে হবে।
– ওকে। আমাকে কি আপনার বন্ধু হওয়ার যোগ্য মনে হয় না?
পারমিতা প্রশ্নটাকে এড়িয়ে গিয়ে বলল, বাইরে কি মেঘ করেছে? ওহ না, কাঁচটা কালো।
কথাটা বলে হাসলো পারমিতা। ব্যাগ কাঁধে নিয়ে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, আমি আসি। আপনি ভালো থাকবেন কেমন? আপনার কোনো ঋণ ই আমি শোধ করতে পারবো না।
রোদ পারমিতার পিছুপিছু এসে রীতিমতো জোরে বললো, ক্যান উই বি ফ্রেন্ডস পারমিতা?
আশেপাশের টেবিল থেকে অনেকে অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকালো। পারমিতা সবার নজরে আসতেই ওর লজ্জা লাগতে লাগল। রোদ আবারও জিজ্ঞেস করলো, ক্যান উই?
পারমিতা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। কি বলবে বুঝতে পারছে না। ওর শরীর যেন শিরশির করে উঠছে। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। মনে হচ্ছে ওর কণ্ঠ রোধ হয়ে আসছে। এই কথাটা বলতে চায় না পারমিতা। এটা বললে রোদ কষ্ট পাবে। তবুও ওকে কথাটা বলতেই হবে। পারমিতা একটা ঢোক গিলে কথাটা বলার জন্য প্রস্তুত হলো।
চলবে..
৮ পর্বঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1360893620959070&id=439669216414853