বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর) পর্ব :২৫

বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি

উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর)

পর্ব :২৫

নভেম্বরের শুরু।এর মাঝে দু’মাস কেটে গেছে।বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। কিন্তু শহরের এই পরিবেশে গ্রামের মত ষড়ঋতু বুঝে উঠা বেশ মুশকিল ।শহরের ক্ষেত্রে তিনটি ঋতু গ্রীষ্ম ,বর্ষা আর শীত।বাকি শরৎ,হেমন্ত,বসন্তের এই তিন ঋতুর দেখা মিলেনা ইটপাথরের ঘেরা ধুলোবালি জমা এই শহরে।
অক্টোবরের অকস্মাৎ বৃষ্টি আবছা শীতের বার্তা নিয়ে এসেছে।নভেম্বরের প্রথম সাপ্তাহ থেকে মৃদু ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে।এই দু’মাসে আরহাম সেহেরের সম্পর্কের মাঝে বেশ উন্নতি ঘটেছে।স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক তৈরি না হলেও বেশ ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।সেহের বাড়ি বউদের মত টুকটাক কাজে হাত লাগায়।এই যেমন বিকালের নাস্তা কিংবা আরহামের প্রিয় ডিশ।বেডরুম গোছগাছ থেকে শুরু করে আরহামের জিনিস অবধি সামলানো।ইদানীং আরহামের বেশ বাজে অভ্যাস হয়েছে সেহেরের বানানো কফি ছাড়া তার দিন কিছুতেই শুরু হচ্ছে না।মাঝেমধ্যে দুএক দিন মিস হয়ে গেলে সারাদিন মেজাজ চড়ে থাকে।খামাখা অফিস ,পার্টি অফিসের লোকজনের উপর রাগ ঝাড়তে থাকে।সকালে ঘুম ভাঙার পর চোখের সামনে সেহেরকে চাই- ই- চাই। বাড়ি ফেরার পর সেহেরের মুখখানা দর্শন না করলে কোন ভাবেই ক্লান্তি কাটে না।মাথায় চড়ে তাথৈ তাথৈ করে নেচে বেড়ায়।সেহের নামক নেশাটা দিন দিন প্রখর হচ্ছে। রক্তের সাথে মিশে শিরায় শিরায় তার উপস্থিতির জানান দিচ্ছে। অভ্যাস হয়ে দিন দিন অধিকার বোধ বাড়াচ্ছে।সেহেরের প্রতি ভালোবাসা আসক্তি সময়ের সাথে পাল্লা ধরে বাড়ছে।

সকাল থেকে সেহেরের শরীর কেমন জানো ম্যাজম্যাজ করছে।আবছা এক পীড়া শরীর ভার করে রেখেছে।তাই আজ আর ভার্সিটিতে যাওয়া হলো না। বেশ বেলা করে ঘুম ভাঙল।আরহাম বেশ সকাল সকাল বেরিয়েছে।পার্টি অফিসে জরুরী এক মিটিং আছে।যাওয়ার পূর্বে বেশ কয়েকবার ডক্টরের কাছে যাওয়ার কথা তুলেছে।সেহের শুনতে নারাজ।সেহেরের ভাষ্যমতে “সামান্য ব্যথা ঠিক হয়ে যাবে,ডক্টরের কাছে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই! “।আরহাম একবার মিটিং রদ করে বাড়িতে সেহেরের পাশে থাকতে চাইল। কিন্তু সেহের শুনল না জোর করে ঠেলে আরহামকে পার্টি অফিসে পাঠাল।আরহামকে বিদায় দিয়ে সেহের আবার দু’ঘন্টার ঘুম দিলো।ঘুম ভাঙল বেলা সাড়ে দশটায়।ভারী মাথা নিয়ে সেহের উঠে বসল।বালিশে পিঠ ঠেকিয়ে চোখ বুজে কপালে হাত রাখল।তপ্ত কপাল । জ্বর এসেছে বোধহয়! বেশ কিছুক্ষণ চোখ বুজে একই ভঙ্গীতে বসে রইল।এগারোটার দিকে বিছানা ছাড়ল।ফ্রেশ হয়ে নিচে যেতে দেখল।যে যার যার মত বেরিয়ে গেছে। বাড়িতে কেউ নেই।দাদীমায়ের কথা জিগ্যেস করতে লতা খালা জানান বাড়িতে নেই।এক আত্মীয় অসুস্থ।তাকে দেখতে গিয়েছেন।লতা খালা আরো জানালেন আরহাম যাওয়ার আগে সবাইকে নির্দেশ দিয়ে গেছেন,কেউ যেন সেহেরকে ডিস্টার্ব না করে।তাই দাদীমা সেহেরকে ডাকেননি।সেহের কুঞ্চিত হাসলো। আরহামের এসব হুটহাট পাগলামো গুলো সেহেরকে ভীষণ লজ্জায় ফেলে।মুচকি হেসে মুখে খাবার তুলতে।মুখে বিষ তেতো ভাব ফুটে উঠে।জ্বরে মুখ তেতো হয়ে আছে।কিছু খেতে ভালো লাগছে না।কেমন গন্ধ গন্ধ অরুচি লাগছে।সেহেরের আর খাওয়া হলো না।খাবার ছেড়ে টেবিল থেকে উঠে পড়ল। রুমে এসে বসতেই কেমন জানো অস্থির লাগতে শুরু করল।শরীর ভীষণরকম দুর্বল লাগছে।একবার ভাবল কাঁথা মুড়া দিয়ে শুয়ে পড়বে কিন্তু পরক্ষণে সিদ্ধান্ত বদলায়।ছোটবেলা দাদীর থেকে শুনেছিল জ্বর আর বর এ দুটো জিনিসকে যত বেশি লাই দিবে তত বেশি মাথায় চড়ে নাচবে।দুটোকে কন্ট্রোলে রাখতে হয়।যেই ভাবা সেই কাজ।সেহের আর এক সেকেন্ড ও দেরী করল না।হাতে কাপড় নিয়ে ঘর গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।জানালার স্বচ্ছ কাঁচ ভেদ করে সোনালি আলোয় কাবার্ডের ক্রিস্টাল হাতল গুলো হিরার মত চকচক করছে।সেহের বেশ মন দিয়ে কাবার্ড গোছাচ্ছে। আরহামের কাবার্ডের দিকে হাত বাড়াতে সেহেরের চোখ আটকায় কালো হার্ডবোর্ডে বাঁধানো ফাইলটায়।ফাইলটা হাতে নিয়ে গুছিয়ে রাখতে নিলে অসাবধানতা বশত ফাইলটা নিচে পড়ে যায়।সাথে সাথে ফাইলের ভেতর ছবি গুলো মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে।ছবি গুলো তুলতে গিয়ে সেহের থমকে যায়।হাতে নিয়ে বড় বড় চোখ করে সেহের তাকিয়ে।ছবি গুলো তার ,এখনকার না তাও আবার বছর পাঁচেক আগের।সেহেরের এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে ক্লাস নাইনের শেষের দিকে স্কুল থেকে এক ড্যান্সিং কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করেছিল।চিটাগাং মেইন শহর ছেড়ে তিন ঘন্টার পথ।অনেক বড় আয়োজন করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদরা সেখানে ছিলো।সেহেরদের স্কুল থেকে প্রতিযোগিতার জন্য তাকে বাছাই করা হয়েছিল।ছোট থেকে ক্লাসিকাল ড্যান্সের প্রতি বেশ জোক তার।এমন আরো কয়েকটা স্কুল বাছাই করা হয়েছিল।গাঢ় বেগুনি টকটকে লাল পাড়ের সিল্ক শাড়ি।থিম অনুযায়ী গা ভারী সাউথ ইন্ডিয়ান মুক্ত পান্নার গহনা।চুল গুলো খোপা বাঁধা। কিছু ছবি অডিটোরিয়ামের ভেতর নৃত্যরত অবস্থায়। আর কিছু ছবি অডিটোরিয়ামের বাহিরে চকলেট হাতে।এর পর আরো অনেক ছবি । প্রত্যেকটা ছবি আড়াল থেকে তোলা।কিন্তু চিন্তার বিষয় এই ,ছবি গুলো আরহামের কাছে এলো কি করে?আর এই ছবি গুলো বা কে তুলেছে? সেহেরের জানা মতে আরহামের সাথে এখানে এসে এই প্রথম পরিচয়।তাহলে আরহামের কাছে সেহেরের এতো আগের ছবি কি করে?
সেহের ছবি হাতে গভীর ভাবলায় ডুবে থাকল।

বিকাল পাঁচটা।ইদানীং সূর্যের কৃপণতা বাড়ছে।সাড়ে চারটা বাজতে না বাজতে বেলা ফুরায়।তেজ কমিয়ে সন্ধ্যা নামার তাড়া নেয়।বাহিরে এলোমেলো হিম শীতল বাতাস বইছে। জানালা আবছা খোলা থাকায় সুড়সুড় করে ঘরে ডুকছে।আরহাম হুড়মুড় করে বাড়ি ফিরেছে।দুপুর থেকে সেহেরকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছেনা।বেশ কয়েকবার ফোন করেছে কিন্তু ফোন বারবার বেজে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।আরহামের ভীষণ চিন্তা হচ্ছে।অফিসে আর যাওয়া হলো না পথ থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো।বাড়ি ফিরে কাউকে পেল না।লতা খালা থেকে জানতে পারল সবাই বাহিরে আছেন। আর সেহের তার রুমে ঘুমাচ্ছে।লাঞ্চ করতে পর্যন্ত নিচে আসেনি।এবার আরহামের চিন্তা আরো বাড়ল।দ্রুত পায়ে উপরের দিকে হাঁটা ধরল।রুমে ঢুকে সেহেরকে কয়েকবার ডাকল।কোন সাড়া মিলল না।আরহাম বিছানার দিকে এগিয়ে যায়।আলো ছায়ার অদ্ভুত খেলায় বিছানায় কারো প্রতিচ্ছবি লক্ষ করল। মোটা লুই গায়ে দিয়ে মুড়িয়ে শুয়ে আছে।জ্বর হলো কি? আরহাম দ্রুত বিছানায় বসে।সেহেরের মুখের উপর থেকে কম্বল সরায়।কপালে হাত ছুঁয়ে দেখে জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে।আরহামের ভীষণ রাগ হলো । সেই সকালেই বলেছিল ডক্টরের কাছে যেতে কিন্তু সেহের নাছোড়বন্ধ যাবে না।এখন সেই জ্বর বাঁধিয়ে অসুস্থ হলো। আরহাম নিজেকে প্রস্তুত করল কড়া করে কয়েকটা কথা শোনাবে বলে। কিন্তু সেহেরের মুখ পানে চেয়ে আর বলতে পারল না।ভীষণ মায়া হলো।অগোছালো খোলা চুল, শুষ্ক ঠোঁট ,রক্তিম ফোলা ফোলা চোখ।ফর্সা গালে ব্লাসের মত রক্ত জমে আছে।রাগটা কোথায় জানো ভ্যানিশ হয়ে গেল।সেহেরের বাচ্চা বাচ্চা মুখ দেখে ভীষণ আদর আদর অনুভব হলো।এতো আদুরে মুখ কারো হয়?
আরহাম কে দেখে সেহের উঠে বসার চেষ্টা করল।আরহাম থামিয়ে দিল।সেহের বালিশে হেলান দিয়ে নিভু নিভু স্বরে বলল,”কখন ফিরলেন? ”
আরহাম থার্মোমিটার খুঁজতে খুঁজতে উত্তর দিল,”এই তো মাত্র- ই! জ্বর বাঁধিয়ে বসে আছেন ,জানান নি কেন? ”
“জানালে কি হতো।শুধু চিন্তা করতেন।তাছাড়া আমি ঠিক আছি হাল্কা জ্বর এখনি ছেড়ে যাবে! ”
আরহাম সেহের মুখের সামনে থার্মোমিটার ধরে বলল,”দেখি হা করো”
সেহের বাধ্য মেয়ের মত মুখ খুলল।আরহাম সেহেরের দিকে ঝুঁকে গাঢ় স্বরে বলল,”একশ দুই ,এটা হালকা জ্বর? ”
সেহের অপরাধি ভঙ্গিতে চোখ নামিয়ে নিল।আরহাম ডক্টর কে ফোন করল। আধঘণ্টার ভেতর ডক্টর এসে হাজির। সেহেরের চেকআপ করে ঔষধ দিয়ে গেল।আরহাম ফোন করে নিচ খাবার দিতে বলল।লতা খালা খাবার দিয়ে গেলেন।আরহাম নিজ হাতে সেহেরকে খায়িয়ে দিলো।কয়েক লোকমা খেতে সেহের বুমি করে ভাসিয়ে দিলো ।নিজেকে মাখল।সাথে আরহামকে ও । আরহাম সেহেরকে পরিষ্কার করে ।হাত পা মুছে দিয়ে নিজেও চেঞ্জ করে নিলো।চিকেন সুপ খায়িয়ে মেডিসিন দিলো । সন্ধ্যা নামা অবধি জ্বর কিছুটা ছাড়ল।সেহের আরহামের কাঁধে মাথা হেলিয়ে আছে।আরহাম চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে।হ্ঠাৎ সেহেরের ছবি গুলোর কথা মনে পড়ল।সেহের ধীর স্বরে বলল,”একটা কথা জিগ্যেস করবো? ”
“হুম করো ”
“আপনার কাছে আমার পুরানো ছবি কি করে? ”
” পুরানো কোন ছবি? ”
সেহের আরহামের কাঁধ থেকে মাথা তুলল । বিছানার পাশের টেবিলের উপর থেকে ছবি গুলো আরহামের সামনে ধরল। ছবি গুলো দেখতে আরহাম ঘাবড়ে গেল। বিস্ময়ের দৃষ্টিতে সেহেরের দিকে তাকিয়ে থাকল।আরহামের চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ।যা আবছা আলোয় সেহেরের চোখে পড়ল না।আরহামের চোখের সামনে আবছা কিছু স্মৃতি ভেসে উঠে। কিছু রক্তের ছাপ অস্পষ্ট দৃশ্য।সেহেরের ডাকে আরহামের ঘোর কাটে।মুখে ভয়ের ছাপ কাটিয়ে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে থতমত গলায় বলল,”আ..আ এগুলো তো দিশা আন্টির থেকে কালেক্ট করা।আন্টির কাছে ছবি গুলো ছিল।ভালো লেগেছে তাই আমার কাছে রেখে দিয়েছি ”
সেহের ছোট করে “ওহহ “বলল।সেহেরের সরল মন আরহামের কথা বিশ্বাস করে নিয়েছে।আবার আরহামের কাঁধে মাথা রেখে মুচকি হেসে বলল,”এসব পাগলামো কেউ করে? আপনি সত্যি পাগল! ”
আরহাম সেহেরের দিকে কোণাকোণি দৃষ্টিতে চেয়ে গাঢ় স্বরে বলল,”তোমার কাছে যা পাগলামো,আমার কাছে তা গভীর প্রেমের অনুরাগ! ”
কথাটা সেহেরের বুকে যেয়ে গভীর ভাবে বিঁধল।বেশ কিছুক্ষণ দুজনের মাঝে পিনপতন নীরবতা।সেহের মাথা তুলে আরহামের কাঁধে থুতনি ছুঁয়িয়ে গাঢ় চোখে আরহামের মুখ পানে চাইল।বারান্দার ফেইরি লাইটের আলোয় আরহামের ফর্সা গালের ব্রাউন দাড়ি গুলাও চকচক করেছে।অদ্ভুত সুন্দর চোখ জোড়া কোন ওক গভীর চিন্তায় ডুবে । সেহের ধীরে ধীরে আরহামের ঘোরে ডুবে গেল। মনে এক অবাধ্য ইচ্ছে জাগ্রত হলো দাড়ি গুলোয় আদুরে হাত বুলিয়ে দিতে।যেই ভাবা সেই কাজ।আলতো হাতে দাড়ি গুলো ছুঁয়ে দিচ্ছিল।আরহাম তখনো ভাবনায় ডুবে।ছোট ছোট দাড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে সেহেরের চোখ আটকাল আরহামের ঠোঁটের তিলে । মনে এক ভয়ংকর ইচ্ছা জাগল।কোন এক অদৃশ্য মায়া সেহেরকে আরহামের দিকে টানছে।মোহ মায়ায় আবদ্ধ করে নিয়েছে ।সেহের আরহামের শার্টের কলার ধরে নিজের খুব কাছে টানল। মোহনীয় চোখে আরহামের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে।টুপ করে আরহামের ঠোঁটে নিচে তিলটায় গাঢ় এক চুমু খেল।প্রথমে আরহাম হতভম্ব চোখে তাকিয়ে রইল। সেহেরের সড়ে যাওয়ায় বিস্ময় কাটল।কিছু সময় অতিবাহিত হলো।দুজন নীরব।সেহের ভীতু চোখে আরহামের দিকে তাকিয়ে । কি থেকে কি হয়ে গেল। আরহাম কি রেগে? সেহের নিরীহ হরিণীর মত ভীতু চোখে আরহামের মুখ পানে চেয়ে।
আরহাম মাথা নিচু করে চোখ বুঝে আছে। শরীরের রক্ত তড়িৎ বেগে ছুটছে ।কোন ভাবেই নিজেকে শান্ত করতে পারছে না। ভেতরের অদম্য আগুন জ্বলজ্বল করে জ্বলছে । চোখ খুলে আচমকা সেহেরকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো সেহের কিছু বুঝে উঠার পূর্বে তার ওষ্ঠদ্বয় নিজের ওষ্ঠের আয়ত্তাধীন করল।গভীর চুম্বনে লিপ্ত হলো। সারা রুম জুড়ে নীরবতা ।ভারী ভারী তপ্ত নিশ্বাসের আওয়াজ দেয়ালে বাড়ি খাচ্ছে।বেশ কিছুক্ষণ পর আরহাম সেহেরকে ছাড়ে।কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বুজে ভারী নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে অস্পষ্ট গাঢ় স্বরে বলল,”খুব কষ্টে নিজেকে আয়ত্ত করে রেখেছিলাম ,আজ লাগামহীন করে ভীষণ বড় ভুল করলে।এভাবে অগোছালো করার সাজা তোমাকে ক্ষণে ক্ষণে ভোগ করতে হবে।গেট রেডি ,ফর মাই লাভ টর্চার”
বলেই আরহাম সেহেরের গালে গভীর ভাবে চুমু এঁকে দিলো ।সেহের ফ্যালফ্যাল চোখে শুধু তাকিয়ে!

চলবে …..❣️

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টি তে দেখবেন ।প্লিজ সবাই সবার মতামত জানাবেন😊😊😊।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here