বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি
উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর)
পর্ব :৫
ঘন বর্ষণের কালোরাত কাটিয়ে নতুন দিনের উদয় হয়েছে ।সূর্যের উষ্ণতর ছোঁয়ায় ঝড়বৃষ্টিতে নেতিয়ে যাওয়া বিশ্ব পুনরায় মাথা উঁচু করে দাড়াচ্ছে। সোনালি আলোর মায়ায় প্রজাপতিরা রঙিন ফুলে ফুলে পাখা ঝাপটাচ্ছে । চারদিকে মিষ্টি পাখির কিচিরমিচির । বাগানের নানা রকম ফুলের ঘ্রাণে পুরো বাড়ী সুভাষিত।বাগানের মধ্যমণিতে সোফা বিছানো ।মালিহা খানম সেখানে চা নিয়ে অধীর চোখে স্বামী আর নাতির পথ চেয়ে আছে। আশরাফ খাঁন জগিং শেষে মালিহার মুখোমুখি বসে।আশরাফ খাঁন পেপার নিয়ে বসেছেন।পেপার খুলতেই চোখে মুখে বিষের ন্যায় তেতো ভাব ফুটে উঠে।আজকের হেডলাইন তাকে নিয়ে। গতকাল এক এতিমখানায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন।তা নিয়ে লেখালিখি চলছে।শত গুনগান হাজারো প্রশংসা । তিনি না চাইবার শর্তেও কিভাবে যেন সবকিছু ফাঁস হয়ে যায়। এসব তার মোটেও পছন্দ না। এসব দানখয়রাত তিনি লোকদেখানোর জন্য করেন না।মূলত মন আত্মার সন্তুষ্টির জন্য করে থাকেন ।দান তো এমন হওয়া উচিত ডান হাতে দান করলে বাম হাত যেন টের না পায়।কিন্তু আজকাল সাহায্য দানখয়রাতকে মানুষ লোকদেখানো প্রবণতা বানিয়ে নিয়েছে।
দীর্ঘ অনেক বছর ধরে আশরাফ খানের পরিবার রাজনীতির সাথে যুক্ত।দাদা বিত্তশালী ক্ষমতাবান জমিদার ছিলেন।উনাদের কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছেন সুখেদুঃখে সব সময় অসহায়দের পাশে থাকা।পূর্বজের দেখানো পথে- ই তিনি চলেন।এই নিয়ে দু দুবার তিনি মন্ত্রী হলেন।সবই জনগনের ভালোবাসা আর দোয়ার ফলস্বরূপ!
বড় ছেলে বউমা ভিনদেশে একটা এক্সিডেন্টে মারা গেছেন। ছোট ছেলে মানুষিক ভাবে খুব একটা সুস্থ নয়।ছোট বউমা রাজনীতিতে যুক্ত মোটামুটি ভালো একটা পদে আছেন। বাকি রইলো বড় নাতি আরহাম।আশরাফ খাঁনের শেষ বয়সের লাঠি। তাকে নিয়েই যত আশা।তিল তিল করে নিজ হাতে মানুষ করেছেন।ঠিক যেন তারই প্রতিচ্ছবি! আশরাফ খাঁনের অগাধ বিশ্বাস তার মৃত্যুর পর আরহাম বংশের নাম ধরে রাখবে!
মর্নিং এক্সারসাইজ সেরে আরহাম দাদাজানের পাশে এসে বসেন।রোজ সকালে দাদাজানের সাথে চায়ের আড্ডা না জমলে তার দিন শুরু হয় না।দুনিয়ায় এই মানুষতার উপর সে সবচেয়ে আশ্বস্ত । গতরাতের ঘুম খুব একটা ভালো হয়নি।মাথাটা এখনো ভার ভার হয়ে আছে।ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপ নিয়ে আরহাম খবরের কাগজ খুলে।হেডলাইন দেখে মৃদু বাঁকা হাসে।আশরাফ খাঁন গলায় বিরক্তির স্বর টেনে বলে,
“আবারো এসব নিয়ে লিখালিখি শুরু হয়েছে! ”
“এরা পার্সোনাল আর পলিটিকাল মাঝেকার তফাত বুঝে না। এদের শুধু নিউজ চাই! চিন্তা করবেন না দাদাজান আমি সামলে নিবো ।”
“তোমার উপর পূর্ণ ভরসা আছে”
আরহাম আর তার দাদাজানের মাঝে রাজনীতি সম্পর্কীয় আলোচনা চলছে।আশরাফ খাঁনের দৃষ্টি আরহামের ঘাড়ের কাছে বাহুর দিকে লালচে দাগের উপর পরতেই ভ্রু কুঁচকে আসে।
“শরীরে এসব দাগ কিসের? “আরহামের দিকে প্রশ্ন।আরহাম চায়ের কাপ ছেড়ে দাদাজানের দিকে তাকিয়ে ভাবুক স্বরে উত্তর দেয়,”জানিনা ,গতরাতে ঘুমানো অবধি ঠিক ছিলো।ঘুম থেকে উঠার পর শরীর ব্যথা অনুভব করি। আয়নার সামনে দাড়াতেই নিজেকে অদ্ভুত বেশভূষায় পাই। সেই সাথে গায়ে চাবুকের ঘা! ”
“এসব নিয়ে এতো ভাবতে হবে না।কোন কারণে হয়েছে হয়তো।তুমি মাথা ঠাণ্ডা রেখে প্রোপার রেস্ট নেও।”পাশের থেকে মালিহা খানম আরহামের কথা কেটে বলল।আরহাম এসবে তেমন গুরুত্ব দিলো না।চা শেষ করে নিজের রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। আরহামের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আশরাফ খাঁন বললেন ,”আবারো সেই সমস্যা শুরু হয়েছে? ”
“হ্যা ,ওই মেয়ে আশেপাশে ।সে ক্ষান্ত কি করে থাকবে? ”
“কে সেহের? সে এখানে! ”
“হ্যা দুদিন হলো এসেছে । ”
আশরাফ খাঁনের মুখে চিন্তা ভাব ফুটে উঠে।হতাশা ভরা নিশ্বাস ছেড়ে বিরবির করে বলে ,”সে আবার মৃত্যু খেলায় নতুন রুপে মাতবে । এবার তাকে আটকানোর সাধ্যি কার! ”
সেহের ফ্রেশ হয়ে তড়িঘড়ি করে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে তৈরি হচ্ছে।আজ ঘুম থেকে উঠতে ভীষণ দেরী হয়েছে।কোন ভাবেই ক্লাস মিস করতে চায়না ।এমন সময় দরজার কড়া নড়ে।অপর পাশ থেকে মিষ্টি পুরুষালী কন্ঠ ভেসে আসে”ভিতরে আসবো মা? “সেহেরের ব্যস্ত হাত থেমে যায়। আওয়াজটা তার অপরিচীত নয়।আয়না থেকে চোখ সরিয়ে দরজার দিকে তাকায়।হাতে একটা বক্স নিয়ে মধ্যবয়সী এক পুরুষ দাড়িয়ে।মায়ের দ্বিতীয় স্বামী ।সেহের জোরপূর্বক মুখে হাসি টেনে বলে,”আরে আঙ্কল আপনি! ভিতরে আসেন”
“ডিস্টার্ব করলাম কি? “হেলে দুলে ভিতরে প্রবেশ করতে করতে বললেন।সেহের সৌজন্য সূচক হাসি টেনে বলল,”একদম না । আঙ্কল আপনি এখানে? জরুরী কোন তলব কি? ”
“না তেমন কিছু না।আসলে গতরাতে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছি।তোমার জন্য কিছু গিফট এনেছিলাম। তা দিতে এসেছি।খুলে দেখো তো তোমার পছন্দ হয় কি না? ”
সেহের মুচকি হেসে গিফট গুলো নিলো।একজন মানুষ হিসাবে আমান আঙ্কল খুব ভালো ।সেহেরকে খুব স্নেহ করেন।দেখে মনে হয়না তিনি মানুষিক ভাবে অসুস্থ।কিন্তু তবুও সেহের এই মানুষটাকে ভীষণ অপছন্দ।কারণ মানুষটা তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী মায়ের প্রথম ভালোবাসা । এই মানুষটার টানেই মা তাকে আর তার বাবাকে ফেলে এসেছেন ।এই মানুষটা যদি তার মায়ের জীবনে না থাকতো তাহলে বাবা মাকে নিয়ে তাদেরও একটা সুন্দর পরিবার হতো।আমান সাহেব বললেন,
“মা একটা আবদার করবো? ”
“জি আঙ্কল অবশ্যই ”
“আমাকে কি বাবা বলে ডাকা যায় না? ”
সেহেরের মুখ কালো হয়ে আসে।মৃদু স্বরে বলে,
“আপনি মানুষ হিসাবে খুব ভালো একজন ।কিন্তু আমার বাবার জায়গা আমি অন্যকাউকে দিতে পারবো না।সেই স্থান একান্তই তার। বায় দ্যা ওয়ে আঙ্কল গিফটের জন্য ধন্যবাদ। ”
আমান সাহেব মলিন হেসে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।মেয়েটার চোখের দিকে তাকালে নিজেকে বেশ অপরাধী মনে হয়।মেয়েটার জীবন এমন ছন্নছাড়া হওয়ার পেছনের তার অবদানও কম না!
ব্রেকফাস্ট টেবিলে আরহাম ,মালিহা,দিশা,আমান আগে থেকে বসে।সেহের দ্রুত পায়ে কোনরকম টেবিলে এসে পৌছায়।দিশা মেয়ের এমন তড়িঘড়ি দেখে প্রশ্ন ছুড়ে,
“কি হয়েছে? এমন তড়িঘড়ি করে কোথায় যাওয়া হচ্ছে ? ”
সেহের কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বলে,”ক্লাসে,অলরেডি অনেক লেট হয়ে গেছে। লিয়া কই সে যাবেনা? ”
“বলল তো আজ যাবেনা । কাল দেরী করে বাড়ী ফিরেছে। আসার পর থেকেই মাথা ব্যথা ”
মায়ের কথায় সেহেরের মন খারাপ হয়।তাহলে কি আজ ক্লাসে যাওয়া হবে না! খামাখা এতো তাড়াহুড়ো করে রেডি হয়েছে। মলিন স্বরে বলল,”ওহ আচ্ছা।”
“মন খারাপ করছো কেন! আরহাম ওই দিকেই যাচ্ছে । সাথে চলে যেও।আরহাম সেহেরকে ভার্সিটিতে ছেড়ে আসতে তোমার কোন সমস্যা হবে কি? ”
“না আন্টি “আরহাম খাওয়ায় মন দিয়ে গম্ভীর মুখে বলল। সেহের চিকন সরু চোখে আরহামের দিকে একবার তাকিয়ে ।মাকে বলল,”প্রয়োজন নেই মা। আমি একা যেতে পারবো ”
“এ শহরে নতুন তুমি। রাস্তাঘাট জানা নেই । একা কি করে যাবে? ডোন্ট ওয়ারী আরহাম ভার্সিটিতে ছেড়ে আসবে! ”
মায়ের কথায় না পেরে সেহের চুপ করে যায়।শেষে কিনা এই মানুষটার সাথেই তাকে যেতে হবে? রাগে কোন রকম ব্রেকফাস্ট চিবালো।ব্রেকফাস্ট করে দুজন বেরিয়ে পরে।দিশা মেয়েকে বিদায় জানাতে সদর দরজায় আসে।
“ক্ষমতার লোভে নিজের মেয়েকে আগুনের দিকে ধাবিত করছো? কেমন মা তুমি? ”
শাশুড়ির তীক্ষ্ণ গলার স্বরে দিশা ঘাড় ফিরিয়ে পিছনে তাইলেন। মুখে হাসি রেখে বললেন,”ক্ষমতার খেলায় কেউ নিষ্পাপ নয়। না আপনি না আমি! ”
“তোমার মেয়ে ত নিষ্পাপ । তাই না? তাকে কেন আগুনে ফেলছ? ”
“কোন আগুনের কথা বলছেন আপনি? আরহাম যথেষ্ট ভালো ছেলে তাদের মাঝে যদি কোন সম্পর্ক তৈরি হয় এতে ক্ষতি কোথায়? আর তাছাড়া আস্তে আস্তে সেহের সব শিখে যাবে।ঠিক যেমন আমি শিখেছি! ”
“চোখের দেখা সবসময় সত্যি হয় না । এর আড়ালেও অনেক কিছু থাকে।সময় থাকতে সামলে যাও পরে এমন না হয় নিজের কর্মের উপর নিজেই অনুতপ্ত হও।আর মেয়ের চোখে ঘৃণার পাত্র ”
শাশুড়ির কথা গুলো কানে না নিয়ে দিশা হন হন করে রুমের দিকে পা বাড়ায়। মালিয়া খানম মৃদু স্বরে বলে,”আমি যেই হিংস্র আরহাম কে চিনি তোমরা কেউ তাকে চিনো না।তোমার লোভের কারণে নিষ্পাপ মেয়েটাকে বিষাক্ত যন্ত্রণা ভুগতে দিবো না। ”
ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি শা শা করে চলছে।আশেপাশের সব কিছু চোখের পলকে গায়েব হচ্ছে।গত রাতের বৃষ্টিস্নাত হিম শীতল হাওয়া রোদের তাপে উষ্ণ রূপ নিয়েছে।সূরের সোনালি আলো সেহেরের চশমার গ্লাসের উপর চকচক করছে।বাহিরের উষ্ণ হাওয়া তার উষ্ণতা ছুঁয়ে দিচ্ছে।গাড়িতে পিনপতন নীরবতা । সেহের চোখ মুখ শক্ত করে যন্ত্রের ন্যায় বসে আছে। আরহামের দিকে একবারের জন্যও তাকাচ্ছে না। বাহিরের উষ্ণ হাওয়া তার অবাধ্য চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। বার বার মুখের উপর পরছে। এদিকে আরহাম প্রতি মুহূর্ত সানগ্লাসের আড়াল থেকে দেখে যাচ্ছে।সেহেরের নীল উড়নার কোণাটা নিজের হাতের মুঠোয় ব্যান্ডেজের মত পেঁচিয়ে রেখেছে।গায়ের মিষ্টি মাতাল মাতাল ঘ্রাণটা আরহামকে ঘোরে টেনে নিচ্ছে।যার জন্য সে এতোটা মাতোয়ারা বেখেয়ালি সে কি তা বুঝছে? উহু একদম । চোখে মুখ দেখে বুঝাই যাচ্ছে সে ভীষণ রেগে। রাজ্যের সব রাগ নিজের মাঝে সমাহিত করে রেখেছেন ।আরহাম নরম স্বরে বলে,” সরি ” সেহের কথাটা শুনেও না শুনার ভঙ্গিমা করে বসে থাকে।আরহাম বেশ কিছুক্ষণ উত্তরের আশা করে গলা পরিষ্কার করে বলে,”হাতের ব্যথা কমেছে? ” এবারো কোন উত্তর মিলল না।আরহাম চটে যায়।সহজ রাস্তায় না গিয়ে বাঁকা ত্যাড়া রাস্তায় গাড়ি নামিয়ে দ্রুত গতিতে চলতে থাকে।সেহের ভয়ে সিটের সাথে লেগে থাকে চেহারা দেখে মনে হচ্ছে কান্না করে দিবে, তবুও সে আরহামের সামনে মুখ খুলবে না।ভাঙবে তবুও মচকাবে না! আরহামও কম যায়না আধঘণ্টার পথ দেড় ঘন্টা ঘুরিয়ে ভার্সিটির সামনে আসে।
“এটা তোমার জন্য “আরহামের থমথমে আওয়াজ । সেহের নামতে যেয়েও থেমে যায়।ভ্রু কুঁচকে পিছনে ফিরে বলে,”এটা কি? ”
“তোমার সরি গিফট ”
সেহের মুখ ফিরিয়ে গাড়ি দরজার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে,”না আপনার সরি চাই ,না সরি গিফট!”
বলে গাড়ি থেকে নামতে নিলে উড়নায় টান পরে।পিছনে ফিরে দেখে উড়নার অনেকটা অংশ আরহামের হাতে পেঁচানো ।সেহের প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে তাকানোতে আরহাম বাঁকা হেসে উত্তর দেয়,”উড়না তো চাই? তাই না! ”
সেহের ক্রুদ্ধ স্বরে বলে,”এ কেমন অসভ্যতা! আমার উড়না ছাড়ুন । লেট হচ্ছে । ”
“ছাড়বো না । যতক্ষণ না গিফট এক্সেপ্ট করছো! ”
সিটে হেলান দিয়ে আরহাম ভাবলেশহীন স্বরে বলল।সেহের বেশকিছুক্ষণ ক্রুদ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে। কোন গতি হলো না।আরহামের সামনে তাকে নত হতেই হলো।গিফট বক্স হাতে নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,”ওকে ফাইন ,নিয়েছি।এবার ছাড়ুন ”
আরহাম উড়না ছাড়তেই সেহের গাড়ী থেকে চটজলদি নেমে পরে।ভার্সিটি গেটের ভিতর ডুকে গিফট খুলে । ভেতরে বড় চকলেট বক্স।তার উপর চিরকুটের সাথে আর্টিফিশিয়াল কাঠগোলাপ লাগানো । লিখা,
“তোমার জন্য নীলচে তারার
একটুখানি আলো,
ভোরের রং রাতে মিশে কালো।
কাঠ গোলাপের সাদার মায়া
মিশিয়ে দিয়ে ভাবি,
আবছা নীল তোমার লাগে ভালো!
সরি মিস. চাশমিস”
চিরকুট পড়ে সেহে্রের ঠোঁটের কোনায় মৃদু হাসি ফুটে উঠে।নিজের দিকে চোখ বুলায় সে আজ নীল ড্রেসে। মাথা ঘুরিয়ে মুচকি হেসে কৃষ্ণচূড়া গাছের আড়াল থেকে গেটের বাহিরে তাকাতে আরহামের সাথে চোখাচোখি হয়।আরহাম তখনো সিটে হেলান দিয়ে বাঁকা হেসে তাকিয়ে । তবে এটাই কি বিষাক্ত প্রেমের শুরু?
চলবে….❣️
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । প্লিজ সবাই সবার মতামত জানাবেন😊😊😊।