ভ্যাম্পয়ার_কুইন# পর্বঃ২১ .

#ভ্যাম্পয়ার_কুইন#
পর্বঃ২১
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি রাজ্যের মধ্যে প্রবেশ করেছি। রাজ্যের বিভিন্ন বাড়িঘর দেখতে লাগলাম আমি। আমাকে একটা ঘোড়ার গাড়ির মতো কিছু একটায় বসানো হলো। আমার সাথে জেসি আর ক্যারেন ও এসে বসলো। আন্ডারওয়ার্ল্ড এতো সুন্দর হতে পারে এটা আমি কল্পনা করে নি। যাক রাজ্যটা এতোটাও খারাপ নয়। শুধু শুধু আমার বাকি পাঁচ রাজ্যের দিকে নজর বারিয়ে লাভ কি? আমার তো নিজেরই আলাদা সুন্দর একটা রাজ্য হয়েছে। যদিও পরিবেশ অনেকটা কার্টুন কার্টুন লাগে, তারপরও আমার পছন্দ হয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড। আর লুসেফার বললো আমি পুরোপুরি ডেভিল কিং হয়ে গেলে আমি পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রন করতে পারবো আমার আদেশে। মোটকথা এই জায়গাটা বানানো হয়েছে ডেভিল কিং এর শক্তি দিয়েই। তাই আমি ডেভিল কিং এর ক্ষমতা অর্জন করতে পারলেই হলো। আমরা যে ঘোড়ার গাড়ির মতো জিনিসটাতে যাচ্ছি সেটা চলছে কালো দুইটা ঘোড়ার মতো দেখতে মনস্টারের সাহায্যে। তাদের নাম ব্লাক মনস্টার হোর্স। এরা ডেভিলদের ঘোড়া। হঠাৎ জেসি আমাকে বলতে লাগলো,
.
–জ্যাক, ওকে আমাদের সাথে আনা কি ঠিক হয়েছে?(জেসি)
.
–আমি এনেছি নাকি? এটা নিয়ে আমাকে কিছু বলে লাভ নাই।(আমি)
.
–তাহলে কাকে বলবো?(জেসি)
.
–তোর প্রেমিককে বল গিয়ে সেটা।(আমি)
.
–হ্যারি আবার কি করেছে?(জেসি)
.
–আমাকে ওর বাচ্চার মা বানিয়ে দিয়েছে হ্যারি।(ক্যারেন)
.
–কি???? এই বাচ্চা মেয়ে বলে কি?(জেসি)
.
–এটা নিয়ে আবার শুরু।(আমি)
।।।।
।।।।
জেসি আর ক্যারেন এবার ঝগড়া করা শুরু করলো। আমি কোনোদিন ও মেয়েদের ঝগড়ায় পরতে চায় না। ভালো কথা ঝগড়া হ্যারিকে নিয়ে, তাই আমি জানালার দিকে মুখ করে বাইরের বাতাস খেতে খেতে ঘুমিয়ে পরলাম। প্রাসাদের সামনে আমাদের ঘোড়ার গাড়ি এসে হঠাৎ ব্রেক করার ফলে আমি ঝাকুনিতে উঠে পরলাম। এতোক্ষনে দেখি জেসি আর ক্যারেন এর মধ্যে ও ভাব হয়ে গেছে। বুঝতে পারতেছি না ওদের ঝগড়া এতো তারাতারি কিভাবে শেষ হলো। নাকি ক্যারেন ওর সাকুবিচ্ এর ক্ষমতা ওর উপর ও ব্যবহার করলো। না সেটা তো পারবে না।
.
–কিরে তোদের ঝগড়া এতো তারাতারি কিভাবে শেষ হলো?(আমি)
.
–এতো ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে লাভ আছে? একজন ছেলের তো অনেক গুলো স্ত্রী থাকতে পারে সেটা স্বাভাবিক।(জেসি)
.
–হ্যা। আমরা চুক্তি করে নিয়েছি। আমাদের চুক্তি অনুযায়ী আমাদের মাঝে কোনো ঝগড়া হবে না।(ক্যারেন)
.
–কিসের চুক্তি?(আমি)
.
–সেটা শুধু আমাদের মধ্যেই। তুই আমাদের বড় ভাই, সেটা শুনে তোর লাভ নাই।(জেসি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে।(আমি)
.
–কিন্তু আমি এই সব বিষয়ে অবাক। হ্যারি আমাকে যখন বললো তুই ডেভিল কিং হবি তখন আমি কি করবো সেটাই ভেবে পাইনি।(জেসি)
.
–আমি বিষয়টা কাউকে জানাতে চাইনি। কিন্তু থর জানিয়ে দিয়েছে হ্যারিকে আর আমার ড্রাগন ইগড্রাসিল জানিয়ে দিয়েছে পুরো লংস্টার রাজ্যকে।(আমি)
.
–কিন্তু তুই বিষয়টা আমাকেও জানালি না।(জেসি)
.
–আমি চাইনি এটা নিয়ে তুই ও চিন্তা করোস। তাই গোপন রেখেছি।(আমি)
.
–ওওও। আচ্ছা চল এখন বাইরে যায়।(জেসি)
।।।
।।।
আমরা তিনজন বের হলাম বাইরে। আমার সামনে বিশাল একটা প্রাসাদ। আর পিছনে বিশাল সেনা। এতো সৈনিক যে পুরো কালো নদীর মতো লাগছে। লুসেফার আর সাথে আরো তিনজন আমার সামনে এগিয়ে আসলো, চারজনই কুর্নিশ করলো আমার সামনে হাটু গেড়ে। সেই দেখাতে আমার পিছনে পুরো সেনা হাটু গেড়ে কুর্নিশ করতে লাগলো। আমি দেখে তো অবাক, জেনারেল লুসেফার বলতে লাগলো,
.
–মাই কিং আপনার সামনে আমরা আপনার চার প্রধান জেনারেল। আর পিছনে আমাদের এক এক জনের অধীনে এক লক্ষ সৈন্য। এবং আমাদের পুরো রাজ্যের সকল প্রজারা আমরা সবাই এতোদিন শুধু আপনার আগমনের অপেক্ষায় ছিলাম।(জেনারেল)
.
–মাই কিং আমি আপনার চার জেনারেলের মধ্যে একজন। আমার নাম কর্ডিজ লুইংহাম। আমি আপনার হুকুমের অপেক্ষায় আছি।(কর্ডিজ)
.
–মাই কিং আমি আপনার চার জেনারেলের একজন। আমার নাম লুইস হেনফার্ড। আমি আপনার হুকুমের অপেক্ষায় আছি।(লুইস)
.
–মাই কিং আমি আপনার চার জেনারেলের একজন। আমার নাম লুসেফার অর্দ্রি। আমি আপনার হুকুমের অপেক্ষায় আছি।(লুসেফার)
.
–মাই কিং আমি আপনার চার জেনারেলের একজন। আমার নাম অর্নিজ লুইংহাম। আমি আপনার হুকুমের অপেক্ষায় আছি।(অর্নিজ)
.
–সবার নাম মনে রাখায় তো আমার পক্ষে কষ্ট।(আমি)
.
–মাই কিং আপনার কষ্ট করে আমাদের নাম মনে করার দরকার নেই। আপনি শুধু আমাদের জেনারেল বলেই ডাকলে হবে।(লুসেফার)
.
–তাছাড়া মাই কিং আপনি আমাদের আপনার সুবিধা মতো যে কোনো নামে ডাকতে পারেন।(অর্নিজ)
.
–ঠিক আছে।(আমি)
.
–আপনি নিশ্চয় ক্লান্ত, তাই চলুন মহারাজ ভিতরে গিয়ে প্রাসাদের ভিতরে গিয়ে বিশ্রাম নিবেন।(লুইস)
.
–হ্যা মাই কিং। চলুন আমার সাথে। আমি আপনাকে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছি।(কর্ডিজ)
.
–ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
আমরা চার জেনারেলকে ফলো করে প্রাসাদের ভিতরে যেতে লাগলাম। ভিতরের ভিউ গুলো এতো সুন্দর হবে সেটা দেখেই অবাক। টাইলসের মতো দেওয়াল গুলো সুন্দর করে বাধানো। আর সেখানে বিভিন্ন ধরনের পুরাতন নকশা করা। নকশা খুলো অনেক নিখুত। কিছু মনস্টারের ছবিও আছে সেখানে যেগুলোকে দেখলে জীবন্ত মনে হবে। কারন সেগুলো আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো। চার জেনারেল এক এক করে আমাকে পুরো প্রাসাদ দেখাতে লাগলো। আর হ্যারি ক্যারেন আর জেসিকে নিয়ে গেলো ওদের একটা রুমে দিতে। পুরো দুই ঘন্টা লাগলো পুরো প্রাসাদটা দেখতে দেখতে। আমি পুরো ক্লান্ত হয়ে গেছি প্রাসাদ দেখতে দেখতে। অবশ্য আবারই ইচ্ছা ছিলো প্রাসাদ ঘুরার। লুসেফার মানা করেছিলো। কিন্তু আমি না শুনেই নিজের প্রাসাদ ঘুরতে লাগলাম। পুরোটা দেখতে দেখতে শরীর একদম ক্লান্ত হয়ে গেছে। অবশ্য শরীর ক্লান্ত হয় না, মনস্টারদের শারীরিক শক্তি অনেক বেশী থাকে, কিন্তু মানুষের সাথে থাকতে থাকতে আমার মানসিক অবস্থা তাদের মতই। অল্পতেই আমার ক্লান্ত লাগে। আমি চার জেনারেলের সাথে আমাকে শয়নকক্ষের দিকে যেতে লাগলাম এবং কথা বলতে লাগলাম,
.
–তো জেনারেলরা এখান থেকে আপনারা বের হতে পারতেন না?(আমি)
.
–না মাই কিং। আমরা নিজের ইচ্ছায় কখনো এখান থেকে বের হতে পারতাম না। তবে একটা উপায় ছিলো এখান থেকে বের হওয়ার।(লুসেফার)
.
–কি সেটা?(আমি)
.
–যদি কোনো মানুষ তাদের সবচেয়ে দামী কিছু আমাদের নামে উৎসর্গ দিয়ে আমাদের সাহায্য চাই তাহলে সেই দামী জিনিসের মান অনুযায়ী আমাদের এখান থেকে ডেভিলরা পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারে।(লুইস)
.
–ওও।। বিষয়টা তো বেশ দারুন।(আমি)
.
–হ্যা মাই কিং। এটাকে ডেভিল সামানিং বলা হয়। মূলত কিছু লো লেভেল ডেভিলরাই সবসময় পৃথিবীতে যেতে পারে। আমাদের মতো শক্তিশালী ডেভিলদের সেখানে কোনো মানুষ নিতে সামানিং এর মাধ্যমে নিতে চাইলে পুরো একটা দেশের মানুষের জীবন উৎসর্গ দিতে হবে।(অর্নিজ)
.
–আর আমাকে সেখানে কোনো মানুষ নিতে চাইলে কি করতে হবে তাদের?(আমি)
.
–সেটার জন্য পুরো পৃথিবীর মানুষকে তাদের জীবন দিতে হবে।(লুসেফার)
.
–ওওও। এটা তো বেশ ভয়ানক। কোনো মানুষ এটা চাইবে না।(আমি)
.
–হ্যা মাই কিং। আপানার শক্তির মতো কাউকে তারা কখনো সামানিং এর মাধ্যমে পৃথিবীতে নিতে পারবে না।(কর্ডিজ)
.
–মানুষগুলো লো ডেভিলগুলোদের সেখানে ডেকে কি করে?(আমি)
.
–মাই কিং, বিশেষ করে কিছু খারাপ চরিত্রের মানুষগুলো ডেভিল সামানিং স্পেল ব্যবহার করে। ওরা তাদের পরিবারকে উৎসর্গ করে দিয়ে খারাপ কাজের জন্য ডেভিলদের সাহায্য চায়। আর কিছু ডেভিল আছে যারা তাদের সেসব খারাপ কাজ করে দেয়।(লুসেফার)
.
–আবার কিছু মানুষ আছে যারা প্রতিশোধের জন্য ডেভিল সামানিং স্পেল ব্যবহার করে। এতে করে তারা তাদের শত্রুর থেকে প্রতিশোধ নিতে পারে।(লুইস)
.
–আর ডেভিল গুলো এসব খারাপ কাজ করে?(আমি)
.
–হ্যা মাই কিং। আমাদের ডেভিলদের মধ্যে এটা না করলে লো লেভেলের ডেভিলরা কখনো উপরে উঠতে পারে না। যে ডেভিল যত বেশী পৃথিবীতে কাজ পায় তার লেভেল ও আস্তে আস্তে বারতে থাকে। তাই ওরা সব রকম কাজই করে।(অর্নিজ)
.
–ওওও।।।। আর এই ডেভিল সামানিং স্পেল। সেটা মানুষ কিভাবে ব্যবহার করতে পারে?(আমি)
.
–এটা একটা ব্লাক ম্যাজিক মাই কিং। কিছু কিছু ব্লাক ম্যাজিক আছে যেগুলো মানুষ ব্যবহার করতে পারে। তার মধ্যে ডেভিল সামানিং একটা। সেটা দিয়ে ওরা একটা গোল বৃত্ত বানায়। আর তাদের প্রিয় জিনিস/মানুষকে সেটার মধ্যে উৎসর্গ করে। এবং পরে স্পেলটা উচ্চারণ করে।(লুসেফার)
.
–ওওও ব্যাপারটা তো একদম খারাপ আমার মনে হচ্ছে। আচ্ছা একটু আগে আপনারা বললেন আমি যে কোনো জিনিস আপনাদের আদেশ করতে পারি তাই না?(আমি)
.
–হ্যা। মাই কিং। আপনি যদি আমাদের জীবন দিয়ে দিতে বলেন সেটা দিতেও আমরা প্রস্তুত।(সকল জেনারেল)
.
–আমি তো এখনো সিংহাসন দখল করতে পারবো না, আমাকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে সেটার জন্য তাই না?(আমি)
.
–জ্বী।(লুসেফার)
.
–সেটার আগে আমার একটা প্রশ্ন? হ্যারি এখান থেকে কিভাবে বের হয়েছিলো? আর ওর সাথের ডেভিলরা কিভাবে বের হয়েছিলো এখান থেকে?(আমি)
.
–আমাকে ক্ষমা করবেন মাই কিং। আমি আপনাকে এটা বলতে ভুলেই গেয়েছি। আপনি নিশ্চয় একটা ট্রেন দেখেছিলেন মনস্টার ওয়ার্ল্ডে। আমাদের নতুন ম্যাজিশিয়ান সাইনটিস্ট সেরকম একটা ট্রেন আবিষ্কার করেছে। মূলত এই ট্রেনটা আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে সোজা লোচার্ট একাডেমীর যে নিউটল জোন সেখানে যেতে পারে। আমাদের এই আবিষ্কারকে আরো সত্তর বছর যাবৎ উন্নত করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো দিক দিয়েই কাজ হচ্ছে না। সেই এক জায়গায় সেটার গন্তব্য স্থান যাচ্ছে এতো গবেষনার পরও।(লুসেফার)
.
–ওওও তাহলে হ্যারি এই ট্রেইনের মাধ্যমেই সেখানে গেছে?(আমি)
.
–লোচার্ট একাডেমীটা মূলত আমাদের ম্যাজিকেই নিউটল জোনে বানানো হয়েছে। আমরা পুরান সময় থেকে এই সময়ে আসার পর থেকেই এখানের পাঁচ রাজার সাথে একটা সাধারন চুক্তি করি যাতে আমরা শান্তিতে থাকতে পারি। আর সেই চুক্তির জন্য আমরা নিউটল জোনো একটা প্রতিষ্ঠান বানায় যেখানে সকল নামি দামী মনস্টার এক হয়ে পড়তে পারে।(লুসেফার)
.
–মূলত আমরা সকল মনস্টার থেকে দুর্বল ছিলাম। আমাদের কিং ছাড়া আমাদের শক্তি পঞ্চাশ ভাগের পাঁচ ভাগ হয়ে যায়। তাই আমরা নিউটল জোনে একটা প্রতিষ্ঠান বানায় যেখানে সকল রাজ্যের সব রাজাদের ছেলে মেয়ে, নামী দামী বংশের ছেলেমেয়েরা থাকবে। যদি কখনো কোনো রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে যায় তাহলে নিউটল জোন থেকে তাদের সন্তানদের বন্ধী করে রাখা যাবে। এতে যুদ্ধ রোধ করা যাবে।(অর্নিজ)
.
–ওওওও। আমি তো এসবের কিছুঔ জানতাম না। আজকে শুনে অবাক হলাম। যাক এখন থেকে এসব কিছু আর করতে হবে না। আমি বুঝেছি এখান থেকে শুধু নিউটল জোনেই যেতে পারতো তাউ আবার যারা হাফ ডেভিল।(আমি)
.
–হ্যা মাই কিং।(লুসেফার)
.
–বিষয়টা ও হঠাৎ আমার মাথায় আসলো। জানি না আরো কত কি এভাবে আমার মাথায় আসবে পুরান ডেভিল কিং এর জ্ঞান থেকে। আচ্ছা যায় হোক, এখন থেকে আর ভয়ে থাকতে হবে না। আমাকে পুরান ডেভিল কিং এর রুমে নিয়ে যান আপনারা?(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং?। কিন্তু আপনার তো এখন একটু বিশ্রাম নেওয়ার দরকার ছিলো।(অর্নিজ)
.
–আগের ডেভিল কিং এর মেমোরী থেকে আরেকটা জিনিস মাত্রই আমার মাথায় আসলো। সেটা হলো তার রুমে একটা জেনারেট ডিভাইস আছে। আমার এখন সেটার প্রয়োজন। আমি আর চাই না সব ডেভিলরা আর ভয়ে কষ্টে এখানে পরে থাকুক৷ এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে এই কয়েকদিন। তাই যতদিন আমার পুরো শক্তি না ফিরছে আমি সেই ডিভাইসে ঘুমের মধ্যে থাকবো।(আমি)
.
–মাই কিং, আপনার কি আমাদের জন্য কোনো আদেশ আছে?(সকল জেনারেল)
.
–হ্যা। আপনারা আপনাদের সকল সৈন্য প্রস্তুত রাখেন। আমি উঠলেই যুদ্ধে নামতে হবে।(আমি)
.
–আপনার আদেশ আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো মাই কিং। আপনি উঠেই দেখবেন আপনার সৈন্য প্রস্তুত।(সকল জেনারেল)
।।।।
।।।।
হঠাৎ আমার ডেভিলদের জন্য খারাপ লাগতে লাগলো। মূলত আমার মনস্টারদের শাসন প্রক্রিয়া একটুও ভালো লাগে না। এখানে একজন আরেকজনকে ছোট করে দেখে। আমি এটা চাই না। আমি এই পুরো মনস্টার রাজ্য আর আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে সেই জিনিস দূর করে দিবো। সবার থাকবে সমান অধিকার। সেটার জন্য আমি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি বানাবো না। আমাকে রাজা হয়েই সেটা করতে হবে। দেখা যাক কি হয় সামনে।
।।।
।।।
আমি চলে আসলাম জেনারেট ডিভাইসের সামনে। একটা বক্সের মতো জিনিস। এটার মধ্যে আমার শুতে হবে। এখানে শোয়ার পর এটার মুখ কাচের গ্লাস দিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। এবং ভিতরে সবুজ এক ধরনের লিকুইডে আমি ভাসতে থাকবো। দেখা যাক ভিতরে গিয়ে কি হয়।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন আগামী পার্টের জন্য। আগামী পর্ব কালকে/পরশু পেয়ে যাবেন। কেমন লাগলে সেটাও জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here