#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ১৮
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আল্ট্রা স্পিড জিনিসটা আমার খুব ভালো লাগে। এতে করে আমার আশে পাশের সব কিছু আস্তে আস্তে চলতে থাকে। তখন মনে হয় আমিই শুধু স্বতন্ত্রভাবে চলতে পারি, বাকি সবাই কচ্ছপের মতো। আমি লোকজনের বাসার উপর দিয়ে লাফিয়ে যেতে লাগলাম। মনে হচ্ছে আমার স্পিড অনেক বেরে গেছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমি প্রাসাদের সামনে পৌছে গেলাম। প্রাসাদের সামনে আগের তুলনায় গার্ড বেরে গেছে। আমি এবার আস্তে আস্তে গার্ডদের দিকে যেতে লাগলাম। আমাকে দেখে প্রথমে সবাই নিজেদের কাছে থাকা এ-কে-৪৭ তাক করে ধরলো। পরে আমাকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে গার্ডদের প্রধান সেনাপতি আমার কাছে এসে বলতে লাগলো,
.
–প্রিন্স জ্যাকসন আমাদের ক্ষমতা করবেন। আমরা প্রথমে বুঝতে পারি নি এটা আপনি। আমি রাজার রয়েল গার্ডের সেনাপতি আজগর ওক(সেনাপতি)
.
–কোনো সমস্যা নেই।(আমি)
.
–প্রিন্স রয়েল পরিবারের সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। সবাই অনেক চিন্তিত ছিলো আপনার নিখোজের জন্য।(সেনাপতি)
.
–ও।(আমি)
.
–চলুন আমি আপনাকে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছি।(সেনাপতি)
।।।।
।।।।
আমি রয়েল গার্ডের সেনাপতির সাথে ভিতরে যেতে লাগলাম। প্রাসাদটা এতো বড় যে কোথায় দিয়ে কোথায় যেতে হয় তাই মনে থাকে না। সেনাপতি আমাকে সরাসরি রাজসভায় নিয়ে গেলো। রাজসভায় রাজা সিংহাসনে বসে আছেন। তাছাড়া এনা, জেসি, হ্যারি, এলেক্স ও আছে সেখানে। আমাকে রাজ সভায় ঢুকতে দেখে এনা, হ্যারি, জেসির মুখে হাসি ফুটলো। জেসি এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো। এনা ও আমার সাথে এসে কথা বলতে লাগলো। দুজনেই কাদছে।
.
–আমি তোকে বলেছিলাম যে যেতে হবে না। তারপরও আমার কথা শুনলি না। যখন শুনলাম তুই ড্রাগন বোট থেকে পরে গেছোস জানোস কতটা চিন্তিত হয়েছিলাম আমি?(জেসি)
.
–দ্যা ড্রাগন বোট এমন একটা আবিষ্কার যেটা নিডাভেলির ডয়ারফস রা বানিয়েছে। সেটা দিয়ে এক দুনিয়া থেকে আরেক দুনিয়াতে যাতায়াত খুব কম সময়ের মধ্যে করা যায়। কিন্তু এটা ডিমেনশন স্পেশের মধ্য দিয়ে চলাচল করায় এ নৌকা থেকে যে পরে যাবে সে এই পুরো বিশ্বের যে কোনো এক জায়গায় গিয়ে পৌছাতে পারে।(হ্যারি)
.
–আমার ভাগ্য ভালো ছিলো যে আমি এই রাজ্যের পাশে এসেই পরেছিলাম।(আমি)
।।।।
।।।।
এনা কিছু বলতে পারছে না। শুধু কেঁদেই যাচ্ছে। আর এদিকে এলেক্স আমাকে দেখে অনেক অবাক হয়েছে। আমি চাই না এলেক্সকে কিছু করতে এখন। যা হওয়ার সেটা পরেই হবে।
.
–প্রিন্স জ্যাকসন ব্রিট, শুনলাম তুমি নাকি ড্রাগন বোট থেকে পা পিছলে পরে গেছো। বিষয়টা কত চিন্তার সেটা তুমি হয়তো জানো না। ভাগ্য ভালো তোমার যে আমাদের রাজ্যের আশে পাশে ছিলে। যদি অন্য কোনো দুনিয়াতে পরে যেতে তাহলে অনেকটা সমস্যা হতো।(রাজা)
.
–মহারাজ আমি জানতাম না যে ঔ নৌকা থেকে কেউ পরে যেতে ও পারে। কিন্তু পাশে দাড়িয়ে হঠাৎ আমার মাথা ঘুরছিলো তাই আমি পরে গিয়েছিলাম।(আমিও মিথ্যা বললাম। রাজার কথা শুনে বুঝতে পারলাম এলেক্সও মিথ্যা বলেছে আমার নৌকা থেকে পরে যাওয়া সম্পর্কে)
.
–যাক যেটা হয়ে গেছে। সেটা নিয়ে কথা না বলায় ভালো। এমন আর যেনো না হয় সেদিকে খেয়াল রেখো। এখন তুমি শুধু তোমাকে নিয়ে ভাববে না, এখন থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে ও তোমাকে ভাবতে হবে।(রাজা)
.
–জ্বী।(আমি)
.
–থর কি ফিরেছেন?(আমি)
.
–হ্যা গড অফ থান্ডারকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে লংস্টারে।(রাজা)
.
–তাহলে মহারাজ আমি, আমার বোন, আর হ্যারি আজকেই লংস্টারে যেতে চাই।(আমি)
.
–নো নিড তো ওয়ারি ইয়াং ম্যান। তোমার রাজ্য তুমি যখন তখন যেতে পারবে।(রাজা)
.
–কিন্তু মহারাজ ও তো মাত্রই ক্লান্ত হয়ে ফিরে এসেছে।(এনা)
.
–যেতে চাচ্ছে যাক। আমার তথ্য অনুযায়ী প্রিন্স জ্যাকসন এখনো তার নিজ রাজ্যে ফিরে যায় নি।(রাজা)
.
–তাহলে মাই কিং, আমিও যেতে চাই সেখানে।(এনা)
.
–না সেটার অনুমতি আমি দিতে পারবো না। এখনকার অবস্থা মোটেও ভালো না। থর সেখানে আছে বলা যায় না লোকি কখন আক্রমন করে বসে সেখানে।(রাজা)
.
–হ্যা এনা তুমি আপাতোতো এখানেই থাকো। আমরা দুইদিনের মধ্যে ফিরে আসবো।(আমি)
.
–ওকে ঠিক আছে। মন্ত্রী আপনি ওদের আমাদের টেলিপোর্টেশন রুমে নিয়ে যান।(রাজা)
।।।।।।
।।।।।।
রাজার মন্ত্রী আমাদের নিয়ে একটা রুমের মধ্যে এলেন। বিশাল বড় একটা রুম। রুমের মধ্যখানে চারপাশে চারটা বড় পিলার। মাঝখানে ফ্লোরে অনেক আজব রকমের নকশা কাটা। আমরা নকশার উপরে পা দিতেই সেটা জ্বলতে শুরু করলো।
.
–আপনারা তিনজন এই সিলের মধ্যে দাড়ান। আমি এখন টেলিপোর্ট স্পেল পরবো। আপনারা একটু পরই লংস্টারের টেলিপোর্টেশন রুমে পৌছে যাবেন।(মন্ত্রী)
.
–টেলিপোর্ট করার জন্য স্পেলের প্রয়োজন হয়?(আমি)
.
–হ্যা স্পেলের প্রয়োজন হয়। আমাদের এই দুনিয়ার মধ্যে শুধু ডেভিল কিং ই পারতেন কোনো টেলিপোর্টেশন পিলার ছাড়া এক যে কোনো জায়গায় যেতে। কিন্তু আমাদের সেটার জন্য কিছু শর্ত আছে আমরা এক টেলিপোর্ট পিলার থেকে আরেক টেলিপোর্ট পিলারেই যেতে পারি।(মন্ত্রী)
.
–ওয়াও। জিনিসটা তো সুন্দর। আপনি শুরু করেন।(আমি)
।।।
।।।
মন্ত্রী স্পেল পড়তে শুরু করলেন। স্পেল পড়া শেষ হওয়ার পরই আমাদের চারপাশ দিয়ে একটা সাদা আলো দেখা দিলো। এক মুহুর্তের মধ্যেই আমরা তিনজন টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম। এতোক্ষনে রাজার সাথে কথা বলতে বলতে আমি ভিরুর কথা ভুলেই গেছি। বেচারা আমার সাথে নেই যখন থেকে আমি রাজ প্রাসাদের সামনে গিয়েছি। বুঝতে পারছি না কোথায় ও। ঠিক ই চলে আসবে আমার কাছে সময় হলে। এখন ওর প্রয়োজন নেই। আর এমনিতেও বেশীক্ষন ও আমার থেকে দূরে থাকলে ওর শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। তখন ফিরে আসবে।
।।।
।।।
আমরা লংস্টারের একটা রুমে এসে পৌছালাম। আমাদের সামনে একটা হুড পরা লোক। তার পুরো মুখ ঘুমটার মতো হুডে থাকা। তিনি বলতে লাগলেন,
.
–প্রিন্স জ্যাকসন ব্রিট এবং প্রিন্সেস জেসিকা ব্রিট আপনাদের দুজনকে লংস্টারে স্বাগতম। আপনাদের দুজনের অপেক্ষায় অনেক দিন বসে ছিলাম। আমি এই প্রাসাদের প্রধান ম্যাজিশিয়ান। আমার নাম অস্ট্রিড হোন। আর অন্য দিকে বলতে গেলে আমি সপ্তম ডিউকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম।(অস্ট্রিড)
.
–সপ্তম ডিউক আবার কে?(আমি)
.
–তোকে বলেছিলাম না আমাদের দাদা। বাবা তাকে জেলে খানায় বন্ধি করে রেখেছে।(জেসি)
.
–হ্যা আপনাদের অপেক্ষায় বসে আছেন রাজা।(অস্ট্রিড)
.
–আমরা মাত্রই তো সিদ্ধান্ত নিলাম আসার জন্য। এতোক্ষনে এখানে খবর আসলো কিভাবে?(আমি)
.
–রাজা কোয়াডার্ট আমাদের কল করে জানিয়েছেন আপনারা আসবেন তাই আমরা জানতে পারি।(অস্ট্রিড)
.
–তাহলে এখানেও মোবাইল ফোন আছে।(আমি)
.
–আমার সাথে আসুন। আমি আপনাদের রাজ সভায় নিয়ে যাচ্ছি।(অস্ট্রিড)
।।।।
।।।।
আমরা অস্ট্রিডের পিছু নিতে লাগলাম। হ্যারি আর জ্যাসিকে আমি চুপ চাপ বললাম আমার সাথে নৌকায় কি হয়েছিলো৷ ওরা প্রথমে শুনে বিশ্বাস করে নি। কিন্তু যেটা সত্য সেটা তো বিশ্বাস করতেই হবে। আমি হাটতে লাগলাম আর একটা প্লান করতে লাগলাম। যেহেতু আমরা এখানে এসেছি কিছু মজা করা যাক। আমি অস্ট্রিডকে বলতে লাগলাম।
.
–তো অস্ট্রিড, আমার বাপের সম্পর্কে কিছু বলো। আমার বাপ হঠাৎ পালটে গেলো কিভাবে?(আমি)
.
–ঠিক বুঝলাম না প্রিন্স আপনার কথা?(অস্ট্রিড)
.
–মানে আমাদের বাবা হঠাৎ পালটে গেলো কিভাবে? কি হয়েছিলো তার সাথে?(আমি)
.
–আমি এতোসব জানি না। কিন্তু একটা জিনিস বলতে পারি সেটা হলো রানী কর্ডিলা একজন সাকুবিচ্। তার এই মহলে প্রবেশ করার পরই সব পালটে গেলো।(অস্ট্রিড)
.
–ওওও।(আমি)
.
–তাহলে সব নষ্টের মূলে নতুন রানীর হাত।(হ্যারি এবার বলতে লাগলো)
.
–প্রিন্সেস জেসিকা আপনি এই রুমে গিয়ে একটু বিশ্রাম করুন। আর আপনারা দুজন আমার সাথে আসুন।(জেসিকে একটা রুমে ঢুকতে বলে অস্ট্রিড আমাদের নিয়ে যেতে লাগলেন)
.
–সাবধানে যাস।(জেসি)
.
–ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
আমি আর হ্যারি দুজনে যেতে লাগলাম। আমাদের দুজনকে একটা রুমের সামনে ছেড়ে দিয়ে অস্ট্রিড যেতে যেতে বললো,
.
–ভিতরে থর বসে আছেন। তিনি আপনাদের দুজনের সাথে কিছু কথা বলতে চান।(অস্ট্রিড)
.
–থর আমাদের সাথে কথা বলবে?(আমি অবাক হয়ে বললাম)
.
–হ্যা।(অস্ট্রিড চলে গেলো)
।।।
।।।
হ্যারি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার মতো ও নিজেও অবাক। এমনিতেও আমার লংস্টারে আসার একটাই কারন হলো আমি থরকে নিজ চোখে দেখবো। পৃথিবীতে তো মার্ভেলের যে কয়টা মুভি ছিলো সেখানে আমি থরের বিশাল ফ্যান ছিলাম। সেটা তো কাল্পনিক ছিলো, বাস্তব থর কেমন সেটা দেখার অনেক আগ্রহ আমার প্রথম ওর নাম শুনেই হয়েছিলো। কিন্তু এটা আশা করি নি থর আমার সাথেই কথা বলতে চাইবে।
আমি আর হ্যারি দুজনে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরে থর শুয়ে ঘুমাচ্ছে। এতো জোরে নাক ডাকছে যে আমাদের কান ফেটে যাবে বলে মনে হচ্ছে। সাইজে তো আমার থেকে আরো পাঁচ ফুট বড়। দাড়ি আছে মুখে কালো। ডান পাশের চোখটা নেই। মনে হচ্ছে সেটা দান করা হয়ে গেছে। একটা হাত ও নাই। সেখানে স্টিলের হাত লাগানো। মুভির কাল্পনিক কাহিনীর সাথে তো পুরো মিলে যায়। শরীরটা একটা বডিবিল্ডারের মতো। দেখেই ভাইকিং ভাইকিং ফিল আসে। সব ভাইকিং রাই যদি স্বাস্থের দিক দিয়ে এতো ভয়ানক হয় তাহলে তো অবস্থা আমাদের কাহিল হয়ে যাবে একজনের সাথে লড়তে গেলে। আমি থরের দিকে হা করে তাকিয়ে ছিলাম। যতটা আশা করেছি তার থেকেও বেশী পেয়েছি। এখন যদি থরের হাতুড়ি দেখতে পেতাম তাহলে তো আরো ভালো হতো। আমাদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে থান্ডার গড উঠে গেলো। আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
–তো লুসেফার এর ছেলে হ্যারি অদ্রি, লুসেফার কেমন আছে? অনেকদিন হলো ওর সাথে দেখা সাক্ষাত হয় না।(থর)
.
–আপনি আমাকে চিনেন?(হ্যারি)
.
–হ্যা চিনবো না কেনো? ডেভিল কিং এর পরবর্তী প্রধান জেনারেল হবে তুমি। না চেনার কি আছে?(থর)
.
–আর প্রিন্স সাহেব হা করে দেখার কিছু নাই। ৩য় আর চতুর্থ ডানা কি হয়েছে?(থর)
.
–আমার ডানার সম্পর্কে জানেন কিভাবে আপনি?(আমি)
.
–এখনকার জেনারেশন এর এই সমস্যা। তাদের সম্পর্কে কিছু বললেই সেটা কিভাবে জেনেছি সেটা নিয়ে প্রশ্ন করে।(থর)
.
–বুঝলাম না।(আমি)
.
–দেখো জিনিসটা শুধু আমি না। এতোক্ষনে লোকি ও জেনে গেছে। ওর সমস্ত প্লান করা শেষ। এখন শুধু ডেভিল কিং এর পুরোপুরি জন্ম নেওয়ার অপেক্ষায় আছে।(থর)
.
–কিসের প্লান?(আমি)
.
–আমি বলবো এটা ওর এই পুরো বিশ্বকে নিজের করে নেওয়ার নব্বইহাজার একশো নয় নম্বর প্লান। তবে আগের গুলোর থেকে এটা অনেক মারাত্মক হবে। আর সময় ও ভালো একটা বেছে নিয়েছে, ঠিক যখন আমার মিওনির এর জন্য অযোগ্য হয়ে গেছি আমি তখনই ওর প্লান অনুযায়ী কাজ করা শুরু করেছে।(থর)
.
–তাহলে বন্ধী করে রাখতে পারেন না তাকে? কিংবা মেরে ফেলতে পারেন?(হ্যারি)
.
–লোকি ওর ইলুশন ম্যাজিকের জন্য সবচেয়ে ধূর্ত একজন ব্যক্তি। ওকে কখনো মারা যায় না। প্রতি বারই ও ওর ইলুশন ম্যাজিক দিয়ে বেঁচে যায়। আর ওকে বন্দী করে রাখাও সবচেয়ে কষ্টের। এক বার বন্ধী করলে পঞ্চাশ বছর ঠিকই বন্ধী থাকবে, কিন্তু পরে বেরিয়ে যাবে।(থর)
.
–ও।(আমি)
.
–দেখো প্রিন্স জ্যাকসন ব্রিট। আমার তোমার সাহায্যের প্রয়োজন এখন। আমি একা লোকির কিছু করতে পারবো না। আর এই পুরো মনস্টার রাজ্য ও আমার সাথে লড়লে কিছুই করতে পারবে না।(থর)
.
–আমিই কেনো? আমি বাদেও তো অনেক প্রিন্স আছে?(আমি)
.
–কিন্তু আর সবাই তো ডেভিল কিং হবে না। পরবর্তী ডেভিল কিং তো তুমিই। আর মাত্র কয়েকদিনেই তোমার পুরো ট্রান্সফর্ম হবে।(থর)
।।।
।।।
থরের কথা শুনে হ্যারি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো। ও অবাক হলো কারন এটা জানতে পেরে যে এতোদিন পরবর্তী ডেভিল কিং এর সাথে ছিলো কিন্তু ও বুঝতে পারে নি। সাথে সাথে আমার সামনে কুর্নিশ করলো ও।
.
–মহারাজ আমি বুঝতে পারি নি আপনিই ডেভিল কিং হবেন। আমাকে ক্ষমা করবেন।(হ্যারি ফরমালিটি দেখিয়ে)
.
–আরে এসবের দরকার নাই হ্যারি। তুমি আমার ভাইয়ের মতো। এতো সম্মান দেখানোর দরকার নাই।(আমি)
.
–তুমি আগের সব ডেভিল কিং এর থেকে স্পেশাল অনেক। এমনিতেও এই পুরো মনস্টার দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিই হলো ডেভিল কিং। আর তুমি তো তার থেকেও বেশী কিছ।(থর)
.
–আচ্ছা বলবেন আপনি এতো কিছু কিভাবে জানলেন?(আমি)
.
–মাইকেলের সাথে আমার কথা হয়েছিলো। মাইকেলই বলেছে আমাকে তোমার কথা। পুরো কাহিনীই বলেছে। দেখো আমার মিওনির এখন আমার কাছে নেই। আমি সেটা ব্যবহার করতে পারবো না। সেটা ছাড়া আমি লোকির এতো বড় আর্মির সাথে লড়তে পারবো না। আমাকে এই পাঁচ রাজ্যের কেউ সাহায্য করতে পারবে না। আমার তোমার সাহায্যের দরকার। আমার আন্ডারওয়ার্ল্ড এর সৈন্য প্রয়োজন।(থর)
.
–কিন্তু আমি তো এখনো পুরো পুরি ডেভিল কিং এ ট্রান্সফর্ম হয় নি।(আমি)
.
–এ সেটা জানি। সেটার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।(থর)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
বানা ভুল হলে একটু দেখে পড়বেন। কারন মোবাইলে আজকে অনেক সমস্যা দিচ্ছে। একটা বাটন চাপলে আরেকটা চাপ লাগছে।
আজকেও তিনটা প্রশ্ন?
১)মাইকেল কে?
২)জ্যাকসন ব্রিটের মায়ের নাম কি?
৩)পর্বটা কেমন হয়েছে?
।
আগের পর্বের দুই প্রশ্নের উত্তরঃ
১)তলোয়ারের নাম এক্সোনিয়া,
২)আন্ডারওয়ার্ল্ড সহ মোট ছয় রাজ্যের কথা বলা হয়েছে।