ভ্যাম্পায়ার_কুইন# পর্বঃ১৯ .

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ১৯
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
থরের বলা কথাগুলো আমি ভাবতে লাগলাম। শুধু আমিই নয় আমার সাথে হ্যারি ও ভাবতে লাগলো। আমি রাজার রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। সেখানে বাবা নাকি আমার সাথে কথা বলবে। আর হ্যারি যাবে রাজার অথিতিশালায়। হ্যারি কোনো কথা বলতেছে না। আমাদের দুজনের মধ্যে নিরবতা থরের রুম থেকে বের হওয়ার পর থেকেই। হয়তো হ্যারি আশা করে নি ও যাকে ভালোবাসে তার বড় ভাই হবে ডেভিল কিং। হঠাৎ নিরবতা ভেঙে হ্যারি বলতে লাগলো,
.
–আমি বুঝলাম না।(হ্যারি)
.
–কি বুঝলে না তুমি?(আমি)
.
–না আপনি নাহয় ডেভিল কিং হবেন। কিন্তু আমি কিভাবে আপনার জেনারেল হবো? আমার মধ্যে তেমন কোনো কিছুই নেই। আমি তো জেনারেল লুসেফারের ছেলে নামে কলঙ্ক।(হ্যারি)
.
–দেখো হ্যারি আমাকে আপনি করে বলতে হবে না। আর আমি যদি ডেভিল কিং হয়েই থাকি তাহলে তুমি হবে আমার সবচেয়ে বিশ্বস্ত জেনারেল এটা আমি জানি।(আমি)
.
–কিন্তু আমার কাছে তো আমার বাবার মতো কোনো শক্তি নেই।(হ্যারি)
.
–ডেভিল রয়েল জেনারেল হতে হলে কোনো শক্তির প্রয়োজন হয় না তুমি সেটা ভালো করেই জানো। রাজার প্রতি জেনারেলের যত বেশী বিশ্বাস থাকবে সেই জেনারেল তত শক্তিশালী হবে।(আমি)
.
–কিন্তু…..(হ্যারি বলতে চাইলো কিন্তু আমি ওকে আটকে দিয়ে বলতে লাগলাম)
.
–থাক আপাতোতো এইসব কথা না বলায় ভালো। দেখো আমি এখানে এসেছি আমার আপন পরিবারকে খুব কাছ থেকে দেখার জন্য। তাই আমি এইসব ডেভিল টেভিল নিয়ে এখন কথা বলবো না। আর কেউ আমাদের কথা শুনে ফেললে আরো খারাপ হবে।(আমি)
.
–হ্যা ঠিক বলেছেন।(হ্যারি)
.
–আমি বলেছি আমাকে সম্মান জানিয়ে আপনি বলার দরকার নাই।(আমি)
।।।
।।।
থরের রুমের সামনে দুইজন গার্ডের থেকে অতিথি শালার ফ্লোরে চলে আসলাম। সেখানে এক রুমে হ্যারিকে দিয়ে আমি আবার হাটতে লাগলাম। আমার উদ্দেশ্য হলো রাজার রুম মানে আমার বাবার রুম। কিন্তু আমি আগে কখনো এখানে না আসায় কিছু চিনি না। আর আসার সময় কয়েকটা গার্ড দেখলেও এখন কোনো গার্ড দেখতে পাচ্ছি না। আমি মেঝেতে তাকিয়ে হাটছিলাম। ফ্লোরগুলো অনেক সুন্দর নকশা করা। একজন গার্ড দেখতে পাবো সেই আশায় আমি হাটছিলাম। কিন্তু কাউকে দেখতে না পেয়ে হতাশ হলাম। হঠাৎ একটা মেয়ে আমার সামনে আসলো। বয়সের দিক দিয়ে হয়তো ১১/১২ বয়সের হবে। কিংবা তারচেয়ে বেশী ও হতে পারে। দেখতে অনেকটা চিনাচিনা লাগছে। মনে হয় কোথাও দেখেছি। পরনে অনেক দামী একটা ড্রেস। ড্রেসের ভাব দেখেই মনে হচ্ছে প্রিন্সেস। হতে পারে কহিলের বোন এটা। কহিলের বোন মানে তো আমারও বোন। সৎ হলেও কি বোন তো বোনই।
.
–এদিক সেদিক হাটলে কখনো বাবার রুমের দিকে যেতে পারবে না।(মেয়েটা)
.
–….(আমি কিছু না বলে ওর দিকে তাকালাম। চেহারাটা এতো সুন্দর যে পুরো এনাকেও হার মানাবে)
.
–কি হলো এভাবে তাকিয়ে থাকবে?(মেয়েটা)
.
–কে তুমি?(আমি)
.
–আমি ক্যারেন ব্রিট। এতোদিন জানতাম ফার্স্ট প্রিন্সেস অফ লংস্টার। কিন্তু ইদানিং আমি ক্যারেন ব্রিট সেকেন্ড প্রিন্সেস অফ লংস্টার।(ক্যারেন)
.
–তারমানে তুমি আমার সৎ বোন।(আমি)
.
–কি তাহলে তুমি জ্যাকসন? কোথায় আমি ভাবছিলাম এই সুন্দর হ্যান্ডসাম ছেলেটা কে? প্রেম করা যায় কিনা সেটা নিয়ে ভাবছিলাম, আর তুমি আমার সৎ ভাই হলে।(একটু ভাব নিয়ে বললো)
।।।
।।।
মেয়েটা বলে কি? এমনিতেই ছোট মেয়েদের বেশী ভাব থাকে। আর এ তো নিগ্গী কোয়ালিটির মেয়ে মনে হচ্ছে। যাইহোক এর ভাবসাব মোটেও ভালো লাগছে না আমার।
.
–তো আমার সাথে চলো আমি নিয়ে যাচ্ছি বাবার কাছে।(ক্যারেন)
.
–ওকে, ঠিক আছে।(আমি)
.
–শুনেছি তুমি নাকি কহিলকে হারিয়ে দিয়েছো ডুও ফাইটে?(ক্যারেন)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–তাহলে তো কহিলের থেকেও বেশী শক্তিশালী তুমি।(ক্যারেন)
.
–সেটা জানি না।(আমি)
.
–হ্যা শক্তিশালী হবে না কেনো? তুমিই তো পরবর্তী ডেভিল কিং হবে।(ক্যারেন)
.
–কি? আমি ডেভিল কিং হবো কিভাবে?(আমি)
.
–লুকানোর চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই। আমি তোমার আর ঔ হ্যারি নামক ছেলেটার সব কথা শুনেছি।(ক্যারেন)
.
–তো এখন কি ব্লাক মেইল করার চেষ্টা করবে? নাকি সবাইকে বলে দিবে?(আমি)
.
–বলে দিলে তোমার বিপদ। আমি যতদূর জানি তোমার শক্তি এখনো পুরোপুরি হয় নি। আর এখন কেউ জানতে পারলে তোমাকে মেরে ফেলবে।(ক্যারেন)
.
–তাহলে ব্লাকমেইল করতে চাচ্ছো? ঠিক আছে কি লাগবে?(আমি)
।।।
।।।
মেয়েটাকে ছোট মনে হলে কি হবে। এই বয়সেই বড় হয়ে গেছে। এমনিতেই মনস্টারদের দুনিয়াতে প্রিন্স আর প্রিন্সেসরা খুব কম বয়সেই ম্যাচুয়ার হয়ে যায়। ১০ বছর বয়সের পর থেকেই নাকি তাদের বিয়ে দেওয়া যায়। জানি না সাধারন মানুষেরা শুনলে এটা নিয়ে কি বলতো। কিন্তু ক্যারেনের কথা শুনে আমার মনে হচ্ছিলো ও এই রাজ্যের ভার আমাকে নিতে দিবে না। হয়তো নিজেই এখানের রানী হওয়ার শর্ত দিবে,
.
–আমি এখন এই কথাটা কাউকে বলবো না। বাট আমার একটা শর্ত আছে।(ক্যারেন)
.
–কি শর্ত?(আমি)
.
–আমাকে বিয়ে করতে হবে। আমি ডেভিল কিং এর স্ত্রী হতে চাই। আমি ডেভিল কিং এর বাচ্চার মা হতে চাই।(ক্যারেন)
.
–কিসব যাতা বলতেছো? তুমি আমার ছোট বোন এটা কি মাথায় আছে।(আমি)
.
–আমি তোমার সৎ বোন এটা মাথায় রেখো। যেহুতু আমরা একই মায়ের পেটের না তাই আমাদের মধ্যে বিয়ে কোনো অন্যায় ব্যাপার না।(ক্যারেন)
.
–ঠিক আছে তুমি যা করার করো। আমি তোমার শর্তে কখনো রাজি হতে পারবো না। তোমার মতো পিচ্চি মেয়ে এতো মারাত্মক একটা জিনিস বলতে পারে আমি কখনো ভাবি নি।(আমি)
.
–যা বলার ভেবে বলো। আমি কোনো পিচ্চি না। আর এটা আমার আসল ফর্ম নয়। আমার আসল ফর্ম দেখলে চোখ নামাতে পারবে না আমার থেকে।(ক্যারেন)
.
–ছিঃছিঃ একজন প্রিন্সেস হয়ে নিজের বড় ভাইয়ের সাথে এমন কথা বলতে লজ্জা করছে না?(আমি)
.
–আমি আমার কথাটা বললাম। ডেভিল কিং এর রানী হবো এটা আমার ছোট থেকেই স্বপ্ন। সেটার জন্য কোনো কিছুই করতে পারি আমি।(ক্যারেন)
.
–কি করবে তুমি? তোমার মতো ছোট বাচ্চা আর কি করতে পারবে?(আমি)
.
–আমি একজন সাকুবিচ্। আমাদের একটা স্পেশাল ক্ষমতা আছে। আমরা যে কোনো একটা ছেলেকে চিরকালের জন্য নিজেদের করে নিতে পারি। কিন্তু সমস্যা হলো এই স্পেলটা শুধু একবারই একজনের উপর কাজ করে। আর এটা কোনো ছেলের উপর ব্যবহার করলে অন্য কোনো ছেলের সাথে কোনো রকম শারিরীক সম্পর্কের কথা ভাবলে সেটা নিজের জীবন নিয়ে যাবে। তাই কোনো সাকুবিচ্ এই স্পেল ব্যবহার করলে তার উপরই ব্যবহার করে যাকে চিরকাল ভালোবাসবে। আর আমি তো ডেভিল কিং এর প্রেমে ছোট থেকেই পাগল। আমি শুধু তার সামনে একবার আসার জন্য এতোকাল অপেক্ষা করেছি।(ক্যারেন)
.
–পাগল মনে হচ্ছে তোমাকে।(আমি)
।।।।
।।।।
ক্যারেন আর কিছু না বলে ছোট একটা স্পেল পরলো। আমি একটু আগেই কিছুটা দূরে সরে এসেছি। ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগছে না। ও যে স্পেলের ব্যাপারে বলছে সেটা আমি একটা বইয়ে পড়েছি। ওর স্পেল টা কোনো কাজের না। সেটা শুধু হিপনোটাইজ করার জন্য। এই স্পেলের মধ্যে যে আসবে সে তার সামনে থাকা যে বিপরীত লিঙ্গের মনস্টারকে দেখবে তার ঠোটে চুমু দিবে। আর সাকুবিচ্ দের যদি কেউ এই স্পেলে আক্রান্ত হয়ে কিস করে তাহলে পুরো জীবন তার শেষ। এই সাকুবিচের সাথে পুরো জীবন কাটাতে হবে। কিন্তু এটা খারাপ কোনো স্পেল না। যদি ছেলেটার মনে অন্য কোনো মেয়ে থাকে তাহলে সে তাকে ভুলবে না এই স্পেলের জন্য। বরং দুজনকে ভালোবাসবে তখন থেকে।
।।।
।।।
আমি প্রথমে ভয়ানক কিছু আশা করছিলাম। কিন্তু এটা নরমাল একটা স্পেল। সব সাকুবিচ্ দের কাছেই এটা একবার ব্যবহার করার জন্য থাকে৷ সাকুবিচ্ রা এটা দিয়ে তাদের ভালোবাসার মানুষের মনে ভালোবাসা জন্মাতে পারে। কিন্তু এটা ব্যবহার করলে সমস্যাও আছে। কোনো সাকুবিচ্ এটা ব্যবহার করলে সে তার সাকুবিচ্ এর সমস্ত ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তাই কোনো সাকুবিচ্ এটা ব্যবহার করে না। যারা সাধারন জীবন চাই শুধু তারাই এটা ব্যবহার করে। কিন্তু বেশীর ভাগ সাকুবিচ্ই ছেলেদের বশে করে নোংরা কাজই করতে পছন্দ করে।
।।।
।।।
আমি ক্যারেনের মাঝে কিন্তু নিষ্পাপ একটা বাচ্চার ছবি দেখতে ছিলাম এতোক্ষন। কিন্তু হঠাৎই যে ওর আমার প্রতি কামক্ষুদা জেগে যাবে সেটা কে ভাবছে? আমি আমি রানী কর্ডিলার ব্যাপারে শোনার পর থেকে সাকুবিচ্ দের সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। সাধারন জ্ঞান রাখা ভালো। কারন এরা অনেক নোংরা আর ভয়ানক মনস্টার পুরুষদের জন্য। যাক সেদিকে বেশী কথা বল্লাম না। আমার দিকে একটা আলোর মতো কিছু আসছিলো ক্যারেনের হাত থেকে। আমার স্পিড আগের থেকে চারগুন বেড়ে যাওয়ায় আমি সেটাকে আসতে আসতে আমার দিকে আগাতে দেখলাম। আমি প্রথমেই ওর থেকে পিছনে সরে এসেছিলাম। আমি বুঝতে পারলাম এটা আমার শরীরে লাগলে আমি সোজা গিয়ে ওর ঠোটে কিস করবো। যেহেতু সাধারন একটা স্পেল তাই এর থেকে বেশী কিছু হবে না। কিন্তু কর্ডিলা মানে আমার সৎ আম্মা বাবার উপরে যে স্পেলটা ব্যবহার করেছে সেটা অনেক শক্তিশালী। সেটার জন্য আরো বেশী নোংরা কাজ করতে হয়।
।।
আমি ক্যারেনের ছোড়া আলোর গোলা থেকে সরে গেলাম। আমার কি ভাগ্য। পিছনে ঠিক দাড়িয়ে আছে হ্যারি। ওর শরীরে আলোটা লেগে গেলো। আর কি হওয়ার ক্যারেন তো প্রথম চুমু খাওয়ার উত্তেজনায় নিজের চোখ বন্ধ করে আছে। ছোট মেয়ে কি আর হবে। আর এমনিতেও সাকুবিচ্ আমার ওর এই ভাব আর দেখতে মন চাচ্ছে না। এমনিতেই সাকুবিচ্ দের ছোট সময়ে ভাবসাব বেশী ভালো থাকে না। তারা যে কোনো সময় প্রবল উত্তেজিত হতে পারে। আর এটাই ছেলে বশ করার জন্য তাদের একটা বড় এডভান্টেজ। আর আমার ছোট বোনের এমন অবস্থা দেখে আমার ঠাপ্পর দিতে মন চাচ্ছিলো৷ কিন্তু আমি কিছু করলাম না। জানি সামনে কি হবে। আমি আগাতে লাগলাম সামনের দিকে৷ সিড়ি দিয়ে আরো দু তলা উঠার পর আমি রাজার রুমে চলে গেলাম। হ্যারির ভাগ্য পুরো খুলে গেলো। সে পরবর্তীতে ডেভিল কিং এর দুই বোনের জামায় হবে। কিন্তু আমার জেসির জন্য খারাপ লাগছে। তারপরও ক্যারেনের মাথা এমনিতেই খারাপ। স্পেলটা আমার শরীরে লাগলে ভাইবোনের বিয়ে হয়ে যেতো। সৎ হলেও তো বোন ও আমার। আর এখন নাহয় দুই বোন এক জনের জামায় হলো, বিষয়টা এতোটাও খারাপ না। যাইহোক সবকিছুই এই দুনিয়াতে আজব। নিয়মকানুন সব কিছুই উল্টা পাল্টা। রাজারা কি এসব নিয়মকানুনের উপর একটু সতর্ক হতে পারে না? আরো অলস রাজা হলে তো রাজ্য ধ্বংসের পথে চলে যাবে।
।।।
।।।
আমি বাবার রুমের দরজা খুললাম। ভিতরে জ্যাসন ব্রিট মানে আমার জন্মদাতা বাবা বিছানায় বসে আছেন। বর্তমান রানী মানে আমার সৎমা তারই পাশে বসে হেসে হেসে কথা বলছিলেন।
.
–ভিতরে আসার পূর্বে নক করে আসতে হয় এটা রাজ্যের বড় প্রিন্স কি জানে না?(আমার দিকে নিচু করে দেখে বললো রানী)
.
–আমি আপনার ছেলে না। তাই শুধু শুধু লেকচার দিবেন না। কি করতে হবে না হবে সেটা আমি বুঝবো।(আমি একটু রেগে বললাম)
.
–জ্যাকসন এটা কিরকম কথা। উনি তোমার আম্মা হন।(রাজা)
.
–আম্মা? হাহাহা। আমার আম্মা তো সেই কবে আপনার আদেশে মারা গেছে। তার বিরুদ্ধে তো পরকিয়ার দোষ দিয়ে তাকে মেরেছিলেন।(আমার কথা শুনে অনেক অবাক হলো রানী। কিন্তু বাবার চোখে আমি বেদনা দেখলাম কিছুটা)
.
–দিন দিন অনেক নরম হয়ে যাচ্ছেন মহারাজ আপনি। এরকম চললে রাজ্য তো আপনি সামলাতে পারবেন না।(আমার সামনেই কোনো লজ্জা ছাড়া সাকুবিচ্ টা বাবাকে একটা কিস করলো)
।।।।
।।।।
বুঝলাম এটা শুধু কিস ছিলো না। এটা একটা স্পেল ছিলো। এখন আমি আমার আশে পাশে কোনো স্পেল ব্যবহার করলে না দেখলেও অনুভব করতে পারি। এটা হয়েছে আমার ২ টা ডানা বের হওয়ার পর থেকে। হঠাৎ বাবার বেদনা ভরা মুখ বদলে গেলো। সাথে সাথে সে পুরো পাল্টে গেলো।
.
–মহারাজ আপনার সামনে আপনার রানীকে অসম্মান করলো আপনি কি তাকে শাস্তি দিবেন না?(রানী)
.
–হ্যা নিশ্চয়। প্রিন্স জ্যাকসন আমি এই রাজ্যের অষ্টম ডিউক, রাজা জ্যাসন ব্রিট জানাচ্ছি যে আজকেই তোমার বাম হাত কেটে নেওয়া হবে। গার্ডস ভিতরে আসো এবং প্রিন্স জ্যাকসন ব্রিটকে আটক করে বাইরের রাজসভায় নিয়ে যাও।(জ্যাসন)
।।।
।।।
কথাটা শুনে রানী অনেক খুশী হলো। কয়েকজন গার্ড এসে আমাকে ধরে নিয়ে গেলো। বুঝতে পারলাম ব্যাপারটা মোটেও সুবিধার হচ্ছে না। কয়েকটা গার্ড নয় বরং কিছুদূর হেটে যাওয়ার পর পুরো একশো গার্ড আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ভয়ানক একটা কান্ড এখানে। আমার বাম হাত কাটার কথা মনে করেই আমার গা শিহরিত হয়ে যাচ্ছে। আর এদিকে রক্ত বের হবে সেটা মনে করে আমার রক্তের ক্ষুদা লাগতে লাগলো। এখন মন চাচ্ছে আশে পাশে কাউকে মেরে তার রক্ত পান করি। কিন্তু সেটা করলে আরো কঠিন শাস্তি হবে। আর বর্তমান সময়ে আমি এতোটাও শক্তিশালী নয়। এখন যে শক্তি আছে তাতে এই একশো জনকে মনে হয় আমি মারতে পারবো, কিন্তু তখন পুরো রাজ্য আমাকে বিদ্রোহী ঘোষনা করবে। তখন রাজ্যের সমস্ত সেনা আমার মাথা কাটার জন্য লেগে পরবে। থর এখন ঘুমাচ্ছে। মনে হয় না ওনার থেকে এখন সাহায্য পাবো। কিন্তু কিছু একটা তো করতেই হবে আমাকে। নাহলে আমার ডান হাত যে কেটে ফেলবে। আমাকে বাইরের রাজসভায় নিয়ে গেলো আধা ঘন্টা পর। এতোক্ষনে জেসি আর এনা দুজনেই আমার কাছে এসেছিলো। আমি জেসিকে বলে দিয়েছি চিন্তা না করতে। একটা হাত গেলে আপাতোতো কিছুই হবে না। হ্যারি বিষয়টা মানতে পারে নি। কিন্তু আমি জানি ডেভিল কিং হিসাবে পুরো ট্রান্সফর্ম হলে আমার হাত আবার ঠিক হয়ে যাবে। আধা ঘন্টা পর আমাকে প্রাসাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে অনেক লোক জড়ো হয়েছে। প্রিন্সের শাস্তি দেখতে প্রজারা ভীর করে দাড়িয়েছে৷ রাজা প্রাসাদে দ্বিতীয় তলায় বেলকনিতে থাকা একটা সিংহাসনে বসে আছেন। আর রানী তার পাশের একটা আসনে বসে আছে। আমার বাম হাত রাখা হলো একটা কাঠের উপরে। একটা লোক বিশাল চাইনিজ কুরাল দিয়ে আমার বাম হাতের উপরে কোপ মারবে। ঠিক তখনি মনে পরলো আমার বাম হাত যদি কেটে ফেলা হয় তাহলে আমি দুই নাম্বার সেরে পানি দিবো কিভাবে? বিষয়টা বেশ চিন্তায় ফেলে দিলো। এই চিন্তাই কখন যে আমার হাত কেটে ফেলেছে আমি চিন্তাই করি নাই। শরীরে তেমন ফিল হচ্ছে না আমার। বাম হাতের কব্জি থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে, আর সেটা দিয়ে রক্ত পরেই যাচ্ছে। কাটা হাত টুকু নিচে পরে রক্তে মাখিয়ে গেছে। আমার রক্ত দেখে রক্ত পিপাসা আবার লেগে গেলো। তাই কাটা হাত টুকু হাতে তুলে একটু জিব্হা দিয়ে চেটে দেখলাম। না একদম জগন্য লাগলো। নিজের ব্লাড নিজে খেলে যে এতো জগন্য লাগবে সেটা বুঝতে পারি নাই। হাতে এবার কিছুটা ব্যথা শুরু হতে লাগলো, হঠাৎ আমি ভিরুর আওয়াজ পেলাম,
.
–জ্যাক তারাতারি কাটা হাতটুকু যেখানে লাগানো ছিলো সেই জয়েন্টে রাখো। দুই মিনিটের মধ্যেই আসল ব্যথা শুরু হবে।(ভিরু)
.
–কোথায় তুমি?(আমি)
.
–আমি কোথায় সেটা ব্যাপার না। তোমার শরীর অনেক তারাতারি রিজেনারেট করতে পারে। তাই ব্যথা বেশী হওয়ার আগে জোড়া লাগাও।(ভিরু)
.
–ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
আমার হাত ধরে আজব জিনিস মানে নিজের ব্লাড নিজে চেটে খাওয়া দেখে সবাই অবাক হলো। সৈন্যরা ভয় পাচ্ছে হয়তো ব্লাড দিয়ে আমি কোনো ব্লাক ম্যাজিক করবো সেটা ভেবে। তাই আমার হাত বন্ধি করতে আসতে লাগলো। তখনি আমার ছায়ার মধ্য থেকে ভিরু বের হলো। বুঝলাম না আমার ছায়ার মধ্যে একটা ড্রাগন কিভাবে থাকতে পারে,
.
–কেউ আর এক পা আগালে আমি সবাইকে জ্বালিয়ে দিবো(ভিরু)
।।
।।
ভিরুর ধমক শুনে কেউ ভয় পেলো না। বরং অবাক হলো। ছোট বাচ্চা ড্রাগন কিভাবে কথা বলতে পারে। এদিকে এটা দেখে আমার ভি রু দা গেলো রেগে। সে নিজের আসল সাইজে চলে আসলো। এবার তো পুরো রাজ্যের মনস্টার ভয়ে কাতর। ভিরু রাগে গর্জে উঠে বলতে লাগলো,
.
–আমার নাম ইগড্রাসিল। দ্যা ফায়ার ড্রাগন কিং। আমি জ্যাকসন ব্রিট যে কিনা লংস্টারের প্রিন্স এবং পরবর্তী ডেভিল কিং হবে তার ড্রাগন পার্টনার।(ভিরু)
।।।
।।।
যা ভিরুর বাচ্চা ভিরু আমার বাঁশ দিয়ে দিলো। এবার তো পুরো পাঁচ রাজ্য আমার পিছু নিবে। আমার তো এখনি আন্ডারওয়ার্ল্ডে চলে যেতে হবে মনে হচ্ছে। আমি আমার কাটা হাতটা জায়গা মতো রাখতেই সেটা জোড়া লেগে গেলো। মনে হচ্ছেই না কোনো কিছু হয়েছিলো। শুধু মাথা কিছুটা ঘুরছে বেশী ব্লাড বের হওয়ার জন্য। আমার এখনিই কারো ব্লাড খেতে হবে শরীর ঠিক করতে হলে। তাই আমি সোজা ইগড্রাসিলকে আমার ভ্যাম্পায়ার দাঁত দিয়ে কামড় দিলাম। এবং পরিমান মতো গরম টগবগে রক্ত পান করে নিলাম।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
তারাতারি করে লেখা। ভুল হলে মার্জনীয়।
আজকের প্রশ্ন?

১)আগের ডেভিল কিং কবে পরাজিত হয়েছিলো?
২)ডেভিল রাজাকে কে ধোকা দিয়েছিলো?
৩)কয়জন মনস্টার প্রথম ডেভিল কিং এর বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিলো?

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here