#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২৩
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
রানীর বলা একটা কথাও আমার মাথায় ঢুকলো। শুধু বুঝলাম আমি মানুষদের জন্য ভিলেন তাই আমাকে এখানে আটকা করে রেখেছে। জানি না আমি কি, কিন্তু রানী শুধু বার বার আমাকে ডেভিল কিং ডেভিল কিং বলতেছে৷ ডেভিল কিং নাম কখনো শুনেছি বলে আমার মনে হয় না৷ যাক আমি বুঝে গেছি আমাকে এখান থেকে রানী কখনো বের হতে দিতে চাই না। কিন্তু আমি এখানে থাকতে চাই না। সব জিনিসই কেমন স্বপ্নের মতো। আমার সব বাস্তব জিনিস ভালো লাগে৷ আমাকে শুধু একবার এখান থেকে বের হওয়ার পদ্ধতিটা জানতে হবে। কিন্তু সেটার জন্য আমার রানীর সাথে ভালোবাসার নাটক করতে হবে। আমার মনে হয় সামান্য ভুল হয়েছে, রানীকে আমার বিয়ের কথা না বলে প্রেম করার কথা বললে ভালো হতো। বলা যায় না আমি এই বিয়ের ফলে কোন মেয়ের ভাগ্যে সতীন নিয়ে আসবো। এমনিতেও আমার বয়স এখন কম কমই লাগছে, মনে হয় না আমার কোনো বউ থাকতে পারে। তাই চেষ্টা করেই দেখি। যদি বিয়ের আগে কোনো মতে ওর থেকে বের করতে পারি কিভাবে এখান থেকে বের হয় তাহলে তো কথায় নাই। আমি আমার ভাবনা থেকে বের হলাম। রানী চলে যাওয়ার পর আমার বাধনগুলো এমনিতেই খুলে গেলো। আমি আস্তে করে রুম থেকে বের হলাম। স্বপ্নেও কখনো এমন জিনিস কল্পনা করবো না যেটা এখন আমার সামনে দেখতে পাচ্ছি আমি। পুরো আকাশই পিংক কালারের। দেখেই মনে হচ্ছে এখানের আকাশ বাতাস সবই মেয়ে। আমি অবাক হলাম যে এই দরজা দিয়ে রানী বের হলো দরজা খুলার সময় আমি তার রাজ সিংহাসনের কিছুটা ঝলক দেখেছিলাম। কিন্তু আমি এখন দাড়িয়ে আছি একটা বেলকনিতে। ভালো করে লক্ষ করলাম বিশাল একটা প্রসাদে আমি দাড়িয়ে আছি। প্রাসাদের সবচেয়ে উচু রুমের মধ্যে আমি দাড়িয়ে আছি। এখান থেকে নিচে তাকাতে আমার ভয় লাগছে। তারপরও বেলকনির দেওয়াল থেকে অনেকটা দূরে দাড়িয়ে আমি পিংক কালারের দুনিয়াটা দেখতে লাগলাম। আমার এই দুনিয়ার প্রতি কেমন জানি একটা কৌতহল জাগতে লাগলো। আমার পৃথিবীর সম্পর্কে কোনো কিছুই মনে নেই কিন্তু আমি এতোটুকু বলতে পারি এটা পৃথিবীর থেকে পুরো উল্টা। পৃথিবীর আকাশ কখনো পিংক হবে।
।।।।
।।।।
স্বপ্নের দুনিয়া এতো আজব হবে সেটা কে ভাবছে? এখন শুধু আমার চিন্তা এই ভয়ানক জায়গা থেকে কিভাবে বের হওয়া যায়। কারন যতই হোক মেয়েদের এই স্বপ্নের দুনিয়ায় আমি কখনো থাকতে চাই না। আমি রুমের মধ্যে আবার ঢুকলাম। যে দরজা দিয়ে ঢুকলাম হঠাৎ আরেকটা মেয়ে ঢুকলো, হাতে একটা ট্রেতে করে কিছু খাবার নিয়ে আসছে,
.
–আমরা অনেক খুশি যে আমাদের রানী শেষমেষ বিয়ে করতে রাজি। উনি প্রায় তিনশত বছর ধরে অবিবাহিত রয়েছেন। একা একা উনার এই পুরো রাজ্য সামলাতে অনেক সমস্যা হয়। শেষমেষ তিনি আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।(মেয়েটা)
.
–আরে আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আপনি কে? আর এই দরজা দিয়ে কিভাবে বের হয়ে আসলেন? ওটার ঔপাশে তো বেলকনি।(আমি)
.
–আমার নাম লুসানা৷ আমি মহারানীর ছোট বোন।(লুসানা)
.
–ওওও। আপনি বললেন রানী ৩০০ বছর যাবৎ বিয়ে করেন নি, তিনশ বছর কেউ বাঁচতে পারে?(আমি)
.
–হ্যা কারন আমরা ড্রিম এন্জেল। আমরা একজন অনেক বছর বাঁচি।(লুসানা)
.
–স্বপ্নের পরী? তাহলে এই দরজা দিয়ে কি ম্যাজিকের মাধ্যমে এসেছেন?(আমি)
.
–কিছুটা তেমনই। এটা স্বপ্নের দুনিয়া। এখানে যেটা ভাববে সেটাই হবে।(লুসানা)
.
–তাহলে এখানে আমি যেটা ভাববো সেটাই হবে?(আমি)
.
–একদম তেমনও না। রানী আমাদের যেটুকু ভাবার জন্য বলে আমরা শুধু সেটুকুই ভাবতে পারি। তার থেকে বেশী কিছু ভাবতে পারি না। কারন আমাদের সবার স্মৃতিই হারানো। যেটা ভাববো সেটা সম্পর্কে কোনো ধারনাই নেই আমাদের। তবে এই দরজা কোথায় নেওয়া যাবে সেটা ভেবে আমরা চলাচল করতে পারি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়।(লুসানা)
.
–ওওও। তাহলে কি এই দুনিয়াতে শুধুই রানীই একমাত্র যার কিনা সকল বিষয়ে মেমোরী আছে?(আমি)
.
–হ্যা।(লুসানা)
.
–ওকে। ধন্যবাদ আপনাকে।(আমি)
।।।
।।।
লুসানার আনা কিছু খাবার খেলাম। কিন্তু মনে হলো না কিছু আমার পেটে গেলো। আমি তো স্বপ্নের দুনিয়াতে আছি। এখানে আমি শরীর আসে নি। আমার শরীর সহ আসলে হয়তো খাবার খেয়ে পেট ভরতে পারতাম। কিন্তু এখন মনের তৃপ্তিই যথেষ্ট।
।।
।।
আমি কিছুটা ভাবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কি ভাববো সেটাই মনে পরছে না। কোনো খাবারের নামও মনে পরছে না। এমনকি আমি কি কি পড়তে পছন্দ করি এমন কিছুও আমার মনে পরছে না। কি আর করবো পান্ডা সহ সাজানো বিছানায় আমি শুয়ে পরলাম। কিছু ভাবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু তখনি পুরো প্রাসাদ কাপতে শুরু করলো। হঠাৎ আমার উপর থেকে ছাদ ভেঙে পরতে লাগলো। আমি বেশী চমকে গেলাম। আমি তারাতারি করে উঠতে চাইলাম, ঠিক তখনি সব কিছু স্লোমোশন হয়ে গেলো। শুধু আমিই সবকিছুর থেকে বেশী স্পিডে নাড়াচাড়া করতে পারছি। আমি দরজা দিয়ে বের হলাম। কিন্তু এবারও আমি বেলকনিতে দাড়িয়ে আছি। বেলকনি থেকে আমি যেটা দেখলাম সেটা হলো বিশাল বিশাল চার পাচঁটা ড্রাগন প্রাসাদের উপরে হামলা করেছে। সবার মুখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে। আর সেটা প্রাসাদের দিকে মারায় প্রাসাদ ভেঙে যাচ্ছে। সকল ড্রিম এন্জেলরা মিলেও কিছু করতে পারছে না। একদম নিচে একজন লোক রানী লুসির গলা ধরে উচু করে রেখেছে। জিনিসটা আমার মোটেও ভালো লাগলো না। আমি এতো উপর থেকে কি করবো জানি না। তারপর ও আমি লাফ দিলাম উপর থেকে। আমি বুঝতে পেরেছি স্বপ্নের দুনিয়ায় কেউ আক্রমন করেছে। আর সে রানীকে মেরে ফেলবে। রানীকে মেরে ফেললে আমি এখান থেকে কিভাবে বের হবো এটা ভাবতে ভাবতে আমি নিচে পরতে লাগলাম। নিচে পরার কিছুটা আগে আমার মনে হলো আমি যে এতো উপর থেকে লাফ দিলাম আমি তো পরলেই মরে যাবো মনে হচ্ছে। তারপরও স্বপ্নের দুনিয়া বলে মনে হলো আমার কিছু হবে না।
।।।।
।।।।
আসলেই এতো উপর থেকে পরার পরও আমার কিছু হলো না। আমি খুব তারাতারি দৌড়ে চলে আসলাম রানীর কাছে। একটা ঘুষি আমি লোকটার দিকে মারতে যাবো কিন্তু বা হাত দিয়ে আমার ঘুষি আটকিয়ে ফেললো সে, আর বলতে লাগলো,
.
–জ্যাকসন। আমার নাতির নাতির নাতির এক নাতি। জানি না পরিচয় দেওয়া ঠিক হয়ছে নাকি৷ তারপর ও তুমি আমার বংশেরই একজন।(লোকটা)
.
–কে আপনি?(আমি)
.
–আমার নাম লোকি। এজগার্ডের নতুন রাজা আমি।(লোকি)
.
–লোকি? আমার মনে হয় না আমি আপনাকে চিনি? কিংবা এজগার্ড না কিসের কথা বললেন আমি সেটার নাম ও কোনোদিন শুনি নি।(আমি)
.
–আমি জানি তোমার মেমোরী হারিয়ে গেছে। সেটা হারানোই ভালো। আমি এখানে এসেছি এদেরকে মেরে তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যেতে।(লোকি)
.
–এদেরকে কেনো মারবেন?(আমি)
.
–কারন এদের না মারলে এরা তোমাকে নিতে দিবে না। চিরকাল এখানেই রেখে দিবে।(লোকি)
.
–ঠিক আছে আমি আপনার সাথে যাবো, কিন্তু একটা শর্ত আমার।(আমি)
.
–কি তোমার শর্ত?(লোকি)
.
–এদের কাউকে মারবেন না। বরং এরাই আমাকে যেভাবে এনেছে সেভাবে ফেরত দিবে। তারপর আপনি আমাকে নিয়ে যাবেন।(আমি)
.
–ভালো শর্ত কিন্তু আমি এটা মানতে পারবো না। তোমাকে আমার সাথেই আসতে হবে এখন।(লোকি)
.
–ও যেতে পারবে না এখান থেকে। কারন ওর শরীর এখানে নেই। আমি শুধু ওর স্বপ্নের মানুষটাকে এখানে এনেছিলাম। ওর মনস্টার শরীর পরে আছে আন্ডারওয়ার্ল্ডে।(লুসি লোকির হাতের গলা টিপা খেয়েও কষ্টে বলতে লাগলো)
.
–এটা তো আমি প্লান করি নি। ঠিক আছে আমি এদের রানী লুসি দ্যা ফেইরী আমি তোমাদের কাউকে মারবো না কিন্তু আমার ডেভিল কিং কে তার আসল শরীরে প্রবেশ করিয়ে দাও।(লোকি)
.
–আমার জীবন গেলেও আমি সেটা করতে পারবো না। আমি এবার বুঝেছি মানুষের খারাপ স্বপ্ন দেখার সব কারন হলো আপনি। আপনার ইচ্ছা আমি বুঝে গেছি। আপনি চাচ্ছেন পুরো ১১ দুনিয়া নিজের করে নিতে। কিন্তু সেটার জন্য আপনার বড় অস্ত্র হলো ডেভিল কিং এর ক্ষমতা।(লুসি)
.
–আমি এতো কিছু শুনতে চাই না। জানি তুমি ছাড়া কেউ ওকে ফেরত পাঠাতে পারবে না, তাই তোমাকে আগেই মারবো না। প্রথমে তোমার বোনকে মারবো, তারপর তোমার সকল প্রজাকে, তারপর আস্তে আস্তে তোমায় টর্চার করবো।(লোকি)
.
–দেখেন আমার জন্য আপনাদের এতো কষ্ট করতে হবে না। আপনি আমাকে মুক্ত করে দিন। তারপর উনি আর আপনাদের কিছু করবে না।(আমি)
.
–হ্যা কিছুই করবো না। আমার কাছে কিন্তু আরো উপায় আছে। রানীকে মেরে ফেললে এখানে নতুন রানী হয়। পরের রানী কিন্তু আমারই কেউ একজন হবে।(লোকি)
।।।
।।।
লোকি এবার লুসিকে ছেড়ে দিলো, লুসি এবার কিছু একটা স্পেল পরলো। আমার মেমোরী গুলোও ফিরে আসলো। ওর শেষ কথাগুলো মনে মনে আমাকে বললো,
.
–আমাকে মাফ করে দিয়ো। আমি লোকির ভয়েই তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলাম। আসল দুনিয়াতে এখন মোট ২০ দিন কেটে গেছে। তোমার পুরো ডেভিল ক্ষমতাও সম্পূর্ন হয়েছে। লোকি এরপর তোমার সন্ধানে আন্ডারওয়ার্ল্ডে যাবে। এজগার্ড থেকে পুরো ১১ দুনিয়ার যেকোনো জায়গায় মুহুর্তের মধ্যে যাওয়া যায় এটা আমার আগে ভাবা উচিত ছিলো। যাক লোকি কখনো নিজের কথা দিয়ে কথা রাখার মতো না। আমি জানি ও আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। শুধু আমি তোমার সাথে আমার ছোট বোনটাকে পাঠাচ্ছি। খেয়াল রেখো ওর।(লুসি)
।।।।
।।।।
লুসি মনে মনে টেলিপ্যাথির সাহায্যে আমার সাথে কথাগুলো বললো। সাথে সাথে আমার চোখ ভেঙে গেলো। আমি যে ডিভাইসের ভিতরে শুয়েছিলাম, সেটার গ্লাস খুলে আছে, আর আমি হাপিয়ে সেটা থেকে বের হলাম। আমার সব মেমোরী এবার আমার সাথে আছে, কোনো কিছু ভুলি নি আমি। আমার একটু আগে হয়ে যাওয়া সব কিছু স্বপ্নই মনে হলো। কারন স্বপ্নের দুনিয়াতে হয়েছিলো সবকিছু। আমি একটা বইয়ের মধ্যে পড়েছি স্বপ্নের দুনিয়াতে বাইরের কোনো কেউ ঢুকতে পারে না যদি না কারো স্বপ্নের মাধ্যমে স্বপ্নের রানী না নেই। স্বপ্নের রানী একবার শুধু মানুষ না একটা মনস্টারকেও সেখানে নিয়ে যেতে পারবে সেখানে স্বপ্নের মাধ্যমে। যে স্বপ্নের দুনিয়াতে যাবে তার কোনো শক্তিই থাকবে না। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না লোকি কিভাবে নিজ শরীরে স্বপ্নের দুনিয়াতে গেলো? আর এতো শক্তিই কিভাবে পেলো সেখানে? এটা বড় রহস্যময় বিষয়। আমি পুরাতন ডেভিল কিং এর কক্ষে একা আছি। আমার নিজের কাছেই কেমন জানি লাগছে। নিজের ভিতর থেকে কেমন নেগেটিভ নেগেটিভ ফিল আসছে শুধু। এখন খেয়াল করলাম আমার পুরো শরীরের মধ্য দিয়ে ডান পাশে সাদা ধোয়া উড়ছে বাম পাশে কালো ধোয়া উড়ছে। একটা আয়না ছিলো রুমের মধ্যে। আমি সেখানে তাকালাম। আমার ডান চোখটা দিয়ে সাদা আলো বের হচ্ছে, এবং বাম চোখ দিয়ে কালে ধোয়া বের হচ্ছে। আমি আমার ডানা বের করলাম। ডানা গুলো দেখে তো আমি অবাক, পুরো বারোটা ডানা হয়েছে আমার পিঠে। কোথা কোথা থেকে বের হয়েছে সেটাই বুঝতে পারছি না। আমার ডান পাশের ডানা গুলো সাদা, আর বাম পাশের ডানা গুলো এবার কালো। আমি বুঝতে পারলাম আমার এক সাইড এন্জেল, আর এক সাইড ডেভিলের। কিন্তু সেই সাথে আমি একজন হাফ ডিম্যান, আবার এনার রক্ত খাওয়ার ফলে আমি এখন ভ্যাম্পায়ার। ব্যাপারটা বেশ ধারালো মনে হচ্ছে। আমার দুই দিক দিয়ে দুই ধরনের ধোয়া বের হচ্ছে। আমি আমার চোখ বন্ধ করলাম। পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ডকে আমি ফিল করতে পারছি। মনে হচ্ছে পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ড আর আমি একই শরীরের। যাইহোক বাইরে থেকে আমার চার জেনারেল ভিতরে আসার অনুমতি চেয়ে ভিতরে আসলো,
.
–মাই কিং আপনার সিংহাসন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি বসে শাসন শুরু করুন।(সবাই একসাথে)
।।।
।।।
আমিও আমার নরমাল ফর্মে চলে আসলাম। এতোক্ষন আমি আমার মনস্টার ফর্মে ছিলাম। অন্য ডেভিল কিংরা এটাকে বলতো ডেভিল কিং ফর্ম। কিন্তু আমি বলবো এটা এন্জেল ডেভিল কিং ফর্ম। যায়হোক আমার এইরকম ফর্ম থেকে অনেক অবাক হয়েছে জেনারেল চারজন। কারন আগে কখনো কোনো ডেভিল কিং এন্জেল আর ডেভিলের পাওয়ারের এক মিশ্রন ছিলো না যেমনটা আমি। আমি সোজা টেলিপোর্ট হয়ে জেনারেল চারজনকে সহ সিংহাসন রুমে নিয়ে আসলাম। এখানে আসার পর সিংহাসন রুমে থাকা সবাই আমাকে কুর্নিশ করলো। আমি গিয়ে সোজা সিংহাসনে বসলাম। পুরো পুরো ডেভিল কিং হয়ে যাওয়ায় এখন আমার কাছে ডেভিল কিং এর সমস্ত জ্ঞান চলে আসলো। সব কিছু আমার রেগুলার মেমোরীর ভিতরে রয়েছে। যার জন্য মনে হয় এগুলো আমি কোথা থেকে বইয়ের সাহায্যে পড়েছি।
।।।
।।।
যেহেতু আমি ডেভিল কিং হয়েছি তাই এখন আমার প্রথম কাজ হলো থরের সাহায্য করা। যেহেতু থর আমাকে বলেছে তার আমার সৈন্য প্রয়োজন। তাই থরকে সাহায্য আমার করতেই হবে। আমি সিংহাসনে রাজার মতোই বসে আছি। তখন জেনারেল লুসেফার বলতে লাগলো,
.
–মাই কিং ড্রিম ওয়ার্ল্ডের পুরো জনসংখ্যাকে লোকি ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে শুধু প্রিন্সেস লুসানা আর রানী লুসি দ্যা ফেইরী জীবিত ফিরেছে। তারা আমাদের প্রাসাদেই আছেন।(লুসেফার)
.
–কি? তাহলে সেটা স্বপ্ন ছিলো না? যাক কোনো সমস্যা নাই। আমার সৈন্যও এখন তাদের পুরো শক্তি ফিরে পেয়েছে।(আমি)
.
–মাই কিং আমাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও দুঃখের খবর এই যে আমাদের সৈন্য সংখ্যা লোকির থেকে কম হবে। লোকির কাছে এখন এজগার্ডের সৈন্য আছে, আর সকল ডার্ক এল্ফস গুলোও লোকির সাথে, আর ড্রাগনিয়ার বর্তমান রাজার সাথে লোকি পার্টনারশীপ করেছে। ওদের কাছে আমাদের সৈন্য অনেক কম। আমারা যদি এখন realms war এ যায় তাহলে আমাদের সৈন্য সংখ্যা প্রয়োজন।(অর্নিজ)
.
–হুমমমম। সেটা সত্য। সপটার জন্য লোকি যেটা করছে সেটা আমাদের ও করতে হবে। ভালো করে বুঝিয়ে হোক আর ভয় দেখিয়েই হোক বাকি সকল দুনিয়া, শুধু মানুষদের দুনিয়া বাদে সবাইকে আমাদের সাইডে করতে হবে।(আমি)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। কেমন হয়েছে আপনাদের মন্তব্য দিয়েন।