ভ্যাম্পায়ার_কুইন# পর্বঃ২৪

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি সিংহাসনে বসে আছি, আর এদিকে আমার জেনারেল চারজন জিজ্ঞেস করতে লাগলো,
.
–মাই কিং এখন আমাদের কি করতে হবে?(লুসেফার)
.
–প্রথমেই আমাদের সৈন্য সংখ্যা বারাতে হবে। যেহেতু লোকির কাছে ড্রাগন সেনা আছে, তাই আমাদের একটা ড্রাগনকে হারাতে কমপক্ষে বিশজন সৈন্যের প্রয়োজন হবে। আর তাছাড়াও লোকির কাছে এজগার্ডের সেনা যারা কোনো কিছুকেই ভয় করে না। অন্যদিকে আবার ডার্ক এল্ফস গুলোও লোকির সাথে তাই আমাদের সৈন্য সংখ্যা বারাতে হবে নাহলে আমরা তাদের কাছে নগন্য থাকবো।(আমি)
.
–মাই কিং আপনার হুকুমের জন্য আমরা প্রস্তুত।(চার জেনারেল)
.
–লুসেফার মনস্টার দুনিয়ায় খবর পাঠাও। ডেভিল কিং এর পাচঁ রাজ্যের সকল সেনা প্রয়োজন, যদি কেউ সেনা দিতে মানা করে তাহলে তাদের জানিয়ে দাও প্রথম যুদ্ধ ডেভিল কিং এর সাথে তাদেরই হবে।(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং। আমি এখনি যাচ্ছি আপনার খবরটা দিতে।(লুসেফার)
।।।
।।।
লুসেফার সাথে সাথে টেলিপোর্ট হয়ে চলে গেলো। আমার পুরো ক্ষমতা হওয়ার ফলে আমার চার জেনারেল সহ সকল ডেভিলদের পাওয়ার সম্পূর্ন হয়েছে। এখন তারাও সব ধরনের ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে। যদিও টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহারের জন্য তাদের আমার আদেশের প্রয়োজন পরবে। যদি আমি তাদের অনুমতি না দি তাহলে কেউই এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ছেড়ে যেতে পারবে না। যাক লুসেফার যাক লুসেফারের কাজে। আমি এই সুযোগে একটু স্বপ্নের রানীকে দেখে আসি৷ অর্নিজ আমাকে জানালো অনেক গুরুতর আহত হয়েছে। লোকি তাকে মেরেই ফেলতো কিন্তু শেষমেষ তার বোন লুসানা তাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে আন্ডারওয়ার্ল্ডে। আমি তো জানতাম আন্ডারওয়ার্ল্ডে কেউ বাইরে থেকে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু আমার জানা এখন ভুল প্রমানিত হলো, শুধু স্বপ্নের রানী নয় বরং লোকি ও এজগার্ডের বাইফ্রোস্ট এর সাহায্যে এখানে আসতে পারবে। টেলিপোর্ট স্পেলটা কাজ করে একবার যে জায়গায় যাওয়া হয়েছে সেখানে যেতে। কিন্তু এমন কোনো জায়গা যেখানে কেউ কখনো যায় নি পূর্বে সেখানে যাওয়ার জন্য টেলিপোর্ট স্পেল কাজ করবে না। কিন্তু এজগার্ডের কাছে সেটারও উপায় আছে। এজগার্ডের রাজা ছাড়া কেউ তেমন ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে না। তাদের সৈন্যদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়ার জন্য তাদের কাছে হাইমডাল নামের একজন ভাইকিং আছে। সে তার তলোয়ার হোফান্ডের সাহায্যে বাইফ্রোস্ট নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এবং বাইফ্রোস্টের সাহায্যে এজগার্ডের সবাই যেকোনো জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু একটা আজব করার বিষয়। লোকি হাইমডালের সাহায্যে আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করতে পারবে, কিন্তু কখনো স্বপ্নের দুনিয়ায় হাইমডালের সাহায্যে প্রবেশ করতে পারবে না। কারন হোফান্ডের ও কিছু লিমিট আছে। হাইমডাল মূলত হোফান্ডকে হাতে নিলে এই পুরো দশ দুনিয়ার সবকিছু দেখতে ও শুনতে পারলেও স্বপ্নের দুনিয়াতে তার ক্ষমতা কাজ করে না। সে স্বপ্নের দুনিয়ার কিছু দেখতে পারে না। আমি এখন বুঝেছি লোকি হাইমডালের সাহায্যে আমার খোজ খবর রেখেছে সব সময়। আর এখনো হাইমডাল আমাকে দেখছে মনে হয়। হঠাৎ আমার কানে একটা আওয়াজ আসলো,
.
–আপনি ঠিক ধরেছেন। আমি হাইমডাল। আমি এখনো আপনাকে দেখছি, শুনতে পারছি।(হাইমডাল)
.
–আমি মনে মনে যেটা ভাবছিলাম। তো হাইমডাল হঠাৎ আমার সাথে যোগাযোগের কারন কি?(আমি)
.
–প্রিন্স থর আপনার আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করতে চাই। আপনি তার জন্য দরজা খুলে দিন।(হাইমডাল)
.
–আপনি না লোকির সাইডে। তাহলে?(আমি)
.
–আমি এখানে কারো সাইডে না। আমি এজগার্ডের সিংহাসনের উপরে যে থাকবে তার প্রতি লয়েল। এই কাহিনী মাঝে মাঝেই হয়। কিন্তু এবার প্রিন্স লোকি একটু বেশি ভয়ানক প্লান করে রেখেছে। তাই আমার কর্তব্য যেটা ছিলো সেটা আমি পালন করছি।(হাইমডাল)
.
–আচ্ছা আপনি একটা কথা বলেন তো আমাকে? আমরা সবাই যখন বাথরুমে গোসল করি, কিংবা টয়লেটে যায়, আপনি কি সেটাও দেখতে পান?(আমি)
.
–কখনো সেভাবে কাউকে দেখি নি। তবে সঠিক উত্তর বলতে গেলে, আমি সব কিছুই দেখতে পারি, তবে সমস্যা হলো আমি এক সময়ে এক জিনিস দেখতে পারি। তাই ঔসব জিনিস দেখার আমার সময় নেই। আমাকে এই পুরো দশ দুনিয়ার মধ্যে লক্ষ করতে হয় কোথাও এজগার্ডের সাহায্য প্রয়োজন পরবে কিনা।(হাইমডাল)
।।।
।।।
হুমমম এমন পাওয়ার থাকলে একজন মানুষ নিশ্চয়ই চেষ্টা করবে ঘরে বসে পাশের বাড়ি উকি দিতে। তবে সমস্যা নাই এমন পাওয়ার আমার নাই। তাই কেউ আমাকে লুইচ্চা ডেভিল কিং বলবে না। আমি সিংহাসন থেকে উঠে অনেকক্ষন আগেই হাটতে লাগলাম। স্বপ্নের দুনিয়াতে মনে হয় একদিন ও কাটছিলো না কিন্তু এখানে বিশ দিন কেটে গেছে। এখনো পর্যন্ত জেসির সাথে কথা বলতে পারি নি। তার উপর আবার এনার সাথেও আমার দেখা হয় নি। যেহেতু আমি ডেভিল কিং হয়েছি তাই এখন এনাকেও আমি এখানে নিয়ে আসতে পারবো। অবশ্য এখন আমার হুকুমে কেউ আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করলে শ্বাসের কষ্টে পরবে না।
।।।
।।।
আমি হলরুম দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। তখনি জেসি পিছন থেকে আমাকে ডাক দিলো। আমি থামলাম। দুজনে কথা বলতে বলতে আগাতে লাগলাম।
.
–তোর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে কথা বলতে পারছি না।(জেসি)
.
–আমিও। সব কিছু এতো তারাতারি হয়ে যাবে আমি খেয়াল করি নি।(আমি)
.
–হ্যা। আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না আমি ডেভিল কিং এর আপন বোন।(জেসি)
.
–কি হয়েছে তোকে অনেক উদাস লাগছে। হ্যারি কিছু বলেছে?(আমি)
.
–ও তো ট্রেনিং এ আছে। আসলে সমস্যা হলো, আমার ভয় করছে তোকে নিয়ে।(জেসি)
.
–আমাকে নিয়ে ভয় করছে? পাগলি মেয়ে আমার কিছুই হবে না।(আমি)
.
–এখন তুই ডেভিল কিং হয়ে গেছিস। তোর আশপাশ দিয়ে অনেক মারাত্মক লেভেলের একটা কালো ছায়া ঘুরে বেরায় যেটা আসে পাশের সবার ভয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে। এই ছায়ার স্পর্শে কোনো সাধারন মানুষ, এমনকি সাধারন মনস্টার আসলে মারা যেতে পারে। তার উপর ডেভিল কিং দের কাজই সব কিছু ধ্বংস করা।(জেসি)
.
–যদি কখনো আমি আমার হুস জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তুই আমার বোন হয়ে দুটো কাজ করবি। এক হলো আমাকে মেরে ফেলবি।(আমি)
.
–…..(জেসি পুরো চমকে উঠলো)
.
–দুই, আমার পুরো মেমোরী মুছে ফেলার চেষ্টা করবি। যেকোনো একটা করবি যদি আমি কখনো আমার নিজের জ্ঞান হারিয়ে পুরো ডেভিল কিং হয়ে যায় তাহলে।(আমি)
.
–কিভাবে এটা তুই মেনে নিতেছোস? কেউ কি সবার অভিশাপ হয়ে থাকতে চাই চিরকাল?(জেসি)
.
–একদিন একটা সময় আসবে দেখিস, যেদিন সবাই ডেভিল কিং কে ভয় করবে না, বরং ভালোবাসবে।(আমি একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে জেসির মাথায় হাত বুলিয়ে লুসির সাথে দেখা করতে গেলাম)
।।।
।।।
কিন্তু লুসি এবং লুসানা দুজনেই বেশ আহত। তবে রানীর অবস্থা বেশী গুরুতর। আমাদের চিকিৎকরা ম্যাজিকের ব্যবহার করছে কিন্তু তাতে বেশী কাজ হচ্ছে না। আমাকে দেখে সবাই কুর্নিশ করলো,
.
–মাই কিং আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কিন্তু তারপর ও আমাদের ম্যাজিক এতো গুরুতর আঘাত হিল করতে পারছে না। দুই তিন দিনের মধ্যে রানীর চিকিৎসা না করলে হয়তো মারা যাবেন তিনি। আমাদের ক্ষমা করবেন মাই কিং। আমরা আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী হিলার হওয়ার পর ও কিছু করতে পারছি না।(একজন চিকিৎসক)
.
–ওকে সমস্যা নাই আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করে নিবো।(আমি)
।।।
।।।
আমি রুম থেকে বের হলাম। একজন রাজা হওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। সব কিছু নিজের দেখতে হবে। আমি আবার সিংহাসনে এসে বসলাম।
.
–মাই কিং। আপনাকে অনেক চিন্তিত মনে হচ্ছে।(অর্নিজ)
.
–স্বপ্নের দুনিয়ার রানী লুসি দ্যা ফেইরীর চিকিৎসা করতে ব্যর্থ আমাদের চিকিৎসক। সে বললো দুই তিন দিন বাঁচতে পারবে এই অবস্থায়।(আমি)
.
–তাকে উন্নত হিলার এর চিকিৎসা প্রয়োজন মাই কিং।(লুইস)
.
–ভালো হিলার পাবো কোথায়?(আমি)
.
–মাই কিং আমি বলবো রানীর এই অবস্থায় আমাদের আলফাইম এর লাইট এল্ফসদের সাহায্য প্রয়োজন। আমাদের হিলার যদি কিছু না করতে পারে, তাহলে মনস্টার দুনিয়ার কেউই কিছু করতে পারবে না। আমাদের এল্ফসদের সাহায্য প্রয়োজন। তাদের ম্যাজিকাল ক্ষমতা অনেকটা বেশী, বিশেষ করে তাদের হিলার গুলো অনেক উন্নত আমাদের থেকে।(কর্ডিজ)
.
–ঠিক আছে তাহলে আলফাইম যেতে হবে। কিন্তু প্রথমে লুসেফার আসুক।(আমি)
।।।
।।।
আমি বলতে বলতে লুসেফার টেলিপোর্ট হয়ে আসলো,
.
–মাই কিং পাঁচ রাজ্যকে আমি জানিয়েছি আপনার সংবাদ তারা আমার সামনে কিছু না বললেও আমার মনে হয় তারা মনে মনে এটার প্রতিবাদ করেছে।(লুসেফার)
.
–মনের খবর নিয়ে কোনো একশন নেওয়া যাবে না আমাদের। সিওর হয়ে বলতে হবে তারা আমাদের প্রতিবাদ করবে নাকি আমাদের সাহায্য করবে।(আমি)
.
–আমি আসার পূর্বে আমার গুপ্তচর সেখানে রেখে এসেছিলাম। তারা খবর দিয়েছে পাঁচ রাজ্যের রাজারা একটা মিটিং এ বসেছে। হয়তো সেখানে তারা ডিসিশন নিবে কি করবে।(লুসেফার)
.
–ঠিক আছে। আমি যাচ্ছি তাদের মিটিং এ তাদের সাথে দেখা করতে।(আমি)
.
–কিন্তু মাই কিং, আপনি একা যাবেন? আমাদের কাউকে সাথে নিয়ে যান।(লুসেফার)
.
–না সেটার দরকার নাই। কর্ডিজ আর লুইস আমি তোমাদের জন্য একটা কাজ দিচ্ছি।(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং, আদেশ করুন।(লুইস)
.
–আমি এখনো আলফাইমে যায় নি, তাই আমি সেখানে একা যেতে পারবো না। আমি ফেরত আসার পর আমাকে তোমরা দুজন নিয়ে যাবে সেখানে। এবং অর্নিজ আর লুসেফার তোমাদের দুজনের কাজ থাকবে থরকে লংস্টার থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডে নিয়ে আসা।(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং।(সব জেনারেল)
।।।
।।।
আমি টেলিপোর্ট স্পেল ব্যবহার করলাম। আমাদের টেলিপোর্ট পিলার বা পোর্টালের প্রয়োজন পরে না। কিন্তু অন্য মনস্টারদের সেটার প্রয়োজন পরে। লুসেফার এর কাছে থেকে শুনেছি মিটিংটা লংস্টারে হচ্ছে। যেহেতু আমি লংস্টারে একবার গিয়েছি তাই আমি টেলিপোর্ট হয়ে সোজা সেখানে যেতে পারবো।
।।।
।।।
আমি লংস্টারে টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসলাম। টেলিপোর্টেশন স্পেল এর জবাব হয় না। স্পেল ব্যবহার করার সময় আমার মাথায় কেনো জানি এনার চেহারা ভেসে আসলো। আর আমি ঠিক এনার কোলেই এসে টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম। এনা আমাকে হঠাৎ ওর কোলে দেখতে পেয়ে অবাক এবং ভয় দুটোই পেলো, আমিও একটু নজর ঘুরিয়ে দেখলাম এখানে রাউন্ড টেবিল বসেছে পাঁচ রাজ্য নিয়ে। আর সকল রাজা, প্রিন্স, প্রিন্সেস এখানে বসে আছে। আর আমি তাদের সবার মাঝে সেরকম একটা এন্ট্রি দিলাম। আমিও কিছুটা লজ্জা পেলাম। তারপরও এনার কপালে একটা কিস করে আমি রাউন্ড টেবিলের মাঝখানে দাড়ালাম। এখানে সবাই আমাকে ঠিক মতো দেখতে পারবে। এবার আমার ডায়লগ গুলো মারতে হবে। সবাই এমনিতেই আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে। আমার কালো ছায়া আসলেই সবাইকে কাবু করে ফেলছে। অবশ্য জিনিসটা আমি নিয়ন্ত্রন করতেও পারি। তাই আপাতোতো আমি আমার ডেভিল সাইডের কালো ছায়াটা কমিয়ে দিলাম। মূলত এটা হয় নেগেটিভ ইমোশনের মাধ্যমে। মনে যত নেগেটিভ ইমোশন থাকবে আমার ডেভিল সাইড ততো শক্তিশালী হবে এন্জেল সাইড থেকে। কিন্তু নেগেটিভ ইমোশন গুলো নিয়ন্ত্রন করলেই দুই সাইডে ব্যালেন্স চলে আসবে। তখন আমার কোনো সাইড দিয়ে কোনো ছায়া বের হবে না। আবার আমার মনস্টার ফর্মে ছায়াগুলো আগুনের শিখার মতো বের হতে থাকবে সারা শরীর থেকে। যায় হোক আমি এদের ভয় দেখাতে আসি নি। একটু কথা বলতে আসছি। আর এনা তো এখানেই আছে। ওকে আমার সাথে করে নিয়ে যাওয়া যাবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
কেমন হলো জানাবেন। আর তিনটা প্রশ্ন আজকে থাকছে,
১)ভি রু দার দুনিয়ার নাম কি?
২)ভি রু দার দুনিয়ায় কয়টা রাজা আছে?
৩)এই গল্পটা কি সিজন ভিত্তিক চান? নাকি এক সিজনেই শেষ চান?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here