#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২৯
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি আন্ডারওয়ার্ল্ডে ফিরে আসলাম এবার টেলিপোর্ট হয়ে। আমি আমার কাজটা নিরবে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হ্যাভেন যে আমাদের স্বাগতম না করে আক্রমন করবে সেটা কল্পনা করি নি। এমনিতেও এন্জেলরা শুধু ডেভিলদের সাথেই যুদ্ধ করে। তাই তারা ডেভিল কিং কেই হত্যা করে যুদ্ধ জিততে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি তাদের দিকে উল্টো বাজি ফেলে দিয়েছি। এখন যতই চেষ্টা করুক এন্জেলরা কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ডে তারা আসতে পারবে না। আন্ডারওয়ার্ল্ডে ঢুকার মোট দুইটা রাস্তা। একটা হলো গেইট, আর একটা হলো টেলিপোর্টেশন। গেট ভিতর বাইরে থেকে আমি নিয়ন্ত্রন করি এখন। কিন্তু আমি বাদেও অনেকেই আন্ডারওয়ার্ল্ডে গেটের সাহায্যে ঢুকতে পারবে। সেটার জন্য তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কিছু ত্যাগ করতে হবে। যদি তাদের গুরুত্বপূর্ন কিছু জীবন্ত বস্তু বা ব্যক্তি হয়, তাহলে তাকে সে মারা যাবে, এবং সেখানে আন্ডারওয়ার্ল্ডের গেইট খুলে যাবে। কিন্তু বাইরের কারো জন্য আমার আদেশ ছাড়া আন্ডারওয়ার্ল্ডে থাকা সম্ভব নয়।
।।।
।।।
এখানে আবার একটা জিনিস আছে। মনস্টার দুনিয়ার মনস্টার কিংবা মানুষেরাই শুধু আমার আদেশবিহীন আন্ডারওয়ার্ল্ডে বেশীক্ষন থাকতে পারবে না। কিন্তু অন্যান্য দুনিয়ার সকল জীবন্ত বস্তুই খুব সহজে আন্ডারওয়ার্ল্ডে থাকতে পারবে। মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ড বানানো হয়েছিলো পুরাতন ডেভিল কিং এর এনার্জি দিয়ে। এটার মধ্যে তার সমস্ত স্মৃতি ঘুরে বেরায়। তাকে ধোকা তাদের মনস্টার জাতি দিয়েছিলো। তাই সে চেয়েছিলো তার ডেভিল বাহিনীকে একটা নিরাপদ জায়গায় রাখতে। তখন সে আন্ডারওয়ার্ল্ড নির্বাচন করে। আন্ডারওয়ার্ল্ড আগে থেকে এভাবে ছিলো না। এটা একটা অন্ধকার জায়গা ছিলো যেখানে ডেভিল কিং তার সকল স্ত্রীকে রাখতো। এখানেই সকল ডেভিল কিং এর সন্তান জন্ম দিয়েছে। এমন নয় যে আমিই শুধু একা ডেভিল কিং এর রক্ত বহন করছি। বরং তার রক্ত অনেকের শরীরে বইছে এখন। কিন্তু অবাক বিষয় তাদের শরীরে ডেভিল কিং এর রক্ত বইলেও তারা ডেভিল কিং হতে পারবে না। যাইহোক আমি আলিয়ানা এবং আফরিয়েলকে নিয়ে সোজা লুসি যেখানে প্রথমে ছিলো সেখানে আসলাম। লুসিকে একটা ম্যাজিক দিয়ে আলিয়ানা উড়িয়ে আনছিলো। আমি এই ম্যাজিকের কথা আগে ভাবলাম না কেনো? হয়তো মনে পরলে লুসিকে ঘাড়ে বহন করতে হতো না আমাকে। যাইহোক এবার আফরিয়েল আমার দিকে তাকিয়ে রইলো,
.
–কি হলো কিছু বলবেন?(আমি জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু কথা বলছে না সে)
।।।
।।।
আমি বুঝতে পারলাম আমার তখনকার কথায় ভয় পাচ্ছে এখনো,
.
–কথা বলতে পারেন, আমি তখন তো মজা করে বলেছিলাম। আমি ডেভিল কিং হতে পারি, আমাকে খারাপ ভাবতে পারেন। কিন্তু মেয়েদের সাথে খারাপ কিছু করবো সেরকম ছেলে আমি নই।(আমি)
.
–না আমার একটা প্রশ্ন?(আফরিয়েল)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–রানী আলিয়ানা আলফাইম ডেভিল কিং কি আপনাকেও কিডন্যাপ করেছে?(আফরিয়েল)
.
–হ্যা অনেকটা সেরকমই।(আলিয়ানা)
.
–আর নিশ্চয় এই অসুস্থ মেয়ে দুটোকেও কিডন্যাপ করে এনেছে তার গোপন উত্তেজনা মিটানোর জন্য।(আফরিয়েল)
.
–বলে কি এই মেয়ে? আমি বলে রাখি আমি ঔরকম ছেলে না। আর এখানে যে মেয়ে পরে আছে তাদের মধ্যে এইজন লুসি দ্যা ফেইরী, কুইন অফ ড্রিম ওয়ার্ল্ড। আর এইটা তার ছোট বোন প্রিন্সেস লুসানা। আর আমি বলে রাখি আপনাকে ছাড়া আমি কাউকে কিডন্যাপ করি নি। এরা সবাই নিজের ইচ্ছায় এসেছে।(আমি)
.
–ও তাহলে আমি বুঝেছি, আমি আগে শুনেছি আগের ডেভিল কিং গুলো অনেক মেয়েদের তুলে নিজেদের শারিরীক চাহিদা পূরন করতো। তাহলে আপনি সেই টাইপের না। একটা মেয়ে হলেই আপনার হয়।(আফরিয়েল)
.
–আপনি ভুল বুঝতেছেন। আমার আপনার শরীরের প্রতি কোনো লোভ নেই। বরং আমি ভালোবাসি একজনকে।(আমি)
.
–এটা হতে পারে না। ডেভিল কিং তাহলে আমাকে ভালোবাসে? আমি এই অভিশাপ নিতে পারবো না। আমি আমার এই জীবন রাখতে চাই না।(আফরিয়েল)
.
–রানী আলিয়ানা আপনি কি সিওর এই পাগল মেয়েটা কিং মাইকেলের কন্যা?(আমি)
.
–হুমমম ম্যাজিক পাওয়ার দেখে তো সেটাই মনে হচ্ছে।(আলিয়ানা)
.
–দেখুন। আপনার এই কথাবার্তা বাদ দিন। আমার হ্যাভেনে যাওয়ার মূল কারন ছিলো আপনাকে খোজা। স্বপ্নের রানীর আহত শরীর আপনি দেখতেই পারছেন। উন্নত ম্যাজিকের প্রয়োজন তার শরীরকে ঠিক করতে। তারাতারি না করলে সে মারা যাবে। আর সে মারা গেলে কি হবে সেটা তো ঠিক মতো জানেন আপনি হয়তো।(আমি)
.
–স্বপ্নের রানী মারা গেলে মানুষ সহ আমাদের সকলের ঘুমের মধ্যে খারাপ স্বপ্ন দেখা দিবে। আর সেগুলোতে আমাদের ঘুম হবে না।(আফরিয়েল)
.
–হ্যা শুধু তাই নয়। লোকি তার নিজের একটা লোককে ড্রিম ওয়ার্ল্ডের কুইন বানাবে পরে। আর সেটা হলে আরো ভয়ানক কিছু হবে।(আলিয়ানা)
.
–ও এবার আমি বুঝতে পেরেছি। তাহলে আমাকে রানী লুসিকে ঠিক করতে হবে, আর তারপর আপনি আমাকে হ্যাভেনে দিয়ে আসবেন তাই তো?(আফরিয়েল)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–ঠিক আছে এটা তো আমার বা হাতের কাজ।(আফরিয়েল)
।।।।।
।।।।।
আফরিয়েল এবার লুসির পাশে একটা টুলে বসলো। আমি দাড়িয়ে দেখতে লাগলাম। আফরিয়েলের দুটো ডানা বের করে দিলো। সাধারন এন্জেলদের ডানা অনেক পাতলা আর সরু হয়। এন্জেল রাজাদের দশটা ডানা থাকে। কিন্তু তাদের ডানাগুলোও সরু হয়। কিন্তু আফরিয়েল এর মাত্র দুটো ডানা। কিন্তু এই দুটোই অনেক বড় এবং দেখতেও পাখির পালকের মতো মনে হয়। অনেক নরম ডানাগুলো, মনে হচ্ছে এখানে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকা যাবে। যাইহোক আফরিয়েল লুসিকে হিল করার সময় তার ডানাদুটো বের করলো, আর আমি সেটা দেখার সুযোগ পেলাম। ধরতে মন চাচ্ছিলো, কিন্তু সেটা ঠিক হবে না বুঝতে পারলাম।
.
–নিন আমি ড্রিম কুইনকে ঠিক করে দিয়েছি। এখন শুধু তার বিশ্রামের প্রয়োজন। কিছুদিন বিশ্রাম করলেই ঠিক হয়ে যাবেন তিনি। এবার আমাকে হ্যাভেনে পৌছে দিন।(আফরিয়েল)
.
–সেটা এখন সম্ভব নয়।(আমি)
.
–এখন হ্যাভেনে গেলে আপনার সেনা আমার উপরে হামলা করবে আর আমি সেটা চাই না। আপনি নিজেই টেলিপোর্ট হয়ে ফিরে যান।(আমি)
.
–ডেভিল কিং মনে হচ্ছে আপাতোতো আমার কাজ শেষ হয়ে গেছে এখানে। যুদ্ধের দিন আমার সৈন্য পেয়ে যাবেন আপনি। কিন্তু বলে দিচ্ছি আমার সৈন্য শুধু ডার্ক এল্ফসদের বিরুদ্ধেই লড়বে।(আলিয়ানা)
.
–হ্যা ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
রানী আলিয়ানা নিজে টেলিপোর্ট হয়ে চলে গেলো আলফাইমে। আর এখন আফরিয়েল আমাকে বলতে লাগলো,
.
–আমি টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করতে পারি না।(আফরিয়েল)
.
–কি? আপনি হ্যাভেনের থার্ড প্রিন্সেস আর আপনি টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করতে পারেন না?(আমি হাসতে লাগলাম)
.
–আমার বাবা কখনো চাই নি আমি হ্যাভেন থেকে কোথাও যায় তাই আমাকে শিখায় নি।(আফরিয়েল)
.
–তারপরও এটা অনেক হাস্যকর। আমি কিছুটা গুজব শুনেছি, পরবর্তী রানী নাকি আপনাকেই বানানো হবে, আর আপনি নিজে টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করতে পারেন না।(আমি)
.
–অনেক হয়েছে আপনার হাসাহাসি, আমি আর নিতে পারছি না। যদি এটা আন্ডারওয়ার্ল্ড না হতো তাহলে আপনাকে দেখাতাম।(আফরিয়েল)
.
–এখানে আপনার পুরো ক্ষমতা কাজ করবে না। আপনি যে স্পেলই ব্যবহার করেন না কেনো? সেটা যতটা ম্যাজিক পাওয়ার এর হবে তার অর্ধেক আমার ভিতরে চলে আসবে।(আমি)
.
–হ্যা এজন্যই তো আপনি আমাকে কিডন্যাপ করেছেন। আমি জানি আপনি কি ভাবছেন এখন? এই রুমে দুইজন তো বেহুশ হয়েই আছে। আর আমি একা সুন্দরী একজন এন্জেল। আর আমিই পরবর্তী রানী হবো। আপনি চাচ্ছেন আমাকে আপনার গোলাম বানাতে। আমার শরীর নিয়ে মজা করতে। কিন্তু আমি বলে দিচ্ছি আপনি আমার শরীর পেলেও মন পাবেন না।(আফরিয়েল)
.
–আপনার মাথার কয়েকটা ক্রু ঢিলা আছে জানেন। আপনি সুন্দর হলেও আমি ইন্টারেস্টেড নয় আপনার প্রতি একটু। তাই দয়া করে আমার মাথা ব্যথা করে লাভ নেই।(আমি)
.
–কি?(আফরিয়েল)
.
–দেখেন আমি আর নিতে পারছি না এতো কিছু। আমি লুসেফারকে বলছি আপনাকে হ্যাভেনে দিয়ে আসতে।(আমি)
।।।
।।।
আমি আর কথা বললাম না। লুসেফারকে আমি মাইন্ড কন্টাক করলাম। এটা এক ধরনের ছোট স্পেল। এতে করে আমার মনে যার চেহারা মনে থাকবে আমি আন্ডারওয়ার্ল্ডের মধ্যে তার সাথে কথা বলতে পারি মনে মনে। এটা বাইরে ও কাজ করে, এটা সবাই ব্যবহার করতে পারে না। পুরো দুনিয়ার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন এটা ব্যবহার করে থাকে। আমি লুসেফারকে এই স্পেলের মাধ্যমে জানালাম এন্জেল প্রিন্সেসকে হ্যাভেনে দিয়ে আসতে। আমি ওকে এখানে রাখতে পারতাম। কিন্তু মেয়েটা এখনো বাচ্চা। হয়তো রিয়েলিটি সম্পর্কে কিছু জানে না। আবার হয়তো সব জেনেই আবুল তাবুল বলছে, যায়হোক আমার মাথা আসলেই অনেক ব্যথা করছে। আজ অনেক স্পেল ব্যবহার করা হয়েছে। আর সেটার জন্য আমি আর ঠিকমতো হাটতেও পারছি না। কোনোমতে আমি আমার রুমের মধ্যে আসলাম। জেসি আর ক্যারেনের সাথেও দেখা হয়নি। ওরা হয়তো হ্যারির ট্রেনিং এর ঔখানে আছে। আর থরের সাথেও কথা হয়নি। কিন্তু এখন আমি নিজেই নরতে পারছি না। আমার আশেপাশের সব কিছু অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। আমি কিছুই দেখতে পারছি না। মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে গেছি আমি। ঘুমের মধ্যে আমি দেখতে লাগলাম, আমার মতোই দেখতে চারজন আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। আমি কিছু বলতে পারছি না। শুধু দেখেই যাচ্ছি। তারাও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ এক একজন এক একটা জিনিসে পরিনত হলো। একজন ডেভিল কিং ফর্মে, একজন এন্জেল কিং ফর্মে, একজন ভ্যাম্পায়ার ফর্মে, আর একজন পুরো ডিম্যান ফর্মে পরিনত হলো। আমি কখনো কোনো আসল ডিম্যানকে দেখি নি। আমার নিজের আসল বাবা একজন হাফ ডিম্যান, যার জন্য কেনো রিয়েল ফর্ম নেই। কিন্তু তারা ডিম্যানদের সকল ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু এখন আমার সামনে একজন আসল ডিম্যান। যার আকার একদম ইগড্রাসিলের আসল সাইজের মতো। আর বাকি দাড়িয়ে আছি আমি। আমি জানি না এখানে আমি কি? কিন্তু চারজন এক এক করে কথা বলতে লাগলো,
.
–কেমন আছো? মানুষ জ্যাক? আমি ডেভিল জ্যাক।(আমাকে বললো ডেভিল জ্যাক)
.
–ভালো থাকবে কিভাবে? আমাদের ছাড়া ভালো থাকা যায়? আমি এন্জেল জ্যাক।(এন্জেল জ্যাক)
.
–আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমাদের সাথে থাকতে কিন্তু আর হচ্ছে না আমার দ্বারা। একই শরীরে একজন এন্জেলের সাথে আমি থাকতে পারবো না আর। আমি হলাম ডেভিল কিং আর আমাকেই যদি শরীরের শেয়ার দিতে হয়।(ডেভিল কিং)
.
–গর্ব করো না। এটা ভুলে যেয়ো না আমার কাছে এন্জেল কিং এর ক্ষমতা রয়েছে। যদিও আমি হ্যাভেনের কিং না। আমার সাথে একই শরীরে থাকতে পারছো এটাই তোমাদের ভাগ্য।(এন্জেল জ্যাক)
.
–তাহলে হয়ে যাক লড়াই, যে জিতবে মানুষ জ্যাকের শরীর তার হয়ে যাবে চিরদিনের জন্য।(ডেভিল জ্যাক)
.
–আমি এই লড়াই টড়াই এর ভিতরে নেই। আমার শুধু কিছুটা রক্ত দিলে আমি মানুষ জ্যাকের শরীরের এক কোনায় বসে ঘুমাতে পারবে, কাউকে ডিসট্রাব করবো না।(ভ্যাম্পায়ার জ্যাক)
.
–দেখো আমি লড়তে চাই না। তেমরা সবাই আমার কাছে বন্ধুর মতো। আমি বন্ধুদের গায়ে হাত তুলতে চাই না।(ডিম্যান জ্যাক)
.
–এখানে কি হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না?(আমি)
.
–আচ্ছা কে মানুষ জ্যাকের শরীরে থাকবে সেটা সেই সিদ্ধান্ত নিক, আমাদের যুদ্ধের কোনো প্রয়োজন হবে না সেটার জন্য।(ভ্যাম্পায়ার জ্যাক)
.
–ঠিক আছে। তো মানুষ জ্যাক, দেখো ডেভিল জ্যাক তোমার শরীরে থাকলে তোমার মাথা কুড়ে কুড়ে খাবে, কারন সে সবসময় আমাদের জায়গাটাও দখল করতে চাচ্ছে। সে নিজেই তোমার শরীর চাচ্ছে। তাই তাকে বাদে আমাদের তিনজনকে চুজ করো। তাকে তোমার শরীরে রাখলে তোমার ভালোবাসা, তোমার পবিত্র চিন্তা সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। আগের ডেভিল কিং দের মতো হয়ে যাবে তুমি।(এন্জেল জ্যাক)
.
–অনেক হয়েছে, আমি জানি বাকি সবাই আমার সম্পর্কে সব খারাপ কথা বলবে, তাই আমি চাই না কোনো কথা বলতে। আমি নিজেই দখল করে নিবো মানুষ জ্যাকের শরীর।(ডেভিল জ্যাক)
।।।
।।।
এবার ডেভিল জ্যাক এর পুরো শরীর একটা কালো ধোয়ার মতো হয়ে গেলো। আর এন্জেল জ্যাকের আলো প্রায় একদম নিভে গিয়েছে,
.
–আমাকে মাফ করে দিয়ো। কোনো এন্জেল স্পেল ব্যবহার না করায় আমার ক্ষমতা একদমই কম হয়ে গেছে। আমি মনে হয় ডেভিল জ্যাককে থামাতে পারবো না।(এন্জেল জ্যাক)
।।।
।।।
ডেভিল জ্যাক এর অন্ধকার আমাকে গিলে ফেলছিলো। আমি নরতেও পারছি না, কথাও বলতে পারছি না। বুঝতে পারলাম আসলেই আমি এখন মানুষ। আমার করার মতো কিছুই নাই। হঠাৎ আকাশ থেকে একটা আলো দেখা দিলো, জানি না সেটা কিসের কিন্তু সেই আলোর জন্য এন্জেল জ্যাকের আলোও আস্তে আস্তে বারতে লাগলো, এন্জেল জ্যাকের আলোর জন্য ডেভিল জ্যাকের কালো অন্ধকার ধোয়ার মতো শরীর আস্তে আস্তে আসল ফর্মের মতো হয়ে গেলো,
.
–এখন নাহয় আমাকে থামাতে পেরেছো, কিন্তু একদিন দেইখো এই শরীরে শুধু অন্ধকারই থাকবে। আমি কোনো আলোকে এই শরীরকে স্পর্শ করতে দিবো না তখন।(ডেভিল জ্যাক ধমকের সুরে বলে উঠলো)
।।।
।।।
সাথে সাথে আমি ঘুম থেকে উঠে পরলাম। আমার উপরে বসে আছে আফরিয়েল, শুধু বসে না আমার ঠোটে ঠোট লাগিয়ে চুম্বন ও দিচ্ছে। আমি জানতাম এই মেয়ের একটা সমস্যা ছিলো কিন্তু আমাকে ঘুমের ঘোরে মারবে সেটা আমি জানতাম না। আমি একটা ধাক্কা দিয়ে দূরে ফেলে দিলাম। নিচে পরতে গিয়েছিলো কিন্তু দুটো ডানা বের করে উড়তে উড়তে ফ্লোরে দাড়ালো সে।
.
–কি করছিলেন আপনি? আমাকে মারতে চাচ্ছিলেন? নাকি রেপ করতে ছিলেন?(আমি রেগে বল্লাম)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। আর কেমন লাগলো জানাবেন।