ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ১৪ .

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ১৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
পানির টর্নেডোর ফলে আমার সামনের সমস্ত দেওয়াল গুলো ভেঙে গেলো। পুরো গোল একটা রাস্তা হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটা দেওয়াল ভেঙেছে সেটা আমি বুঝতে পারলাম। আমি আর দেরী করলাম না। আমার শরীর কাপড়ের থেকে অনেক বেড়ে গেছে, প্রথমত আমাকে নতুন জামাকাপড় পড়তে হবে। এভাবে শহরে ঘুরলে সেটা ঠিক হবে না। তাই আমি হাটতে লাগলাম। আমি জানি আমি যদি ভিতরের রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকি, তাহলে এই জায়গা থেকে কখনো বের হতে পারবো না। এখান থেকে বের হতে হলে আমাকে সব দেওয়াল ভেঙে বের হতে হবে। আমি আশা করছি যে আমি মাটির নিচে না এখন। যদি মাটির নিচে থাকি তাহলে দেওয়াল ভাঙা অনেক ক্ষতিকর হবে। কারন সমস্ত গুহার পাথর,মাটি আমার উপরেই পরতে পারে। আর সেটার জন্য আমাকে সতর্ক হতে হবে। আমি আগাতে লাগলাম। যে জিনিসটা আমাকে এখন ভাবাচ্ছে সেটা হলো আমি আদৌও কি আমার সময়ে আছি কিনা। কারন পাঁচ বছরের বেশী সময় ছিলাম আমি রুইনস অফ ড্রিমে। আর আমার মনে হচ্ছে এখানেও পাঁচ বছর কেটে গেছে। পাঁচ বছরে রাজ্যের সব কিছু বদলে গেছে হয়তো। কিন্তু তারপরও আমাকে সতর্ক থাকতে হবে। কারন শহরের কেউ আমাকে এখন চিনবে না হয়তো। আবার আমার কাপড় দেখে যতদূর মনে হচ্ছে আমার এখানের সময় এবং রুইনস অফ ড্রিমের সময় অনেক আলাদা। কারন আমার জামাকাপড় থেকে আমার শরীর বড় হয়ে গেছে। বৃদ্ধ লুসেফার আমার জামাকাপড়ের খেয়াল রেখেছে, তার স্পেলে জামাকাপড় আবার নতুনের মতো হয়ে যায় এবং শরীরের সাইজমতো বড় হয়। যাইহোক আমি এখন দুটো কনক্লুশনে এসেছি। প্রথমত হলো হয়তো আমার ব্যাগ এবং তলোয়ারের মতো আমার সাথে আমার আসল জামাকাপড় যায় নি সেখানে। দ্বিতীয়ত হয়তো আমি সেই সময়ের সাথে এই সময়ের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আর ভাবলাম না। আমি আমার রাস্তা আমার তলোয়ারের টর্নেডো এর সাহায্যে বানিয়ে নিলাম। এবং শেষমেষ গুহার মধ্য থেকে আমি বের হওয়ার রাস্তা বানিয়ে ফেললাম। এখন সময়ের সাথে কি সমস্যা হয়েছে সেটা ক্যাপিটালে ফেরত যাওয়ার পরই আমি বুঝতে পারবো। আমি রাস্তার শেষ প্রান্তে এসে দারালাম। নিজেকে বিশাল একটা পাহাড়ের উপরে আবিষ্কার করলাম। পাহাড়ের ঠিক মাঝ বরাবর একটা বড় গর্ত হয়ে গেছে। আমি দাড়িয়ে থাকলাম না আর। সোজা লাভ দিলাম। আমার জন্য অনেক উচু হয়ে গেছে লাফটা। কিন্তু এছাড়া কোনো উপায় দেখছি না।
.
–তুমি তো আসলেই পাগল। এতো উপর থেকে কেউ লাফ দেই?(ভ্যালি)
.
–এর থেকেও অনেক উচু থেকে লাফ দিয়েছি তোমাকে পাওয়ার জন্য। তাই এটা আমার জন্য হয়তো কিছুই না।(আমি)
.
–তারপরও। তখন তো পানিতে, আর এখন তো সোজা আকাশ থেকে পরছো।(ভ্যালি)
.
–তো কি? মাথায় বুদ্ধি থাকলে সবই করা যায়। যেহেতু আমার কাছে দুটো তলোয়ার আছে, আর বৃদ্ধ লুসেফারের দেওয়া ট্রেনিং চেক করা এর থেকে ভালো সময় আর হয় না(আমি)
।।।
।।।
আমি আমার পিঠ থেকে ভিরুদাকে বের করলাম। দুইহাতে দুটো তলোয়ার আমার কাছে। এবং দুটোই আমি পাহাড়ের গায়ে গেথে দিলাম। এবং সেটা পাথরের গায়ে ঢুকে গেলো। কিন্তু আমার পরার স্পিড অনেক বেশী বলে তলোয়ার দুটোও আমার পুরো স্পিড আটকাতে পারছে না। একদম মাটিতে পরার আগেই আমার পরার পুরো স্পিড কমে গেলো। আমি মাটির থেকে এক হাত উপরে রইছি। আমার তলোয়ার দুটো একদম শক্ত হয়ে পাথরের গায়ে গেথে গেছে। আমি টান দিয়ে সেগুলো বের করলাম। এবং দুটোই আমার ব্যাগের মধ্যে রেখে দিলাম।
.
–ওয়াও অনেক ক্লোজ ছিলো সেটা। একটু হলেই তো সব শেষ হয়ে যেতো।(আমি)
.
–এটাকে আবালামী বলে। এভাবে জীবনকে ঝুকিতে রাখে কেউ?(ভ্যালি)
.
–এটা কোনো কথা। জীবনকে ঝুকিতে না রাখলে শক্তিশালী হবো কিভাবে।(আমি)
.
–তুমি একদম কর্ডিলার মতো।(ভ্যালি)
.
–কর্ডিলা কে?(আমি)
.
–যে আমাকে মুক্ত করেছিলে, সেই প্রথম ছিলো যে আমার তলোয়ার ফর্মকে প্রথম উঠিয়েছিলো। এবং তারপর তুমি।(ভ্যালি)
.
–ওয়াও। আচ্ছা ভ্যালি ক্যাপিটালে যাচ্ছি আমি এখন আমি চাচ্ছি তুমি কোনো কথা বইলো না সেখানে।(আমি)
.
–হ্যা সেটা আমি জানি। দুটো ড্রাগনকে নিজের শরীরে নিয়ে কেউ ঘুরলে অবশ্যই পুরো রাজ্য ভয়ে থাকবে।(ভ্যালি)
.
–হ্যা।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি কোনোরকম আমার ব্যাগে থাকা কিছু আলাদা কাপড় দিয়ে আমার দুই হাত ভালো করে পেচিয়ে রাখলাম। মুখের মধ্যে মাস্কটাও কোনোরকম পেচিয়ে রাখলাম। আমি এবার শহরের মধ্যে প্রবেশ করতে যাবো, কিন্তু গেইটের সামনে আমাকে থামিয়ে দিলো। আমি এখান থেকেই সব বুঝে গেলাম অনেক সময় কেটে গেছে। কারন আমি গেইটের সামনে এবং ভিতরে অনেক পরিবর্তন দেখতে পেলাম। শহরের ঢুকার গেইটে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন সিকিউরিটি অনেক উন্নত হয়েছে সেই সাথে শহরও। আর আমাকে দেখলে তো যেকেউ সন্দেহ করবে। কারন আমার সাইজের থেকে আমার জামাকাপড় অনেক ছোট। আর এছাড়াও অনেক সময় পার হয়েছে এখানেও। এর মধ্যে আমাকে কেউ চিনবেও না এখানে। তারপরও ভিতরে যাওয়ার একটাই সুযোগ আমার। আমি আমার চেকআপের সময় আর্কাইবের আইডি কার্ড দেখিয়ে দিলাম। যেটা অনেকটা কাজে দিয়েছে। কিন্তু সকলে আমার দিকে সন্দেহের নজরে দেখছিলো। আমাকে তারা কিছু না বলেই ঢুকতে দিয়েছে ভিতরে। যাইহোক আমি এদিকে আর নজর দিলাম না। আমার ব্যাগে কিছু অর্থ রয়েছে আমি সেগুলো নিয়ে সোজা জামা কাপড় কিনতে চলে গেলাম। আসলেই আমার এখন লজ্জা লাগছে ছোট জামা কাপড় পরে এভাবে শহরে ঘুরতে। শুধু সেটা নয় মাস্ক এবং হাতের ব্যান্ডেজ কাপড় গুলোও আমার শরীরে আজব লাগছে এখন। কারন আমার শরীর অনুযায়ী আমার জামা হয় নি। আমি আর সময় দেরী না করে সোজা চলে গেলাম নিজের জামা কিনতে। জামা কেনার পর একটা ডয়ারফস এর দোকানের দিকে পা দিলাম। অবশ্য ভিরুদার জন্য তার কাভার রয়েছে, কিন্তু ভ্যালির জন্যও একটা সুন্দর একটা কাভার কিনতে হবে।
।।।
।।।
আপাতোতো শহরে ঠিকমতো থাকার মতো গেটআপ আমার হয়ে গেছে। কিন্তু অসুবিধা হলো আমার থাকা নিয়ে। আমি তো আগে ছিলাম প্যালেসে। কিন্তু প্যালেসে কি আমাকে মেনে নিবে। আর আমি এমনিতেও সেই জেনারেলের কাছে আর ফিরে যেতে চাই না। একজন সৈনিক হওয়ার ইচ্ছা আমার অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। সৈনিক মানেই আমাকে অন্যের গোলামী করতে হবে সারাজীবন। আর আমি সেটা সব সময় মেনে নিতে পারবো না। আমি থাকবো কোথায় এটা ভাবতে ভাবতে আমি হারিয়ে গেলাম। এতোক্ষন আমার নজর ছিলো না আমি কোথায় যাচ্ছিলাম। তাই আমি কোথায় চলে এসেছি সেটা বুঝতেই পারছি না। যায়হোক এখানে তেমন লোকজন দেখতে পাচ্ছি না। হঠাৎ আমি লক্ষ করলাম কারো চিল্লানোর শব্দ। চিল্লানোর শব্দটা সামনে একটা গলি থেকে এসেছে। আমি কোনো কিছু না ভেবেই দৌড় দিলাম। একটা মেয়ের চিল্লানোর শব্দ শুনেছি আমি। জানি না কি হচ্ছিলো। কিন্তু যাওয়ার পর আমি দেখে অবাক। সেখানে দাড়িয়ে আছে হ্যারি, লুসি এবং লুসানা। লুসির শরীর দিয়ে ব্লাড বের হচ্ছে, আর লুসানা তাকে হিল করছে। হ্যারি দুজনকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি কাউকে সেখানে দেখতে পেলাম না। হঠাৎ মাথার উপরের উপর থেকে আমি কিছু ছুড়ি ওদের দিকে যেতে খেয়াল করলাম। হ্যারির সেদিকে নজর নাই। আমি বুঝতে পারলাম তারা সেটাই আহত হবে। তাই আমি ভিরুদাকে সেদিকে ছুরে মারলাম। লুসেফারের দেওয়া ট্রেনিং এর মধ্যে এটাও একটা। আমি আমার তলোয়ার দিয়ে যেকোনো জিনিসকে আটকাতে পারি, তবে সেটার আকার আমার তলোয়ারের ব্লেডের প্রস্থ্যের থেকে ছোট হতে হবে। বড় হলে একটার বেশী সম্ভব না। ভিরুদা একদম ঠিক জায়গা মতো পৌছে গেলো। আর ছোট ছোট সবগুলো ছুড়ি ভিরুদার ব্লেডের সাথে লেগে হ্যারিদের পাশ দিয়ে চলে গেলো। আর ভিরুদা একদম দেওয়ালে গেথে গেলো। আমি এবার সামনে এগিয়ে গেলাম। এবং ভিরুদাকে দেওয়াল থেকে বের করলাম। আমি ওদের তিনজনের সামনে দাড়ানোর পর হ্যারি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। হয়তো আমার জামাকাপড়ের স্টাইল দেখে চিনতে পেরেছে আমি কে। কারন আমি আবারো মাস্ক পরে আমার নাক পর্যন্ত ঢেকে রেখেছি। এবং দুইহাতে ব্যান্ডেজ কাপড় দিয়ে পেচিয়ে রেখেছি। আর আমার তলোয়ারটাও হ্যারি আগে দেখেছে। তাই চিনতে ভুল করলো না।
.
–জ্যাক। সত্যি তুমি জ্যাক। এতো কাল পর তাহলে তুমি নিজের দেখা দিলে, কেমন বন্ধু তুমি?(হ্যারি)
.
–অনেক কিছু হয়ে গেছে এর মাঝে। পরে সেগুলো বলবো। কিন্তু এখানে এখন কি হচ্ছে?(আমি)
.
–আমাদের সাথেও অনেক কিছু হয়েছে, পরে আমিও সময় মতো বলবো। কিন্তু আসল কথা হলো ঔ লোকটা আমাদের তিনজনকে মারতে এসেছে সোজা জেনারেলের আদেশে।(হ্যারি)
.
–কি??? জেনারেলের আদেশে?(আমি)
.
–হ্যা। অবশ্য এটা ঠিক সময় না সব কিছু বলার কিন্তু….(হ্যারি)
.
–আর কিছু বলতে হবে না হ্যারি। আমি সব কিছু বুঝে গেছি। জেনারেল আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যায়হোক আসল কথায় আসা যাক। কে আপনি? নিজের মুখ দেখাতে পারেন এখন।(আমি)
।।।
।।।
আমার কথা বলার পর লোকটা উপর থেকে নিচে নেমে গেলো। আজব একটা লোক। পুরো মুখই মাস্কের মাধ্যমে ঢাকা। লোকটা বলতে লাগলো,
.
–আমাদের ইউনিটের সবাই কোড নাম ব্যবহার করে। আমার নাম এবি২৯। আমি একজন গুপ্তঘাতক। জেনারেলের আদেশে আমি এসেছি হ্যারি, লুসি এবং লুসানা এর জীবন শেষ করতে। আমার রাস্তা মধ্যে তুমি আসলে তোমার নামও লিস্টে যোগ হবে।(লোকটা)
.
–সেটা দেখা যাবে। আমার বন্ধুদের স্পর্শ করার আগে প্রথমে আমার থেকে যেতে হবে।(আমি)
.
–তলোয়ের একটা দুটো টেকনিক শিখে নিজেকে খুব বড় মনে করো না। কারন একটু আগেই বুঝতে পারবে তোমার জায়গা ঠিক আমার পায়ের নিচে।(লোকটা)
।।।
।।।
লোকটার কথায় আমার মাথা গরম হয়ে গেলো। আমি ভ্যালিকে ব্যবহার করলাম না। কারন আমি চাইনা এটার কোনো পাওয়ার এখানে দেখাতে। ভিরুদা এখনো ঘুমে আছে, মানে ওর দ্বারা আমার কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু ভিরুদাও ভ্যালির মতো জাগলে আমাকে সাধারন একটা তলোয়ারও সাথে রাখতে হবে। কারন আমি জানি ড্রাগনের পাওয়ার কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। আমাকে শুধু ট্রেনিং করতে হবে সেগুলো মাস্টার করতে।
।।।
।।।
লোকটা কোনো সময় নষ্ট করলো না। হাত দিয়ে ম্যাজিকাল ছুড়ি বানিয়ে ফেললো। আমি বুঝলাম না এতো সহজেই ধারালো ছুড়ি কিভাবে বানাচ্ছে। আর একটা দুটো না। একসাথে দশ-বিশটা বানাচ্ছে। এবং সেটা আমার দিকে ছুড়ে মারছে। আমি সবগুলোই এক একটা স্লাইস দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছি। তবে আমার ডান হাতের জন্য এটা বেশী হয়ে যাচ্ছে। কারন লোকটা থামার নামই নিচ্ছে না। আমাকে একন একটা জিনিসই করতে হবে। লোকটার একদম কাছে যেতে হবে, এবং এক স্লাইস দিয়ে কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু সেটার জন্য এই ছুড়ি গুলোর কিছু করতে হবে। আমি ভ্যালিকে ব্যবহার করলে এটা খুব সহজেই শেষ করতে পারতাম। কারন ভ্যালিকে দিয়ে দূরের কাউকে আক্রমন করা যাবে। কিন্তু ভিরুদা যেহেতু ঘুমে, তাই ওর কোনো ক্ষমতা আমি ব্যবহার করতে পারবো না। আপাতোতো আমাকে আমার টেকনিক এর উপরে নজর রাখতে হবে। লুসেফার এমন সময়ে খুব ভালো একটা স্পেল ব্যবহার করতো। আমি যখনি তাকে কর্নারে ফেলে দিতাম তখনি সে সোর্ড সামান স্পেল ব্যবহার করতে। এতে মাটির নিচ থেকে লোহার ধারালো হাজার হাজার তলোয়ার আমার দিকে বের হয়ে আসতো। অবশ্য সেটা আমাকে আক্রমন করার জন্য ব্যবহার করতো না। কিন্তু যেকাউকে এটা দিয়ে হত্যা করা ব্যাপার না। এখন আমি স্পেল ব্যবহার করতে পারলে অবশ্যই এটা ব্যবহার করতাম। কিন্তু আপাতোতো আমাকে শুধু আমার টেকনিকের সাহায্যই নিতে হবে। আমি আমার ডান হাতের তলেয়ারটা হঠাৎ একদম উপরের দিকে তুলে ধরলাম। এবং আমার চোখ সোজা লোকটার চোখের দিকে দিলাম। সাথে সাথে আশে পাশের সব কিছু থেমে গেলো। এটা মাত্র দুই সেকেন্ডের জন্য কাছ করে। এটা একটা গোপন টেকনিক। বৃদ্ধ লুসেফার তার সারাজীবনের ট্রেনিং এর মাধ্যমে মাত্র পাঁচ সেকেন্ড সময় আটকাতে পারতো। কিন্তু আমি পাঁচ বছরে মাত্র দুই সেকেন্ডই আটকাতে সক্ষম হয়েছি। এই টেকনিক আশে আমার শত্রুকে কিছু সেকেন্ডের জন্য স্টপ করে দেই একদম। তাই এটাকে টাইম স্টপ টেকনিকও বলা হয়ে থাকে। মূলত এটা সময়কে আটকায় না। বরং নিজের বিরুদ্ধে যে দাড়াবে তার পুরো শরীর এবং আক্রমনকে আটকাবে। যদিও সে কোনো কিছু নিক্ষেপ করে থাকে সে জিনিসটাও এই দুই সেকেন্ডের জন্য থেমে যাবে। আমি সময় নষ্ট করলাম না আর। কারন আমার মুভমেন্ট স্পিডও এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমি আমার সামনে থাকা সব গুলো ছুড়িগুলোকে আঘাত করে দুইপাশে পাঠিয়ে দিলাম। সেগুলো অনেকটা হাওয়ায় ভাসছিলো। এবং সোজা ভিরুদা দিয়ে লোকটার পেট বরাবর একটা স্লাইস দিয়ে পিছনে চলে গেলাম। আর এই দিয়ে দুই সেকেন্ড সময় শেষ হয়ে গেলো। লোকটা সহ হ্যারি, লুসি এবং লুসানা সবাই অবাক হয়ে গেলো। কারন এই টেকনিক শুধু লোকটাকে নয় বরং তাদেরকেও আটকে দিয়েছিলো দুই সেকেন্ডের জন্য। অবশ্য এটা একটা ছোট এরিয়ার মধ্যে কাজ করে। আর ওরা তিনজন সেই এরিয়ার মধ্যেই ছিলো। এই টেকনিকটার জন্য শরীর থেকে ম্যাজিক পাওয়ার বের হয় এবং সেগুলো আশে পাশের সামান্য এরিয়ার সবকিছু আটকে ধরে। মূলত এটার জন্য অনেক পরিমান ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয়। কিন্তু এতোদিনের ট্রেনিং এর ফলে আমি এই টেকনিক দিনে পাঁচ বারের বেশী ব্যবহার করতে পারি না। কিন্তু বেশী ট্রেনিং এর ফলে হয়তো সেই সংখ্যা অনেক বারবে। অবশ্য আমার শরীর এখন দ্রুত না হলে আমি এই টেকনিক কখনো শিখতে পারতাম না। অবশ্য দুই সেকেন্ড কাউকে হারানোর জন্য যথেষ্ট কিন্তু শরীর যদি স্পিডের সাথে না কুলাতে পারে তাহলে দুই সেকেন্ডেও কিছুই হয় না। লোকটা নিচে পরে গেলো। কিছু আর বললো না। আমার মনে হচ্ছে বেহুস হয়ে গেছে কিংবা মারা গেছে। যাইহোক আমি হ্যারিদের কাছে চলে গেলাম। ওরা একদম অবাক হয়ে রয়েছে।
.
–ঔটা কি ছিলো? একদম মুহুর্তের মধ্যে তুমি এখানে ছিলে আর সাথে সাথে তুমি ঔখানে চলে গেলে আর লোকটাও পরে গেলো।(লুসি)
.
–বেশী কিছু না। ঔটা একটা তলোয়ার টেকনিক ছিলো।(আমি)
.
–অনেক দারুন ছিলো ঔটা।(হ্যারি)
.
–জ্যাককক্।(লুসানা জোরে চিল্লিয়ে উঠলো)
।।।
।।।
আমি প্রথমে বুঝলাম না ও কেনো চিল্লিয়ে উঠলো কিন্তু আমার পিঠ থেকে সাদা হাত বের হওয়াটা অনুভব করে আমি বুঝতে পারলাম কিছু একটা খারাপের দিকে। আমার পিঠ থেকে এবার বারোটা হাত বের হয়েছে শুধু। আর এগুলো আমাদের চারিদিকে একটা ঢালের মতো করে ধরলো। আর সেটায় কয়েকশত ছুড়ি এসে গেথে গেলো। মুহুর্তের মধ্যেই এই মিস্ট্রিয়াস হাত গুলো আমাদের বাচিয়ে ফেললো। ছুড়ি গুলো ও লোকটা মেরেছিলো। আমি ভেবেছিলাম হয়তো মারা কিংবা বেহুস হয়ে গেছে। কিন্তু সেটার সুযোগ নিয়ে পিছন থেকে হামলা করেছে আমাদের উপর। আমাকে দেখে এবার সত্যিই ভয় পেয়ে গেলো। শুধু একটা জিনিসই বললো, সেটা হলো “মনস্টার”।
।।
।।
এবার সত্যি সত্যি মারা গেছে। কারন তার ছুড়ি গুলো আমার হাত গুলো তার শরীরেই ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমি চাই নি মারতে তাকে। কিন্তু আমার এই হাতগুলোকে আমি কন্ট্রোল করতে পারি না। হ্যারি আমাকে বলতে লাগলো।
.
–তোমাকে তিন বছর পর দেখে কতটা খুশি আমরা সেটা বলতে পারবো না। কিন্তু আবারে আগের মতো আমাদের জীবন বাচানোর জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।(হ্যারি)
.
–কি বললা? তিন বছর! তাহলে আমি তিন বছর যাবৎ গায়েব ছিলাম?(আমি)
.
–হ্যা কেনো তোমার মনে নেই?(হ্যারি)
.
–হয়তো সময় ঠিক রাখি নি আমি৷ যায়হোক শুধু তিনবছর হয়েছে এজন্য আমি খুশি।(আমি)
।।।
।।।
আমি একজনকে হত্যা করলাম, এজন্য আমার তেমন খারাপ লাগছে না। একটু মায়া আসার দরকার ছিলো। কিন্তু কেনো জানি হত্যা করাটা ভালোই লেগেছে, আর আমি বুঝতে পারলাম রুইনস অফ ড্রিম এবং এখানের সময় একটু আলাদা। সেখানে একটু তারাতারি চলে সময় এখান থেকে। এজন্য সেখানে পাঁচবছর সময় গেছে, কিন্তু এখানে মাত্র তিনবছর। যাইহোক, অনেক রহস্য বাকি যেগুলো আমাকে বের করতে হবে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরের পর্বের জন্য। কোনো বিষয় না বুঝতে কমেন্ট কিংবা ইনবক্স করুন। ও হ্যা, কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here