ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ১৫ .

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ১৫
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
প্রথমত আমি বুঝতে পারছি না জেনারেল কেনো হ্যারিদের উপরে হামলা করার আদেশ করেছে। হ্যারি আমাকে সাথে করে একটা সিক্রেট জায়গায় চলে গেলো। মূলত জায়গাটা এই গলির শেষের দিকে। একটা বাসার দেওয়ালের গায়ে হ্যারি হাত দিলো আর সাথে সাথে বাসার নিচে একটা সিড়ি চলে গেলো। আমরা সেটার ভিতরে চলে গেলাম। ভিতরে একটা বাসার মতো জায়গা।
.
–আপাতোতো এক বছর যাবৎ আমরা এখানেই আছি।(হ্যারি)
.
–এখানে? এক বছর যাবৎ পালিয়ে আছো?(আমি)
.
–হ্যা। জেনারেল আমাদেরকে রাজ্যের বিদ্রুোহী ঘোষনা করেছেন। এমনকি আমাদের মাথায় বাউন্টিও দিয়ে দিয়েছে।(লুসি)
.
–বাউন্টি?(আমি)
.
–হ্যা। আমাদের তিনজনের মাথার উপরে দশ হাজার স্বর্ন মুদ্রার বাউন্টি রয়েছে। এজন্য আমাদের এভাবে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু খাবারের জন্য তো আমাদের বের হতেই হয়। আর তখনি ঔ লোকটা আমাদের উপরে আক্রমন করে।(লুসানা)
.
–এলির কি হয়েছে?(আমি)
.
–সব কিছু এলিকে নিয়েই ঘটেছে।(হ্যারি)
.
–এটা বইলো না যে এলি মারা গেছে?(আমি)
.
–না আগে সব কাহিনী শুনো। তিনবছর আগে আমাদের মিশন ছিলো যে দুই বছর আমাদের ক্যাপিটালে থাকতে হবে, এবং সেটার জন্য আমাদের ক্যাপিটালে থাকার ব্যবস্থা করবে। তোমাদের খবর আমি জানি না। কিন্তু লুসি, লুসানা এবং আমাকে একটা কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে আধুনিক সব রকম অস্ত্র বানানো হয়। আমাদের তো প্রথমেই বলা হয়েছিলো আমাদের সুন্দর একটা জীবন দেওয়া হবে দুই বছরের জন্য। কিন্তু আমাদের তিনজনকে পাঠানো হয়েছিলো কাজ করার জন্য। সেই কারখানাটা উচ্চলেভেল মিলিটারী অফিসারদের নিয়ন্ত্রনে ছিলো, তাদের নিয়মকানুন অনেক কড়া ছিলো, আমরা তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম আমাদের এখানে কেনো আনা হয়েছে, তখন তারা শুধু বলেছিলো সে আমাদের জন্য জেনারেল এটাই নতুন মিশন ঠিক করেছিলো। আমরা দুই বছর সেখানেই কাজ করেছি। কিন্তু এরমাঝে তোমার এবং এলির থেকে কোনো খোজই পাই নি আমরা। অফিসারদের বললেও তারা কোনো কিছু বলতো না।(হ্যারি)
.
–তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা সেই জায়গা থেকে পালাবো, এবং তোমাদের খোজ করবো। তাই আমরা তিনজন সেটাই করি। আমরা শত চেষ্টা করেও তোমাকে এবং এলিকে ক্যাপিটালের কোথাও খুজে পাই নি। তখনি একদিন আমাদের দেখা হয় এলির সাথে। ওকে দেখে আমরা প্রথমে চিনতেই পারি নি। বিশ ত্রিশটা গার্ড সাথে নিয়ে শহরের একটা দুঘর্টনার জায়গায় দাড়িয়ে ছিলো ও। আমরা দুইজন সাহস পাইনি ওর সাথে কথা বলার, কিন্তু হ্যারি গিয়েছিলো ওর সাথে কথা বলতে।(লুসি)
.
–আমার এলিকে দেখে ওর সাথে কথা বলতে চলে গেলাম। কিন্তু সাথে থাকা সমস্ত গার্ডগুলো আমার উপরে আক্রমন করলো ওর সাথে সোজা কথা বলতে চাওয়ার জন্য। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো কোনো বড় অফিসার হয়ে গেছে এলিহা। কিন্তু পরে আমি অবাক হয়ে গেছি। ওর সাথে থাকা সকল গার্ড এলিকে প্রিন্সেস বলে সম্বোধন করছিলো। আমাদের তিনজনের মাথায়ই তখন বাজ পরেছিলো যে ও প্রিন্সেস এ জন্য। এলি তখন ওর গার্ড গুলোকে থামতে বলে আমাকে দেখে। আমাদের তিনজনের কাছেই অনেক প্রশ্ন ছিলো এলিহার জন্য তখন। কিন্তু কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারি নি আমরা। আমরা ক্ষমা চেয়ে সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলাম। আর তখনি একদল গুপ্ত ঘাতক এলিহার উপরে আক্রমন করে। যেহেতু আমরা ঔখানে সন্দেহজনক ছিলাম তাই আমাদের আটক করতে চাইছিলো তারা, কিন্তু আমরা জানতাম সেখানে আমাদের কোনো কথা কাজে দিবে না। রাজ্যের সবচেয়ে বড় অন্যায় হলো রাজা কিংবা তার বংশের কারো উপরে আক্রমন করা। কোনো কথা ছাড়ায় মৃত্যু হবে। আমরা তিনজনই ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসি। আর তার পরের দিনই পুরো শহরে আমাদের পোস্টার ছড়িয়ে যায়। আমাদের মাথায় বাউন্টিও দিয়ে দেই। এর পর থেকে বিভিন্ন বাউন্টি হান্টার, মিলিটারী এবং আর্কাইবের সদস্য আমাদের খুজে বেরাচ্ছে।(হ্যারি)
.
–ওওও বুঝতে পেরেছি। তাহলে আমাদের এলি একজন প্রিন্সেস। আমি প্যালেসে থাকার সময়ে তো কখনো ওকে দেখি নি।(আমি)
.
–কি তুমি প্যালেসে ছিলে?(লুসি)
.
–হ্যা। আমার জায়গা প্যালেসে করে দিয়েছিলো জেনারেল। আর তিনি আমার বাবা বলে দাবি করেছিলেন।(আমি)
.
–কি???? জেনারেল তোমার বাবা?(আমি)
.
–এটা সে দাবী করেছিলো। কিন্তু আমি এটা মানি না। আমার আগের কোনো স্মৃতি নেই তাতে কি? আমার এটুকু মনে হচ্ছে আমি কখনো আমার বাবার চেহারা দেখি নি। যাকে আমি কখনো দেখি নি তাকে হঠাৎ বাবা বলে স্বিকার করাটা অস্বাভাবিক।(আমি)
.
–তারপরও তুমি জেনারেলের সাথে কথা বলতে পারবে না? যদি আমাদের শাস্তিটা মাপ করে দিতো। আমরা তে কিছুই করি নি।(লুসি)
.
–না সেটা হবে না এখন, আমরা বের হলেই আমাদের মেরে ফেলবে, আমরা হার মেনে নিলেও আমাদের গ্রেফতার করবে না তারা।(হ্যারি)
.
–দেখো আমার কাছে ভালো একটা প্লান আছে।(আমি)
.
–কি প্লান?(লুসানা)
.
–আমাদের স্বাভাবিক টিম পুরো হয়ে গেছে। এলি না থাকলেও এলির জায়গা আমি পূরন করতে পারবো।(আমি)
.
–তুমি কি মিলিটারিতে যোগ দেওয়ার কথা বলছো? কিন্তু সেটা কিভাবে? আমরা পুরো রাজ্যের জন্য এখন সন্ত্রাসী।(লুসি)
.
–আগে ওর কথা পুরো শুনি আমরা। আমি জানি জ্যাক কোনো ভালো প্লান বের করবে এখন।(হ্যারি)
.
–আমাদের তো একটা টিমের জন্য সিলেক্ট করা হয়েছিলো। সেজন্য একটা টিমের মতোই থাকবো আমরা। তবে সেটা মিলিটারির ব্যবহারের জন্য না। আমি প্যালেসে প্রায় বেশ কিছু দিনের মতো ছিলাম। এবং সেখানে থেকে আমি রাজ্যের অনেক খবর জানতে পেরেছি। মূলত আমাদের রাজ্য বাকি দুটো রাজ্যের থেকে বেশী শক্তিশালী থাকতে সব সময়। বাকি দুই রাজ্য সব সময় একে অপরের সাথে যুদ্ধে মেতে থাকে। কিন্তু তারা দুটোই আমাদের রাজ্যের মিলিটারি পাওয়ারকে অনেক ভয় পায়। আর বর্তমানে বাকি দুই রাজ্যও শক্তিশালী হচ্ছে, আর সেটার ফলে আমাদের রাজ্য আরো ক্ষমতা অর্জন করতে চাচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন ধরনের গবেষনা করা হয়। মূলত গবেষনা গুলো একটা লোককে কিভাবে বেশী শক্তিশালী করা যায়। এই গবেষনার ফলে তারা ছোট ছোট বাচ্চাদের মাঝে বড়দের মতো পাওয়ার ট্রান্সফার করতে সক্ষম হয়েছে। আর যার ফলে আমরা অনেক কমবয়সী শক্তিশালী অফিসার দেখতে পেয়েছি। এছাড়াও অনেক গোপন ইউনিট রয়েছে যারা অনেক দিক দিয়ে শক্তিশালী। এখানে আমরা মানছি একটা রাজাই সব কিছু রাজ্যের জন্য। কিন্তু আমাদের রাজ্যের জন্য সেটা না। আমাদের রাজা সারাদিন যুবতী মেয়েদের সাথে রসমজ্জায় ব্যস্ত থাকে। আর রাজ্যের সকল কাজ করে থাকে আমাদের জেনারেল।(আমি)
.
–এখন আমরা কি করবো?(হ্যারি)
.
–যেহেতু আমাদের বিদ্রোহী ঘোষনা করা হয়েছে তাই আমরা বিদ্রোহীই হবো।(আমি)
.
–কিন্তু তোমাকে তো বিদ্রোহী ঘোষনা করা হয় নি। তুমি তো এসবের মধ্যে ছিলেই না।(লুসি)
.
–হ্যা ছিলাম না। কিন্তু আমার বন্ধুরা যখন এর মাঝে ঢুকে গেছে ঠিক সেই মুহুর্তেই আমিও হয়ে গেছি।(আমি)
.
–আমি তোমার প্লান ঠিক মতো বুঝতে পারছি না।(হ্যারি)
.
–দেখো আমরা আপাতোতো চারজন আছি। আমরা চারজন এখন একটা বিদ্রোহী টিম বানাবো। যার মূল কাজ থাকবে রাজা এবং জেনারেলের বিরুদ্ধে কাজ করা। রাজা নিজের রাজ্যের জনসংখ্যা ঠিক রাখার জন্য অনেক সময় পুরো একটা শহরকে শেষ করে দেই। আর সেরকম একটা মিশন আমরা প্রথমেই পেয়েছিলাম। আমাদেরকে বলা হয়েছিলো তারা রাজ্যের শত্রু। রাজ্যের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কিন্তু তারা একদম নিষ্পাপ ছিলো। রাজার আদেশেই এভাবে একটা একটা করে শহরের জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলা হয়।(আমি)
.
–এতোকিছু তুমি জানলে কিভাবে?(লুসি)
.
–কিছুদিন প্যালেসে থাকার ফলে অনেক তথ্যই আমি পেয়েছি।(আমি)
.
–ও তুমি এখন এটার বিরুদ্ধে কিছু করতে চাচ্ছো?(হ্যারি)
.
–হ্যা। শুধু তাই না। রাজা মূলত তার সকল প্রজাকেই লুট করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। মিলিটারি আইন সব জেনারেলের কাছে থাকলেও, অর্থের সব দিকটাই রাজা নিজে দেখে থাকেন। পুরো রাজ্যের মধ্যে ট্যাক্স সমান করে দেওয়া হয়েছে। ক্যাপিটালের যে ট্যাক্স সেটা পুরো রাজ্যের শহরগুলোকে দিতে হয়। আর এর ফলে অনেক শহর না খেয়ে মরছে।(আমি)
.
–তো তুমি চাইছো এটার বিরুদ্ধে কিছু করতে?(হ্যারি)
.
–হ্যা। প্রতিবারের মতো এটা করতেও আমি দুইটা রাস্তা দেখছি। প্রথমত হয়তো আমাদের বর্তমান রাজাকে তার আসন থেকে সরাতে হবে যেটা অসম্ভব। আর দ্বিতীয়ত, আমাদের চতুর্থ রাজ্য বানাতে হবে যেখানে এসব লোকদের আমরা আশ্রয় দিবো যেটা আরো অসম্ভব।(আমি)
.
–তাহলে কি করবো আমরা?(হ্যারি)
.
–দুটো ছাড়া কোনো রাস্তা আমি দেখছি না। আর কোনটা সিলেক্ট করবো সেটাও ভাবতে পারছি না। তাই ভেবে ফেলছি দুটোই করবো।(আমি)
.
–রাজাকে সিংহাসন থেকে সরানো এবং নতুন আরেকটা রাজ্য তৈরী এটা তো আমাদের চারজনের দ্বারা কখনো সম্ভব না।(লুসি)
.
–হ্যা। সেটার চিন্তা করতে হবে না। চিন্তা ভাবনার কাজ সব আমার উপরে ছেড়ে দাও।(আমি)
.
–তো এটাই কি তুমি গত তিন বছর যাবৎ চিন্তা করছো?(লুসানা)
.
–আসলে সত্য বলতে, তোমাদের সাথে দেখার পরই আমি এটা ভাবলাম।(আমি)
.
–কি??? তাহলে কখনো হবে। আমাদের মতো টিম দ্বারা রাজার সামনে যাওয়ায় তো সম্ভব না। আর তো তাকে সিংহাসনচ্যুৎ করা, সেটা অম্ভব।(লুসি)
.
–আমি জ্যাককে বিশ্বাস করি। কারন ওর প্লানই আমাকে অনেকবার বাচিয়েছে। তাই আমি আমার জীবন জ্যাকের নাম করে দিলাম। ও যা বলবে আমি তাই করবো।(হ্যারি)
.
–কিন্তু হ্যারি।(লুসানা)
.
–তো তুমি কি তোমার শহরের প্রতিশোধ নিবে না? নাকি রাজা এবং জেনারেলকে এভাবেই তাদের শাসন করতে দিবে?(হ্যারি)
.
–প্রতিশোধ?(আমি)
.
–তোমাকে তো বলা হয়নি। আমাদের খোজার জন্য আমাদের শহরেও মিলিটারি গিয়েছিলো, যারা আমাদের এবং লুসিদের পুরো শহরকে হত্যা করে ফেলে, তাদের মধ্যে আমাদের পরিবার, আত্মীয়- স্বজন সবাইকে।(হ্যারি)
.
–দেখো আমি তোমাদের কাউকে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলছি না। আমরা প্রতিশোধ নিবো না। বরং এরকম অন্য কারো সাথে না হয়, সেটা আমরা ঠিক করবো।(আমি)
.
–হ্যা আমরা দুই বোনও রাজি। আমরাও রাজা এবং জেনারেলের পতন দেখতে চাই।(লুসি)
।।।
।।।
তিনজনের মধ্যেই আমি একটা রাগের আগুন দেখতে পেলাম। তাদের শহরের সাথে যা হয়েছে সেটা শুনে আমি নিজে অনেকটা দুঃখ পেলাম। আমি প্যালেসে থাকতেই রাজা এবং জেনারেলের অনেক কালোকর্ম সম্পর্কে জেনেছিলাম। কিন্তু তখন আমি সেগুলো সম্পর্কে কোনো মনযোগ দেই নি। কিন্তু এখন ব্যাপারটা আলাদা। তারা তাদের সীমা ছাড়িয়ে ফেলছে। আমি এটাকে বেশীদিন চলতে দিতে পারবো না। যদিও আমার কাছে দুটো ড্রাগন রয়েছে, এটা দিয়ে একটা রাজ্যের বিরুদ্ধে যাওয়া কখনো সম্ভব না। কারন ড্রাগনগুলো তাদের আসল ফর্মে নেই এখন। মূলত আমার মনের মধ্যে এখন গুপ্ত যুদ্ধের প্লান আসছে শুধু। আমার মাথা অনেক তারাতারি চলে, যেকোনো একটা পরিস্থিতিতেই আমি খুব সহজে প্লান বানিয়ে ফেলতে পারি। আর আমাকে শক্তিশালী হতে হলে মূলত আসল যুদ্ধে যেতে হবে যেখানে লক্ষ লক্ষ সৈন্যের যুদ্ধ হয়। এটা অবশ্য লুসেফারের কথা ছিলো। যত শত্রু আমার ব্লেড দিয়ে হত্যা হবে ততই আমার ব্লেড শক্তিশালী হবে। অবশ্য সেটার জন্য আমার কাছে দুটো রাস্তা। এক হচ্ছে মিলিটারিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের শত্রু হত্যা করা। আর সেটা করলে আমি আমার বন্ধুদের বিশ্বাসঘাতকতা করবো। আর আমার স্মৃতি অনুযায়ী এই তিনজনই আমার প্রথম বন্ধু। অবশ্য এলিও ছিলো, কিন্তু কে জানে ও একজন প্রিন্সেস। অবশ্য প্যালেসে ওকে আমি কখনো দেখি নি। লাইব্রেরীতে সব সময় কাটানোর ফলে হয়তো নজরে পরে নি। কিন্তু আমি কখনো আশা করি নি ও প্রিন্সেস হবে। আমি শুনেছি মোট তিনটা প্রিন্সেস ছিলো রাজ্যের। আর প্রথমটা এবং দ্বিতীয়টা আমি দেখেছিলাম। হয়তো এলি তৃতীয় প্রিন্সেস হবে। যাইহোক আমার দ্বিতীয় রাস্তা হলো অন্য কোনো রাজ্যে যোগ দেওয়া। যেটার ফলে আমি এই রাজ্যে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবো। যেটাও আমার কাছে সঠিক মনে হচ্ছে না। কিন্তু আমি যদি একদম নতুন একটা রাজ্য নিজেই বানিয়ে ফেলি তাহলে একদম ভালো হয়। আমি সেটা থেকে যুদ্ধ করতে পারবো। অবশ্য আমার রাজ্য চালানোর কোনো ইচ্ছা নাই। আমি শুধু শক্তিশালী হওয়ার উপরে কৌতহল। আমার ইচ্ছা আমি এই দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী লেজেন্ড হবো। আর সেটার জন্য কিছু তো আমাকে করতেই হবে। আর সেটার জন্য আমি আমার সমস্ত প্লান ঠিক করে ফেলেছি।
.
–তো আজ থেকে আমাদের টিম রাজা এবং জেনারেলের বিরুদ্ধে কাজ করবে।(আমি)
.
–কিন্তু আমাদের টিমের নাম কি হবে?(হ্যারি)
.
–নাম? হ্যা ব্লাক ড্রাগন।(হঠাৎ ড্রাগনের নাম মনে পরে আমি এই নামটা সিলেক্ট করলাম)
.
–ওকে তাহলে আজ থেকে আমরা ব্লাক ড্রাগন।(লুসি)
.
–তাহলে আমাদের প্রথম মিশন কি হবে?(হ্যারি)
.
–মিশনের আগে প্রথমে আমাদের আরেকটা কাজ করতে হবে। সেটা হলো তোমাদের তিনজনের চেহারা পাল্টাতে হবে। এভাবে শহরে আমরা ঘুরতে পারবো না। আর শহরে ভালো মতো ঘুরতে না পারলে আমাদের কোনো প্লানই কাজ হবে না।(আমি)
.
–চেহারা কিভাবে পাল্টাবো?(হ্যারি)
.
–আমাকে একজন একটা স্পেল শেয়ার করেছিলো। অবশ্য আমি সেটা ব্যবহার করতে পারি না। সেটা দিয়ে যে কোনো ব্যাক্তির চেহারা নকল করা যায়। আমি ব্যবহার করতে পারি না। আশা করি তোমরা তিনজন ঠিকই ব্যবহার করতে পারবে।(আমি)
.
–স্পেল দিয়ে চেহারা চেন্জ করা যায়?(লুসানা)
.
–হ্যা। বৃদ্ধ লুসেফার তো আমাকে সেটাই বলেছিলো।(আমি)
.
–লুসেফার? সে কে?(হ্যারি)
.
–আমার গুরু।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি স্পেলটা ওদের বুঝিয়ে দিলাম। অনেক চেষ্টার পর লুসানা স্পেলটা ব্যবহার করতে পারলো। তবে এই স্পেল দিয়ে সে মাত্র একটা চেহারাই চেন্জ করতে পারবে একজনের জন্য। মানে হচ্ছে হ্যারি, লুসি এবং সে নিজে মাত্র একটাই চেহারা নিতে পারবে। বৃদ্ধ লুসেফার আমাকে বলেছিলো সে মাত্র ৯ টা চেহারা বদলাতে পারতো। যে কোনো ব্যক্তি এবং তার নিজের। আর লুসানা মাত্র একটা পারে। মানে লুসানা, হ্যারি এবং লুসিকে এক চেহারার হতে হবে। মনে হচ্ছে মাস্ক ওদের জন্যও লাগবে। নাহলে তিনজনকে ভাইবোন বলে পরিচয় নিতে হবে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পর্বের জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here