ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ২১

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ২১
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমরা যানে করে চলে এসেছি হিমরারে। গন্তব্য হচ্ছে ক্যাপিটাল সিটির রয়েল প্যালেসে। সেখানে আমাদের রাজ্যের দুই প্রিন্সেস হিমরারের রাজার সাথে কথা বলবেন। হিমরারের রাজা আমাদের রাজ্যে কোনো গুপ্ত আক্রমন করছে কিনা সেটাই আমাদের এখানে বের করতে হবে, তবে হিমরারের সাথে আমাদের রাজ্যের বন্ধুত্ব অনেক বেশী ভালো, রাজা নিজেও জানেন যে হিমরার রাজ্য থেকে তার কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু রাজার প্রধান চিন্তা আরেকটা রাজ্য নিয়ে। এ্যালকোর্টের সাথে তেমন বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক নেই আমাদের। তাই রাজা সেখানে প্রথম প্রিন্সেস এলিসার সাথে অনেক সেনাও পাঠিয়েছেন সেখানে। আমাদের এখানে ভাবার কোনো কিছু নেই সেটা আমি বুঝতে পারলাম। তারপরও, কিছু বলা যায় না। আমরা এখন অন্য একটা রাজ্যে আছি, এখানে কোনো কিছুই হতে পারে। সঠিক করে আমি সব কিছু বলা যাবে না। যেহেতু আমি প্রিন্সেস এলিহার রয়েল গার্ড, তাই তার সাথেই থাকতে হবে আমাকে। যদিও বিষয়টা আমার একদম ভালো লাগে না। কোনো মেয়ের সাথে একা থাকা জিনিসটা অনেক বিরক্তকর। তারপরও এটাই আমার কাজ, তাই করতে হবেই। আমাদের যান প্যালেসের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলো। বিশাল প্যালেসটা। আমাদের রাজ্যের থেকে কিছুটা ছোট হলেও, এটা আমাদের থেকে অনেক সুন্দর করে বানানো হয়েছে, বাইরের দিকের দেওয়ালগুলোতে সূর্যের আলো পরাতে সেগুলো রিফ্লেক্ট হয়ে চারপাশে থাকা পুকুরে গিয়ে পরছে। প্যালেসের চারিদিক দিয়েই পুকুর কাটা। আর সেই পুকুরের উপর দিয়ে রাস্তা বানানো। আমরা পানির উপরের রাস্তা দিয়েই প্যালেসের ভিতরে চলে গেলাম। প্যালেসের নিচের ভবনকে বানানো হয়েছে শুধু যান রাখার জন্য। সেখানে অনেক উন্নত ধরনের ম্যাজিকাল যান রয়েছে যেগুলো আমি আগে কখনো দেখি নি। বোঝা যাচ্ছে এ রাজ্যের ম্যাজিকাল টেকনোলজি আমাদের থেকে উন্নত। আমাদের রাজ্যে শুধু মিলিটারি পাওয়ারটাই বেশী উন্নত। ক্যাপিটাল শহরটাও অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। মূলত ক্যাপিটালে সবাই খুব উন্নত। তাছাড়া এই রাজ্যের সব ছোট বড় শহর গুলোও অনেক উন্নত। এক কথায় তিন রাজ্যের মধ্যে এটাই সবচেয়ে পারফেক্ট শহর। আমি এখনো এ্যালকোর্টে যায় নি, সেখানেও একদিন গিয়ে আমাকে দেখতে হবে সেটা কিরকম। তারপর নাহয় সঠিক তুলনা করতে পারবো। যায়হোক আমাদের কয়েকজন গার্ড পাশে থাকা একটা ছোট দরজার ভিতরে ঢুকতে বললো। আমরা ভিতরে ঢোকার পর দেখতে পেলাম ছোট একটা রুম যেটাই দশজন দাড়িয়ে থাকাও হয়তো কষ্ট হয়ে যাবে। আর দরজা তখন বন্ধ হয়ে গেলো। পাঁচ সেকেন্ড পরে আবার দরজা খুলে গেলো। আর আমরা দেখতে পেলাম সামনেই হিমলারের সিংহাসন। আর সেখানে বসে আছেন হিমলারের রাজা কর্ডিজ। দরজা থেকে বের হয়ে আমরা রাজার সামনে গিয়ে পা গেড়ে দিয়ে সম্মান জানালাম। রাজা বাদে সবাইকে আরেক রাজার সামনে এভাবেই সম্মান জানাতে হয়। প্রিন্সেসদেরও সম্মান জানাতে হয় এভাবে, নাহলে সেটা বেয়াদবী ধরা হয়। প্রিন্সেস এলিনা এবং এলিহা দুজনেই রাজার সাথে মত বিনিময় করলেন। আমরা দুই রয়েল গার্ড দাড়িয়ে দেখছিলাম। শেষে রাজা বলে উঠলেন।
.
–আপনারা আমাদের মেহমান, তাই সবাই এই রাজ্যকে নিজের রাজ্যই মনে করবেন। যা ইচ্ছা হয় আমার কাছে আর্জি করতে পারেন।(রাজা)
.
–মাই কিং আমরা এখানে কিছুদিন থাকার চিন্তা করছিলাম, যদি কিছু মনে না করেন আপনি। হিমলার আমাদের অনেক ভালো লেগেছে, আমরা ক্যাপিটালটা একটু ঘুরে দেখতে চাই।(প্রিন্সেস এলিনা)
.
–সেটা তো আমাদের ভাগ্য। ইগড্রোলিয়ার দুই প্রিন্সেস আমাদের রাজ্যকে পছন্দ করেছে, সেটা আমাদের জন্য আনন্দের ব্যাপার। আমি আপনাদের থাকার সকল ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।(রাজা)
.
–মাই কিং আপনার অনুমতি থাকলে আমি কিছু বলতাম।(আমি)
.
–হ্যা, রয়েল গার্ড বলো।(রাজা)
.
–মাই কিং। আমাদের শহরটা অনেক ভালো লেগেছে। যদি আমাদর থাকার ব্যবস্থা প্যালেস বাদে শহরে কোথাও করে দিতেন, তাহলে ভালো হতো।(আমি)
.
–সেটা তো কোনো ব্যাপারই না। তোমরা কোনো চিন্তা করো না। আমার ছেলে প্রিন্স কর্লিজ তোমাদের সবার থাকার ব্যবস্থা করে দিবে।(রাজা)
.
–ধন্যবাদ, মাই কিং।(এলিহা)
।।।
।।।
আমি মূলত প্যালেস থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছিলাম তাই রাজার কাছে বললাম আমাদের প্যালেস বাদে একটা জায়গায় থাকতে দিতে। প্রথমে ভেবেছিলাম রাজা এটা শুনে ধমক দিবে আমাকে। কিন্তু রাজা কিছু না বলায় ভালো লাগলো। রাজার ছেলে আমাদেরকে প্যালেস থেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এখনো কোনো বলে নি আমাদের সাথে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক এটিটিউড ওয়ালা প্রিন্স। প্রিন্স কর্লিজ আমাদেরকে একটা বাসায় নিয়ে আসলো, যেটার সাইজ বিশাল। ভিতরে অসংখ্যা রুম হবে সেটা আমি বুঝতেই পারছি। এবার প্রিন্স বলতে লাগলো,
.
–এটা আমাদের গেস্টদের জন্য বানানো হয়েছে, যারা বাইরের রাজ্য থেকে আসে আমাদের রাজ্যে, তাদেরকে এখানেই আশ্রয় দেওয়া হয়।(প্রিন্স ভিতরে নিয়ে গেলেন)
.
–ওয়াও। অনেক সুন্দর তো বাসাটা।(প্রিন্সেস এলিনা)
.
–এই বাসার মধ্যে রয়েছে একজন বাটলার, দুজন কুক এবং চারজন সিকিউরিটি গার্ড। মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে আপনাদের। কোনো সমস্যা হলে বাটলারকে বলতে পারেন।(প্রিন্স)
।।।
।।।
প্রিন্স এটুকু বলে চলে গেলেন। আমরা বাড়ি ঘুরে দেখতে লাগলাম। অনেক বড় বাড়ি। জানি না প্রিন্সেস এলিনা এখানে কয়দিন থাকার সিদ্ধান্ত নেই, কিন্তু আমি প্যালেস থেকে বাইরে আসলাম, কারন প্যালেসে কেউ খুব সহজেই আমাদের উপরে আক্রমন করতে পারে। আর আলাদা একটা বাসায় থাকলে সেটার সম্ভবনা একটু কমই। যায়হোক বাসায় অনেকগুলো রয়েছে। দুজন প্রিন্সেস এর থাকার জন্য আদর্শ বাড়ি বলা যায়। আমার শহর ঘোরার অনেক ইচ্ছা জাগলো।
.
–প্রিন্সেস এলিহা আপনি তো অনেক ক্লান্ত। আপনি একটু রেস্ট করুন। আমি শহরটা একটু ঘুরে আসি।(আমি)
.
–আমিও যাবো। আমাকে নিয়ে যাও।(প্রিন্সেস এলিহা)
.
–না প্রিন্সেস। আপনি এমনিতেই পুরো রাস্তা অসুস্থ ছিলেন। এখন বাইরে গেলে আরো অসুস্থ হয়ে পরবেন। আমি বরং শহরটা একটু চিনে আসি। তারপর আপনাকে ঘোরাতে নিয়ে যাবো।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে।(প্রিন্সেস এলিহা)
।।।
।।।
প্রিন্সেস এলিহাকে বলে আমি বাসার বাইরে চলে আসলাম। কিন্তু আমার পিছনে আসলো প্রিন্সেস এলিনা।
.
–প্রিন্সেস এলিনা আপনি বাইরে যাচ্ছেন?(আমি)
.
–হ্যা। আখিল বাসায় থাকছে, কারন তুমি গেলে এলিহাকে সুরক্ষা রাখতে হবে, আর এই সুযোগে আমিও ঘুরতে পারবো।(প্রিন্সেস এলিনা)
.
–আচ্ছা প্রিন্সেস আমার সাথে সাথে থাকবেন।(আমি)
.
–ঠিক আছে।(প্রিন্সেস)
।।।
।।।
আমি বুঝতে পারলাম না, এতো সহজে আখিল রাজি হয়ে গেলো কিভাবে। হয়তো জোরালে ভাবে আবেদন করেছিলো ঘুরতে যাওয়ার জন্য। যায়হোক আমি প্রিন্সেস এলিনাকে নিয়ে হাটতে লাগলাম। প্রিন্সেসকে হাটিয়ে নেওয়াটা বড়ই বেমানান। তবুও কিছু করার নাই। আমাদের যান প্যালেসে রয়েছে। আর হাটা স্বাস্থের জন্য অনেক ভালো৷ আমি আর প্রিন্সেস এলিনা অনেকক্ষন যাবৎ হেটেছি। এর মাঝে প্রিন্সেস এলিনা কোনো কথা বলে নি। আমার নজর আসে পাশের দিকে ছিলো, তাই আমি সামনে কি হচ্ছে সেদিকে একদমই নজর দিচ্ছিলাম না। সামনে থেকে হঠাৎ হুড পরা একটা মেয়ে আমাকে ধাক্কা দিলো। ধাক্কার ফলে তার বা হাতে ফলের ব্যাগ নিচে পরে গেলো। দেখে মনে হচ্ছে ফল কিনে হাটতে হাটতে সেগুলো মনের সুখে খাচ্ছিলো। তবে আমার সাথে ধাক্কা লেগে সব সুখ গেলো। আমি চেহারা দেখতে পেলাম না হুডের কারনে। তবে কাপড় দেখে এটুকু বুঝতে পারলাম যে সে একজন মেয়ে। মেয়েটা আমার দিকে তাকালো। অনেক ভালো করে আমার চেহারা লক্ষ করলো, তারপর বলতে লাগলো।
.
–সরি আমি দেখতে পাই নি আপনাকে।(মেয়েটা)
।।।
।।।
শুধু এটুকু বলেই মেয়েটা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে লাগলো। কিন্তু আবার প্রিন্সেস এলিনাকে দেখে থামলো। ওর দিকেও কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো এরপর সোজা চলে গেলো আমাদের পিছন দিকে। আমি জানি না মেয়েটার সমস্যা কি। এভাবে আমাদের দিকে তাকিয়ে রইলো কেনো? মনে হচ্ছে আমাকে এবং প্রিন্সেসকে চিনে সে। কিন্তু কোনো কথা বললো না। তাছাড়া একটা মেয়ের হুড নামিয়ে চেহারা দেখা অন্যায়, তাই চেষ্টা করি নি সেটা করার। আমি মেয়েটার চিন্তা বাদ দিলাম। প্রিন্সেস এলিনার সাথে শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখলাম। কিন্তু সমস্যা হলো বেশী হাটার কারনে প্রিন্সেস এলিনা আর হাটতে পারছে না। অবশ্য তাকে হাটানোর জন্য অন্যায় আমারই হয়েছে। প্রিন্সেসরা কখনো পায়ে হাটে না। তাদের জন্য যানের ব্যবস্থা করা হয়।
.
–জ্যাক আমি আর হাটতে পারছি না।(প্রিন্সেস)
.
–তাহলে চলুন ফেরা যাক।(আমি)
.
–আমি হেটে আবার ফেরত যেতে পারবো না।(প্রিন্সেস)
.
–আমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না। আপনি তো নিশ্চয় টেলিপোর্ট ম্যাজিক পাওয়ার করতে জানেন। তাহলে আপনি সোজা প্রিন্সেস এলিহার কাছে টেলিপোর্ট হয়ে চলে যান।(আমি)
.
–আসলে আমি টেলিপোর্ট স্পেল ব্যবহার করতে পারি না।(প্রিন্সেস)
.
–তাহলে আমাদের একটা যানের ব্যবস্থা করতে হবে এখানে। কিন্তু এখানে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আপনি না হয় এখানে বসুন আমি একটা যান নিয়ে আসছি।(আমি)
.
–আচ্ছা।(প্রিন্সেস)
।।।
।।।
আমি প্রিন্সেসকে একটা দোকানে বসিয়ে দিলাম। মূলত সেটা ফুলের দোকান অনেক ধরনের ফুল পাওয়া যায় সেখানে। আর আমি বের হলাম একটা যান খুজতে। অবশ্য এই রাজ্যে রাস্তাতেও যান পাওয়া যায়, যেটা সাধারন লোকদেরকে বহন করে। আমাকে এখন সেটা খুজতে হবে। কিছুক্ষন খোজার পর একটা পেয়েও গেলাম। সেটা নিয়ে প্রিন্সেস কে নিতে আসলাম। তবে ফুলের দোকানে প্রিন্সেসকে আবারো সেই হুড পরা আগের মেয়েটার সাথে কথা বলতে দেখলাম। জানি না প্রিন্সেসকে কি বললো, তবে আমাকে দেখার সাথে সাথে সে দোকান থেকে বের হয়ে চলে গেলো। আমি ভাবার ফলে তাকে আটকাতে ভুলেই গেছি। তবে আমার এতোকিছু ভাবার নেই, আমার দায়িত্ব শুধু প্রিন্সেস এলিহাকে নিরাপদ রাখা। তার কাছে এই মেয়ে আসলে আমি তখন তাকে ঠিকই ধরবো। যাইহোক আমাকে দেখে প্রিন্সেস আমার সাথে যানে উঠলো। মূলত আমার প্লান ছিলো প্রিন্সেসকে আমি সোজা পাঠিয়ে দিবো আমাদের যেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে। কিন্তু এখন প্রিন্সেস এর জন্য চিন্তা হচ্ছে, কারন আপাতোতো তাকে নিরাপদ রাখাও আমার দায়িত্ব। তাই তার সাথে করে আমাকেও যেতে হবে। আমি প্রিন্সেসকে সোজা দিয়ে আসলাম আমাদের যেখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে সেখানে৷ প্রিন্সেসকে বাসার ভিতরে ঢুকতে দিয়ে আমি বাসার বাইরে চলে আসলাম। আমি যানের মধ্য থেকেই লক্ষ করেছি, কেউ আমাদের ফলো করেছে, আমি সিওর না কে। কিন্তু আমার মনে হয়েছিলো। তাই আমি বাসার বাইরে চলে আসলাম। যানের ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ায় লোকটা যান নিয়ে চলে গেলো। আমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম। কাউকে দেখতে পারলাম না। তবে দূরে সেই হুড পরা মেয়েটাকে দেখতে পারলাম। এবার আমার সন্দেহ বেরে গেলো যে এতোক্ষন এই মেয়েটাই আমাদের ফলো করেছে। আমি এগিয়ে যেতে লাগলাম। মেয়েটাও পালিয়ে যেতে লাগলো। দৌড়ে একটা গলির মধ্যে গেলো, আর আমিও ওর হাত ধরে টান মুখ দেওয়ালের দিকে করে ওকে জিজ্ঞেস করতে লাগলাম
.
–কে তুমি? আমাদের ফলো করছো কেনো? আর প্রিন্সেস এলিনার সাথে কি কথা বললে তখন?(আমি)
.
–আস্তে ধরো ব্যথা করছে তো।(মেয়েটার দুই হাত শক্ত করে ধরার ব্যথা পেয়ে বললো)
.
–আমার প্রশ্নের উত্তর দাও আগে।(আমি)
.
–তাহলে এলিনা আবারো প্রিন্সেস।(মেয়েটা)
.
–কি বলছেন যাতা। আপনি কে?(আমি)
.
–আমার নাম জেসি।(মেয়েটা)
.
–আমাদের ফলো করছেন কেনো?(আমি)
.
–মন চাইলো তাই।(জেসি)
.
–ফাজলামো করছেন? কে অর্ডার দিয়েছে আপনাকে?(আমি)
.
–আমি কারো অর্ডার শুনি না। নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করি আমি।(জেসি)
.
–দেখো সরাসরি বলো নাহলে ব্যাপারটা ভালো হবে না।(আমি ভিরুদাকে হাতে নিয়ে বললাম)
.
–ও তাহলে ইগড্রাসিল আবারো আছে তোমার কাছে। অবশ্য এবার তলোয়ারের রূপে।(জেসি)
।।।
।।।
মেয়েটার কথাবার্তা শুনে আমার সুবিধার মনে হচ্ছে না। আমার তলোয়ার দেখেই বলে দিলো এটা ইগড্রাসিল। কোনো সাধারন মেয়ে না এটা। আমাকে সাবধান থাকতে হবে। আমি তলোয়ার শক্ত করে ধরলাম। ইগড্রাসিলের আগুন আমার ডান হাতে জ্বলতে লাগলো৷ আমি ওকে আঘাত করে বেহুস করতে চেয়েছিলাম। কারন তাতে ওকে আমি বেধে রেখে অনেক জিনিস জিজ্ঞাসা করতে পারবো। কিন্তু হঠাৎ মেয়েটা আমার হাত মোচড় দিয়ে ওর হাত মুক্ত করে নিলো। আমার বাম হাতে মোচড় লাগায় ব্যথা পেয়েছি আমি। সাথে সাথে আমার ডান হাতে ওর ডান হাত দিয়ে ধরার ফলেই ইগড্রাসিলের সকল আগুন আমার ডান হাত থেকে নিভে গেলো। তলোয়ারের মধ্যে যত ম্যাজিক পাওয়ার ছিলো, সেটাও একদম কমে গেলো। আর বাম হাত দিয়ে আমার কপালে একটা হাত দিলো। যার ফলে আমার চোখ দুটো একদম বন্ধ হয়েগেলো। আমি ঘুমের দেশে তলিয়ে পরছি। বুঝতে পারলাম আমাকে ম্যাজিক দিয়ে ঘুম পারিয়ে দিয়েছে। শুধু আমাকে নই বরং ইগড্রাসিলকেও ঘুম পারিয়ে দিয়েছে সে। মেয়েটার ক্ষমতা একদম অন্য লেভেলের। কোনো দিক দিয়েই আমার সুযোগ নেই।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কে এই জেসি?
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরের পার্টের জন্য। জেসির এন্ট্রি কেমন লেগেছে জানাবেন? মাথা ব্যথা অনেক, তাই ভুল ত্রুটি থাকতে পারে লেখায়😣😣

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here