ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ২৪

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ২৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
রাত হয়ে গেছে, আমরা সবাই খাবার খেয়ে নিয়েছি, প্রিন্সেস খাবার খেয়ে একটা রুমে রেস্ট নিচ্ছে। অবশ্য আমাদের সাথে যাবে সে। আমরা আর দেরী করলাম না, কারন আধা ঘন্টা পর সেই আজব শব্দ শুরু হবে, এখানের লোকজনের মতে এই শব্দ প্রতিরাতে এক সময়েই শুরু হয়। আর সেটা কিসের শব্দ আসলে তা বের করতে হলে আমাদের এখানে থাকা চলবে না। মিনিস্টারের মতে যে ঘর থেকে বের হয় সেই বেহুস হয়ে যায়, তাই আমাদের একটু তারাতারিই বনের দিকে যেতে হবে। অবশ্য আমরাও অজ্ঞান হবো কিনা সেটা জানি না। তবে চেষ্টা করে দেখা যাক,
।।।
।।।
প্রিন্সেসকে নিয়ে আমরা তিনজন হেটে বনের ভিতরে ঢুকলাম। পুরো রাস্তা প্রিন্সেস আমার দিকে একবারও তাকায় নি, বরং আমি নিজেই বার বার তার দিকে তাকাচ্ছিলাম। এতোদিন নিজের কাছে বিরক্ত লাগলো তার তাকানো, কিন্তু এখন মন চাচ্ছে সে তাকাক আমার দিকে একবার। জানি না হঠাৎ আমার মন থেকে পাল্টে গেলো কেনো? কিন্তু এই মনে চিন্তা ভাবনা গুলো আমার অনেক পুরাতন মনে হচ্ছে।
।।।
।।।
আমরা বনে পৌছাতে পৌছাতে সময় হয়ে গেলো। আর হঠাৎ চারিদিকে শব্দ শোনা যাচ্ছে। অবশ্য শব্দের সাথে সাথে আমি দূর থেকে ম্যাজিক পাওয়ারও দেখতে পাচ্ছি। লড়াই বনের মধ্যে হচ্ছে না, বরং বনের উপরে আকাশে হচ্ছে, আমি সঠিক দেখতে পাচ্ছি না, তবে দুই ধরনের ম্যাজিক পাওয়ারের সংঘর্ষ হচ্ছে সেটা এখান থেকে দেখতে পাচ্ছি। যতদূর দেখতে পাচ্ছি তার মধ্যে একদম কালো এবং সাদা রঙের ম্যাজিক পাওয়ার দেখা যাচ্ছে আকাশে। যাদের সংঘর্ষের পরে পিংক কালারের একটা ম্যাজিক পাওয়ার নিচের দিকে ছড়িয়ে পরছে। আমি বুঝতে পারলাম এই পিংক কালারের ম্যাজিক পাওয়ারটাই এই শহরে আসার সময় আমাদের যানে প্রবেশ করেছিলো।
.
–ব্যাপারটা খারাপ, আমি একটা ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করছি, যদি আমাদের সংস্পর্শে আশে সেটা তাহলে সাথে সাথে বেহুস হয়ে যাবো।(লুসি)
.
–সমস্যা নেই। আমি এটার সমাধান করে দিচ্ছি।(প্রিন্সেস)
।।।
।।।
প্রিন্সেস একটা স্পেল ব্যবহার করলো, যেটা আমাদের চারিদিকে একটা ঢাল তৈরী করে দিলো।
.
–আপাতোতো কোনো ম্যাজিক পাওয়ার আমাদের কোনো কিছু করতে পারবে না। তবে স্পেলের ব্যাপার আলাদা।(প্রিন্সেস)
.
–ধন্যবাদ প্রিন্সেস।(আমি)
.
–যতদূর দেখা যাচ্ছে তাতে উপরে বিশজন সৈন্যের মতো আছে, দশজনের একদম কালো এবং দশজনের একদম সাদা ডানা।(লুসানা)
.
–ডেভিল এবং এন্জেল?(আমি)
.
–যে ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করছি তাতে বলা যাচ্ছে উপরে এন্জেল এবং ডেভিলের মধ্যে ফাইট হচ্ছে, কিন্তু হঠাৎ এন্জেলরা কোথা থেকে আসলো?(প্রিন্সেস)
।।।
।।।
অবশ্য আমরা এন্জেলের কথা শুনে অনেক অবাক হয়ে যায়, কারন এন্জেল অনেক আগেই এই দুনিয়া থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় তাদের রাজ্য সহ। এ্যাসাক যেটা কিনা এন্জেলদের রাজ্য ছিলো, এবং আরসাক যেটা কিনা ডেভিলদের। দুই রাজ্যের অত্যাধিক যুদ্ধের ফলে দুটো রাজ্যই বিলুপ্ত হয়ে যায়, তবে কিছু ডেভিল অন্য রাজ্যে থাকায় তারা পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়া থেকে বেচে যায়। আর এখন এখানে ডেভিলরা লড়ছে সেটা নাহয় স্বাভাবিক বিষয়, তবে এন্জেলরা লড়ছে এটা অস্বাভাবিক অনেক। কারন কয়েকহাজার বছরের মধ্যে এই দুনিয়াতে একটা এন্জেলও পাওয়া যায় নি খুজে, সকলে এখন জানে এন্জেলরা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কিন্তু হঠাৎ এখানে দশজন এন্জেল দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম। শুধু আমি না আমার সাথে সবাই অবাক হয়ে যায় এটা দেখার পর।
.
–তাদের ম্যাজিক পাওয়ার তুলনার থেকেও বেশী। আমি ডেভিলদের মাঝে এতো ম্যাজিক পাওয়ার আগে লক্ষ করি নি। এটা ঠিক কয়েক হাজার বছর আগের মতো, যখন ডেভিল এবং এন্জেলরা ছিলো সবচেয়ে শক্তিশালী এই দুনিয়াতে।(প্রিন্সেস)
.
–জ্যাক, আমরা এখন কি করবো?(হ্যারি)
.
–আমরা এসেছি একটা মিশনে, সেটা শেষ করেই আমাদের ফিরতে হবে।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে।(হ্যারি)
।।।
।।।
উপরের ম্যাজিক পাওয়ার আসলেই অনেক শক্তিশালী। আমি এরকম ভাবি নি যে এতো শক্তিশালী কোনো ম্যাজিক পাওয়ার আমি দেখতে পাবো। আমার দেখা ইগড্রাসিলের ম্যাজিক পাওয়ারের থেকেও অনেক বেশী শক্তিশালী উপরের ম্যাজিক পাওয়ার। জানি না তার কারা, কিন্তু অনেক শক্তিশালী সেটা তাদের ম্যাজিক পাওয়ার দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কি করবো বুঝতে পারছি না, আপাতোতো আমি উড়তে পারি না, তাই তাদেরকে নিচে নামাতে হবে।
।।।
।।।
আমি ভিরুদা এবং ভ্যালি দুজনকে দুইহাতে ধরলাম। এবং সাথে সাথে দুটো ভ্যালিকে দিয়ে ওয়াটার স্লাস এবং ভিরুদাকে দিয়ে ফায়ার স্লাস দিলাম। ভ্যালির থেকে বিশাল একটা পানির তরঙ্গ বের হলো এবং ভিরুদার থেকে বিশাল একটা আগুনের তরঙ্গ বের হলো। দুটো স্লাস পাশাপাশি একসাথে ঔ লোকদের দিকে যেতে লাগলো। আমি ভাবলাম কিছু একটা করবে, কিন্তু তাদের থেকে অর্ধেক পথেই একজন এন্জেল উড়ে এসে আমার দুই স্লাসের মধ্যে দাড়ালো, আমি ভেবেছিলাম তার শরীরে কিছুটা হলেও ক্ষত হবে, তা হয়ে আমার দুটো তলোয়ারের স্লাস সেই এন্জেলের শরীরের ভিতরে চলে গেলো। অনেকটা বলতে গেলে স্লাস দুটো ম্যাজিক পাওয়ার এবজোর্ব করে নিলো এন্জেলটা।
এন্জেলটা অনেকটা নিচে আসায় আমরা ভালো করে তার চেহারা দেখতে পারলাম। একটা ছেলে, তবে চেহারা অনেকটা সুন্দর। পিঠের দুটো ডানা সাদা পাখির পালকের মতো দেখতে অনেকটা। এই প্রথম কোনো এন্জেলকে আমি প্রথমবার নিজের চোখে দেখলাম। এন্জেলটা বলতে শুরু করলো,
.
–এখানে অনেক ভয়ানক যুদ্ধ চলছে, আমরা আশা করছি কেউ আপনারা এর মধ্যে জরাতে চাইবেন না নিজেদের।(এন্জেলটা)
।।।
।।।
আমরা কিছু বলতে যাবো তার আগে এন্জেলটা চলে গেলো। আমি এন্জেলটার ক্ষমতা দেখে অনেকটা ভয় পেয়ে গেলাম। আমি প্রিন্সেসকে বলতে যাবো টেলিপোর্ট হয়ে প্যালেসে ফিরে যেতে কিন্তু তার আগেই একটা কালো ডানা ওয়ালা ডেভিল প্রিন্সেস এর গলায় নিজের হাতের ধারালো নখ ধরে দাড়িয়ে আছে,
.
–আজ প্রথম কোনো ভ্যাম্পায়ারকে হত্যা করার সুযোগ হয়েছে আমার। আমি এই সুযোগ ছেড়ে দিতে চাই না।(ডেভিলটা)
।।।
।।।
ডেভিলকে দেখেই আমরা সকলে সাবধান হয়ে গেলাম। কিন্তু এই ডেভিলের ম্যাজিক পাওয়ার দেখেই আমার শরীর বার বার শিউরে উঠতে লাগলো।
.
–দেখুন যেই হোন না কেনো? প্রিন্সেস এলিনা কে ছেড়ে দিন।(আমি)
.
–তাহলে তো আজকে আমি লটারি জিতে ফেলছি, একে তো ঔ এন্জেলগুলোকে হত্যা করবো, তারপর একটা ভ্যাম্পায়ার প্রিন্সেসকে। আমাদের রাজা তো আজ অনেক বেশী খুশি হবে।(ডেভিলটা)
.
–আপনাদের রাজা কে?(আমি)
.
–বেশী কথা বইলো না ছোট ছেলে। তোমার ও সময় হবে।(ডেভিলটা)
।।।
।।।
আমি কিছু করতে যাবো তার আগেই ডেভিলটা প্রিন্সেস এর পেটের মধ্যে তার ধারালো নক ঢুকিয়ে দেই। যার কারনে অনেক দ্রুত রক্ত বের হতে শুরু করলো। ডেভিল প্রিন্সেসকে ছেড়ে দিলো। এবং জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলো,
.
–মাত্র আধা মিনিট সময় লাগবে এই ভ্যাম্পায়ার প্রিন্সেসের জীবন চলে যেতে, আমার ধারালো নখ থেকে একটা বিষাক্ত বিষ তার শরীরে প্রবেশ করেছে। আর এখন আস্তে আস্তে তোমাদের সকলের শরীরে সেটা প্রবেশ করাবো আমি।(ডেভিলটা)
।।।
।।।
ডেভিলটার কথা শুনে মনে হলো আমার মাথার উপরে কেউ আঘাত করেছে, মাথা ঘুরতে লাগলো শুধু। প্রিন্সেসের জন্য কিছুই করতে পারলাম না এজন্য আমার চোখ দিয়ে পানি পরছে। আমি নিজের মনের ফিলিংসগুলো বুঝতে পারছি না, তবে আমার বুক ভেঙে চুরে যাচ্ছিলো। প্রিন্সেস তার হাত দিয়ে বুক চেপে ধরেছে। আমি রাগে ডেভিলটার উপরে আক্রমন করতে চাইলাম, কিন্তু তার এক ঘুষিতেই আমি মাটিতে পরে গেলাম। ঘুষিটা সে আমার হাতে দিয়েছে, যেটা আমিও দিতে চেয়েছিলাম। দুজনের ঘুষি একসাথেই হাতে হাতে লাগে, তবে তার শক্তিতে আমি কিছুই না। আমি মাটিতে পরে গেছি এবং মাটিও কয়েক ফিট গর্ত হয়ে গেছে। আমার ডান হাত পুরো ভেঙে গেছে এক ঘুষিতে। আমি সেটা নারাতে পারছি না। প্রিন্সেস তার ক্ষত স্থানে হাত রেখে আমার দিকে আস্তে শুরু করেছে। এদিকে হ্যারি, লুসি এবং লুসানার কোনো আঘাতই ডেভিলটার কিছু করতে পারছে না। আমি বুঝতে পারছুলাম না কি করবো আমি, আমার ডান হাত আমি অনুভব করতে পারছি না। ভিরুদা উঠানোর মতো শক্তিও আমার হাতে নেই, আর ভ্যালি আমার বাম হাতে ছিলো ওকে ঘুষি মারার সময়, তবে আমি মাটিতে পরার পর সেটা একটা গাছে গিয়ে গেথে যায়।
।।।
।।।
প্রিন্সেস ঠিক আমার কাছে চলে আসলো। তার ব্লাডে তার পুরো ড্রেস ভিজে গেছে। সেটা দেখে আমার মাথা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো। আমার বুক শুধু চুরমার করে যাচ্ছে। হঠাৎ প্রিন্সেস কোনো কথা না বলেই আমার ঠোটে চুমু দিলো একটা। চুমু বলা যাবে না এটাকে, আমার ঠোটে সে তার দাঁত দিয়ে কেটে ব্লাড খাচ্ছে সে। ভ্যাম্পায়াররা সব গোত্রের প্রানীদের টাটকা রক্ত খেতে পছন্দ করে। এটা তাদের ম্যাজিক পাওয়ারও বাড়িয়ে দেই। অনেক ভ্যাম্পায়ারের আসল ক্ষমতা ব্লাড খাওয়ার পরেই দেখা যায়। সব ব্লাডের থেকে মানুষের শরীরের ব্লাড ভ্যাম্পায়ারদের ক্ষমতা সবচেয়ে বড় উৎস। অবশ্য একবার একজন মানুষের ব্লাড একজন ভ্যাম্পায়ার খেলে সেটার নেশা সারা জীবনই থাকবে। প্রিন্সেস চুমুর সাথে আমার ঠোট কেটে রক্ত চুষে খাচ্ছে, যার কারনে তার পেটের ক্ষত একা একাই ঠিক হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নই তার কালো চুলগুলোও সিলভার কালারের হয়ে গেলো, বাদামী কালারের চোখের মনি দুটো লাল হয়ে গেলো। তার ম্যাজিক পাওয়ারও অনেকগুন বেড়ে গেলো, যেটা কিনা এই ডেভিলের থেকেও বেশী। আমি অবাক হয়ে গেলাম যে আমার রক্ত খেয়ে তার ক্ষমতা এতোটা বেরে যাবে।
.
–তুমি ঠিক আছো জ্যাক?(প্রিন্সেস)
.
–হ্যা আমি ঠিক আছি। কিন্তু আপনার শরীরের বিষ?(আমি)
.
–সেটার চিন্তা করতে হবে না তোমাকে, সেটা আর কিছুই করতে পারবে না আমার আসল ভ্যাম্পায়ার ফর্মে। কিন্তু তোমার হাত তো পুরো ভেঙে গেছে।(প্রিন্সেস)
.
–না এটা কিছু না। ঠিক হয়ে যাবে।(আমি)
.
–কত বড় সাহস তোমার? আমাকে আঘাত করেছো সেটা মানলাম। কিন্তু তুমি ওকে আঘাত করেছো, এটা আমি কখনো মেনে নিবো না।(প্রিন্সেস ডেভিলকে বললো)
।।।
।।।
প্রিন্সেস এর ফুল ভ্যাম্পায়ার ফর্ম দেখে অনেকটা ভয় পেয়ে গেলো ডেভিলটা। আর এদিকে প্রিন্সেসও রেগে গেছে একদম। আমি প্রিন্সেস এর এরকম রূপ মোটেও আশা করি নি। একদম ভয়ানক লাগছে তাকে। যদিও আগের থেকে এই ফর্মে অনেক সুন্দর লাগে তাকে। কিন্তু তারপরও তার রাগি লুকটা অনেক ভয়ঙ্কর। তার হাতে হঠাৎ একটা তলোয়ার চলে আসলো, যেটা অদৃশ্য ছিলো। হয়তো ম্যাজিকাল তলোয়ার এটা। তলোয়ারটার হাতলে অনেকগুলো কাটা রয়েছে, যেটার থেকে একটা তার হাতের তালুতে ঢুকে যায়। এবং তার শরীর থেকে ব্লাড চুষে নেই। আর সাথে সাথে তলোয়ারটা রক্তের কালারের মতো হালকা কালচে লাল রঙের হয়ে যায়। যেটা দিয়ে প্রিন্সেস একটা আঘাতে ডেভিলটার ডান হাত কেটে ফেলে। ডেভিলটা বুঝতে পারে নি। আমরাও অবাক, কারন আঘাতটা এতো স্পিডে করা হয়েছে যে আমরা কিছুই লক্ষ করি নি। ডেভিলটা চিল্লিয়ে উঠলো। কিন্তু তাতে কিছু করার নাই। পরের আঘাতে সোজা গলা নামিয়ে দিলো প্রিন্সেস। প্রিন্সেস এর যে রূপ আমি দেখলাম তাতে আমি তাকে হত্যার কথা চিন্তা করি নাই এজন্য নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। আমি চাইবো না কখনো তার কথা অমান্য করতে।
।।।
।।।
হঠাৎ উপরের ফাইটও নিচে চলে আসলো। একদম নিচে না আসলেও নিচ থেকে আমরা ঠিকই দেখতে পারছি লড়াই। এতোক্ষন তাদের লড়াইয়ে চারজন এন্জেল এবং একজন ডেভিল বেচে আছে শুধু। ডেভিলটা একটা মেয়ে। প্রথমে এন্জেল চারজন অনেক গুরুতর আঘাত করলো মেয়ে ডেভিলটাকে। কিন্তু কিছুক্ষন পর ডেভিলটা তার পুরো পাওয়ার দেখাতে লাগলো। তার কালো ডানার মধ্যে থাকা সকল পালক খুলে যায় যেগুলো চারজন এন্জেলকে একের পর এক আক্রমন করতে থাকে, আর এদিকে ডেভিলটা বিশাল একটা কালো এনার্জি বল তৈরী করে যেটা এন্জেলদের দিকে ছুড়ে মারলো সে। এন্জেল চারজনের উপরে সেটা লাগতে যাবে তার আগেই সেখানে হঠাৎ আরেকটা এন্জেল চলে আসলো। এবারের এন্জেলটা একটা মেয়ে। এতোক্ষন যে কয়টা এন্জেল দেখেছি সব কয়টা ছেলে ছিলো। পালকের আঘাতে চারজন এন্জেল অনেক আহত এবং দুর্বল হয়ে যায়। আর পরের আঘাত তাদের লাগলে তারা নিশ্চিত মারা যেতো। কিন্তু একটা মেয়ে এন্জেল এসে সে এনার্জি বলতে পুরো নিউট্রোলাইজ করে দিলো। এই এন্জেলের রয়েছে চারটা ডানা। আমি এন্জেল সম্পর্কে শুনেছি। কিন্তু চার ডানা এন্জেল সম্পর্কে কোনো কিছু শুনি নি আগে। হয়তো বিলুপ্ত হওয়ার পর তারা বিকশিত হয়েছে অনেকটা। মেয়ে এন্জেলটা ছোট একটা লাইট ম্যাজিকের লাইট বল বানালো। এবং সেটা ছুড়ে মারলো ডেভিলটার দিকে, লাইট বলের আঘাতে ডেভিলটা একদম নিচে পরে গেলো। মারা যায় নি হয়তো বেহুস হয়ে গেছে। মেয়ে এন্জেলটা বাকি চারজন এন্জেলকে হিল করে দিচ্ছে। আর তখনি পিছন থেকে আরেকটা ডেভিল সোজা একটা তলোয়ার ছুড়ে মেরেছে এন্জেল মেয়েটার দিকে। মেয়ে এন্জেল হিল করার দিকে নজর দেওয়ায় সেটা দেখতে পারে নি। আর তার পিঠ দিয়ে তলোয়ারটা ঢুকে যায়। এই ডেভিলটাও একটা মেয়ে। তবে একটা প্লাস্টিকের মাস্ক পরা। সে বলতে লাগলে,
.
–তাহলে শেষমেষ এন্জেলদের রানী আফরিয়েল এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় রানী আফরিয়েল। আজকে তোমাকে আমার হাতে মরতে হবে।(মাস্ক পরা ডেভিল মেয়েটা)
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
কেমন লাগলো জানাবেন। আর শীঘ্রই জ্যাকের পাওয়ারও দেখতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here