ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৪৫ .

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৪৫
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
ড্রাকুলা চেষ্টাও করছে না আমাকে হারানোর। বরং সে আমার সবগুলো আক্রমন শুধু এরিয়েই যাচ্ছে। আমি জানি এতোক্ষনে এক আঘাতেই আমাকে বেহুস করে দিতে পারতো ড্রাকুলা। কিন্তু সে তার ক্ষমতা ব্যবহার না করে অপেক্ষা করছে। হয়তো আমি কি কি করতে পারি, সেটা দেখতে চাইছে সে। আমি হাতে এক্সোনিয়া বের করে নিলাম এবার। থরের বলা টেকনিক এখানে ভালো কাজে দিতে পারে। যেহেতু এক্সোনিয়া একটা ডাইমেনশন কাটার ব্লেড। তাই এটা সময়ে আমি স্পেশ ভেদ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মুহুর্তের মধ্যেই যেতে পারবো। যাইহোক সময় এবং স্পেশ এর ব্যবহার ঠিক মতো করতে পারলে আমি আরো অনেকটা শক্তিশালী হয়ে যাবো। যাইহোক আপাতোতো আমি ভ্যালি এবং ভিরুদাকে পিঠের ব্যাগে রেখে দিলাম। এবং আমার গডহ্যান্ডের চারটা হাত বের করে পিঠে ডানার আকার দিলাম। এবং ডান হাত এবং পায়ের সাহায্যে আমার জেট ক্ষমতা দিয়ে উড়তে লাগলাম। ডানা চারটাকে আমি নিয়ন্ত্রন করতে লাগলাম আমার ভারসাম্য এবং দিক ঠিক রাখার জন্য। আমি উড়ে অনেকটা উপরে চলে এসেছি। আমার গ্রাভিটি শূন্য হলেও আমি নিচের দিকে পরছি না। এখন গ্রাভিটির উপরে অনেকটা নিয়ন্ত্রন করতে শিখে গিয়েছি আমি। হয়তো আরো কিছুটা হলে আমি ড্রাকুলার মতো উড়তেও শিখে যাবো। যায়হোক আমি উপরে উঠলাম। এক্সোনিয়া মূলত এন্জেলদের জন্য তৈরী হয়েছিলো। এই তলোয়ারটা মাইকেল আমাকে কেনো দিয়েছিলো আমি নিজেও জানি না। একজন ডেভিল কিং হওয়ার পরও এন্জেলদের রাজা আমাকে এই তলোয়ারটা কেনো দিবে সেটার উত্তর আমি এখনো পাই নি, এখনো সেটার উত্তর আমার মাথায় ঘুরে বেরাচ্ছে। যেহেতু এক্সোনিয়া এন্জেলদের জন্য তৈরী হয়েছিলো, তাই এটা আমার জন্য এখন পারফেক্ট হবে। আপাতোতো আমি এন্জেলদের ক্ষমতায় ব্যবহার করছি। যদিও বাকি ক্ষমতা গুলোও আমি ব্যবহার করতে পারবো, কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করতে আগ্রহী না আমি। আমি এক্সোনিয়াকে হাতে নিয়েছি এবং সেটাকে ডান হাত দিয়ে ধরে উপরের দিকে তুললাম।
।।।
।।।
ড্রাকুলা নিচে দাড়িয়ে আছে। এক্সোনিয়ার মাঝেও অনেক ক্ষমতা রয়েছে। মূলত এটা এন্জেলদের স্পেলকে দশগুন শক্তিশালী করে দেই। তাই এটার সাহায্য আমার প্রয়োজন। যেহেতু ড্রাকুলা আগের দুনিয়ার, এই দুনিয়াতে তার জন্ম হয় নি, তাই তার সাথে আগের দুনিয়ার অস্ত্র দিয়েই লড়তে পারবো। আমি এক্সোনিয়াকে শক্ত করে ধরলাম। আমার শরীর থেকে বিদ্যুৎ বের হতে লাগলো। বিদ্যুৎ এর এট্রিবিউট নেই কোনো, এটা এক একজনের মধ্যে ক্ষমতা হিসাবে জন্ম নেই। আমার মধ্যেও বিদ্যুৎ এর কোনো ক্ষমতা নেই। তবে আমার কাছে এন্জেল এর ক্ষমতা রয়েছে, যেটার কারনে একটা স্পেল আমি ব্যবহার করতে পারবো, যেটা এন্জেলদের ভয়ানক একটা স্পেল। এই দুনিয়াতে কোনো এন্জেল সেটা ব্যবহার করতে পারবে কিনা আমি জানি না। তবে আগের দুনিয়াতে আমি শুনেছিলাম অনেক আগে ডেভিল কিং এবং এন্জেল কিং এর মধ্যে লড়াই হয়েছিলো, যেখানে এন্জেল কিং এর একটা স্পেলেই ডেভিল কিং এর অর্ধেক সেনা শেষ হয়ে গিয়েছিলো। স্পেলটার নাম ছিলো থান্ডার অফ জাজমেন্ট। এন্জেল কিং এর ব্যবহার করা সেই স্পেলটা এতো ভয়ানক ছিলো, যেটা পুরো মনস্টার ওয়ার্ল্ড এর পাঁচ ভাগের একভাগ ধ্বংস করে দিয়েছিলো। আমার টা কিরকম হবে সেটা জানি না। তবে দেখা যাক কি হয়।
।।।
।।।
আমার শরীর থেকে থান্ডার এক্সোনিয়ার মধ্যে যাচ্ছে। এবং এক্সোনিয়ার ব্লেডের সামনে একটা ফুটবলের সাইজের মতো থান্ডার এর বল তৈরী হলো, যেটার ভিতর থেকে মারাত্নক আকারের বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে চারিদিকে। এক একটা থান্ডার কারো শরীরে লাগলে তার শরীর হয়তো রোস্ট হয়ে যাবে এমন মনে হচ্ছে। দেখতে দেখতে অনেকটা ম্যাজিক পাওয়ার আমার শরীর থেকে চলে গেলো। আমও এন্জেল ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলেও আমার ম্যাজিক পাওয়ার সিমীত একটা মানুষের সমানই। তাই কয়েকটা স্পেল ব্যবহার করলেই আমার ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয়ে যায়। আমি ড্রাকুলাকে দেখে বুঝতে পারলাম সে এবার কিছুটা সিরিয়াস হয়েছে। কারন তার ভাবনায় চিন্তিত মনে হচ্ছিলো। আমি এখন বুঝতে পেরেছি সে কি ভাবছে, যেহেতু আমি ভাবছিলাম ডেভিল কিং এবং এন্জেল কিং এর যুদ্ধের কাহিনী, হয়তো সে কারনে এই স্পেল নিয়ে ভয় পাচ্ছে সে। ট্যালিপ্যাথি ক্ষমতাটা ভালো হলেও কিছু সিরিয়াস বিষয় আছে সেটার। মনের সমস্ত কথা শুনলে অনেক ভয়ানক কথাও শোনা যায়। যাইহোক আমি কিছুটা সিওর হয়ে ড্রাকুলার দিকে আমার থান্ডার অফ জাজমেন্ট স্পেল ছুড়ে মারলাম। যদিও এক্সোনিয়ার মাথায় সেটা একটা ফুটবলের আকার ছিলো। কিন্তু সেটা আস্তে আস্তে বিশাল আকার ধারন করলে। স্পেলটা শুধু বড় হতেই লাগলো। এতোটা বড় হচ্ছে যে আরেকটু হলে এই পুরো প্যালেসের জায়গাটা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর সেটা ড্রাকুলার দিকে যাচ্ছে না। বরং এটা এখানেই বড় হবে। বড় হতে হতে এর সামনে এবং ভিতরে যা থাকবে সব ধ্বংস করে দিবে। যদিও জানি বেশী বড় হলে এটা আমাকে এবং প্রিন্সেস এলিনাকে মেরে ফেলবে, তারপরও আমি ব্যবহার করলাম। আমি চাচ্ছি নিজেই নিজের ক্ষমতা গুলো বের করতে। এতে করে আমি জানতে পারবো কি করতে পারবো আমি। যদিও আমি এখনো আমার সব ক্ষমতা ব্যবহার করি নি। কিন্তু অনেক ম্যাজিক সম্পর্কে আমার জ্ঞান রয়েছে, যেটা ছোট থেকে বই পড়া এবং বিভিন্ন লোকের থেকে শেখা হয়েছে। যদিও কিছু রয়েছে যেগুলো আমি সহজে শিখতে পারি না, আবার কিছু আছে যেগুলো আমি খুব সহজেই শিখতে পারি।
।।।
।।।
বলের আকার আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে লাগলো। আর সেটা দেখে ড্রাকুলার হাতে লাল একটা তলোয়ার চলে আসলো। যেটা আমার এক্সোনিয়ার মতোই উধাও ছিলো। আমি বুঝতে পারলাম সেটাই হয়তো ড্রাকুলার ব্লাড সোর্ড লুকারিও। ড্রাকুলা তার তলোয়ার দিয়ে আমার ছোড়া বিশাল লাইটনিং বলটার মাঝ বরাবর একটা স্লাইস দিলো, এবং সাথে সাথে পুরো বিশাল লাইটনিং বলটা দু টুকরো হয়ে উধাও হয়ে গেলো। আমি আমার ম্যাজিক সেন্স ক্ষমতা ব্যবহার করলাম কি হচ্ছে সেটা দেখার জন্য। আর আমার ডান চোখ লাল হওয়ার ফলে আমি দেখতে পেলাম আমার স্পেলের যতটা ম্যাজিক পাওয়ার ছিলো সবটা ড্রাকুলার তলোয়ারের মধ্যে চলে যাচ্ছে। আমি বুঝতে পারলাম এক্সোনিয়ার মতো লুকারিও এর ও ক্ষমতা রয়েছে ম্যাজিক এবজোর্বশন এর। এবার ড্রাকুলা আর থেমে থাকলো না। আমি অবাক হয়ে যাওয়ায় আমার কাছে এসে ওর তলোয়ার এর হাতলের মাথা দিয়ে আমার বুকে একটা আঘাত করলো। আর আঘাত এতো স্পিডে ছিলো যে আমি সেটা দেখতেই পারি নি। আর আকাশের উপরে ছিলাম বলে আমি কিছু করতেও পারি নি। ঠিকমতো উড়তে না পারলে আকাশে কোনো আঘাত সহজে এরানো যায় না।
।।।।
।।।।
যায়হোক আমি নিচে পরে গিয়েছি। এবং নিজের মাটি যুক্ত ফ্লোর ভেঙে আমি অনেকটা নিচে গর্তে পরে যায়। আমার মাথায় রাগ উঠে গেলো এবার। যায়হোক আমি এটা মানতে পারছি না আর। এতোক্ষন ভালো লাগলেও আমি এখন ফ্রাসটেটেড হয়ে গেলাম। আমি উঠে দাড়ালাম। রাগে আমার আগুন অনেক বেশী পরিমানে জ্বলতে লাগলো। আমি জানি ড্রাকুলা অনেক শক্তিশালী। বিশেষ করে সে এই দুনিয়ার মধ্যে জীবিত ব্যাক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হবেই। শুধু সে নয়, থর লোকিও সেরকমই। আমি চাইলেও তাদেরকে হারাতে পারবো না। কিন্তু তারপরও এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। পাওয়ার লেভেল এই নতুন দুনিয়া আগের থেকে কম, কারন আগের দুনিয়ায় সব জায়গায় ম্যাজিক না থাকায় যেখানে ছিলো সেখানের সবাই শক্তিশালী ছিলো। আর এই দুনিয়াতে সকল ম্যাজিক সবার মাঝে ভাগ হয়ে গেছে। যার কারনে আমি বর্তমানে যদি ডেভিল কিং ও হয় তাহলো আগের ডেভিল কিং এর তুলনায় আমার ক্ষমতা কিছুই না।
।।।
।।।
সব জানার পরও আমি রেগে যাচ্ছি। আমার শরীর যাচ্ছে না আর মার খেতে। কত লজ্জাজনক মার খাবো আমি আর। একটা টোকাতে যদি আমার শরীর হেরে যেতে চাই, তাহলে আমার মন কেনো সেটা মানছে না। আমি এখনো সেই জায়গায় যেতে পারি নি, যেখানে আমার যাওয়া প্রয়োজন। রাগের কারনে আমার শরীরের আগুন এবং উত্তাপ দুটোই বেড়ে গেছে। আমি যদিও শুধু একপাশ আগুন হয়েছে, তারপরও তার উত্তাপে আমি আশেপাশের সব কিছু গলতে লাগলো। আমি ডান হাতের এক্সোনিয়া বাদ দিয়ে হাতে ভিরুদাকে নিলাম। যে উত্তাপ ছিলো তার থেকেও ইগড্রাসিলের আগুনের ফলে উত্তাপ আরো বেরে গেলো। হঠাৎ ইগড্রাসিলের তলোয়ার ও গলতে শুরু করলো। প্রথমে আমি ভয় পেয়ে গেলেও। পরে ঠিকই বুঝতে পারলাম।।
।।।
।।।
আমার ডান হাতের ভিরুদা গলে গেলো। এবং সেটা আমার ডান অংশের শরীরে লেগে গেলো। শুধু তাই না, আস্তে আস্তে আমার শরীরে ড্রাগনদের স্কেল দিয়ে তৈরী লাল একটা আর্মার হয়ে গেলো। আমি আর্মার টাকে দেখে অবাক হলাম। কারন আমার অর্ধেক শরীরেই হয়েছে সেটা। অনেকটা নতুন পোষাকের মতো। সব শক্ত বস্তুর মধ্যে একটা হলো ড্রাগন স্কেল। যেটা সহজে ভেদ করা যায়। না। ইগড্রাসিলের আগুনে তৈরী স্কেলের আর্মার আমার শরীরে রয়েছে, যদিও বাম অংশ পুরো পরাধীন এখানে। ভয়ানক কোনো স্পেলের মধ্যে পরলে আমার ডান অংশ বেঁচে গেলেও বাম অংশ বাঁচবে না। আমার রাগ এখনো কমে নি। আমি ডান পা দিয়ে একটা কিক করলাম মাটিতে, যেটা আমার আশেপাশের জায়গা ফাটিয়ে দিলো। আমি সেই কিকের ভর করে আল্ট্রা স্পিডে সামনের দিকে যেতে লাগলাম। এবং সোজা গিয়ে ড্রাকুলার মুখের দিকে আঘাত করলাম। আমি জানি সে আমার মাইন্ড পরবে এখানে। কারন আমি যদি অন্য কোনো দিকে আঘাত করার চিন্তা করি তাহলে সেটা সে বুঝে যাবে। আর তার চোখ এতোটা ভালো যে সব আঘাতই সে দেখতে পাই। আমি মুখের দিকে ঘুষি দিয়েছি, আর সেটা এরানোর জন্য ড্রাকুলা নিচু হয়ে গেছে। আমি আমার ডান হাতের ঘুষির মুঠোর তালুর দিক নিচের দিকেই রেখেছিলাম। আমি ড্রাকুলার দিকে আসার পূর্বেই অনেকটা অক্সিজেনের ম্যাজিক পাওয়ারকে কন্ট্রোল করে ড্রাকুলার আসে পাশে অক্সিজেনে ভরপুর করে দিয়েছি। আর সেই সাথে আমি কার্বন ডাই অক্সাইড এবং হাইড্রজোনকে একত্র করেছি। যেটা ড্রাকুলার আশপাশ দিয়ে গ্যাসোলিন এর কাজ করছে। আর বায়ুতে অক্সিজেনের পরিমান বেশী হওয়ায় আমি আমার মুঠটা খুলে তালু দিয়ে নিচের দিকে আগুনের ব্যবস্থা করে দিলাম। আমার শরীর থেকে মাত্র কিছুটা আগুন বের হয়েছে, যেমন দিয়াশলাই এর কাঠি থেকে বের হয়। আর এই সামান্য আগুন হয়তো ড্রাকুলা খেয়াল করে নি। যদিও আমি এসব কিছুই চিন্তা না করেই করেছি, তাই ড্রাকুলা বুঝতেই পারবে না আমার প্লান কি ছিলো। আর সাথে সাথেই বুম হয়ে গেলো।
।।।
।।।
আমার তালু থেকে সামান্য পরিমান আগুন বের হওয়ার ফলে সেটা বায়ুর অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড এবং হাইড্রোজেন এর সংমিশ্রনে আগুনের বিস্ফোরক হয়ে গেলো। পুরো জায়গাটা ব্লাস্ট হওয়ার আগেই আমি হাতে এক্সোনিয়া নিলাম এবং সেটা দিয়ে দুটো টেলিপোর্ট হওয়ার চেষ্টা করলাম স্পেশের মধ্যে। আবারো আগের মতোই উপরে বের হলাম। যদিও আমি বিস্ফোরক থেকে বেচে গেছি, পুরোটাই আগুনের হওয়ায় আমার ডান অংশের কোনো ক্ষত না হলেও বাম অংশের ক্ষত ঠিকই হবে। আমি উপরে এবার আগুনের সাহায্যে উড়ছি না বরং আমি গ্রাভিটির ব্যবহার করে আকাশে স্থির রয়েছি এক জায়গায়। আমি গ্রাভিটির নিয়ন্ত্রন অনেক ভালোই করতে পারছি, তবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উরার জন্য আরো প্রাকটিস করতে হবে। যায়হোক আমি আকাশে দাড়িয়ে থাকলেও। ড্রাকুলা নিচের ভয়ানক আগুনের মধ্য থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসলো। এবং আমার মুখ তার হাত দিয়ে ধরে ফেললো। আমার বয়স অনুযায়ী তার হাতের কাছে আমার মুখ কিছুই না। আমি তার ডান হাতে অনেকটা ক্ষম দেখতে পেলাম যেটা আগুনকে হাত দিয়ে এরানোর জন্য হয়েছে, আমি বুঝতে পারলাম ড্রাকুলা এখন পুরো সিরিয়াস হয়ে গেছে। আমার মুখকে তার হাত দিয়ে ধরে সোজা মাটিতে অনেক স্পিডে ফেলে দিলো। সাথে সাথে মনে হলো আমার ব্রেইন আটকে গেছে, আমি কিছু অনুভব করতে পারছিলাম। মনে হচ্ছিলো আমার মুখ সহ আমার মাথা থেতলে গেছে। আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না। কিছু শুনতে পাচ্ছি না। কিছু অনুভব করতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে আমার কোনো শরীরই নেই। আমি শরীর ছাড়া একটা বস্তু হয়ে গেছি, যার শুধু চিন্তা ভাবনা কাজ করছে। কেনো জানি আমার মনে হচ্ছে আমি মারা গিয়েছি। কিন্তু এতো তারাতারি আমি মরতে পারি না। আমার এখনো অনেক কিছু করার আছে, অনেক কিছু দেখার আছে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। আশা করি ভালো লাগবে, নতুন কনসেপ্ট এড করেছি। পরবর্তী পার্টে জ্যাকের সাথে কি হয়েছে সেটা জানতে পারবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here