#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৫৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
পুরো ছয়দিন সময় কেটে গেলো দেখতে দেখতে। এর মাঝে অনেক কিছু হয়ে গেছে। সাধারনত আমি যে প্লান করেছিলাম সেটাকে অনেক সহজ মনে করেছিলাম সম্পূর্ন করতে। তবে সেটা মোটোও সহজ কাজ না। ছয়দিন সময়ের মধ্যে আমার রাজ্যের ক্যাপিটাল এবং প্যালেস নির্ধারন হয়ে গেছে। তবে সেগুলো নির্মান করার মতো শক্তি আমার কাছে নেই। আমরা এখানে পাঁচজন আছি, যাদের মধ্যে আমি, লুসি, হ্যারি, লুসানা এবং প্রিন্সেস এলিহা। পাঁচজন তো আর একটা প্যালেস নির্মান করা যায় না। তবে সেটার জন্য আমার কাছে খুব ভালো একটা প্লান ও আছে। এই ছয়টা দিনে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে, প্রিন্সেস এলিহা কোনো কথা না বলেই আমার রাজ্যের রানী হওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেছে, যেখানে সে রানী এবং আমি থাকবো তার মিনিস্টার। আমি ড্রাকুলার মতো দাবা খেলবো না। বরং আমার খেলাটা তার থেকে ভিন্ন হবে। আমার কাছে এন্জেল কিং এর ক্ষমতা রয়েছে, যেটার সম্পূর্ন ব্যবহার আমি এখনো করি নি, আমার এন্জেল সত্ত্বা যেটা ছিলো সে যদি আগের দুনিয়ায় আমার পুরো শরীরকে নিজের করতে পারতো, তাহলে আগের দুনিয়ার হ্যাভেনের এন্জেল কিং আমিই হতাম। তবে সমস্যা ছিলো আমার শরীরে ডেভিল পাওয়ার থাকলে এন্জেলরা কখনো আমাকে তাদের রাজা বলে গন্য করতো না। তবে আমার এন্জেল সত্ত্বার ক্ষমতা আগের দুনিয়ার এন্জেল কিং মাইকেলের থেকে বেশী শক্তিশালী ছিলো।
।।
।।
আগের দুনিয়ায় হ্যাভেনে সিংহাসন চলতো কার্ডের মতো। যেখানে রাজা কার্ডের ক্ষমতা তার সেনা কিংবা পছন্দ মতো এন্জেলদের দিতে পারতো। এখানে কার্ড হলো এক রকম এর গেমস, যেটাকে বাংলায় টাস ও বলা হয়। কার্ড গেমসের মধ্যে রাজা রানী এবং আরো অনেক রকম কার্ড থাকে। আগের দুনিয়ায় এন্জেল রাজ্যও এই কার্ডের মতো চলতো। রাজার কার্ড ছিলো এন্জেল রাজা নিজেই, রানীর কার্ড রাজ্যের রানীর। এবং এরপর আস্তে আস্তে এক এক পদের এন্জেলের কাছে এক এক রকম কার্ডের ক্ষমতা থাকতো। এটা আগের এন্জেল রাজার রাজ্য পরিচালনা করার নিয়ম ছিলো। সে তার ক্ষমতা গুলো তার এন্জেল প্রজার মাঝে দান করতে পারতো। যেটা আমিও পারবো, কারন আমি এখন এন্জেল ফর্মে যেতে পারি। আর সেই এন্জেল ফর্ম নিজেই একটা এন্জেল কিং। আমি আগের মতো এখানে কার্ডের মতো রাজ্য পরিচালনা করবো না। কারন সেটা করতে গেলে আমাকেই রাজা হতে হবে। আর একটা রাজ্যের রাজা হওয়ার মাঝে কোনো মজা পাওয়া যায় না। যদি এক চান্সে এই পুরো দুনিয়ার রাজা হতে পারতাম, তাহলে সেই সুযোগ আমি ছারতাম না। যাইহোক আমি এই ছয়দিনের মাঝে তেমন কিছু করি নি। শুধু আমার এন্জেল ফর্মের সঠিক কিছু ব্যবহার করেছি, যেহেতু আগের দুনিয়ায় একজন এন্জেল কিং কার্ডের ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারতো, আমি এখানে কার্ডের ক্ষমতা নয় বরং দাবার ক্ষমতা ব্যবহার করেছি। দাবা খেলা, যেখানে প্রধান থাকবে কিং, এরপর কুইন, এরপর বিশপ(হাতি), এরপর নাইট(ঘোড়া), এরপর রুক(নৌকা) এরপর পন(বড়ে)।।।। তবে আমি যেটা ব্যবহার করতে চাচ্ছি সেটা আলাদা হবে। আমার দাবার রাজ্যে প্রধান হবে কুইন যেটা প্রিন্সেস এলিহা, এরপর থাকবে তার মিনিস্টার যেটা আমি, এরপর থাকবে বিশপ যারা রাজ্যের সর্বশক্তিমান সেনা হবে। এরপর থাকবে নাইট যারা রাজ্যের সকল প্রকার যুদ্ধে পা দিবে। এরপর থাকবে রুক, যাদেরকে আমি কোনো কিছু ধ্বংস করার জন্য রাখবো। আর সবশেষে থাকবে পন, যারা রাজ্যের প্রজা। তাদের মধ্য থেকেও সেনা নেওয়া হবে যারা যুদ্ধে অংশগ্রহন করবে। সবমিলিয়ে আমার চিন্তা করা শেষ। এখন শুধু কাজের সময়। আপাতোতো আমি আমার ম্যাজিক স্পেল ব্যবহার করেছি, যেটার মাধ্যমে প্রিন্সেস এলিহাকে আমি রানী বানিয়েছি, আমি নিজে মিনিস্টার, হ্যারিকে একজন বিশপ এর পদ দিয়েছি, লুসি এবং লুসানা দুজনকে নাইট এর পদ দিয়েছি। আমার এই স্পেল এর নাম হলো কিংডম ক্রিয়েশন। যেখানে আমার এন্জেল ক্ষমতা থেকে তাদের মধ্যে তারা নতুন ক্ষমতা পায়। তবে তাতে আমার ক্ষমতা একটুও কমে না।
।।।
।।।
জিনিসটা অনেকটা এই রকম, আমার এন্জেল ফর্ম থেকে কিছু ক্ষমতা বের করে নিলাম আমি, এবং সেগুলোকে অন্যকে দিয়ে দিলাম। কিন্তু যে ক্ষমতা আমি আমার শরীর থেকে বের করলাম, সাথে সাথে আবারো সেটুকু জন্ম নিলো আমার শরীরে। আর তাতে আমার ক্ষমতার কোনো পরিবর্তন হলো না। আর অন্যদিকে অন্য একজন আমার ক্ষমতা পেয়ে গেলো। তবে এটার জন্য একটা কন্ট্রাকে যেতে হয়েছে তাদের চারজনকেই আমার সাথে। যদিও সাধারন ভাবে দেখতে গেলে আমার রাজ্যের প্রধান রানী এলিহায় হবে। তবে রানী সহ বাকি সবাই যারা আমার থেকে ক্ষমতা গ্রহন করেছে, তারা আমার কথা অমান্য করলে আমার থেকে নেওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে না। এবং যেহেতু রানী এবং আমি বাদে অন্য কেউ তার রানীর আদেশ অমান্য করলো, রানী যে শাস্তি দিবে সেটা তাদের মেনে নিতেই হবে।
।।।
।।।
জিনিসটা ভয়ংকর হলেও অনেক কাজের। কারন আমি এখনো এটুকু জানি না আমার এন্জেল ফর্মে আমার ক্ষমতা কতটুকু। আর সেজন্য আমি বলতে পারছি না আমার রাজ্যের কুইন,বিশপ, রুক, নাইটস এবং পনরা কতটুকু ক্ষমতা আমার থেকে পাবে। জিনিসটা আমাকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আর সেটার জন্য আমি সপ্তম দিনে বের হয়েছি হ্যারির সাথে।
.
–কোথায় যাচ্ছি মিনিস্টার আমরা?(হ্যারি)
।।।
।।।
যেহেতু আমি এখন মিনিস্টার, তাই হ্যারি আমাকে সেটাতেই ডাকছে,
.
–আজকে অনেক গুলো রুক(নৌকা) ঝোগাড় করতে হবে। আর আজকে ইগড্রোলিয়ার সাথে যুদ্ধেরও দিন। যার দুটোই একত্রে করতে হবে আমাদের।(আমি)
.
–ওওও। আমরা দুজন কি পারবো মিনিস্টার স্যার?(হ্যারি)
.
–সেটা আমাদের রুকদের সামনে গেলেই বোঝা যাবে।(আমি)
.
–কিন্তু মিনিস্টার স্যার আমাদের রুক হবে কারা?(হ্যারি)
.
–সেটা একটু পরই দেখতে পারবে।(আমি)
.
–মিনিস্টার স্যার আমাদের কুইন কি দুজন নাইট এর সাথে সুরক্ষিত থাকবে?(হ্যারি)
.
–হ্যা, লুসি এবং লুসানার কাছে এখন কুইনের সুরক্ষা করার মতো ক্ষমতা রয়েছে।(আমি)
.
–আমি একজন বিশপ, আসলেই কি আমার মাঝে তেমন ক্ষমতা আছে?(হ্যারি)
.
–সেটা তো লড়েই দেখতে পারবে।(আমি)
।।।
।।।
আমি বিশপ হ্যারিকে নিয়ে সোজা টেলিপোর্ট হয়ে একটা অচেনা জায়গায় এসেছি। এই সাতদিনে ফ্রস্ট জায়েন্ট এবং ট্রোলেরাও ইগড্রোলিয়ার বর্ডারের কাছে প্রায় চলে এসেছে, যেখানে তারা যুদ্ধ করবে আজকে। আমার আপাতোতো পাঁচটা শক্তিশালী রুক(নৌকা) লাগবে যাদের সাহায্যে আমি আমার কুইনের জন্য প্যালেস বানাতে পারবো। অবশ্য সেটা আমরাও করতে পারতাম। তবে কায়িক শ্রমটা যাদের করতে অভ্যাস, তারা করলেই ভালো হয়। তাছাড়াও প্যালেস বানানো ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ন কাজ আমাকে করতে হবে। রাজ্যের বিশপ এবং শক্তিশালী নাইট খুজতে হবে। যারা একাই বিশ ত্রিশটা মিলিটারী অফিসারকে হারিয়ে দিতে পারবে। মোটকথা আমি এই দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী একটা রাজ্য তৈরী করবো, যেটার ভয়ে বাকি সব রাজা তার রাজ্য আমাদের দিয়ে দিবে। আর সেটার জন্য অনেক কাজ করতে হবে। তবে এই কাজটা সম্পূর্ন করার সহজ উপায় হলো ক্ষমতা দেখানো। ক্ষমতা দেখাতে পারলেই সব এমনিতেই হয়ে যাবে। আমি এখানে আপাতোতো এসেছিলাম ফ্রস্ট জায়েন্টদের থেকে চারজন শক্তিশালী ফ্রস্ট জায়েন্ট এবং একজন ট্রোলকে নিতে। ফ্রস্ট জায়েন্টদের শারিরীক ক্ষমতার অনেক মারাত্মক। আর তারপর যদি তারা আমার কিংডম ক্রিয়েশন স্পেল এর মাধ্যমে আমার রুক হয়, তাহলে তাদের মাঝে কতটা ক্ষমতা আসবে সেটা আমি ভাবতে পাচ্ছি না। তারপরও আমাকে প্রথমে বিশপের ক্ষমতা দেখতে হবে। বিশপ কি করতে পারে সেটা দেখতে পারলেই বুঝতে পারবো আমার এই স্পেলটা কাজের কি না, নাহলে আমাকে কার্ড সিস্টেমে কিংডম ক্রিয়েশন স্পেল ব্যবহার করতে হবে।
.
–নাও বিশপ হ্যারি তোমার টার্গেট তোমার সামনে, এবার শুরু হয়ে যাও।(আমি)
.
–আপনার মাথা ঠিক আছে মিনিস্টার স্যার? আমি একা সামনে এতোগুলো জায়েন্ট। আমাকে এক আঘাতেই উড়িয়ে দিবে।(হ্যারি)
.
–হ্যারি ভুলে যেয়ো না কুইনের বিশপ দিবো। কুইনের সেনার সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা হচ্ছে একজন বিশপ। এখানে একশো ফ্রস্ট জায়েন্ট হবে, পঞ্চাশটা তো একাই উড়িয়ে দিতে পারবে তুমি।(আমি)
।।।
।।।
হ্যারি নিচে গেলো। আমি দূর থেকেই জায়েন্টদের ক্ষমতা অনুভব করতে পারছিলাম। তাই এইখানে টেলিপোর্ট হয়ে এসেছি। অবশ্য কিছুটা দূরে উপরে টেলিপোর্ট হয়ে এসেছি, যেখানে দূর এবং উপরে থাকার কারনে জায়েন্ট গুলো আমাদের দেখতে পাচ্ছে না। জায়েন্টদের অনেক বড় সেনা ইগড্রোলিয়াতে হামলা করবে। তবে এটা সবচেয়ে প্রথমের গ্রুপ। এরাই সাতদিন হেটে প্রথমে ইগড্রোলিয়ার বর্ডারের কাছে চলে এসেছে। এই দুনিয়া যে প্লানেটে আছে বা যে গ্রহে আছে, সেটা বিশালাকার। এক পাশ থেকে আরেক পাশে যদি সাধারন স্পিডে উড়েও যাওয়া যায়, তাহলে কয়েক মাস লাগবে অন্য পাশে। তবে আল্ট্রা স্পিড ব্যাপারটা অন্য ব্যাপার। আমরা এর আগে ইগড্রোলিয়ার সবচেয়ে স্পিড যুক্ত যান নিয়ে হিমরারের বর্ডারে প্রবেশ করেছিলাম পুরো এক দিনে। যদিও সময় কম লেগেছিলো, তবে সেটা শুধু হিমরারের বর্ডারে যাওয়ার জন্য। তাছাড়া হেটে গেলে সেখানে আমাদের হয়তো এ মাসের মতো সময় লাগতো। কিংবা তারও বেশী। যায়হোক আপাতোতো জায়েন্টরা হিমরার এর থেকেও দূর থেকে এদিকে আসছে। তারা দক্ষিনের পর্বত থেকে এদিকে এসেছে, দক্ষিনের দিকে আপাতোতো কোনো রাজ্য নেই, ইড্রোলিয়ার উত্তরে হিমরার এবং পশ্চিমে এ্যালকোর্ট, উপরে এ্যারসাক, নিচে আন্ডারওয়ার্ল্ড। দক্ষিন থেকে কেউ আসলে প্রথমে ইগড্রোলিয়ায় পরে। তাই জায়েন্টরা ইগড্রোলিয়াতে হামলা করছে। এই দুনিয়াতে জায়েন্টরা এতোদিন কখনো বের হয় নি। তারা পর্বতের গুহার ভিতরে তাদের সবটা সময় কাটিয়েছে, তবে লোকির নির্দেশে তাদের মধ্যে একজন রাজা হয়েছে, এবং রাজার হুকুমে এখন তারা ইগড্রোলিয়াতে হামলা করছে।
।।।
।।।
আপাতোতো যে একশো জন ফ্রস্ট জায়েন্ট এবং ট্রোল সামনে এসেছে আমি এবং রানীর বিশপ উড়ছি আকাশে তাদের সামনে। তারা আমাদের লক্ষ করে নি। তবে আমি হ্যারিকে পাঠিয়ে দিলাম তাদের সাথে লড়ার জন্য হ্যারি নিচে নামলো এবং পুরো একশোটা বিশাল জায়েন্ট এর সামনে দাড়ালো। আমি ভাবলাম জায়েন্টরা বেশী কিছু চিন্তা করে না এজন্য সবগুলো একসাথে ওর উপরে হামলা করবে, তবে সেটা হলো না। জায়েন্টদের থেকে একজন এগিয়ে আসলো। সে একজন ট্রোল। তার এগিয়ে আসা দেখে সমস্ত জায়েন্ট হাততালি দিতে লাগলো। বুঝতে পারলাম ট্রোলটা এক এক লড়বে। হ্যারিকে আমি ভয় পেতে দেখতে পেলাম৷ যদিও আমি মানছি হ্যারি জিতবে, কিন্তু তারপরও আমার চিন্তা হচ্ছে। কারন আমার দেওয়া ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী হবে সেটা আমি এখনো জানি না। আমার একশো ভাগের মধ্যে বিশ ভাগ ক্ষমতা পাবে রানী, সেখান থেকে পনেরো ভাগ ক্ষমতা একজন বিশপ এর, বারো ভাগ ক্ষমতা একজন নাইটের, দশ ভাগ ক্ষমতা একজন রুকের এবং পাঁচ ভাগ পাওয়ার একজন পন পাবে। যদিও হ্যারি আমার এন্জেল ফর্ম থেকে পনেরো ভাগ পাওয়ার পেয়েছে, এটা মানে এই না যে সেও এন্জেল ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে, বরং তার নিজের ক্ষমতার সাথে সেই পনেরো ভাগ পাওয়ার যোগ হবে, এবং তাকে শক্তিশালী করবে। আমি শুধু দেখতে চাই আমার পনেরো ভাগ ক্ষমতা নিয়ে হ্যারি কি করতে পারে
।।।।
।।।।
দুজনের লড়াই শুরু হয়ে গেলো। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু ট্রোলটা একটা ঘুষি দিলো তার বিশাল হাত দিয়ে। এবং হ্যারি সেটার নিচে পরে গেলো। আমি ভেবেছিলাম অনেক শক্তিশালী হবে হয়তো হ্যারি, কিন্তু হয়তো বিষয়টা আমি বেশী দূর ভেবে নিয়েছিলাম। যাইহোক আমি টাইম স্পেল ব্যবহার করতে চাইলাম। যাতে হ্যারির কিছু না হয়। তবে অবাক হলাক যখন সাথে সাথে ট্রোল টাকে ব্লাস্ট হতে দেখলাম। হ্যারি দাড়িয়ে আছে, ওর হাতের তালু দিয়ে বাতাস বের হচ্ছে, যেটা ছোট একটা ঘূর্নিঝড় বানিয়েছে ওর হাতের তালুতে। যাইহোক আমি এটা প্রথমে চিন্তা করেছিলাম যে হ্যারি এক আঘাতে হারিয়ে দিবে, কিন্তু কখনো ভাবি নি পুরো শরীরকে ব্লাস্ট করে টুকরো টুকরো করে দিবে। এবার হ্যারি ওর হাতের তালু থেকে ছোট একটা বাতাসের বল বানালো যেটা ছুড়ে মারলো সবগুলো জায়েন্টদের দিকে। সাথে সাথে সেখানে বিশাল বাতাসের ঘূর্নিঝড় শুরু হয়ে গেলো। এবং সকল নিরানব্বই জায়েন্ট সেটার মধ্যে পরে উপরে ঘুরতে লাগলো। সবার শরীরের মধ্যে হাওয়া ঢুকছে। আমি এবার বুঝতে পারলাম, তখন হ্যারি ওর বাতাসের এট্রিবিউট দিয়ে ওর চারপাশে বাতাস তৈরী করেছে, যেটা ট্রোলটা ওকে আঘাত করার পরে ট্রোল এর শরীর অসংখ্যা পরিমান বাতাস প্রবেশ করিয়ে দেই, যেটা ট্রোলের শরীর বেশী নিতে পারে নি তাই সে ব্লাস্ট হয়ে যায়। অবশ্য অনেক মারাত্মক একটা মৃত্যু ট্রোলটার হয়েছে, তারপরও মানতে হবে একজন বিশপের ক্ষমতা কতটা। আমি প্রথমে সিওর ছিলাম না কতটা ক্ষমতা হ্যারির হবে বিশপ হওয়ার পরে। তবে এখন বুঝতে পারছি। দশজন বিশপ হলে পুরো একটা রাজ্য নিয়ন্ত্রনে করা ব্যাপার হবে না। তারপরও আমি বিশপের ক্ষমতা পুরোপুরি দেখতে চাই। এরপর নাইটের ক্ষমতাও আমাকে দেখতে হবে। তাদের ক্ষমতা দেখার পরে তাদের সংখ্যা নির্ধারন করতে হবে। তাছাড়া তো চাইলেই আমি হাজার বিশপ তৈরী করতে পারবো না। আমার নিজের সেই স্পেলের একটা লিমিট রয়েছে, সব ছয়জন নাইটের ক্ষমতা একত্র করলে সে একজন বিশপের সমান হতে পারে। আবার পাঁচজন বিশপ একত্র হলে সে মিনিস্টার এর সমান হতে পারে, এবং দুইজন মিনিস্টারকে একত্রে করলে সে কুইনের সমান হবে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে পুরো দাবার পিসগুলোকে সমান করলে সেটা মিনিস্টার এর অর্ধেক হবে। কারন এখানে মিনিস্টারই সব নিয়ন্ত্রন করবে।
।।।
।।।
সকল জায়েন্ট এবং ট্রোলগুলো হ্যারির বানানো ছোট বলের থেকে তৈরী বিশাল ঘূর্নিঝড়ের মাঝে ফেসে গেছে, যাদের শরীরে হ্যারি হাওয়া দিয়ে বেলুনের মতো ফুলাচ্ছে। এবং সবশেষে হ্যারি নিচ থেকে ওর মাথার উপরে হাজারেরও উপরে বিশালাকার এয়ার ব্লেড তৈরী করে। যেগুলো ঝড়ের মধ্যে উড়ে থাকা ট্রোল এবং জায়েন্টদের উপরে নিক্ষেপ করে হ্যারি। দেখতে দেখতে পুরো একশোজন জায়েন্ট এবং ট্রোল নিমিশেষেই শেষ হয়ে গেলো। আমার কথা মতো হ্যারি চারজন ফ্রস্ট জায়েন্ট এবং একজন ট্রোলকে বাঁচিয়ে রেখেছে, কারন সবার থেকে তাদের ম্যাজিক পাওয়ারটা অনেকটা বেশী। হ্যারি সামনে গেলো তাদের এবং ব্লাক রোপ ম্যাজিক স্পেল ব্যবহার করলো। স্পেলটা অনেকটা এন্জেল রানী আফরিয়েল এর মতো। সে আমাকে সাদা সুতা দিয়ে বেধেছিলো, যেটার নাম হোয়াইট রোপ। আর হ্যারি ডেভিল হওয়ার ফলে সে ব্লাক রোপ স্পেক ব্যবহার করতে পারে। কালো সুতা বের হলো হ্যারির হাতে। যেটা দিয়ে বেধে ফেললো পাঁচজনকে। আমি এগিয়ে গেলাম এবার।
.
–মিনিস্টার স্যার, আমি তো ভয় পেয়েই গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছে এতো ক্ষমতা হবে আমি নিজেও ভাবি নি। যখন ট্রোলটা আমাকে ঘুষি দিলো, আমি ভেবেছিলাম আমি শেষ, কিন্তু আমার কিছু মনেই হয় নি ঔটার আঘাত খেয়ে।(হ্যারি)
.
–দেখেছো তো তাহলে বিশপের ক্ষমতা।(আমি)
.
–মিনিস্টার স্যার আমাদের রাজ্যের সাথে কেউ লড়তে চাইলে তো বিশপের ক্ষমতা দেখেই ভয়ে পালাবে।(হ্যারি)
.
–সেটা না বিশপ হ্যারি, আমাদের কুইনের সাথে কেউ লড়তে চাইলে তার নাইট এবং পন দেখেই ভয় পাবে।(আমি)
.
–কিন্তু তার জন্য তো আমাদের অনেক নাইট এবং পন দরকার পরবে।(হ্যারি)
.
–হ্যা সেটার চিন্তা করতে হবে না। একবার আমাদের প্যালেসটা তৈরী হয়ে গেলে সব হয়ে যাবে।(আমি)
।।।
।।।
আমি এবার পাঁচজন জায়েন্ট এর সাথে কথা বলতে লাগলাম।
.
–তোমরা তো দেখলেই আমাদের কুইনের বিশপের ক্ষমতা। আমি জ্যাক কুইন এলিহার মিনিস্টার। আমাদের কুইন চাইলেই নিমিষেই তোমাদের পুরো গোত্রকে শেষ করে দিতে পারবে, কিন্তু কুইন সেটা চাচ্ছে না। বরং তোমাদের বাচার সুযোগ দিবে আমাদের কুইন।(আমি)
.
–প্লিজ আমাদের মারবেন না। আপনারা যা বলবেন আমরা তাই করবো।(জায়েন্ট গুলো)
.
–ঠিক আছে। আজ থেকে তোমরা পাচজন আমাদের কুইনের রুক পদে নিযুক্ত হবে। এবং কুইনের সমস্ত আদেশ মেনে চলবে।(আমি)
.
–জ্বী আমরা রাজি।(জায়েন্ট গুলো)
।।।
।।।
আমি আমার ক্রিয়েশন স্পেল ব্যবহার করলাম আবার। এবং তাদের পাঁচজনকে রুক বানিয়ে দিলাম আমার রাজ্যের। মূলত রাজ্যটা আমার। তবে আমি চাইনা সেটা কেউ বলুক। তাই রাজ্যের জন্য আমি প্রিন্সেস এলিহাকে রানী করেছি। প্রিন্সেস এলিহাকে আমি রানী করার ফলে আমার রাজার কাজ করতে হবে না। বরং আমি সাইডে থেকে পুরো দুনিয়া কনট্রোল করতে পারবো তখন। জিনিসটা ভাবলেই অনেক ভালো লাগে।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন।