যে শ্রাবণে এলে তুমি পর্ব:৮

0
559

যে শ্রাবণে এলে তুমি💕💕
পর্ব:8
লেখনিতে:মৌসুমী

কাঁদামাখা পিছলা রাস্তা দিয়ে গাড়ি আনতে খুব কষ্ট হচ্ছে ফারদিনের।সামান্য এইটুকু রাস্তা কেনো যে ঠিক করেনা এখানকার লোকেরা তাই ভেবে পাচ্ছেনা ফারদিন।ঘড়িতে এখন বাজে রাত বারোটা।চারিদিকে নিস্তব্ধ,শুধু ঝিঁঝিপোকার ডাক শোনা যাচ্ছে।একটা মানুষ ও নেই বাইরে।গাড়ি নিয়ে যেতে ফারদিনের খুব কষ্ট হচ্ছে।আর দু মিনিট হলেই তার দাদাবাড়ির কাছে চলে আসবে,বাড়িটা দেখতেও পাচ্ছে সে এখান থেকে কিন্তু গাড়িটা কিছুতেই এখান থেকে সড়াতে পারছেনা সে।আর কিছু না ভেবে গাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়িটা লক করে হাঁটতে শুরু করলো ফারদিন।গ্যাদগেদে কাঁদায় হাঁটতেও সমস্যা হচ্ছে তার।দরজার সামনে গিয়ে দরজায় ঠক ঠক করে নক করতে শুরু করলো সে।কিন্তু কারোর কোন সাড়া পেলোনা,মেজো আব্বু ,মেজো আব্বু বলে কয়েকবার ডাকলো ফারদিন তাও কোন সাড়া নাই।এবার ফোন বের করে ফোন করলো ফয়েজকে সে,

ক্রিং ক্রিং করে ফোনের রিং বেজেই যাচ্ছে ।বালিশের পাশে ফোন রেখে নিহাকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে পড়ে আছে ফয়েজ।নিহার চুলের গন্ধ নিতেই ব্যস্ত সে ,নিহাকে ঘুমাতেও দিচ্ছেনা নিজেও ঘুমাচ্ছেনা।এখানে এসে থেকে নিহাকে চোখের আড়াল হতেই দিচ্ছেনা সে।তখন দরজা খুলে তুলতুলকে দেখেই ফয়েজের মেজাজ খারাপ হয়ে গেছিলো কিন্তু তুলতুল ফয়েজের মেজাজ কি আর বুঝে ,সে তার বাবাইকে দেখেই বলতে শুরু করলো,বাবাই দেখো দেখো আমি লাল লাল পেয়ালা খাচ্ছি দেখ কেমন বিচি গুলো লাল তাই না বলে ফয়েজকে পাশ কাটিয়ে ভিতরে গিয়ে নিহাকেও বলছে একি কথা।নিহা তুলতুলকে কোলে তুলে নিলো তারপর মেয়েকে বললো চলো মা আমিও লাল লাল পেয়ালা খাবো তোমার সাথে চলো নিয়ে আসি বলেই ফয়েজকে মুখ ভেংচি দিয়ে বেরিয়ে গেলো নিহা।ফয়েজ বেচারা মুখটা ভার করে কিছুক্ষণ রুমে বসে থেকে তারপর নিজেও চলে গেলো বাইরে।তারপর নিহা যেখানে ফয়েজ ও সেখানে।বাড়ির সবাই তো ফয়েজের এসব দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে হাসছিলো।রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ হতেই নিহাকে নিয়ে ঢুকে পড়েছে সে রুমে।ফজিলা বেগমকে বলেছেন,আম্মা তুমি তুলতুলকে ঘুম পাড়িয়ে তোমাদের কাছেই রেখো ,সেই থেকে এখন অব্দি নিহাকে ঘুমাতে দেয়নি সে।এখন পাশে যে ফোনটা সুর তুলেছে সেটা ফয়েজের কানে যাচ্ছেইনা।নিহা বললো,শুনছো তোমার ফোন বাজছে ,দেখো কে ফোন করলো,ফয়েজ একটু নড়েচড়ে পাশ থেকে ফোনটা নিয়ে কানে ধরলো,দেখলোওনা নাম্বারটা কার।ওপাশ থেকে ফারদিন বললো ভাইয়া ফোন ধরছিলিনা কেনো ,বিরক্ত মুখে ফয়েজ বললো এতো রাতে ফোন করেছিস ক্যান সেটা আগে বল? আমি দরজার কাছে আছি, দরজা খুলো তারাতারি বলেই ফোনটা কেটে দিলো ফারদিন…
ফয়েজ নিহাকে বলছে,আচ্ছা ফারদিনকি জানেনা আমরা গ্রামে এসেছি।নিহা বললো জানে,ফয়েজ এবার বললো ,তাহলে ও দরজা খুলতে বলছে কেনো?
নিহা এবার শোয়া থেকে উঠে বসে বললো,তাহলে ফারদিন এসেছে নাকি এখানে?
ফয়েজ অবাক চোখে নিহার দিকে তাকিয়ে বললো ,কি বলো?এতরাতে ফারদিন আসবে কেনো এখানে আসলে দিনে আসবে।
নিহা চুল বাঁধতে বাঁধতে বললো চলোতো আগে দরজার কাছে ,আসতেও পারে রাতে।আম্মা সকালে মন খারাপ করেছিলো সেজন্য হয়তো ছুটি নিয়েই চলে এসেছে বেচারা এত রাতে।

দরজার কাছে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখলো ফারদিন প্রচন্ড বিরক্তমুখে দাঁড়িয়ে আছে।হিশ হিশ করে ফয়েজকে বললো এতো দেরি লাগে দরজা খুলতে তোর ভাইয়া।

ফয়েজ বললো ,আমি কি জানি তুই এই দরজা খুলতে বলেছিস,তা তুই যে আসবি কাল আসতি এতরাতে আসার কি দরকার ছিলো ,,

কেনো আমি এতো রাতে আসলে তোর কি সমস্যা হচ্ছে বলে পাশে নিহার দিকে তাকালো ফারদিন।তারপর আর কিছু না বলে ভিতরে চলে গেলো।জমিলা বেগমের ঘরের কাছে গিয়ে নিহা তাকে ডাকলো।জমিলা বেগম ঘুম ঘুম চোখে উঠে এসে ফারদিনকে দেখে তার চোখের ঘুম সাথে সাথে চলে গেলো তারপর ফারদিনকে দেখে খুশিতে জড়িয়ে ধরলো।নিহা এবার ফজিলা বেগমকেও ডেকে আনলেন।অল্পবিস্তর কথা বলে হাত-মুখ ধুঁয়ে খেতে বসলো ফারদিন।জমিলা বেগম গেলেন ফারদিনের জন্য বিছানা করতে।আস্তেধীরে খেয়ে উঠতেই জমিলা বেগম ফারদিনকে বললেন দোতলায় পশ্চিমে গিয়ে শেষের রুমটাতে শুয়ে পর।ফারদিন শেষের কথাটা না শুনেই পশ্চিম শুনতেই সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলো।ফয়েজ আর নিহাও চলে গেছে শুঁতে।ফজিলা বেগমো এবার শুতে গেলেন,জমিলা বেগমো চলে আসলেন তার রুমে।

পশ্চিমের একটা অন্ধকার রুমে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো ফারদিন।ঘরে প্রবেশ করেই একটা মিষ্টি স্মেইল নাকে এসে বাড়ি খেলো তার।গন্ধটা পরিচিতোও লাগছে কিন্তু থাক,সেসব ভাবনা মনে এখন না আনাই ভালো।সেসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললো সে,ওসব আউলফাউল চিন্তা সে এখন করবেনা।এখন অনেক রাত হয়েছে তাই এখন ঘুমাতে হবে।তারপর ফোনের ফ্ল্যাশ দিয়ে সুইচবোর্ড খুঁজতে শুরু করলো ,বেশি খোঁজা লাগলোনা ,দরজার কাছেই পেয়ে গেলো সে বোর্ডটা।সুইচ অন করতেই এনার্জি বাল্পের আলোতে সারাঘর ভরে গেলো।কাঁথা মুখ চোখের ওপর টেনে নিয়ে ঘুম ঘুম কন্ঠে বিরক্ত নিয়ে নিরা বললো,আম্মা লাইট অফ করো চোখে লাগছে,এতো রাতে এ ঘরে কি করো? তাড়াতাড়ি লাইট অফ করে দাও বলে ঘুমে আবার তলিয়ে গেলো নিরা।এইদিকে নিরার গলার আওয়াজে বনাত করে ঘুরে খাটের দিকে তাকালো ফারদিন।বিরবির করে বলছে,এই মেয়ে এখানেও,কি করে এখানে সে আজব,সব জায়গায় সে চোখের সামনে ঘুরঘুর করে মেজাজ খারাপ।আর দাদিই বা এই ঘরের কথা বললো কেনো আমাকে।ফারদিন বিরবির করতে করতেই জমিলা বেগম এসে হাজির ফারদিনের কাছে।তারপর ফিসফিস করে বললো কিরে ছোটভাই তুই এই ঘরে ক্যান তোকে তো পানজোরের(পাশের)ঘরের কথা বলেছিনু, চল ওই ঘরে চল এই ঘরে নিরা বুবু আছে।ভাঙ্গিস আমি আস্যাছিনু(এসেছিলাম)নাহিলে তো সর্বনাশ হয়্যা য্যাতো চল ভাই,ম্যালা রাইত হয়্যা গেলছে।

ফারদিন কঠিন মুখে বললো,দাদি তুমি আগে বলবানা,আর এই মেয়ে এখানে ক্যান দাদি।এও এসেছে আম্মাদের সাথে।

জমিলা বেগম ফিসফিস করে বললো,ভাই আমার আস্তে কথা বুল শুইনতে পাবে চলতো তোর ঘরে,আর ওই ছুড়ির বাপ-মা আস্যাছে(এসেছে)তো ওই আসবে না।চল চল বলে ফারদিনের হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো জমিলা বেগম পাশের রুমে।

সকালের মিষ্টি রোদ এসে পড়ছে নিরার মুখে।রোদ পড়ে মুখটা কেমন চকচক করছে।হাই তুলতে তুলতে বিছানায় উঠে বসলো নিরা।বিছানার পাশেই ছোট একটা জানালা।জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো সে,নিচেই একটা পুকুর আছে ,সেই পুকুরের পাশে মোড়া নিয়ে বসে আছে ফয়েজ আর একটা ছেলে,দুজনি লুঙ্গি পড়ে বসে আছে।তুলতুল কোথায় থেকে ছুটে এসে বসলো ফয়েজের কোলে।পাশে বসা ছেলেটি হাত পাতছে তুলতুলের দিকে তাকে কোলে নেওয়ার জন্য কিন্তু তুলতুল যাচ্ছেনা সেই ছেলেটির কোলে।আরো একটি চৌদ্দ পনেরো বছরের ছেলে লুঙ্গি পড়ে আসলো সেখানে,নিরা চেনে তাকে,সে হলো নিহার মেজো শ্বশুরের ছেলে সিফাত।নিহা একটা ট্রেতে সবার জন্য চা নিয়ে এসে সবাইকে দিলো।দোতলার জানালা দিয়ে এসব দেখছে নিরা বসে বসে।উশকো খুশকো চুল নিয়ে বসে আছে সে, নিহাকে এবার ডাকলো নিরা,আপু ভাইয়ার পাশে এটা কেরে বসে।
নিরার আওয়াজ শুনে উপরের দিকে তাকালো সবাই।ফারদিনো তাকালো সবার সাথে সাথে।

নিরা মুখটা পানসে করে আবার বলে উঠলো,ওহ তোমার দেবর,সে আবার কখন আসলো এখানে।আমাদের সাথেতো আসেনি, তাহলে?জিঙ্গাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো নিরা ফারদিনের দিকে।ফারদিনো দেখছে নিরাকে।ঘুম থেকে উঠার কারণে নিরার মুখটা কেমন ফুলে আছে,আর কেমন তেল তেল করছে তার হলুদ ফর্সা মুখটা।সবুজ রঙের একটা ওড়না গাঁয়ে জড়ানো,অন্যরকম লাগছে নিরাকে ফারদিনের কাছে।বেশি দেখা যাচ্ছেনা তবে যতটুকু দেখতে পাচ্ছে,ততটুকুতে কেমন একটা অদ্ভুত সুন্দর লাগছে নিরাকে ফারদিনের কাছে।

নিহা বলে উঠলো,আমার দেবর রাতে এসেছে,তাকে নিয়ে তোর ভাবতে হবেনা তুই নিচে আয় ,চা খাবি,চা করেছি।

আসছি এক্ষুণি আমার জন্য বিস্কুট রাখ।বলেই জানালার কাছ থেকে সরে ব্যাগ থেকে ব্রাশ আর পেস্ট নিয়ে নিচে আসলো সে।

ফারদিন মনে মনে বললো নিরাকে উদ্দেশ্য করে,লাট সাহেব,চা খেতে ডাকছে ভাবি ,সে আবার বিস্কুটো নিবে যত্তসব।

পুকুরের পাশে বসে সবাই গল্প করছে,নিহার কয়েকটা ননদো এসেছে সেখানে।
নিরা হাত-মুখ ধুয়ে চা হাতে এসে বসলো একটা চেয়ারে।বিস্কুট চায়ের মধ্যে ডুবিয়ে ডুবিয়ে খাচ্ছে আর সকলের গল্প শুনছে।ফারদিন চোরা চোখে তাকিয়ে নিরার চুক চুক করে চা- বিস্কুট খাওয়া দেখছে।আবার সবার সাথে হালকা পাতলা কথাও বলছে।
নিরার চা-বিস্কট খাওয়া শেষ হলে সে নিহাকে বললো,আপু খিদে লেগেছে খুব খাবো চলো বাড়িতে,নিরার খিদে লাগার কথা শুনে উপস্থিত সকলেই তার দিকে তাকালো অন্যরকম চোখে।ফারদিন তো বলেই দিলো সাথে সাথে,তুমি গরু নাকি,চা খেলে,বিস্কুট খেলে পেটে তো জায়গা থাকার কথা না তাহলে খিদে লেগেছে বলছো কোন মুখে।ফয়েজ ফারদিনকে বললো,আমার শ্যালিকা খেতেই পারে তাতে তোর কি তুইও খা কে মানা করছে।ফারদিন বললো,তোমার শালির হয়ে ভালোই কথা বলা শিখেছো দেখছি।খাওয়াও বেশি করে,খাইয়ে খাইয়ে হাতি বানাও তাকে বলে নিরার দিকে একটা রাগি লুক দিলো সে।
নিরা কাঁদো কাঁদো মুখ করে ফয়েজকে বললো দেখলেনতো ভাইয়া কেমন আপনার ভাই,আমাকে সহ্য ই করতে পারেনা,আমার খিদের কথা শুনে আমাকে কিভাবে অপমান করলো,আচ্ছা ভাইয়া আমি আপনার এই রগচটা,ফাজিল ,বদমাইশ ভাইয়ের কোন পাকা ধানে মই দিয়েছি ,শেষের কথাগুলো একটু চিবিয়ে রাগিভাবে বললো নিরা।ফারদিন এবার বিশাল রেগে গেছে,ফয়েজের দিকে তাকিয়ে বললো,এই মেয়েটা,তোর শালি বলে,একটা মেয়ে বলে একে কিছু বললাম না,অন্য কেউ হলে দেখে নিতাম এই বদমাইশকে।বদমাইশ কথাটা শুনতেই এবার নিরা আরো ক্ষেপে গেলো তারপর ফারদিনের কাছে রি রি করে তেড়ে আসতেই নিহা ধরে ফেললো তাকে।নিহার কাছ ছোটার চেষ্টা করতে করতে নিরা ফারদিনকে বললো তোর আমি কি করেছি যে তুই আমাকে বদমাইশ বললি?ফারদিন নিহাকে বললো,ভাবি তোমার বোনকে বলো অসভ্যের মত আমাকে যেনো তুই তুই না করে।এবার নিরার দিকে তাকিয়ে বললো,তুমি আমাকে বদমাইশ বললে কেনো?আমি তোমার সাথে কি বদমাইশি করেছি বলো আমাকে,কিন্তু তুমি যে কতটা বেয়াদব সেটা সবার সামনে প্রমাণ করলে আমাকে তুই বলে ডেকে।এতক্ষণে বাড়ির সবাই এখানে উপস্থিত হয়ে গেছে,মাহফুজা বেগম এসেই নিরাকে নিহার কাছ থেকে নিয়ে চড় মারতে যাচ্ছিলেন তখন ই ফারদিন মাহফুজা বেগমের হাত ধরে নিলেন তারপর মাহফুজা বেগমকে বললেন আন্টি মারবেননা,আমার জন্য কেনো নিজের মেয়েকে মারতে যাবেন।মাহফুজা বেগম বললেন,এমন বেয়াদব মেয়ে আমার যে এক জায়গায় বেড়াতে এসেও বড়দের সাথে তুই তুকারি করে ঝগড়া করে,এমন মেয়েকে আমি মেরেই ফেলবো বলে আবার মারতে যেতেই ফজিলা বেগম নিরাকে নিজের কাছে টেনে নিলেন।তারপর মাহফুজা বেগমকে বললেন,বেয়ান পাগল হলেন নাকি,এত বড় মেয়েকে মারতে যাচ্ছেন।আমার ছেলে আবার খুব ভালো নাকি,আমিতো দেখি নিরাকে ও দেখতেই পারেনা।যা হওয়ার হয়েছে চলো নিরা আমার সাথে ভিতরে চলো বলে নিরাকে নিয়ে ভিতরে গেলেন ফজিলা বেগম।

ভাঙ্গিস বাড়ির পেছনে সব ছিলো নাহলে মান-সম্মান আর থাকতোনা ,আমার বোনটা আসলেই বেয়াদব,ফারদিন তুমি কিছু মনে করো না ভাই বলে মাথা নিচু করলো নিহা।

ভাবি আমি কিছু মনে করিনি,তবে তোমার বোনটা কি আর বলবো কিছু বলার নাই বলেই চলে গেলো সে বাড়ির ভিতর।

ফয়েজ অসহায় মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে,সামান্য একটা কথা থেকে যে এতকিছু হবে ভাবেইনি সে।
আস্তে আস্তে সবাইপুকুরের পাশ থেকে চলে গেলো।নিহাও তুলতুলকে ফয়েজের কাছ থেকে নিয়ে চলে গেলো,ফয়েজ ও আর থাকলোনা সেখানে।একটু আগে কি সুন্দর সবাই মিলে গল্প করছিলো আর এখন সব চুপচাপ হয়ে গেছে।

বিকালবেলা সিঁড়ি দিয়ে নামছিলো ফারদিন তখনি সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে উঠছিলো নিরা….

চলবে…..

গল্পটা মনে হয় আপনাদের ভালো লাগছেনা তাইনা?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here