শেষ বিকেলের আদর❤️পর্ব : ২১

0
3885

#শেষ বিকেলের আদর❤️
#রিত্তিকা ইসলাম
পর্ব : ২১

🌼
ঘড়িতে কয়টা বাজে জানা নেই।বিছানায় এলোমেলো হয়ে গভীর নিদ্রায় মগ্ন রোশনি।চোখ আর মুখ জুড়ে অগোছালো চুলের ছড়াছড়ি।নাকে মুখে সুরসুরি লাগতেই চোখ মুখ কুচকে এলো। অলস হাতে মুখের উপর থেকে চুল সরিয়ে আবারো ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমালো সে।তবে সূর্য মামার মনে হয় তার এই সুন্দর ঘুমটা ঠিক পছন্দ হলো না ।ছোট্ট খোলা জানালাটা দিয়ে রোদের তীর্যক আলো এসে চোখে মুখে পড়তেই চোখ মুখ কুচকে আবারো ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমালো।।আয়াশ স্কুলে যাওয়ার জন্যে তৈরি হয়ে এসে দেখে রোশনি এখনো ঘুমিয়ে আছে।রোশনির মুখের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো রোশনি চোখ মুখ কুচকে আছে।আয়াশ মুচকি হেসে জানালায় পর্দা টেনে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।অনেকক্ষণ বাদে তুমুল গতিতে বেজে উঠলো মুঠোফোন।ফোনের আওয়াজে আপনা আপনিই কপাল কুচকে এলো রোশনির।ফোনের মিষ্টি টিউনটাকেও এখন কর্কশ আর সেই সাথে বিশ্রী শুনাচ্ছে।ফোনের আওয়াজ নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ হতেই পাশ ফিরে শুলো রোশনি।প্রায় সাথে সাথেই আবারো বেজে উঠলো বিশ্রী টিউনটা।বিরক্তিতে কুচকে এলো সুন্দর পুরু ভ্রু জোড়া।চোখ বন্ধ রেখেই অলসহাতে সাইড টেবিলে হাত বাড়ালো।আন্দাজে কিছুক্ষন হাতড়ানোর পর ফোনের হদিস পেয়ে না দেখেই ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো রোশনি।ঘুমের রেশটা এখনো কাটেনি তার।ফোনের ওপাশের লোকটি কিছু বলার আগেই ঘুম জড়ানো গলায় হ্যালো বলে উঠলো রোশনি।সাথে সাথেই থমকে গেলো ওপাশের মানুষটি।সেই সাথে থমকে গেলো তার হৃদপিণ্ড। তারপর আবারো চলতে শুরু করলো তুমুল গতিতে।কি আশ্চর্য!!! এতো জোরে হার্ট বিট করছে অধির তা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে।বুকের বা পাশে হাত রেখে চোখ বন্ধ করলো সে।মেয়েটা তাকে ধীরে ধীরে তার নেশায় জড়িয়ে নিচ্ছে ।একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিচ্ছে।আচ্ছা এই মায়াজাল থেকে বেরোনোর কি কোনো উপায় আছে? নাকি এই অসহ্য ভালো লাগা নিয়ে সারা জিবন এই মায়াজালেই বন্দী থাকতে হবে তাকে?রোশনি ঘুমের মাঝেও শুনতে পেলো ফোনের ওপাশের ব্যক্তিটির লম্বা দীর্ঘশ্বাস।কিন্তু চোখ খুলে তাকাতে পারলো না সে।আর না পারলো মুখ থেকে কোনো শব্দ বের করতে।ফোনের ওপাশের ব্যক্তির নিশ্বাসের শব্দ শুনতে শুনতেই আবারো ঘুম নেমে এলো চোখ জুড়ে।অধির লম্বা করয়েকটা শ্বাস টেনে শান্ত করলো নিজেকে।অধির নিজেকে স্বাভাবিক করে হ্যালো বলে উঠলো।একবার দুবার অসংখ্য বার হ্যালো বললো।নিশ্বাসের শব্দ ছাড়া আরো কোনো আওয়াজ পাওয়া গেলো না।মেয়েটা কি ঘুমিয়ে গেছে?অধির কিছুক্ষন একমনে রোশনির নিশ্বাসের শব্দ শুনতে লাগলো।ভালো লাগছে শুনতে।পৃথিবীতে এর থেকে সুন্দরতম আর কিছু হয়তো দ্বিতীয়টি নেই।অদ্ভুদ ভালো লাগায় কেপে উঠছে শরির, মন।বেশ কিছু সময় পর অধির ফোন কেটে আবারো ফোন লাগালো।ফোন কাটার ঠিক আগ মুহূর্তে ফোন রিসিভ হলো।রোশনি চোখ মুখ ডলে ফোন কানে ধরলো,

_হ্যালো।কে বলছেন? এতো সকালে কেউ ফোন দেয় কাউকে? দেখছেন আমি ঘুমোচ্ছি তারপরও ফোন দিয়েই চলেছেন।

অধির নিজের চোয়াল শক্ত করলো।নিজের অনুভূতি প্রকাশ করা যাবে না। মেয়েটাকে বুঝাতে হবে সে রেগে আছে।

_তোমার কাছে এখনো সকাল মনে হচ্ছে? সকাল আবার কাল হবে।কয়টা বাজে দেখেছো?

লোকটার গলা ঠিক চিনে উঠতে পারলো না রোশনি।তবুও অলস ভঙ্গিতে উঠে বসে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকাতেই চমকে উঠলো।ব্যস্ত ভঙ্গিতে বিছানা থেকে নেমে দাড়ালো।

_হায় আল্লাহ।দেরি হয়ে গেছে।ওই অসভ্য লোকটা আমায় আজ মেরেই ফেলবে।ওই মিয়া ফোন রাখেন।আপনার সাথে কথা বলার সময় নেই আমার।আমাকে এখুনি বেরোতে হবে।নয়তো মিষ্টার অসভ্য আমায় আর আস্ত রাখবে না।এমনিতেই সেদিনের ঘটনা,,,ও আল্লাহ রক্ষা করো।

অধিরকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ফোন কাটলো রোশনি।ফোনটাকে বিছানায় ছুড়ে ফেলে ছুটে গেলো ওয়াশরুমে।কোনো ভাবেই আর দেরি করা যাবে না।এদিকে ফোনের দিকে চোয়াল শক্ত করে তাকিয়ে আছে অধির।মেয়েটা তাকে অসভ্য বললো? মনে মনে তাহলে এগুলোই ভাবে তাকে নিয়ে? আজ আসুক।আজ বুঝাবে অসভ্যতামি কাকে বলে?

বিশাল সাইজের রুমের মাঝ বরাবর দাড়িয়ে আছে রোশনি।তার ঠিক সামনেই সোফায় বসে চেয়ে আছে অধির।রোশনি আড় চোখে অধিরকে দেখে আবারো চোখ ফিরিয়ে নিলো।লোকটাকে বোধ হয় বোবায় ধরেছে।নয়তো কথা বলার সিস্টেম কাজ করছে না।দশ মিনিটের বেশি সময় ধরে এভাব বসে থাকার কোনো মানে হয়? লোকটা আসলেই অদ্ভুদ।রোশনি আশেপাশে চোখ বুলাতেই ঠোট উল্টালো।এতো বড় রুম বানানোর কি দরকার? তার বাড়িটাও এই রুমটার থেকে ছোট হয়তো।রোশনির এখনো পর্যন্ত মাথা গুলিয়ে যায় কোন দিকে কার রুম।এতো বড় বাড়িতে রুমের অভাব নেই।আর প্রতিটা রুমই কিং সাইজ।রোশনি রুমের বাম দিকে তাকাতেই চোখে পড়লো মাঝারি সাইজের একুরিয়াম। কালো রঙের অনেক গুলো বিদেশি মাছ ভেসে বেরাচ্ছে নুড়ি পাথরের উপর।কুচকুচে কালো রঙের মাছ গুলোকে ভিষন সুন্দর দেখাচ্ছে।মাছ গুলোর নাম কি হতে পারে তা ভাবার চেষ্টা করলো রোশনি।কিছুক্ষনের মাঝে নামগুলো মনেও পড়ে গেলো।এই মাছ গুলোকে ব্লাক মোর গোল্ড ফিস বলে।এমনটাই শুনেছিল সে।রোশনিকে এভাবে ঠোট উলটে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ভ্রু কুচকালো অধির।মেয়েটা একটু আলাদা।তার সামনে যে একজন বসে আছে সেদিকে তার বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই? সে তার চিন্তায় মগ্ন।অধিরকে এক পলক দেখার জন্যে মেয়েরা হা হুতাশ করে মরে।অফিসের মেয়ে ইমপ্লোয়ি গুলোও সুযোগ পেলে আড় চোখে তাকায় অধিরের দিকে।আর এই মেয়ে তার দিকে ফিরেও তাকায় না।ব্যাপারটা আশ্চর্য। অধিরের মনে হচ্ছে তার চেহারা খুব বেশি সুন্দর নয়।আরো একটু সুন্দর হওয়া দরকার ছিলো।তাহলে যদি এই মেয়ে তার দিকে ফিরে দেখতো।অধির রোশনির আকর্ষন পেতে হালকা কেশে উঠলো।রোশনি চমকে উঠে ভ্রু কুচকে সরু চোখে তাকালো অধিরের দিকে।অধির বাম ভ্রু টা চুলকে সোজা হয়ে বসলো।

_কয়টায় আসতে বলেছিলাম?

সাথে সাথেই জবাব দিল রোশনি,

_আটটায়।

_কয়টায় এসেছো?

_দশটায়।

অধির এবার উঠে দাড়ালো।অধিরকে দাড়াতে দেখে কিছুটা ভড়কে গেলো রোশনি।এতোক্ষন ভয়টাকে নিজের মধ্যে চেপে রাখলেও এবার বোধহয় আর লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।অধির কয়েকপা এগিয়ে আসতেই ভয়ে গলা শুকিয়ে এলো রোশনির।তবুও নিজের জায়গায় শক্ত হয়ে দাড়িয়ে রইলো।অধির একদম রোশনির মুখোমুখি দাড়ালো।

_কাল তোমায় কি বলেছিলাম? ডোন্ড বি লেইট।বলেছিলাম কি না?

অধিরের নিশ্বাস চোখে মুখে পড়তেই কেপে উঠলো শরির।কিন্তু ওই হিংস্র চোখ দেখে সাথে সাথে মাথা দুলিয়ে জবাব দিলো।যার অর্থ সে বলেছিলো এটা।অধিরের চোয়াল আরো কিছুটা শক্ত হয়ে এলো।

_তাহলে লেইট কেন হল? আর তার থেকেও বড় কথা আমাকে অসভ্য বলার সাহস কি করে হলো তোমার?আনসার মি…..

অধিরের ধমকানিতে শুকনো ঢোক গিললো রোশনি।কোনো রকমে শুকিয়ে আসা ঠোট জোড়া জিব্বাহ দিয়ে ভিজিয়ে বলে উঠলো,

_আমি কখন আপনাকে অসভ্য বললাম মিষ্টার চৌধুরি?আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।

অধির মুখটা আরো কিছুটা সামনে এগিয়ে আনতেই মাথা পিছিয়ে নিলো রোশনি।

_এখন আবার আমাকে মিথ্যেবাদীও প্রমান করতে চাইছো? আমি নিজে কানে শুনেছি তুমি আমায় অসভ্য বলেছো।প্রুভ আছে আমার কাছে।শুনতে চাও? সকালের ফোন কলের কথা মনে আছে মিস রোশনি?

সকালের ফোন কলের কথা মনে পড়তেই গলা শুকিয়ে এলো রোশনির।তারমানে ওটা অধিরের কল ছিলো? শুকনো ঢোক গিলে প্রশ্ন করলো রোশনি,

_তারমানে ওটা আপনি ছিলেন?

_এখনো ডাউট আছে?আমাকে অসভ্য বলার সাহস কি করে হলো তোমার? কি অসভ্যতামি করেছি তোমার সাথে? বলো আমায়? কিছু না করেই যখন আমার নামে অসভ্যতার ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছো তখন আমারও তো কিছু অসভ্যতামি করা উচিত তাই না?এবার দেখো অসভ্যতামি কাকে বলে।

অধির মুখ সামনে এগিয়ে আনতেই অজানা ভয়ে কেপে উঠলো বুক।সাথে সাথেই শুরু হলো হিচকি।রোশনি চোখ বন্ধ করে দুহাতে জামা খামচে শক্ত করে দাড়িয়ে রইলো।নড়ার শক্তিটুকুও যেন হারিয়ে গেলো কোথাও।পা দুটো বড্ড বেশি ভারি মনে হচ্ছে।রোশনির ভয়ার্ত মুখের দিকে তাকিয়েই শব্দ করে হেসে উঠলো অধির।হাসতে হাসতেই কয়েক পা পিছিয়ে এলো ।অধিরের এমন হাসির ঝংকারে কেপে উঠলো রোশনি।সাথে সাথে চোখ খুলে তাকালো।অধির রিতিমত পেটে হাত রেখে হেসে চলেছে।যেন হাসতে হাসতে শহিদ হয়ে যাবে।রোশনি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো অধিরের দিকে।হাসির মত কি এমন ঘটলো যে হাসতে হাসতে শহিদ হয়ে যাচ্ছে এই লোক?অধিরের হাসি থামছেই না।পারলে যেন ফ্লোরে গড়াগড়ি খেয়ে হাসবে।

_হাসছেন কেন?

রোশনির কথায় হাসি থামিয়ে তাকালো অধির।কোনো রকমে নিজের হাসিটাকে কন্ট্রোলে এনে সোফায় গিয়ে বসলো।

_তোমার কি মনে হয়? তোমার প্রতি অধির চৌধুরি ইন্টারেন্টেড?নো ওয়ে।তুমি ভাবলে কি করে আমি তোমার সাথে কিছু করবো?অধির চৌধুরির স্ট্যাটাস সম্পর্কে তোমার হয়তো ধারনা নেই মিস রোশনি।আমি বন্ধুত্ব এবং শত্রুতা দুটোই আমার বরাবরি করি।সো আমি তোমার সাথে কিছু করবো সেটা মাথাতেও এনো না।

অধিরের কথা গুলো আত্মসম্মানে এসে বিধলো রোশনির।লোকটা তাকে অপমান করছে।সে মোটেও বাজে কিছু ভাবে নি।অধিরকে এতোটা কাছে আসতে দেখে ভয় পেয়ে গেছিলো ব্যস।এটা স্বাভাবিক নয় কি?যে কোনো মেয়েরই ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। বরং ভয় না পাওয়াটাই অস্বাভাবিক দেখাতো।সে তো আর নিজে থেকে তার কাছে যায় নি।বরং সেই এসেছে।এতো যখন স্ট্যাটাস এর পরোয়া তাহলে তার মত লো ক্ল্যাসের মেয়েকে ডাকার কি দরকার? আর কেনোই বা তার এতো কাছে আসতে হবে? রোশনির ভিষন কান্না পাচ্ছে।চোখ দুটো জ্বলছে।রোশনি চোখ নিচু করে চোখের পানি আটকানোর চেষ্টা করলো।চোখ নামিয়ে রেখেই বলে উঠলো,

_সরি স্যার।সকালের জন্য এবং সেদিন আপনার গাড়ি নোংরা করার জন্য।আই এম এক্সট্রিমলি সরি। এরপর থেকে এমনটা আর হবে না।আমায় কেন ডেকেছিলেন কাইন্ডলি যদি বলতেন স্যার।

অধিরের মনোযোগ তখন সামনে রাখা ল্যাপটপের দিকে।রোশনির কথাগুলো শুনলেও পুরোপুরি বুঝতে পারেনি।বুঝতে পারে নি ওর গলার চাপা কান্নাগুলোকে।অধির ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই বলতে শুরু করলো,

_সন্ধ্যায় একটা সাকসেস পার্টি থ্রো করতে চাচ্ছি।সব ব্যবস্থা করো।কিছু ফরেন ক্লায়েন্টও আসবে।সো এভরিথিং সুড বি পার্ফেক্ট।

_ওকে স্যার।খাবারের মেনুতে কি কি থাকবে স্যার?

অধির না তাকিয়েই জবাব দিলো।

_মেনুতে বাঙালি খাবারের পাশাপাশি চাইনিজ এন্ড ইটালিয়ান খাবার থাকবে।আমি দাদির কাছে লিস্ট দিয়ে দিয়েছি।তুমি নিয়ে নিও।

_ওকে স্যার।আর কিছু স্যার…?

অধির এবার চোখ তুলে তাকালো।চোখ মুখ কুচকে বলে উঠলো,

_এতো স্যার স্যার কেন করছো? এতোক্……

অধিরকে থামিয়ে দিয়ে চোখ তুলে তাকালো রোশনি।

_কি করবো স্যার? আপনার মত স্ট্যাটাস তো আমার নেই না?তাই আপনাকে তো স্যার বলতেই হবে।আমি এবার আসি স্যার।

অধিরকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রোশনি।রোশনির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো অধির।রোশনির চোখটা কি ছলছল করছিলো?ওই চোখে কি অভিমানের মেঘ দেখলো সে?মেয়েটাকে কি সে একটু বেশিই বলে ফেলেছে? কি করে পারলো সে মেয়েটাকে অাঘাত করতে?আচ্ছা তিলোককন্যা কি বেশি কষ্ট পেয়েছে ওর কথায়? অধির ধপ করে ল্যাপটপটা বন্ধ করে উঠে দাড়ালো।ভিষন রাগ হচ্ছে নিজের উপর।নিজের অজান্তেই সে বারবার কষ্ট দিয়ে ফেলছে তিলোককন্যাকে।অধির মনে মনে ঠিক করে নেয় সন্ধ্যায় সে ক্ষমা চেয়ে নেবে রোশনির কাছে।আচ্ছা তিলোককন্যা তাকে ক্ষমা করবে তো?

চলবে….

[স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সবাইকে জানায় আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা]

আমার দেশ
বাংলাদেশ🇧🇩

#ProudBangladeshi

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here