সিন্ধুর_নীল (পর্ব-২৮) লেখক– ইনশিয়াহ্ ইসলাম।

#সিন্ধুর_নীল (পর্ব-২৮)
লেখক– ইনশিয়াহ্ ইসলাম।

৪৭.
সন্ধ্যা হয়েছে আরো আগে। নিদ্রা নামায শেষ করে ব্যালকনিতে গিয়ে বসেছিল এখনও সেখানেই। এহসান আযান দেওয়ার সময় বেরিয়েছে। হয়তো মসজিদে গিয়েছিল নামায পড়তে আর অন্য কোথায় যেতে পারে তা নিদ্রা জানেনা। নিদ্রার হঠাৎ করেই তখনকার কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়তেই ঠোঁটের কোণায় এক ঝলক মুঁচকি হাসি এঁকে যায়।
তখন,
এহসান তো বিব্রত হয়ে বারবার নিদ্রাকে বোঝানোর চেষ্টাই করছিল। বলছিল,
-‘নিদ্রা সত্যি আমি এমন কিছুর জন্য বলিনি। আমি আসলে রুম বুকিং দিয়ে দিয়েছি এতকিছু খেয়াল করিনি। এরা যে স্পেশাল প্যাক বলতে এটা বোঝাচ্ছিল আমি সত্যিই বুঝিনি।’

নিদ্রা জানে এহসান সত্যি বলছে। তবুও তাকে বিব্রত করতে সে কিছুটা রাগী মুখ করে বলল,
-‘ঢং করছেন? আপনি তো ছোট মানুষ বা ভদ্র মানুষ না। আপনি এমন করেন নি এটা তো মানা যায়না। আপনি মিথ্যা বলে আর সাধু সাজতে যাবেন না। আপনাকে আমার থেকে আর কেউ ভালো চেনেনা।’
-‘আমি সত্যিই বলছি!’
করুন শোনালো এহসানের গলা। নিদ্রা এবার নিজের মুখভঙ্গি পরিবর্তন করে বলল,
-‘দেখি সরুন! গরম লাগছে শাওয়ার নিতে হবে।’
এহসানকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় নিদ্রা। তবে যাওয়ার আগে জোর গলায় বলে যায়,
-‘খবরদার মি. মাহবুব! এই ডেকোরশেন এর যাতে কোনো নড়চড় না হয়। দেখতে খুব ভালো লাগছে। কাপলদের রুম এমন ডেকোরশনে দারুন লাগে।’

এহসান নিদ্রার মুখে এমন কথা শুনে ক্ষণিকের জন্য শূন্য অনুভব করে। অর্থাৎ সে নিদ্রার কথাটির সারমর্ম খুঁজে না পেয়ে একদম ফাঁকা হয়ে গেছে। তার সারা মন মস্তিষ্কই এই কথা চিন্তা করতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে।

নিদ্রা শাওয়ার নিয়ে আসার পর সে নিজেও শাওয়ার নিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়। তারপর কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকে। নিদ্রা বলেছিল কিছু নষ্ট না করতে তাই এক সাইড হয়ে সে শুয়েছে। হঠাৎ করেই নিদ্রা এসে তার বুকেই মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। এহসান চমকে যায়। নিদ্রার কাজকর্ম তার অস্বাভাবিক লাগছে। কেননা সে যে নিদ্রাকে চেনে সেই নিদ্রা তো তার ধারে কাছেও আসতে চায়না। আর এখন কীনা বুকে মাথা রেখে শুয়েছে তাও আবার দুই হাত দিয়ে তার গলা কাধ জড়িয়ে আছে! ভাবা যায়? এহসান নিদ্রাকে গুরুগম্ভীর গলায় বলল,
-‘কী করছ? এইভাবে শুয়েছ কেন? বিছানায় আর জায়গা নেই?’
-‘কেন আমি এভাবে শুলে ক্ষতি কী!’
-‘আছে ক্ষতি। তুমি সরে যাও।’
-‘না একদম না। আপনি যখন আমাকে আরো বেশি পেঁচিয়ে ধরেন তখন আমি আপনাকে ছাড়াতে পারি?’
-‘কখন ধরেছি কী বলছ!’
এহসান ভাবল আজকে সে এমন কিছু করেছে এটাই বলতে চাইছে নিদ্রা। কিন্তু সে তো আজ এমন কিছুই করেনি। নিদ্রা কেন এসব বলছে!
এহসানের নির্বুদ্ধিতা দেখে নিদ্রা হতাশ হলো খুব। সে রেগে গিয়ে মাথা তুলে এক পলক এহসানের দিকে তাঁকালো তারপর তার কানের কাছে মুখ নিয়ে দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলল,
-‘আমি আজকের কিছু বলছিনা। আই আম টকিং আবাউট আওয়ার ফার্স্ট নাইট এন্ড সেকেন্ড নাইট। এন্ড দ্য আদার নাইট হোয়েন আই ওয়াজ ইন বিটউইন ইউর আর্মস!’
এহসান এবার নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। নিদ্রা এমন কিছু বলেছে! সে নিদ্রার দিকে তাঁকাতেই নিদ্রা বলে,
-‘ভুলে গেছেন নাকি সব!’

এহসান কিছু বলার আগেই নিদ্রা বলে,
-বাই দ্য ওয়ে, আই হ্যাভ ফুল রাইটস টু টাচ্ ইউ মি.মাহবুব। আফটার অল আই আম ইউর লিগ্যাল ওয়াইফ।
এহসান এসব শুনে পুরোপুরি তব্দা খেয়ে আছে। নিদ্রা বরাবরই তো তার থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করত। তার ছোঁয়া ঘৃণা করত। তবে হঠাৎ করে নিদ্রার হলো কী? এহসান নিজের উপর থেকে নিদ্রাকে সরিয়ে বলল,
-‘কি হয়েছে তোমার! তুমি তো কখনো এমন কথাবার্তা বলনি? তুমি তো আগে এমন ছিলেনা তাহলে এখন কী হলো!’
-‘আমি এমন কেবল আপনার জন্যই হয়েছি। এখন তাই আর আমাকে এসব বলে লাভ নেই। আমি এমন ছিলাম না ওমন ছিলাম না এসব আপনার থেকে আর জানতে চাইনা। আমি এখন যেমন আছি তেমনই ঠিক আছি। আপনার জন্য একদম ওকে।’
-‘তোমার রেস্টের প্রয়োজন। তুমি প্লিজ চুপ করে এবার একটু ঘুমাও।’
-‘না আমি ঘুমাবো না।’
-‘তাহলে সরে যাও। আমার ঘুমাতে হবে।’
নিদ্রা এবার রেগে গেল। সে নিজেকে কোনোরকমে শান্ত করে বলল,
-‘শুনুন! আপনি সাধু সাজতে যাবেন না একদমই। আপনি আস্ত বদ লোক তা কী আমি জানিনা!’
-‘আচ্ছা ঠিকাছে আমি খারাপ এবার চুপ করবে!’
-‘না করব না।’
নিদ্রা এবার কিছুটা শক্ত গলায় বলল,
-‘ডিড ইউ রিয়েলি ফরগেট আওয়ার ফার্স্ট নাই মি.মাহবুব!’
এবার এহসানের চোখ ছানাবড়া হওয়ার মত হলো। নিদ্রার আজ হলো কী! এহসানের বিস্মিত মুখটা দেখে নিদ্রার কেমন একটা লোভ হলো। সে টুপ করে একটা চুমু খেল এহসানের গালে। তারপর বলল,
-‘বাহ! আপনার গালের কী টেস্ট! আগে জানলে আপনার গালটা কে’টে সাথে করে নিয়ে আসতাম। ভাগ্যিস আপনি নিজেই হাজির হয়েছেন। দেখি গালটা দিন তো আমি কে’টে নেই।’

এহসানের এবার রাগে মাথা দপদপ করতে থাকে। নিদ্রা তার সাথে মশকরা করছে! নিদ্রাকে ফুল দিয়ে বানানো লাভ শেইফ টার মধ্যে ফেলে নিজে নিদ্রার উপরে ভর ছেড়ে শুয়ে ধীরে সুস্থে নিজের মাথাটা নিদ্রার বক্ষস্থলে এলিয়ে এহসান বলল,
-‘নিদ্রা! আমি সত্যিই খুব টায়ার্ড। আমার রাগও হচ্ছে ভীষণ। রাগ উঠলে যদি তা না কমাতে পারি তো মাথা ব্যাথা করে। প্লিজ আমাকে একটু শান্তিতে ঘুমাতে দাও। অনুরোধ করছি।’

নিদ্রার আর কিছু বলা হলো না। তবে সে নিজ দায়িত্বেই এহসানের চুলে বিলি কেটে দেয়। এহসান ঘুমাতেই সে নিজের মাথা নিচু করে কতবার যে এহসানের কপালে, মাথায় চুমু খেল হিসেব নেই। নিদ্রার হঠাৎ করেই কেমন শান্তি অনুভব হচ্ছে। এই প্রথম স্বামী নামক মানুষটির স্পর্শে এতটা আনন্দ, সুখ অনুভূতি হচ্ছিল। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মত না কেবলই অনুভব করা যায়। নিদ্রার এই মুহূর্তেই মনে হলো এহসান তার দায়িত্ব। এহসানের হাসি-খুশি, দুঃখ-কষ্ট সব তাকেই দেখে শুনে রাখতে হবে। এহসানের সর্বোচ্চ যত্ন নিতে হবে। স্ত্রীর ধর্ম পালন করতে হবে। এহসানকে ভালোওবাসতে হবে। এহসান যাতে বিশেষ করে তার কারণে কোনো প্রকার কষ্ট না পায়। তবে সে এহসানকে জ্বালাবে। এহসানকে জ্বালাতে তার খুবই ভালো লাগছে। এহসানের পূর্বের কাজের জন্য তাকে শাস্তি তো দিতেই হবে।

নিদ্রার ঘুম ভাঙে এহসানের ডাকে। তখন মাগরিবের আযান পড়ছিল বাহিরে। নিদ্রা উঠে বসতেই এহসান বলে,
-‘আমি বাহিরে যাচ্ছি সাবধানে থেকো।’
নিদ্রার তখনও কিছু বলা হয়না কারণ এহসান চলে যায়।
তারপর থেকে এই এতক্ষণ সে একাই পড়ে আছে। এহসানের কোনো খবর নেই।

৪৮.
নির্ঝরের এই আপার্টম্যান্টে সে একাই থাকে। বনানীর এই কোলাহল মুক্ত এলাকাটি সে বেছে নিয়েছে। খুব একটা কোলাহল যে নেই তা নয় আছে তবে সেটা স্বাভাবিক। এইখানটায় অনাবিল শান্তি অনুভব করে সে। কেন করে বলতে গেলে অনেক কারণই বলতে হয়। যেমন, এই যে রাতের বেলা তার বেডরুমের সাথে লাগোয়া বারান্দার থাই গ্লাস ভেদ করে আলোর কিরণ ছড়িয়ে চাঁদ উঁকি মারে সেই সুখকর দৃশ্য সে বিছানায় শুয়ে উপভোগ করতে পারে। বড় বড় জানালা গুলো দিয়ে হুড়মুড় করে বাতাস ঢোকে। গরম গরম ভাব কমই হয় এইখানটায়। এই বিল্ডিংটি যেই লোক স্হাপন করেছেন তার রুচি অসাধারণ! সবাই করে বাড়ির সামনে সুইমিনপুল আর সে করেছে পুকুর। পুকুরের চারপাশে আমগাছ, জামগাছ, কাঁঠাল গাছ আরো নানান রকম ফলের আর ফুলের গাছ। এসব অবশ্য বহু বছর আগে থেকেই ছিল। তবে সে এই অত্যাধুনিক এলাকার এই বিলাশবহুল বিল্ডিংয়ের সাথে মানানসই সুইমিনপুল করেনি। বরং ঐতিহ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা ভেবে সুইমিনপুলের পরিবর্তে তার সেই পুরোনো পুকুর টাকেই নতুন করে সাজিয়েছে। পুকুরের পানি গুলো কী স্বচ্ছ! মাছও আছে এই পুকুরে। মালিক যখন আসে তখন বড় বড় কাতলা ধরবে। আর ধরলে অধিকাংশ সময়ে ফ্রীতেই সেই মাছ প্রতিটি আপার্টম্যান্টের মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিবেন। পুকুরটা বিল্ডিংয়ের বাম পাশ ঘেসে পেছনের দিকটায় বিস্তৃত। কেউ একেবারে ভেতরে না ঢুকলে কখনোই জানবে এই অত্যাধুনিক নগরীর মধ্যে গ্রামীণ সৌন্দর্যের এত বড় অনিন্দ সুন্দরের ছোঁয়াও রয়েছে। এই সুন্দর জায়গার খোঁজ তাকে এহসান দিয়েছিল। আসলে এই বিল্ডিংয়ের পাশেই যে নতুন বিল্ডিং আছে সেটির কন্স্ট্রাকশন এর কাজ দেখতে এসে এই সুন্দর দৃশ্য অবলোকন করে এহসান। সেই সময় নির্ঝর ও বাসা খুঁজছিল একেবারে নিজস্ব হবে অর্থাৎ কিনে নিবে এমন ফ্ল্যাট। তাই এহসান বন্ধুকে দ্রুতই এই স্হান সম্পর্কে অবগত করে দেয়। এই বিল্ডিংটিও একদম নতুন। তাই আধুনিকতার ছোঁয়াও প্রবল। এখনও তার সামনের এবং উপর নিচের দুই তিনটা ফ্ল্যাট খালিই পড়ে আছে। শুনেছে তার পাশেরটি নাকি কেউ একজন ক্রয় করেছে। এখনো সে মানুষটির দেখা সে পায়নি তবে দুই সপ্তাহ আগেই সে এখানে এসেছে। আসলে এইসব জায়গায় পাড়া প্রতিবেশির খবর রাখার সময় কারো হয়না। যে যার মত চলে। কথা বললে বলে না বললে নাই। যৌথ ভাবে থাকার চেষ্টা তাদের মধ্যে নেই বললেই চলে।

নির্ঝর ব্যায়াম করছিল থার্ড ফ্লোরের ব্যায়াম ঘরে। এইখানে সবার জন্য ব্যায়াম করার সুন্দর ব্যবস্থা আছে। যার জন্য আর কষ্ট করে বাহিরে কোথাও যাওয়া লাগেনা। ব্যায়াম শেষে যখন প্রোটিন শেক হাতে নিল তখনিই এইখানকার এক স্টাফ হঠাৎ এসেই তার কাছে একটি গিফট বক্স দিয়ে বলে,
-‘স্যার আপনার জন্য এসেছে।’
-‘আমার জন্য?’
-‘জ্বি স্যার আপনার নামে এসেছে। একজন আমার হাতে দিয়ে বলল আপনাকে দিতে।’
-‘স্ট্রেঞ্জ! কে দিয়েছে? চেনেন তাকে!’
-‘না স্যার হয়তো ডেলিভারী ম্যান হবে। মাস্ক পড়া ছিল।’
-‘তাহলে তার তো সোজা আমার ফ্লোরে গিয়ে দিয়ে আসার কথা ছিল এবং সে তো আমাকে নিশ্চয়ই চিনবেনা যদি ডেলিভারী ম্যান হয়ে থাকে। কেননা আমি কোনো সেলেব্রেটি না। আপনি এমন অচেনা অজানা মানুষের কথা শুনে বক্সটা নিয়ে এলেন এখানে! এখন যদি এটাতে বো’ম থাকে? তবে কী হবে ভাবতে পারছেন! আমি আপনি এবং পুরো আপার্টম্যান্টটাই ঠুস করে ফেটে যাব।’

কর্মচারীটির হাত কেঁপে উঠল। বক্সটা রীতিমত পড়ে যেতে নিলেই নির্ঝর ধরে নেয়। হেসে বলল,
-‘আবারও ভুল করছেন। হয়তো বো’ম আরো একঘন্টা পরে ব্লা’স্ট হতো। তবে আপনার ভুলের জন্য এখনই তা হতে যাচ্ছিল।’
-‘সরি স্যার সরি। আমি বুঝতে পারিনি। বক্সটি আমি এক্ষুণি পুকুরে ফেলছি আমাকে দিন।’
-‘আরে মশাই মশকরা বুঝেন না? এটাতে বো’ম থাকবে কেন? আমার কী কোনো বড় মাপের স’ন্ত্রা’স শ’ত্রু আছে নাকি! নেই তো। তবে আমায় বো’মা আক্রমণ করবে কে? আমি মজা করছিলাম। আপনি শুধু শুধু বিচলিত হচ্ছেন।’
লোকটির এবার ধরে প্রাণ এলো। নির্ঝরও হাসতে হাসতে বক্সটা নিয়ে নিজের বাসার উদ্দেশ্য চলল।
বাসায় ঢুকে ড্রয়িংরুমের সোফাতে বসেই বক্সটা খুলল। এবার খোলার পর সত্যি বড় একটা ব্লা’স্ট হলো। তবে বো’মা না এটা অন্যরকম।
বক্সের ভেতর তার দৈনন্দিন ব্যবহার করা ব্রান্ডের আন্ডারওয়্যার এক ডজন। এবং সব গুলোই ন্যু’ড কালার। এইরকম এক উপহারে সে থতমত খেয়ে গেল। সবগুলো আন্ডারওয়্যার বের করতেই দেখল একটা ছোট চিরকুট। সাদা কাগজটায় গাঢ় নীল রঙে লেখা আছে,
‘প্রিয়,
সাইজ সব ঠিক আছে তো?’
এই ছোট্ট এক লেখা নির্ঝরকে আরো আউলিয়ে দিল। এই উপহার দাতা কে হতে পারে! তার বন্ধুরা এমন মজা করছেনা তো? তারা ছাড়া আর কেউ তো আর তার আন্ডারওয়্যার এর ব্রান্ড এর নাম জানেনা সাইজও জানেনা। এখন এটা করল কে? অভ্র নাকি এহসান! কিন্তু এখানে আবার আরেকটা গোলমাল আছে। ছোট ছোট করে লেখা সুস্পষ্ট অক্ষর গুলো জানান দিচ্ছে এই লেখা তার বন্ধুদের কারো নয়। তাদের ডান হাত এবং বাম হাত দুই হাতের লেখা সে ভালো করেই চেনে। তবে এটা কে! তার এমন একটা গোপন বিষয়ে আঘাত করা মানুষটি কে?

#চলবে।
(কেমন হয়েছে জানাবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here