সুইটহার্ট-পর্ব:৮

0
1250

#সুইটহার্ট
#Sohani_Simu
৮.

ফুপ্পির চেঁচামেচিতে ঘুম ছুটে গেল তাকিয়ে দেখি আমি ফ্লোরে শুয়ে আছি।ফুপ্পি তৌসিকে বকে আমার কাছে এসে আমাকে তুলতে তুলতে বলল,

“আহারে আমার আম্মুটা না জানি কখন থেকে মেঝেতে শুয়ে আছে।আধবুড়ি গুলো খাটে শুয়ে আমার আম্মুকে মেঝেতে শুতে দিয়েছিস,আজ তোরা ভাত পাবিনা।”

তৌসিও চেঁচিয়ে বলল,”তুমি কিছু না জেনেই আমাদের বকছো।জুঁইকে পুরো বেড ছেড়ে দিয়ে আমি আর নিতু আপু ফ্লোরে বিছানা করে সারারাত ঘুমিয়েছি।জুঁই হয়তো বেড থেকে পরে গেছে,ওর শুয়ে থাকা খারাপ জানোই তো।”

নিতু আপুও তৌসির তালে তাল মিলিয়ে বলল,”হুম খালামনি,ওকে উপরে দিয়ে আমরা সারারাত নিচে ছিলাম।তুমি আসার একটু আগেই আমরা ফ্লোর থেকে কাঁথা বালিস তুলে গুছিয়ে রেখেছি।আমার তো কোমড়ে ব্যথা করছে উফ্।”

ফুপ্পি আমাকে বেডে বসিয়ে দিতেই আমি বেডে কাত হয়ে শুয়ে বললাম,
“তোমরা এত কথা বলো নাতো ঘুম পাচ্ছে আমার।”

ফুপ্পি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“স্কুলে যাবিনা?শ্রাবণ তো তোকে রেডি হতে বলল।উঠ আর ঘুমাতে হবে না।স্কুল থেকে এসে ঘুমাস।আম্মু? এই আম্মু?”

আমি বিরক্ত হয়ে ফুপ্পির হাত সরিয়ে দিয়ে ঘুম ঘুম কন্ঠে বললাম,”আমি তোমার আম্মু নই, ওই বুড়িটাকে গিয়ে আম্মু আম্মু করো।আমাকে একটু ঘুমোতে দাও।”

ফুপ্পি আমাকে টেনে বসিয়ে দিয়ে বলল,”তুইও আমার আম্মু। শ্রাবণ নিচে অপেক্ষা করছে।তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।”

বলেই ফুপ্পি চলে গেল।আমি বেডের উপর কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থাকলাম।তৌসি কোমড়ে দুই হাত দিয়ে আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।নিতু আপু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুটিয়ে দেখছে।তৌসি রুম থেকে বেড়িয়ে একটা ঝাড়ু হাতে ফিরে আসতেই আমি এক দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা লক করে দিলাম।তৌসি বাহিরে থেকে চেঁচিয়ে বলছে,

“বের হ হারামি,আজ তোকে ঝাটা পেটা করবো।সকাল সকাল আম্মুর কাছে এত গুলো বকা খাওয়ালি।কতক্ষণ ভেতরে থাকিস আমিও দেখি।”

দশমিনিট ধরে ওয়াশরুমে থেকে বিরক্ত হয়ে গেছি।তৌসি এখনও বাহিরে চেঁচামেচি করছে।বের হলেই ঝাটা পেটা করবে আমি সিউর।তাই ভয়ে বের হচ্ছি না।ভাবলাম বসেই যখন আছি গোসল টা সেরেই নিই।শাওয়ার অন করে গান শুরু করে দিলাম।আমি আবার খুব ভাল বাথরুম সিঙ্গার।মাথায় শ্যাম্পু ঢেলে আর বডি ওয়াশ লাগিয়ে নিজেকে ফেনা ফেনা করে ফেলেছি।হঠাৎ খেয়াল করলাম তৌসি ওয়াশরুমের দরজা ধাক্কাচ্ছে।পানি আর আমার গানের সাউন্ডে বাহিরের কিছু শুনতে পাইনি।আমি ভাবলাম তৌসিকে একটা সারপ্রাইজ দিবো।যেই ভাবা সেই কাজ গলা ফাটিয়ে মোহাব্বত বারছা দেনা তু শ্রাবণ আয়া হে গান করতে করতে আমি যেয়ে দরজা খুলে সামনের মানুষটির উপর ঝাপিয়ে পরলাম কিন্তু যতক্ষণে বুঝলাম এটা তৌসি নয় ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।শ্রাবণ ভাইয়া এখানে আসবেন আমি ধারণাও করতে পারিনি।আমি সঙ্গে সঙ্গে উনাকে ছেড়ে দিয়ে ওয়াশরুমের দরজার সাথে লেগে দাঁড়িয়ে বললাম,

“সরি শ্রাবণ ভাইয়া আমি তৌসিকে ভেবেছিলাম,আমি আপানকে ভিজিয়ে দিতে চাইনি।”

এতক্ষণ উনি আমার দিকে অদ্ভূতভাবে তাকিয়ে ছিলেন কিন্তু আমার কথা শুনে নিজের বুকের দিকে তাকালেন।উনার শার্টে অনেক ফেনা লেগেছে আর ভিজেও গিয়েছে।উনি কি সুন্দর সাজুগুজু করে বের হয়েছিলেন আমি উনার সাজ নষ্ট করে দিয়েছি।এখন উনাকে আবার চেন্জ করতে হবে।শ্রাবণ ভাইয়া রাগী চোখে আমার দিকে তাকালেন আর উনার পাশেই তৌসি আর নিতু আপু হা করে মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।শ্রাবণ ভাইয়া দাঁতে দাঁত চেপে ‘ইউ’ বলে আমার দিকে এগিয়ে আসতেই আমি তাড়াহুড়ো করে দরজা লক করে শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে ফ্রেশ হতে লাগলাম।এদিকে টেনশনে আমি শুকিয়ে যাচ্ছি।শ্রাবণ ভাইয়াকে যা রাগী মুডে দেখলাম এখান থেকে বের হলে আমাকে থাপ্পড় দিয়ে দাঁত খুলে নিবেন আর তৌসিও তো ঝাটা পেটা করবে।অহ নো এখন তাহলে আর বাহিরে যাওয়া যাবে না।আমি ভয়ে শাওয়ারের নিচে চুপ করে থাকলাম।প্রায় আধ ঘন্টা পর আবার ধাক্কা ধাক্কির আওয়াজ পেয়ে আমি শাওয়ার অফ করে কাঁপতে কাঁপতে বললাম,”কককে?”

নিতু আপু বলল,”এই বের হ আর কত গোসল দিবি,ঠান্ডা লেগে যাবে তো।”
আমি কাঁপতে কাঁপতে বললাম,”তৌসি কোথায়?আর শ্রাবণ ভাইয়া?আমি বের হলেই ওরা মারবে আমাকে।”

নিতু আপু হাসতে হাসতে বলল,”আরে পাগলি তৌসি কলেজ চলে গেছে আর শ্রাবণ তো এখানে নেই।আমিও রুমে ছিলাম না। এসে দেখি তুই এখনও বের হোসনি।”

“তুমি সত্যি বলছো?ওরা কেউ নেই?”,দরজার কাছে যেয়ে বললাম।

নিতু আপু সত্যি বলল তাই আমি ধীরে ধীরে দরজা খুলে পুরো রুমে তাকালাম।কাউকে দেখতে না পেয়ে নিতু আপুকে আমার ড্রেস গুলো দিতে বললাম।নিতু আপু আমাকে একটা সাদা গ্যাবাডিং প্যান্ট আর নীল টপস দিল।আমি সেগুলো পড়ে বেড়িয়ে এসে ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে চুল শুকাতে লাগলাম।নিতু আপু বেডে শুয়ে ফোনে কি যেন করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।

সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি তাই ব্রেকফাস্ট করতে নিচে যেতে লাগলাম।সিঁড়ির কাছে যেতেই দেখি শ্রাবণ ভাইয়া আর নেয়াজ ভাইয়া কথা বলতে বলতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে আসছে।ওদের দেখেই আমি সিঁড়ির কাছে একটা রুমের দরজার পর্দার আড়ালে লুকিয়ে পরলাম।শ্রাবণ ভাইয়ার সামনে কিছুতেই পরা যাবে না তাই একদম স্টার্চু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম কিন্তু ওরা আমার কাছে আসতেই আমি একটা হাঁচি দিয়ে দিলাম।শ্রাবণ ভাইয়া আমার কাছে এগিয়ে এসে একটানে পর্দা সরিয়ে দিয়ে বলল,

“কিরে তুই এখানে লুকিয়ে আছিস কেন?”
আমি দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বললাম,”আমি এখানে নেই।”

শ্রাবণ ভাইয়া হাসতে হাসতে বললেন,”তুই তো উটপাখিদের মতো করছিস।ওরা কি করে লুকোই জানিস?ওরা বালির মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে দেই।বালির মধ্যে মাথা দিলে ওরা কাউক দেখতে পায় না তাই ওরা ভাবে ওদেরও কেউ দেখতে পায় না বাট ওদের ফুল বডি তো বাহিরেই থাকে সেটা ওরা বুঝেনা।”

বলেই উনি আরও জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলেন।আমি মুখ ঢাকা অবস্থায় আঙুলের ফাঁক দিয়ে একবার উনার দিকে তাকালাম।উনি একহাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছেন।আবার আমার হাঁচি পরলো তারপর আবার এভাবে পাঁচ ছয়বার পরার পর দরজার পর্দায় নাক মুছে নেয়াজ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম,
“তোমারও আছে না কোল্ড এলার্জি?যাও ভাগো নাহলে এখনই তোমারও শুরু হবে।”

নেয়াজ ভাইয়া কৌতুহুলি হয়ে বললেন,”চল আজকে তাহলে একটা কম্পিটিশন হয়ে যাক,কে কত হাঁচি দিতে পারে।”

আমিও আগ্রহী হয়ে নেয়াজ ভাইয়ার দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম,”হুম হুম নিচে চলো।দাদু কাউন্ট করবে।আমিই ফার্স্ট হবো দেখো।”

নেয়াজ ভাইয়া বলল,”তুই তো মনে হয় নিচে যাওয়ার টাইম পাবিইনা।এখনই শুরু হবে তোর…”

বলতে বলতেই আবার হাঁচি শুরু হয়ে গেল।এই কোল্ড এলার্জি আমার জন্য একটা অভিশাপ।একটু ঠান্ডা লাগলেই প্রথম ধাপে হাঁচি শুরু হবে।প্রায় এক-দুশো টা হাঁচি দিয়ে যখন ক্লান্ত হয়ে যাবো তখন দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে।দ্বিতীয় ধাপে থাকবে মাথা ব্যাথা সাথে হালকা জ্বর। এগুলোর মুখোমুখি হতেই তৃতীয় ধাপে বুক ব্যাথা শুরু হবে তখন অনিচ্ছা শর্তেও আমাকে একগাদা মেডিসিন নিতে হবে আর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সরুপ আমি কয়েক ঘন্টা মরার মতো ঘুমাবো।তারপর ঘুম থেকে উঠে দেখবো আমি একদম সুস্থ।এমনটাই হয়ে আসছে কয়েকবছর ধরে।

আমাকে এতগুলো হাঁচি দিতে দেখে শ্রাবণ ভাইয়া তাড়াহুরো করে আমার হাত ধরে আমাকে তৌসির রুমে নিয়ে আসলেন।হাঁচি দিতে দিতে আমার ভেতরে একটা অসস্থি ভাব চলে এসেছে। আমি ফ্লোরে পা ঝুলিয়ে বেডের উপর শুয়ে পরলাম।
হাঁচি থামছেনা কিছুতেই।নিতু আপু আমার হাতে এক গাদা টিস্যু ধরিয়ে দিল।নেয়াজ ভাইয়া বলল,
“তোর মেডিসিন কোথায়?”

আমি পর পর তিনটে হাঁচি দিয়ে বললাম,”বাসায়।”

নেয়াজ ভাইয়া দাঁত কেলিয়ে বলল,”অহ হো আব আয়ে গা মাজা।মেডিসিন নেই এখন আমরা ফ্রী তে একশন জ্যাকশন মুভি দেখবো।”

শ্রাবণ ভাইয়া ধমক দিয়ে বললেন,”শাট আপ,আমার রুমে বেড সাইড টেবিলের ড্রয়ারে আছে নিয়ে আয় ফাস্ট।”

নিতু আপু অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে বলল,”তোমারও এই অসহ্য রোগ আছে নাকি?”

শ্রাবণ ভাইয়া ভ্রু কুচকে বললেন,”উহুম।”
নিতু আপু খুশি হয়ে বললেন,”যাক তাও ভাল।

শ্রাবণ ভাইয়া কিছু বললেন না।বেডের উপর হাঁটু ভাজ করে আমার দিকে ঝুকে আমাকে ধরে বসিয়ে দিয়ে বললেন,
“নিতু এক বাটি স্যুপ নিয়ে আয়।”

নিতু আপু বিরক্ত হয়ে বললেন,”ও এখন খেতে পারবেনা।”
শ্রাবণ ভাইয়া রাগী কন্ঠে বললেন,”তুই নিয়ে আয় আগে।”

নিতু আপু গট গট করে হেঁটে রুম থেকে চলে গেল আর নেয়াজ ভাইয়া এক দৌঁড়ে রুমে এসে একটা মেডিসিন বক্স উনাকে ধরিয়ে দিয়ে বলল,”দেখো তো কোন মেডিসিনের কথা বলছ?আমরা যেটা খাই এখানে সেটা নেই।”

শ্রাবণ ভাইয়া বক্সটা হাতে নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে মেডিসিন নিয়ে আমাকে তিনটে মেডিসিন খাইয়ে দিলেন।এতক্ষণে আমি সেঞ্চুরি করে ফেলেছি।একদম ক্লান্ত হয়ে গেছি।বিছানায় গা এলিয়ে দিবো তখনই শ্রাবণ ভাইয়া আমাকে ধরে ফেললেন।আমাকে উনার সাথে হেলান দিয়ে রেখে বললেন,

“খেয়ে তারপর ঘুমাও,এখন একটু খেতে হবে তোমার।”

আমার তো ঘুম পাচ্ছে না।শুধু একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য শুয়ে থাকতে চাইছি কিন্তু উনি শুতে দিচ্ছেন না।আমি উনার বুকের সাথে হেলান দিয়ে বসে থাকলাম।দশমিনিটের মধ্যে হাঁচি কমে গেল কিন্তু ঘুমে চোখের পাতা ভারি হয়ে এসেছে।ফুপ্পি আর নিতু আপু স্যুপ নিয়ে এসে আমাকে একটু স্যুপ খাইয়ে দিল।আমি কোন রকম একটু খেয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।

সন্ধ্যার একটু আগে ঘুম ভেঙ্গে গেল।কিছুক্ষণ মাথা ধরে বসে থেকে ফ্রেশ হয়ে আসলাম।ছোট ফুপ্পি আমাকে ভাত খাইয়ে দিল।খাওয়া শেষে আমি আমার হৈ চৈ শুরু করে দিলাম।তৌসি বলল,”এতক্ষণ বাসাটা শান্ত আর নীরব ছিল তুই জেগে সব শান্তি লন্ড ভন্ড করে দিচ্ছিস।”

আমি তেঁতে উঠে বললাম,”ওই ঝানডু আমি সব শান্তি লন্ড ভন্ড করছি?যা থাকবোই না তোর রুমে কিন্তু আমার ফোন কোথায়?”

নিতু আপু বলল,”শ্রাবণ সকালে নিয়ে গেল ওর কাছেই আছে,আমি নিয়ে আসছি।”

আমি যেতে যেতে বললাম,”লাগবেনা, আমার ফোন আমিই নিয়ে আসতে পারবো তুমি বরং ওই ঝানডুর সাথে বসে শান্তি উৎযাপন করো।”

আমি মুখ ফুলিয়ে ধপ ধপ করে হেঁটে শ্রাবণ ভাইয়ার রুমে আসলাম।উনি তো রুমে নেই কিন্তু ওয়াশরুম থেকে পানির সাউন্ড আসছে।তারমানে উনি ওয়াশরুমে আছেন।বেটা বজ্জাত সকালে আমাকে ভয় দেখিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হতে দিসনি এখন দেখ আমি তোর কি হাল করি!!
আমি গিয়ে ওয়াশরুমের দরজার ছিটকিনি বাহিরে থেকে লাগিয়ে দিলাম তারপর আমার ফোন খুঁজতে লাগলাম কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না।বেডের উপর শ্রাবণ ভাইয়ার ফোন দেখে উনার ফোন নিয়ে লক খুলে আমার ফোনে কল দিলাম।আমার ফোন কোথাও ভাইব্রেট হচ্ছে।বালিশ সরিয়ে দেখি সেখানে পরে আছে।ফোন নিয়ে চলে আসবো তখনই কিছু একটা ভেবে শ্রাবণ ভাইয়ার ফোন নিয়ে ডিসপ্লেতে থাকা আমার পিকচারটা চেন্জ করে ফোন বেডের উপর ফেলে দিলাম।দরজার কাছে এসে দরজাও বাহিরে থেকে লক করে দিয়ে নিচে দাদুর রুমে আসলাম।শ্রাবণ ভাইয়ার উপর প্রতিশোধ নিতে পেরে আজকে আমার খুব মজা লাগছে।দাদুর সাথে অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়ে উপরে আসলাম কিন্তু শ্রাবণ ভাইয়ার রুমের দরজা খোলা দেখেই আমি এক দৌঁড়ে উনার রুমে গেলাম।যেয়ে দেখি ওয়াশরুমের দরজাও খোলা তারমানে উনি বেরিয়ে গিয়েছেন কিন্তু এত তাড়াতাড়ি কে খুলে দিল উনাকে?

চলবে………..!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here