সেই সন্ধ্যা পর্ব-৭

0
1683

#সেই_সন্ধ্যা
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_৭
.
সকালের এমন চাহনি দেখে স্নিগ্ধ সব সময়কার মতো তার মনোমুগ্ধকর মুচকি হাসিটা দিল। যা দেখে সকালের বুকে এক অদ্ভুত কম্পন সৃষ্টি করলো।

-“কি যাবে না?”
-“আপনার শরীর ঠিক আছে তো!”
-“কেন! আমার আবার কি হবে?”
-“না মানে আপনি আমাকে কফি খাওয়ার জন্য ইনভাইট করছেন। ব্যাপারটা খুবই স্ট্রেঞ্জ লাগছে আমার কাছে।”
-“আচ্ছা তোমার সমস্যা থাকলে দরকার নেই। বাসায় যাও। আমিও আসছি আল্লাহ্ হাফেজ।”
-“আরে আরে কই যান! আমি তো নিষেধ করি নি যে আমি যাব না।”
-“হ্যা ও তো বলো নি।”
-“আচ্ছা চলুন ডাক্তার সাহেব। আপনার মনের ইচ্ছে পূরণ করে দি আজ।”
স্নিগ্ধ সকালের কথা শুনে হেসে বললো, “চলো। মিস আফি আপনিও আসুন।”
আফি মুচকি হেসে বললো, “না স্যার। আপনারা যান। আজ আমার একটু তাড়া আছে।”
-“আরে কিন্তু মিস বিকাল একা….”
-“ও একা কোথায়? এত গুলো বডিগার্ড আছে ওর সাথে। আর আপনিও তো সাথে আছেন ওর। আপনি আমার থেকেও ভালো খেয়াল রাখবেন ওর। এখন আমি আসছি।”
আফি চলে যেতেই স্নিগ্ধ বললো, “চলো তাহলে আমরা সামনে এগোই?”
-“হ্যা চলুন।”
কফি হাউজে সামনা-সামনি বসে আছে স্নিগ্ধ আর সকাল। সকাল দুষ্টু হেসে জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার ডাক্তার সাহেব! হঠাৎ আমাকে এখানে নিয়ে এলেন যে!”
স্নিগ্ধ একটু অপ্রস্তুত হয়ে জবাব দিল, “কফি খেতে মন চাইছিল। একা একা বোর হয়ে যাব বলে ভাবলাম তোমাকে নিয়ে আসি।”
-“আচ্ছা তাই!”
-“হুম। এছাড়া আর কি হবে?”
-“কিন্তু আপনার চোখ-মুখ তো অন্য কিছু বলছে।”
সকালের কথায় স্নিগ্ধ ভ্রু জোড়া কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
-“কি বলছে আমার চোখ-মুখ?”
-“আপনার চোখ-মুখ বলছে যে আপনি আমাকে জানতে চান। আই মিন আমাকে আপনার ভালো লাগতে শুরু করেছে।”

দাঁত কেলিয়ে কথাটা বললো সকাল। স্নিগ্ধ থতমত খেয়ে গেল ওর কথায়। এই পিচ্চির মাথায় এত বুদ্ধি আছে আগে কে জানতো? মনে মনে এই কথাটা ভাবলেও মুখে বললো,
-“আরে নাহ! তেমন কিছু না। আমি তো জাস্ট এমনি….”
-“হুম হুম যা বুঝার সকাল বুঝে গেছে। আপনাকে আর বাহানা খুঁজতে হবে না।”
-“আমি সত্যি বলছি।”
-“হ্যা বুঝেছি থাক। বাই দ্যা ওয়ে ডাক্তার সাহেব! বছর খানেক আগে তো আপনি আমাকে ভালো লাগা আর ভালোবাসার এত বড় একটা লেকচার দিয়েছিলেন। তো সেই লেকচার ভুলে সকালকে হঠাৎ আপনার ভালো লাগতে শুরু করলো কেন?”
-“এই পিচ্চি এত কথা বলো কেন? আর তুমি যা বলছো তেমন কিছুই না। আমি তো শুধু একা একা বোর হয়ে যাব বলে তোমায় এনেছি। যাতে বোর না হই।”
-“আরে ডাক্তার সাহেব মিথ্যে কথা বলেন কেন?”

সকাল মিটিমিটি হাসছে স্নিগ্ধর ফেস এক্সপ্রেশন দেখে। কিন্তু হঠাৎ করে স্নিগ্ধ কেমন যেন রেগে গেল ওর ওপর। ধমক দিয়ে বললো, “আরেহ আজব! এতবার করে বলছি তবুও বিশ্বাস কেন করছো না? আসলে আমারই ভুল হয়েছে তোমাকে নিয়ে আসা। তোমাকে নিজে যেচে কফি অফার করাটাই ভুল হয়ে গেছে। তোমার সাথে বেশি ফ্রি বিহেভ করছি বলে তুমি নিজের মন মতো যা নয় তাই ভেবে যাচ্ছো। আমিই ভুলে গেছিলাম স্টুডেন্টকে বেশি মাথায় তুলতে নেই। নাহলে তারা পেয়ে বসে। যেমন তুমি। তুমি….”

স্নিগ্ধর ধমকে সকালের হাস্যজ্বল মুখে একরাশ কালো মেঘ ছেয়ে গেল। স্নিগ্ধর কথা গুলো শুনে সকাল শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ওর দিকে। স্নিগ্ধকে সম্পূর্ণ কথা শেষ করতে না দিয়ে সকাল কফির বিল টেবিলে নামিয়ে রেখে উঠে চলে গেল। এভাবে সকালের চলে যাওয়ায় স্নিগ্ধ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। পরবর্তী মুহূর্তেই ওর মাথায় আসলো ও কি কি বলেছে সকালকে। “ওহ শিট!” এক দৌড়ে স্নিগ্ধ বাইরে চলে এলো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো সকালের গাড়ি বা বডিগার্ড কিছুই নেই। ওর বুঝতে বাকি রইলো না যে সকাল চলে গেছে। এবার স্নিগ্ধর নিজের ওপরেই রাগ লাগছে। হুট করে ওর কি যে হয়েছিল ও নিজেও জানে না। সকালকে শুধু শুধু এতগুলো কথা বলা উচিৎ হয় নি। ও নিজেই তো সকালকে নিয়ে এসেছিল এখানে। তাহলে ও কিভাবে পারলো সকালের সাথে রুড হতে? এব ভেবে ভেবেই মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে স্নিগ্ধর।

রুমে টাঙানো একটা বড় ছবির সামনে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছে স্নিগ্ধ। যখন ওর মন খারাপ থাকে তখনি এই ছবিটার সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে ও। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে আজ মন খারাপ কেন তা নিজেও বুঝতে পারছে না স্নিগ্ধ। সকালের সাথে তখন রুড হয়েছিল বলে কি কোনো ভাবে ওর মন খারাপ? তাও বুঝতে পারছে না। কিন্তু ও যে সকালের সাথে ঠিক করে নি কাজটা সেটা বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছে স্নিগ্ধ। তাই তো ঠিক করেছে আগামীকাল মেডিকেলে যেয়ে সবার আগে সকালকে স্যরি বলবে। ছবিটার দিকে তাকিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিল। কিছু সময়ের মধ্যেই ঘুমে তলিয়ে গেল ও।
সকাল মন খারাপ করে বসে আছে। স্নিগ্ধ যে ওকে এভাবে বকা দিবে ভাবতেও পারে নি ও। স্নিগ্ধর কথায় কিছু মনে করে নি ও। কিন্তু ওর খারাপ লেগেছে ধমক দেয়া দেখে। ছোটবেলা থেকে কেউ ওকে বকা দেয় নি বলে এখন হুট করে কেউ বকা দিলে ওর খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে তো কান্নাও করে দেয়। তবে আজ মন খারাপের জন্য কান্না করতেই ভুলে গেছে সকাল।
মনযোগ সহকারে ক্লাস করছে সকাল। গতকাল যে স্নিগ্ধর সাথে ওর একটা ঝামেলা হয়েছে সেটা আফিকে বিন্দু মাত্র বুঝতে দেয় নি ও। শেষের ক্লাসটা স্নিগ্ধর। স্নিগ্ধ ক্লাসে ঢুকেই সবার প্রথমে সকালের দিকে তাকালো। সকাল চুপচাপ বইয়ে মুখ গুঁজে বসে আছে। স্নিগ্ধ সবাইকে ল্যাবে যেতে বললো। সকাল আর আফি ক্লাস থেকে বের হতে গেলে স্নিগ্ধ আস্তে করে সকালকে ডেকে উঠলো, “মিস বিকাল!” সকাল কোনো রেসপন্স না করে ক্লাসরুমে দরজার সামনে পৌঁছাতেই আবার স্নিগ্ধ ওকে ডেকে উঠলো। এবার আর মিস বিকাল নয় মিস সকাল বলেই ডেকেছে। সকালও এবার আর ইগনর না করে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকালো ও।

-“জ্বি!”
-“আপনার সাথে কিছু কথা আছে।”
-“এখন তো ল্যাব ক্লাস আছে। আর ল্যাব ক্লাসটা জরুরি বেশি। আমাদের কথাবার্তা তো পরেও বলা যাবে। চলুন এখন ক্লাসে যাই।”

একনাগাড়ে কথা গুলো বলে সকাল আফিকে নিয়ে চলে গেল। আফি এবার বুঝতে পারলো যে ওদের ভেতর কিছু একটা হয়েছে। স্নিগ্ধ এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে ল্যাবে চলে গেল। ক্লাস শেষ হতেই ওরা চলে গেল। স্নিগ্ধ শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো। ও কি করবে এখন তা ভাবতে লাগলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলে সামনে তাকাতেই চোখ দু’টো ছোট ছোট হয়ে গেল সকালের। ওর টেবিলের উপর ব্লু অর্কিডের একটা খুব সুন্দর বড় বুকে রাখা। পাশেই র্যাপিং পেপারে মোড়ানো কিছু একটা রয়েছে। বিছানা ছেড়ে টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে অর্কিড ফুলের বুকেটা নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে দেখলো একটা ছোট চিরকুট রাখা। চিরকুটটা খুলতেই দেখতে পেলো তাতে খুব সুন্দর করে ইংরেজিতে লেখা “বিউটিফুল অর্কিড ফর দ্যা মোস্ট বিউটিফুল গার্ল।” লেখাটা পড়তেই সকালের ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি ফুটে উঠলো। কিন্তু পরবর্তী মুহূর্তেই ওর কপালে চিন্তার ভাজ পরলো চিরকুটের নিচে “ইয়র ওয়েল উইশার স্নিগ্ধা” লেখাটা দেখে। এই স্নিগ্ধাটা ওকে আবার এইসব কেন দিল? কে এই স্নিগ্ধা? কথাটা ভেবেই র্যাপিং পেপারটা হাতে নিয়ে দেখে প্যাকেটে বক্স জাতীয় কিছু রাখা। র্যাপিং পেপারটা খুলে দেখে ৪ টা বড় বড় চকলেট বক্স। আর সবগুলো ওর ফেভারিট চকলেট। সকাল এক দৌড়ে নিচে চলে গেল। ওর মাম্মার কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-“মাম্মা আমার রুমে টেবিলের ওপরে ফুল তারপর বক্স রাখা দেখলাম। ওগুলো কে দিয়েছে?”
-“কি জানি! একটু আগে দারোয়ান জিনিস গুলো আমাকে দিয়ে বললো কেউ একজন তোমার জন্য পাঠিয়েছে এগুলো।”
-“আমার জন্য! কে পাঠিয়েছে জিজ্ঞেস করো নি?”
-“হ্যা করেছিলাম। বাট লোকটাকে চিনে না দারোয়ান। আর সে-ও নিজের কোনো পরিচয় দেয় নি।”
-“ওহ আচ্ছা।”

সকাল নিজের রুমে এসে চিন্তিত হয়ে চকলেট বক্স গুলো দেখতে লাগলো। একটা বক্স খুলতেই তার ভেতর একটা কাগজ দেখতে পেলো। ভ্রু জোড়া কিঞ্চিৎ উঁচু করে আশেপাশে তাকিয়ে কাগজটা খুলে পড়তে লাগলো। সেখানে খুব সুন্দর করে বাংলায় লেখা,
“মিস বিকাল এগুলো সব তোমার জন্য। আসলে ওইদিন আমার ওভাবে কথা বলা উচিৎ হয় নি। এ্যাকচুয়্যলি আমি একটা ব্যাপারে একটু টেনসড্ ছিলাম। তাই বুঝতেই পারি নি কি থেকে কি বলে ফেলেছি। অ্যান্ড আই হোপ তুমি বুঝবে আমাকে। প্লিজ মন খারাপ করো না। আর হ্যা! অর্কিড ফ্লাওয়ারের সাথে থাকা চিরকুটে ‘স্নিগ্ধা’ নামটা লিখেছি যাতে তোমার বাবা-মা উল্টো পাল্টা না ভাবে তাই। আর ওইদিন তুমি আমাকে একটা কুয়েশ্চন করেছিলে যে “ডাক্তার সাহেব! বছর খানেক আগে তো আপনি আমাকে ভালো লাগা আর ভালোবাসার এত বড় একটা লেকচার দিয়েছিলেন। তো সেই লেকচার ভুলে এই সকালকে হঠাৎ আপনার ভালো লাগতে শুরু করলো কেন?” সত্যি কথা বলতে হ্যা আমি তোমাকে পছন্দ করি। তোমার বাচ্চামি, তোমার পাগলামি, তোমার দুষ্টুমি সব কিছুই আমাকে বাধ্য করেছে তোমাকে পছন্দ করতে। এছাড়া আর কিছু জানি না আমি। আ’ম রিয়্যালি ভেরি স্যরি।”
সকাল মিটিমিটি হাসছে আর মনে মনে বলছে, “ডাক্তার সাহেব যে এত সুইট আগে তো জানতাম না। আপনি আমার মান ভাঙাতে এতকিছু করেছেন! লাইক সিরিয়াসলি! আই কান্ট বিলিভ। এনিওয়ে! এত সুইট একটা লেটার দিয়ে স্যরি বললে কি করে রাগ করে থাকি বলুন তো! যান আপনাকে মাফ করে দিলাম।” একটু হেসে কি ভেবে যেন লেটারটাতে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করলো সকাল। তারপর চিরকুট দু’টো যত্ন সহকারে নিজের আলমারির ড্রয়ারে একটা ছোট বক্সে রেখে দিল। ফুল গুলো ফ্লাওয়ার ভাসে রেখে দিল। চকলেটের একটা বক্স টেবিলের উপরে রেখে বাকি গুলো আলমারিতে রেখে দিল।
মনের সুখে চকলেট খেতে খেতে মেডিকেলে ঢুকলো সকাল। ভেতরে ঢুকে আফিকে দেখতেই ওর হাত ধরে গোল গোল ঘুরতে লাগলো। একটু পর আফিকে ছেড়ে দিতে ও মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সকালের দিকে তাকিয়ে বললো, “সকাল সকাল মাথাটা গেছে না’কি তোর?”
-“কেন কেন?”
-“এত খুশি কেন আজকে?”
-“ও তুই বুঝবি না। ইয়ে বাত তো সিরফ উও লোগ হি সামঝেঙ্গে জিনকো ইয়ে এহ্সাস হুয়া হে।”
-“কিসের অনুভূতি?”
-“পাতা নেহি। বাছ্! কুছ কুছ হো রাহা হে মুঝে।”
-“আবে হিন্দি ফিল্মের হিরোইন! এ্যাক্টিং বাদ দিয়ে ক্লিয়ার করে বল।”
-“আচ্ছা চল ক্লাসে যেতে যেতে বলি তোকে।”
-“হুম চল।”

সকাল আসার সময় নিজে এক বক্স কিটক্যাট চকলেট কিনে এনেছে। সেটাকে সুন্দর করে র্যাপিং করে চুপিচুপি স্নিগ্ধর কেবিনে গেল। টেবিলের ড্রয়ারে বক্সটা রেখে এক দৌড়ে বেরিয়ে সোজা ক্লাসে চলে গেল। স্নিগ্ধ নিজের কেবিনে এসে বসে একটু জিড়িয়ে নিলো। প্রয়োজনীয় কতগুলো ফাইল বের করার জন্য ড্রয়ার খুলতেই র্যাপিং পেপারে মোড়ানো একটা বক্স দেখে ভ্রু জোড়া কুঁচকে ফেললো। র্যাপিং পেপার খুলে দেখে তাতে কিটক্যাট চকলেটের একটা বক্স রাখা। বক্সের মুখটা খুলতেই উপরে একটা চিরকুট পেলো। তাতে লেখা,
“আরে ডাক্তার সাহেব ইতনা স্যাড কিউ হোতে হো? জাস্ট চিল ওকে? যান আপনাকে মাফ করে দিলাম। আগে যদি জানতাম আপনি এত সুইট ভাবে স্যরি বলতে জানেন! তাহলে তো প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে রাগ করতাম। আর আপনি বারবার আমার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করতেন। অঅঅ….. কি কিউট! এই চকলেট গুলো আপনার জন্য। বেশি চকলেট খেলে মুখের কথা গুলোও মিষ্টি মিষ্টি হবে। একদম আমার মতো। বুঝলেন! হিহিহি….”
স্নিগ্ধ হেসে দিল সকালের চিরকুটটা পড়ে। নিমিষেই ওর মনটা ভালো হয়ে গেল। মুডটাও একদম ফ্রেশ হয়ে গেল। চিরকুটটা সুন্দর করে ভাজ করে ওয়ালেটে রেখে দিল। বক্স থেকে একটা চকলেট নিয়ে খেতে খেতে কাজ করতে লাগলো। স্নিগ্ধ ক্লাসে ঢুকতেই সকাল একটা মিষ্টি হাসি দিল। যা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো স্নিগ্ধর। মুহূর্তেই স্নিগ্ধও তার সেই চমৎকার মুচকি হাসিটা উপহার দিল সকালকে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here