#পারমিতা
পর্ব ৩২
_নীলাভ্র জহির
রোদ পারমিতার কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে আলতো করে ওর চিবুকে নাক দিয়ে ঘষে দিলো। শিউরে উঠল পারমিতা। রোদের নিশ্বাসের উষ্ণতা ওর এত কাছে, এত বেশি কাছে রোদের নিশ্বাসের শব্দ, পারমিতা থরথর করে কাঁপছে। রোদ ওর হাতটা খপ করে ধরে ফেলল। রোদের হাতের মুঠোর ভেতর ভরে রাখল পারমিতার হাত।
পারমিতা চোখ বুজে ফেলল। রোদ বলল, আমাকে তুমি বিশ্বাস করো পারমিতা?
পারমিতা মৃদু আওয়াজে উত্তর দিলো, হুম করি তো।
– আমার প্রতি এই বিশ্বাসটা আজীবন ধরে রেখো। তোমার অসম্মান হয় এমন কিছু কখনোই করব না আমি।
– কী জানি! হয়তো করবেন না। কিন্তু আপনি ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তো?
– কোন সিদ্ধান্ত?
– আমার সঙ্গে আজীবন থাকার সিদ্ধান্ত।
– হুম ভেবেচিন্তেই নিচ্ছি। যাকে ভালবাসি, তার সঙ্গে সারাজীবন থাকবো এতো আমার সৌভাগ্যের। ভাবনা চিন্তার কি আছে? তবে আমার সঙ্গে আজীবন থাকার প্রতিজ্ঞা তোমাকে করতে হবে না। এত ধরাবাঁধা নিয়ম নিয়ে আমি তোমাকে চাই না। তুমি সবসময় স্বাধীন। কোথায় যেন পড়েছিলাম, ভালবাসার মানুষকে মুক্ত করে দিতে হয়। তাহলে সে যদি তোমার থাকে, তবে সে শুধুই তোমার। আর কারও হবেনা কখনো। তুমি মুক্ত।
– আমি যে আর কারও হবো না, সেটা কি আপনি এখনো বুঝেননি?
– হা হা। হুম বুঝেছি। আমি জানি তুমি আর কখনো কারও হবেনা। কারণ তুমি আমাকেই গ্রহণ করতে চাইছো না। আমাকে ভালবাসার পরও শতবার চিন্তা করে দেখছো আদৌ আমাকে মেনে নিবে কিনা। কারণ বিয়ে করে জীবনকে বাঁধতে চাওনা তুমি। প্রেম করে যুদ্ধকে সহজ করতেও চাও না তুমি। তুমি চাও একাই লড়াই করে টিকে থাকতে। যেন এখানে কেউ তোমার চলার পথে বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়। শোনো পারমিতা, আমি কখনো তোমার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবো না। আমি সবসময় তোমাকে সাপোর্ট দেবো যেন তুমি এগিয়ে যেতে পারো নিজের মতো করে।
– কিন্তু আপনার সাহায্যে আমি এগিয়ে যেতে চাই না।
– সাহায্য আর সাপোর্ট এক নয়। আমি তোমাকে সাপোর্ট দেবো, ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেবো যেন তুমি সঠিক ভাবে এগোতে পারো। আমি কক্ষনো তোমার পথে অন্তরায় হবো না। খারাপটাকে ভালো বলে চালিয়েও দেবো না।
– আপনি অনেক ভালো মনের মানুষ।
– থাক এভাবে বোলো না।
– বলবো। আমি মনের কথা লুকিয়ে রাখা মেয়ে। কাউকে মনের ভেতর থেকে কোনো অনুভূতি জানাতে পারি না। হয়তো জানাতে চাইও না। কিন্তু সত্যি বলছি, আপনি খুব ভালো একজন মানুষ। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভালো মানুষটা আপনি।
– তোমার জীবনে আর কোনো ভালো মানুষ দেখোনি?
– দেখেছি। আমার চাচাকে। উনি অসম্ভব ভালো একটা মানুষ ছিলেন। আমার বিয়ের পরপরই উনি মারা গেছেন। চাচী এখন ছেলেমেয়ে নিয়ে গ্রামে থাকেন। আমার চাচা বেঁচে থাকলে আজকে আমাকে পথে নেমে আসতে দিতো না। শক্ত হাতে আমার হাতটা ধরে থাকতেন। উনি আমার বাবার মতো অত কঠিন মনের মানুষ না।
– তোমার বাবা কঠিন মানুষ?
– হুম। পাথর।
– কিন্তু আমি তো ভেবেছিলাম উনি মানুষই না। খারাপ ভেবো না। উনি যেমন মেয়ের ব্যাপারে কোনো খোঁজ খবর নেন না, মেয়েটা একা একা কোথায় পড়ে আছে কিছু জানার চেষ্টাও করেন না। এসব আসলে বাবা মা কখনো করতে পারে না।
পারমিতা একটা নিশ্বাস লুকিয়ে ফেলল। উত্তর দিলো, বাদ দিন। আমার বাবা মা অন্য ধাচের মানুষ। সন্তান অবাধ্য হলে এরা জীবনেও সেই সন্তানের মুখ দেখবে না। অনেক পাষাণ।
– তুমি যে সঠিক কাজটাই করেছো সেটা এখনও ওনারা জানেন না?
– হয়তো জানেন। আমার ডিভোর্সের পর মা আমাকে বাসায় উঠতে দেননি। প্রচুর আজেবাজে কথা বলেছেন। সেজন্য আমি রাগ করে তাদের সঙ্গে কখনো আর যোগাযোগ করিনি
– হয়তো এতদিনে ওনাদের রাগ কমেছে। হতে পারে তারা তোমাকে আবার ভালবেসে পাগলের মতো খুঁজছেন।
– মা জানে আমি সামান্তার সঙ্গে থাকি। কখনো খোঁজ নিয়েছে বলে মনে পড়ে না। মা চেয়েছিল আমি যেন রাসিফকে ডিভোর্স না দেই। মায়ের কথার অবাধ্য হয়ে ডিভোর্স দেয়াতে উনিও আমার জেদ দেখতে চান। দেখতে চান আমি কী করতে পারি। উনি আশায় আছেন আমি একদিন হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে ওনার বাসায় গিয়ে আশ্রয় চাইবো। আমি তেমন মেয়েই নই।
রোদ বলল, আচ্ছা ছাড়ো এসব কথা। এজন্যই বুঝি তুমি আর পরিবারের বন্ধনে জড়াতে চাও না।
– পরিবারের বন্ধনেই তো আছি। প্রীতুলকে কখনো অস্বীকার করা বা ওকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে আসার মতো জঘন্য কাজটা আমি করিনি। প্রীতুল পরিবারের বাইরে তো নয়। আমি আর নতুন করে কাউকে যোগ করতে চাইনা। বিয়োগ করতেও নয়।
– কাকে বিয়োগ করতে চাও না?
– প্রীতুলকে।
রোদ অবাক হয়ে পারমিতার দিকে তাকিয়ে রইল। জানতে চাইলো, হঠাৎ এ কথা বলছো কেন?
পারমিতা ম্লান হেসে বলল, বাদ দিন না এসব।
রোদ কথাটা এড়িয়ে গেল। কিন্তু পারমিতা ভেতরে ভেতরে ঠিকই দগ্ধ হচ্ছিল বিয়োগের কথা ভেবে। সে প্রীতুলকে হারাতে চায় না। গত কয়েকদিন যাবত রাসিফের প্রীতুলের সঙ্গে দেখা করার জন্য উঠেপড়ে লাগার বিষয়টা ওকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। পারমিতা সেই বিয়োগের কথাই বলেছে।
প্রীতুল খেলা শেষ করে ওদের কাছে আসতেই পারমিতার হাত ছেড়ে দিলো রোদ। পারমিতা প্রীতুলকে চুমো খেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল, আমার জান বাচ্চাটা।
– আম্মু, আমি আরেকটা আইসক্রিম খাবো।
– এত রাতে আইসক্রিম খায়না বাবা। ঠাণ্ডা লাগবে।
– তখন তো খেয়েছি।
– একবার অল্প খেলে কিছু হয়না। তখন তো সন্ধ্যা ছিল। এখন রাত বেড়েছে বাবাই। এখন খাওয়া যাবে না।
– খাবো। খাবো।
রোদ সঙ্গে সঙ্গে বেয়ারাকে ডেকে একটা আইসক্রিম অর্ডার করল। প্রীতুল খুশি হয়ে খেলতে গেল। পারমিতা বলল, যদি ঠাণ্ডা লেগে যায় ওর?
– আরে না। কিছু হবেনা।
প্রীতুল মজা করে আইসক্রিম খাচ্ছে। পারমিতা বলল, আপনি ওকে অনেক আদর স্নেহে ভরিয়ে দিচ্ছেন। আপনি না থাকলে ও এই আদর কোথায় পাবে?
– না থাকবো কেন?
– আপনি তো হারিয়েই গিয়েছিলেন।
– সেটা তো তোমার ভালবাসা বোঝার জন্য।
– কি বুঝলেন?
– তুমি আমাকে ভীষণ ভীষণ ভালবাসো
– এত কনফিডেন্টলি বলছেন কিভাবে?
– কারণ, সত্যিটা কনফিডেন্টলিই বলতে হয়।
কথাটা রোদ এমনভাবে বললো যে পারমিতা মুগ্ধ না হয়ে পারলো না। বিস্মিত চোখে কয়েক পলক রোদকে দেখল ও। রোদ প্রীতুলের সঙ্গে খেলতে চলে গেল। মানুষটাকে ছাড়া ওর আর চলবেই না। এমন একজন প্রেমিকের প্রেম থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখাটা ভীষণ কষ্টকর।
পারমিতাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে রোদ চলে যেতে উদ্যত হল। বিদায়ের সময় পারমিতা বলল, থ্যাংকস। আজকের সময়টা খুব ভাল কেটেছে। এত সুন্দর একটা সন্ধ্যা উপহার দিলেন আপনি। আমি খুব খুশি হয়েছি।
– ফর্মালিটি ছাড়ো তো।
– তাহলে কি করব?
– সত্যি বলবো?
– হুম বলুন। বলবেন ই যখন, মিথ্যে কেন বলবেন?
– তাহলে সত্যিটা হচ্ছে, প্রীতুলকে ঘরে রেখে এসে আমাকে শক্ত করে একটু জড়িয়ে ধরুন।
পারমিতা চমকালো। এ আবার কেমন কথা! ওর বুক দুরুদুরু করে কেঁপে উঠল। লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নিলো ও। বলল, সেটা সম্ভব না। আজকের মতো বিদায়।
– ওকে। আমি অপেক্ষা করতে রাজি আছি। গুড নাইট।
রোদ গাড়ির দিকে এগিয়ে গেল। পারমিতা প্রীতুলের হাত ছেড়ে দিয়ে বলল, বাবাই ভেতরে যাও।
রোদ গেট পার হয়ে গাড়ির দরজার কাছে গেছে, এমন সময় পারমিতা পেছন থেকে বলক, শুনুন।
পেছন ফিরে দাঁড়াল রোদ। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে রোদের বুকে ঝাঁপিয়ে বলল পারমিতা। হতবাক হয়ে গেল রোদ। পারমিতা ওকে শক্ত করে আলিঙ্গন করে মুহুর্তেই ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে ভেতরে চলে গেল। রোদ দাঁড়িয়ে রইল স্তব্ধ হয়ে। পরক্ষণেই ওর মুখে ফুটল জয়ের হাসি। পারমিতা দৌড়ে ওপরে গিয়ে বারান্দা থেকে দেখল, রোদ গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে ডান্স দিচ্ছে। নাচতে নাচতে গাড়িতে গিয়ে বসলো ও। পারমিতা স্বস্তির সঙ্গে বুকে হাত রাখলো। আজ থেকে সে শুধুই রোদের। আর রোদ শুধুই তার।
এভাবে একটা সুন্দর সম্পর্কের সূচনা হলো রোদ ও পারমিতার। রাতে ঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে পারমিতা ফোন নিয়ে বসে রইল। বারবার ব্যকুল হৃদয়ে রোদের একটা ফোনকল আশা করেছিল ও। কিন্তু রোদ কোনো কল দিলো না। হতাশ হয়ে পারমিতা ঘুমিয়ে পড়ল।
তবে সকালে ঘুমটা ভাংল ঠিকই রোদের ফোনকলের শব্দে। আজ অফিস ছুটি। পারমিতার সকালে ওঠার তাড়া নেই। সে আরাম করে ঘুমাচ্ছে। ঠিক তখনই বেজে উঠল ফোন। সকালের শীত শীত আবহে যখন ঘুমের আরামটা টের পাচ্ছিল, তার মধ্যেই ফোন পেয়ে পারমিতা ফোন কানে ধরে বলল, আপনি! এত সকালে?
– গুড মর্নিং। রাজকন্যা কি আজকে দেরীতে ওঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন?
কণ্ঠ শুনে সম্বিত ফিরে পেলো পারমিতা। এ তো রোদ নয়, সামান্তা। পারমিতা সঙ্গে সঙ্গে বলল, সরি রে। আমি ভেবেছিলাম রোদ কল দিয়েছে।
– তারমানে রোদের সঙ্গে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে।
– হুম।
লাজুক স্বরে উত্তর দিলো পারমিতা। সামান্তা বলল, ইয়াহুউউ। এসে সব শুনবো।
– তুই আসবি নাকি আজকে?
– হ্যাঁ। আমরা দুজনই আসবো। তবে বাসায় যাবো না রে। বাইরে কোথাও দেখা করবো।
– ঠিক আছে কখন আসবি?
– তুই এগারো টায় বাস স্টপে থাক। আমরা তোকে তুলে নেবো। এক জায়গায় গিয়ে দুপুরে লাঞ্চ করভো। আর শোন, প্রীতুলের জামাকাপড় নিয়ে আসিস৷ ওকে আজকে আমি নিয়ে যাব।
– কি বলিস। তোর নতুন বিয়ে হয়েছে।
– তাতে কি রে? প্রীতুল আমার ছেলে৷ তুই বলার কে?
দাপটের সঙ্গে বলল সামান্তা। হেসে ফেলল পারমিতা। সামান্তা বলল, প্রীতুলকে বড্ড মিস করছি রে। আজকের রাতটা ও আমার কাছে থাকবে। তুই কাল এসে ওকে নিয়ে যাস।
– আমি আবার কেন?
– আমার বাসায় আসবি। এসে ওকে নিয়ে যাবি। তুই এখনো আমার বাসায় আসিস নাই।
– যাওয়ার দিন অনেক আছে।
– চুপ। এত কথা বুঝি না। তুই প্রীতুলকে রেডি করে নিয়ে আসবি। আমার ছেলে, আমি যা বলবো তাই হবে।
পারমিতা শব্দ করে হাসতে লাগল সামান্তার কথা শুনে। সামান্তা কল কেটে দেয়ার পর হুশ ফিরল পারমিতার। কিছুক্ষণ আগে ফোন ভাইব্রেট করেছিল ঠিকই। তবে সেটা মেসেজের শব্দে। রোদ মেসেজে গুডমর্নিং জানিয়েছে। পারমিতার ছোট্ট অভিমান হল। একবার কল দিলে কি এমন হয়? কল দেবে না লোকটা। এত ইগো কেন?
পারমিতা নিজেই কল দিলো রোদের নাম্বারে। রোদ রিসিভ করল না। এক মিনিট পর কল ব্যাক করলো। পারমিতা ফোন কানে নিয়ে কাঁথার ভেতর ঢুকল। রোদের ঘুম জড়ানো কণ্ঠস্বর কানে ভেসে এলো ওর।
– হ্যালো..
– হুম।
– গুড মর্নিং।
– গুড মর্নিং।
দুজনেই চুপচাপ রইল। রোদ কয়েক সেকেন্ড পর বলল, আমি সত্যি সত্যি আজ সকালে তোমার একটা কল আশা করেছিলাম।
– আশা পূর্ণ হল। কি দেবেন আমায়?
– কি চাও? আমাকেই তো দিয়ে দিয়েছি।
– আপনি কোথায়?
– এইতো তোমার পাশে। পাশের বালিশে। প্রীতুলের পাশে।
পারমিতার বুক ধকধক করে উঠলো। রোদের কণ্ঠ শুনে ওর শরীর কেমন যেন করে উঠল। দীর্ঘদিন কারও স্পর্শ না পাওয়া দেহটাও বোঝে প্রেমের আগমন।
রোদ বলল, আজকে দুপুরে ফ্রি আছো?
– দুপুরে সামান্তার সঙ্গে বাইরে যাবো।
– ওহ। সন্ধ্যায় ফ্রি আছো?
– হুম। সামান্তা প্রীতুলকে নিয়ে যাবে আজকে।
– বাহ। আজকে রাতে তাহলে তো তুমি ফ্রি।
– হুম। কালকে অফিসও নেই। কি মজা…
– কোথাও যাবে?
– কোথায়?
– ঢাকার বাইরেই, কাছাকাছি কোথাও। এই ধরো গাজীপুর।
– কখন?
– আজ সন্ধ্যায় গিয়ে কালকে ফিরবো
– থাকবো কোথায়?
– সেটা গেলেই দেখতে পাবে। যেতে চাইলে আমি ব্যবস্থা করবো।
– যেতে ইচ্ছে করছে। আসলে অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাই না। তাছাড়া লংড্রাইভ আমার ভালোই লাগে।
– ওকে ডান। আজকে বিকেলে ফ্রি হলে বিকেলে, সন্ধ্যায় হলে সন্ধ্যায়।
– ঠিক আছে।
এরপর দুজনেই চুপচাপ। পারমিতা মনেমনে ভাবছে, সারা রাত রোদের পাশাপাশি থাকলে কাছাকাছি আসা হয়ে যায় যদি! ওর বুকটা দুরুদুরু কাঁপছে। শরীরে এক ধরণের পুলক টের পায় ও। প্রেমের স্পর্শ পেলে মন ও দেহ এমন করে ওঠে।
চলবে..
আগের সব পর্ব গুলো
https://www.facebook.com/110459021413163/posts/118686803923718/