#অদ্ভুত_প্রেমোমোহ_তুমি
#পর্বঃ১৭
✍️ তাজরিয়ান খান তানভি
হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে মারশিয়াদ।হাতে ক্যানালা লাগানো।ব্লাড দিচ্ছে।
ব্লাড ডোনেট করা মারশিয়াদ এর গত আট বছরের অভ্যাস।যখন থেকে সে কিশোর থেকে যুবকে পরিনত হয়েছে তখন থেকে নিয়মিত ভাবে ব্লাড ডোনেট করে সে।
“রক্ত করিব দান
বাচবে মূমূর্ষের প্রান।”
এটাই তার প্রতিপাদ্য।একজন সুস্থ সাবালক মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই প্রতি তিনমাস অন্তর রক্ত দান করতে পারে।এতে করে তার শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না।মানুষের শরীরে তিন মাস পর পর নতুন করে ব্লাড তৈরি।তাই একজন সুস্থ স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ইচ্ছে করলেই রক্ত দান করে একজন মুমূর্ষ মানুষের জীবন বাচাতে পারে।
“এই নিয়ে কতবার হলো??
“সেভেনটি প্লাস।”
“আর কতো??
“যতদিন বেচে থাকবো।”
“কি লাভ বল??
“লাভ লোকসানের হিসাব মারশিয়াদ আরজান করে না।আমার এই অপ্রয়োজনীয় রক্তে যদি কারো প্রান বাচে এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না।”
“যদি তাই হয় তাহলে রক্ত নিয়ে খেলিস কেনো??
“মারশিয়াদ আরজান যেমন রক্ত দিতে জানে তেমন নিতেও জানে।”
মারশিয়াদ পা বাড়ায়।
“কোথায় যাচ্ছিস??
মারশিয়াদ ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি দিয়ে বলে–
“আমার গন্তব্যহীন পথের পরিসমাপ্তি ঘটেছে।তাই নতুন পথ খুজে চলছি।”
মারশিয়াদ এর কথার মানে শিহরণ বুঝতে পারে না।ওর এই শান্ত স্বভাব শিহরণ কে ভাবিয়ে তুলছে।কি করতে চায় মারশিয়াদ???
,
,
,
“তুই এতোবড় ঘটনা টা আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখলি??
“আমার কি দোষ বল,রাহান ভাইয়া কাউকে বলতে নিষেধ করেছিলো।”
“আমি বুঝি তোর কেউ না??
“মাফ করে দে,প্লিজ রাগ করিস না।”
“তোর রাহান ভাইয়া বললে তো তুই একদিন আমাকেও ভুলে যাবি।”
“মোটেও না।আমার রাহান ভাইয়া এমন কথা কখনো বলবেই না।”
নির্ধা মুখ ভেঙচি কেটে বলে–
“তা তো দেখতেই পাচ্ছি।এতোকিছু হয়ে গেলো আর তুই দিব্যি চেপে গেলি।”
“আচ্ছা,সরি বললাম তো।”
“ওকে মাফ করে দিলাম।নেক্সট টাইম এমন করলে কিন্তু তোর খবর আছে।”
“ওকে।”
তারপর দুই বান্ধবী একে অপরকে জড়িয়ে ধরে।
“এখন বল কি করে হলো এইসব??
প্রহর ওর আর আজরাহান এর বিয়ের পুরো ঘটনা খুলে বলে।
“তার মানে,,পুরো বিয়েটা একটা নাটক!!!!
“হুম।”
“এখন সব ঠিক আছে তো??
“হুম।কিন্তু ছোট মা আমাকে এখনো মেনে নেয় নি।”
“তোর ছোট মা এই জীবনে তোকে মেনে নিবেও না।পাজি বুড়ি একটা।”
“এই একদম এইরকম বলবি না আমার ছোট মা কে।আমি জানি ছোট মা আমাকে ভালোবাসে শুধু রাহান ভাইয়ার আশেপাশে আমাকে সহ্য করতে পারে না।”
“এখন তো তুই আজরাহান ভাইয়ার সাথেই থাকিস।এখন তার রাতে ঘুম হয়তো???
দুই বান্ধবী হি হি করে হেসে উঠে।
তারপর নির্ধা প্রহর এর কানে কানে কিছু একটা বলে।আর এতেই প্রহর এর চোখ মুখ লজ্জায় পুরোই রেড চিলি সস।
“ছিঃ এইসব কি বলিস??
আমার রাহান ভাইয়া মোটেই এমন না।”
“ইশ,,ডং দেখে আর বাচি না।সব পুরুষই একরকম।বিয়ে হতে দেরি আর নিজের অধিকার খাটাতে তাদের দেরি নেই।”
“কখনই না।আমার রাহান ভাইয়া সবার থেকে আলাদা।রাহান ভাইয়া বলেছে আগে আমার পড়ালেখা শেষ হবে তারপর সংসার।”
“ওতোদিনে তো আজরাহান ভাইয়া বুড়ো হয়ে যাবে।”
“আমিও তো তাই বলেছি।কিন্তু কে শোনে কার কথা।হনুপাঞ্জি একটা।”
“তার মানে আজরাহান ভাইয়া আর তোর মধ্যে স্বামী স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই??
প্রহর ভ্রু কুঞ্চি করে বলে–
“তুই কি আমাকে এইসব জিঙ্গেস করতে এসেছিস??
“আরে না আমি তো এমনেই বলছিলাম।
আচ্ছা আমি এখন যাই।কাল আবার এক্সাম আছে।”
“ঠিক আছে।সাবধানে যাস।”
নির্ধা বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুদুর এসে একটা গাড়ির ভিতর উঠে বসে।
“কেমন আছে আপনার বান্ধবী??
“ভালো।”
নির্ধা ওর আর প্রহর এর সাথে হওয়া সব কথা জানায় মারশিয়াদ কে।
মারশিয়াদ অস্ফুটভাবে হাসে।
“তার মানে বিয়েটা নাটক??
“বিয়েটা নাটক হলেও প্রহর সত্যিই আজরাহান ভাইয়াকে ভালোবাসে।”
“জানি।কাজলচোখী তার রাহান ভাইয়া কে খুব ভালোবাসে তা আমি তার চোখেই দেখেছি।”
“আপনিও প্রহর কে খুব ভালোবাসেন তাই না??
“হয়তো তার রাহান ভাইয়ার চেয়ে বেশি ভালোবাসতে পারিনি।
আজরাহান সত্যিই লাকি সে তার ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পেয়েছে।”
“আপনি ওকে ভুলে যান।আপনি ইচ্ছে করলেই ওর চেয়ে ভালো মেয়ে পাবেন।”
“আমার প্রথম ভালোবাসা সে।তাকে আমি চাইলেও ভুলতে পারবো না।আর ভালো মেয়ের কথা বলছেন,ভালো মেয়ে আমার চাই না।আমার তাকেই প্রয়োজন।”
“কিন্তু ও তো,,,
“বাদ দিন এইসব।ধন্যবাদ,আপনার সাহায্যের জন্য।”
“আপনি ওদের কোনো ক্ষতি করবেন না তো??
দেখুন প্রহর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আর আজরাহান ভাইয়া,,,
“চিন্তা করবেন না।তার ভালোবাসার মানুষ না হতে পারি কিন্তু তার কাজল আখির জলের কারণ আমি কখনো হতে চাই না।”
“আর ডাক্তারবাবু কে এইসব বলবেন না প্লিজ।উনি শুনলে রাগ করবেন।”
“আপনি,আমি ছাড়া এইকথা যদি কেউ জেনে থাকে তাহলে সে উপরওয়ালা।তিনি নিজে এসে তো শিহরণ কে কিছু বলবে না।বাকিটা আপনি চুপ থাকলেই হলো।”
“জ্বি।”
“আর চিন্তা করবেন না।আপনার আর শিহরণ এর বিয়ে আমি অতি সত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।শিহরণ কিন্তু আমার মতো নয়।ওকে পছন্দ না করার মতো কোনো কারণ আপনার পরিবার দেখাতে পারবে না।সো রিল্যাক্স।
চলুন,আপনাকে বাসায় পৌছে দেই।”
,
,
,
সানায়ার এখন চার মাস রানিং।পেট টাও একটু ফুলে উঠেছে সাথে হাত পা ও।শহরে একা থাকে বলে দেখাশোনার তেমন লোক নেই।তারাফ সারাদিন অফিসেই ব্যস্ত।কাজের মেয়েটা ঘরের কাজ শেষ করে চলে যায়।কয়েকদিন বেশ অসুস্থ বোধ করায় কুহেলিকা মেয়ের বাসায় থাকতে যান।
সেইজন্য নন্দিতা প্রহর কে বলল পাড়ার লাইব্রেরি থেকে সূর্য্যি কে সাথে নিয়ে গিয়ে খাতা কলম নিয়ে আসতে।সামান এর এইসব পছন্দ না।প্রহর সূয্যি কে নিয়ে বের হয়।
পড়ন্ত বিকেল।রাস্তায় তেমন জনমানব নেই।দুপুরের খাওয়ার পর এই সময়টা ঘরোয়া মানুষরা একটু বিশ্রাম করতেই পছন্দ করেন।মুদি দোকানগুলো সবেই দুপুরের বিরতির পর খুলছে।
“কেমন আছেন??
ওদের সামনে এসে দাড়ায় বাড়ির পাশের তিন তালার সেই বাড়াটিয়ার ছেলে।ইশান নাম তার।
“ভালো।”
“আপনি এখন আর ছাদে কেনো যান না??
প্রহর ভ্রু বাকিয়ে বলে–
“তাতে আপনার কি??
প্রহর বুঝতে পারে ছেলেটার মতিগতি ভালো না।বারবার ওর শরীরের দিকেই বিশ্রিভাবে তাকায়।
“আপনাকে অনেক মিস করি তাই।
আর এখন বৃষ্টিতেও ভিজেন না??
“পথ ছাড়ুন।”
“আরে রেগে যাচ্ছেন কেনো??
সেদিন আপনি যে হোয়াইট ড্রেস পড়ে ভিজছিলেন,ইশশ কি লাগছিলো আপনাকে!!!
প্রহর এর এবার কান্না চলে আসে।ওর রাহান ভাইয়া ঠিক ই বলেছিলো এই ছেলেটা আসলেই বাজে।একটা খচ্চর।
সূর্য্যি প্রহর এর চোখে পানি দেখে বুঝতে পারে ছেলেটা ওকে বাজে কিছু বলছে।
“এই তুমি আমার প্রহরিনী কে পচা কথা বলছো কেনো??
যাও এখান থেকে।”
ইশান ওর গাল টেনে বলে–
“তুমি তো একদম তোমার প্রহরিনীর মতোই মিষ্টি।অবশ্য খেয়ে দেখলে মন্দ হতো না।”
ইশান এবার বাজে মুখভঙ্গি করে।প্রহর এর গা গুলিয়ে উঠে।
“বৃষ্টি যখন আপনার শরীরের সবকিছু ছুয়ে দিচ্ছিলো সত্যিই আমি আপনাকে সেদিনই দেখে ফ্লাট।আচ্ছা,বলছিলাম সাদা ড্রেস এর সাথে গোলাপি রঙের ওইটা না পড়লেও চলতো।”
“আপনি যাবেন নাকি আমি লোক ডাকবো।এতো বাজে কথা কি করে বলেন।লজ্জা করে না??
“এখানে লজ্জার কি আছে।আপনাকে ওভাবে দেখলে আমার কেনো কারো মাথাই ঠিক থাকবে না।
আর এই জন্যই মে বি আপনার স্বামী বিয়ের আগেই আপনাকে,,,,
রেপ করা মেয়ে কে কেউ বিয়ে করে নাকি??
কথা শেষ করেই ইশান প্রহর এর ডান কাধে হাত লাগায়।আর সাথে সাথে প্রহর এক চড় বসিয়ে দেয় ওর গালে।সূর্য্যি কে নিয়ে দ্রুত চলে যায় সেখান থেকে।
ইশান গালে হাত দিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে।
,
,
বাসার ভিতরে এসে দৌড়ে নিজের ঘরে চলে যায় প্রহর।নন্দিতা ওকে কান্না করতে দেখে সূর্য্যি কে জিঙ্গেস করে।বেচারি তেমন কিছু বলতে পারে নি।শুধু ইশান এর বলা কয়েকটা শব্দ বলাতে নন্দিতা বুঝে নেয় কি ঘটেছে।
ঘরে বসে ঝড়ঝড় করে কাঁদছে প্রহর।নন্দিতা দরজার কড়া নাড়ে।প্রহর দরজা বন্ধ করে রেখেছে।নন্দিতা জানায় আজরাহান কল করেছে।প্রহর চোখ মুখ মুছে দরজা খুলে মোবাইলটা হাতে নেয়।নন্দিতা মুচকি হাসি দেয়।প্রহর এর সব কষ্ট এখন ই হাওয়ায় মিশে যাবে।
“হ্যালো।”
“কি হয়েছে আমার প্রহরিনীর??
প্রহর ভেজা কন্ঠে বলে।
“কিছু না।”
“কি বলেছে ওই ছেলে তোকে??
প্রহর সব কথা খুলে বলে।
“ক্ষমা করে দে প্রহরিনী।এইসবের জন্য আমিই দায়ী।”
“কে বলল আপনি দায়ী??
আমি আপনাকে কিছু বলেছি??
“কাঁদবিনা আর তুই।একদম কাঁদবিনা।কি খাবি বল??
“কিছু না।”
“আইসক্রীম খাবি,নাকি চকলেট??
“আপনাকে খাবো।দিবেন??
“ওকে মাই লেডি।আমার মাথা টা তো খেয়ে নিয়েছিস এবার না হয় আমাকে সম্পুর্ন খেয়ে নিবি।”
মোবাইলের ওপাশ থেকে খলখলিয়ে হেসে উঠে প্রহর।
প্রহর এর এবার শান্তি লাগছে।ভীষন শান্তি।ওর ঝড় তোলা হৃদয়ে ওর রাহান ভাই এর একটা নিঃশ্বাস ই যথেষ্ট সব থমকে দেওয়ার জন্য।
,
,
,
সোফায় বসে আছে আজরাহান।ইশান এসে দাড়ায়।
“কেনো এসেছেন এখানে??
“কেমন আছো তুমি??
“ভালো।”
আজরাহান উঠে ওর মুখোমুখি দাড়ায়।
“আসলে একটা দরকার ছিলো তোমার সাথে।”
ইশানের মন খট করে উঠে।আজ প্রহর এর সাথে যা হলো,,
“বলুন।”
“তোমার বোন তো ক্লাস নাইনে পড়ে তাইনা??
“হ্যাঁ,;কেনো??
“বয়স কতো হবে ওর,,চৌদ্দ কি পনেরো??
“কি বলতে চান আপনি??
“ওর সাথে একরাত থাকতে দিবে আমাকে??
ইশান গপ করে আজরাহান এর কলার ধরে বসে।ইশান এর মা আর বাবা অবাক হয়।আজরাহান সম্পর্কে ওরা ভালো কিছুই শুনেছিলো।
আজরাহান ওর দুই হাত দিয়ে ইশানের হাত আলগা করে।
“খুব রাগ হচ্ছে তাই না??
নিজের বোনকে কেউ কিছু বললে খুব খারাপ লাগে।কিন্তু এই কাজটা যখন আমরা অন্যের মা,বোনের সাথে করি তখন তাদের কেমন লাগে তা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি??
ইশান শুকনো ঢোক গিলে।
“তুমি আজ আমার স্ত্রীর সাথে যা করলে তা কি ঠিক করেছো?আমার কি ইচ্ছে হচ্ছে জানো,যে হাত দিয়ে তুমি আমার স্ত্রী কে স্পর্শ করেছো তোমার সেই হাত কেটে কুকুরকে দিয়ে খাওয়াই।
কিন্তু আমি তা করবো না।নারী রা ভোগের জিনিস নয়।সম্মানের।যাদের সাথে তুমি খারাপ ব্যবহার করবে তারাও তো কারো মা,কারো বোন,কারো স্ত্রী।নিজের মা,বোনদের আগলে রেখে অন্যের মা বোনদের সাথে খারাপ আচরণ করা কি আমাদের উচিত??
ইশান কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।ওর বাবা তো ওকে আজ মেরেই ফেলবে।
“মেয়েদের সম্মান করতে শেখো।যতটুকু সম্মান তুমি তাদের দিবে তারচেয়ে হাজারগুন তারা তোমাকে ফেরত দিবে।
জানো,,শরীরের আঘাত দেখা যায়।তার জন্য আমরা ঔষধ ব্যবহার করি।একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর তা ঠিক হয়ে যায়।কিন্তু মনের আঘাত তা কখনো ভুলবার নয়।নারীর শরীরে হাত দেওয়ার আগে তার সাথে শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহিত স্বামীকে পর্যন্ত তার দেনা পাওনা শোধ করে স্ত্রীর অনুমতি নিতে হয়।আর সে জায়গায় তোমরা মেয়েদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করে তার শরীরে হাত দাও।এতে করে তার মনের অবস্থা কি হতে পারে জানো?
জানো না।জানলে কখনো এমন নিকৃষ্ট কাজ করতে না।
মেয়েরা মা।তাদের কে মূল্যায়ন করতে শিখো।”
আজরাহান একটা দীর্ঘশ্বাস নেয়।
ইশানের বাবা মা মুগ্ধ হয়ে আজরাহান এর কথা শুনছিলো।আর মনে মনে বলে,,,সত্যিই তারা ভাগ্যবান যাদের ঘরে আজরাহান এর মতো ছেলে জন্ম নিয়েছে।
ইশানের বোনের কাছে গিয়ে বলে–
“সরি,তোমাকে খুব বাজে একটা কথা বলে ফেললাম।”
“না,ভাইয়া।আপনি কেনো সরি বলবেন,ক্ষমা তো আমরা চাইবো আপনার কাছে।অবশ্য আরো ভালো করতেন যদি আমার ভাইয়ার গালে দুটো কষিয়ে থাপ্পড় মারতেন।”
“আমার মনে হয় না তার প্রয়োজন হবে।আসি।ভালো থেকো।”
আজরাহান যাওয়ার পর ইশানের বাবা ওকে দু ঘা দেয়।আর অনেক বকাঝকা করে।ওর বোনও ওর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।আর এইসব কিছুর জন্য ও দায়ী করে প্রহর কে।রেগে মেগে ঘর থেকে বের হয় ইশান।
চলবে,,,