ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ১৭

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ১৭
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমার এক্সিবেশন ম্যাচ এখন শুরু হবে। রয়েল ফ্যামিলির অনেক সদস্যই উপিস্থিত আছে এখানে। আমার ক্ষমতা দেখে তাদের একজনই আমাকে তাদের রয়েল গার্ড বানিয়ে নিবেন। আর রয়েল গার্ডই রাজার কাছে যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত একটা পদ। কারন আমি চেষ্টা করলে এলিট গার্ডও হতে পারবো। আর তখন আমি রাজাকে খুব সহজেই হত্যা করতে পারবো। তাছাড়া এখন আমি রাজার কাছে ঠিকই যেতে পারবো, কিন্তু তার এগারোজন এলিট গার্ড থাকার ফলে রাজাকে কিছু করার আগেই আমি মারা যাবো।
।।।
।।।
আমি অনেক অবাক হলাম। কারন আমাকে লড়তে হবে কহিলের সাথে। আমি এটা আশা করি যে আমার লড়াই কহিলের সাথে হবে। কারন আমি কহিলের ক্ষমতা অনেক আগেই দেখেছি। মারাত্মক ওর ক্ষমতা। একাই দুইহাজার লোক মেরে ফেলেছিলো। ওর সেই লড়াই দেখে বুঝেছিলাম ওর এট্রিবিউট হলো পানির। আর ও বরফের স্পেল ব্যবহার করে। সেটা অনেক মারাত্মক হয়। কারন পানিকে বরফ বানালে সেটা একটা তলোয়ারের মতোই ধারালো হয়। আর যদি বিশাল একখন্ড বরফ আমার উপরে ফেলা হয়, তাহলে তো কিছুই লাগবো না। সোজা পিষে মারা যাবো। যাইহোক আমিও প্রস্তুত হলাম। আমিও আগের মতো নাই এখন। অনেকটা শক্তিশালী হয়েছি। যদিও স্পেল ব্যবহার করতে পারি না। কিন্তু দুটো ক্ষমতা আমার রয়েছে, আর কখন সেটা কাজে দেই সেটাও আমি জানি। তাছাড়া আমার তলোয়ারের নানা ধরনের টেকনিক জানা আছে। যার জন্য আমি অনেকটা নিশ্চিত যে আমি হারবো না এখন।
.
–তাহলে তুমি ফেরত এসেছো জ্যাক।(কহিল আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–আমি আশা করি নি ঔ গুহা থেকে তুমি ফিরে আসবে, কারন আজ পর্যন্ত শুনেছি কেউ ঔ গুহা থেকে ফেরত আসে নি। আর গুহাটাও দশবছর পর পর বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়।(কহিল)
.
–আমি হয়তো ভাগ্যবান ছিলাম।(আমি)
.
–তো কোনো স্পেল কি এই কয়েকবছরে শিখেছো?(কহিল)
.
–না। আমার অস্ত্র আমার এই তলোয়ার দুটো।(আমি)
.
–তাহলে তো আমাকেও সমান ভাবে লড়তে হবে। তাহলে শুরু করি চলো।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল ম্যাজিক দিয়ে ওর হাতে বরফের তলোয়ার বানিয়ে নিলো একটা। আমিও ভিরুদাকে বের করলাম। ভিরুদা আর ভ্যালিকে নিয়ে সমস্যা হলো ভিরুদাকে আমার ডান হাতে ধরতে হয়, আর ভ্যালিকে বাম হাতে। তাছাড়া দুটো উল্টো হাতে নিলে আমার হাত জ্বলতে শুরু করে দুটোই। এবং ডান হাত দিয়ে আগুন বের হতে শুরু করে, আবার বাম হাত দিয়ে পানি বের হতে থাকে। তাই দুটোকে ঠিক ভাবেই ধরতে হয়। আর একটা তলোয়ার ব্যবহার করলে দুই হাতেরই প্রয়োজন হয় সেটা চালাতে। কিন্তু আমাকে এক হাতই ব্যবহার করতে হয়। এটার জন্য আমাকে আরেকটা তলোয়ার কিনে কাছে রাখতে হবে। অবশ্য সেটার সাইজ ছোট হলেও হবে। কহিল ওর বরফের তলোয়ার দিয়ে আমার দিকে আক্রমন করতে এগিয়ে আসছিলো অনেক স্পিডে। ওর স্পিড এতো যে আমিও ভালো করে খেয়াল করতে পারি নি। আমি ভিরুদাকে সামনে ঢালের মতো করে দাড়িয়ে ছিলাম। আর কহিল সেটাই আঘাত করলো ওর বরফের তলোয়ার দিয়ে। আঘাতটা এতো শক্তিশালী ছিলো যে আমি পিছনের দিকে ছিটকে চলে গেলাম। অনেক স্পিডেই যাচ্ছিলাম। নিজের গতি আমি ভিরুদার ব্লেড মাটিতে গেথে দিয়ে থামালাম। আমি এটা আশা করি নাই। কহিলের গায়ে এতোটা শক্তি হবে সেটা আমি বুঝতে পারি নি। কহিল আবারো আমার কাছে অনেক স্পিডে চলে আসলো এবং আবারো আমাকে আঘাত করলো। এবারও আমি পিছনে ছিটকে পরলাম। কিন্তু আমার বুকে ওর বরফের তলোয়ারের কিছুটা অংশ ঢুকে ভেঙে গেছে। আমি উঠে সেটা বের করলাম। কহিল হেসে আবারো আমাকে আঘাত করতে আসলো। কিন্তু এবার ও আর আমাকে দূরে ফেলে দিলো না। বরং আঘাত করেই যাচ্ছে। আমি ওর সব আঘাতই প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু ওর স্পিড আমার থেকে বেশী হওয়ায় আমার শরীরেও অনেকটা আঘাত লাগছে। আর তার ফলে আমার বুকের অনেকটা জায়গায় কেটে গেছে। আমি দাড়াতে পারছিলাম না আর। ওর আঘাত এতো স্পিডে আসছে যে আনার সেগুলো দেখতেই সমস্যা হচ্ছে। আমার এক হাত দিয়ে ভিরুদাকে ধরে সমস্যা হচ্ছে ওর সাথে লড়তে। যদি এখন দুইহাত দিয়ে ধরতে পারতাম তাহলে একটু ভালো হতো। আমি হাপিয়ে উঠেছি একদম। কহিল এবার একটু দূরে গিয়ে বলতে লাগলো,
.
–আমি কোনো স্পেল ব্যবহার করি নি। শুধু তলোয়ার দিয়েই লড়েছি আর তাতেই তোমার এই অবস্থা। তুমি রয়েল গার্ড কেনো? জেনারেলের ছেলে হওয়ারও অধিকার রাখো না।(কহিল)
.
–হাহাহাহা। জেনারেল এর ছেলে? আমি কখনো বলি নাই আমি জেনারেল এর ছেলে হতে চাই। আমি জানি আমার বাবা আমার জন্য মারা গেছে। যার চেহারাই আমার কখনো দেখা হয়নি সে কখনো আমার বাবা হতে পারে না। আর যদিও আমার বাবা সে হয়ে থাকে, তাহলে এই দুনিয়ার সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি সেই।(আমি হাসতে বললাম)
.
–কথাতো অনেক ভালোই বলতে পারো।(কহিল)
.
–শুধু কথা না। এতোক্ষন তো একটু প্রাকটিস করছিলাম। আসল লড়াই তো এখন শুরু হবে।(আমি)
।।।
।।।
আমি অনেকটা রেগে গেছি। এবার আমি আমার সোর্ড টেকনিক ব্যবহার করা শুরু করলাম এক এক করে। প্রথমেই আমি ভিরুদাকে উপরের দিকে করে সোজা কহিলের দিলে তাকালাম। তারপরই টাইম আটকানোর স্পেল ব্যবহার করলাম। আসলে এটাকে সময় আটকানো বলে না। মোট কথা আমার আশে পাশে কিছু এলাকা জুড়ে সবাই প্যারালাইস হয়ে যায়। নরতে পারে না এবং কি হচ্ছে তাদের সাথে এটাও বুঝতে পারে না। এবং এটা দুই সেকেন্ডের জনই থাকে। আমি সময় নষ্ট না করে সোজা কহিলের বুকে দুটো স্লাইস দিলাম। এবং ওর পিছনে চলে গেলাম। কহিল অনেকটা অবাক হলো হঠাৎ আমাকে পিছনে আসতে দেখে। এবং বেশী অবাক হলো ওর বুকে আঘাত দেখে। ও একদম রেগে গেলো। রাগের ফলে ওর শরীরের প্রতিটা মাংসপেশী ফুলতে লাগলো, এবং ওকে পুরো ছোট দানবের মতো লাগছে এখন। ওর শরীর হিল হলো সাথে সাথে, কিন্তু ওর রাগ এখন বেরে গেছে।
.
–কতবড় সাহস তোমার আমার শরীরে আঘাত করেছো। এবার দেখাবো তোমাকে আসল পাওয়ার কাকে বলে।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল যে স্পিডে এখন নরছে তাতে ওকে দেখায় যাচ্ছে না। এটা একটা ক্ষমতা যাকে বলে আল্ট্রা স্পিড। এটা শিখতে অনেক ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয়। আবার অনেকে জন্ম থেকেই শিখে যায়। কহিল আমার গলা ধরে ফেললো ওর ডান হাত দিয়ে। আমি ওকে আমার দিকে আসা খেয়ালই করি নাই। আমাকে সোজা উপরে তুলে ধরলো। আমি ওর থেকে কিছুটা লম্বা হওয়ার ফলেও ও আমাকে একদম সহজেই ওর শক্তি দিয়ে উপরে তুলে ধরলো। আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি ওর থেকে ছুটতেই পারছি না। আমি আমার হাতের ভিরুদা দিয়ে ওকে আঘাত করতে গেলাম, কিন্তু সাথে সাথে ভিরুদাকে ধরে ফেললো ও। এবং সোজা এক ঘুষিতে সেটা দু টুকরো করে দিলো। আমার হাত থেকে ভিরুদা পরে গেলো। আমি ভ্যালিকে বের করতে চাচ্ছিলাম কিন্তু একটু আগের আঘাতে আমার ব্যাগসহ ভ্যালি দূরে পরে গিয়েছে। আমার গলা জোরে ধরায় দম ছারতে সমস্যা হচ্ছে। মনে হচ্ছে এখনি মারা যাবো আমি। আমি ওকে লাথি মারতে লাগলাম৷ কিন্তু কিছুতেই কাজ হলো না। আমার লাথি খেয়ে ও আরো রেগে গেলো। এবং ওর হাত থেকে ঠান্ডা বরফ বের হতে লাগলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার পুরো শরীর বরফের মধ্যে ঢেকে গেলো আমি তাকিয়ে আছি, কিন্তু বরফের মধ্যে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। বাইরে থেকে কোনো শব্দও আসছে না। ভিরুদার সাথে যা হলো সেটাই আমি অনেক অবাক। একটা ড্রাগন সোর্ড কিভাবে এতো সহজে ভেঙে যেতে পারে। তাহলে ইগড্রাসিল কোনো কাজেরই ছিলো না। আমি এখন এভাবেই মারা যাবো এটা ভেবে আমার অনেক দুঃখ লাগছে। আমি আমার হাত অনুভব করতে পারছিলাম না। কিন্তু তখনি হঠাৎ আমার ডান হাতকে আমি অনুভব করতে শুরু করলাম। আমার ডান হাত অনেকটা জ্বলে উঠলো। আর সেটা থেকে আগুন জ্বলতে শুরু করলো। আগুনের উত্ত্বাপে পুরো বরফ গলে পানি হয়ে গেলো। আমার ডান হাত দিয়ে আগুন জ্বলা সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম না আমার ডান হাত দিয়ে আগুন জ্বলেছে কিন্তু আমার ব্যান্ডেজ কাপড় এবার পুড়ে যায় নি। আমি আরো অবাক হলাম ভিরুদাকে দেখে। ওর ভাঙা টুকরো দুটোও আমার সামনে এক হয়ে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম ইগড্রাসিলের ঘুম ভেঙে গেছে। যায়হোক আমি হাতে নিলাম ভিরুদাকে। আর সাথে সাথেই আমার ডান হাতের আগুন বারতে লাগলো, কিন্তু এই আগুন আমার পোষাকের কোনো কিছুকে পোড়াচ্ছে না। হাতে ভিরুদা নেওয়ার পর, ওর ব্লেডের মধ্যেও আগুন জ্বলতে লাগলো।
.
–এইসব কি? তুমি তো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারো। তাহলে হঠাৎ ম্যাজিক ব্যবহার করলে কিভাবে?(কহিল)
.
–এটা আমার ম্যাজিক নয়। আমার হাতে এখন ফায়ার ড্রাগন ইগড্রাসিলের তলোয়ার।(আমি)
.
–একটু আগেই এটাকে ভেঙেছি। আবার ভাঙতে সময় লাগবে না।(কহিল)
.
–চেষ্টা করেই দেখেন। আমি ধন্যবাদ দিবো আপনাকে সেটা করে ইগড্রাসিলের ঘুম ভাঙাতে, আর এখন দেখা যাবে কে কতটা শক্তশালী।(আমি)
.
–হ্যা।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল আবারো একটা ঘুসি মারলো। আমি সেটা ভিরুদার ব্লেড দিয়ে আটকালাম। এবার ভিরুদার আগুনের উত্তাপে কহিলের হাত পুরো পুড়ে গেলো। সেটাও আস্তে আস্তে হিল হতে চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু আমি আর থামলাম না। কারন বরফের বিরুদ্ধে আমার তলোয়ারের আগুন এখন কাজে দিবে। আমি দৌড়ে ওর কাছে গিয়ে ওকে আক্রমন করতে লাগলাম। প্রতিটা আক্রমনে আমার তলোয়ারের উত্তাপ আরো বেশী বারতে লাগলো। আশে পাশের জায়গার উত্তাপও বারতে লাগলো। আর ভিরুদার ব্লেডের স্পর্শ লাগলেই পুরো জায়গটা কেটে যাওয়ার সাথে সাথে পুড়ে যায়। কহিলের শরীরে হিলিং পাওয়ার আছে বলে ও টিকতে পারছে। হঠাৎ কহিল আমার বুকে ঘুসি মেরে দূরে সরিয়ে দিলো। এবং দূর থেকে বরফের কয়েকশো ধারালো ছুড়ি বানিয়ে আমার দিকে মারলো। আর তখনি ইগড্রাসিলের আগুন আমার চারিদিকে ঢাল করে দিলো। আর সেই আগুনে বরফের ছুড়িগুলো সব পুড়ে পানি হয়ে গেলো। পানি গুলো মাটিতে পড়ার আগেই উধাও হয়ে গেলো বাষ্প হয়ে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এতো উত্তাপ এখানে, আমার ডান হাত দিয়েও আগুন বের হচ্ছে। কিন্তু আমি আগুনের উত্তাপ অনুভব করছি না।
।।।
।।।
ভিরুদার ব্লেডে আগুন আরো মারাত্মক হয়ে গেলো। আমি একটা স্লাইস দিলে সেটা আগুনের মারাত্মক ব্লেড হয়ে দূরে গিয়ে লাগছে। যেহেতু আশে পাশে যত ভিআইপি লোক ছিলো তাদের জন্য অনেক গার্ড মিলে ঢাল বানিয়ে দিয়েছে, তাই তাদের কাছে কোনো কিছু যাচ্ছে না। কিন্তু ঢাল গুলোও ভেঙে যাচ্ছে আমার ফায়ার ব্লেডের স্লাইসের ফলে। এবার কহিলের ভয় আমি দেখতে পাচ্ছি। ও ভয়েই ওর সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেল ব্যবহার করলো। প্রথমেই মাটিতে হাত দিলো। আর মাটি থেকে ধারালো সোচালো তলোয়ারের মতো বরফ আমার দিকে আছিলো। কিন্তু ভিরুদার আগুনের কাছে এসে সেগুলোও পুড়ে যাচ্ছে। এরপর কহিল আমার উপরেই বিশাল বরফের টুকরো বানালো। আমি দেখতে পাচ্ছি ওর ম্যাজিক পাওয়ার শেষের দিকে। তাই এটাই ওর শেষ স্পেল হবে। এটার জন্য অনেক ম্যাজিক পাওয়ারের প্রয়োজন হয়। বরফের খন্ডটা বিশাল। আর এটাকে পুরো গলাতে গেলেও অনেকটা সময় প্রয়োজন হবে, আর তার আগেই আমার উপরে এটা এসে পরবে। কহিল বেশী দেরী করলো না। আমি ওর স্পেলটা আমার উপরে ছোড়ার আগেই ওকে আক্রমন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তার আগেই ও আমার উপরে সেটা ফেলে দিলো। কিন্তু তখনি আমার পিঠ থেকে সাদা হাত বের হলো মোট বারোটা। এবং সেগুলো পুরো বরফের খন্ডটাকে ধরে ফেললো। আমি বুঝতে পারলাম এবার কি হবে। এই পুরো বরফের খন্ড এবার কহিলের দিকে নিক্ষেপ করবে। কিন্তু আমি সেটা আপাতোতো চাই না। আমি ভিরুদাকে দিয়ে একটা টেকনিক ব্যবহার করলাম। সেটার নাম হানড্রেড স্লাইস। এই টেকনিক দিয়ে একসাথে একশোটা স্লাইস দেওয়া যায়। একটু আমি দেখেছি প্রতিটা স্লাইসে ম্যাজিক স্পেলের মতো তরঙ্গ ব্লেড বের হয় ভিরুদার থেকে, আর সেটা আগুনের। তাই আমি এই টেকনিক ব্যবহার করলাম। এরফলে একসাথে একশো ফায়ার ব্লেড বের হবে। আর সেটা এই পুরো বিশাল বরফের খন্ডকে টুকরো করার জন্য যথেষ্ট হবে। আমি যেটা ভাবলাম সেটাই হলো। নিচ থেকেই একদম উপরে পুরো একশোটা ফায়ার ব্লেড তরঙ্গ গেলো। যেটা টুকরো টুকরো করে দিলো বরফের খন্ডকে। কিন্তু এটা যথেষ্ট হবে না। আমি এবার ভিরুদাকে শক্ত করে উপরের দিকে ধরলাম। উপরে যতগুলো টুকরো ছিলো, সব গুলোর দিকে লক্ষ করে, আমি ভিরুদাকে শক্ত করে ধরলাম। অবশ্য ভ্যালিকে ব্যবহার করে আমি বুঝেছি তলোয়ার ধরে শুধু কল্পনা করতে হয় কি করতে হবে, আর সেটাই হবে। যেমন ভ্যালিকে ধরে যদি আমি সুনামির চিত্র মনে মনে চিন্তা করি, তাহলে তলোয়ার থেকে পানির টর্নেডো বের হয়, যেটা অনেক ভয়ঙ্কর। তেমনি আমি এখন চিন্তা করছি বিশাল আগুনের কথা। যেটা কিনা উপরের সবগুলো পাথরের ছোট ছোট টুকরো কে পুড়িয়ে দিবে। আর ভাবার ফলে সেটাই হলো। আমার হাতের আগুন আরো বেরে গেলো। আর তাতে ভিরুদার ব্লেড থেকে বিশাল ফ্লেমথ্রোয়ার ব্যবহার হলো। যেটা অনেক উপর পর্যন্ত গেলো। আর উপরের সব বরফ গলে গেলে।
।।।
।।।
কহিল এই স্পেলটা ব্যবহার করার পরই বেহুস হয়ে গেলো। অবশ্য এক্সিবিশন ম্যাচ এরকমই হয়। কেউ হার না মানে, কিংবা নক ডাউন না হলে লড়াই চলতেই থাকবে। যদিও আমি মানুষ বলে প্রথমেই কহিল আমার উপরে একটু কম ক্ষমতা দেখিয়েছিলো। কিন্তু পরে তাকে পুরো ক্ষমতা দিয়েই লড়তে হয়েছে। অবশ্য আমি স্বিকার করছি ইগড্রাসিল না থাকলে হয়তো আমি মারা যেতাম। ওর আগুনের ফলেই আমি বেচে গিয়েছি। যাইহোক সবাই আমার লড়াই দেখে একদম অবাক হয়ে গেছে। কথা মতো আমাকে তারাই সিলেক্ট করবে। কিন্তু সমস্যা হলো সবাই হাত তুললো আমাকে তাদের গার্ড করতে। অবশ্য সেটা বেশী ভালো না। এখন রাজাই সিলেক্ট করবেন আমাকে কার গার্ড করে দিবেন। কিন্তু তার আগেই প্রিন্সেস এলিনা বলে উঠলো।
.
–মাই কিং, আমি চাচ্ছি জ্যাক আমার প্রধান রয়েল গার্ড হোক।(এলিনা)
.
–কিন্তু এলিনা তোমার তো রয়েল গার্ড একজন রয়েছে।(রাজা)
.
–মাই কিং, আমার মনে হয় আমার জন্য জ্যাকই ভালো হবে। তার কারন তো আপনি এখানেই দেখতে পেলেন।(এলিনা)
.
–হ্যা কিন্তু আমি ডিসিশন নিয়ে ফেলেছি। তোমার একজন গার্ড রয়েছে। কিন্তু তোমার ছোট বোনের রয়েল গার্ড এখনো সে পছন্দ করে নি। তাই আমি জ্যাককে থার্ড প্রিন্সেস এলিহার রয়েল গার্ড হওয়ার অনুমতি দিলাম।(রাজা)
।।।
।।।
প্রিন্সেস এলিনা রাগে প্যালেসের মধ্যে চলে গেলো। আমি একটু খুশি হলাম আমার কাজ তাহলে প্যালেসেই থাকবে। আর এলিহার গার্ড হয়েও অনেকটা কাজে দিলো। ওর সাথেও অনেক কথা বলার রয়েছে। ওর সামনেই ওর বন্ধুদের এভাবে সন্ত্রাসী বানিয়ে দিলো তাতে কিছু করলো না ও। এর জন্য ওকে তো শাস্তি দিতেই হবে। অনেকটা সময় লেগে গেলো রয়েল গার্ড অফিসিয়ালি ভাবে হতে। সন্ধার সূর্য নেমে গেছে। আর আমার আমিও চলে গেলাম হ্যারিদের সাথে কথা বলতে। ওদের সাথে আমার প্লানটা ভালোভাবে ক্লিয়ার করলাম। যেহেতু আমি এখন থেকে রয়েল গার্ড এলিহার। তাই আমি চাইলে ওর সিকিউরিটির জন্য এখন হ্যারি, লুসি এবং লুসানাকে ও নিযুক্ত করে দিতে পারবো এখন। তবে ওরা সাধারন গার্ডই থাকবে। অবশ্য ব্যাপারটা খারাপ হবে না। যেহেতু লুসানা চেহারা বদল করার স্পেল মাস্টার করেছে, তাই কেউ সন্দেহ করবেই না। আর আমাদের চেহারা তো সব সময় আটকানোই থাকবে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরের পর্বের জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here