#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ২২
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমার দেখা হয়েছিলো একটা মিস্ট্রিয়াস মেয়ের সাথে, যার পাওয়ার আমার ধরার অনেক বাইরে। তার এক ছোয়াতেই আমি সেন্সলেশ হয়ে গেছি। অনেকক্ষন হয়েছে আমি সেই গলিতে পরে রয়েছি, রোডের উপরে শুয়ে থাকা আমার ভালো লাগছে না, তবে কিছু তো করার মতো দেখছি না। আমি আমার শরীরকে নারাতে পারছি। পনেরো মিনিটের মতো আমি প্যারালাইস হয়ে রোডের উপরে পরে আছি। জায়গাটা একটা নিরব গলি হওয়ায় লোকজনের আশা জাওয়া নেই এখানে, নাহলে হয়তো আমাকে কেউ দেখলে এতোক্ষনে সাহায্য করতো। যায়হোক আমি শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। দূরে কিছু লোকদের দেখতে পেলাম যারা ডানার মাধ্যমে আকাশে উড়ছে। ইচ্ছা আমারও করে, তবে মানুষ হয়ে জন্মেছি, তাই উড়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। এমন কোনো স্পেলও নেই যেটা আমাকে উড়তে সাহায্য করবে। আমার ইচ্ছা জাগছে যে আমার পিঠে ঔ আজব হাত না হয়ে ডানা হলে ভালো হতো। পুরো বিশ মিনিট পরে আমার শরীরের বোধ ফিরে পেলাম আমি। এতোক্ষন শরীরবিহীন মনে হচ্ছিলো নিজেছে। তবে এখন আস্তে আস্তে ফিল করছি আমি সব কিছু। আমি ভিরুদাকে হাতে নিয়ে ইগড্রাসিলকে ডাকতে শুরু করলাম। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। ওর বদলে আমার বাম হাত থেকে ভ্যালি উত্তর দিলো আমাকে,
.
–ওকে ডেকে লাভ হবে না। ও গভীর ঘুমে আছে।(ভ্যালি)
.
–ওওও।(আমি)
.
–আমি এরকম স্পেল খুব কমই দেখেছি যেটা কিনা ইগড্রাসিলকেও ঘুম পারিয়ে দিতে পারে।(ভ্যালি)
.
–আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, ও যখন আমার ডান হাতে ওর হাত রাখলো, তখনি ওর মধ্যে থেকে আমি আজব ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাই।(আমি)
.
–তুমি এতোদিন যাদের ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পেয়েছো সেগুলো সাধারন ম্যাজিক, যেটা এট্রিবিউটের হয়ে থাকে, এটা তোমার অনেক বড় অস্ত্রও বটে। কারন ছয় এট্রিবিউটের ম্যাজিকের ছয়টা রং রয়েছে। ফায়ারের টা লাল, ওয়াটারের টা নীল, আর্থ এর টা খয়েরী, ওয়ার এরটা হালকা সাদাটে, ডার্কের টা কালো, লাইটের টা উজ্জল সাদা। তুমি হয়তো খেয়াল করেছো একজনের স্পেলের উপরে ডিপেন্ড করে তার ম্যাজিক পাওয়ার কিরকম রঙের দেখাবে।(ভ্যালি)
.
–হ্যা এটা তো আমাকে আমার মাস্টার লুসেফারই বলেছে, অবশ্য আমি এখনো এটা পুরোপুরি বুঝি না। আর এমনিতেও আমি এর আগে কারো ডার্ক ম্যাজিক পাওয়ার দেখি নি। যেমনটা ঔ মেয়ের ছিলো, যখন আমাকে ধরলো ও।(আমি)
.
–হ্যা সেটা আমিও জানি। তবে শেষ করতে দাও আগে আমার কথা। মেয়েটার ম্যাজিক পাওয়ার ডার্ক এট্রিবিউটের ছিলো না এটা আমিও জানি। সাধারনত একজন লোকের শরীর থেকে ম্যাজিক পাওয়ার বের যখন সে কেনো স্পেল ব্যবহার করে, তবে সেই ম্যাজিক পাওয়ার দেখার ক্ষমতা শুধু আমাদের ড্রাগনদের গোত্রের মধ্যে ছিলো। যেহেতু আমরা একটা এট্রিবিউটের প্রানী ছিলাম তাই বাকি এট্রিবিউট আমরা দেখতে পারলেও সেগুলো ব্যবহার করতে পারতাম না। কিন্তু তোমার ক্ষেত্রে সেটা আলাদা। যেহেতু তুমি কোনো ধরনের ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারো না, তারজন্য তোমার মধ্যে আমাদের ড্রাগন গোত্রের এই ক্ষমতা রয়েছে। এর ফলে তুমি অন্যের ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পারো।(ভ্যালি)
.
–আমার মতো ও আরো অনেক হবে যদি খোজা তাই তাহলে।(আমি)
.
–হ্যা সেটা ঠিক, ম্যাজিক পাওয়ারে আবার আশা যাক। ম্যাজিক পাওয়ার দুই রকমের হয়, একটা হয় এট্রিবিউটের, আরেকটা হলো নিজ গোত্রের। মূলত ছোট কথায় বলতে গেলে প্রতিটা গোত্রকে আমরা ড্রাগন খুব সহজেই চিন্তে পারি। কারন তাদের মধ্য থেকে তাদের গোত্রের ম্যাজিক পাওয়ার আমরা পরিস্কার দেখতে পারি।(ভ্যালি)
.
–গোত্রে ম্যাজিক পাওয়ার সেটা আবার কি?(আমি)
.
–তুমি এখনো এই ম্যাজিক পাওয়ার দেখার ক্ষমতা পুরোপুরি মাস্টার করতে পারো নি। যখন করবে তখন নিজেই দেখতে পারবে। প্রতিটা গোত্রের প্রানীদের শরীর থেকে তাদের নিজ গোত্রের একটা আলাদা ম্যাজিক পাওয়ার বের হয় যেটা শুধু আমরাই দেখতে পারি। অবশ্য তোমার কাছেও সেটা আছে, কিভাবে আমি জানি কিন্তু আমাদের এই ক্ষমতা তুমি অর্জন করেছো। ধরো তুমি মানুষ তোমার মধ্য থেকে এখন উনুজ্জল হালকা সাদা একধরনের ম্যাজিক পাওয়ার আমি দেখতে পারছি, সব মানুষের শরীর থেকে এই একই রঙের ম্যাজিক পাওয়ার বের হয়।(ভ্যালি)
.
–তাহলে ঔ মেয়েটা কোন গোত্রের ছিলো?(আমি)
.
–তার শরীর থেকে কালো ম্যাজিক পাওয়ার বের হচ্ছিলো, সেটা একদম গাড়ো কালো ছিলো, তাই বলা যায় সে একজন ডেভিল।(ভ্যালি)
.
–তার মানে হ্যারির মতো সেও একটা ডেভিল?(আমি)
.
–গোত্র ডেভিল কিন্তু তোমার বন্ধ হ্যারির মতো না। আমি এর আগেও অনেক ডেভিল দের দেখেছি, তবে মেয়েটার পাওয়ার পুরো অন্য লেভেলে। পুরো শরীর লমটে উঠেছিলো ওর পাওয়ার দেখতে পেয়ে।(ভ্যালি)
.
–তাহলে বুঝতে পারলাম আমরা একটা সিরিয়াস ঝামেলায় পরে গেছি। আমি মূলত কোনো শত্রু বানাতে চাই না। কিন্তু মনে হচ্ছে এই মেয়ের আশেপাশে আবার গেলে সেটা হতে সময় লাগবে না।(আমি)
.
–হ্যা তোমাকে সাবধান থাকতে হবে। ইগড্রাসিল এবং আমি ওর কাছে কোনো কিছুই না। আমাদের তলোয়ার কিংবার তোমার দুই হাতে টাচ করলেই আমরা ঘুমিয়ে যাবো।(ভ্যালি)
.
–হ্যা সেটা অনেক ভয়ানক স্পেল। যাইহোক আমাদের সাবধান হতে হবে বেশী করে। মূলত তোমাদের দুজন ছাড়া আমি কোনো কিছুই না।(আমি)
.
–এরজন্য তোমাকে বলেছি আমাদের সাথে লড়তে শিখো। যদি না ব্যবহার করো বেশী, তাহলে তো আমাদের পুরো পাওয়ার পর্যন্ত যেতে পারবে না তুমি।(ভ্যালি)
.
–হ্যা এটা বলা সহজ। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে আছি এখন, তাতে তো সম্ভব হচ্ছে না।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে। তবে সাবধান থাকো।(ভ্যালি)
।।।
।।।
ভ্যালিও ঘুমিয়ে গেলো। কারন আমার শরীরের ম্যাজিক পাওয়ার শেষ। মেয়েটা শুধু আমার শরীরে টাচ করে আমাকে ঘুম পারিয়ে দেই নি। বরং আমার শরীরের পুরো ম্যাজিক পাওয়ারও ড্রেইন করেছে। মূলত ইগড্রাসিল এবং ভ্যালির মধ্যে এখন সামান্য ম্যাজিক পাওয়ার থালে, সেটা শেষ হলে তারা আমার শরীর থেকে ম্যাজিক পাওয়ার হাওলাট করে থাকে, তবে সেটাও শেষ হলে দুজনেই ঘুমের মধ্যে থাকে। আমি আপাতোতো দুই তলোয়ারের একশো ভাগের মধ্যে পাঁচ ভাগ পাওয়ারই ব্যবহার করতে পারি। বাকিটুকু তাদের সাথে ট্রেইন, লড়াই করে আস্তে আস্তে ব্যবহার করতে পারবো। তবে ভ্যালির থেকে আমার এই ম্যাজিক পাওয়ার দেখার ক্ষমতার কথা শুনে ভালো লাগলো। আমার কাছে এটা কিভাবে আসলো সেটা আমি নিজেও জানি না। কিন্তু অস্থির একটা ক্ষমতা এটা। যদিও কিছু ক্ষমতা রয়েছে আমার কাছে, তারপরও আমি স্পেল ব্যবহার করতে পারি না এজন্য আমার দুঃখ হচ্ছে। এই দুনিয়াতে ঔ মেয়ের মতো অনেক শক্তিশালী লোক আছে। তাদের কাছে আমি কিছুই না। আর আমার এই অবস্থা নিয়ে আমি প্লান করছি রাজাকে হত্যা করতে। আমি বুঝতে পারলাম, আমার চিন্তাভাবনায় আমার বন্ধুরা সবাই মারা যাবে। তাই সবকিছু আমাকে আরেকবার ভালো করে ভেবে দেখতে হবে।।।।
।।।।
।।।।
হিমরারের ট্রিপ দুই প্রিন্সেসের ভালো কাটলেও, আমার জন্য সেটা ভালো না। আমি বুঝতে পারলাম রয়েল গার্ড হয়ে আমার অনেক ভুল হয়েছে। এই কাজে পাহাড়া দেওয়া ছাড়া আর কিছু করা যায় না। আর আমি কোনো বেবীসিটার হয়ে থাকতে চাই না। পুরো একসপ্তাহ পরে আমরা হিমরার থেকে ইগড্রোলিয়াতে ফিরে আসলাম। এর মাঝে প্রিসেস এলিহা এবং এলিনা এর সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। মূলত দুজন সৎ বোন। দুজনের আম্মা আলাদা। দুজন প্রায় সমবয়সী। অবশ্য দুজন দুজনকেই ভালোবাসে আপন বোনের মতো, তবে কেউ কাউকে বলে বা দেখায় না। সামনা সামনি তাদের দুজনের মধ্যে সবসময়ই ঝগড়া লাগবে। সব মিলিয়ে বলা যায় প্রিন্সেস এলিহা ভাবে প্রিন্সেস এলিনা তাকে দেখতে পারে না, এবং প্রিন্সেস এলিনাও ভাবে প্রিন্সেস এলিহা তাকে দেখতে পারে না। আমি এখানে সাইড নিবো প্রিন্সেস এলিসার সাথে। তিন প্রিন্সেসের মধ্যে রাজা মারা গেলে সেই রানী হওয়ার অধিকার রাখে। কারন সব দিক দিয়েই সে পারফেক্ট। শুধু তাই নয় বরং তার রয়েল গার্ড যে কিনা এক সময় রাজার এলিট গার্ডের একজন ছিলো, তার সাথে তার বিবাহ হয়েছে। ঔদিক দিয়ে দেখা যায়। পরের মুকুট তাদের মাথায় যাবে। সেটা বাদ দিলাম। পুরো এক সপ্তাহ পরে আমরা রাজ্যে ফিরে আসলাম।
।।।
।।।
আমার এই কয়টা দিন শুধু ঔ জেসি নামক মেয়েটার কথা ভেবেই কেটেছে। আমি প্রতিটা মুহুর্ত সজাগ ছিলাম এবং ভয়ে ছিলাম যে আমাকে আক্রমন করতে পারে। এক হিসাবে বলা যায় এক সপ্তাহ সময় আমার ভয়েই কেটেছে। এক সপ্তাহ সময় হয়ে গেলো এখনো ইগড্রাসিল জাগে নি ওর ঘুম থেকে। এদিকে ভ্যালি তার পরের দিনই জেগেছিলে। লড়াই এ আমার ভ্যালির থেকে বড় অস্ত্র হলো ভিরুদা। কারন ইগড্রাসিলের আগুন ভ্যালির পানিকেও নাকি গলিয়ে দিতে পারতো, অবশ্য এটা ভ্যালি নিজেই আমাকে বলেছে। সেই মেয়েটা আমাকে এই অবস্থায় আক্রমন করলে সে ভ্যালিরও এই একই হাল করবে, তাই আমাকে সাবধান থাকতে হবে। কারন দুজন ঘুমালে আমার তলোয়ারের টেকনিক আমাকে বাচাবে না।
।।।।
।।।।
রাজ্যে এসে আমার প্রতিদিনের কাজ আবার শুরু হলো। অবশ্য দিনের সময় প্রিসেস এর গার্ড হয়ে থাকা। এবং রাতের সময় গুপ্ত রাস্তা দিয়ে বের হয়ে শহরের কালো লুটকারীদের হামলা করা। জিনিসটা ভালোই যাচ্ছিলো। রাজ্যে ব্লাক ড্রাগনের নাম ছরিয়ে গেছে। এদিকে হ্যারি, লুসি এবং লুসানাও অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তবে এটা আমাদের জন্য স্বাভাবিক না। হিমরার থেকে আমাদের প্যালেসে ফেরা প্রায় দেড়মাসের মতো হয়ে গেছে। একদিন সকালে রাজার দূত আমাকে রাজার সিংহাসনে যেতে বললেন। আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে, তাই ভালো করে রেডি হয়ে গেলাম। এর মধ্যে ইগড্রাসিলও ঘুম থেকে উঠেছে। ওর প্রায় পনেরো দিনের মতো লেগেছে ঘুম ভাঙতে। যাইহোক আমি রাজার সামনে গিয়ে পা ঝুকিয়ে সম্মান জানালাম,
.
–মাই কিং। ডেকেছেন আমাকে?(আমি)
.
–হ্যা প্রিন্সেস এলিহার রয়েল গার্ড জ্যাক। তোমার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ন কাজ রয়েছে।(রাজা)
.
–বলুন মাই কিং।(আমি)
.
–শহর সাতশো আটানব্বই, সেখানে খুব আশ্চর্যজনক জিনিস হচ্ছে। লোকজনের মতে সেখানে রাতের সময় ভয়ানক যুদ্ধের আওয়াজ শোনা যায়, কেউ রাতের সময় বের হয় না সেখানে, যদিও রাতে ভয়ানক যুদ্ধের আওয়াজ শোনা যায়, কিন্তু দিনের সময় তার কোনো চিহ্নই দেখা যায় না।(রাজা)
.
–জ্বী মাই কিং, বুঝতে পেরেছি। আপনি চাচ্ছেন, আমি সেখানে গিয়ে ব্যাপারটা পরীক্ষা করবো।(আমি)
.
–হ্যা। তোমার কাছ শুধু সেখানে যা হচ্ছে সেটার সঠিক তথ্য বের করা। এবং যদি কোনো সমস্যায় পরো তার জন্য তোমার সাথে মিলিটারি থেকে যে কোনো সেনা নিয়ে যেতে পারো তুমি?(রাজা)
.
–মাই কিং, যদি আমি মিলিটারী সেনা নিয়ে কয়েকজন আর্কাইব সদস্য নিতে চাই?(আমি)
.
–সেটা কেনো?(রাজা)
.
–আসলে, আমি তলোয়ার ব্যবহার করি, আমার মনে হয় একজন ডিসট্রাকসন ম্যাজিক ব্যবহারকারী এবং দুইজন সাপোর্ট ম্যাজিক ব্যবহারকারী আমার জন্য পারফেক্ট হবে, আর তাছাড়া আর্কাইবে নতুন একটা টিম অনেক নাম করছে। আমার মনে হয় তারা আমার এই মিশনের জন্য ঠিক হবে।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে। আর্কাইবের আমার দূত চলে যাবে, তুমি যাদের নিতে চাও সেখান থেকে নিতে পারো। তবে আমি মনে করে কিছু সেনা প্রয়োজন হবে তোমার।(রাজা)
.
–তেমন কিছু হলে আমি বার্তা প্রেরন করবো। আপনি কেনো চিন্তা করবেন না।(আমি)
.
–আমি এই মিশনের জন্য প্রিন্সেস এলিনাকে ও পাঠাতে চাই। যদিও তার রয়েল গার্ড তোমার ভাই আখিল অসুস্থ।(রাজা)
.
–মাই কিং, তাহলে আমাদের যাত্রায় প্রিন্সেস এলিনার গার্ড আমাকেই হতে হবে।(আমি)
.
–হ্যা। এলিনা টেলিপোর্ট স্পেল ব্যবহার করতে পারে তাই কোনো সমস্যা হলে, সে নিজে টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসতে পারবে।(রাজা)
।।।
।।।
রাজা আরো কিছু কথা বললেন। পরে আমি বের হয়ে আসলাম। মূলত আমি হিমরার যাওয়ার পরে হ্যারি, লুসি এবং লুসানা আর্কাইবে যোগ দিয়েছে। তাদের মুখ ঢাকা থাকে মাস্কে তাই কেউ তাদের চিনে না। আসল পরিচয় গোপন রেখেছে তারা। আর যেহেতু লুসানা চেহারা বদল করার স্পেল জানে, তাই তাদের শহরে থাকতে সমস্যা হয় না এখন। আর আমি রাজাকে তাদের কথায় বলেছি। অবশ্য আমি প্রথমে ভাবি নি রাজা রাজি হবেন। কিন্তু ঔ তিনজনের কাজের নাম পুরো রাজ্যে ছরিয়ে গেছে। আর্কাইবের সবচেয়ে কঠিন কঠিন মিশন গুলো ওরা তিনজন পূরন করছে, তাই হয়তো রাজা রাজি হলেন। যাইহোক প্রিন্সেস এলিনাকে আমার সাথে পাঠানেন এটা আমার সঠিক লাগলো না। এদিকে আবার তার গার্ড আমাকেই হতে হবে। এমনিতেও সে একজন প্রিন্সেস, তার উপরে অনেক সুন্দরী। আর যেভাবে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। সব দিক দিয়েই আমার বিরক্ত লাগে। মেয়েরা আমার দিকে তাকালে নিজেকে অনেকটা নার্ভাস মনে হয়। কারন আমি জানি না। হয়তো ঔটা মেয়েদের স্পেশাল একটা পাওয়ার, যেটা ছেলেদের নার্ভাস করে দিতে পারে। যাইহোক আমার প্রিন্সেস এলিনার সাথে থাকা একটুও ভালো লাগে না। এর থেকে প্রিন্সেস এলিহাকে পাঠালে ভালো হতো। অবশ্য রাজারও মাথা আছে। সে জানে প্রিন্সেস এলিহা টেলিপোর্ট ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে না। ব্যাপার আরেকটা ও হতে পারে। কারন প্রিন্সেস এর কথা আগে রাজা মেনসন করে নি। বরং আমি আর্কাইবের সদস্যদের কথা বলার পরেই মেনশন করেছে। মূলত রাজা হয়তে সন্দেহ করছে যে ওরা তিনজনই হয়তো ব্লাক ড্রাগনের সদস্য হবে। মূলত শহরে এই খবর ছড়িয়েছে যে ব্লাক ড্রাগনে একজন ছেকে এবং দুজন মেয়ে রয়েছে, আর তারা অসম্ভব শক্তিশালী। আর ওদের তিনজনের কথা বলায় হয়তো রাজার একটু সন্দেহ হয়েছে। এমনিতেও আমার উপরে রাজা সন্দেহ করবে না। কারন আর্কাইবের সদস্য হওয়াতে ঔ তিনজনের ফেইক নেম চারিদিকে ছরিয়েছে। আর আমি সেটা শুনেই রাজাকে বলেছি। তারপরেও রাজার ব্যাপারে কিছু বলা যায় না। আমি প্রথমে ভাবতাম রাজা কোনো কাজেরই না, সব কিছু জেনারেল চালায়। তবে কতটা ভুল ছিলাম সেটা এখন আমি জানি। এমনিতেও চাইলে জেনারেলরা তাদের রাজার বিরুদ্ধে যেতে পারে যদি রাজা কোনো ভুল করে। কিন্তু আমাদের জেনারেল সেটা পারবে না। কারন সে রাজার একদম হাতের পুতুল। সে যতই চেষ্টা করুক না কেনো, রাজার আদেশ বিহীন সে কোনো কাজই করতে পারে না। যেহেতু রাজার সৎ ভাই সে তাই রাজা তাকে তেমন দেখতেও পারে না।
।।।।
।।।।
আমাদের এসব আলোচনা না করাই ভালো। আমি আপাতোতো একটা যানের মধ্যে বসে আর্কাইবে চলে এসেছি হ্যারি, লুসি এবং লুসানার সাথে দেখা করতে। ওদেরকে পরিস্থিতিটা একটু বুঝিয়ে দিলাম। আমাকে না চেনার ভান ধরতে বললাম। এবং আস্তে আস্তে ভালো বন্ধু হওয়ার বুদ্ধি দিলাম ওদের আমি। কারন আমার পরবর্তী প্লান ওদেরকে আমার প্যালেসের সকল মিশনের জন্য আমার সাথে নেওয়া। এরজন্য আমাদের এই মিশনটা কম্পলিট করতে হবে। মিশনের বিবরণ শুনেই কিছুটা ভুতুরে ভাব অনুভব করতে পারছি আমি। জানি না কেনো তবে নতুন কিছু আবিষ্কার করবো হয়তো। আমরা চারজন যানে করে প্যালেসে আসলাম এবং সেখান থেকে প্রিন্সেস এলিনাকে নিয়ে সোজা রওনা দিলাম সাতশো আটানব্বই নম্বর শহরে। জানি না সেখানে কিসের যুদ্ধ হয়, কিন্তু আপাতোতো আমার যানের মধ্যে ভালো লাগছে না। ওরা তিনজন বসেছে একপাশে, আর আমি আর প্রিন্সেস এক পাশে। প্রিন্সেস এলিনা একদম আমার সাথে ঘেসে বসেছে। আমার এতো কাছে আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ে বসে নি। যদিও আমার বিরক্ত লাগছিলো আগে, কিন্তু কেনো জানি প্রিন্সেস এর তাকানো মুখ আমার এখন ভালো লাগছে, সঠিক করে বলতে পারবো না, তবে নিজেকে সম্মোহিত মনে হচ্ছিলো। এই প্রথমবারের মতো আমার হার্টবিট বেড়ে গেছে কোনো মেয়ের হাতের স্পর্শ আমার হাতে পরাই। একটা ঝাকি লাগে সামান্য যার ফলে প্রিন্সেস আমার দিকে আরো সরে আসলো। আর এদিকে তার হাত আমার হাতে লাগে, যার ফলে আমার হার্ট বিট বেড়েই চলেছে, আমিও সরে বসলাম তার কাছ থেকে। কিন্তু আমি এই ফিলিংসটা বুঝতে পারছি না। আমার মেমোরী লস হয়ে গেছে, তাই এটা কিসের ফিলিংস সেটা আমি সঠিক বুঝতে পারছি না। হয়তো এটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রিন্সেস এলিহার হাতের স্পর্শও আমার অনেক লেগেছে, আমার হার্ট তখন বেশী বিট করেনি। আমি জানি না কি হচ্ছে, তবে এটা বেশীক্ষন না হলেই ভালো হবে। হঠাৎ লুসি বলে উঠলো,
.
–আমি এই যানের মধ্যে কিছু আজব ম্যাজিক অনুভব করছি।(লুসি)
.
–কিসের ম্যাজিক এটা?(আমি)
.
–অনেকটা বলতে গেলে লাভ ম্যাজিক বলে এটাকে। যেটা সাকুবিচ্ রা ব্যবহার করে। এটার ফলে ছেলেরা তাদের পাশের মেয়েদের উপরে আকর্ষিত হয়।(লুসি)
.
–সমস্যা নেই আমি ক্যান্সেল করে দিচ্ছি আমার ঢাল দিয়ে।(লুসানা)
।।।
।।।
লুসানা ওর ম্যাজিক স্পেল দিয়ে একটা ঢাল বানিয়ে দিলো আমাদের পুরো যানের মধ্যে। ওর এই ঢালের মধ্যে কোনো সাধারন স্পেল কাজে দিবে না। অবশ্য ভিতরের লাভ ম্যাজিকও শেষ হয়ে গেলো। অবশ্য আমিও কিছুক্ষন যাবৎ একটা আশ্চর্যজনক রঙের ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাচ্ছিলাম যেটা কিনা আমাদের যানের উপর থেকে আসছিলো, কিন্তু আমি সেটা ইগনোর করেছি। অনেকটা পিংক কালারের ম্যাজিক পাওয়ার ছিলো সেটা। কিন্তু লুসানার ঢালের কারনে সেটা গায়েব হয়ে গেছে। আমি জানি না এটা কার কাজ, কিন্তু হ্যারির অবস্যা বেশী ভালো না। ও একপাশে মুখ গুজে বসে আছে। হয়তো ওর হার্টবিট বেশী বেরে গিয়েছিলো কারন ওর পাশে দুজন মেয়ে ছিলো। যায়হোক ম্যাজিক পাওয়ার চলে যাওয়ার পর আমার হার্টবিট স্বাভাবিক হলো। কিন্তু যখনি প্রিন্সেস বাকা হয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে আবারো আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে। আমি আর এটা বেশী ক্ষন নিতে পারলাম না। তাই আমি অনেকটা দূরে এসে সরে বসে, বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলাম। প্রিন্সেস ও রাগ করে ঔদিকে তাকিয়ে রইলো। আমার মনে হচ্ছে সে কিছু বলতে চাচ্ছে, কিন্তু বলতে পারছে না। যাইহোক সে সাথে থাকা আমার বিরক্ত লাগতো, এখন তার চাওয়াও আমার বেশী বেশী বিরক্ত লাগছে, কারন তাতে আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে। কি করবো সেটাই বুঝতে পারছি না।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
কেমন হলো জানাবেন। শীঘ্রই পুরাতন আরেকটা চরিত্র দেখতে পাবেন, যেটা এই সিজনে অনেক বড় একটা রোল প্লে করবে।