#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ২৬
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমার মাথায় নতুন কিছু স্মৃতি যুক্ত হওয়ার পর থেকে আমি সব বিষয়ে কনফিজড এখন। আপাতোতো ডেভিল কিং চলে গেছে, তার সাথে থাকা ডেভিলও চলে গেছে, আশে পাশে পরে থাকা সকল ডেভিলের শরীরও চলে গেছে, শুধু মৃত এন্জেল এবং আমরা ছয়জন এখানে দাড়িয়ে আছি। আমি, প্রিন্সেস, হ্যারি, লুসি, লুসানা এবং এন্জেল রানী। এন্জেল রানী অনেকটা অবাক হলো আমার পিঠের হাত গুলো দেখে, হাতের দিকেই তাকিয়ে আছে সে। আর আমি যেহেতু আমার ক্ষমতা এখন নিয়ন্ত্রন করতেই পারছি তাই আমি দ্রুত আমার ঔ হাতগুলো দিয়ে বাকিদের ক্ষত ঠিক করে দিতে লাগলাম। আমি এখনো সব কিছু বুঝতে পারছি না। কিছু কিছু স্মৃতি শুধু মনে পরছে আমার। বাকি সব ঘোলাটে। হঠাৎ এন্জেল রানী বলতে লাগলো,
.
–কে তুমি?(আমাকে জিজ্ঞেস করলো রানী)
.
–আমি জ্যাক। সাধারন একজন মানুষ।(আমি)
.
–সাধারন কোনো মানুষের কাছে গডহ্যান্ড থাকে না।(রানী)
.
–গডহ্যান্ড?(আমি)
.
–মনে হচ্ছে তোমার এই বিষয়ে জ্ঞান নেই। তোমার পিঠে যেটা রয়েছে সেটার নাম গডহ্যান্ড। এন্জেলদের আল্টিমেট অস্ত্র। এটা নিয়ে অনেক ইতিহাস রয়েছে, তবে আজ পর্যন্ত কোনো এন্জেল এটাকে ব্যবহার করতে পারে নি।(এন্জেল রানী)
.
–ও। হয়তো ইতিহাস ভুল রয়েছে, আমি কোনো এন্জেল না। আমি মানুষ একজন।(আমি)
.
–ইতিহাস কখনো ভুল হয় না। এটা ফেইরী টেইল না যে ভুল হবে কোনো কিছু। তোমার নিশ্চয়ই এন্জেলের সাথে কোনো সম্পর্ক রয়েছে?(এন্জেল রানী)
.
–না সেরকম কিছুই নেই, আমি সাধারন একটা মানুষ। আমার ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করলেই বুঝবেন।(আমি)
.
–তাহলো এটা সম্ভব হয় কিভাবে। একজন মানুষের কাছে গডহ্যান্ড কিভাবে আসবে? এটা তো শুধু মাত্র একটা আল্টিমেট এন্জেলের জন্য।(এন্জেল রানী)
.
–হয়তো কোনো এন্জেলকে এই গডহ্যান্ড পছন্দ করে নি। তাই আমার মতো একটা মানুষের কাছে এসেছে। তো কি করতে পারে এই গডহ্যান্ড?(আমি)
.
–ইতিহাসের মতে যার কাছে এই গডহ্যান্ড থাকবে সে এই পুরো দুনিয়া নিয়ন্ত্রন করতে পারবে।(এন্জেল রানী)
.
–আমার দুনিয়া নিয়ন্ত্রন করার কোনো ইচ্ছা নাই।(আমি)
.
–আমি তোমাকে এখানে রেখে যেতে পারি না। কারন ডেভিল কিং এর হাতে গডহ্যান্ড চলে গেলে পুরো দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। তোমাকে আমার সাথে এ্যারসাকে যেতে হবে।(এন্জেল রানী)
.
–দেখুন রানী কোথায় কি হলো? কি হবে? কেনো হবে? কিসের জন্য হবে, এসব কিছু সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভাগ্যে লেখে রেখেছেন। তাই আমি চাইবো আপনি চলে যান যেখান থেকে এসেছেন। আর হ্যা চাইলে আপনি ইগড্রোলিয়া তে আসতে পারেন, রাজ্যে আপনাকে সুরক্ষিত রাখার সম্পূর্ন দায়িত্ব আমার।(আমি)
.
–তুমি বুঝতে পারছো না তোমার ক্ষমতাটা কতটা গুরুত্বপূর্ন ডেভিল কিং যখন এটা দেখেই ফেলেছে, আমি নিশ্চয় সে এটা তার করার জন্য সব কিছুই করবে।(রানী)
.
–সেটা সময় হলে দেখা যাবে। আমার বন্ধুদের এবং প্রিন্সেস এর এখন রেস্ট দরকার। তাই আমাদের ফিরে যেতে হবে।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি প্রিন্সেসকে বললাম আমাদের টেলিপোর্ট করে সোজা প্যালেসের সামনের গেইটে নিয়ে যেতে। সে কোনো কথা বললো না। শুধু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রাজি হয়ে গেলো। আমাদের ঠিক টেলিপোর্ট স্পেলের মাধ্যমে টেলিপোর্ট করে প্যালেসের গেইটের সামনে নিয়ে গেলো। যেখান থেকে হ্যারি, লুসি, এবং লুসানা নিজেদের মতো তাদের গোপন বাসায় চলে গেলো। আর আমি আর প্রিন্সেস যাচ্ছি প্যালেসের ভিতরে। রাতের সময় বলে কি হয়েছে সেটা রাজাকে বলার সময় না এখন। কালকে তাকে প্রিন্সেস নিজেই জানিয়ে দিবে। আমি চলে গেলাম নিজের রুমে। মাথা অনেকটা ঘুরছিলো। নতুন অনেক স্মৃতির চাপে আমি আমার রিয়েলিটি হারিয়ে ফেলছিলাম। এক ঘুমে সকাল হয়ে গেলো।
।।।
।।।
আপাতোতো আমার মাথার মধ্যে নতুন কোনো স্মৃতি আসছে না। তবে পুরাতন অনেক স্মৃতিতে আমার ব্রেইন ভরে গেছে। আমি আপাতোতো দুটো রিয়েলিটির মধ্যে হারিয়ে গিয়েছি। একটা যেখানে আমি শুধু জ্যাকসন। আর একটা যেখানে আমি জ্যাকসন ব্রিট। দুটো রিয়েলিটিই আলাদা। পরিচয় থেকে শুরু করে আশেপাশের সবাই আলাদা, তবে কিছু লোক আছে যারা এখনো আমার কাছে। আগের রিয়েলিটি যেটা আমার মনে পরছে, সেখানে রাজা জ্যাসন ব্রিটের সন্তান জ্যাকসন ব্রিট। তাছাড়া আমার পরিচয় ছিলো ডেভিল কিং হিসাবে সেখানে, যাকে অনেকেই ভয় করতো। কিন্তু এই রিয়েলিটি তার কিছুই না। যদিও আমার এই রিয়েলিটিতে বাবা জ্যাসন। তবে আগের রিয়েলিটি থেকে এটা অনেক আলাদা। আমি এখন ভাবছি কোন রিয়েলিটির জ্যাক হয়ে থাকবো আমি, আমি চাইলে এখন আগের জ্যাকও হতে পারি যেখানে ডেভিল কিং ছিলাম, তবে সেটার জন্য আমার ডেভিল পাওয়ার প্রয়োজন যেটা আমার কাছে নেই, আর যেহেতু আগের রিয়েলিটির মতো এই রিয়েলিটি না, তাই এখানে আমার সত্ত্বা গুলো যেগুলো আমার শরীরে ছিলো সেগুলো জীবন্ত নেই, শুধু আমি তাদের ক্ষমতা গুলো অর্জন করেছি। সাধারন কথায় আমি এন্জেল, ভ্যাম্পায়ার, ডিম্যান এর ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবো এখন, তবে আমার শরীরে তাদের সত্ত্বাগুলো আর নেই।
।।।।
।।।।
আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, আমি আগের রিয়েলিটি ফেরত আনতে পারবো না। কারন যা হয়েছে, সেটা বদলানোর ক্ষমতা শুধু সৃষ্টিকর্তারই দায়িত্ব। তার সৃষ্টি নিয়ে আমাদের খেলা উচিত না। এখন যদি আমাকে আগের রিয়েলিটি আবার আনতে হয়, আগের এগারো দুনিয়া আবার বানাতে হয়, তাহলে যে কাজটা জেসি করেছে সেটা করতে হবে। তাতে করে আবার সকল প্রানী মারা যাবে। আমি সেটা চাই না। আমি বুঝতেই পেরেছি জেসির স্পেল কিভাবে কাজ করেছে। ওর স্পেলের মাধ্যমে প্রথমে সকল প্রানী মারা গিয়েছে, এবং তারপর পুরো এগারো দুনিয়া একত্র হয়ে নতুন একটা দুনিয়া বানিয়েছে, যেটা আগের রিয়েলিটি থেকে পুরো ভিন্ন। যেহেতু দুটোর রিয়েলিটি আলাদা, তাই নতুন দুনিয়ার কেউই আগের দুনিয়া সম্পর্কে কিছুই জানে না। পুরাতন দুনিয়াতে যত প্রানী জন্ম নিয়েছিলো, সবাই আবার নতুন দুনিয়ায় নতুন রিয়েলিটিতে জন্ম নেওয়া শুরু করে। তবে এবার সকল গোত্র একসাথে থাকে।
।।।
।।।
আমার মনে হচ্ছে জেসি শেষ সময়ে এই একটা কথায় বলেছিলো, ও সকল গোত্রকে একসাথে দেখতে চাই, যেখানে কোনো লড়াই থাকবে না। ও এটার জন্য অনেক বড় কোরবানী দিয়েছে। ওর সবকিছু ও ছেড়েছে শুধু ওর এই ইচ্ছাটা পূরন করার জন্য। আমি ওকে ব্লেম করছি না এখানে। ব্লেম এখানে সব আমার উপরেই। আমি ওর বড় ভাই হয়ে ওকে কিছু বলতে পারি নি। যাইহোক আপাতোতো আমি আমার চিন্তা ভাবনা করে ফেলেছি, যেহেতু এই দুনিয়ার কেউ আগের দুনিয়ার সম্পর্কে কিছু জানে না ভিন্ন রিয়েলিটির কারনে, তাই আমাকেও আগের দুনিয়া সম্পর্কে ভুলতে হবে। অবশ্য ভুলতে না, কাউকে সেটা সম্পর্কে বলা যাবে না। আমি চাইবো না কেউ সেটা সম্পর্কে জানুক। কারন বেশী লোক যদি আগের দুনিয়া সম্পর্কে জানে তাহলে রিয়েলিটি স্পেল দুর্বল হয়ে যাবে। এবং পুরো দুনিয়াতে তখন ক্রাইসিস দেখা দিবে। তাই এই জিনিসটা আমার কাছেই থাকলে ভালো হবে আপাতোতো সময়ের জন্য।
।।।
।।।
যদিও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি জ্যাকের মতো থাকার জন্য। কিন্তু আমার পুরো শরীর এখন জ্যাকসন ব্রিটের কন্ট্রোলে। এক কথায় আমি আগের সব জেনে গেছি, আর তার ফলে জ্যাকের ভিতরে আমার যে সত্ত্বা ছিলো সেটা জ্যাকসন ব্রিটে ইভোল্ভ হয়ে গেছে। আমি জ্যাকসন ব্রিটে বিকশিত হয়ে গেছি। জিনিসটা কেউ শুনলে কনফিউজড হয়ে যাবে। তবে সংক্ষেপে বলতে গেলে, একজন লোকের মেমোরী হারিয়ে গেলে, সে মানষিক দিক দিয়ে সম্পূর্ন আলাদা একজন ব্যক্তি হয়ে যায়, কারন সে কোনো কিছুই জানে না আগের। আর তখন সে নতুন একটা পরিচয় পাই, কিন্তু কয়েকবছর পর যখন সে তার মেমোরী ফিরে পাই তখন সে দেখতে পারে তার নতুন একটা পরিচয় রয়েছে এখন। আর যদি সে মেমোরী হারানোর পরের যা হয়েছে সেগুলো তখন ভুলে যায়, তার কাছে তখন মনে হবে তার শরীর এতোদিন অন্য কারো কন্ট্রোলে ছিলো। তাই সে এই কয়টা বছর মনে করছে পারছে না। আমার সাথে এমনটা না হলেও ঠিক এইরকম মনে হচ্ছে আমার। যদিও জ্যাকের সকল কিছু আমার মনে আছে, কিন্তু আমার স্মৃতি ফিরে আসায় আমি এখন জ্যাকসন ব্রিট হয়ে গেছি, যাক আর এসব কথা ভেবে সময় নষ্ট করবো না। আমাকে আগের মতোই স্বাভাবিক থাকতে হবে। এই দুনিয়ার মেমোরী থাকার কারনে আমার সুবিধা হচ্ছে। যদও এটা ভুলে যেতাম তাহলে অনেকটা অসুবিধা হতো এখানে ফিট হতে। আমি আমার রুম থেকে নাস্তা করে রাজার সাথে দেখা করতে গেলাম। রাজা মিটিং রেখেছে। যেখানে সকল উচ্চ মিলিটারি অফিসার, রয়েল গার্ড এবং এলিট গার্ডদের থাকতে হবে। তাই আমিও চলে গেলাম সেখানে। যাওয়ার পরে যেটা শুনতে পেলাম সেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। রাজা নিজে বলতে লাগলো,
.
–আজকে সকালেই বিলুপ্ত দুই রাজ্য, এ্যারসাক এবং আরসাক। এন্জেল এবং ডেভিল রাজ্য দুটো তাদের রাজ্যের অস্থিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে। এবং আমাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে তারা বলেছে, আজ থেকে তাদের দুই রাজ্যকেই আবার স্বাধীন রাজ্য বলে মানা হবে। যে রাজ্য এটা অমান্য করবে তাদের সাথে তারা যুদ্ধে যাবে।(রাজা)
।।।
।।।
রাজা এটা বলেই বসে পরলো তার সিংহাসনে। এবার জেনারেল বলতে লাগলো,
.
–তাদের দুই পক্ষের ক্ষমতা কালকে আমাদের রাজ্যের সেকেন্ড প্রিন্সেস এলিনা এবং তার সাথে থাকা থার্ড প্রিন্সেস এলিহার রয়েল গার্ জ্যাক নিজের চোখেই দেখেছে। এ্যারসাকের এন্জেল রানী এবং আরসাকের ডেভিল রাজার ভয়াবহ যুদ্ধ হয়েছে, যেটা আমাদের একটা শহরের একপাশের বিশাল একটা বন অনেকটাই ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা এখনো জানি না তাদের সৈন্য সংখ্যা কত, কিন্তু তারা আমাদের থেকে অনেক শক্তিশালী, তাই আমাদের রাজা চাচ্ছে তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রাখতে। যদি তারা নিজ থেকে যুদ্ধ করতে চাই আমাদের সাথে, তাহলে আমরা পিছিয়ে থাকবো না। আমরাও আমাদের আধুনিক অস্ত্র দিয়ে তাদের জবাব দিবো।(জেনারেল)
।।।।
।।।।
আরো অনেক লেকচার দিলো জেনারেল এবং রাজা। কিন্তু সেদিকে আমার কোনো নজর নেই। নজর হচ্ছে, মাত্র এন্জেল রানীর কাছ থেকে একটা চিঠি এসেছে, যেখানে সে বলেছে, সে সরাসরি রাজার সাথে দেখা করতে আসবে এখানে। আর আমি সেটার জন্যই অপেক্ষা করছি এন্জেল রানী কি বলবে সেটা দেখার জন্য। অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর রানী প্যালেসের দেওয়ালের বাইরে থেকে উড়ে চলে আসলো। দেওয়ালের ভিতর দিয়ে কিভাবে আসলো বুঝলাম না। এরকম ম্যাজিক আমি আগে দেখেনি। আগের দুনিয়াতে ছিলো নাকি সেটাও মনে করতে পারছি না। যাইহোক রানীকে দেখে সবাই অবাক। আজ এখানের সবাই প্রথম একটা এন্জেলকে দেখছে, তার উপরে সে একজন রানী। অবাক হওয়ারই কথা সবার। রাজা কথা বলতে লাগলেন এন্জেলের সাথে। যেহেতু এটা রাজা রানীর কথা তাই আমরা কেউই শুনতে পারবো না। রাজা নিজে একটা ব্যারিয়ার বানালেন যেটার মধ্যে থেকে কোনো কথায় বের হবে না। কিছুক্ষন কথা বলার পরে, রাজা উঠলেন এবং আমাদের সকলকে বলতে লাগলেন।
.
–আজ থেকে এ্যারসাককে আমি ইগড্রোলিয়ার রাজা এলের্ড স্বাধীন একটা রাজ্য বলে স্বিকার করছি। এবং আজ থেকে ইগড্রোলিয়া এ্যারসাকের কাছের বন্ধু।(রাজা)
।।।
।।।
রাজা যেটা করতে চাইলো সেটাই হলো। রানীর সাথে বন্ধুত্ব করে নিলো। তবে এটাই সব কিছু না। রানী এবার বলতে শুরু করলো।
.
–আমি এ্যারসাকের রানী আফরিয়েল ইগড্রোলিয়াকে আজ থেকে আমার বন্ধু স্বিকার করছি, তবে একটা শর্তে। শর্ত হলো আমার সাথে এ্যারসাকে প্রিন্সেসের গার্ড জ্যাককে যেতে হবে। তার এখানে থাকা একদম বিপদ্দজনক। শুধু তার জন্য এই পুরো রাজ্যকে ডেভিল কিং ধ্বংস করে দিতে পারে।(এন্জেল রানী)
।।।।
।।।।
সবাই রানীর কথা শুনে চমকে গেলো। আমার দিকে সবাই অবাক হয়ে তাকালো। হয়তে ভাবছে, একজন সাধারন মানুষের জন্য ডেভিল কিং এই রাজ্য ধ্বংস করতে যাবে কেনো।
।।।।
।।।।
একটু আগে রাজা ডেভিল কিং এর বিরুদ্ধেও লড়তে চাইছিলো। কিন্তু রানীর সাথে কথার পর সে ডেভিল কিং এর নাম শুনেই ভয় পাচ্ছে। আমি জানি না ভয়ের কি আছে। একটা সময় ছিলো যখন আমিও ছিলাম ডেভিল কিং। এতোটা ভয়ংকর তো ছিলাম না আমি।
।।।
।।।
আমাকে আফরিয়েল এন্জেল রানীর সাথে যেতে হলো। মূলত আমি যেতে চাই নি। কিন্তু রানী শুধু আমাকে না, বরং যারা লড়াই এর সময় ছিলো সবাইকে নিয়ে যাচ্ছে, প্রিন্সেস এলিনা, লুসি, লুসানা, হ্যারি এবং আমি। আপাতোতো আখিল থাকবে প্রিন্সেস এলিহার গার্ড হিসাবে।
।।।
।।।
অনেক কিছুই পারি এখন, ম্যাজিক ব্যবহার করে দেখি নি, কিন্তু আমার ধারনা সেটা পারবো। অনেক ক্ষমতা রয়েছে আমার কাছে। কিন্তু একটা জিনিসি পারি না সেটা হলো উড়তে। আমাকে এন্জেল রানী বুকের উপর হাত দিয়ে পিছন থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে এবং আকাশে উড়ছে। হ্যারি, লুসি, লুসানা এবং প্রিন্সেস এলিনা উড়তে পারে, তাদের ডানা দিয়ে তারা উড়ে আসছে এন্জেল রানীর পিছনে। আমি অনেকটা ভয় পাচ্ছি। প্রথমবার এতো উচুতে এভাবে একজনের মাধ্যমে ঝুলে আছি, অবশ্য আগের দুনিয়াতে তো উড়েছি তবে এখানে আমার ডানা নেই, এজন্য ভয় করছে।
।।।
।।।
আমি প্রিন্সেস এলিনার দিকে তাকালাম। আমাকে জরিয়ে ধরেছে রানী এটার জন্য রেগে লাল হয়ে গেলো। একদম আমার পুরাতন মেমোরীর মতই আছে ও। একটু ও বদলাই নি। আর এই এন্জেল রানী যে আফরিয়েল এটাও আমি চিন্তে পেরেছি। আগের রিয়েলিটির আমার মামার মেয়ে ছিলো আফরিয়েল, অবশ্য সে একজন এন্জেল প্রিন্সেস ছিলো সেখানে, আর এখানে সে একজন রানী। যাইহোক রানীর কথা মতে আরসাকের সাথে যুদ্ধ বন্ধ করতে এ্যারসাকের শক্তিশালী এক এন্জেল রাজা যার নাম ছিলো মাইকেল, সে একটা স্পেল ব্যবহার করে, যেটা এ্যারসাককে আকাশের উপরে এবং আরসাককে মাটির নিচে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
।।।
।।।
আমার এই কাহিনী শুনে আগের দুনিয়ার কথা মনে পরে গেলো। একটা সময় ছিলো সেখানেও এগারো দুনিয়া একসাথে ছিলো। কিন্তু যুদ্ধের কারনে সেটা এগারো ভাগে ভাগ হয়ে যায়, অবশ্য আমার জানার ভিতরে এইটুকুই জানি। বেশী ডিটেইলস আমার কাছে নাই। এই রিয়েলিটিতে আমি কোনো ক্ষমতা অর্জন না করলেও একটা জিনিস আমার ভালো লাগছে, সেটা হলো কোনো কিছু একবার পরলে আমি সেটা কখনো ভুলি না। যাইহোক রানীর মতে এ্যারসাকে কেউই প্রবেশ করতে পারে না রানীর আদেশ ছাড়া, কারন কেউ জানেই না এটা কোথায়। শুধু রানীর কাছেই শক্তি আছে এ্যারসাকের গেইট খোলার। আর সে আকাশের যে কোনো জায়গায় সেটা খুলতে পারবে। আবার আরসাকের জন্যও একই রকম। ডেভিল কিং ই পারে শুধু আরসাকের গেইট খুলতে। আমার অনেকটা আন্ডারওয়ার্ল্ড এর কথা মনে যাচ্ছে এটা ভেবে। সব ডেভিল কিং এর রাজ্য আন্ডারওয়ার্ল্ড হয় কেনো সেটা বুঝতে পারছি না।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
কিছু জিনিস বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সেরকম ভাবে হয়তো লেখতে পারি নাই যে আপনারা বুঝতে পারবেন। তাই যে কোনো জিনিস না বুঝলে আমাকে মেসেজ দিয়েন কিংবা কমেন্ট করুন।