অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)part: 13

অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)part: 13
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤



রাত ১১ টা ৩০। রিয়াদ বেডে বসে ফোন গুতাচ্ছে আর এদিকে সাদিয়া ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে রীতিমতো লাফালাফি শুরু করেছে।রিয়াদ এবার ভ্রু কুচকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেই ফেললো..

কি সমস্যা সাদিয়া??এভাবে লাফালাফি করছো কেন?

ঠান্ডা লাগছে।

ঠান্ডা লাগলে লাফালাফি করতে হয় জানা ছিলো না।।আর এতোই যদি ঠান্ডা লাগে এতো রাতে গোসল করতে গেছো কেন??(ভ্রু কুচকে)

সেটা তোমার বুঝে লাভ নেই?(মুখ ফুলিয়ে)

সাদিয়া কথাটা বলতে বলতে বেড থেকে কম্বলটা নিয়ে তাড়াতাড়ি রিয়াদের কাঁধে জড়িয়ে দিলো।।রিয়াদ এবার ব্যাপক অবাক।।ঠান্ডা লাগছে সাদিয়ার আর কম্বল জড়াচ্ছে তার গায়ে এসব পাগলামো ছাড়া আর কি??

আচ্ছা ঠান্ডায় কি তোমার মাথার স্ক্রু ঢিলা হয়ে গেছে??ঠান্ডা লাগছে তোমার আর কম্বল জড়াচ্ছো আমার গায়ে।।পাগল হইছো??

“আপাতত না” কথাটা বলেই টুপ করে রিয়াদের কোলে গুটিসুটি হয়ে বসে পড়লো সাদিয়া।রিয়াদের বুকের সাথে ঠেস দিয়ে কম্বলটা নিজের সাথে জড়িয়ে নিলো ভালো করে।।রিয়াদ পুরাই “হা”। সাদিয়ার ঠান্ডা শরীর আর ভেজা চুলে শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে তার।।রিয়াদ কিছু বলতে যাবে তার আগেই সাদিয়া রিয়াদের ফোনটা একরকম লোফে নিলো।।রিয়াদ কি বলবে ভেবেই পাচ্ছে না।।এই মেয়েকে দেখে কে বলবে, সে নিজেই আরেক মেয়ের মা!!বাচ্চামো স্বভাবগুলো বাচ্চার চেয়ে বাচ্চার মায়ের মধ্যেই প্রকট ।। রিয়াদ চুপচাপ মুচকি হাসি নিয়ে দেখে যাচ্ছে সাদিয়ার পাগলামো।।কিছুক্ষণ যেতেই সাদিয়া ঠোঁট উল্টে বলে উঠলো,,” ছিহ্,,কি বাজে গেইম। আমি তো এটা খেলতেই পারছি না।” সাদিয়ার কথায় রিয়াদ হুহু করে হেসে উঠলো।।সাদিয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে বলে উঠলো….

আপনাকে পারতে হবে না।এসব বাচ্চাদের খেলার জিনিস নয়।।এসব বড়দের গেইম সো ফোনটা দিন।।

জি নট।।মোটেও না।চুপচাপ বসে থাকো।।আমি দেখতে চাই তোমার ফোনে আছেটা কি।

এমন ভাবে বলছো,,যেনো ফোনে দশ বারোটা বউ লুকায় রাখছি।

রাখতেই পারো,,

আচ্ছা,খুঁজো কিন্তু আমার কোল থেকে নেমে বসো।।শরীর ভিজে যাচ্ছে তোমার ভেজা চুলে। ঠান্ডা লাগছে তো।

লাগুক।ঠান্ডায় কাঁপুনি ওঠে যাক তবু আমি এখান থেকে সরবো না।।সো চুপচাপ বসে থাকো।হুহ…

আরামের শেষ পর্যায় যারে বলে আরকি।এই আরামটা আমিই পেলাম না।

আরামই তো,,আমার হাজবেন্ড আছে তাই এই আরাম।।তোমার তো নাই সো চান্স ও নাই।

আমার যে বউ আছে সেটা??বউয়ের কাছেই বা আরামটা পাচ্ছি কই?

শাট আপ রিদ।।আমি বিজি আছি।

রিয়াদ আর কথা বাড়ালো না।।সাদিয়ার চুলের পানিতে টিশার্ট ভিজে একাকার।।ব্যাপার না মাঝে মাঝে ঠান্ডাতেও উষ্ণতা পাওয়া যায়।রিয়াদ এবার সাদিয়াকে কম্বল দিয়ে আরো ভালোভাবে নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়ে পেছনে ঠেস দিয়ে বসে টিভিতে মনোযোগ দিলো।।বেশ কিছুক্ষণ পর,, সাদিয়ার কোনো হেলদুল না পেয়ে তাকিয়েই মুচকি হাসলো সে।।বাচ্চাদের মতো গুটিশুটি হয়ে ফোন হাতেই ঘুমিয়ে পড়েছে সাদিয়া।।কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুইয়ে আদ্রিতার পাশে শুইয়ে দিলো তাকে।।দুজনের ঘুমন্ত মুখটাই যেনো সকল সৌন্দর্যকে ছাপিয়ে গেছে।।যেনো স্বর্গ থেকে আগত দুটো ঘুমন্ত পরি।।দুজনের কপালেই ভালাবাসার পরশ ছুইয়ে দিয়ে মুচকি হেসে কম্বলটা টেনে দিলো গায়ে।।তার জীবনের দুটো প্রাপ্তি,, দুটো ভালোবাসা এরা দুজন।।যাদের নিজের থেকেও বেশি চায় সে।।
🌺
সকাল ৮ টা।প্রতিদিনের মতো আজও তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে ঢুকলো ফাহিম।।সবাইকে বসতে বলে সামনে তাকাতেই থমকে গেলো সে।।যে মুখটা দেখার জন্য এই তিনটা মাস,,প্রতিটি মুহূর্ত ছটফট করেছে সেই মুখটা আজ তার সামনে।।ফাহিমের ইচ্ছে করছে ক্লাস ফেলে রিয়াকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে নিতে।।কিন্তু তা তো হবার নয়।তাই নিজেকে কন্ট্রোল করে ক্লাস কমপ্লিট করলো ফাহিম কিন্তু মিনিটে দশবার সে রিয়ার মুখের দিকেই তাকিয়েছে সব ভুলে।।তৃষ্ণার্ত মনটা যেনো তৃপ্তই হচ্ছে না।অবশেষে পুরো দুইঘন্টার ক্লাস শেষে বেরিয়ে গেলো ফাহিম।এই দুইঘন্টায় রিয়া একটাবারও ফাহিমের দিকে চোখ তুলে তাকায়নি।।অসুস্থ শরীর নিয়ে এতোদূর থেকে জার্নি করে এসে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে।।এতোগুলি দিন ক্লাস মিস গিয়েছে তাই অসুস্থ শরীর নিয়েও ভার্সিটি এসেছে সে,,কিন্তু এখন আর সহ্য হচ্ছে না তাই বাড়ির পথে হাঁটা দিলো।।মাথাটা ঘুরছে যেনো এখনি মাটিতে লুটিয়ে পড়বে,,এটা যে সকালে না খাওয়ার সাইড ইফেক্ট তা রিয়া বেশ বুঝতে পারছে।।কোনো রকম ভার্সিটির করিডোর পাড় হতেই পেছন থেকে ডেকে উঠলো কেউ।।কন্ঠটা তার খুব চেনা কিন্তু এই চেনা মানুষটির মুখোমুখি হতে চাই না সে। তাইতো হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলো ক্রমাগত।।কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না মানুষটি তার সামনে এসে দাঁড়ালো,,,

রিয়া?আমি তোমায় ডাকছিলাম।(মুখ কালো করে)

ওহ্…সরি স্যার।শুনতে পাইনি ঠিক।জ্বী বলুন,,কিছু বলবেন?

তুমি অসুস্থ??চলো তোমায় বাসায় পৌঁছে দিই।

নো থেংক্স।আমার মতো সাধারণ একটা স্টুডেন্টের জন্য আপনাকে কষ্ট করতে হবে না স্যার।আই উইল ম্যানেজ।।

তুমি সকালে খাও নি তাই না??অসুস্থ শরীর নিয়ে ক্লাসে আসার কি প্রয়োজন ছিলো?রেস্ট নিতে পারতে…

সেটা আপনাকে না ভাবলেও চলবে স্যার…প্লিজ পথ ছাড়ুন,, সবাই দেখছে।

তুমি আমার সাথে যাবে।আমি তোমায় একা ছাঁড়ছি না।।

কখনো কি ধরেছিলেন আমায় যে ছাঁড়বেন??যখন ধরার ছিলো তখন যেহেতু ধরেন নি,,আজও প্রয়োজন নেই।সরুন সামনে থেকে।

বড়দের মতো কথা বলছো কেন রিয়া??তোমার মুখে এমন কথা নিতে পারছি না আমি,,প্লিজ স্টপ এন্ড গো উইথ মি।

কারো নেওয়া না নেওয়ার দায় ভার আমার কাঁধে নেই সো প্লিজ সরুন।

ফাহিম এবার সরে দাড়ালো কারন ভার্সিটির মাঝে টিচার আর স্টুডেন্টের এমন আর্গিউমেন্ট বড্ড বেমানান।রিয়াও হাঁটা দিয়েছে নিজের পথে।ভার্সিটির গেইট টা পাড় হতেই একটা গাড়ি এসে থামলো ওর ঠিক সামনে।রিয়ার আর বুঝতে বাকি রইলো না লোকটা কে।চোখ মুখ খিঁচে শক্ত করলো তাকে কিছু কড়া কথা শুনাবে বলে কিন্তু সামনের লোকটি ওকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে হঠাৎই তাকে কোলে তুলে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে সিট বেল্ট লাগিয়ে দিলো।ঘটনার আকস্মিকতায় রিয়া অবাক।ফাহিম এমন কিছু করবে সে ভাবতেই পারে নি।।রিয়ার মাথায় শুধু একটা কথায় ঘুরছে কেনো করছেন উনি এসব??করুনা করে?কিন্তু কারো করুনার পাত্রী হয়ে তো থাকতে চায় না সে।।কথাটা ভাবতেই মেজাজ গরম হয়ে গেলো তার। কড়া গলায় বলে উঠলো…

সমস্যা কি আপনার??এটা কোন ধরনের অসভ্যতা??যেতে দিন আমায়।

ফাহিম কোনো কথা বলছে না।।চুপচাপ গাড়ি ড্রাইভ করছে।।রিয়া ফাহিমকে কথা শুনাতে শুনাতে একসময় ক্লান্ত হয়ে নিজে থেকেই চুপ হয়ে যায়,,ফাহিম এতোক্ষণ শুধু নির্বাক শ্রোতা হয়ে শুনছিলো। একটা টু শব্দও করে নি সে।।রিয়াকে মনের ঝাঁঝ মিটিয়ে বলতে দিয়েছে।।একটা রেস্টুরেন্টের সামনে এসে গাড়ি থামালো ফাহিম।নিজে নেমে গাড়ি লক করে ভেতরে চলে গেলো।গাড়ি লক করার প্রধান কারন রিয়া যেন পালাতে না পারে।এদিকে রাগে ফুঁসছে রিয়া।।ফাহিমের এই লিমিটলেস চুপ থাকাটা ওর রাগটা আরো দ্বিগুন করে দিচ্ছে।কিছুক্ষণ পরই ফাহিম কিছু প্যাকেট নিয়ে গাড়িতে বসলো।।প্যাকেটগুলো পেছনে রেখে আবারো নিশ্চুপভাবে গাড়ি চালাতে লাগলো।।প্রায় আধাঘন্টা পর একটা নির্জন জায়গায় গাড়ি থামালো ফাহিম।।রিয়া চারদিকে তাকিয়ে সবুজ ঘাস ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলো না,,তবে একটু দূরেই একটা ছাউনি।।ফাহিম গাড়ি থেকে নেমে সোজা রিয়াকে কোলে নিয়ে হাঁটা দিলো।।রিয়া ক্রমাগত ছুটাছুটি করছে কিন্তু ফাহিমের সাথে পেরে উঠলে তো?রিয়া চুপচাপ বসে আছে,,ফাহিম তাকে ছাউনির নিচে বসিয়ে রেখে কোথায় যেনো হাওয়া হয়ে গেছে।।মিনিট পাঁচেক পরই ফাহিম কিছু প্যাকেট হাতে ফিরে এলো।রিয়ার পাশাপাশি বসে খাবারগুলো বের করে,,মুখের সামনে ধরে বললো “হা ” করো।রিয়া অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যার অর্থ সে হা করবে না।।

কি হলো?হা করো।

আপনার এসব আদিক্ষেতা বন্ধ করবেন প্লিজ??স্যার স্যারের মতো থাকেন।আমাকে বাসায় যেতে দিন।

দিবো,,আগে খেয়ে নাও।আমি জানি তবু বাসায় গেলে কিছু খাবে না।।সো আগে এগুলো ফিনিশ করো তারপর যাবে।

আমার খাওয়া না খাওয়া নিয়ে আপনার কি??আমি খাবো না,খাবো না,খাবো না।

ফাহিম রিয়াকে টেনে গালে কিস করে দিলো।।রিয়ার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম।।

অবাক হওয়ার কিছু নেই।।খেতে বলছি খাও নয়তো আরেক স্টেপ এগোতে আমার বেশি সময় লাগবে না।তুমি নিশ্চয় বুঝতে পারছো আমি কি বলছি?

আপনি একজন স্যার হয়ে স্টুডেন্টের সাথে এমন করতে পারেন না।।

স্যার হয়ে পারি না,,তবে অন্যকিছু হয়ে পারি।।এখন আমরা কেউই ভার্সিটিতে নেই সো এখানে স্যার আর ছাত্রীর সম্পর্ক আসছে না।।সো বেশি কথা না বলে চুপচাপ হা করো।।

রিয়া এবার রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে খাওয়া কমপ্লিট করলো।।ফাহিম ওর রাগ দেখে মুচকি হেসে চলেছে। বাহ তার পিচ্চিটা রাগও করতে পারে?রিয়া কিছু না বলে উঠে যেতে নিলেই তার হাত টেনে ধরলো ফাহিম…রিয়া ফিরে তাকাতেই বলে উঠলো…

সরি পিচ্চি।।একবার কি মাফ করা যায় না??(করুন চোখে)

আপনি কোনো ভুল করেন নি সো মাফ করার প্রশ্নই উঠে না।।।ভুলটা আমার ছিলো আবেগ দিয়ে বেশি মাতামাতি করে ফেলেছিলাম।। প্লিজ হাতটা ছাড়ুন,,আমি আর আপনাকে বিরক্ত করবো না।

কিন্তু আমি যে চাই বিরক্ত হতে।

সেটা আপনার সমস্যা নট মাইন।দয়া করে হাতটা ছাড়ুন।

সমস্যাটা আমার হোক বা তোমার কিন্তু সলুউশান টা তো একমাত্র তুমিই। প্লিজ পিচ্চি….আমার সমাধানটা হও,,,আগের মতো বিরক্ত করো আমায়।।তোমাকে আমার খুব প্রয়োজন।

আপনি যে পিচ্চিটার কথা বলছেন সে মরে গেছে তিনমাস আগেই সাথে মরে গেছে আপনার প্রতি তার আবেগ,ভালোবাসা সবকিছু।।আর এখন যাকে দেখছেন সে হলো রিয়া।শুধু এবং শুধুই রিয়া।।যার কাছে আপনি ভাইরাস নন শুধু স্যার।।যার কাছে আপনার সমস্যার কোনো সমাধান নেই।।

ফাহিমও আর কথা বাড়ায় নি।।শুধু চুপচাপ শুনে গেছে রিয়ার কথা।দোষের শাস্তি তো তাকে পেতেই হবে।।এই যন্ত্রনা তো তার জন্য অনিবার্য। যা ফাহিম মাথা পেতে নিতে রাজি।রিয়ার দেওয়া কষ্টও যে ভালোবাসা।।তবুও তো সে তার সাথে কথা বলছে।।এটাই আর কম কিসে??
🌺
রাত দুটো বাজতে চললো অদিতি এখনো লেপটপে মুখ গুজে আছে।তাদের কোম্পানির এবারে প্রোজেক্ট হলো ” মেন্টাল হেল্থ” যার জন্য একজন সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে মিটিং ফিক্সড করা হয়েছে।আর সেই মিটিংয়ের সব প্রেজেন্টেশনের দ্বায়িত্ব অদিতির।।তাইতো বাধ্য হয়ে মাঝরাতেও মুখ গুজে রেখেছে লেপটপে।প্রায় সাড়ে চারটায় কাজ শেস হলো তার।।সবকিছু গুছিয়ে পাঁচটার দিকে ঘুমোতে গেলো সে।ঘুম থেকে ওঠেই তার মাথায় হাত।৯ঃ৩০ বাজে ১০ঃ০০ টায় মিটিং,,ঢাকার রাস্তায় আধাঘন্টায় অফিসে পৌঁছানো অসম্ভব।। আজ তার চাকরী নট হতে দেরী নেই।।কোনোরকম ড্রেসটা চেঞ্জ করে না খেয়েই রওনা দিলো সে।।অফিসে পৌঁছে দেখে ১০ঃ০৫ বাজে। তারমানে মিটিং শুরু হয়ে গেছে।।ভয়ে হাত-পা কাঁপছে তার,, তবু দোয়া-দরুদ পড়ে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো সে।।ভেতরে ঢুকেই স্যারকে সরি বলে কাজে লেগে গেলো সে।।স্যার গরম চোখে তাকালেও তেমন কিছু বললেন না।।অদিতি সব রেডি করে সামনে তাকাতেই দেখতে পেলো এক জোড়া চোখ তার দিকেই তাকিয়ে আছে একদৃষ্টে।। লোকটিকে দেখে অদিতি রীতিমতো অবাক….আয়ান???মিটিং শেষে ডিসিশান নেওয়া হলো ঢাকার বাইরের চাইল্ড হোমে একটা সার্ভে করা হবে শিশুদের মেন্টাল ডেভেলপের উপর।আর সেখানে আয়ানকে হেল্প করবে অদিতি।।আয়ান সবটা সময়ই অদিতির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলেছে যা অদিতির জন্য একটা বিরক্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।তার উপর স্যারের এই ডিসিশান।।উফফফ,,এই ফাউলটাকে কেমন করে টলারেট করবে অদিতি??

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here