অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)part:6

অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)part:6
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤



এই সমস্যাটা কি আপনার??এভাবে দাঁত কেলাচ্ছেন কেন?আপনার এই ত্যারাব্যাকা দাঁত কি কেউ দেখতে চেয়েছে, যে দেখাচ্ছেন?(ভ্রু কুচঁকে)

আমার এই ত্যারাব্যাকা দাঁতে তো মেয়েরা মিনিটে মিনিটে ফিদা হয়। ইউ নো হোয়াট এই ত্যাড়াব্যাকা দাঁতের হাসিই নাকি তাদের কাছে সো সুইট,,সো হট লাগে,,,(দাঁত কেলিয়ে,,চোখ টিপে)

ওসব আবাল মার্কাদের কাছে হবে সুইট বাট আমার কাছে না….সো মুখ টা অফ করুন।বিরক্ত লাগছে,,

আমার দাঁত, আমার ইচ্ছে তুমি বলার কে??তোমাকে যে দেখতে পেত্নীর মতো ভয়ঙ্কর লাগে তবু তো আমি তোমাকে সহ্য করে চলছি নাকি??তো তুমিও সহ্য করে নাও…..এক্চুয়েলি এই অবস্থায় তোমাকে শুধু পেত্নী না কি যেনো বলে ওটা.??ওহ হ্যা…. শাঁকচুন্নির মতো লাগছে…..

কথাটা বলেই চারপাশ কাঁপিয়ে হুহা করে হেসে উঠলো আয়ান।।অদিতি দাঁতে দাঁত চেপে নিজের রাগ দমন করছে।।সীতাকুণ্ডে আসার পর দু’ঘন্টা না যেতেই অদিতি পা পিছলে ধপ করে গিয়ে পড়ে পানিতে ।।সাথে কোনো কাপড় না আনায় এমন বিধ্বস্ত অবস্থায় বসে থাকতে হচ্ছে তাকে।।গায়ে সাদা জামা, পানিতে ভিজে শরীরের প্রতিটা ভাঁজ যেনো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।। ওড়না দিয়ে নিজেকে ঢাকার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে সেই কখন থেকে,, কি ভয়ানক অস্বস্তি কাজ করছে তার মাঝে আর এইদিকে আয়ান দাঁত কেলিয়ে হাসছে।।অসভ্য ছেলে…

আচ্ছা আপনি কি জানেন?মানবিক দিক দিয়ে চিন্তা করলে আপনি চরম অমানবিক একজন মানুষ??(বিরক্তি নিয়ে)

নাহ…এটা তো জানা ছিলো না।তবে এখন জানলাম।আর কারণটা বললে ধারনাটা আরো পরিষ্কার হতো…..তো আপনার এই মতবাদের কারন??(ভ্রু নাচিয়ে)

একটা মেয়ে পানিতে পড়ে গিয়েছে তাকে না তুলে একে তো এখানে হাত গুটিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারওপর এখন তাকে নিয়ে হাসছেন??হাউ চিপ।

ওহ…লিসেন।।আমি…

আমাকে বলতেন আপু..খুব আলতো হাতে পানি থেকে উঠিয়ে আনতাম আপনাকে।।আমি আবার সুইমিং চ্যাম্পিয়ন(দাঁত কেলিয়ে)

আয়ানের কথার মাঝপথেই অদিতির অপজিট সাইট থেকে কেউ একজন কথাটা বলে উঠলো।।কথাটা শুনে অদিতি ফিরে তাকালো,, সাথে আয়ানও মাথাটা হালকা হেলিয়ে উঁকি দিলো কৌতূহল নিয়ে,,, মানুষটা আসলে কে??।।একটা গাট্টাগোট্টা টাইপ ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।তার বেশভূষায় বলে দিচ্ছে সে বখাটে টাইপ ছেলে সাথে দুটো চেলাও আছে তারাও হলুদ দাঁতগুলো বের করে ক্রমাগত হাঁসছে।।এদের দেখে অদিতি যেনো নিজেকে আরো গুটিয়ে নিলো।ছেলেগুলো বারবার তার শরীরের দিকে তাকাচ্ছে,, এবং খুব বিশ্রীভাবেই তাকাচ্ছে।।ব্যাপারটা আয়ান বুঝতে পেরে মুচকি হেসে ছেলেগুলোর পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।।এমনভাবে কাঁধে হাত রাখলো যেন কতো পুরোনো বন্ধু তারা।অদিতির প্রচুর রাগ লাগছে,, আয়ানের উচিত ছেলেগুলোকে ইচ্ছেমতো পেদানো কিন্তু তা না করে সে তো তাদের সাথে খুশগল্পে মেতে উঠেছে।।যত্তসব….

তো ভাই,,,এই এলাকার নাকি??দেখে খাটি মানুষ বলে মনে হচ্ছে….(মুচকি হেসে)

ওই আরকি…আমি এই পাশের এলাকার…ঘুরতে আসছি ।।তা আপনি এখানকার নাকি??চেহারা ছবি তো অন্য কথা বলে…(সন্দেহের দৃষ্টিতে)

আরেহ ভাই,,চেহারা ছবি দিয়ে কি হবে বলুন।।।আপনার মতো বুকের পাটা আছে নাকি আমার??সুইমিং এ চ্যাম্পিয়ন ভাবা যায়??

হ,,তয় সবাই পায় না।।আমি একটু ডিফারেন্ট তো তাই আরকি…

তা তো দেখেই বুঝা যাচ্চে….তো লেটস গো আমাদের ও দেখাও তোমার এবিলেটি….

কথাটা বলেই একটা কিক দিয়ে ছেলেটাকে পানিতে ফেলে দিলো আয়ান।।ঘটনার আকস্মিকতায় অদিতি আর হ্যাংলা চেলা দুটো সবাই অবাক।আয়ান এমন কিছু করবে ভাবতে পারে নি অদিতি।।চেলা দুটোও অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আয়ানের দিকে যেনো এ এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।।পানিতে পড়া ছেলেটা কোনো রকম পারের দিকে উঠে আসতেই আয়ান পাশের ছেলেটাকেও দিলো এক ধাক্কা।।ছেলেটাও গিয়ে পড়লো তার বসের উপর….আর আবারো ধপাস করে পানিতে।।অপ্রস্তুত অবস্থায় পানিতে পড়ায় দুই দুইবার পানি খাওয়া হয়ে গেছে তার….অন্য দিকে তার এসিস্ট্যান্ট তার গলা জড়িয়ে ধরে চেঁচাচ্ছে… বেচারা সাঁতার জানে না।। এবার তার বসই যে তার শেষ ভরসা।।অন্য ছেলেটা বিস্ফোরিত চোখে একবার আয়ান তো একবার পানির দিকে তাকাচ্ছে।।ব্যাপারটা তার বোধগম্য হচ্ছে না।।তার বসকে এভাবে নাকানিচুবানি খেতেও দেখে নি আগে।।কিছু ক্ষন আবালের মতো দাঁড়িয়ে থেকে, কিছু একটা ভেবে সে পাড় থেকে হাত বাড়িয়ে দিলো,,তার উদ্দেশ্য তাদের টেনে তোলা কিন্তু নিয়তিতে লেখা থাকলে তো??অবশেষে তাকেও আয়ানের লাথি খেয়ে পানিতে পড়তে হলো।।ব্যাপারটাই অদিতি ব্যাপক মজা পেয়েছে এতোক্ষণ হাসি চেপে রাখলেও এবার আর চেপে রাখতে পারলো না।। হুহা করে হেসে উঠলো।।অদিতির হাসিতে যেন একধরনের ঝংকার আছে,,কেমন যেন ছন্দময় হাসি…আপাতত আয়ানের কাছে তাই লাগছে।।অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে সে,,”আশ্চর্য হাসিও কি কথা বলে??” ভাবতে ভাবতেই অদিতির পাশে দাঁড়ালো সে….গায়ের শার্টটা খুলে অদিতির কাঁধে ঝুলিয়ে দিয়েই সামনের দিকে হাঁটা দিলো।এখানে আর দাঁড়িয়ে থাকা চলবে না তার।।মেয়েটা মারাত্মক সুন্দর করে হাসতে পারে।।এই সুন্দরের মায়ায় পড়ে আবেগের কাছে অসহায় হতে চায় না সে।। অদিতিও অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আয়ানের যাওয়ার পথে….একটাবারও পেছন ফিরে তাকালো না ছেলেটা।।”আচ্ছা ছেলেটা কি এভাবে শার্টলেস অবস্থায়ই থাকবে?? ”


প্রচুর সিগারেটের নেশা পেয়েছে ফাহিমের।।সবার সামনে এভাবে সিগারেট খাওয়াটা বেশ বেমানান তাই হাটা ধরলো ঝরনা থেকে একটু দূরে উত্তরের দিকে।।কিছুটা দূর যেতেই ওর চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়ে এলো,,তার থেকে একটু দূরেই ঝরনার বয়ে চলা পানির ধারে একটা মেয়ে বসে আছে,,,মেয়েটার লম্বা চুল পানির উপর ভাসছে,,নীল আচলের একাংশও যোগ হয়েছে চুলগুলোর সাথে কিন্তু মেয়েটির সেদিকে খেয়ালই নেই,,সে খুব মনোযোগ দিয়ে পানিতে ঝুকে,, নিচের দিকে তাকিয়ে আছে যেনো সেখানে মহা আশ্চর্যের কিছু ঘটে চলেছে আর তাতে সে খুব বিস্মিত ।।ফাহিম কিছুটা বিস্ময় আর কিছুটা কৌতূহল নিয়েই এগিয়ে গেলো।।মেয়েটির হাতের নীল চুরি পানির ঢেউয়ের সাথে মিশে রিনঝিন শব্দ করে চলেছে ক্রমাগত।।শব্দটা যেনো ফাহিমকে টানছে….চুরির শব্দও এতোটা মনোমুগ্ধকর হতে পারে তা হয়তো এই নির্জন জায়গায় এইভাবে না শুনলে,,, অজানায় থেকে যেতো।।ফাহিম হালকা কাঁপা গলায় বলে উঠলো,,”এক্সকিউজ মি?”, সাথে সাথেই মেয়েটি ফিরে তাকালো মুখে মিষ্টি হাসির ঝিলিক।।মেয়েটাকে দেখে ফাহিম বেশ অবাক….মেয়েটা আর কেউ নয় রিয়া!!!বাঁধা চুলগুলো খোলে দেওয়াতেই হয়তো চিনতে পারে নি ফাহিম।।কিন্তু তবুও ফাহিমের চোখে মেয়েটাকে আজ একদম অন্যরকম লাগছে।।চোখে লেপ্টে থাকা কাজল, কপালে ছোট্ট কালো টিপ,,নীল শাড়ি আর ঠোঁটে ঝুলানো রহস্যময় হাসিতে মেয়েটিকে কি অপরূপায় না লাগছে,,,,পিচ্চি নয় সৌন্দর্যের চাদরে মোড়ানো রমনীর মতো লাগছে তাকে।।ফাহিমকে এভাবে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে রিয়ায় বলে উঠলো,,,

আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলি??

………………………….

শুনছেন??বলবো??(সামনে হাত নেড়ে)

হুম,,হুম বলো…(থতমত খেয়ে)

আচ্ছা আমি আপনাকে কি বলে ডাকবো বলুন তো??

মানে?,এটা কেমন প্রশ্ন?

না মানে,,,আমি না খুব কনফিউজড আমি আপনাকে ভাইয়া ডাকবো নাকি স্যার,নাকি…..

নাকি??(ভ্রু কুচঁকে)

কিছু না,,এই দুটোর মধ্যে কোনটা ডাকবো সেটা বলুন….(কোমরে হাত রেখে)

এজ ইউর উইশ,,(মুচকি হেসে),

নো নো,,,আমার উইশে চলছে না।।আপনিই বলে দেন না প্লিজজ প্লিজজ

ফাহিম ব্যাপারটাকে এবোইড করে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে উঠলো,,,কি দেখছিলে ওভাবে??

পানি

পানি ওভাবে দেখতে হয়?? এখানে দাঁড়িয়েও তো দেখা যায়,,,চুল,, শাড়ি সবই তো ভিজিয়ে ফেলেছো।।

ব্যাপার না,,তবে ওভাবে দেখার অন্যরকম মজা আছে।।দেখবেন??(কৌতূহলী হয়ে)

হুম দেখলে খারাপ হয় না….তবে আমি প্যান্ট শার্ট ভিজাতে পারবো না।।

লাগবেও না চলুন।।

দুজনেই পানির পাশে বসে আছে স্রোতের উল্টো দিকে, রিয়ার কথামতো হাত নাড়ছে ফাহিম,,, রিয়া তাতে বেশ মজা পাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে,,চোখ বন্ধ করে মন ভরে শুনছে পানির কুলকুল ধ্বনি আর ফাহিম মুগ্ধ হয়ে দেখছে এই পিচ্চি মেয়েটাকে।।কি অসম্ভব মায়ায় জড়ানো মুখ।।কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে রিয়াকে না বলেই উঠে গেলো ফাহিম।।হাতে সিগারেট নিয়ে মুখে দিতে গিয়েও নামিয়ে নিলো,, সিগারেটের তৃষ্ণা টাও যেনো মরে গেছে এই মুহূর্তে।। সিগারেটটা দূরে ছুঁড়ে ফেলে হাঁটা দিলো উল্টোপথে।।জানে না কোথায় যাচ্ছে তবে এটা জানে এখানে থাকা যাবে না কিছুতেই,,,মেয়েদের সৌন্দর্য প্রকৃতির এতোটা কাছ থেকে দেখতে নেই।।তাদের ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য এই সময়টায় চোখে পড়ে যায় খুব মারাত্মক ভাবে,,,খুবই মারাত্মকভাবে।।আর ফাহিম তাতে ঘায়েল হতে চায় না, বিন্দু মাত্রও না।।


গাড়ি থেকে দূরে একটা মাদুরে বসে আছে সাদিয়া-রিয়াদ।।সবাই ঘুরতে গেলেও তারা যায় নি।।বাবুকে নিয়ে এতো ঘুরাফেরা করাটা রিয়াদের ভালো লাগছে না।।তাই এখানেই বসে আছে ।।সাদিয়া কৌতূহলী দৃষ্টিতে চারদিকে তাকাচ্ছে,,,, এর আগেও কতোবার এখানে এসেছে সে তবু যেন তার কৌতূহলের সীমা নেই।। রিয়াদও তাকিয়ে আছে মুগ্ধ দৃষ্টিতে,,তবে সাদিয়ার মতো তার চোখ চারদিকে ঘুরছে না।।রিয়াদের চোখ সাদিয়ার মুখে স্থির।।সাদিয়ার সামনে প্রকৃতির সব সৌন্দর্যই ফিকে লাগছে তার।।

রিদ?একটা দারুন বিষয় খেয়াল করেছো??

কি??

এই জায়গাটাই এর আগেও এসেছি কতোবার।তবু আজ যেনো কেমন নতুন লাগছে,তাই না??

হুম,,,কারণ আজ আমাদের সাথে আমাদের প্রিন্সেসটাও যে আছে।।আমি অনেক লাকি,,,আজ মনে হচ্ছে আল্লাহ সব সুখ দিয়ে আমার সুখের ঝুলিটাকে পরিপূর্ণ করে ভরে দিয়েছে।।এই জীবনে সব পাওয়া হয়ে গেছে আমার…

কথাটা বলেই সাদিয়াকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়ে ভালোবাসার পরশে ভরিয়ে দিলো তার কপাল।।কিন্তু তাতে তাদের প্রিন্সেসের মন ভরলো বলে মনে হচ্ছে না,,সে গলা ছেড়ে চেঁচিয়ে উঠলো।।সাথে সাথেই মুচকি হেসে বাবুকে কোলে তুলে নিলো রিয়াদ,,, বাবুর মুখটা ভরিয়ে দিলো ছোট্ট ছোট্ট ভালোবাসায়,,আর পিচ্চিটাও বাবার ভালোবাসায় একদম চুপ।।ব্যপারটায় সাদিয়া-রিয়াদ দুজনেই অবাক,, চোখ বড় বড় করে দুজন দুজনের দিকে একনজর তাকিয়েই হেসে উঠলো,,

দেখছো সাদিয়া,,তোমার মেয়ে তোমার মতোই হয়েছে আদর পেলেই চুপপ,,,হাহাহাহা

হিহিহিহি….দেখতে হবে না কার মেয়ে??

আচ্ছা ওর নাম কি রাখা যায় বলো তো??কিছু তো চিন্তায় করি নি…কাল তো ওর আকিকা,,,তুমি কিছু ভেবেছো?

আদ্রিতা…

মানে?

বাবুর নাম আদ্রিতা রাখলে কেমন হয়??অদিতি থেকে আদ্রিতা,সুন্দর না??

রিয়াদ অবাক চোখে তাকিয়ে আছে সাদিয়ার দিকে।।রিয়াদকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে,, সাদিয়াও ফিরে তাকালো…করুন কন্ঠে বলে উঠলো…”তোমার পছন্দ হয় নি?”।।রিয়াদ মুচকি হেসে সাদিয়াকে বুকে টেনে নিলো, শক্ত করে জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে “খুব পছন্দ হয়েছে।আমাদের বাবুর নাম হবে সাবিহা জাহান আদ্রিতা।।সাদিয়া থেকে সাবিহা আর অদিতি থেকে আদ্রিতা।।মা আর খালামনির নাম মিলে হবে আমার মেয়ের নাম,,প্রিন্সেস?এবার খুশি তো??।।”

আর তুমি??(মুখ গোমরা করে)

আমার সাথে মিলাতে হলে তো আরেকজন আনতে হবে।।রাজি থাকলে বলো।।আমি কিন্তু এক পায়ে রাজি….(বাঁকা হাসি দিয়ে)

ধেৎ,, ওলওয়েজ মজা,,,(লজ্জা রাঙা হাসি দিয়ে)

#চলবে❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here