অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)part:9

#অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)part:9
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤



ঘুমের মাঝেও ফাহিম বেশ বুঝতে পারছে কেউ তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে??শরীরটা ঘুমিয়ে পড়লেও মস্তিষ্ক সজাগ,,কে হতে পারে সে?কোনো চোর??না না চোর কেন হবে?কোনো চোর নিশ্চয় চুরি করা বাদ দিয়ে তার দিকে প্রেম প্রেম নজরে তাকিয়ে থাকবে না।।তাহলে কে??রহস্য উদঘাটনের জন্য চরম বিরক্তি নিয়েও ঘুম ঘুম চোখ দুটো মেলে তাকালো ফাহিম।।সাথে সাথে চোখে পড়লো একজোড়া মায়া মাখানো চোখ।।ঘুমের ঘোরে দুই মিনিট তাকিয়ে থেকে ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই ঝট করে উঠে বসলো সে।।একি রিয়া???তাড়াতাড়ি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে নিলো কটা বাজে,,সকাল হয়ে যায় নি তো?নাহ, সকাল হয় নি ২ঃ৩৫ বাজে।তাহলে এতো রাতে রিয়া এখানে কেনো??হঠাৎই বাড়ি ভড়তি মানুষের কথা মনে পড়ে বিদ্যুৎ বেগে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালো সে।রাগে শরীর পুড়ে যাচ্ছে তার,,এই মেয়েটার বুদ্ধি শুদ্ধি নেই নাকি??এতো রাতে একটা ছেলের রুমে এভাবে কেউ বসে থাকে নাকি??কেউ দেখে নিলে কি হবে?উফফ,,আর ভাবতে পারছে না ফাহিম।কপালের রগ ফুলে উঠছে ক্রমাগত।।রাগ দমন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ধমকে উঠলো সে…..

এই পিচ্চি?এখানে কি করছো??তাও এতো রাতে?এখানে নিশ্চয় তারা নেই যে বসে বসে দেখছিলে?

তারা না থাক আপনি তো আছেন..(মাথা নিচু করে বিরবির করে)

এই মেয়ে কি বিরবির করছো??যা বলার স্পষ্ট করে বলো, কি করছিলে এখানে??(রাগী চোখে)

আপনাকে দেখছিলাম।(মাথা নিচু করে)

হোয়াট???মাঝরাতে ফাজলামো করতে আসছো আমার সাথে??দেখো আমাকে আর রাগিয়ো না,,জাস্ট গো আউট ফ্রম হেয়ার।

আসলে,,,

যেতে বলেছি তোমায়,,

আপনার সাথে কথা ছিলো..

পাগল মনে হয় তোমার আমাকে??এতো রাতে কথা বলতে আসছো তুমি ??কি এমন কথা যে এতো রাতে একটা ছেলের রুম পর্যন্ত টেনে নিয়ে এলো তোমায়??মাথায় কি বুদ্ধিশুদ্ধি কিছু নেই?অনার্সে পড়ো তবু এসব বাচ্চামো স্বভাব আসে কোথা থেকে?বাড়ি ভরতি গেষ্ট কেউ তোমাকে আমার রুমে দেখে ফেললে কি হবে জানো??ইচ্ছে করছে কষে দুই গালে দুটো চড় বসিয়ে দিই।।বেয়াদপ মেয়ে!!গো নাও (চিৎকার করে)

ফাহিমের চিৎকারে রিয়া ভয়ে রীতিমতো কাপঁছে।।এ জীবনে বকা সে খুব কমই খেয়েছে।।মা বকলেও ভাইয়া সবসময় বাঁচিয়েই নিতো তাকে।।তার ইচ্ছে করছে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে বাট এটা মোটেও কান্না করার উপযুক্ত সময় নয়।তাই চুপ করে মাথা নিচু করে ধীর গলায় বলে উঠলো সে….”কথা ছিলো, বললাম তো।না বলে যাবো না”

রিয়া??যাও বলছি..আমাকে রা…

কথাটা কমপ্লিট করতে পারলো না ফাহিম। ফাহিমের কথার মাঝপথেই বলে উঠলো রিয়া,,,”আই লাভ ইউ” কথাটা শুনেই থমকে গেলো ফাহিম।রিয়া এমন কিছু বলবে তা সে নিজের কল্পনাতেও ভাবে নি।।ফাহিম বুঝতে পারছে না এই পিচ্চি মেয়েটার উপর রাগ করবে নাকি হাসবে।।নিজেকে সামলে নিয়ে বলে উঠলো,,,

ভুলে যেয়ো না আমি তোমার স্যার…সো গেট আউট ফ্রম হেয়ার।।

কিন্তু,,

নট আ সিংগেল ওয়ার্ড।জাস্ট গো..(দাঁতে দাঁত চেপে)

রিয়া এবার আর দাঁড়ালো না।নাক মুখ ফুলিয়ে বেরিয়ে এলো রুম থেকে।ফাহিম যে প্রচন্ড পরিমান রেগে আছে তা রিয়া বেশ বুঝতে পারছে তারমানে সে রিয়াকে মোটেও ভালোবাসে না।রিয়ার এই মুহূর্তে ছাঁদ থেকে লাফিয়ে মরে যেতে ইচ্ছে করছে।।খুব খুব বেশি কান্না পাচ্ছে তার।।সে কি সুন্দর না??ওর বান্ধুবীরা তো বলে ও খুব সুন্দরী,,ফুপ্পিরাও তাই বলে তাহলে ফাহিম ওকে পছন্দ করে না কেন??


ড্রয়িং রুমে বসে আছে সবাই রিয়ার হবু বর সাজিদ আহমেদ ও তার পরিবার এসেছে রিয়াকে দেখতে।তাদের ঠিক সামনের সোফায়ই রিয়া সং সেজে বসে আছে।রিয়াদেরও মুখ গোমরা,,মায়ের আকুতির সামনে শেষ পর্যন্ত হার স্বীকার করতে হয়েছে তাকে।।সাদিয়া আর নাদিয়া মেহমানদের খাবার নিয়ে ব্যস্ত।।ফাহিম আর ফারহান মেহমানদের সাথে গল্পে মেতে উঠেছে।এদিকে যে কেউ চোখে রাগের আগুন জ্বালিয়ে ফাহিমের দিকে তাকিয়ে আছে সেদিকে খেয়াল নেই তার।।অদিতি-আয়ানকে পাঠানো হয়েছে ” আফরোজ কোম্পানি লিমিটেড ” এ ওটা রিয়ার শশুড়ের কোম্পানি।রিয়ার পরিবারের সবাই-ই পরিচিত তাদের কাছে শুধু অদিতি-আয়ান ছাড়া তাই রিয়াদের মা তাদেরই পাঠিয়েছে খোঁজ নেওয়ার জন্য যে,তারা নিজেদের যেমনটা সো করে আচার ব্যবহার তেমনটাই নাকি সবই মেকি।একমাত্র মেয়েকে যাচাই না করে বিয়ে দিতে চান না তিনি।তাই আয়ান – অদিতিকে নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই একে অপরের সাথে যেতে রাজি হতে হয়েছে।।

আপা?আমার মনে হয় ওদের দুজনকে একটু একা কথা বলতে দেওয়া প্রয়োজন।নিজেদের সম্পর্কে জানা তো উচিত..

জি অবশ্যই।রিয়া মামনি যাও সাজিদ কে নিয়ে ছাদে যাও।

রিয়ার কোনো চলনসই না দেখে রিয়াদের মা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থেকে গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন,,”কি হলো যাও”। মায়ের এই গলার অর্থ সে জানে তাই চুপচাপ বাধ্য মেয়ের মতো উঠে গেলো আর সাজিদ তার পিছে ।।রিয়ার ইচ্ছে হচ্ছে ফাহিম আর সাজিদ এই দুটোকেই ছাদ থেকে ফেলে খুন করে ফেলতে।।

আপনার নাম রিয়া তাই তো?(মুচকি হেসে)

কেন? আপনার সন্দেহ আছে?

না সন্দেহ থাকবে কেন?এনিওয়ে আপনি আমার নাম জানেন?

জি নট,,আর জানার কোনো ইচ্ছেও নেই।আমি অপ্রয়োজনীয় বস্তু সম্পর্কে জানতে আগ্রহ দেখায় না।।(বিরক্তি নিয়ে)

আমার নামটা আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয়??

জি আপাতত অপ্রয়োজনীয়।

সমস্যা নেই বিয়ের পর না হয় আপনার প্রয়োজনীয়তা হবো।(মুচকি হেসে)

আমার সম্পর্কে আপনার আর কিছু জানার নেই??যেমন আমি কেমন মেয়ে?(সাজিদ ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই)না মানে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কি না।কারো সাথে এফেয়ার চলছে কি না।।পরে দেখা গেলো বিয়ের রাতে পালিয়ে গেলাম।।

তা ঠিক।তো আপনার বয়ফ্রেন্ড আছে?(মুচকি হেসে)

হুম আছে তো একটা নয় দশ দশটা।বাট এগারো নাম্বারটা নিয়ে আমি সিরিয়াস।।আই মেডলি লাভ উইথ হিম, সু্যোগ পেলেই ওর সাথে পালিয়ে যাবো।।

ও আচ্ছা।

শুধু “ও আচ্ছা “??আপনার মনে হচ্ছে না আমি ক্যারেক্টারলেস এন্ড ডেঞ্জারাস??

না মনে হচ্ছে না,,প্রথমত আপনার কথায় আমি আরো সিউর হলাম আপনার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই যদিও বয়ফ্রেন্ড থাকলেও আমার কোনো প্রবলেম ছিলো না এখন এসব কমন।।আমি ম্যানেজ করে নিবো।।সেকেন্ডলি আপনার মা আগেই বলে দিয়েছিলো আপনি এমন কিছুই বলবেন আমাকে।।হা হা হা হা

রিয়ার এখন ঠিক কি করতে ইচ্ছে করছে তা সে নিজেও বুঝতে পারছে না।।তার মা যে ডেঞ্জারাস মহিলা তা সে জানতো কিন্তু এমন হিটলার তা তার জানা ছিলো না।।

আমার কিন্তু আপনাকে খুব পছন্দ।এই যে মুখ ফুলিয়ে বাচ্চাদের মতো দাঁড়িয়ে আছেন তাতে আজ নতুন করে প্রেমে পড়ে গেলাম বলে মনে হচ্ছে।(মুচকি হেসে)

তোর প্রেমের গোষ্ঠী কিলাই।।আমি বাঁচি না নিজের জ্বালায় আরেকজন আসছে প্রেম দেখাতে অসহ্য(মনে মনে) বাট আমার আপনাকে পছন্দ নয়।(মুখ ফুলিয়ে)

কেন জানতে পারি?আমার জানা মতে আমি যথেষ্ট স্মার্ট এন্ড ইয়াং।

এটাই সমস্যা।। আমার ইয়াং ছেলে নয় বুইড়া ছেলে পছন্দ।আর আপনি স্মার্ট বাট ভাইরাসের মতো না।।সো আপনাকে আমি বিয়ে করবো না।।আমি ভাইরাসকে বিয়ে করবো(মুখ কালো করে)

ভাইরাস?? এটা আবার কি জিনিস?(অবাক হয়ে)

কি জিনিস মানে??মাই ক্রাশ,,বাট হি ডাজেন্ট লাভ মি,,ইভেন হি ডোন্ট লাইক মি।।

ও আচ্ছা।।

আবার ” ও আচ্ছা ” বলছেন??আপনার সিমপিথি হচ্ছে না আমার জন্য?(রাগী সুরে)

হ্যা।খুব সিমপিথি হচ্ছে…এবার যাওয়া যাক??(মুচকি হেসে)

হুহ।

কথাটা বলেই রিয়া গটগট করে নামতে লাগলো।।এই লোকটা অলওয়েজ হাসে কেন??অন্যসব রিয়েক্ট কি ডিজেবল নাকি??বুঝি না বাপু।।তবে হাসি টা কিউট।।



এই এই আমাকে রেখে চলে যাচ্ছেন কেন??(দৌঁড়ে আয়ানের পাশে দাঁড়িয়ে)

তো তোমাকে কি আমি কোলে নিয়ে হাঁটবো?

আজিব।।তাই বলেছি নাকি??আমি আপনার সাথে আসছি সো আম ইউর রেসপন্সিবিলিটি।।

হুহ,,এভাবে মেহেদী পায়ে দিয়ে হাঁটলে তোমাকে এখানে রেখে যাওয়া ছাড়া আমার কাছে অন্যকোনো অপশন নেই আন্ডারস্ট্যান্ড??

এহহহ ভাব।।তা এতো দৌড়াচ্ছেনই বা কেনো??বউ পালিয়ে যাচ্ছে নাকি?(মুখ ভেঙিয়ে)

শাট আপ,,,আশেপাশে দেখো না সবাই কিভাবে তাকিয়ে আছে,,ইউ ফুল…(রাগী চোখে) এরা এতো স্টুপিড কেন?আমি কি এলিয়েন নাকি?এভাবে দেখার কি আছে?

অদিতি এবার খেয়াল করে দেখলো সত্যই তাই বেশ কিছু মেয়েরা উনার দিকে “হা” করে তাকিয়ে আছে।।আজিব,, এভাবে তাকিয়ে থাকার কি আছে?অদিতি মেয়েগুলোর দিকে তাকিয়ে হাঁটতে গিয়ে কারো সাথে ধাক্কা খেয়েই তাড়াতাড়ি ফিরে তাকালো,,আয়ান রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।।

কি সমস্যা??তুমিও কি ওইসব মেয়েদের মতো হ্যাং মারছো নাকি??

না..মানে..

শাট আপ,,তুমি রিসেপশনে কথা বলো,,আমি একটা কল করে আসছি।।

অদিতি “ওকে” বলার আগেই আয়ান ওখান থেকে চলে গেলো।।আরে,,,অদিতি তার চাকর নাকি??ফাজিল ছেলে অর্ডার দিয়েই হাওয়া..কি আর করা?অদিতি অনিচ্ছা সত্ত্বেও রিসেপশনের দিকে হাঁটা দিলো…

এক্সকিউজ মি?

ইয়েস মেম,,হাউ কেন আই হেল্প ইউ?

সাদিক আহমেদ আছেন অফিসে?

ইয়েস মেম,, বাট হি ইজ বিজি নাও।।আপনার কাছে এপয়েন্টমেন্ট আছে??

না বাট আমার খুব দরকার ছিলো।।প্লিজ একটু দেখা করা যাবে??

নো মেম।আপনাকে ওয়েট করতে হবে

বাট আ…

হ্যালো বিউটিফুল??

অদিতিকে থামিয়ে দিয়ে পেছনে থেকে আয়ান কিলার স্মাইল দিয়ে এগিয়ে এলো…

হ্যালো স্যার??(ফ্রিজড হয়ে)

কেন আই গো ইন সাইড বেবি?

এক্চুয়েলি স্যার ইজ বিজি নাও,,(মোহিত চোখে তাকিয়ে)

বাট আই নো,,ইফ ইউ ওয়ান্ট, আই কেন গো ইনসাইড…

আয়ান তেডি স্মাইল দিয়ে মেয়েটির হাত ধরতেই মেয়েটি গলে জল।।অদিতির কাছে মনে হচ্ছে এই মেয়ে যেকোনো টাইম সেন্সলেস হয়ে পড়ে যাবে।আজব তো,,এই ছেলের মধ্যে কি এমন আছে যে সবাই টাশকি লেগে যাচ্ছে??তবে দেখতে হট বাট লুচু,,হুহ।

সো প্লিজজজ বেববি…

ইয়াহ অফ কোর্স।।ইউ কেন গো…(বোকা হাসি দিয়ে)

থেংকিউ বেবি(চোখ টিপে)

থেংকিউ,,ওহ সরি ওয়েলকাম(😍😍)


তো বাবা কথা হলো রিয়ার সাথে??

জি আন্টি..(লাজুক হাসি দিয়ে)

তো তোমার কি মত বাবা?রিয়াকে তোমার পছন্দ হয়েছে??(কৌতূহলী চোখে)

জ্বী আন্টি।।আমার উনাকে পছন্দ হয়েছে।।তবে একটা রিকুয়েষ্ট ছিলো,,

কি রিকুয়েষ্ট বাবা?

বিয়েটা এই সপ্তাহে হয়ে গেলেই বেশি ভালো হতো।।এক্চুয়েলি আমি তাই চাই।

এই সপ্তাহেই?(অবাক হয়ে)এতো তাড়াহুড়ো কেন??

এক্চুয়েলি উনি বলেছেন উনি ভাইরাস নামক কাউকে ভালোবাসেন।।সো আমি কোনো রিস্ক নিতে চাই না আন্টি।

ফাহিম চা খাচ্ছিলো,, ভাইরাস নামটা শুনেই বিষম খেলো।।

ফাহিম ভাই কি হলো?ঠিক আছেন??

হ্যা,,হ্যা ঠিক আছি।।এক্চুয়েলি ভাইরাস নামটা একটু অদ্ভুত কি না।তাই আর কি(হাসার চেষ্টা করে)আয়ানের কথায় ঠিক।মেয়েটার সত্যিই সমস্যা আছে।।আচ্ছা আমার কি চলে যাওয়া উচিত??তাহলে কি এই পিচ্চির মাথা থেকে এসব বেরিয়ে যাবে??আয়ানের সাথে কথা বলতে হবে।।(মনে মনে)

অবশেষে পরশো শুক্রবারে রিয়ার বিয়ের ডেট ঠিক করা হলো শুধু কাবিন করে রাখা হবে।।পরে সময় করে রিসেপশন।।কথাটা শুনেই রিয়ার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।।এতো তাড়াতাড়ি?? নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে তার।।ফাহিম ওকে ভালোবাসলেও একটা কথা ছিলো,, একদিকে আপাতত চিন্তা মুক্ত থাকতে পারতো ।।কিন্তু ফাহিমের তো কোনো পাত্তায় নেই…কি করবে এখন সে??


হসপিটালের করিডোরে বসে আছে অদিতি।।হসপিটাল জিনিসটা কোনো কালেই ভালো লাগের বস্তু নয় তাই আজও যে ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক।।হসপিটাল নামক জায়গায় আসলেই অদিতির নিজেকে কেমন অসুস্থ অসুস্থ লাগে।।তবু আয়ানের পাল্লায় পড়ে আজ তাকে হসপিটালে আসতে হলো।তারউপর একঘন্টা যাবৎ বসপ আছে আয়ানের কোনো পাত্তায় নেই,,ইডিয়ট।।অদিতি যে এই মুহূর্তে চরম রকম বিরক্ত তা তার চোখ মুখে স্পষ্ট হঠাৎ করেই কোথা থেকে আয়ান এসে হাজির সাথে একজন বয়স্ক লোক।।অদিতি কিছু বলতে যাবে তার আগেই আয়ান লোকটিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,,

মিষ্টার খান?মিট উইথ মাই ওয়াইফ অদিতি চৌধুরী।।অদিতি উনি মিষ্টার খান।।কি হলো বসে আছো কেন সালাম করো।।(জোরপূর্বক একটা হাসি দিয়ে)

আয়ানের কথা শুনে অদিতি চরম অবাক।।এই পোলায় কই কি??

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here