এবং_তুমি শেষ পর্ব

0
2533

গল্প— #এবং_তুমি❤️
লেখিকা— #সোনালী_আহমেদ
শেষ পর্ব

২৬.

বাবার বিয়ের পরের দিনেই আমি চলে আসি শশুড়বাড়ীতে। সেদিনের পর থেকে কম চেষ্টা করি নি ইশানের কাছে আসার। কিন্তু সে কখনো আমাকে সফল হতে দিতো না। অগত্যা নিজেই ঝগড়া-ঝাটি করতাম। তিনি কখনো জবাব দিতো না, শুধু শুনে যেতো। রাগারাগি করে খাবার খেতাম না। সে জোর করে খাওয়াতো।আমি বমি করে দিতাম, সে তখন আবার খাওয়াতো। আমি খুবই উত্তোজিত হয়ে যেতাম।নানারকম আজেবাজে কথা বলতাম, সে কিচ্ছু বলতো না। তার কথা ছিলো, যা ইচ্ছা করি, তবুও যেনো আমি শান্ত থাকি। কিন্তু এমনটা আমি হতে দিলাম না। নানা পরিকল্পনা করলাম। সফল হলাম না। অবশেষে একদিন কাঙ্ক্ষিত প্ল্যানে সফল হয়েই গেলাম। সেদিনের তারিখ আজো স্পষ্ট মনে রয়েছে। ২৭.৩.২০১৭ তারিখ সোমবার ছিলো। দিনটি কখনো ভুলবার ছিলো না। আমার জীবনের এক মধুময় জীবন্ত স্মৃতি। যা আজোও আমার চোখে স্পষ্ট। খুব ভোরেই বাড়ী থেকে বের হয়েছিলাম। অনেক ভোগান্তির পর সেই দিনের বাড়ীর সন্ধান খুঁজে পেয়েছিলাম। এটা ইশান তৈরী করেছিলো। সে যখন প্রথম লন্ডনে ছিলো, তখন ই এ বাড়ীটি বানিয়েছিলো। একদম লন্ডনের ঘর-বাড়ীর মতো। ঝড়-বৃষ্টিতে যতটা না সুন্দর দেখিয়েছিলো, ঝলমলো রোদে তার দ্বিগুণ সুন্দর দেখাচ্ছিলো। আমি আবারো মুগ্ধ হলাম। প্রগাঢ় দৃষ্টিতে চোখ মেলে দেখতেই থাকলাম। দীর্ঘ সময় পর আমার অবাকের ঘোর কেটে গিয়েছিলো, ইশানের কথা মনে পড়ায়। মনে পড়ে গেলো কেনো আমি এখানে এসেছি। বেডরুমের বিছানা আমি পূর্ণরুপে সাজালাম। সবকিছু খেটেখুটে তৈরী করলাম। ইশান যখন এখানে এসেছিলেন তখন সে সম্পূর্ণ অবাক ছিলো। সে রাগী রাগী গলায় বললো,

—‘হোয়াট ইজ দিস প্রভাতি? সারাদিন ফোন নেই,খবর নেই। বিজি, বিজি বলে সন্ধ্যা সাত টা পর্যন্ত তুমি আমার সাথে লুকোচুরি খেলেছো। আর কিছুক্ষণ আগে ফোন দিয়ে বলছো আমি যেনো এখানে আসি? তোমার কোনো কমনসেনস নেই? এই জনমানবশূন্য স্থানে তুমি একা একা? সিরিয়াসলি?’

ইশান আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। বলা হলো না। চারপাশে তাকিয়ে থমকে রইলেন। অবাক হয়ে বললেন,

—এসব কি? আর তুমি এত সেজোছো কেনো? এই তোমাকে না বলেছি লাল লিপিস্টিক দিবা না। এসব দিলে…

— শালিক পাখির পু** এর মতো লাগে। তাই তো? আমি জানি।বারবার বলতে হবে না।

ইশান থেমে গেলেন। সে এতক্ষণ ভয়ংকর রেগে থাকলেও এখন ভয়ংকর ভয় পাচ্ছেন। আমার উদ্দেশ্য বুঝে গিয়েছিলেন হয়তো।

—চলে,বাড়ী চলো।

আমি পাত্তাই দিলাম না। জোরপূর্বক তাকে নিয়ে খেতে বসলাম। আমি নিজ হাতে ছোট মাছ রান্না করেছি। আমার শাশুড়ি দেখিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বিকাল পর্যন্ত আমার সাথেই ছিলেন। সে জানতো আমি তার ছেলে কে সারপ্রাইজ দিবো। তিনি বারণ করেন নি উল্টো খুশি হয়েছিলেন। প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,’ তুমি আমার ছেলের এত কেয়ার করবে, আমি কখন চিন্তা ই করি নি।’
যাবার সময় ফুফু আর দাদীমার সাথে কথা বলিয়ে দিলেন। সবাই আমাকে নিয়ে খুব খুশি ছিলো। কারন সবাই জানতো, অপরেশনের পর থেকে ইশান আমার সাথে কথাবার্তা বলে না। আমি তাকে আমার এত বড় সমস্যার কথা জানাই নি কেনো- সে নিয়ে ছিলো তার বিশাল রাগ। খাবার শেষ করে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। ইশানের গা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিলো। সে বারবার বলছিলো চলে যাবার জন্য। কিন্তু আমি গায়ে মাখলাম না। তখন তার
আমার দিকে তাকানোর বা আমাকে ছোঁয়ার বিন্দুমাত্র সাহস হচ্ছিলো না। আমার কাজ আরো সহজ হয়ে গিয়েছিলো। সে ভালো করেই বুঝেছিলো আজ সে আমাকে ফিরাতে পারবে না। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে তক্তা স্বামীর কাছে যেতে পেরেছিলাম। ইশান ধীরে ধীরে অনেক স্বাভাবিক হয়েছিলেন। সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম হয়ে গিয়েছিলো তার। আমার হাত স্পর্শ করতেও তার নানারকম অসুবিধা হতো। সেদিনের পর ধীরে ধীরে তার ভয় দূর হয়েছিলো। আমরা সাধারন স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেলাম। আল্লাহর রহমতে এখনো একসাথেই রয়েছি। এ পর্যন্তই ছিলো আমার বিবাহের পূর্বের সুখ-দুঃখের গল্প। আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ দর্শক শ্রোতা, ধন্যবাদ এবং তুমি কর্তীপক্ষ।

–*

প্রভাতি থামলো। ক্যামেরা বন্ধ করা হলো। সে পানি খেতে চাইলো। দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে বলতে তার গলা শুকিয়ে গিয়েছে। মিস সুস্মিতা তাকে পানির গ্লাস এগিয়ে দিলো। উত্তেজনায় তার শরীর কাঁপছে। এত বড় নামকরা একজন ডক্টরের জীবনকাহিনী সে হোস্ট করছে-বিষয়টা তার জন্য বিষ্ময়কর। কোথাও কোনো ভুল করে ফেলছে কি না সেজন্য প্রচন্ড ভয় হচ্ছে। এসির টেম্পারেচার হাই করা। তবুও তার কপাল বেয়ে তরতর করে ঘাম বের হচ্ছে। এতক্ষণ চুপ থাকলেও এই মুহূর্তে সে চুপ থাকতে পারছে না। মন-মষ্তিষ্কে নানান প্রশ্ন জেগে উঠছে।

সুস্মিতা খানিকটা মিইয়ে যাওয়া কন্ঠে বললো,

—ম্যাম, আপনি তো আপনার জীবনের শেষের কাহিনী বললেন না। আই মিন, আপনা…

প্রভাতি তাকে থামিয়ে দিলো। গ্লাস টা রেখে শান্ত কন্ঠে বললো,

—আমি জানি। ইচ্ছে করেই বলি নি। এ বিষয়টা বললে আমার এবং আমার বাচ্চার সমস্যা হবে। সারোগেট মা বাংলাদেশে এখনো বৈধ নয়। তাই আমি এ বিষয়টি সর্বক্ষণ এড়িয়ে যাই। সারোগেট মা, টেস্টটিউব বেবি বুঝেন তো?

সুস্মিতা মাথা নাড়ালো। হড়বড়িয়ে বললো,

—জ্বি,ম্যাম। বুঝি। এক্ষেত্রে বাবা-মা এর শুক্রানু এবং ডিম্বানু টেস্টিটিউবে স্থানান্তর করে ভ্রুন তৈরী করা হয় এবং অন্য মহিলা গর্ভধারন করেন। তখন সন্তান হুবহু বাবা কিংবা মায়ের বৈশিষ্ট্য পেয়ে থাকে। ম্যাম আপনার ছেলেটাকেও একদম আপনার মতো দেখায়। তার ট্যালেন্ট ও একদম আপনার মতো। এজন্যই বোধহয় এত কম বয়সে সে ক্ষুদে আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত। আমার তাকে খুব ভালো লাগে। খুব ইচ্ছা ছিলো দেখা করবার। আপনি নিয়ে আসেন নি কেনো?

প্রভা মাথা নাড়িয়ে বললো,

— ইশমাম আর তার বাবা তো লন্ডনে। আমারও আজ যাবার কথা ছিলো, একচুয়েলী অপারেশনের জন্য যাওয়া হয় নি। অপারেশনের পর যথেষ্ট সময় রয়েছে দেখেই আপনাদের অনুষ্ঠানে চলে আসলাম। অনেকদিন থেকেই আপনারা রিকুয়েস্ট করছিলেন। তাই আজ সুযোগ করেই চলে আসলাম।

সুস্মিতা মাথা নড়ালো।কিছুক্ষণ বাদে মুখ কাচুমাচু করে বললো,

—-একচুয়েলী ম্যাম আপনার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন রয়েছে। এখন তো অফস্ক্রিন, প্লিজ আপনি যদি বলতেন।

প্রভাতি হেসে বললো,

— আচ্ছা বলুন।

সুস্মিতা ঘনঘন শ্বাস ফেললো। নিজেকে ধাতস্থ করে একনাগাড়ে বললো,

—ম্যাম প্রথমত, আপনি ডাক্তার কেনো হলেন আই মিন কীভাবে? দ্বিতীয়ত ইশান স্যার কেনো আপনার বোন কে বিয়ে করতে চেয়েছিলো। তৃতীয়ত আপনার শশুড়বাড়ীর লোকজন কই? উনাদের এখন কী অবস্থা? আপনার বাবা আর আপুর কি খবর? ডক্টর নিধি কই? আর আর..

সুস্মিতা থেমে গেলো। এতক্ষণ সে কত প্রশ্ন ভেবে রেখেছিলো অথচ দেখো এখন কিচ্ছু মনে পড়ছে না। আচ্ছা যা প্রশ্ন করেছে সেগুলো জানতে পারলেই এনাফ। বাকিগুলো সে খোঁজ-খবর নিয়ে জেনে নিবে।

প্রভাতি হেসে ফেললো। হাসতে হাসতে বললো,

— ওকে রিলেক্স। এগুলো বলে নেই। আমার ডক্টর হওয়ার পেছনের কারণ ছিলো ডক্টর নিধি। শুধু তাকে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম স্বামী-সন্তানের সাথে থাকলেও ক্যারিয়ার গড়া যায়। অনেকের চিন্তাধারা এমন যে ক্যারিয়ার চাইলে পরিবার করা যাবে না, পরিবার চাইলে ক্যারিয়ার না। কিন্তু আমি তা ভুল প্রমান করে দিয়েছি। অবশ্যই এর পেছনে আমার স্বামী এবং শশুড়বাড়ীর লোকের শতভাগ সাপোর্ট ছিলো। উনারা না থাকলে কখনোই সম্ভব হতো না। কখনোই না। তাদের সবার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।

পরের প্রশ্ন ইশান কেনো আপুকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো? আমি বলছি, সেটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আপু যখন ইশানের কাছে প্রথম গিয়েছিলো। আমার চাকরীর ব্যাপারে কথা বলতে তখন ইশান প্রথমে বলেছিলো,
—‘ আপনি মিস মাধবি, রাইট? তৃষা আমাকে আপনার কথা বলেছে।

আপু তাচ্ছিল্যের সুরে বলেছিলো,

—‘ আর কিছু বলে নি? বলি নি আমার মা পর-পুরুষের সাথে পালিয়ে গেছে। আমাদের কথা জিজ্ঞেস করলেই তো এটা বলে। আপনি বললেন না যে?’

ইশান চুপ করে ছিলেন। কোনো জবাব দেন নি। কারন আপার ফ্রেন্ড তৃষা সত্যিই এমনটা বলেছিলো। সেদিন আপার প্রতি মায়া জন্মেছিলো ইশানের। এজন্যই আপাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
আর আমার আপা এখন শশুড়বাড়ীতে রয়েছেন। উনার একজন কলিগ উনাকে পছন্দ করতো। কিন্তু তিনি ডিবোর্সি হওয়ায় আপাকে বিয়ের কথা বলতে সাহস পান নি। আপার সাথে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনার অনেকদিন পর তিনি তার পরিবার সহ প্রস্তাব নিয়ে আসেন। আপা রাজি ছিলো না। কিন্তু পরবর্তীতে দুলাভাইয়ের জেদের কাছে হার মেনে রাজি হয়েছেন। দুলাভাই আপাকে অনেক ভালোবাসেন।অনেক!
আমার আপার একটা মেয়েও হয়েছে। নাম মিনি। তার আড়াইবছর বয়স চলছে। কি মিষ্টি মিষ্টি কন্ঠে সে মনি ডাকে। দেখলেই কোলে নিতে ইচ্ছে করে।
আর আমার বাবা নতুন মায়ের সাথেই আছেন। আমি কিন্তু প্রায়শই তাকে আমার সাথে লন্ডনে নিয়ে যাই। কিন্তু তিনি ওখানে থাকতে নারাজ। তাই ছ-মাস না হতেই আবার চলে আসেন।

আরো একটা প্রশ্ন ছিলো আমার শশুড়বাড়ীর সম্পর্কে,তাই না? আমার দাদীমা আর শশুড় বেঁচে নেই। আর বাকিরা বি-দেশে রয়েছেন। শাশুড়িমা আমার সাথেই থাকেন। ইশমাম দাদী ছাড়া কিছুই বুঝে না। তাই আমি আর ইশান কাজে চলে যাবার পর তাকে উনার কাছেই রেখে যাই। দাদী-নাতির বন্ডিং দেখলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। ইশানের মা ইশমাম বলতেই পাগল।

প্রভাতি একটু জিরিয়ে আবারো বললো,

‘আই থিংক, আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে? একটা অনুরোধ ছিলো, রেকর্ডিং এ কিছু সমস্যাজনক বিষয় বলে ফেলেছিলাম, আপনি প্লিজ সেগুলো কেটে দিয়েন।’

 

সুস্মিতা কৃতজ্ঞতার সুরে বললো,

— জ্বি, জ্বি। ধন্যবাদ ম্যাম।

—আচ্ছা,তাহলে উঠি? আজ বিকালের ফ্ল্যাইটে লন্ডনে যেতে হবে। ইশমাম আর ইশান স্যার নিশ্চই এয়্যারপোর্টে অপেক্ষা করবেন। থ্যাংকইউ ফর দিস বিউটিফুল ইন্টারভিউ। আপনাদের জন্যই আজ আমি আবারো সেই পুরানো দিনগুলি অনুভব করেছি। সেই কষ্ট দুঃখ,হাসি কান্না ফিল করেছি। আপনাদের টিমকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাদের “#এবং_তুমি” অনুষ্ঠানে আমার ‘তুমির’ কথা বলতে পেরে আমি সত্যিই ভীষণ আনন্দিত।

সুস্মিতা খুশিতে আটখানা হয়ে বললো,

— আওয়ার প্লেজার ম্যাম।

কুশল বিনিময় করে প্রভা বেরিয়ে পড়লো। তার হাতে এখনো একঘন্টা সময় আছে ফ্ল্যাইটের জন্য। সে চট করে মাধবিকে ফোন দিলো। বোনের মেয়েটার সাথে দেখা করার ইচ্ছা জাগলো। প্রভাতির ইশমামের কথা মনে পড়তেই হেসে ফেললো। ইশমাম মিনি বলতে পাগল। সে প্রতিবার গেলেই বলবে,–‘ mammam! why you don’t bring mini? I want to play with her.’
প্রভাতি তখন নানারকম বাহানা বানায়। ইশমাম কখনো সরাসরি মিনিকে দেখে নি। ফোনেই যতটুকু কথাবার্তা হয়েছে। সারাদিন মিনিকে ফোন দিয়ে তার নানান খেলনা দেখাবে, তার পুরো দিনের কার্যক্রম বলবে। অথচ মিনি একটা শব্দও বুঝে না। কারণ ইশমাম ইংরেজীতে কথা বলে। প্রভাতি আনমনে হেসে পা বাড়ালো। তার ফোন টুংটাং করে উঠলো। ইশান মেসেজ পাঠিয়েছে। ‘ সে অপেক্ষা করছে।’
প্রভাতি রিপ্লাই করলো,’ এত দ্রুত এসেছো কেনো?আর আসার ই বা কি দরকার? কয়েকঘন্টা পরেই তো আমি চলে আসবো। এ কতক্ষণ অপেক্ষা করলে কী এমন কষ্ট হবে?’

ইশান রিপ্লাই দিলো,— ‘ অপেক্ষা সর্বদাই কষ্টের। সেটা ক্ষণিকের হোক বা দীর্ঘসময়ের।’

প্রভাতির হাত থেমে গেলো। এক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো স্ক্রিনের উপর। যেনো কেউ তাকে হিপনোটাইজ করে ফেলেছে। সে উপলব্ধি করছে এত বছরের সংসারে তার প্রতি লোকটার ভালোবাসা একটুও কমে না। বরং বেড়েছে। প্রভাতি খোলা আকাশের দিকে তাকালো। সম্পূর্ণ ঝকঝক,পরিষ্কার আকাশ। একদম তার জীবনের মতো। এক জীবনে এত দুঃখ পার করেই আজ অজস্র সুখের দেখা পেয়েছে। তার চোখ গড়িয়ে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। না এ দুঃখের অশ্রু নয়, সুখের অশ্রু। খুশির অশ্রু…..

.

~~~~সমাপ্ত

®সোনালী আহমেদ

[ বিদ্র-১: প্রথম থেকেই স্যাড এন্ডিং নিয়ে ভ্রান্ত ধারনা ছিলো আপনাদের। আমি কখনোই স্যাড এন্ডিং ভাবি নি। কারন গল্পের প্লটের সাথে স্যাড এন্ডিং যায় না।

★★ প্রকৃত পাঠকদের কখনো মন্তব্যের কথা বলতে হয় না। যারা সত্যিই গল্পটার পাঠক ছিলো তারা নিশ্চই মন্তব্য করবে। আমিও আশায় রইলাম। ভালোবাসা নিবেন সবাই এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। পরবর্তীতে #অসুখের_নাম_তুমি সিজন -২ দিতে পারি। আমি সম্পূর্ণ শিউর নই। সব আপনাদের মন্তব্যের উপর নির্ভর করছে। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here