বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর) পর্ব :১১

বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি

উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর)

পর্ব :১১

সেই রাতের ঘটনা যেন সময়ের ঘড়ি থেকে কাটা পরে গেল,সবাই ভুলে গেল। আরহাম সেহের গত রাতে বাড়ী ছিলো না।সবাই সবটা জানলো বুঝলো কিন্তু কেউ মুখে প্রকাশ করল না।এমন ভঙ্গিমা করল যেন সব স্বাভাবিক!

আজ লিয়ার আকদ। সকাল থেকে বাড়ীতে তোড়জোড় চলছে।বিলাসবহুল বড় বাগানটায় ঘটা করে অনুষ্ঠান হবে।আর হবে নাই বা কেন? মন্ত্রী বাড়ীর অনুষ্ঠান বলে কথা।মন্ত্রী সাহেবের কড়া আদেশ ,শহরের বড় বড় নামীদামী লোকজন আসবেন।তাদের যত্নআত্তিতে তিল পরিমান কমতি যেন না হয়।মন্ত্রী সাহেব আবার অতিথি পরায়ণ মানুষ ।অতিথিদের বিন্দু মাত্র অনাদর সহ্য করবেন না।সাজসজ্জার সকল দায়িত্ব পরেছে শহরের নাম করা ওয়েডিং প্ল্যনারদের উপর। বিলাসবহুল বড় বাগানটা আলো আর রঙিন কাপড়ে আরো সুন্দর করে সাজিয়েছে ।সবকিছু সাদা আর গোল্ডেন কালারের কম্বিনেশনে সাজানো।আকদের অনুষ্ঠানের মূল থিম সাদা গোল্ডেন ।যা যেকোনো জিনিসকে রাজকীয় করে তোলে।

সেহের তৈরি হতে রুমে এসেছে। লিয়া প্রচণ্ড নার্ভাস ।সেই সকাল থেকে লিয়ার রুমেই ছিলো।এখন মেকআপ আর্টিস্টরা লিয়াকে সাজাতে আসায় সেহেরের বিরতি মিলেছে ।তড়িঘড়ি করে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আয়নার সামনে দাড়াতেই বেশ চমকে যায়।ড্রেসিংটেবিলের উপর বড় এক ব্যাগ রাখা।সেহের কুঞ্চিত ভ্রু করে ব্যাগের দিকে হাত বাড়ায়।প্যাকেট খুলতেই সেহের চমকে যায়।অফ- হোয়াইট হাফ সিল্ক ঢাকাই জামদানীর উপর সোনালি সুতার কাজ,মুক্তোর মালার মাঝ বরাবর অসম্ভব সুন্দর সোনালি স্টোনের বড় লকেট।গলার মালার সাথে ম্যাচিং চুড়ি।এসব এখানে কে রেখেছে? মা? হয়তো! তাছাড়া আর কেই বা হতে পারে।ভাবনাচিন্তায় সময় ব্যয় না করে সেহের ঝটপট রেডি হয়ে নেয়। ওইদিকে ওয়াহিরা এলো বলে!
নিচে লিয়ার ঘরে যেতেই সেহেরের চোখ জোড়া খুশিতে চকচকে উঠে।কনে সাজে লিয়াকে ভীষণ মিষ্টি লাগছে। লিয়া সেহেরকে দেখে মুখ বেঁকে মজার ছলে বলল,”এটা কিন্তু অন্যায়! আজ আমার বিয়ে আমার সবচেয়ে বেশি সুন্দর দেখার কথা ছিলো ,কিন্তু তা না । তোমাকে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছ। এটা কি ঠিক বলো? ”
সেহের মুচকি হেসে লিয়ার সামনে বসে বলে,”উহু একদম নাহ! ওয়ার্ল্ড মোস্ট বিউটিফুল ব্রাইড আমার সামনে বসে ।”
“মিথ্যা কেন বলছো? আমি জানি তোমার সামনে আমি পানিভাত।মাঝে মাঝে তোমার রূপ নিয়ে প্রচণ্ড হিংসে হয়ে। তুমি এতো সুন্দরী কেন , বলতো? যাই পরো তাতেই মাশাল্লা ! এই যে কি সুন্দর ঢাকাই জামদানীতে সাউথ ইন্ডিয়ান লুক করেছো ।কি সুন্দরই নাহ লাগছে ,একদম সাউথ ইন্ডিয়ান হিরোইন ! আমার আকদের সাথে সাথে তোমার বিয়েটাও পাকা করে ফেলি ,কি বলো?
সেহের ঠোঁটের চিকন হাসি ফুটিয়ে বলে,”না বাবা এইসব বিয়ে- টিয়ের ঝামেলায় আমি নাই।আমি সিঙ্গেল- ই বেশ ভালো আছি! কে চায় এমন উটকো প্যারা নিতে? বাই দ্যা ওয়ে নতুন জীবনের জন্য অনেক অভিনন্দন ”
লিয়া নার্ভাস স্বরে বলল ,”আমাকে কি ঠিকঠাক লাগছে? ….উফফ খুব ভয় করছে ”
সেহের মাথার ঘোমটা ঠিক করে দিতে দিতে বলে,”কুল ডাউন ,একদম পার্ফেক্ট লাগছে। এতোটা নার্ভাস হলে হয় নাকি? মেকআপ ঘেমে যাবে যে। ”
সেহেরের কথায় লিয়া নিজেকে শান্ত রাখার যথাযথ চেষ্টা করে। সন্ধ্যায় পর থেকে অতিথিরা আসতে শুরু করে।বিলাসবহুল বাগানটা রমরমা জলসায় মেতে উঠে। স্টেজে স্ফট স্লো গান বাজছে। বাড়ীর সদস্যরা যে যার যার মত ব্যস্ত।বর পক্ষ আসতেই লিয়াকে বাগানে আনা হয় ।সেহের লিয়ার পাশেই ছিলো।হঠাৎ তার চোখ আটকায় আরহামের দিকে।আলোচনায় ব্যস্ত।আরহামকে দেখে সেহের ছোট খাট ঝটকা খায়। আরহামের পড়নে অফ- হোয়াইট স্টাইলিশ শেরওয়ানি।বুকের পাশে গোল্ডেন ফ্লোরাল ব্রোচ । চুলগুলো পিছনের দিকে ব্রাশ করা।খাটো খাটো বাদামী হাইলাইট দাড়ি গুলো চকচক করছে।ঠোঁটে আধোআধো বাঁকা হাসি। হাতে ড্রিংক্সের গ্লাস।সব মিলিয়ে ভীষণ আকর্ষণীয় লাগছে।সেহের সবচেয়ে বেশি অবাক হলো আরহামের শেরওয়ানি দেখে একদম সেহেরের শাড়ীর রঙের সাথে ম্যাচিং ।অফ- হোয়াইটে সোনালি কাজ ,ডিজাইনার হয়তো।মিলে যাওয়ার ব্যাপারটা কি শুধুই কো- ইন্সিডেন্ট? নাকি অন্যকিছু!
সেহেরের ঘোর কাটল আরহামের ইশারায়,দূর থেকে সেহেরের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।কেমন জানো নেশাপ্রবণ চাহনি।ভাবতেই সেহেরের বুকে কাঁপন উঠে।অবিলম্বে চোখ সরিয়ে নড়েচড়ে অন্যদিকে ফিরে বসে। এতো ব্যস্ততার মাঝেও ঘটনাটা দিশার চোখ এড়ায় না। দূর থেকে দিশা ব্যাপারটা লক্ষ করল।দিশার সন্দেহ সত্যি হলো। তবে সত্যি ,আরহাম সেহেরের মাঝে কিছু একটা চলছে। কথা এমনি এমনি বাতাসে উড়ছে না। যা রটে তার কিছু ত ঘটেই! দিশার ঠোঁটের কোনে অদ্ভুতুড়ে বাঁকা হাসি ফুটে উঠে!

ভার্সিটির প্রায় অনেকেই এসেছেন।পিয়ালও এসেছে। সেহের পিয়ালকে দেখে উৎসাহের সাথে জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময় করে। বাগানে বড় রেইনট্রির পাশে দাড়িয়ে দুই সখি আলাপ করছে। সেহেরের সাথে পিয়ালের জরুরী কথা থাকায় এই দিকটায় নিয়ে আসা । এই দিকে তেমন কোন লোকজন নেই।কিছুটা কোলাহল বিহীন নিরিবিলি! পিয়াল সেহেরের হাত ধরে চিন্তিত ভিতু স্বরে জিগ্যেস করে,”সেদিন রাতে তোমার আর নিতানের মাঝে কি হয়েছিলো? ”
সেহের স্বাভাবিক স্বরে উত্তর দিলো,”নিতানের পাঠানো এড্রেস অনুযায়ী সেই সন্ধ্যায় আমি সেখানে যাই।প্রথমে সব ঠিক চলছিল।যখনি কফি মুখে দেই হঠাৎ আমার মাথা চক্কর দেয়,আস্তে আস্তে আমি সেন্স হারাতে লাগি।কারণ নিতান আগে থেকে কফিতে ড্রাগস মিশিয়ে রেখেছিলো ।নিতান আমার সেন্সলেসের সুযোগ নিয়ে জোরজবরদস্তি করতে চেয়েছিল,কিন্তু ভাগ্যের জোরে আমি বেঁচে যাই। আরহাম ভাইয়া সেখানে আসে বাঁচিয়ে নেয়।নিতান আরহাম ভাইকে দেখে পালিয়ে যায় ।এটুকুই! ”
পিয়াল ফোঁস করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।সেহের ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে,”কেন? কি হয়েছে? হঠাৎ এই প্রশ্ন! ”
পিয়াল ভিতু স্বরে বলল,”আজ সকালে পুলিশ নিতানের মরদেহ উদ্ধার করেছে, কে বা কারা মেরেছে কোন তথ্য মিলেনি! ”
পিয়ালের কথায় সেহের বিস্ময়ের আর্তনাদ করে বলে,”কি !এটা কি করে হলো? ”
“জানিনা পুলিশ তদন্ত করছে,এখনো কোন প্রুফ মিলেনি। খুনি খুব চালাকির সাথে বুদ্ধিকৌশল খাটিয়ে মার্ডার করেছে! ”
ভয়ে সেহেরের বুক কেঁপে উঠে।

রাতে অনুষ্ঠান শেষে সেহের কিছু একটা ভেবে আরহামের রুমের দিকে যায়। আরহাম এখনো চেঞ্জ করেনি । ল্যাপটপের সামনে কফির মগ নিয়ে বসেছে।হয়তো জরুরি কোন কাজে মগ্ন।কানে ব্লুটুথ লাগানো ।মিটিং চলছে হয়তো! মিটিং চলাকালীন আরহাম একবার চোখ উঠিয়ে সেহেরকে দেখল । সেহের ঠায় দরজায় দাড়িয়ে, মিটিং শেষ হবার অপেক্ষা করছে।মিটিং শেষ হতেই সেহের আরহামের পাশে দাড়াল।নিচু স্বরে বলল ,”আপনার সাথে কিছু কথা বলার ছিল ,আপনি কি ফ্রি? ”
আরহাম কোন উত্তর দিলো না।সেহের হতাশা সহিত নিশ্বাস ফেলল।এই মানুষটাকে বুঝে উঠা সেহেরের পক্ষে অসম্ভব।কেমন জানো রোদ বৃষ্টির মেজাজ ,এই ভালো ,এই মন্দ! সেহের দরজার দিকে ঘুরতেই পেছন থেকে হাতে হ্যাঁচকা টান পরে।সেহের ঝোঁক সামলাতে না পেরে আরহামের কোলের উপর পড়ে।বুকে হাত রেখে বড় বড় শ্বাস ফেলতে ফেলতে বলে,”আপনার সমস্যাটা কি বলুন তো? না আজ বলেই ফেলুন আমাকে নিয়ে আপনার কি সমস্যা ….আ..”
সেহের আর কিছু বলতে পারলো না তার পূর্বেই আরহামের আঙুল তার মুখে পরে।ভারী স্বরে বলে,”হুসসসস! এতো কথা কেন? ”
সেহের টপটপ চোখে আরহামে দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আরহাম হুট করে সেহেরের খোলা চুলে মুখ ডুবিয়ে মাতাল স্বরে বলে,”তোমার এই চুলের মিষ্টি ঘ্রাণে আমি বেকাবু হই? তোমার চোখের মায়ার সমুদ্রে আমি মাতোয়ারা হই? গোলাপি ঠোঁটের তৃষ্ণায় আমি তৃষার্ত? তোমাকে পাওয়ার লোভে আমি পাগলপারা! তুমি কি বুঝো? ”
আরহামের ভারী ভারী আওয়াজে সেহের চোখ বুঝে ঠকঠক কাঁপছে।বাহিরের বেনামী হাওয়ায় রুমের সাদা পর্দা গুলো হেলে দুলে নাচছে।আরহামের বাদামি চোখ জোড়া দৃঢ় ভাবে সেহেরের মুখ পানে চেয়ে।সেহের কাঁপা কাঁপা স্বরে বলে,”আ..আপনি এসব কি বলছেন! ”
এমন সময়ই আরহাম মেঘগম্ভীর স্বরে বলে,”এমনকিছু লাইন আমার থেকে আশা করে থাকলে ,তাহলে এক্ষণি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। আমি এমন কিছু বলছি না ,তুমি মোটেও এতোটা আকর্ষণীয় নও! ”
আরহামের কথায় সেহের তড়াক করে সরে যায়।রাগী তীক্ষ্ণ চোখে আরহামের দিকে তাকিয়ে দেখে আরহামের ঠোঁটের কোণে হাসি।সেহের চিৎকার করে বলে,”অসভ্য ,আপনি চরম অসভ্য ।”
সেহের অগ্নিমূর্তি হয়ে উঠে যেতে নিলে আরহাম আবারো পেছন থেকে হাত টেনে আটকায়।
“যা বলতে এসেছ তা কমপ্লিট করো ”
“বলবো না ”
“তাহলে আমিও ছাড়ছি না! ”
সেহের তীক্ষ্ণধার দৃষ্টিতে আরহামের দিকে তাকায়।আরহাম সেহেরের দিকে ঝুঁকে ভারী স্বরে বলে,”কি করবে কামড় দিবে? তুমি তো আবার ভালো কামড় দিতে পারো! তাই না? ”
এক মুহূর্তের জন্য সেহেরের মনে হলো মাটি ফাঁক হোক সে মাটিতে ঢুকে পরুক।এই অপমান তার সহে না।সেই রাতে নেশার ঘোরে না হয় একটু ভুলভাল বলেছে- ই ফেলেছে তাই বলে কি এভাবে কথা শুনাবে? টপটপ চোখে আরহামের দিকে তাকায়। এই ভারী ভারী অভিমানিনী চোখ জোড়া দেখার জন্যই তো আরহাম এতোক্ষণ পিঞ্চ করে যাচ্ছে ।সেহের মুখ ভার করে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে রাখে। আরহাম গাল টিপে নিজের দিক ফিরিয়ে বলে,”কি বলতে এসেছ ,বলো ”
“নিতানের খুনের সাথে কি আপনি কোন ভাবে জড়িত? ”
“নিতান খুন হয়েছে? “আরহাম বিস্মিত স্বরে বলল। চেহারায় স্পষ্ট বিস্ময়ের ছাপ।সেহের ভ্রু কুঁচকে বলল,”কেন আপনি জানেন না? ”
“মাত্র তোমার থেকে জানলাম ! ”
অতিভক্তি যেমন চোরের লক্ষণ ।তেমনি আরহামের অতি বিস্মিত মুখ সেহেরের মনে সন্দেহের বীজ বুনছে।নিতানের বাবা রাজনীতিতে জড়িত বিত্তশালী একজন মানুষ ।উনার একমাত্র সন্তান খুন হয়েছে যা নিয়ে সমস্ত শহর তোলপাড়! আর এতো বড় একটা নিউজ আরহামের কান অবধি পৌঁছোয়নি ?
সেহের সন্দেহের স্বরে বলল,”সত্যিই আপনি জানেন না? কোন ভাবে জড়িত নেই! ”
আরহাম বিরক্তি্র স্বর টেনে ,”আমি কেন জড়িত থাকবো?নিতানের খবর নিয়ে ঘুরা কি আমার কাজ ?
“আপনি জড়িত থাকার যথেষ্ট কারণ আছে! প্রথম তো নিতানের সাথে আপনার পূর্ব শত্রুতা ,দ্বিতীয়ত সেই রাতে রেস্টুরেন্টের ঘটনা।তারপর থেকে নিতান নিখোঁজ! ”
“তোমার মনে হচ্ছেনা, তুমি নিজেকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলছ? তোমার জন্য আমি কারো খুন কেন করতে যাবো? তুমি আমার কে? ওয়াইফ? নাকি গার্লফ্রেন্ড?
আর তাছাড়া এশহরে আরো এমন অনেক শত্রু আছে এখনকি সবার খুন করতে যাবো?? ”
আরহামের যুক্তিতে সেহের চুপ হয়।সত্যি তো আরহাম কেন তার জন্য কারো খুন করতে যাবে? সে আরহামের কে?
আরহাম সেহেরের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ,” অকৃতজ্ঞ মেয়ে! তোমাকে বাঁচালাম অথচ তুমি আমাকেই মিছে দোষ দিচ্ছ, খুনি বলছো?ধন্যবাদ জানানোর ভদ্রতা ছোট বেলায় শিখো নি? ”
সেহের কটমট চোখে আরহামের দিকে তাকাল।একবার বিপদ থেকে উদ্ধার করে এই পর্যন্ত হাজারবার খোটা দিয়ে ফেলেছে । এখন আবার ধন্যবাদও চাওয়া হচ্ছে?
সেহের দাঁত চিবিয়ে বলে,” ধ- ন্য- বা- দ হয়েছে? ”
রাগে গজগজ করে সোফা থেকে উঠতে নিলে আরহাম আবারো আটকায়। সেহের রাগী প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে আরহামের দিকে তাকাতে আরহাম সেহেরের চুল টেনে একদম নিজের কাছে এনে।নেশাপ্রবণ স্বরে বলে,”শোন মেয়ে ,শাড়ী পরে এভাবে সেজে গুজে খোলা চুলে আমার সামনে ঘুর ঘুর করবে না! অন্তত বিয়ের আগপর্যন্ত! কেমন? ”
“আমি ঘুরবো একশত বার ঘুরবো ,হাজার ঘুরবো তাতে আপনার সমস্যা কোথায় ? ”
“সমস্যাটা তোমার! আমি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গেলে কখন কোন অঘটন ঘটে যায় বলা তো আর যায়না! সো বি কেয়ারফুল ”
“অসভ্য লোক “সেহের রাগে বিরবির করে বেরিয়ে যায়।আরহাম সেহেরের যাওয়ার দিকে বাঁকা হেসে তাকিয়ে থাকে!

রাতে ঘুমানোর আগে সেহের ফেসবুক স্ক্রোল করার সময় নিতানের খুনের খরবটা দেখল।নিতানকে খুব হিংস্র ভাবে হত্যা করা হয়েছে। শরীরের কিছু অংশ লাশের সাথে নেই যেমন হাত আর চোখ ।আদনানের খুনটাও ঠিক নিতানের খুনের মত হয়েছিল।আদনানের লাশের সাথেও হাত আর চোখ ছিলো না। ভয়ে সেহেরের হাত থেকে ফোনটা নিচে পরে যায়। তবে কি নিতানের খুনটাও সেই ছায়ামানব- ই করেছে?

চলবে….❣️

(কাজিনদের সাথে ব্যস্ত ছিলাম তাই লেট হয়েছে সরি )

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।প্লিজ সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here