বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর) পর্ব :৮

বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি

উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর)

পর্ব :৮

ধুলোবালি জমা লাইব্রেরীর শেষ প্রান্তে গুনে খাওয়া কাঠের সেল্ফের আড়ালে সেহের হাত পা গুজে থর থর করে কাঁপছে।ঘামে পুরো শরীর ভিজে।বাহিরে এখনো শোরগোল চলছে।কান্না চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ ভেসে আসছে।সেহের মাথা উঁচু করে জানালার ফটক দিয়ে তাকাতে দেখে জায়গা জায়গায় আগুন জ্বলছে।সবার হাতে দাঁ ছুঁড়ি । সাথে সাথে সেহের ভয়ে মাথা নামিয়ে ফেলে।ফোন হাতে নিয়ে মাকে ফোন দিতে নিলে দেখে মায়ের নাম্বার ব্যস্ত ।সেহের দিশাহারা হয়ে কাঁদতে লাগে।এমন সময় লাইব্রেরীতে কয়েকজন ডুকে পরে ভাঙচুর করতে লাগে।তাদের মধ্যে একজন বলে,”মন্ত্রীর দলের যারে সমানে পাবি ,কোপাবি! ছেলে মেয়ে চাকর বাকড় গুনবি না। ”
অন্যজন বলল,”শুনলাম ঐ মাইয়াটা এদিকে আইছে। আরহামের খাস ঐ মাইয়া।খুঁজা বাইর কর ”
সেহের ভয়ে শব্দ করে কেঁদে উঠে।সেহেরের কান্নার আওয়াজ হয়তো তাদের কান অবধি পৌছালো।বাহিরে বের হওয়ার জন্য দরজার দিকে বাড়ন্ত পা পিছিয়ে নেয়।ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে ফিরে তাকায়।সেহেরকে খুঁজতে লাগে। মুখে কাপড় চেপে ধরে সেহের কান্না আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে। একদম সেল্ফের আড়ালে চলে যায়।যেই সেল্ফের পুছনে খোঁজার জন্য পা বাড়াবে এমন সময় আরহাম তার দলবল নিয়ে লাইব্রেরীতে হাজির। আরহামের সাথে লোকজন লাইব্রেরীতে থাকা ছেলেগুলো এলোমেলো ভাবে মারতে শুরু করে।আরহাম দিশেহারা হয়ে সেহেরকে খুঁজতে লাগে। ফোনের লোকেশন অনুযায়ী সেহের এই রুমেই কোথাও আছে!
লাইব্রেরীর প্রত্যেকটা কোণা আরহাম তন্ন তন্ন করে খুঁজে যাচ্ছে। কোথাও নেই! শেষের সেল্ফের দিকে আসতেই আরহাম থমকে যায়। সেল্ফের আড়ালে সেহেরের উড়নার কোণা দেখা যাচ্ছে। আরহাম দ্রুত সেদিকে ছুটে যায়। দেখে সেহের বাচ্চাদের মত হাঁটুতে মুখ গুজে কান্না করছে। শরীর থর থর কাঁপছে। আরহাম ধরতেই সেহের ছিটকে উঠে। তড়াক করে সরে দাড়ায়। আতঙ্কিত চোখে আরহামের দিকে তাকিয়ে থাকে।পুরো গাঁ কুরবানির রক্ত মাখা পোশাকের মত রক্তে ভরে আছে।মুহূর্তেই সেহেরের চোখে মুখে আরহামের জন্য ঘৃণায় তেতো হয়ে উঠে।আরহাম সেহেরের দিকে হাত বাড়ালে সেহের দূরে সরে যায়।এই মুহূর্তে সেহের প্রচণ্ড ভয় পেয়ে আছে।আরহাম কোনপ্রকার জোর না করে। শান্ত স্বরে বলে,” বাড়ী চলো ”
সেহের আরহাম থেকে দূরত্ব বজায় রেখে ভীতু ভীতু পায়ে সামনের দিকে পা বাড়ায়।আশেপাশে ছেলেগুলোর হাতে লাঠি।লাইব্রেরীর মেঝে রক্তে মাখা ।সেহের ভয়ে চিৎকার করতে গিয়েও থেমে যায়।আরহাম সেহেরের বাহুতে হাত রাখতে সেহের ঘৃণিত দৃষ্টিতে আরহামের দিকে তাকিয়ে বাহু থেকে হাত সরিয়ে দেয়।

গাড়ী বাড়ির সামনে পৌছাতেই সেহের গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পায়ে নিজের রুমের দিকে ছুটে যায়।ওয়াশরুমের শাওয়ারের পানির নিচে দাড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগে।আজকের ঘটনা সেহেরের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে ।এতো দিনের বুঝে থাকা চোখ জোড়া আজ খুলে গেছে।দিন দিন সে একটা ক্রিমিনালের প্রতি দুর্বল হয়ে পরছিলো? খানিকের মোহে পরে, সে কি করে আরহামের বাস্তবরূপ ভুলে গেল? কি করে ভুলে গেল,রেষারেষি রক্ত ঝরানো এসব তাদের নিত্যদিনের খেলা । খানিকের আবেগে গাঁ ভাসিয়ে দিলো! আরহামের সামান্য লোক দেখানো দয়ায় নিজেকে তার কাছে সমর্পণ করতে যাচ্ছিলো।খানিকের আবেগে নিজের বিবেক নষ্ট করছিলো? ছোট থেকে বরাবরই অবহেলা অনাদরে বড় হয়েছে।ভালোবাসা ভালোলাগার অনুভূতি কেমন তা কোনদিন বুঝে উঠতে পারেনি।যেদিন ভার্সিটিতে আরহামের সাথে তার প্রথম ধাক্কা লাগে।সেদিনই মনে ভালোলাগার সৃষ্টি হয়েছিল।সহজ ভাষায় বললে আরহামের প্রতি প্রথম দেখায় ক্রাশ খেয়েছিল।পরে অবশ্য লিয়ার কথায় আরহাম থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল।কিন্তু সেদিন আরহামের সরি বলার সেই কৌশল সেহেরের মনের মাঝে আরহামের প্রতি খানিক দুর্বলতা সৃষ্টি করেছিলো।আর তারপর বর্ষণের সেই রাতে যখন সেহের জ্বরে ছটফট করছিলো আরহাম পুরো রাত তার পাশে বসে ছিলো।যত্ন করেছে। সেই খারাপ পরিস্থীতিতে তার পাশে ছিলো। যা ভালোবাসা বঞ্চিত সেহেরের জীবনে অনেক বড় পাওয়া ছিলো।উত্তাপ্ত মরুভূমিতে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত পথিকের কাছে এক চিলতে পানি যেমন ,ঠিক আরহামের সেহেরের কাছে আসাটাও তেমনি ছিলো।
অভিশপ্ত ছায়ামানবের কারণে কাউকে কোনদিন ভালোবাসার সাহস করেনি।সবসময় নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে ।এখানে আসার পর আরহামের ভালোবাসাপূর্ন বাড়ন্ত হাত সেহেরের ভিতরের বদ্ধ আবেগকে কাবু করে ফেলে।রাক্ষসকে রাজকুমার ভাবতেশুরু করে। চাকচিক্যময় রুপের মোহে পরে।সেহেরের ছেলেমানুষি কনিষ্ঠ মন আরহামের প্রতি অল্পসময়ের জন্য দুর্বল হয়ে পরেছিলো।
সারাজীবন সবার কাছে অবহেলিত মেয়েটা সামান্য ভালোবাসা পাওয়ার লোভে আরহামের পানে বারবার ছুটে চলছিলো ।কিন্তু এখন আর না। অনেক হয়েছে , সেহের নিজের মনকে নিজের উপর কাবু করতে দিবে না।আরহাম নামক মানুষটা থেকে শ’হাত দূরে থাকবে।
এমন ক্রিমিনাল মাইন্ডের মানুষের চরিত্রটাও নিশ্চয় তার বাহিরের রূপের মত নিকৃষ্ট আর জঘন্যতম !
মুছে ফেলবে মনে জেগে উঠা অপূর্ণ আবেগ! মনের মাঝে গড়ে উঠা নামহীন অনুভূতি গুলোকে মাটি চাপা নিয়ে দিবে।এমন বেনামি আগাছা গুলোকে বাঁচিয়ে কি লাভ? আর মুছে ফেললেই বা কি আসে যায়? খানিকের মোহে জড়ানো আবেগই তো! ভালোবাসা তো আর নয় ।

যাকে কেন্দ্র করে এতো ঝনঝট ,তার ব্যক্তিত্ব নিশ্চয় ততটাই নিকৃষ্ট! সেদিনের পর থেকে সেহের আরহামকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে।চোখে ভাজার মত ইগ্নোর করতে শুরু করে।আরহাম বাড়ি থাকলে দিনের বেশিরভাগ সময় লিয়ার রুমে বা আনান আফনানের রুমে কাটাতে লাগে। কারণেঅকারণে নিজের রুমের থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়।যতক্ষণ রুমে থাকে ভেতর থেকে দরজা লক করে বসে থাকে।ভার্সিটিতে আরহামের মুখোমুখি হলে ,দেখেও না দেখার ভঙ্গিতা করে পাশ কাটিয়ে যায়।এমন করে বেশ কয়েকদিন কেটে যায়।সেহের নিজের পড়াশোনা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পরে।অল্পসময়ের মাঝেই আরহামের প্রতি জাগ্রত আবেগ মনের কোন এক কোণায় ধুলাবালির মাঝে দেবে যায়!

বিকালের শেষ প্রহর সেহের বাগানে উপন্যাসের বই খুলে বসেছে।নীলচে আকাশের রক্তিম সূর্যটা ধীরেধীরে পশ্চিমা আকাশে বুকে হেলে পরছে।এমন ওয়েদারে হুমায়ূন স্যারের উপন্যাসের বই আর ধোঁয়া উঠা তপ্ত চায়ের কম্বো মন্দ নয়। বড় বিলাসবহুল বাগানের মধ্যমণি বরাবর সোফায় বসে গভীর মন দিয়ে বই পড়ছে।ঘরের বারান্দা থেকে মেয়েকে একা বসে থাকতে দেখে দিশাও চায়ের আরেকটা মগ হাতে নিয়ে বাগানের দিকে পা বাড়ায়।অনেকদিন হলো মেয়েটার সাথে গল্প করা হয় না।আজ সময় সুযোগ দুটোই আছে!
কারো উপস্থিতি টের পেয়ে সেহের নড়েচড়ে বসে । কিন্তু চোখ জোড়া তখনো বইয়ের ভেতর মজে।দিশা মেয়ের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।মায়াময় আদুরে মুখ।একদম নিষ্পাপ কলি ফোটা ফুলের মত। নিষ্পাপ মুখখানায় অভিমানের ঝাঁজ স্পষ্ট ফুটে আছে।সেহেরের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দিশা আগবাড়িয়ে বলল,”কয়েকদিন পর লিয়ার আকদ।তোমার কিছু চাই না ? ড্রেস জুয়েলারি বা অন্য কিছু ..”
“হ্যা চাই,দিতে পারবে ? “বই থেকে মুখ তুলে তীক্ষ্ণ স্বরে বলল।
“তুমি শুধু চেয়ে ত দেখ ঘন্টার ভেতর তোমার সামনে হাজির হবে । “দিশা সুলভ স্বরে বলল ।
“পরিবার চাই। আমার পরিবার । দিতে পারবে? ”
দিশা মেয়ের কথায় থতমত খেয়ে যায়।বিস্মিত চোখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে।সেহের তাচ্ছিল্য হেসে বলল,
“পারবেনা তো? জানতাম! জন্ম দিয়েছ ,তোমার শ্বশুরবাড়ী তে আশ্রয় দিয়েছ । আমার জন্য তা অনেক। সবকিছুর জন্য তোমার কাছে কৃতজ্ঞ ।”
সেহের অতি অভিমানে কথা গুলো বলে।বই হাতে নিয়ে বাগান থেকে চলে যায়।দিশা মেয়ের যাওয়ার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকে।সেহেরের অভিমান জায়েজ । ছোট থেকে অনেক অন্যায় করেছে মেয়েটার উপর ।ইচ্ছা থাকার শর্তেও সুন্দর একটা জীবন উপহার দিতে পারেনি।ছন্নছাড়া যাযাবরের মত মেয়েটা জীবন কাটিয়েছে।কখনো আদর করে মুখে খাবার তুলে দেওয়া হয়নি, বুকে জড়িয়ে ঘুম পাড়ানো হয়নি।শাসন করা হয়নি।দিশা জানে সেহেরের মনে তার প্রতি অনেক অভিমান অভিযোগ জমে। বুঝলেও কোন কিছু করার নেই।বিগত অতীত তো আর ফিরে আনা সম্ভব না! কিন্তু তাই বলে সেহেরের আগামী ভবিষ্যৎ এমন ছন্নছাড়া কাটাতে দিবে না। সুন্দর সোনালি ভবিষ্যৎ গড়বে ।সেহেরেরও পরিবার হবে।এই বাড়ী গাড়ী সব কিছুর উপর তার রাজত্ব চলবে! যেভাবেই হোক সেহেরকে আরহামের বউ করবে!

সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময় সেহের আরহামের মুখোমুখি হলো।আরহাম নিচে নামছে।দুজনের চোখাচোখি হয়।সেহের ভিতু চোখে চোখ নামিয়ে পাশ কাটিয়ে দ্রুত পায়ে নিজের রুমে চলে যায়। আরহামের রক্তিম চোখ সেহেরের পানে তাকিয়ে । বেখেয়ালি সেহের কি বুঝলো? এর ফল পরবর্তীতে কতটা ভয়ংকর হতে পারে?

রাতে জেগে পড়া সেহেরের পুরানো অভ্যাস । স্কুল জীবন থেকেই সবাই ঘুমিয়ে গেলে নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে বই নিয়ে বসে। তার ভাষ্যমতে রাতের গহিনে শান্ত পরিবেশে পড়লে পড়া যত তাড়াতাড়ি মাথায় ডুকে তা দিনের বেলায় কোথায়? ডিভানটায় হেলান দিয়ে পায়ের উপর কুশন নিয়ে বেশ মন দিয়ে টেক্সট বই পড়ছে।আগামীকাল এক্সাম এখনো অনেক পড়া বাকি।ঘড়িতে রাত বারটা ছুঁই ছুঁই সবাই গভীর ঘুমে মগ্ন ।চারিদিকে নিরিবিলি শান্তিময় পরিবেশ।বাহিরের ঝিঝি পোকার ডাক স্পষ্ট শুনা ভেসে আসছে।এমন সময় রুমে কারো আগমন ঘটলো। সেহেরের মনযোগ ছেদ হলো।কুঞ্চিত ভ্রু করে দরজার দিকে তাকালো।আরহামের রক্তিম চোখ দেখে ভীষণ ভয় পেল সেই সাথে চমকালো।সে তো দরজা ভেতর থেকে লক করেছিলো,আরহাম কি করে খুলল? ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে?
আরহার এক পা এক পা করে সেহেরের দিকে এগিয়ে আসছে।ভয়ে ধীরেধীরে সেহের ডিভানের সাথে লেগে যাচ্ছে।আরহাম সেহেরের সামনে এসে হাত টেনে তাকে নিজের সামনে দাড় করায়।সেহের থরথর করে কাঁপছে।হাত মচকে সেহেরকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।নত মাথা ধীর গলায় সেহের জিগ্যেস করে,”এ…এতো রা…তে আপনি এখা..নে কি করছেন? ”
সেহেরের প্রশ্নের কোন জবাব মিলল না।আরহাম রাগে বড়বড় শ্বাস ফেলছে। ভারী ভারী ফোঁস ফোঁস নিশ্বাসের শব্দ ভেসে আসছে।সেহের নিজেকে আরহাম থেকে ছাড়াবার চেষ্টা করলে আরহাম শক্ত হাতে চেপে ধরে।ব্যথাতুর স্বরে সেহের “আহ” করে উঠলো ।শব্দটা হয়তো আরহামের কান অবধি পৌছয় না।আরহামে সেহেরের গাল চেপে মুখ উঁচু করে রাগে ফসফস করতে করতে বলে,”আমার বাড়ী ,আমার রাজত্ব! আমাকেই এড়িয়ে চলা হচ্ছে? ”
“আহ! ছাড়ুন ,আমার লাগছে! “সেহের অস্পষ্ট ব্যথিত স্বরে বলল।
“লাগুক ,আরো লাগবে! যেই পর্যন্ত আমি আমার উত্তর না পাচ্ছি”
“কি ,করছেন কি? কি চাই আপনার? ”
সেহের কান্না জড়িত স্বরে বলল।আরহাম ক্ষান্ত হলো না। দাঁতে দাঁত চেপে বলল ,”এন্সার ,কি সমস্যা তোমার? ”
“আমার আপনাকে ভীষণ অপছন্দ ।ঘৃণা করি ,শুনেছেন? ”
“কাকে পছন্দ? ওই নিতান কে! আজকাল ক্লাস শেষে ক্যান্টিনে কার সাথে চায়ের আড্ডা দেওয়া হয় কি ভেবেছ আমার জানা নেই ? ”
সেহের আরহামের কথায় ঘাবড়াল।ভিতু ভিতু চোখে একবার আরহামের দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে ফেলল ।আরহাম বাঁকা হেসে রাগী স্বরে বলল,”কেন শুধু শুধু একটা মায়ের কোল খালি করতে চাইছ? শুনো মেয়ে , ভালোবাসো বা ঘৃণা করো আই ডোন্ট কেয়ার। তোমার সীমানা যেন আমি অবধি সীমিত থাকে।অন্যকোন দিকে চোখ ঘুরলে তুমি আন্দাজও করতে পারবে না,এর ফল কতটা ভয়ানক হবে । ”
সেহেরকে ডিভানের উপর সজোরে ধাক্কা দিয়ে আরহাম রুম থেকে হনহন করে বেরিয়ে যায়।সেহের অশ্রুঝরা থমথমে চোখে আরহামের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

চলবে…❣️

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।প্লিজ সবাই সবার মতামত জানাবেন😊😊😊।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here