#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২০
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি আমার রক্ত পিপাসা ইগড্রাসিল এর রক্ত দিয়ে পূরন করলাম। ইগড্রাসিল যে আমার এতো বড় সর্বনাশ করবে সেটা আমি কিছুতেই ভাবতে পারি নি। ও কেনো যে সবাইকে বলে দিলো আমিই পরের ডেভিল কিং হবো। এখন তো পুরো পাঁচ রাজ্যই আমার উপরে যুদ্ধ ঘোষনা করবে। পাঁচ রাজ্যের দরকার নেই, এক রাজ্যই আমার বিরুদ্ধে আসলে আমি শেষ। একটা ডেভিল কিং এর ক্ষমতার সাথে এই মনস্টার রাজ্যের কোনো শক্তিই দাড়াতে পারবে না। আগের ডেভিল কিংকে তো ধোকা দিয়ে মারা হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে ডেভিল কিং এর শক্তির ১০০ ভাগের মাত্র ৪ ভাগ আছে। এই অবস্থায় আমাকে মারা খুব সহজ। আর আমি জানি কোনো মনস্টারই চাইবে না ডেভিল কিং আবার শাসনে ফিরে আসুক। কারন সব মনস্টারই এখন ডেভিল কিং কে ঘৃণা করে। তারা ভয় পায় ডেভিল কিং এর ক্ষমতাকে। আর প্রত্যেক ডেভিল কিং এর থেকে পরবর্তী ডেভিল কিং এর পাওয়ার ছয়গুন বৃদ্ধি পায়। সেই ক্ষেত্রে আমি আগের ডেভিল কিং থেকেও ভয়ানক হবো। যদি আমার সিদ্ধান্ত ঠিক না থাকে তাহলে পুরো একটা জাতি ধ্বংস হতে পারে। সে যায় হোক ইগড্রাসিলের কথায় এবার পুরো সৈন্য আমার দিকে নিজেদের স্পেল রেডি করে রাজার আদেশের অপেক্ষা করছে। সবার চোখে আমি ভয় দেখতে পাচ্ছি। এদিকে রাজা বলে উঠতে লাগলো,
.
–যেহেতু প্রিন্স জ্যাকসন একজন ডেভিল কিং হবে। তাই আমি মনে করি জ্যাকসন রানী এন্জিলা আর পূর্ববর্তী ডেভিল কিং এর অবৈধ সন্তান। আমি তাকে এই রাজ্যের প্রিন্স হিসাবে মানি না। আর আমি পূর্ববর্তী ডেভিল কিং এর অবৈধ সন্তানকে নিজের রাজ্যে রাখতে চাই না। বরং এই দুনিয়াতেই তাকে রাখতে চাই না। যেহেতু সে পরবর্তী ডেভিল কিং হবে তাই সে এই রাজ্য এবং দুনিয়ার জন্য ঝুকিপূর্ন। তাই আমি সেনাদের আদেশ দিচ্ছি এই রাজ্যের যেখানেই জ্যাকসন পালিয়ে যাক না কেনো তাকে খুজে মেরে ফেলা। যদি কোনো সুযোগে রাজ্য থেকে পালাতে সক্ষম হয় তাহলে আমি এই রাজ্যের সকল হান্টারদের একটা কাজ দিচ্ছি। যে জ্যাকসনকে মারতে পারবে তাকে আমি প্রিন্সেস ক্যারেন এর সাথে বিয়ে দিবো।(রাজা)
।।।।।
।।।।।
রাজার আদেশ শুনে এবার সৈন্যরা আমার উপরে ঝাপিয়ে পরলো। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। এদের বিরুদ্ধে লড়বো নাকি পালিয়ে যাবো? কি করলে ভালো হবে সেটা বুঝতে পারছি না। তখন ইগড্রাসিল বলতে লাগলো,
.
–ব্যাপারটা মনে হয় আমি খারাপ করে দিলাম।(ভিরু)
.
–তোমাকে আর কি বলবো? ড্রাগনরা এতো বলদ হয় কেমনে? তুমি তো মনে হয় তোমার রাজ্য এই বলদগিরির জন্যই হারিয়েছো।(আমি)
.
–তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছো।(ভিরু)
.
–দেখো আমি কোনো অপমান করছি না। এতোক্ষন আমার ছায়ার মধ্যে ছিলে হঠাৎ বের হওয়ার কি দরকার ছিলো।(আমি)
.
–আমি তোমার ছায়ার মধ্যে থাকলে নিরবে ঘুমাতে পারি। কিন্তু তোমার শরীরে কোনো আঘাত লাগলে সেটা আমার ও ব্যথা লাগবে। তোমার হাত কেটেছে তাতে তোমার হিলিং পাওয়ার থাকায় তোমার তো দুই মিনিট ছাড়া তেমন ব্যথা হবে না। কিন্তু আমি সেটার দ্বিগুন ব্যথা পাচ্ছিলাম। তাই সহ্য না করে আমি বেরিয়ে এসে বলে দিলা।(ভিরু)
.
–ওওওও।(আমি)
.
–আচ্ছা সেটা বাদ দিলাম। এখন কি করবো আমরা? আমার তো এদের সবার সাথে লড়তে মন চাচ্ছে।(ভিরু)
.
–এতো গুলো মনস্টারের সাথে লড়লে তো অনেক মনস্টারই মারা যাবে। আমি চাইনা কেউ মারা যাক।(আমি)
.
–আমি প্রথম দেখলাম কোনো ডেভিল কিং মনস্টারের জীবনের জন্য মায়া দেখাচ্ছে। কিন্তু এদের সাথে না লড়লে তো এরা তোমাকে মারতে শুরু করবে। তোমার এখন যে পাওয়ার আছে তাতে তুমি বেশী আঘাত ঠিক করতে পারবে না। বরং বেশী আঘাত পেলে তুমি মারাও যেতে পারো।(ভিরু)
.
–আমার এখন থরের সাহায্য দরকার ছিলো। কিন্তু সে তো মনে হয় ঘুমাচ্ছে। আর আমি সিলভার লোটাসের সাহায্য ও নিতে পারবো না এখন থেকে। তারা যদি জেনে যায় আমি ডেভিল কিং হবো তাহলে আমাকে ঔ রাজ্যে নিয়ে গিয়ে মারবে।(আমি)
.
–তাহলে তো আমাদের এখান থেকে পালানো দরকার।(ভিরু)
.
–পালিয়ে যাবে কোথায়?(আমি)
।।।।
।।।।
সকল গার্ড সৈন্য যখন আমাকে ঘেরাও করে রেখেছে তখন কোন ফাক দিয়ে যেনো জেসি হ্যারি আর সাথে একটা বয়স্ক লোক আসলো।
.
–তোরা আমার কাছে আসলি কেনো? দেখলি তো ড্রাগনটা অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে এতে তো তোদের পালিয়ে যাওয়া উচিত ছিলো জেসি।(আমি)
.
–তোকে ফেলে আমি কখনোই পালিয়ে যাবো না।(জেসি)
.
–হ্যা মাই কিং। আমি এখন আপনার বিশ্বস্ত একজন প্রজা। আমি আমার রাজাকে কখনোই একা বিপদে ফেলে পালিয়ে যেতে পারি না। আর তাছাড়া আপনার সাথে আমার কিছু জরুরী কথাও ছিলো।(হ্যারি)
.
–ঠিক আছে এখান থেকে পালিয়ে যেতে পারলে সেটা শোনা যাবে।(আমি)
.
–তোমরা দুজন অনেক বড় হয়ে গেছো। সেই ছোট বেলায় তোমাদের দুজনকে আমি শেষবার দেখেছি।(বয়স্ক লোকটা)
.
–জ্যাক উনি হলেন আমাদের দাদা। কারাগারে বন্দী ছিলেন। সকল গার্ডরা এদিকে চলে আসায় আমি আর হ্যারি মিলে উনাকে ছাড়িয়ে আনি।(জেসি)
.
–দাদা!(আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে)
.
–শেষ বারের মতো তোমাদের সাথে দেখা হলো এতেই আমি অনেক খুশি। দেখো তোমাদের সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। লংস্টারের কাছে অনেক গোপন সৈন্য আছে। যেটার জন্য আজ লংস্টার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্য। মূলত সেই সৈন্য গুলো আমিই বানিয়েছিলাম। তারা বিভিন্ন মনস্টারের সংমিশ্রনে বানানো। আমি তাদের নাম দিয়েছিলাম হাইব্রিড মনস্টার। তারা শুধু এই রাজ্যের রাজার আদেশই মান্য করে। তারা এখানে এসে গেলে অনেক দেরী হয়ে যাবে। আমি তোমাদের জন্য আন্ডারওয়ার্ল্ড এর দরজা খুলে দিচ্ছি। তোমরা সরাসরি আন্ডারওয়ার্ল্ডে চলে যাও। সেখানে এরা কখনো যেতে পারবে না।(দাদা)
.
–কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ডের দরজা শক্তিশালী ডেভিল ছাড়া সাধারন কেউ খুলতে তো পারে না।(হ্যারি)
.
–লুসেফার আমার অনেক কাছের একজন বন্ধু ছিলো। সে আমাকে একটা স্পেল শিখিয়েছে যেটার সাহায্যে আমি যেকোনো সময় আন্ডারওয়ার্ল্ডে যেতে পারবো। কিন্তু সেটার জন্য আমার রয়েল পাওয়ার এর দরকার প্রয়োজন। কিন্তু সেটা কর্ডিলা তোমাদের বাবাকে বশিকরন করার পর আমার রয়েল পাওয়ার জ্যাসন নিয়ে যায়। আর সেটা পরে কর্ডিলা নিজের করে রাখে। এখন আমি এক বারই আন্ডারওয়ার্ল্ডের দরজা খুলতে পারবো। তারপর মনে হয় চিরকালের জন্যই আমার আত্মাটা আন্ডারওয়ার্ল্ডে চলে যাবে।(দাদা)
.
–মানে?(আমি)
.
–না দাদাভাই আপনি এটা করতে পারেন না। আপনি আমাদের জন্য নিজের জীবন দিতে পারেন না। হ্যারি আছে এখানে। ও কিছু একটা করবে। ও আমাদের আন্ডারওয়ার্ল্ডে নিয়ে যাবে।(জেসি)
.
–না ও পারলে তো সাহায্য করতোই। আন্ডারওয়ার্ল্ডের কেউ সেখান থেকে নিজ ইচ্ছায় বের হতে পারবে না যতক্ষন না যাবৎ ডেভিল কিং সেখানে পা রাখছে। সেটা পুরোপুরি ভিতর থেকে আটকানো। তবে ভিতরের কোনো ডেভিলকে কেউ যদি নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় কিছু দান করে ডাক দেয়, তাহলে পোর্টাল এর মাধ্যমে সেই ডেভিল আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে বের হতে পারবে। বেশী দেরী করো না, আর সময় নেই আমাদের। তোমাদের দুজনকে শেষ বারের মতো দেখতে পেয়েছি এটাই আমার শেষ ইচ্ছা ছিলো। জ্যাকসন তুমি তোমার ছোট বোনের খেয়াল রেখো। আর এই দুনিয়াটাকে একটা সুন্দর জায়গা বানিয়ো, যেটা আমি বানাতে পারি নাই।(দাদা)
।।।
।।।
দাদাভাই আর কিছু বললেন না। নিজে একটা স্পেল পরতে লাগলেন। স্পেল পড়ার সাথে সাথে তার মৃত্যু হয়ে গেলো। মৃত্যুর আগে শুধু একবার আমাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। এরপর তার শরীরের সমস্ত রক্ত দিয়ে একটা দরজা তৈরী হলো এটাই আন্ডারওয়ার্ল্ডে যাওয়ার গেট। রাজা আমাদের গেটকে ধ্বংস করার আদেশ দিলো তার সৈন্যদের। সমস্ত সৈন্য আমাদের দিকে আগুন, পানি, বায়ুর বিভিন্ন ম্যাজিক স্পেল ছুড়ে মারছে। সব গুলো একসাথে দরজায় লাগলে সেটা ধ্বংস হয়ে যাবে। ভি রু দা তার বিশাল দুটো ডানা আমাদের চারপাশ দিয়ে ঢেকে দিলো। আমিও আমার ডানা চারটা বের করলাম। আমাদের আশে পাশের সবাই অবাক হয়ে গেলো। কারন আমার চারটা ডানা, আর মূলত অবাক হওয়ার কারন হলো আমার ডানা দুই রঙের। সেটা কখনো কেউ দেখেনি। আমি এবার আল্ট্রা স্পিডে উড়তে উড়তে গিয়ে আমাদের আশেপাশে যত সৈন্য ছিলো তাদের লাথি মেরে দূরে ফেলে দিলাম। আর এদিকে হ্যারি আর জেসি ভিতরে চলে গেলো। আমিও ভিতরে যাবো ঠিক তখনি পিছন থেকে ক্যারেন লাফ দিয়ে পরলো আমার দিকে। ইগড্রাসিল আমার ছায়ার মধ্যে চলে আসলো। আর ক্যারেন সহ আমি আন্ডারওয়ার্ল্ডের দরজার ভিতরে চলে গেলাম। আমাদের দরজা ঠিক একটা বিশাল রাজ্যের সামনে খুললো। আমি মোটেও আশা করি নি আন্ডারওয়ার্ল্ডে এতো বিশাল একটা রাজ্য হবে। আর প্রথমে ভেবেছিলাম জায়গাটা অনেক ভয়ানক হবে। কিন্তু না এখানের সব কিছুই আমার দেখা আর দুই রাজ্যের মতো স্বাভাবিক। মূলত এই আন্ডারওয়ার্ল্ডকে মনস্টার রাজ্যের একটা রাজ্য বলা যায় না। আমরা এখন যে দুনিয়াতে আছি এটাকে আমি সহজে বোঝানোর জন্য মনস্টার দুনিয়া নাম ব্যবহার করছি, কিন্তু এই দুনিয়ার আসল নাম হেডালিগ। নামটা কিছুটা উদ্ভদ তাই আমি মনস্টার দুনিয়া বলেই মজা পায়। এই হেডালিফ দুনিয়া দুই অংশে বিভক্ত এক হলো আপারওয়ার্ল্ড, আর একটা আন্ডারওয়ার্ল্ড। এখানে পৃথিবীর মতই মহাকাশ আছে, সূর্য আছে, বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহ আছে। কিন্তু প্রান শুধু আন্ডারওয়ার্ল্ড আর মনস্টাররা যে প্লানেটে থাকে সেখানেই আছে এই দুনিয়ায়।
।।
।।
বিষয়টা নিয়ে আমি অবাক হলাম। এখানে পা রাখার পর থেকেই আমার অজানা অনেক তথ্য মাথা দিয়ে ঘুরতে থাকলো। আগের ভাবা সব কথাও এখন আমার মাথা দিয়ে ঘুরছে শুধু। মনে হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে আমার অনেক বড় ব্রেইন কানেকশন আছে। আমি মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ডের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটা এই দুনিয়ার নিচে বানানো হয়েছে। যার জন্য এখান থেকে তারা সূর্য আকাশের রিয়েল কোনো দৃশ্য পাওয়া যাবে না। এখন মূলত আমাদের উপরে আকাশে তারা দেখা যাচ্ছে কিন্তু এগুলো ম্যাজিক দিয়ে বানানো। একটা হলুদ চাঁদ দেখা যাচ্ছে সেটাও ম্যাজিক দিয়ে বানানো। এখানের গাছপালা গুলোও ম্যাজিক দিয়ে বানানো। এখানের কোনো প্রাকৃতিক জিনিসই বাস্তব নয়। হবেই কিভাবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে মূলত কোনো অক্সিজেন নেই। এখানে ডেভিল ছাড়া অন্য কোনো মনস্টার থাকতে পারবে না। ডেভিলরা অক্সিজেন ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে তাই এটা তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। আর আস্তে আস্তে এই আন্ডারওয়ার্ল্ডের জায়গা অনেক বারানো হচ্ছে। প্রথমে আন্ডারওয়ার্ল্ড শুরু করা হয়েছিলো একদম কম জায়গা নিয়ে, কিন্তু আজ এটা বিশাল একটা রাজ্যে রূপ নিয়েছে।
।।।
।।।
আমরা একদম রাজ্যের মেইন দরজার সামনে এসে দাড়িয়েছি। আমাদের এভাবে আস্তে দেখে ভিতর থেকে কিছু ডেভিল উড়ে আমাদের দিকে আসতে লাগলো,
.
–মাই কিং এটা আমার বাবা। আপনার চার প্রধান জেনারেলের মধ্যে একজন।(হ্যারি)
.
–এতো ফরমালিটি দেখাতে মানা করেছি।(আমি)
।।।
।।।
আমাদের দিকে লুসেফার আর দুইজন ডেভিল উড়ে আসলো। এসে আমার সামনে কুর্নিশ করলো,
.
–মাই কিং আমরা অনেক দিন আপনার অপেক্ষা করেছি। আজ সেই অপেক্ষা শেষ। আমাদের আর ভয়ে এখানে বসে থাকতে হবে না। আমরা এখন থেকে নিজ ইচ্ছায় আপনার আদেশে আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে বের হতে পারবো।(লুসেফার)
.
–আপনি বুঝলেন কিভাবে উনিই আমাদের রাজা হবেন?(হ্যারি)
.
–তুমি এখনো অনেক ছোট হ্যারি। সময় হলে তুমিও বুঝতে পারবে। মাই কিং আপনার পুরো শক্তি এখনো পূর্ন হয় নি। আমাদের শুধু অপেক্ষা করতে হবে সেই সময়ের জন্য। তারপর আমাদের যা ছিলো আমরা সেটা আবার নিজেদের করতে পারবো।(লুসেফার)
.
–আমার ও প্রশ্ন আপনি বুঝলেন কিভাবে আমিই ডেভিল কিং হবো? আর আমার শক্তি কতটুকু সেটা বুঝলেন কিভাবে?(আমি)
.
–মাই কিং আমরা আপনার সেনার মধ্যে চারজন প্রধান জেনারেল। আমাদের মধ্যেই ক্ষমতা আছে আমাদের কিং কে সব অবস্থায় চেনার। কারন আমাদের ডেভিল কিং এর শরীর দিয়েই শুধু মারাত্মক এক রকমের কালো অদৃশ্য ধোয়া বের হয়, যেটা শুধু আমরা চারজনই দেখতে পারি।(লুসেফার)
.
–আমার একটা প্রশ্ন, হঠাৎ এখানে আসার পর আমার সকল অজানা তথ্য মনের মধ্যে দিয়ে ঘুরতেছে কেনো।(আমি)
.
–আমাদের পুরান ডেভিল কিং এর সকল মেমোরী এই আন্ডারওয়ার্ল্ডে রয়েছে। আর আপনি এখানে পা দেওয়ার পরই সেগুলো আপনার মেমোরীতে যোগ হয়ে গেছে।(লুসেফার)
.
–ওওওও। আচ্ছা আরেকটা প্রশ্ন। এতোকাল কোনো রাজা ছিলো না ডেভিলদের। চার ডেভিল জেনারেলের মধ্য থেকেই তো একজন রাজা হতে পারতো। কিন্তু তারা সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে কেনো?(আমি)
.
–কারন আমরা সত্যিকারের ডেভিল কিং ছাড়া সাধারন এক মনস্টারের জাত। আমরা যদি সিংহাসনে বসতামই তাহলে সেটা হতো আমাদের পুরো ডেভিলদের ধ্বংসের দিন। কারন আমাদের আসল রাজার শক্তি আর আমাদের শক্তি দুটোর আকাশ পাতাল পার্থক্য।(লুসেফার)
.
–ওওও।(আমি)
.
–মাই কিং। আপনার সাথে এই দুইজন কে? তারা কি আপনার সাথে রক্তের দিক দিয়ে কানেক্টেড? নাহলে তো তাদের এখানে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না বেশীক্ষন।(লুসেফার)
.
–ও জেসি আমার আপন বোন, আর ও হলো ক্যারেন। ভুল করে চলে এসেছে ও। আমার ছোট বোন ও।(আমি)
.
–তাহলে আর সমস্যা নেই। আপনার সাথে যারা রক্তের দিক দিয়ে কানেক্টেড থাকবে তাদের এখানে শ্বাস নিতে সমস্যা হবে না। আর আপনার পুরো ক্ষমতা ফিরে আসলে আপনি যাকে ইচ্ছা এখানে নিয়ে আসতে পারবেন।(লুসেফার)
.
–সেটা তো বেশ ভালো কথা।(আমি)
.
–হুমমম। চলুন মাই কিং। আপনাকে আপনার প্রাসাদে নিয়ে যাচ্ছি। আপনার প্রজারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে অনেক বছর ধরে।(লুসেফার)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন ২১ তম পার্টের জন্য। আর ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।