#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২৭
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি আলফাইমের রানীকে নিয়ে সোজা টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসলাম আন্ডারওয়ার্ল্ডে। রানী হয়তো আন্ডারওয়ার্ল্ডে আসে নি কখনো, তাই প্রাসাদটা অবাক হয়ে দেখছে। আলফাইমের প্রাসাদটা আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর একটা প্রাসাদ। যদি তাদের মতো করে আমরাও আমাদের প্রাসাদটা সাজাতে পারতাম তাহলে হয়তো ভালো হতো। যাইহোক আমি আলিয়ানাকে নিয়ে সোজা ড্রিম কুইনের কাছে গেলাম। আলিয়ানা লুসিকে দেখার পরই তার কাছে চলে গেলো। তাকে ম্যাজিক দিয়ে চিকিৎসা করতে লাগলো, যেটাকে ম্যাজিকের ভাষায় হিল বলে। আর যারা ম্যাজিক দিয়ে চিকিৎসা করতে পারে তাদের হিলার বলে।
.
–আমি যা ভেবেছিলাম তাই হয়েছে।(আলিয়ানা)
.
–কি হয়েছে? রানী আলিয়ানাা।(আমি)
.
–ড্রিম কুইনের ক্ষমতা মূলত তার দুনিয়ার থেকেই আসে। যত মানুষ সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখবে তার ক্ষমতা ততই বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু লোকির আক্রমনে হতো কোনোভাবে স্বপ্নের দুনিয়ায় বন্ধি করা সকল খারাপ স্বপ্ন খাঁচা ভেঙে বের হয়ে গেছে। এখন পৃথিবীর সকল মানুষেরা খারাপ স্বপ্ন দেখছে এক এক করে।(আলিয়ানা)
.
–আর তাতে রানী লুসির নিজের শরীরের হিল করার ক্ষমতা অনেক কমে গেছে।(আমি)
.
–হ্যা। আমার ম্যাজিকেও তার কিছুই হবে না। কিন্তু আমি একজনকে জানি যে রানী লুসির সাহায্য করতে পারবে।(আলিয়ানা)
.
–কে সে?(আমি)
.
–হ্যাভেন এর প্রিন্সেস আফরিয়েল।(আলিয়ানা)
.
–কিং মাইকেল এর কন্যা?(আমি)
.
–হ্যা। পুরো এগারো দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হিলার সে। এমন কোনো মারাত্মক আঘাত নেই যেটা সে ঠিক করতে পারে না।(আলিয়ানা)
.
–ঠিক আছে তার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবো?(আমি)
.
–সেটার জন্য আমাদের হ্যাভেন যেতে হবে। কিং মাইকেল কখনো প্রিন্সেসকে প্রাসাদের বাইরে যেতে দেয় না।(আলিয়ানা)
.
–ঠিক আছে তাহলে আমরা হ্যাভেন যাচ্ছি। অনেক ইচ্ছা ছিলো নিজের মায়ের আসল জন্মস্থানকে নিজ চোখে দেখা।(আমি)
.
–আপনার মা এন্জেল ছিলো?(আলিয়ানা)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–সেটা কিভাবে হয়? একজন ডেভিল কিং এন্জেলের ছেলে। এটা কখনো শুনি নি।(আলিয়ানা)
.
–হুমমম এটা অবাক করার বিষয়। কিন্তু আমার ডানা সেটার প্রমান।(আমি)
।।।
।।।
আমি আমার ডানা মেলে দিলাম। ডান পাশের সাদা ডানা দেখে অনেক অবাক হলো রানী আলিয়ানা।
.
–জানি না আপনি কি, কিন্তু ডেভিল কিং যে এন্জেল আর ডেভিল দুটোর পাওয়ার বহন করবে এটা আমি আগে কখনো শুনি নি। কিন্তু এটা শুনেছিলাম নতুন ডেভিল কিং সবচেয়ে আলাদা হবে।(আলিয়ানা)
.
–ওওওও।(আমি)
.
–আপনার আম্মা কে ছিলো?(আলিয়ানা)
.
–তার নাম ছিলো এন্জিলা জেনিফার, হ্যাভেনে তার নাম এন্জিলা গোন্জি ফ্যারাডে।(আমি)
.
–কি? তিনি তো….
.
–হ্যা তিনি মাইকেল ফ্যারাডের বোন ছিলো।(আমি)
.
–এখন বুঝেছি। রাজকীয় এন্জেল ব্লাড তোমার শরীরে থাকার ফলে হয়তো তোমার দুই সাইড আলাদা হয়েছে।(আলিয়ানা)
.
–আমি এখনো জানি না কেনো আমি এন্জেলের ক্ষমতা পেয়েছি। যদি দুজন বাবা মা এন্জেল না হয়, সব সময় মেয়ে এন্জেলের ক্ষমতা পায় আর ছেলে বাবার ক্ষমতা পায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেটা বিপরীত হলো কেনো আমি এখনো সেটার প্রশ্ন পাই নি।(আমি)
.
–আচ্ছা তাহলে আমাদের হ্যাভেনে কোনো সমস্যা হবে না বলে আমার মনে হয়। আমি তাহলে টেলিপোর্ট করছি সেখানে।(আলিয়ানা)
.
–এই কাজটা আমার উপরে ছেড়ে দিন। টেলিপোর্ট হয়ে শুধু লাভ আছে? ভ্রমনেই আসল মজা।(আমি)
.
–আপনি পাগল হয়েছেন? হ্যাভেন এখান থেকে কত আলোকবর্ষ দূরে সেটাও তো ঠিকমতো কেউ জানে না। আর আপনি সেখানে ভ্রমন করে কিভাবে যাবেন?(আলিয়ানা)
.
–লিম্বো ডাইমেনশন তো চিনেন?(আমি)
.
–হ্যা। এগারো দুনিয়ার মাঝামাঝি জায়গা সেটা। আর লিম্বো ডাইমেনশন দিয়েই দশ হাজার বছর পূর্বে যাতায়াত হতো এক দুনিয়া থেকে আরেক দুনিয়াতে।(আলিয়ানা)
.
–আমরাও সেটা করবো।(আমি)
.
–আপনি নতুন ডেভিল কিং হয়েছেন তাই হয়তো কিছু ঠিক মতো জানেন না। লিম্বো ডাইমেনশন দিয়ে যাতায়াত করার জন্য ডাইমেনশন কাটার ব্লেড দরকার ছিলো আগে। যেটা এখন এগারো দুনিয়ার মধ্যে খুব গোপন জায়গায় রাখা হয়েছে। এমনকি আমাদের আলফাইমের যে ব্লেড ছিলো সেটা এখন আমাদের গ্রেট ট্রি(বিশাল গাছ) এর ভিতরে।(আলিয়ানা)
.
–আমাকে এই তলোয়ারটা কিং মাইকেল দিয়েছিলো, আমি এটাকে খুব নরমাল একটা তলোয়ার ভাবতাম। কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ডে আসার পর থেকে এটার সম্পর্কে পুরোটা জানতে পেরেছি।(আমি এক্সোনিয়া হাতে নিয়ে)
.
–এটা তো এক্সোনিয়া। মনস্টাররা এখন এটা নাম দিয়েছে মনস্টার কাটিং ব্লেড। কিন্তু এটা ডাইমেনশন কাটতে পারে এমন একটা ব্লেড। আর এটা কয়েক হাজার বছর যাবৎ হ্যাভেনে পরে ছিলো।(আলিয়ানা)
.
–হ্যা। তাহলে চলুন যাওয়া যাক একটা লম্বা সফরে।(আমি)
।।।।
।।।।
আলিয়ানা আর না বললো না। ভিরুদার জন্য আলাদা একটা রুম ঠিক করা হয়েছে। সেখানে সে বিশ্রাম নিচ্ছিলো। আমি স্বপ্নের রানীকে কোলে নিয়ে নিলাম। জানি কিছুটা লজ্জাজনক বিষয়। কখনো কোনো মেয়েকে কোলে নেই নি। আর এনা দেখলে তো হয়তো মেরেই ফেলবে। তারপরও আমি কাউকে আমার রাজ্যে মরতে দিতে চাই না। আমরা তিনজন টেলিপোর্ট হয়ে ভিরুর কাছে চলে আসলাম। সে বিশ্রাম এখনো ঘুমে আছে। আমি গিয়ে আস্তে করে একটা কামড় দিয়ে দিলাম ওর একটা পায়ে। সাথে সাথে চমকে উঠলো। কিছুটা ব্লাড ও খেয়ে নিলাম আমি সেই সাথে,
.
–কেমন ডেভিল কিং আপনি আমি বুঝতেছিনা। আপনার কাছে ভ্যাম্পায়ার এর পাওয়ারও আছে?(আলিয়ানা)
.
–এসব কথা না জিজ্ঞেস করায় ভালো। পরিচয় করিয়ে দি এ হলো ভিরু, মানে ইগড্রাসিল।(আমি)
.
–এ ইগড্রাসিল। এটা তো ছোট একটা ড্রাগনের বাচ্চা। বিশেষ করে ইগড্রাসিলের বাচ্চা হবে।(রানী হাসতে হাসতে বললো)
.
–আমি কোনো বাচ্চা না। আমার নাম ভি রু দা। দ্যা গ্রেট ফায়ার ড্রাগন ইগড্রাসিল।(ইগড্রাসিল নিজের ফুল ফর্মে চলে আসলো)
.
–আমি অবাক হবো না। ডেভিল কিং এর কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী একটা ড্রাগন পার্টনার থাকবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো চিন্তা করি নি রক্ত খাওয়ার জন্য থাকবে।(হাসতে হাসতে বললো আলিয়ানা)
.
–না। আমি সব ধরনের রক্তই খেতে পারি শুধু নিজেরটা বাদে। এমনকি মানুষ বাদে রোজ রোজ নতুন জীবিত বস্তুর রক্তও ট্রাই করছি। একজন এল্ফসের রক্ত একবার খেয়ে দেখার দরকার।(আমি)
.
–আপনি কিন্তু আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন।(আলিয়ানা)
.
–ভয় পাওয়ার দরকার নেই। শুধু খেয়াল রাখবেন আমার সামনে শরীর থেকে রক্ত বের না হয় যেনো। রক্ত দেখলে আবার হুশ থাকে না আমার।(আমি)
.
–ঠিক আছে।(আলিয়ানা)
.
–কোথাও যাবে জ্যাকসন?(ভিরু)
.
–হ্যা। হ্যাভেন যাবো লিম্বো ডাইমেনশন দিয়ে। আর তুমি হবে উড়িয়ে নিয়ে যাবে।(আমি)
.
–ঠিক আছে। যেটা তুমি বলবে।(ভিরু)
।।।
।।।
আমরা তিনজন ভিরুর পিঠে উঠলাম। এরপর আমি আমার হাতে এক্সোনিয়া নিলাম। লিম্বো ডাইমেনশন দিয়ে যাতায়াত অনেক কঠিন ছিলো। অনেকটা লোকাল ট্রেনের মতো। মাত্র এগারো রাজ্যের কাছে এগারোটা ব্লেড ছিলো যেটা দিয়ে এক দুনিয়া থেকে অন্য দুনিয়াতে সবাই যাতায়াত করতো। বিশেষ করে সাধারন মানুষগন কখনো এটা করতে পারে নি। একটা দুনিয়ার গুরুত্বপূর্ন লোকেরাই তখন যাতায়াত করতে পারতো। কিন্তু টেলিপোর্টেশন স্পেল তৈরী হওয়ার পর থেকে সেই ব্লেড গুলোকে গোপনে রাখা হয়। সেই ব্লেড গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ন ছিলো। আর সেটার একটা এই এক্সোনিয়া। মূলত এক দুনিয়া থেকে আরেক দুনিয়াতে আমাদের যেতে হলে প্রথমেই লিম্বো ডাইমেনশনে যেতে হবে। এখন এই লিম্বো ডাইমেনশন হলো একটা নিরপেক্ষ জায়গা। যেখানে সময়ের কোনো মূল্য নেই। সেখানে কেউ যদি এক বছরও থেকে আসে তাহলে এখানে ফিরলে সময়ের কোনো পরিবর্তন হবে না। যে সময়ে গিয়েছিলো সেই সময়েই ফিরবে আবার।
।।।
।।।
আমি দেওয়াল বরাবর একটা ডাইমেনশন কাট দিলাম। এটা একটা স্পেল যার দ্বারা এক ডাইমেনশন কেটে আরেকটায় যাওয়া যায়। মূলত এটা যেকোনো জায়গায় দেওয়া যায়। একটা পোর্টালের মতো জিনিস সামনে হলো। ভিরু সেটার মধ্যে আমাদের নিয়ে ঝাপ দিলো। আবার শক্তিশালী টেলিপোর্ট স্পেল থাকলে সেটার সাহায্যেও সহজেই টেলিপোর্ট হয়ে এখানে আসা যায়। কিন্তু আমি টেলিপোর্ট স্পেল আপাতোতো ব্যবহার করবো না। জানি আমার মন আস্তে আস্তে পাল্টে যাচ্ছে। মনের মধ্যে খারাপ সব চিন্তা ভাবনা আসতে লাগলো। খুব কষ্টে আমি সামলে রাখছি। আমার ডেভিল সাইড বার বার আমার পুরো শরীরকে গ্রাস করে ফেলতে চাচ্ছে শুধু।
.
–আমি কখনো লিম্বো ডাইমেনশনে আসি নি। এটা যে এমন হবে আমি আগে কখনো ভাবি নি।(আলিয়ানা)
.
–হুমমম। এখানে থাকা মানে মহাকাশে থাকে। এখানে কোনো গ্রাভিটি নেই। সবাই এখানে বেশীক্ষন থাকতে পারে না। বিশেষ করে কোনো মানুষ তো এখানে থাকতে পারবেই না। এখানে কোনো অক্সিজেন নেই। আমাদের এখানে থাকার জন্য আমাদের নিজের ম্যাজিক পাওয়ার ব্যবহার করতে হয়। আর নিজের ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হলে আমরাও শেষ।(আমি)
.
–আমি যেমনটা ভেবেছিলাম মোটেও এটা সেরকম নয়। এখানে তো যতদূর দেখি কিছুই দেখতে পাই না।(আলিয়ানা)
.
–আমি বলে রাখি এখানেও অনেক কিছু আছে। কিন্তু সেগুলো খুজতে খুজতে আমাদের হয়তো একশ দুইশ বছর লাগতে পারে। তাই সেগুলো না খোজাই ভালো। আমি আরেকটা কাট দিচ্ছি। তারপর আমরা হ্যাভেনে চলে যাবো।(আমি)
.
–না আরেকটু ঘুরে দেখি কিছু দেখতে পাই কিনা।(আলিয়ানা)
.
–ড্রিম কুইন তো বেহুশ হয়ে রয়েছে। এভাবে যদি দুজন ঘুরে বেরায় তাহলে তো মনে হবে আমরা দুজন ডেট করছি।(আমি)
.
–সেটা কিভাবে হয়। আমি কেনো আপনাকে ডেট করতে যাবো?(লাল হয়ে আলিয়ানা বললো)
.
–মজা করলাম। কিছু মনে করবেন না। এখানে বেশীক্ষন ঘুরলে তেমন সবাই ভাবতে পারে, তাই চলে যাওয়ায় ভালো।(আমি)
।।।
।।।
আমি আরেকটা ডাইমেনশন কাট দিলাম। এবার সোজা আরেকটা পোর্টাল গিয়ে সোজা হ্যাভেনের দরজায় খুললো। হ্যাভেন হেডালিফ(মনস্টার দুনিয়া) এর সবচেয়ে কাছের দুনিয়া ছিলো। কিন্তু ডেভিল আর এন্জেলদের শত্রুতার জন্য দুটো দুনিয়ার মধ্যে এখন কতো দূরত্ব হয়ে গেছে সেটা কেউ জানে না। আমাদের দুই দুনিয়ার উপরে একটা অভিশাপ রয়েছে। আমরা যত যুদ্ধ করবো একে অপরের সাথে ততই আমাদের দূরত্ব বারতে থাকবে। জানি না এন্জেলরা এখন আমাকে কি হিসাবে দেখবে তাদের দুনিয়াতে আসার জন্য।।
।।।
।।।
হ্যাভেন বেশ সুন্দর একটা জায়গা। পুরো সাদা মেঘের উপরে একটা বিশাল রাজ্য তাদের। আর এটাই হ্যাভেনের একটা রাজ্য। তার রাজা হলো আমার মামা মাইকেল। জানি না আমার প্রবেশ থাকবে কিনা ভিতরে। কিন্তু যায়হোক আমি হার মানবো না। হ্যাভেনের সাথে যুদ্ধ হলেও আমাকে রানী লুসিকে সুস্হ করতে হবে। যদি দরকার পরে তাহলে মামাতো বোনকে অপহরন করে নিয়ে আসবো। হ্যা এখন যখন ভাবলাম বিষয়টা খারাপ না। এমনি পৃথিবীতে তো অপহরন করলে কিডন্যাপাররা টাকা চায় অনেক, আমি কিন্তু মামার থেকে তার সিংহাসন চাইতে পারবো। তারপর এই পুরো হ্যাভেন ও আমার মুঠোই হবে। কথাগুলো ভাবতে লাগলাম আর শয়তানি একটা হাসি দিলাম।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অনেকে বলেছিলেন এন্জেল দুনিয়ার নাম আফরিয়েল দিতে। কিন্তু তাদের বলে রাখি আফরিয়েল নামটা একজন এন্জেল এর। আর হ্যাভেন নামটা হলো এন্জেলদের দুনিয়া। ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সঠিক তথ্যই দিলাম। কেউ মাইন্ড কইরেন না। আর হ্যা একটা প্রশ্ন
১)এই পর্যন্ত গল্পে এগারো দুনিয়ার মোট কয়টা দুনিয়া উল্লেখ করা হয়েছে?