ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ১২

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ১২
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি হাটতে হাটতে শহর থেকে বের হয়ে গেলাম। যেহেতু আমি আর্কাইবের সদস্য তাই আমার আর্কাইব থেকে একটা আইডি কার্ড দিয়েছে, সেটা গেইটের সামনে দেখানোর পর আমাকে বাইরে বের হতে দিলো। আমার এখন টার্গেট হলো দুটো মাঝারি সাইজের মেমথ। আর্কাইব থেকে আমাকে একটা ম্যাজিকাল পাথর দিয়েছে, পাথরটা দিয়ে আমি আমার শিকার করা যে কোনো জিনিস সোজা আর্কাইবে টেলিপোর্ট করে পাঠাতে পারবো। অনেকটা সহজ করে দিলো এই পাথরটা আমার। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো শিকার করা। মেমথ গুলো অনেক শক্তিশালী। আমার মতো বাচ্চার পক্ষে মেমথ শিকার করা অনেক ক্ষতিকর। মাঝারি সাইজের মেমথ গুলো সব সময় একা একা থাকে, এজন্য আমার বয়স অনুযায়ী মাঝারী সাইজের মেমথ শিকার করার মিশনই আমাকে দিয়েছে আর্কাইব থেকে। মেমথ গুলো ভয়ঙ্কর হয় কারন তারা সবাই দল বেধে থাকে। আর তখন তাদের আক্রমন করা অনেক কষ্টকর হয়। কিন্তু মাঝারি সাইজের গুলো দল থেকে আলাদা থাকে বলে আমার সুযোগ বেশী। কিন্তু আমার চিন্তা হচ্ছে এটা ভেবে যে আমি তো কোনো স্পেল ব্যবহার করতে পারি না, তাহলে মেমথ শিকার করবো কিভাবে? তলোয়ার দিয়ে লড়তে চাইলেও তো সাধারন কিছু স্পেলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমি সেটাও পারবো না। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তার মধ্যেই আমার সামনে দুটো মাঝারি সাইজের মেমথ চলে আসলো। দুজন দাড়িয়ে দাড়িয়ে গাছের পাতা খাচ্ছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। কিন্তু সময় নষ্ট করে লাভ নাই। আমি সময় নষ্ট করলে অন্য কেউ চলে আসবে এগুলো শিকার করতে। আর তখন আমার কোনো অর্থ উপার্জন হবে না। আমি ভিরুদাকে পিঠ থেকে হাতে নিলাম। তলোয়ারটা কাপড়ে পেছানো আছে। আমার কাছে কিছু অর্থ আসলে আমাকে ভিরুদার জন্য একটা জামা কিনতে হবে। আমি ভিরুদার হাতল ধরে দাড়িয়ে আছি৷ মেমথ দুটো দাড়িয়ে আছে সামনে। কিন্তু আমার ভয় করছে ওদের আক্রমন করতে। সাধারন ভাবে আমার কোনো শক্তিই নাই মেমথের সাথে লড়ার জন্য। কিন্তু কিছু তো করতে হবে আমাকে। আমি ভিরুদাকে নিয়ে আক্রমন করে দিলাম একটার উপরে। একটার সামনের এক পায়ে আমি স্লাইস দিলাম একটা। সাথে সাথে মেমথের পায়ের মধ্যে আমার তলোয়ার ঢুকে গেছে। আমি টেনে বের করবো কিন্তু মেমথ ব্যাথায় তার পা জোরে নারা নেওয়ায় আমার তলোয়ার তার পায়ের মধ্যেই রয়ে গেলো, আর আমি দূরে গিয়ে পরলাম। আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। অনেকটা দূর এবং উপর থেকে পরায় আমার বুকের মধ্যে আমি অনেক ব্যথা পেয়েছি। মনে হচ্ছে পাজরের হাড় ভেঙে গেছে। আমি তারপরও উঠলাম। একটা মেমথের কাছে যদি আমি হেরে যায় তাহলে কখনো চলবে না। আমার মাথার মধ্যে রাগ উঠে গেলো। আমি দৌড়ে ওদের কাছে যেতে লাগলাম। দুজনই আমার উপরে ওদের পা এবং মাথার লম্বা নাক দিয়ে আক্রমন করতে লাগলো। কিন্তু রাগের কারনে আমার শরীর আরো হালকা মনে হচ্ছে, আমি খুব সহজেই তাদের আক্রমন গুলো প্রতিরত করতে পারলাম। এবং অনেকটা দূর থেকে স্লিপ করে যেখানে আমার তলোয়ার রয়েছে সেখানে পৌছে সাথে সাথে ভিরুদাকে টান দিয়ে আমি বের করে ফেললাম। এবার আমি দৌড় দিচ্ছি এবং একই সাথে দুটো মেমথকেই একসাথে আক্রমন করছি। আমার স্পিড এবং আক্রমনের পাওয়ার আগের থেকে অনেকটা বেরেছে। আমি দুটোর পায়ে অনেক আক্রমন করেছি যার ফলে দুটো একদম মাটিতে পৌছে গেছে। আমি আর দেরী করলাম না। দুটোর মাথাতেই দুটো আঘাত করলাম ভিরুদাকে দিয়ে। আর এরফলে তারা আর নারাচারা করতে পারছে না। আমি ম্যাজিকাল পাথর বের করলাম। এবং একটা ঘষা দিলাম। সাথে সাথেই মেমথ সহ আমি আর্কাইবের মধ্যে টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম। আমি রেজিস্টার অফিসের সামনে গেলাম। এবং সেখান থেকে আমার মিশনের অর্থ আমি নিয়ে নিলাম। মোট দশটা স্বর্ন মুদ্রা পেয়েছি আমি মেমথ দুটোর জন্য। দশ স্বর্ন মুদ্রা দিয়ে আমার জন্য একটা ড্রেস এবং ভিরুদার জন্য একটা ড্রেস কিনতে হবে। আমি আর দেরী করলাম না।
।।।
।।।
দেখতে দেখতে আমার দিনগুলো ভালোই কাটতে লাগলো। আর্কাইবের মিশনগুলো করতে করতে আমার অবস্থা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্যালেস থেকে কিছু বলে না, সোজা জেনারেল আদেশ করেছে আমার যা ইচ্ছা সেটা করতেই, তাই কোনো গার্ড দের ভয় আমার নেই আর। আমি শহরের সাথে অনেক পরিচিত হয়ে গেলাম এই কয়েকটা দিনের মধ্যে। এর মধ্যে একদিন আমি গেলাম একটা মিশনে যেটা একটা নতুন গুহা ছিলো। এটা আগে কখনো কেউ দেখে নি। হঠাৎ দুইদিন হলো এটা দেখা দিয়েছে শহরের পিছনে পাহাড়ে। আর সেখানে একগ্রুপ আর্কাইব সদস্য গেছে কিন্তু তাদের এখনো কোনো খবর পাওয়া যায় নি। আমার কাজ হলো তাদের খুজে ঠিকমতো বাইরে নিয়ে আসা। এটার জন্য আমি একশো স্বর্ন মুদ্রা পাবো, তাই আমি সহজেই রাজি হয়ে গেছি এটার জন্য। ভিতরে গুহার মধ্যে ঢুকে আমি নিজেই হারিয়ে গেছি। কারন ভিতরে ঢুকেই আমি দুটো রাস্তা পেয়েছি, ডান দিকেরটায় ঢুকে ভিতরে আবার চারটা পেয়েছি, আবারো ডানদিকেরটায় ঢুকার পর আটটা রাস্তা পেয়েছি, এবার আমি খুব বিরক্ত হয়ে গেছি। কি করবো বুঝতে পারছি না। এবার বাম দিকের একটা রাস্তা দিয়ে ঢুকার পর আবার ষোলোটা রাস্তা পেলাম। এবার বুঝতে পারলাম সামনে যেকোনো একটা রাস্তা নিলেই আমি বত্রিশটা রাস্তা পাবো আবার। তাই আমি আর সামনে আগালাম না। বুঝতে পারলাম আমি হারিয়ে গেছি গুহার মধ্যে। তাই পিছনে যেতে চাইলাম। কিন্তু পিছনে একটা রাস্তা দিয়ে ঢুকার পর আবার দুটো রাস্তা পেলাম। দুটোর ডান দিকেরটা দিয়ে ঢুকে এবার চারটা পেলাম। এই অবস্থা দেখে আমি একদম গুহার মাটিতে বসে পরলাম। আমি বুঝতে পারছি আমি নিজেই হারিয়ে গেছি এটার ভিতরে। কোনো মতেই আমি বের হতে পারবো না এখান থেকে। কিন্তু এখানে থাকলে তো আমি না খেয়ে মরবো। আমি এখানে মরতে চাই না।
।।
।।
বেশী চিন্তার কারনে আমার ঘুম পাচ্ছে অনেক। আমি ঘুমিয়ে গেলাম গুহার দেওয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে। অনেক গভীর ঘুমের মধ্যে পৌছে গেছি। কোনো স্বপ্ন দেখেছি কিনা সেটাও আমি বুঝতে পারছি না। কিন্তু ঘুম ভাঙার পর নিজেকে আলোকিত একটা জায়গায় খেয়াল করলাম আমি। জায়গাটা একদম গুহার মতো না। কিন্তু আমার মনে আছে আমি শেষ গুহার মধ্যে ছিলাম যেখানে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম। আর সেখান থেকে এখানে কিভাবে আসলাম সেটা আমি বুঝতে পারছি না। যাইহোক আমার সামনে একটা বয়স্ক ব্যক্তি হাত পা ছড়িয়ে ধ্যানে বসে আছে। যার চুল এবং মুখের সাদা দাড়ি মাটি পর্যন্ত ছুয়ে ফেলছে। আমি বুঝতে পারছি না আমি কোথায়। এবং কি কিভাবে এখানে আসলাম। জায়গাটা আর্কাইবের হলের মতোই বিশাল। তবে পার্থক্য হলো আমি এখান থেকে বের হওয়ার কোনো জায়গা দেখছি না। এখানে কিভাবে আসছি সেটা আমি জানি না, তাই বের হওয়ার রাস্তাও আমি দেখতে পাচ্ছি না। উপরের কিছু উজ্জল পাথর রয়েছে যেগুলো দিনের মতো আলো দিচ্ছে। আর তিনটা ফলের গাছ রয়েছে একদম মাঝখানে। একটা পুকুরও রয়েছে ছোট এক কোনায়। আর সবটা জায়গায় ঘাসে ভরা। আমি এরকম জায়গা আমার জীবনে প্রথম দেখলাম। সূর্যের আলো ছারা যে পাথরের আলোতে গাছ বেচে আছে এটা দেখে আমি অবাক হয়েছি। আমার উঠা দেখে বৃদ্ধ লোকটাও চোখ খুললো।
.
–আপনি কে? আর আমি কোথায় এখন? এখানে আসলাম কিভাবে আমি?(আমি)
.
–এক এক করে উত্তর দিচ্ছি। আমার নাম কি সেটা আমি নিজেই ভুলে গেছি এখানে এতো বছর থেকে। তবে হ্যা তোমার মতো আমিও একশো বছর পূর্বে এখানে একটা গুহার মধ্য থেকে এসেছি। আর এই জায়গাটাকে বলে রুইন অফ ড্রিম। আর আমার যতদূর মনে আছে আমি এখানে একটা গুহার মধ্যে থেকে এসেছি, তুমিও সেভাবেই এসেছো।(লোকটা)
.
–আপনি এখানে একশো বছর যাবৎ আছেন?(আমি)
.
–হ্যা। শুধু আমি না, এখানে একশো বছর পর পর একজন করে লোক আসে।(লোকটা)
.
–তো এখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন নি?(আমি)
.
–বের হওয়ার কোনো রাস্তাই নেই। প্রথম ত্রিশ বছর আমি ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারপর বুঝতে পারলাম এখান থেকে বের হতে পারবো না।(লোকটা)
.
–তাহলে কি আমাকেও এখানে সারাজীবন আটকা থাকতে হবে?(আমি)
.
–হয়তো। কিন্তু দুঃখজনক আমার বয়স হয়েছে। শেষ সময়ে আমি সঙ্গী পেলাম এখানে থাকার জন্য। অবশ্য একটা মেয়ে হলে এখানেই বংশবিস্তার করতে পারলাম। কিন্তু তুমি হলে একটা ছেলে।(লোকটা)
.
–আপনি কি এই আশায় ছিলেন। আচ্ছা আপনি বুঝলেন কিভাবে এখানে একশো বছর পর পর এক একজন করে আসে?(আমি)
.
–এখানের দেওয়াল গুলোতে নজর দিলে দেখতে পাবে এখানে আমার আগে যারা এসেছিলো তাদের লেখা সেখানে পাওয়া যাবে। আর তাদের তথ্য মতে অতীত থেকে এখানে একশো বছর পর পর একজন করে লোক আসে। কিন্তু বের হতে পারে না।(লোকটা)
.
–আচ্ছা তাহলে তো আগে অনেকেই এখানে মারা গেছে, তাদের মৃতদেহ তো এখানে থাকার কথা, আপনি কি দাফন করেছেন সবাইকে?(আমি)
.
–আজব করার বিষয় হলো আজ পর্যন্ত আমি একজনের মৃত দেহও পাই নি এখানে। আমার যতদূর মনে হয় তারা হয়তো এখান থেকে বের হয়েছিলো যেভাবেই হোক। কিন্তু আমি সব চেষ্টা করেছি, তাই আর কিছু চেষ্টা করার নেই।(লোকটা)
।।।
।।।
লোকটার পাশে আমি কাঠের কয়েকটা তলোয়ার দেখতে পেলাম। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো আমার ব্যাগ এবং ভিরুদা দুটোর একটাও আমার কাছে নেই। শুধু আমার জামা আমার সাথে রয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না এই বৃদ্ধ লোকটার জামা এতোবছর যাবৎ কিভাবে ঠিক আছে।
.
–জায়গাটা অনেক আলাদা। উপরের পাথরগুলো এক দিনের অর্ধেক সময় আলো দেই এবং অর্ধেক সময় আলো দেই না। একদম রাত দিনের মতোই হয় এখানে। পানির এই পর্যন্ত কোনো অভাব হয় নি। ভিতরে মাছ রয়েছে অনেক। এবং খাওয়ার মতো ফল রয়েছে। এখানে কোনো গরম ঠান্ডার সমস্যা নেই, পরিবেশ সব সময় এক রকমই থাকে। আশা করি ভালো লাগবে।(লোকটা)
.
–আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন? আপনার এই কাপড় একশো বছর কিভাবে টিকে আছে?(আমি)
.
–একটা স্পেল আছে যার নাম রিক্রিয়েশন। এটার দ্বারা আমি যেকোনো নষ্ট জিনিসকে আবার আগের মতো বানিয়ে দিতে পারি। ধরো আমার কাপড়ে কোনো কিছু হলে আমি সেটা আমার স্পেল দিয়ে আবার নতুন করে নিতে পারি।(লোকটা)
.
–ওয়াও। আপনার কাছে তলোয়ার রয়েছে। নিশ্চয় তলোয়ার তালাতে পারেন।(আমি)
.
–হ্যা সেটা তো অবশ্যই। আমার সময়ের মধ্যে আমি তলোয়ার লড়াইয়ের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। সে কি দিন ছিলো, অনেক মিস করি।(লোকটা)
.
–আমাকে শিখাবেন? আমি কোনো স্পেল ব্যবহার করতে পারি না। আমি চাচ্ছি তলোয়ার দিয়েই শক্তিশালী হবো আমি।(আমি)
.
–আমি প্রথম শুনলাম কেউ স্পেল ব্যবহার করতে পারে না। যায়হোক এখানে স্পেল না ব্যবহার করলে লজ্জায় থাকতে হবে বাছা তোমাকে। কিন্তু কোনো চিন্তা করো না, আমি আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার জানা সকল কিছু তোমাকে শিখিয়ে দিবো।
।।।
।।।
আমি মনে করেছিলাম বৃদ্ধ লোকটা তেমন কিছু হয়তো জানে না। কিন্তু তার কথা মতে সে আসলেই তলোয়ারের একজন সত্যিকারের মাস্টার। তার সাথে আমার অনেক ভালো সময় কাটতে লাগলো। আমাকে সে অনেক কঠোর ট্রেনিং দিতে লাগলো। তার জানা সকল কিছুই আস্তে আস্তে আমাকে শিখাতে লাগলো। আমার বৃদ্ধ লোকটার সবচেয়ে একটা জিনিসই ভালো লেগেছে, তিনি এখানে বন্ধী থাকার পরও পাথরের গায়ে দিন, মাস, বছরের হিসাব ঠিক রেখেছেন। আমার এখানে আসা প্রায় পাঁচটা বছর হয়ে গেছে। আমি পাঁচ বছরে পুরো লোকটার দেওয়া সকল ট্রেনিংই মাস্টার করে ফেললাম। এই সময়ের মধ্যে আমি বুঝে গেছি এই জায়গা থেকে আসলেই বের হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের নাই। তবে ট্রেনিং এর মধ্য দিয়ে সময় কাটে বলে আমি এখান থেকে বের হওয়ার কথা একদম ভুলে গেছি। কিন্তু হঠাৎ একদিন আমার চোখের সামনে বৃদ্ধ লোকটা মারা গেছে। আমি তাকে স্যার বলেই ডাকি এখন। সে মারা যাবার আগে শুধু এটুকুই বলে, তার নাম ছিলো লুসেফার। আর কিছু সে বলতে পারে নি। তার মারা যাবার কিছুক্ষনের পরই হঠাৎ তার দেহটা আলোর মতো হয়ে গেলো। এবং সেটা ম্যাজিকাল পাথরের সাথে গিয়ে মিশে গেলো। আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। যেহেতু আমার লোকটাও মারা গেছে, তাই আমি পুরো একা হয়ে গেছি। কিছুই করার নাই আমার এখানে আর। মনে হচ্ছে তার মতো আমাকেও এখানে মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরের পর্বের জন্য। কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here