ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৩৯

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৩৯
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি দাড়িয়ে আছি স্থির ভাবে। আমার দুইবোনের কাছে রয়েছে দুটো ড্রাগনের ক্ষমতা। একটা যেটা দুটো তলোয়ারের আকার নিয়ে আছে সেটা স্কাই ড্রাগন রাইকুয়া। তার ক্ষমতা হলো বায়ুর। আর একজনের কাছে ধনুক আকারে আছে থান্ডার ড্রাগনের ক্ষমতা যার কাছে থান্ডার এর ক্ষমতা রয়েছে৷ যাইহোক দুজন আমার পাশে এসে দাড়ালো৷ আমি তাদের কিছু বলতে যাবো, তার আগেই তারা জেসির দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,
.
–কোনো ডেভিল আজ পর্যন্ত আমাদের শহরে পা রাখে নি, আজ কি মনে করে একটা ডেভিল এখানে আসলো?(এলিন)
.
–আমি একটা গুরুত্বপূর্ন কথা বলছিলাম। আর তোমরা এসে সেটাই হাড্ডি বাজালে। যাইহোক আমি এখানে যে কাজের জন্য এসেছিলাম সেটা প্রথমে আমাকে করতে হবে। কিন্তু সেটার জন্য প্রথমে এই ড্রাগন ব্যারিয়ার আমাকে বন্ধ করতে হবে। এটার জন্য ম্যাজিক পাওয়ার ব্যবহার করতে পারছি না।(জেসি)
।।।
।।।
জেসির কথা শুনে আমার দুই বোনই অবাক হয়ে গেলো। কেউ হুট করেই থান্ডার এবং স্কাই ড্রাগনের ব্যারিয়ার সম্পর্কে জানে পারবে এটা তারা হয়তো আশা করে নি। যাইহোক,
.
–কি উদ্দেশ্যে এসেছো এখানে?(এলেন)
.
–আমার উদ্দেশ্য না হয় পরে কোনোদিন বলা যাবে।(জেসি)
।।।
।।।
জেসি সেখান থেকে লাফ দিলো। এবং আল্ট্রা স্পিডে চলে আসলো এলেন এর কাছে। এলেন এর কাছে রয়েছে ধনুক এবং এলিন এর কাছে রয়েছে দুটো তলোয়ার। জেসি তার হাত থেকে একটা তলোয়ার বের করলো। দেখে সাধারন তলোয়ারই মনে হচ্ছিলো। যেহেতু তিনজনই আমার বোন তাই আমি তাদের লড়াই দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখতে পারছি না। জেসি এই দুনিয়ায় আমার আপন বোন না হলেও আগের দুনিয়ায় ও আমার আপন জমজ বোনই ছিলো। আমি আমার দুটো তলোয়ার দুই হাতে নিয়ে সোজা দাড়িয়ে পরলাম এলেন এবং এলিন এর সামনে। জেসি ওর তলোয়ার নিয়েই আসছিলো আঘাত করতে। আমি আমার তলোয়ার দুটো ক্রস করে সামনে তুলে ধরলাম। জেসির আঘাত আমার তলোয়ারে লাগলো। এবং থেমে গেলো। পিছন থেকে এলেন এবং এলিন ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
–জেসি আমি আগের দুনিয়ায় তোকে কিছু বলতে পারি নি। কিন্তু এখানে সেটার সুযোগ হারাবো না। আগের টায় যা করেছিস আমি ভুলে গেছি সেটা সম্পর্কে। কিন্তু এখানে তেমন কিছু করলে আমি মাফ করতে পারবো না।(আমি)
.
–আমার কিছু করার নেই। ডেভিল কিং এর আদেশ আমার মানতেই হবে। তার হুকুম আমি কিছুতেই অমান্য করতে পারবো না।(জেসি)
।।।
।।।
জেসি এটা বলে আমার উপরেই আঘাত করতে লাগলো। এতোক্ষন ওর চোখ হালকা কালো থাকলেও এখন পুরো লাল হয়ে গেছে। ওর চোখের মনি কোথাও দেখা যাচ্ছে না। আমি এরকম দেখি নি আগে। তারপরও ভয় লাগছে কিছুটা। অনেক জোরে চিল্লানি দিলো ও। ওর তলোয়ার দিয়ে আরেকটা আঘাত করলো। আমিও দুটো দিয়ে আটকিয়ে রাখলাম। কিন্তু একটা লাথি দিলো আমার বুকে ব্যাক ফ্লিপ দিয়ে, যেটার ফলে আমি দূরে গিয়ে পরলাম। মাথায় কিছুটা আঘাত লেগে যায় একটা পিলারে বাড়ি খেয়ে। যার ফলে আমি কিছুক্ষনের জন্য বেহুস হয়ে গেলাম। কিছুক্ষন পর আমার জ্ঞান ফিরলো। আমি একটা লোহার পিলারের সাথে বারি খেয়েছিলাম। মাথার ক্ষত হিল গেছে আপাতোতো। আমার পাশেই থর বসে আছে। আর দূরে আমার দুই বোন এলিন এবং এলেন ও পরে আছে। দুজনের অবস্থাও তেমন ভালো না। অনেক গুরুতর আহত হয়েছে তারা দুজনেই। কি হয়েছে এখানে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
.
–জেসি তার নিজের কন্ট্রোলে নেই।(থর)
.
–কি?(আমি)
.
–হ্যা। তোমাকে লাথি দেওয়ার সময়ই ওর শরীর থেকে ওর নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে যায়। ও অন্য রকম একটা জিনিসে ট্রান্সফর্ম হয়ে যায়।(থর)
.
–কোথায় ও এখন?(আমি)
.
–উপরে দেখো তোমার আম্মার সাথে লড়াই করছে।(থর)
।।।
।।।
আমি উপরে তাকিয়ে দেখতে পারলাম আমার আম্মা কোনো প্রকার ডানা ছাড়ায় আকাশে উড়ছে। একজন মানুষ হয়ে এভাবে উড়া সম্ভব আমি কখনো ভাবি নি। আর জেসিকে দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। জেসির পুরো শরীর ট্রান্সফর্ম হয়ে গেছে একটা পুরো ডেভিল মনস্টার এর রূপে। তার শরীরের আকার বেড়ে গেছে। হাত এবং পায়ের নখগুলো বড় হয়ে গেছে। শরীরের সব মাংসপেশীও মোটা হয়ে গেছে। চেহারা আর আগের মতো সুন্দর লাগছে না। এখন একদম একটা মনস্টারের মতোই লাগছে, যেরকমটা আগের দুনিয়ায় মনস্টার ফর্ম ছিলো। যদিও এই দুনিয়ায় কেউই মনস্টার ফর্ম ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু জেসি বর্তমানে আছে মনস্টার ফর্মে, আর এখন ওর শরীরের উপরে ওর কোনো নিয়ন্ত্রন নেই। আমি একটা জিনিসই বুঝতে পারছি না। থর এইভাবে দাড়িয়ে আছে কেনো। ও লড়াই এ যাচ্ছে না। ও কি ভয় পাচ্ছে, নাকি নতুন দুনিয়ার লড়াইয়ে যেতে চাচ্ছে না। যাইহোক এটা পরে জানা যাবে।
।।
।।
আমি তাদের দুজনের পুরো লড়াই দেখতে পারি নি। আমার আম্মা অনেক হাপিয়ে গেছে। বুঝতে পারলাম লড়াই কোনদিকে যেতে চলেছে। জেসি কাছে এতোটা ক্ষমতা থাকবে সেটা আমি বুঝতে পারি নি। জেসি আমার আম্মার গলা ধরলো এবং নিজের স্বাভাবিক ফর্মে চলে আসলো। এরপর ডান হাত দিয়ে আম্মার মাথায় হাত রাখলো। আমি বুঝতে পারলাম বিষয়টা খারাপে দিকে যাচ্ছে। এতোক্ষনে ড্রাগন ব্যারিয়ারও ভেঙে গেছে। তাই আমি সোজা আমার শরীরের ডান অংশ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিলাম। এবং আমার ডান পা এবং ডান হাতের তালু দিয়ে সরু ভাবে আগুনকে অনেক স্পিডে বের করতে লাগলাম। এতে করে লুকের সাথে লড়ার সময়ের মতো আমি উড়তে লাগলাম। আমি আগুনের স্পিড অনেক বাড়িয়ে দিলাম। যার ফলে আমার উড়ার স্পিডও বেড়ে গেলো। আমি আমার পিঠের হাত বের করলাম দুটো। এবং দুটোকে একসাথে করে বিশাল একটা হাত বানালাম। যেটা দিয়ে আমি ঘুষি মারলাম সোজা উড়ে জেসিকে।
।।
।।
জেসি আমাকে খেয়াল করে নি। ও আমার আম্মার মাথায় হাত দিয়ে কিছু একটা করার জন্য বিজি ছিলো। আর সেই সুযোগে আমার দুটো হাত দিয়ে বানানো বিশাল হাতের ঘুষি খেয়ে জেসি একদম নিচের দিকে অনেক স্পিডে পড়লো। জেসিও লড়াই করতে করতে অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। আর আমার বিশাল একটা আঘাতে জেসি একদম রাস্তা ভেঙে গর্তের মধ্যে পরে গেলো। আম্মা অজ্ঞান হয়ে গেছে পরিমানের থেকে বেশী ম্যাজিক পাওয়ার ব্যবহার করার জন্য। আমি আমার দুহাত দিয়ে তাকে ধরে নিচে নামিয়ে দিলাম আস্তে আস্তে। যদিও আমার উড়ার বিষয়টা আমি এখনো ঠিকমতো কন্ট্রোল করতে পারি নি, তারপরও ঠিকমতোই আমি নিচে নেমে আসলাম।
।।।
।।।
আমি জেসির পরার জায়গায় এগিয়ে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম জেসি চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
.
–রাগ হচ্ছে তোর অনেক তাই না? হবেই না কেনো নিজের আম্মা, বোনদের উপরে কেউ আক্রমন করলে তো রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক তাইনা?(জেসি)
.
–তুই বিষয়টা ভালো করেই জানিস। তারপরও এটা কেনো করলি? আগের জিনিসের জন্য না হয় তোকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি, কিন্তু তুই এখানেও যদি একই রকম অপরাধ করিস, কয়বার তোকে আমি ক্ষমা করবো?(আমি)
.
–সেন্টিমেন্টাল হস না। তোর নতুন দুইন বোন এবং আম্মার সাথে লড়ে আমার অনেকটা ম্যাজিক পাওয়ার হারিয়ে গেছে। আর তোর ঔ হাতগুলোর আঘাতে আমার পুরো ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয়ে গেছে। এখন শরীর নারানোর মতো শক্তিও আমার নেই। এটাই সুযোগ আমাকে মেরে ফেল।(জেসি)
.
–কি বলছিস তুই?(আমি)
.
–এই জীবন যতদিন থাকবে ততদিন আমি ডেভিল কিং এর গোলামি করতেই থাকবো। তার আদেশ মানা ছাড়া আমার কোনো উপায় নাই। তাই আমি চাই তুই আমাকে মেরে ফেল।(জেসি)

।।।
।।।
আমি জেসির কাছে গেলাম। একটা ভাই হয়ে তার ছোট বোনকে কখনি কষ্টে রাখা যায় না। যদিও আমার আগের দুনিয়ার বোন ও। কিন্তু এখনো আগের দুনিয়ার স্মৃতি আমার মাথায় টকবগ করছে। তাই ভাই হয়ে নিজের বোনকে আমি কষ্ট দিতে পারি না। আমি জেসির কাছে গিয়ে ওর পেটে হাত রাখলাম। এবং ওকে হিল করতে লাগলাম।
.
–কি করছিস এটাই তোর সুযোগ আমার কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার।(জেসি)
.
–হয়তো তুই জানিস না একটা বড় ভাই কিংবা বোন হওয়াটা কিরকম হয়। নিচের চোখের সামনে তিন বোনদের রক্তাক্ত শরীর দেখাটা কিরকম সেটাও হয়তো বুঝবি না। নিজের শরীরের ক্ষতের থেকে এই জিনিসটা অনেক কষ্ট দেই।(আমি)
।।।
।।।
আমি জেসিকে কিছুটা হিল করতে লাগলাম। আর সাথে সাথে আমার পিঠ থেকে আমি দুটো হাত বের করলাম। এবং দুটোর একটা এলেন এবং আরেকটা এলিন এর মাথায় রাখলাম। এবং তাদের দুজনকেও হিল করতে লাগলাম। আম্মার শরীরে তেমন ক্ষত নাই, শুধু ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হওয়ার ফলে সে অজ্ঞান হয়ে গেছে, কিছুটা রেস্ট নিলে সে একাই ঠিক হয়ে যাবে। হঠাৎ জেসি আমাকে বলতে লাগলো,
.
–অনেক কিছুই তোকে বলার ছিলো, কিন্তু হয়তো এই দুনিয়াতেও সেটা বলার সুযোগ হবে নারে ভাইয়া।(জেসি)
.
–সবই আস্তে আস্তে বলতে পারবি।(আমি)
।।।
।।।
আমি জেসিকে হিল করতে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎই ও যেখানে শুয়ে ছিলো সেটার নিচে একটা পোর্টাল খুললো। এবং জেসিকে দুটো হাট ভিতরে টেনে নিয়ে গেলো। জেসি যাওয়ার আগে শুধু একটা হাসি দিলো। হাসিটা বানানো ছিলো সেটা আমি বুঝতে পারছি। ওর কথার মধ্যেও অনেক রহস্য ছিলো। যার কিছুটা আমার মাথায় ঢুকলো না। কিছু একটা বলতে চাই জেসি আমাকে। কিন্তু বলতে পারছে না হয়তো। আমি উঠে চলে দাড়ালাম। থর আমার কাছে এসে দাড়ালো। আমার মন অনেকটা ভেঙে গেছে। যদিও আমার জেসির উপরে রাগ হওয়ার কথা। কিন্তু ওর মুখ দেখলে আমার মনেই হয় না ও এরকম কিছু নি ইচ্ছায় করতে চাইবে। আগের দুনিয়ায় জেসির সাথে যতটা দিন আমার কেটেছে আমি এটা ভালোভাবেই বলতে পারি ওর মতো সুন্দর মনের মতো কেউ হতে পারে না। কিন্তু তারপরও বিষয়টার মধ্যে অনেক রহস্য রয়েছে। ও ডেভিল কিং এর কথা উল্লেখ করেছিলো। আমার মনে হচ্ছে এই ডেভিল কিং এর সাথে আগের দুনিয়ায় জেসির কোনো একটা লিংক ছিলো। সবই কোনোরকম এখন আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। এসব জিনিসে পরে বিস্তারিত যাওয়া যাবে।
.
–আপনার তো মিওনির এখন কাজ করছে থর, তাহলে এই লড়াই তো চাইলেই থামাতে পারতেন।(আমি)
.
–দেখো চাইলেই আমি জেসিকে মিওনির ছাড়াই আটকাতে পারতাম। কিন্তু তাতে আমার কাজটা অন্যায় হয়ে যেতো। আমি এই দুনিয়াতে জন্ম নেই নি এখনো, তাই এখানে লড়াই করাটাও আমার ঠিক হবে না।(থর)
.
–এটা কি রকম কথা?(আমি)
.
–সঠিকভাবে বলতে গেলে এই নতুন দুনিয়ার ক্ষমতার লেভেল অনেক কম আমাদের আগেরটা থেকে। আগের দুনিয়ায় সবাই ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারতো না। কিন্তু এখন সবাই পারে ম্যাজিক ব্যবহার করতে।(থর)
.
–আপনার কথা আমি বুঝতে পেরেছি। সবার মাঝে ম্যাজিক এই দুনিয়াতে ভাগ হয়ে যাওয়ার ফলে আগের রিয়েলিটি এবং এই রিয়েলিটির পাওয়ার লেভেল কমবেশী হয়ে গেছে। এটাই তো বলতে চাচ্ছেন?(আমি)
.
–হ্যা। এখন ড্রাকুলা, লোকি এবং আমার জন্য এটা অনেকটা পৃথিবীতে আসার মতো হয়ে গেছে। যেখানে ম্যাজিকাল ক্ষমতা দিক দিকে সবার উপরে আমরাই।(থর)
.
–এখন বুঝতে পেরেছি আপনি কেনো কোনো লড়াই এ যেতে চাচ্ছেন না।(আমি)
.
–হ্যা।(থর)
.
–তো এখানে তো আপনাদের বোরিং লাইফ যাবে।(আমি)
.
–মোটেও না। বরং এই দুনিয়া আমাদের অনেক ইন্টারেস্টিং লেগেছে। ড্রাকুলা চাচ্ছে প্রিন্সেস এলিনাকে রানী বানিয়ে একটা রাজ্য তৈরী করাতে, যেখানে সে সুন্দর একটা স্কুল বানিয়ে সেটার শিক্ষক হবে। লোকি তার নিজের চিন্তায় আছে। এবং আমিও আমার গোল পেয়ে গেছি।(থর)
.
–আপনি কি করবেন?(আমি)
.
–আমি এখানে এজগার্ড তৈরী করবো। যেটার রানী হবে তোমার বোন এলেন😉।(থর)
.
–কি?(আমি)
.
–হ্যা। আমি থর গড অফ থান্ডার আমার রানী হিসাবে তো গডেস অফ থান্ডারই প্রয়োজন😎।(থর)
.
–😱😱😱(আমি)
.
–অবাক হচ্ছো কেনো? এই দুনিয়াতে যাতে বোর না হয় তার জন্য তো রাজ্য পরিবার সবই প্রয়োজন।(থর)
.
–হ্যা হ্যা। কোনো সমস্যা নাই।(আমি)
।।।
।।।
থরের চরিত্র এরকম প্লে বয় হবে সেটা বুঝতে পারি নি। আমার বড় বোনের উপরে লাইন মারতে চাচ্ছে তার উপরে সেটা আমাকে বলছে আগে। যাইহোক আমি এতে মানা করার কেউ না। আমার বোন তাতে রাজী থাকলে আমিও রাজি। অনেকক্ষন হিল করার পর এলেন এবং এলিন উঠে গেলো। আমি তাদেরকে নিয়ে বাসার মধ্যে ঢুকলাম। আম্মাকে তার রুমের মধ্যে শুইয়ে দিলাম। তার বিশ্রামের প্রয়োজন।
.
–ঔ ডেভিলটা চলে গেছে তাহলে? জ্যাক তোমার কিছু হয় নি তো?(এলিন)
.
–না আপু, আমি ঠিক আছি।(আমি)
.
–আমি বিশ্বাস করতে পারি নি, আমাদের দুটো ড্রাগনের ক্ষমতা থাকার পরেও আমরা দুজন একটা ডেভিলকে হারাতে পারি নি।(এলিন)
.
–জ্যাক তোমার কাছে তো দুটো ড্রাগন আছে তাই না?(এলিন)
.
–হ্যা। কিন্তু তোমাদের দুটো পেলে কিভাবে তোমরা?(আমি)
.
–এই দুটো আমাদের নানার কাছে ছিলো। আমাদের দুজনের বয়স যখন এক বছর তখন আমাদের নানা এখানে আসে এবং তার কাছ থেকেই আমরা দুজন দুটো তলোয়ার পায়।(এলেন)
.
–আমাদের সঠিক মনে নেই, কিন্তু আম্মা বলেছিলো যে আমরা দুটো তলোয়ার হাতে নেওয়ার পর সেটা থেকে আলো বের হতে শুরু করে। এবং দুটো তলোয়ারেরই রূপ বদলে যায়। এলেন এর টা ধনুক হয়ে যায় এবং আমারটা দুটো তলোয়ার হয়ে যায় যেটা চেইন দিয়ে আটকানো থাকে।(এলিন)
.
–কিন্তু তোমার দুটো পেলে কিভাবে?(আমি)
.
–এটা অনেক বড় কাহিনী।(আমি সব বলে দিলাম)
.
—তাহলে ডেভিলটাকে হারালো কে? তোমাকে তো বেহুস হয়ে যেতে দেখলাম?(এলেন)
.
–জ্যাকের মাস্টার হিসাবে আমি ওর উপরে কনফিডেন্ট ছিলাম যে ও হারাতে পারবে। কিন্তু সবাই অজ্ঞান হওয়ার পর আমাকেই হারাতে হলো ডেভিল তাকে। ডেভিলটাকে মারতে গিয়েছিলাম তার আগেই সে পালিয়ে যায় পোর্টাল দিয়ে।(থর)
।।।
।।।
আমি থরের দিকে তাকালাম। এতো বড় মিথ্যা কথা কেউ বলতে পারে সেটা আমি আজ জানতে পারলাম। কিন্তু তার উদ্দেশ্য যে আমার বোনের সাথে ফ্লার্ট করা সেটা আমি বুঝতে পারলাম। এটা ড্রাকুলার মতো কিডন্যাপ করার মতো লোক না। বরং আস্তে আস্তে মন জয় করার লোক। তারপর দেখা যাক কি হয়।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
আজকে লেখার মুড ছিলো না। বৃষ্টির দিনে গল্প লেখার থেকে মুভি দেখতে ভালো লাগে অনে। তারপরও তারাহুরা করে লেখা ভুল হলে বলবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here