ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ০৪

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমার শরীরের স্পর্শে আশার সাথে সাথে হ্যারির শরীরের ক্ষতও ঠিক হচ্ছে আস্তে আস্তে। হঠাৎ আমার শরীরে এতো শক্তি দেখে আমি অবাক হলাম। আমি সব কিছুতেই দুর্বল ছিলাম, তাই হঠাৎ করে শক্তিশালী হয়ে উঠাটা আমার মাথা নিতে পারছে না। আমি হ্যারিকে আমার কাধে করেই রাখলাম। ওর পুরো শরীর ঠিক হয়ে গেলোও ও এখন বেহুস হয়ে আছে। হয়তো কিছুক্ষন রেস্ট দরকার ওর এখন। আমাকে এই সুযোগে ওকে নিয়ে এখান থেকে পালাতে হবে। আমি এখনো সিওর না আমি পুরো পুরো শক্তিশালী হয়েছি। কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি আমার শরীর আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হয়েছে, এবং আমার একটা নতুন ক্ষমতাও হয়েছে যেটা হলো আমার যেকোনো ক্ষত একা একাই ঠিক হয়ে যাবে, এবং আমার সংস্পর্শে যারা আসবে তাদের ক্ষতও একা একাই ঠিক হতে শুরু করবে। কিন্তু আমি এখনো সিওর না আমি কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবো। আমি ম্যাজিক নিয়ে অনেক বই পড়েছি। কিভাবে ম্যাজিক ব্যবহার করতে হয় সেটাও আমি জানি। কিন্তু নতুন ক্ষমতা পাওয়ার পরও মনে হয় না আমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবো। আমি ম্যাজিক ব্যবহার করার জন্য হাত বারালাম। একদম ছোট খাটো একটা স্পেল ব্যবহার করতে চাইলাম যেটা যে কেউ পারে। ছোট একটা বল বানাতে চাইলাম। এতে করে আমি এটাও দেখতে পারবো আমার ম্যাজিক কোন এট্রিবিউটের। কিন্তু যেটা আশা করেছিলাম সেটাই হলো। ছয় এট্রিবিউটের একটারও বল হলো না। এটাই সবচেয়ে সাধারন স্পেল যেটা দিয়ে এট্রিবিউট চেক করা হয়। এই স্পেলের মাধ্যমে বোঝা যায় কার কি এট্রিবিউট। যদি কারো ফায়ার এট্রিবিউট হয় তাহলে তার হাতে আগুনের বল তৈরী হবে। এভাবে ওয়াটার, এয়ার, আর্থ, লাইট, ডার্ক এর এট্রিবিউট হলে যথাক্রমে পানি, বায়ু, মাটি, আলো, এবং অন্ধকারের বল তৈরী হবে হাতে। কিন্তু তার কিছুই আমার হাতে তৈরী হচ্ছে না। তার মানে এন্জেল ছেলেটা শুধু আমাকে শারিরীক ক্ষমতাই দিয়েছে। আবার ব্যাপারটা অন্যরকম ও হতে পারে। যেহেতু আমি কোনো ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না তাই ছেলেটার দেওয়া ম্যাজিকও আমি ব্যবহার করতে পারবো না। যাইহোক আমার লোভি হলে চলবে না। আমার কাছে এখন যা আছে তাতেই আমার জীবন ভালো ভাবে কেটে যাবে। তখন কেউ আমাকে দুর্বল ভাবতে পারবে না। তবে আমি ছেলেটার শেষের একটা কথা শুনেছি। সে বলেছিলো তার ম্যাজিক পুরোপুরি ভাবে শিখতে আমার অনেক সময় লাগবে, এবং বিশেষ মুহুর্তেই আমি আপাতোতো সেগুলোকে ব্যবহার করতে পারবো, এর মানে হচ্ছে ম্যাজিক আপনাআপনি সময় বুঝে কাজ করবে। তখন আমাকে কিছুই করতে হবে না। এইসব বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে আমার কোনো লাভ নেই। আমাকে এই জোন থেকে বের হতে হবে। আমি জানি না এখানে আর কতোক্ষন নিরাপদ আছি আমরা। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে কিছুক্ষনের মধ্যে সৈন্য এখানেও চলে আসবে।
।।।
।।।
আমি হ্যারিকে কাধে নিয়ে দৌড়াতে লাগলাম। আমার তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। যদিও দৌড়াতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আগে আমি কিছুক্ষন হাটলেই হাপিয়ে যেতাম। কিন্তু এবার তার থেকে অনেকটা শক্তিশালী তো হয়েছি আমি। আমার শরীরের শক্তি দেখে মনে হচ্ছে আমি একজন বিস্টম্যানের মতো শারিরীক ক্ষমতা অর্জন করেছি। যদিও আমার বডি তাদের মতো বৃদ্ধি পায় নি, কিন্তু আমি নিশ্চিত তাদের মধ্যে যেসব শক্তি আছে সেসব আমার মধ্যেও আছে এখন। যদি কিছু অসাধারন ম্যাজিক আমি ব্যবহার করতে পারতাম এখন। আমি এই দুনিয়ার সকল সাধারন শক্তিশালী ম্যাজিক গুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি শুধু বই পড়েই। আমাদের বাসার যে লাইব্রেরি ছিলো ঔটার যে বইগুলো আমাকে পড়তে হয়েছে সেগুলো এই দুনিয়ার ইতিহাস এবং সকল স্পেল নিয়েই। কম করেও হলে আমার পাঁচ হাজার স্পেল মুখস্ত করা আছে। যদিও এট্রিবিউট অনুযায়ী ম্যাজিক গুলো কাজ করে। যেমন ফায়ার এট্রিবিউটের কেউ আগুন বাদে অন্য কোনো এট্রিবিউটের স্পেল ব্যবহার করতে পারবে না। আবার তার মধ্যদিয়ে রয়েছে সাধারন স্পেল যেগুলো ব্যবহার করতে কোনো এট্রিবিউটের প্রয়োজন হয় না। উধাহরন স্বরূপ টেলিপোর্টেশন স্পেল। তবে এগুলো ব্যবহার করার জন্য ম্যাজিক পাওয়ারটা বেশী হওয়া প্রয়োজন হয়। আমাদের এই দুনিয়াতে যত স্পেল আছে তাদের মধ্যে আমার মাত্র দুই শতাংশ মুখস্ত হয়েছে। আমার ইচ্ছা আমি পুরো একশো শতাংশই মুখস্ত করবো। আমার এট্রিবিউট কি আমি সেটা জানি না। এমনকি আমি ম্যাজিকও ব্যবহার করতে পারি না। কিন্তু আমার স্বপ্ন সেদিন লাইব্রেরিতে প্রবেশ করার পর থেকেই ছিলো যে সমস্ত স্পেলের জ্ঞান আমি আমার এই মাথার মধ্যে রাখবো। আর এখন এই এন্জেল ছেলেটার দেওয়া নতুন ক্ষমতা দিয়ে আমি সে স্বপ্ন সহজেই পূরন করতে পারবো। আমি চাই না এর আগে কেউ আমার জীবনটা শেষ করে ফেলুক।
।।।
।।।
আমি দৌরাতে ছিলাম হ্যারিকে নিয়ে। হ্যারি এখনো অজ্ঞান হয়ে আছে। হঠাৎ আমাকে চারপাশ থেকে মেট পনেরো জন সেনা ঘিরে ধরলো। আমার দৌড়ানোর সকল রাস্তা তারা আটকে দিলো। আমি জানি না কি করবো আমি এখান থেকে। এরা মিলিটারি সৈনিক। এদের ক্ষমতা সত্যিই মারাত্মক হয়। আর আমি মাত্র দশ বছরের একজন ছোট বাচ্চা। আমার বয়সই এখনো হয় নি লড়াই করার জন্য। তার উপরে আমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না। নতুন শারিরীক ক্ষমতাও আমার কাজে দিবে না এখন। কারন সেটা লড়াই এর জন্য অনেক দুর্বল। আমি জানি আমার বয়স বারার সাথে সাথে এবং কঠোর ট্রেনিং এর ফলে আমার শারিরীক ক্ষমতাই একটা মারাত্নক অস্ত্র হয়ে যাবে। কিন্তু এখন শারিরীক ক্ষমতা শুধু জীবন নিয়ে পালানোর কাজেই দিবে। আর আমাকে পনেরো জন ঘিরপ ধরেছে। একজনের সাথে লড়তে গেলেই আমি মারা যাবো, আর এখানে তো পনেরো জন। দুই তিনজন থাকলে পালিয়ে যাওয়া যেতো। কিন্তু পনেরো জনের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। আমাকে দেখে একজন কথা বলতে লাগলো,
.
–এতোদূর পর্যন্ত তো তোমরা দুজনই আস্তে পেরেছো, কিন্তু এরপর আর কোথাও যেতে পারবে না। বাচ্চা হিসাবে দুজনকে মানতে হবে, আলাদা কিছু আছে তোমাদের মধ্যে। কিন্তু এখন প্রশংসা করার সময় নেই আর। মরতে হবে তোমাদের দুজনকে এখন।(সৈনিক)
।।।
।।।
আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। সকলে একসাথে আমার দিকে ফায়ার বল ছুড়ে মারলো। পনেরোটা আগুনের ফুটবল আমার দিকে আসছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। একটা বলও আমার শরীর স্পর্শ করলে আমার শরীরের চিহ্ন পর্যন্ত থাকবে না। আগুনের বল গুলো আমার শরীর স্পর্শ করবে তার আগেই আমার পিঠ থেকে মোট পনেরোটা সাধা হাত বের হয়ে গেলো। হাট গুলো অনেকটা অদৃশ্য হওয়ায় মনে হয়না কেউ তাদেরকে দেখতে পেরেছে। হাতগুলো দেখে সেই ছেলেটার ডানার কথা মনে পরে গেলো। যেহেতু আমার পিঠ থেকে হাত গুলো বের হয়েছে তাই আশ্চর্যের ব্যাপারই এটা। ডানা না বের হয়ে হাত বের হবে এটা আশা করি নি আমি কখনো। পনেরোটা হাত পনেরোটা আগুনের বলকে ধরে ফেললো। এবং সেগুলোকে আবার তাদের দিকেই মারতে লাগলো যারা সেগুলো আমার দিকে ছুড়েছে। তারা যে স্পিডে মেরেছে তার থেকে দশগুন বেশী স্পিডে ফায়ার বলগুলো তাদের দিকে গেলো। বেশী স্পিড হওয়ায় তারা সেগুলো থেকে সরে যেতে পারলো না। পনেরো জনই তাদের ফায়ার বলের আঘাতে আক্রান্ত হলো। তারা বয়সে অনেক বড় এবং শক্তিশালী তাই মারা যায় নি। গুরুতর আক্রান্ত হয়েছে এটা দেখতে পাচ্ছি। আমি যেহেতু ম্যাজিক আগে থেকেই দেখতে পারতাম, তাই আমার সামনে কে কত শক্তিশালী ম্যাজিক ব্যবহার করছে এটা তার স্পেল দেখেই আমি বলতে পারতাম। পনেরো জনের ছোড়া ফায়ার বলটা যখন আমার পিঠের পনেরোটা হাত তাদের দিকে ছুড়ে মারলো তখন সেটা তাদের ছোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়ে যায়। আমি এরকম কোনো স্পেল সম্পর্কে শুনি নি। আমি আরো উত্তেজিত হয়ে পরলাম নতুন নতুন স্পেল সম্পর্কে জানার জন্য। জানি না আরো কতো অজানা স্পেল রয়েছে। কিন্তু এটার কাজ দেখে বুঝতে পারলাম এটা আমার আত্যরক্ষার সাথে আক্রমনের কাজ দুটো একসাথে করবে।
।।।
।।।
আমি আর সময় নষ্ট করলাম না। হ্যারিকে পিঠে করে নিয়ে আমি সোজা আবার নদীর পাশে চলে আসলাম। এভাবে দৌড়িয়ে আমি এখান থেকে যেতে পারবো না সেটা বুঝতে পারলাম। আমি সিওর না পরের বার আমার পিঠের হাত গুলো আমাকে আবার সাহায্য করতে বের হবে। আমি কিছু কলা গাছ দেখতে পেয়েছি, যেগুলোকে একটু শারিরীক ক্ষমতা কাজে লাগিয়েই কাটা সম্ভব। তবে এই গাছ কাটা তেমন সহজও নয়। ধারালো কোনো তলোয়ার থাকলে এটা এক কোপেই কাটা যায়। কিন্তু ধারালো কিছু নাই আমার তাই আমাকে আমার হাতের সাহায্য নিতে হবে। আমি সঠিক বুঝতে পারছি না আমার হাত এটা কাটার জন্য যথেষ্ট নাকি। কিন্তু আমি কিছু বিস্টম্যানকে দেখেছি এই গাছ হাতের সাহায্যে কাটতে। তাই আমাকেও চেষ্টা করতে হবে। আমি আমার আঙ্গুল গুলো সমান করে রেখে হাত দিয়ে জোরে নিচে আঘাত করলাম সাথে সাথে গাছটা কেটে গেলো। আমি জানি এটার একটাই আমাদের দুজনের ভর নিতে পারবে। তারপরও যেহেতু হ্যারি বেহুস হয়ে আছে তাই আমাকে দুটো নিতে হবে। আমি দুটো গাছকে একসাথে আমার ব্যাগে থাকা দড়ি দিয়ে বেধে নিলাম। এবার হ্যারিকে আমার সামনে বসিয়ে আমি ওর পিছে বসে দুজনে পানিতে নেমে পরলাম। পানির স্রোতে আমরা যেতে লাগলাম। যেহেতু সেই সৈনিকের মুখে শুনেছি তারা এতোদূর আমাদের আশা করে নি তাই আমার মনে হচ্ছে এর থেকে দূরে তারা কেউ আসবে না। আর এটাই আমাদের সবচেয়ে সূবর্ণ সুযোগ হবে এই জায়গা থেকে বের হওয়ার জন্য। আমরা স্রোতে ভাসতে ভাসতে অনেকক্ষন পর বিশাল একটা নদীতে এসে পরলাম। এই নদীর স্রোতও অনেক প্রচন্ত। হয়তো এটা বড় কোনো সাগরের দিকে যাচ্ছে। আমাদের এর থেকে বেশী দূর যাওয়া ঠিক হবে না। তাই আমি আমার হাত এবং পা ব্যবহার করে কিনারায় আসার চেষ্টা করলাম। এমনিতে এই স্রোতের বিরুদ্ধে আমি কখনোই কিনারায় যেতে পারতাম না। কিন্তু এখন আমার শারিরীক ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনো সমস্যা হলো না। কিনারায় পৌছানোর পর পরই আমি হ্যারিকে নামিয়ে শুইয়ে দিলাম। আমিও ব্যাগটা পাশে রেখে শুয়ে পরলাম। শরীরটা এখন ক্লান্ত হচ্ছে। অনেক ভারী হয়ে যাচ্ছে আমার শরীর। চোখও বন্ধ হয়ে আসছে। আমি সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরলাম। জানি না কখন ঘুম থেকে উঠেছি। কিন্তু ঘুম থেকে উঠার পরে নিজেকে একটা রুমের মধ্যে আবিষ্কার করলাম। নতুন একটা রুম হলেও, রুম দেখে আমি বুঝতে পারলাম এটা একটা মিলিটারি কোয়ার্টার রুম। তবে এটা আগের টা থেকে উন্নত যেটায় আমি পাঁচ বছর থেকেছি। আমি উঠার সাথে সাথে দেখতে পেলাম আমার বিছানার পাশেই এক লোক মাথায় একটা কালো টুপি এবং গায়ে একটা কালো কোর্ট পরা চেয়ারে পায়ের উপরে পা তুলে বসে চা পান করছে।
.
–তাহলে উঠে গেছো।(লোকটা)
.
–কে আপনি? আর আমি কোথায় এখন? আর হ্যারি কোথায়?(আমি)
.
–ওয়েট ওয়েট ইয়াং ম্যান। সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। আমি তোমাদের মিলিটারি স্কুলের প্রিন্সিপাল। আমার নাম এলেক্স। আর তুমি এখন আছো আমাদের স্কুলের হ্যাড কোয়ার্টারে। এতোদিন তোমরা ছিলে ট্রেনিং জোনে। কিন্তু আজ থেকে তুমি হ্যাড কোয়ার্টারে থাকবে। আর তোমার বন্ধু হ্যারি ঠিক আছে। রেগুলার ট্রেনিং এর জন্য বাইরে গিয়েছে। তুমিও আজ থেকে জয়েন করতে পারবে।(প্রিন্সিপাল)
।।।।
।।।।
আমি অবাক হলাম। ওর বয়স সতেরো কিংবা আঠারো হবে। এতোক্ষন ওর মুখ ঢাকা ছিলে বলে আমি ভালো করে দেখতে পারি নি। কিন্তু এখন বুঝলাম। এতো কম বয়সে মিলিটারি স্কুলের প্রিন্সিপাল হবে এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। হয়তো অনেক শক্তিশালী হবে তাই এই পদে আছে সে। যাইহোক আমি প্রশ্ন করতে লাগলাম।
.
–আমাদের এখানে এনেছেন কেনো? আমরা তো ফেইল করেছি। সবাইকে মেরে আমাদের এখানে রাখার কোনো মানে হয় না।(আমি)
.
–উহু।।। ভুল বুঝতেছো আমাদের। আমরা কাউকে মারতে চাই নি। আমরা চেয়েছিলাম পনেরোশো জনের মধ্য থেকেও কিছু টেলেন্টেড ছেলে মেয়ে সিলেক্ট করতে। যাদের জায়গা বাকি পাঁচশোজনের থেকে আলাদা এবং ভিন্ন হবে।(প্রিন্সিপাল)
.
–মানে বুঝলাম না।(আমি)
.
–মানে আমাদের জেনারেল সারের আদেশ ছিলো তাকে পাচঁজন সেনা সিলেক্ট করে দিতে হবে যারা মৃত্যুকেও ভয় পাই না। আর সেটা করার জন্য আমাকে কিছু সিরিয়াস করার দরকার ছিলো। আর আমি সেটাই করেছি।(প্রিন্সিপাল)
.
–তাই বলে আপনারা আমাদের সবাইকে মেরে ফেলতে চাইবেন?(আমি)
.
–অবশ্য জেনারেলের আদেশ সেটাই ছিলো। কিন্তু পরে সোজা তিতীয় প্রিসেস এর কাছ থেকে অর্ডার আসে যে কোনো ছেলে মেয়েকে না হত্যা করতে। তারপরও ব্যাপারটা সিরিয়াস করার জন্য আমাদের সেনা সকল ছেলে মেয়েদের পায়ে আক্রমন করে যাতে বেশী ক্ষত না হয়। আর আক্রমন করার পর তাদের বেহুস করে তাদের ক্ষত ঠিক করে দেই। কিন্তু পনেরো জনের মধ্য থেকেও আমরা তেমন কাউকে পাই নি। তবে তিনজন পাওয়া গেছে যারা একসাথে আমাদের দুইজন সেনাকে অজ্ঞান করে দিয়েছে। কিন্তু তারা জোনের বাইরে বের হতে পারে নি। তবে আরো দুইজন পাওয়া গেছে যারা একসাথে পনেরোজন সেনাকে বেহুস করে দিয়েছে এবং একই সাথে জোনের বাইরে বেরিয়ে গেছে। জিনিসটা শোনার পর আমি অনেকটা অবাকই হয়েছি প্রথমে।(প্রিন্সিপাল)
.
–ওওও।(আমি)
.
–পরে তদন্ত করে যখন জানতে পারলাম একজন ছেলে যে শারিরীক ভাবে পাঁচটা বছর একদম দুর্বল ছিলো। কোনো ম্যাজিক ছোট থেকে ব্যবহার করতে পারে নি। সে হঠাৎ করে পনেরোজন সেনাকে একসাথে বেহুস করে দিবে, এরকম জিনিস কোথাও দেখা যায় না।(প্রিন্সিপাল)
।।।
।।।
আমি প্রিন্সিপালের কথা শুনে চমকে গেলাম। আমার মনে হচ্ছে প্রিন্সিপাল বুঝতে পেরেছে আমি কিছু থেকে আমার ক্ষমতা পেয়েছি।
.
–হঠাৎ করে এতো শক্তিশালী হয়ে যাওয়া মানে হচ্ছে হয়তো তোমার ক্ষমতাগুলো আগে থেকেই লক করা ছিলো, কিংবা তুমি নাটক করছিলে দুর্বল হওয়ার। দুইটার যেটাই হোক এখন আমার কোনো কিছুই যায় আসে না। জেনারেল অনেক যত্ন করে তোমাদের পাঁচ জনকে ট্রেইন করতে বলেছে। রাজ্যের সবচেয়ে রাজ্যের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বানাবে তোমাদের। তাই আমি বলবো আগের সব কাহিনী ভুলে যাও এখন থেকে।(প্রিন্সিপাল)
।।।
।।।
প্রিন্সিপাল আমার কপালে হাত দিয়ে একটা স্পেল পরলো। আমি বুঝতে পারলাম না কিসের স্পেল। কিন্তু স্পেলটা আমার সমস্ত মেমোরী মুছে দিলো। আমার অতীতের সমস্ত কিছু আমি ভুলে গেলাম। আমার মনে থাকার মধ্যে শুধু আমার আম্মা, এবং দুই বোনের চেহারাই মনে আছে। আর আমার পড়া সকল বইয়ের তথ্য। এছাড়া আমার কিছুই মনে পরছে না। কালকে কিংবা তার আগে আমি কি করেছি সব ভুলে গেছি।
.
–বড় আশ্চর্যের ব্যাপার স্যার। আমি কিছু মনে করতে পারছি না।(আমি)
.
–তুমি দুদিন আগে মাথায় অনেক গুরুতর আহত পেয়েছিলে। যার জন্য তোমার কিছু কিছু স্মৃতি নষ্ট হয়ে গেছে।(প্রিন্সিপাল)
.
–ওওও। কিন্তু আমি এখানে কি করছি সেটাও মনে করতে পারছি না।(আমি)
.
–তুমি এখানে শক্তিশালী হতে এসেছো। ব্লাক আর্মিতে জয়েন হওয়ার জন্য এসেছো।(প্রিন্সিপাল)
.
–ব্লাক আর্মি?(আমি)
.
–হ্যা। এটা রাজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা হবে। আর ছোট থেকেই তোমার ইচ্ছা ছিলো একজন মিলিটারি সৈনিক হওয়ার। আর এখন তোমার স্বপ্ন পূরন হচ্ছে। সাধারন মিলিটারি সৈনিক নয় বরং তার থেকেও শক্তিশালী পদে থাকবে তুমি।(প্রিন্সিপাল)
।।।
।।।
আমি প্রিন্সিপালের কথা বুঝতে পারছি না। সব ভুললেও আমার পরিচিত কিংবা জানা ব্যক্তির চেহারা কিংবা নাম আমি ভুলি নি। শুধু আমার সাথে ঘঠে যাওয়া ঘঠনা গুলো আমি ভুলে গেছি। যাইহোক ভুললেও আমি বুঝতে পারছি আমার স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। আমি মিলিটারি সৈনিকের থেকেও শক্তিশালী পদে আমি যোগ দিতে পারবো। মনে পরছে না এটা আমার স্বপ্ন ছিলো কিনা, তবে মনে হচ্ছে এটাই ছিলো। যে করেই হোক আমাকে আমার স্বপ্ন পূরন করতে হবে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
ছোট একটা মতামত দিবেন কেমন লেগেছে সেটা নিয়ে। আর হ্যা কালকে নাও দিতে পারি গল্প। তাই আশা করি অপেক্ষা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here