ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৪১

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৪১
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি হাটতে হাটতে বাসায় চলে আসলাম। এতোক্ষনে আমার মাথার মধ্যে অনেক প্রশ্ন বাসা বেধেছে। তবে আমি একটারও উত্তর পাচ্ছি না। যদি শুধু আমার কাছে এখন ড্রাকুলার মতো ক্ষমতা থাকতো, তাহলে আমার সকল প্রশ্ন সমাধান হয়ে যেতো। প্রশ্ন জিনিসটা অনেক খারাপ লাগে। উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত মন স্থির থাকে না। তারপরও আমাকে এখন স্থির থাকতে হবে। আমি চাচ্ছিলাম আম্মা কি করে সেটা জানার জন্য। কিন্তু সে অনেক গভীর ঘুমে আছে। এখন জেসির ক্ষমতাটাও আমার কাছে থাকলে অনেক ভালো হতো। আমি ব্লাক স্মিথের থেকে শুনেছিলাম একটা ডেভিল মেয়ে তার উপরে যে ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলো, সেটা দিয়ে সে তার মাথার সকল স্মৃতি দেখতে পেরেছিলো। আর আমি সিওর সেই ডেভিল মেয়েটা জেসিই ছিলো। আর আম্মার উপরেও শেষে একই ক্ষমতা ব্যবহার করতে ছিলো সে। কিন্তু শেষ মুহুর্তে আমি তাকে আটকে ফেলি। ক্ষমতাটা এখন থাকলে আমি জানতে পারতাম আমার আম্মা কি করে এবং কোথায় যায়। আমি জেসির কাছ থেকে শুনতে পারি নি সে আমার আম্মার কাছ থেকে কি নিতে এসেছিলো। ব্লাক স্মিথের থেকে ব্লাক সোর্ড নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আমার আম্মার কাছে কি আছে সেটা আমি বুঝতে পারছি না।।।।
.
–অনেক চিন্তায় আছো মনে হচ্ছে?(থর)
.
–না ভাবছি ডেভিল কিং কি করতে চাচ্ছে।(আমি)
.
–তুমিই তো একটা সময় ডেভিল কিং ছিলে? তো ডেভিল কিং এর মতো চিন্তা করো?(থর)
.
–বিষয়টা এতো সহজ নয়। আমি ডেভিল কিং থাকলেও, কখনো একটা ডেভিল কিং এর মতো ভাবি নি।(আমি)
.
–ও।(থর)
.
–বুঝতে পারছি না। প্রথমে ব্লাক সোর্ড নিয়ে গেলো। এখন আবার আম্মার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে গেলো কিছুর।(আমি)
.
–কি বললে ব্লাক সোর্ড?(থর)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–আমি যেটা চিন্তা করছি সেটা হলে তো অনেক ভয়ানক হবে।(থর)
.
–কেনো?(আমি)
.
–দ্যা ন্যাকরো সোর্ডের নাম শুনো নি তুমি?(থর)
.
–হ্যা, ডেভিল কিং এর ক্ষমতা অর্জনের পর তার স্মৃতির মাঝে এটা সম্পর্কে কিছুটা উল্লেখ ছিলো।(আমি)
.
–হ্যা দ্যা ন্যাকরো সোর্ডকে তৈরী করেছিলো একজন ডিম্যান, যার নাম ছিলো নুল। যাকে আগের এগারো দুনিয়ার সবাই ভয় পেতো।(থর)
.
–কিন্তু আপনার বাবা ওডিন সবাইকে একত্র করে তো নুলকে হারিয়ে ব্লাক হোলের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন।(আমি)
.
–হ্যা। তাকে সহ তার তলোয়ার দ্যা ন্যাকরো সোর্ডকেও ব্লাক হোলের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো।(থর)
.
–তো আপনি বলতে চাচ্ছেন এই ব্লাক সোর্ড সেটাই? কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব এটা তো একটা কালো ব্লেড এবং ব্লাক ড্রাগনের সংমিশ্রনে তৈরী করেছিলো প্রথম ব্লাক স্মিথ।(আমি)
.
–কালো ব্লেড?(থর)
.
–হ্যা ছোট এক টুকরা ব্লেড যেটা একটা গুহার মধ্যে পেয়েছিলো।(আমি)
.
–আচ্ছা তোমার এক্সোনিয়া কি পুরো ঠিক ঠাকই পেয়েছিলে?(থর)
.
–না শুধু হাতলই পেয়েছিলাম, যেটার সাথে সামান্য ভাঙা ব্লেড ছিলো। ব্লাক স্মিথের সাহায্যে আমি ঠিক কি এটা।(আমি)
.
–তাহলে আমার মনে হচ্ছে ঔ কালো ছোট ব্লেডটাও ন্যাকরো সোর্ডের ছিলো।(থর)
.
–সম্ভব হতে পারে। আমি শুনেছি ব্লাক সোর্ডের ক্ষমতা, সেটা যেকোনো জিনিসের সংস্পর্শে আসলে সেটার ম্যাজিক পাওয়ার সহ জীবন্ত শরীরকে ভিতরে এবজোর্ব করে নেই।(আমি)
.
–আমি এবার নিশ্চিত ঔটা ন্যাকরো সোর্ড। জ্যাক আমাদের ব্যাপারটা স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া যাবে না। যদি ওটা সত্যিই ন্যাকরো সোর্ড হয়ে থাকে, তাহলে এই পুরো দুনিয়াকে সেটা গিলে ফেলতে পারবে। সবকিছু একটা অন্ধকার রাজ্যে চলে যাবে।(জ্যাক)
.
–ন্যাকরো সোর্ড সম্পর্কে আমার তথ্য অল্প। আমার আরো অধিক তথ্য লাগবে।(আমি)
.
–এটার সম্পর্কে লোকি অনেকটা জানে। কিন্তু সমস্যা হলো লিম্বো ডাইমেনশন থেকে এখানে আসার পর থেকে তাকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।(থর)
.
–আচ্ছা সমস্যা নাই। তাকেও খুজে বের করা যাবে।
।।।
।।।
থর আর আমি বাসার মধ্যে ঢুকে আমাদের আনা পন্য আমার দুই বোনের হাতে দিয়ে দিলাম। তারা রান্না করছে আমাদের জন্য। আমি বর্তমানে ব্লাক সোর্ড নিয়ে ভাবছি। ন্যাকরো সোর্ড অনেক ভয়ঙ্কর একটা অস্ত্র যেটা আমি নিজেও জানি। নুলের কাছে এরকম ক্ষমতা ছিলো যে সে তখনকার ডেভিল কিং কে হাতের ইশারা দিয়েই মেরে ফেলতো পারতো। কিন্তু ডেভিল কিং কে না মেরে সে নুলের গোলাম করে বানিয়ে রেখেছিলো। নুলের শক্তির প্রধান উৎস হলো এই ন্যাকরো ব্লেড বা সোর্ড। ধারনা করা হয় পুরো দুনিয়ার অন্ধকার নিয়ে তৈরী করা হয়েছিলো ন্যাকরো সোর্ড। আর ন্যাকরো সোর্ড যে ব্যবহার করবে তার মন এমনিতেই অন্ধকার হয়ে যাবে। তলোয়ারটার নিজেরই একটা মাইন্ড আছে। আর তাকে ব্যবহার কারীকে সে নিজের মতো কন্ট্রোল করতে পারে। যাইহোক থরের এ নিয়ে অনেক বড় একটা ইতিহাস রয়েছে যেটা আমি ওর চেহারা দেখেই বুঝতে পারলাম। ন্যাকরো সোর্ডের কথা বলার পর থেকেই ও ভয়ে কাপছে। জানি না ওর সাথে কি হয়েছে, কিন্তু যায় হোক ব্যাপারটা মোটেও ভালো না।।।
।।।
।।।
আমরা খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিলাম কিছুক্ষন। থর ঘুমিয়ে পরেছে রেস্ট নিতে নিতে। আমি ভাবছিলাম ড্রাকুলার হোটেল/প্যালেসে যেতে। কিন্তু থরকে জাগিয়ে লাভ হবে না। তার চেয়ে আমি উঠে হাটতে লাগলাম। আমার বাসার স্মৃতিও আমার মনে নেই। তাই আমি ঘুরে ঘুরে প্রতিটা রুম দেখতে লাগলাম। যদিও এটা আমার বাসা। আমার পাঁচ টা বছর কেটেছে এখানে, তারপরও কিছু মনে নেই আমার। মনে হচ্ছে নতুন এসেছি এখানে। আমি দেখতে দেখতে একটা দরজা খুলে ফেললাম এবং নিচের দিকে এবং উপরের দিকে সিড়ি দেখতে পেলাম। উপরের দিকে ছাদ হবে। আর নিচে কি সেটা দেখার ইচ্ছা আমার। নিচে একদম অন্ধকার। কিন্তু ভিতর থেকে আমি ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাচ্ছি। আমার কোনো আলোর প্রয়োজন হলো না। বিভিন্ন ধরনের ম্যাজিক পাওয়ারের সংমিশ্রনে আলোকিত হয়ে গেছে। সাধারন চোখে আমি এগুলো দেখতে পারতাম না। কিন্তু যেহেতু আমার কাছে ড্রাগনদের ম্যাজিক সেন্স ক্ষমতাটা রয়েছে, তাই আমি ম্যাজিক দেখতে পারি। লুকের সাথে লড়ার সময় আমার এই ক্ষমতা আরেক লেভেলে চলে যায়, যেটার ফলে আমার ডান চোখ লাল হয়ে যায়। আর সেটা দিয়ে আমি আরো ভালো ভাবে ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পারি। এখন আমি সাধারন চোখে ম্যাজিক পাওয়ার দেখার ক্ষমতাটা নিয়ন্ত্রন করতে পারি। আগে তো আমি সব সময় ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পেতাম। কিন্তু এখন আমার ডান চোখ যখন লাল হয় তখনি শুধু ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পারি।
।।।
।।।
আমি সিড়ি দিয়ে নেমে গেলাম। নিচে অনেক গুলো কাচের বোতল এবং একটা টেবিলে অসংখ্য টেস্টটিউব রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে অনেক ধরনের তরল উপাধান রয়েছে। সেগুলো থেকেই ম্যাজিক পাওয়ার বের হচ্ছে। জানি না কি এগুলো, কিন্তু হয়তো কোনো দরকারী জিনিস হবে। আমি এখানে আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না। দুটো আলমারী যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কাচের বোতল এবং সেগুলো বিভিন্ন রঙের তরল দিয়ে ভরা। আর মাঝখানে একটা টেবিল যেখানে টেস্টটিউবে ভরা। সাধারন চোখে বোঝায় যাবে না যে এখানে কোনো ম্যাজিকাল তরল আছে। যদিও আমার আগের চোখ দিয়ে ও আমি এটা দেখতে পারতাম না। এখন যখনি আমি আমার ম্যাজিক সেন্স ক্ষমতা ব্যবহার করি, তখনি আমার ডান চোখ লাল হয়ে যায়। বিষয়টা দেখতেও ভালো লাগে অনেকটা। আবার ভয়েরও বিষয়টা। তাছাড়া এখনে লাল চোখ দেখে ভয় পাওয়ার কেউ আছে বলে মনে হয় না।
।।।
।।।
রুমটার মধ্যে আমি তেমন আর খুজে পেলাম না। আমার মনে হচ্ছে আমার আম্মা এগুলো তৈরী করেছে। কিন্তু এখানে আমি এসব তৈরীর কোনো পন্য দেখতে পারলাম না। আমি হঠাৎ মেঝে দিয়ে হাটার সময় কিছুটা লক্ষ করলাম। একটা তক্তার উপরে পা দিলে সেটা থেকে যে শব্দ হয় সেটা বাকিদের থেকে আলাদা। তাই আমি তক্তাকে উঠানোর চেষ্টা করলাম। একপাশে কিছুটা জায়গা আছে তক্তা উঠানোর। আমি সেটা দিয়ে হাত দিয়ে তক্তাকে মেঝে থেকে উঠিয়ে ফেলাম। নিচের দিকে নতুন আরেকটা রাস্তা বের হলো এবার। অনেকটা গুপ্ত রাস্তা। আর একটা লোহার মই নিচের দিকে যাচ্ছে। অনেকটা গভীর হবে সেটা আমি অন্ধকার দেখেই বুঝতে পারছি। নিচে কি আছে সেটা তো এখন নিচে গেলেই জানতে পারবো। তাই দেরী না করে আমি আস্তে আস্তে নামতে শুরু করলাম। অনেক অন্ধকার হওয়ায় আমি কোথায় পা রাখছি সেটাও বুঝতে পারছি না। এভাবে মই দিয়ে নামা অনেকটা ঝুকি কর। তাই আমি আমার পায়ের নিচে একটা লাইট স্পেল ব্যবহার করে আলো বানিয়ে দিলাম। এবার অনেক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আমি সেই অনেক আগে থেকে নেমেই যাচ্ছি, কিন্তু মই শেষ হচ্ছে না। এখানে এমন জায়গা কে বানিয়েছে সেটা আমি নিজেও জানি না। তবে আমার মনে হচ্ছে আমার আম্মা এদিকেই আসে। অনেক গোপন ভাবে রাস্তাটা বানানো হয়েছে বলে কারো চোখে বাধে নি এতোদিন। কিন্তু আমার কাছে ম্যাজিক সেন্স এর ক্ষমতা আছে, তার উপরে ড্রাগনদের। তাই আমার চোখ ফাকি দিতে পারে নি এটা। আমি অনেকটা নিচে নামার পর মই শেষ হয়ে গেলো। এবং সামনেই একটা দরজা দেখতে পেলাম। দরজাটা খুলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু সেটা ম্যাজিকের সাহায্যে লক করা। আমি টানতে লাগলাম তারপরও খুলার নাম নিচ্ছে না। কি আছে ভিতরে এটা দেখার কৌতহল আমার বেড়ে গেলো। কারন ভিতর থেকে দরজার নিজ থেকে ম্যাজিক পাওয়ার আস্তে দেখতে পাচ্ছি আমি। তাই আর দেরী করলাম না আমি, আমার হাতে এক্সোনিয়া নিয়ে নিলাম। এক্সোনিয়ার একটা ক্ষমতা রয়েছে, যেটা অনেকটা ব্লাক সোর্ডের সাথে মিলে যায়। ব্লাক সোর্ড ম্যাজিক পাওয়ার সহ পুরো জীবন্ত শরীরকে নিজের মধ্যে চুষে নেই। কিন্তু এক্সোনিয়া ম্যাজিক পাওয়ার চুষে নিতে পারে। আমি এক্সোনিয়াকে হাতে নিয়ে সেটার ব্লেড দরজার সাথে ধরলাম। এবং দরজা যে ম্যাজিক দিয়ে লক করা ছিলো, সেটার ম্যাজিক পাওয়ার এক্সোনিয়া এবজোর্ব করে নিলো। এবার দরজা টান দেওয়ার পরেই খুলে গেলো। ভিতরে ঢুুকলাম আমি। প্রথমে অন্ধকার থাকলেও, আমি রুমে পা দেওয়ার পরে পুরো রুম আলোকিত হয়ে গেলো। আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারন আমি আশা করি নি এখানে আমি ইলেকট্রিসিটি দেখতে পাবো। সাধারনত ম্যাজিক দিয়েই সকল কাজ করা হয় এই নতুন দুনিয়াতে। এখানে সাইন্সের কোনো মূল্য নেই। সাইন্সকে হয়তো সবাই রূপকথার গল্প হিসাবে মনে করে। যাইহোক একটা একটা ম্যাগনেটিক ফিল্ড দেখতে পেলাম আমি, যেটার সাথে বড় একটা কোষ(যেটাকে আমরা ব্যাটারি বলে থাকি) যুক্ত আছে। ম্যাগনেটিক ফিল্ডকে এরকম ভাবে বানানো হয়েছে, যে সেটা দেখতে অনেকটা চুম্বক এর মতো। দুটো চুম্বক রয়েছে সেটার মধ্যে। চুম্বক বানানো অনেকটা সহজ। আমি চুম্বক দুটোকে দেখেই বুঝতে পারলাম দুটো বানানো হয়েছে। আর চুম্বক বানানোর মূল উৎস হলো এলেন। অবশ্য সেটা থরও পারবে। অবশ্য আমিও পারবো। আকাশ থেকে বিদ্যুৎ চমকানোর সময় কোনো উচু জায়গায় লোহার একটা বড় টুকরো বেধে রেখে আসতে হবে। যদি একটা থান্ডার লোহার টুকরোর উপরে পরে তাহলে লোহাটা চুম্বক হয়ে যাবে।
।।।
।।।
আমি এখানের চুম্বক দেখে বুঝতে পারলাম এখানে এলেন এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে। যাইহোক চুম্বক দুটো একে অপরের সাথে সংঘর্ষে আছে একটা ম্যাজিকাল যন্ত্রের মাঝে। আর তাতে তৈরী হয়েছে ম্যাগনেটিক ফিল্ড। আর অনবরত সংঘর্ষের ফলে সেখান থেকে চার্জ তৈরী হচ্ছে যেটা কোষের মধ্যে সংগ্রহ হচ্ছে। আর সেখান থেকে এই পুরো ঘরের মধ্যে তিনটা বাল্ব জ্বলছে। আমি বাল্বগুলোকে সামনে থেকে দেখতে লাগলাম। একদম প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী করা হয়েছে বাল্বগুলোকে। কাচ দিয়ে চারপাশ ঢাকা হয়েছে। এবং ভিতরে ফিলামেন্ট হিসাবে বাশের ব্যবহার করা হয়েছে। পৃথিবীতেও সর্ব প্রথম বাল্বের তৈরী হয়েছিলো সেখানে কার্বনাইট বাশের ব্যবহার করা হয়েছিলো। আমি ফিলামেন্ট কে দেখেই বুঝতে পারতাম না। তবে পাশে টেবিলে অনেক বাশ এবং কাচের গ্লাস পরে আছে। আমি সেটা দেখেই বুঝতে পারলাম। আরেকটা টেবিলের উপরে একটা ফ্যান বানিয়ে রাখা হয়েছে, যেখানে ছোট চুম্বক দিয়ে মোটর তৈরী করা হয়েছে, এবং একই কার্বনাইট বাশ দিয়ে কয়েক তৈরী করা হয়েছে। কয়েলের চারিদিক দিয়ে তিনটা চুম্বক রাখা হয়েছে, আর তাতে একটা সরু লোহার দন্ড মাঝে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিকের মতো পদার্থ দিয়ে পাখা বানানো হয়েছে। আমি সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরই সেটা ঘুরতে লাগলো। অনেকটা ঠান্ডা বাতাস লাগলো।
।।।
।।।
পুরো রুমটা বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক পদার্থ দিয়ে ভরপুর। রুমের পুরো দেওয়াল ভরা অনেক কিছু লেখা। লেখা দেখে বুঝতে পারলাম আমার আম্মা এখানেই আসে। আমি এর আগেও আম্মার লেখা পড়েছি, তাই লেখা চিনতে সমস্যা হলো না। আমার মনে হচ্ছে আম্মার আগের দুনিয়ার কথা মনে আছে। যেহেতু সে একজন মানুষ, তাই আগের দুনিয়ার যত জ্ঞান তার কাছে আছে, সে সেটার ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে এখানে। আমি সাধারন জিনিস গুলোই দেখেছি শুধু। এরপর আরো অনেক কিছু তৈরী করা আছে এখানে। তৈরী করার থেকে তৈরী করা লাগবে এমন জিনিসেই ভরা এখানে। অনেক কিছু অর্ধেক তৈরী হয়ে পরে আছে। হয়তো সেগুলো বানাতে সমস্যা হচ্ছে তার। আমি এখানে আর বেশীক্ষন থাকলাম না। কারন আমি বুঝতে পেরেছি আমার আম্মা কি করে, আর কোথায় যায়। অবশ্য তার থেকে এক সময় শুনে নেওয়া যাবে এটার সম্পর্কে। কিন্তু আজকের মতো এই পর্যন্তই। আমাকে আবার ড্রাকুলার কাছে যেতে হবে। আমি আবারো মই বেয়ে উপরে চলে আসলাম। এবং সিড়ি দিয়ে বেসমেন্টের রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম। এতোক্ষনে থরও উঠে গেছে। এবং সে আমার বোন এলেনের সাথে বসে বসে গল্প করছে। এলিন কে দেখতে পারছি না। দুজন ভালোই হেসে হেসে গল্প করছে। আমি তাদের কাছে গিয়ে থরকে বলতে লাগলাম।
.
–থর ভুলে গেছেন নাকি আমাদের ড্রাকুলার কাছে যেতে হবে।(আমি)
.
–সেটা অন্য এক সময় যাওয়া যাবে। এখন তো লান্স করলাম। ডিনার করে কাল সকালে গেলেই ভালো হবে?(থর)
.
–ড্রাকুলা রেগে গেলে আমার দোষ নেই কোনো।(আমি অন্য দিকে তাকিয়ে)
.
–ওও হ্যা। আমি তো ভুলেই গিয়েছি। জরুরী কাজে তোমাকে নিয়ে যেতে বলেছে, ঠিক আছে গডেস অফ থান্ডার তাহলে অন্য সময় দেখা হবে। এখন তো পরিচয় হয়েই গেলো, তাহলে দেখা হবে মাঝে সাজে।(থর)
.
–জ্যাক আজকেই আসলে এবং চলে যাচ্ছো?(এলেন)
.
–আমি এতোদিন আস্তে পারি নি, কারন আমার স্মৃতি ছিলো না। এখন চেনা হয়ে গেছে। মাঝে মাঝেই আসবো। কিন্তু প্রথমে আমার কিছু কাজ করতে হবে।(আমি)
.
–আমাদের সাহায্য লাগলে শুধু বলবে। আমি জানি এখন তুমি অনেক শক্তিশালী। তারপরও কোনো ভাবে সাহায্য করতে পারলে ভুলবে যে তোমার বোন আছে দুটো।(এলেন)
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here