#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৪৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
ড্রাকুলার সাথে লড়ার আমারও অনেক ইচ্ছা। এমনিতেই সে অনেক শক্তিশালী। আর তাছাড়া নতুন দুনিয়াতে সে আরো বেশী শক্তিশালী হয়েছে পাওয়ার লেভেল এর জন্য। যায়হোক আমার ইচ্ছা তার সাথে লড়া এবং কতটা শক্তিশালী আমি সেটা পরিক্ষা করা। আমি চাচ্ছি না লড়াই এর সময় ড্রাকুলা আমার হার্ট বের করুক। তাই তার থেকে দূরে থাকায় সবচেয়ে ভালো হবে। আমাকে ড্রাকুলার সাথে লড়তে হলে এবার এক্সোনিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এক্সোনিয়া যদিও আমি কাছাকাছি লড়াই এ কিছুটা ব্যবহার করতে পারি, তবে সেটা আমাকে দূরেও ব্যবহার করা শিখতে হবে।
।।।
।।।
ড্রাকুলা আমাকে নিয়ে চলে আসলো লিম্বো থেকে। আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি, ড্রাকুলা তার তলোয়ারের ব্যবহার করছে না লিম্বো থেকে বের হতে, বরং সাধারন টেলিপোর্টেশন স্পেলেই সে লিম্বো থেকে বের করে দিলো আমাদের দুজনকেই। এটা সম্ভব কিনা আমি আদৌও জানি না। যেহেতু টেলিপোর্টেশন স্পেল আমার জানা নেই, তাই আমি সেটার সম্পর্কে বেশী কিছু বলতে পারবো না। টেলিপোর্টেশন স্পেল সম্পর্কে যতটা জানি তা হলো এটার মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যায়। শুধু সেই জায়গাতেই যাওয়া যায়, যেখানে অন্তত একবার যাওয়া হয়েছে। কারন এই স্পেল ব্যবহারের সময় গন্তব্যস্থলের সঠিক দৃশ্য কল্পনা করতে হয়। আগের দুনিয়াতে লিম্বো ডাইমেনশন এগারো দুনিয়ার ডাইমেনশন ছিলো একটা। এবং সেটার সমান ডাইমেনশনই হলো লিম্বো ডাইমেনশন, যেখানে সময়ের কোনো মূল্য নেই। এক ডাইমেনশন থেকে অন্যটায় ডাইমেনশন ব্লেড ছাড়া যাওয়া যায় না। তবে ড্রাকুলা ডাইমেনশন ব্লেড ব্যবহার না করেই আমাকে এবং সে নিজে কিভাবে টেলিপোর্ট হলো আমি বুঝলাম না। নাকি তার ব্লেডটা অদৃশ্য সে বাদে হয়তো কেউ দেখতে পারবে না। যাই হোক আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম না। কারন এনার সামনেই এসেছি আমরা সময় ঠিক সেই জায়গায় আছে যখন আমরা এখান থেকে টেলিপোর্ট হয়েছি, তাই প্রিসেস আমাদের টেলিপোর্টের কোনো বিষয়ই জানে না। যদিও হালকা অস্বাভাবিক নারাচরা দেখেছে, সেটাতে কোনো সন্দেহ হবে না তার। ড্রাকুলা এবার বলতে লাগলো,
.
–প্রিন্সেস এলিনা আপনিই একমাত্র ব্যক্তি, যে কিনা আমার নতুন রাজ্যকে পরিচালনা করতে পারবেন। এবং এটাকে সম্পূর্ন মানুষ নির্ভর একটা রাজ্য করে তুলতে পারবেন।(ড্রাকুলা)
.
–আমি আপনাকে কতবার বলেছি আমি আপনার এই জনশূন্য রাজ্যের রানী হতে রাজি নই।(প্রিন্সেস)
.
–দেখুন শেষবার বলবো। যদি রাজি না হন আমি কিন্তু জোর খাটাতে বাধ্য হবো।(ড্রাকুলা)
.
–যা ইচ্ছা করেন আপনি, আমি কিছুতেই রাজি হবো না।(প্রিন্সেস)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে একটা সুযোগ দিচ্ছি। আমাকে যদি হারাতে পারেন তাহলে আপনি সহ জ্যাক আপনার মন মতো এখান থেকে চলে যেতে পারবেন। আমি মানা করবো না।(ড্রাকুলা)
.
–ঠিক আছে আমি রাজি।(প্রিন্সেস)
.
–তবে আপনি লড়বেন না। জ্যাক লড়বে আমার সাথে। যদি জ্যাক আমাকে হারাতে পারে, তাহলে আপনি এবং জ্যাক যেতে পারবেন এখান থেকে।(ড্রাকুলা)
.
–আমরা দুজনেই লড়বো আপনার সাথে।(প্রিন্সেস)
.
–না সেটা হবে না। আপনি অনেকটা আমার মেয়ের মতো, তাই আমি আপনার সাথে লড়তে চাই না।(ড্রাকুলা)
.
–প্রিন্সেস আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি তাকে হারিয়ে আপনাকে এখান থেকে নিয়ে যাবো।(আমি)
.
–কিন্তু জ্যাক সে অনেক শক্তিশালী, তুমি পারবে না একা।(প্রিন্সেস)
.
–আপনি চিন্তা করবেন না।(আমি)
।।।
।।।
আমি এবং ড্রাকুলা মাঠটার মাঝখানে এসে দাড়ালাম। দুজনেই দাড়িয়ে আছি। ড্রাকুলাকে তেমন সিরিয়াস দেখা যাচ্ছে না। তবে আমি নিজে সিরিয়াস। কারন আমি জানি ড্রাকুলা অনেক শক্তিশালী। তাকে হারাতে পারবো না আমি। তারপরও তার সাথে লড়লে আমি অনেকটা শক্তিশালী হবো সেটা আশা করা যায়। লড়াই করতে ভালো লাগলেও প্রতিটা যন্ত্রনা সহ্যের বাইরে। এক একটা হাড়ের ব্যথা অনেক মারাত্মক হয়। যদিও সেগুলো হিল হয়ে যায়, তারপরও সে ব্যথা সহ্য করা অনেক বেদনাদায়ক। আমি দাড়িয়ে না থেকে হাতে প্রথমে ভিরুদা এবং ভ্যালিকে দিলাম। আমি ভ্যালির ক্ষমতা নতুনভাবে ব্যবহার করতে শিখেছি। কারো দিকে দৌড়ে যাওয়ার থেকে ভ্যালির তলোয়ার থেকে পানি আমাকে সাহায্য করবে সামনের দিকে যেতে। সাগরের পানির স্রোতে কাঠের তৈরী সার্ফ বোর্ড দিয়ে অনেকটা দূরে যাওয়া যায়। যদিও আমার কাছে কাঠের তৈরী কোনো কিছু নেই, কিন্তু আমি বাম হাত দিয়ে ভ্যালির হাতল ধরেছি এবং দুই পা ভ্যালির ব্লেড এর উপরে রেখেছি, আর বিশাল পানির স্রোত ভ্যালির তলোয়ার থেকে বের হচ্ছে, যেটা আমাকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমি পানির স্রোতের প্রচন্ড স্পিডে ড্রাকুলার দিকে এগিয়ে গেলাম। প্রথমেই অনেকটা পানি ড্রাকুলার কাছে চলে গেছে। পানিতে ভ্যাম্পায়ারদের চলাচলের স্পিড কিছুটা কমে যায়। তাই এটা আমার পক্ষে কিছুটা ভালো হবে। আমি বাম হাত দিয়ে ভ্যালির হাতল পায়ের নিচে ধরে রেখেছিলাম। এবং ডান হাতে ভিরুদাকে নিয়ে ড্রাকুলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ড্রাকুলার সামনে গিয়ে আমি দুটো তলোয়ার ভালো করে হাতে ধরে আমি ড্রাকুলার সাথে লড়তে লাগলাম কাছাকাছি। প্রথমে ভেবেছিলাম দূরে থেকে আক্রমন করবো। কিন্তু একবার সামনে থেকে আক্রমন করে দেখে নি কি হয়। আমার প্রতিটা তলোয়ার আঘাত ড্রাকুলা নরাচরা করেই এরিয়ে যাচ্ছে। ওর স্পিড এতোটা যে ওর হাত কিংবা কোনো তলোয়ারের ব্যবহার করতে হচ্ছে না। শুধু নরাচরা করেই আমার আল্ট্রা স্পিডের তলোয়ারের আঘাতগুলো এরিয়ে যাচ্ছে সে। আমি অনেকটা রেগে গেলাম এবং তলোয়ারের সাথে পিঠ থেকে পাঁচটা গডহ্যান্ডের হাত বের করলাম। বের করার পরে সেগুলোর আকার আমি তলোয়ারের বানালাম। এবং সোজা মোট সাতটা তলোয়ার একসাথে আক্রমন করতে লাগলাম। কিন্তু একটা তলোয়ারের আঘাতও ড্রাকুলার শরীরে স্পর্শ করলো না। আমি আরো রেগে ড্রাকুলার মুখের সামনেই আমার ডান হাতে থাকা ইগড্রাসিলের তলোয়ার দিয়ে সোজা অনেকটা জায়গা নিয়ে আগুন ছুড়ে দিলাম। কিন্তু এবারো ড্রাকুলা দুটো পিছনের দিকে ফ্লিপ করলো এবং আগুন থেকে অনেকটা দূরে চলে গেলো। আমি আদৌও বুঝতে পারি নে যে আমি একটা আঘাতও ড্রাকুলাকে করতে পারবো না।
।।
।।
থরের কথায় শুধু বুঝেছিলাম তারা তিনজন যারা আগের দুনিয়া থেকে এসেছে তাদের পাওয়ার লেভেল এই দুনিয়ার থেকে অনেক। তবে ড্রাকুলা এতোটা শক্তিশালী হবে আমি ভাবতেও পারি নি। আপাতোতো তার কোনো ক্ষমতা আমি দেখি নি, বরং সে শুধু নরাচরা করে আমার সবগুলো আঘাত এরিয়েই যাচ্ছে। আমি এবার আমার ডান পা এবং ডান হাতুর তালু থেকে অনেক দ্রুত আগুন বের করতে শুরু করলাম। এবং নিজের আল্ট্রা স্পিড ব্যবহার করতে লাগলাম। আর আবারো দু হাতের দুটো তলোয়ার এবং পিঠের পাঁচটা হাত দিয়ে তলোয়ার বানিয়ে আমি ড্রাকুলার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং আক্রমন করতে লাগলাম। এবারো ড্রাকুলার কিছুই হচ্ছে না।
.
–এরকম আঘাতে তো কিছুই হবে না। মনে হচ্ছে না প্রিন্সেসকে এখান থেকে নিয়ে যেতে পারবে তুমি।(ড্রাকুলা)
.
–তাহলে ঠিক আছে আমি আমার পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করি।(আমি)
.
–তাতেও কোনো লাভ হবে না। তুমি কখন কোথায় দিয়ে আমাকে আক্রমন করবে, সেটা আমি তোমার মনের কথা শুনেই বুঝে যাচ্ছি। এমন কোনো কিছু নেই, যেটা দিয়ে তুমি আমার শরীরে একটা ক্ষত করতে পারবে।(ড্রাকুলা)
।।।
।।।
আমি ভুলেই গেছি ড্রাকুলার কাছে ট্যালিপ্যাথিক ক্ষমতা আছে, যেটা দিয়ে মনে কথা শোনা যায়। এটা অনেক ভয়ঙ্কর ক্ষমতা। শত্রুর পরবর্তী পদক্ষেপ খুব সহজে জানা যায় এটা দিয়ে এবং সেটার বিরুদ্ধে কাজ করা যায়। যদিও আগের দুনিয়ায় এটা শুধু কয়েকজনের কাছেই ছিলো। তবে এই দুনিয়ায় মনে হয় না কারো কাছে আছে। শুধু ড্রাকুলাই একজন যে এই ক্ষমতা নিয়ে ঘুরছে। আমি বুঝতে পারছি না কি করবো এখন। কারন যেটা আমি চিন্তা করছি সেটাই ড্রাকুলা জানতে পারছে।
।।।।
।।।।
আমি একটা বুদ্ধি পেলাম। আমি চিন্তা করবো বাম দিক দিয়ে মারার, কিন্তু মারবো ডান দিক দিয়ে। এতে করে ড্রাকুলা বুঝবেই না। সেটাই করতে গেলাম। কিন্তু এবারো কোনো কিছু হলো না। পুরো সাতটা তলোয়ারের একটার আঘাত তার শরীরে স্পর্শ করছে না। বরং সে খুব সহজেই সেগুলো এরিয়ে যাচ্ছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।
.
–ডান দিকে মারার কথা চিন্তা করে বাম দিক দিয়ে মারা, এটাও তোমার মাথায় চিন্তা হচ্ছে, আর এই চিন্তার ফলে আমি তোমার পরবর্তী আক্রমন সম্পর্কে জানতে পারছি। তাই যেভাবেই আঘাত করো কোনো কিছুই হবে না আমার।(ড্রাকুলা)
।।।
।।।
আমি এখন বুঝতে পারছি না। এখন একটা উপায়ই আছে, বেশী ম্যাজিক পাওয়ার এর ব্যবহার করা। আমি আমার সবটা ম্যাজিক পাওয়ার কখনো ব্যবহার করি নি। এবার সেটার সময় হয়েছে। আমি আমার দু হাত থেকে দুটো তলোয়ার পিছনে ব্যাগে ঢুকিয়ে দিলাম। ব্যাগটাও অনেক শক্তিশালী মনস্টারের চামড়া দিয়ে তৈরী করা হয়েছে, সাথে ম্যাজিকাল সুতোর ব্যবহার করা হয়েছে, এজন্য সব পরিস্থিতিতেও আমার সাথেই থাকে। ভিতরে একটা বই আছে, যেটার রং কালো। আমি আদৌও জানি না এটার মধ্যে কি আছে, কারন ডেভিল সত্ত্বার কাছ থেকে শুনেছি তার পুরো সত্ত্বাটা ডেভিল কিং এর কাছে রয়েছে। তবে এই বইয়ের মধ্যে আমি সামান্য ম্যাজিক পাওয়ার ফিল করেছি, এজন্য এটাকে ব্যাগের মধ্যে রেখে দিয়েছি। সময় মতো হয়তো এটাও খুলে দেখতে পারবো, কি এটার মধ্যে।
।।।
।।।
।।।
যাইহোক ড্রাকুলাকে কোনো আঘাতে আমি কিছুই করতে পারছি না। তাই আমি আমার পিঠ থেকে পুরো দুইশোটা হাত বের করলাম। সাধারনত এটাই আমার লিমিট। এর থেকে বেশী হাত বের করতে আমি পারি না। হয়তো সামনে আরো বের হবে, আবার নাও হতে পারে। যায়হোক সবগুলো হাত আমি কন্ট্রোল করতে পারি না। যদিও ত্রিশটা কন্ট্রোলে আছে। আর বাকিগুলো ঔ ত্রিশটাকেই ফলো করে। আমি পুরো ত্রিশটা গডহ্যান্ডকে ড্রাকুলার দিকে বাড়িয়ে দিলাম হামলা করার জন্য। যদিও দেখতে হাতের মতো, তবে সেগুলোর সাইজ একটা মানুষের সমানই হবে, আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এটা ত্রিশ মিটার পর্যন্ত আপাতোতো যেতে পারে আমার পিঠ থেকে। এজন্য আমি কিছুটা দূরে থেকে ড্রাকুলাকে আক্রমন করার চেষ্টা করছি পুরো দুইশো হাত থেকে। কিন্তু ড্রাকুলা নরাচরা এবং বেক ফ্লিপ, ফ্রন্ট ফ্লিপ, লাফ দিয়ে সবগুলো হাতের আঘাত থেকে বেচে যাচ্ছে। যদিও অনেকটা সময় পর দুটো হাতের ঘুষি খেয়েছে সে, তবে সেই দুটোই আঘাতের পরিমান যেটা তার শরীরে লাগে, দুটো ঘুষিতে কিছুই হয় না। বরং আমার হাতের আঘাতে বিরক্ত হয়ে এক পলকের মধ্যেই ড্রাকুলা আমার সামনে আসলো এবং আমার কপালে একটা টোকা দিলো। শুধু একটা টোকাতেই আমি তার মাঠের মাটি খুরতে খুরতে অনেক দূরে গিয়ে পরলাম। টোকাটা আমার কাছে লুকের শক্তিশালী ঘুষির মতো মনে হচ্ছিলো। যদিও তার থেকে ভয়ানক হতো যদি ড্রাকুলা আমাকে ঘুষি মারতো।
।।।
।।।
আমি ড্রাকুলার থেকে ত্রিশ মিটারের অনেক বাইরে চলে এসেছি। এতোক্ষনে আমার হাত গুলো আমার পিঠের মধ্যে চলে গেছে। আমি আবার ত্রিশটা হাত বের করলাম। এবং ত্রিশটা হাতের মধ্যে ত্রিশটা বিশাল লাইট স্পেল বানালাম। যেটার একটা ড্রাকুলার হোটেলে লাগলে হোটেল ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি কোনো কিছু পিছিয়ে রাখছি না। বরং সবকিছুই ব্যবহার করছি। আমি আদৌও জানি না আমার ক্ষমতা কতটা। তাই পুরো ক্ষমতা না ব্যবহার করলে জানতে পারবো না। লাইট বল ত্রিশটা অনেক বিশাল আকার ধারন করলো। যেটার কারনে আমার শরীরের অনেকটা ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয়ে গেছে। ম্যাজিকাল স্পেলের কারনে অনেক ম্যাজিক পাওয়ার প্রয়োজন হয়।
।।।
।।।
আমি ত্রিশটা লাইট বলকে ড্রাকুলার দিকে ছুড়ে মারলাম, যেটা অনেক স্পিডে ড্রাকুলার দিকে যাচ্ছিলো। ত্রিশটা আলোর বল হওয়ায় পুরো আলোর স্পিডে সেগুলো যাচ্ছিলো ড্রাকুলার দিকে। ড্রাকুলা সেটা দেখে অনেকটা অবাক হলো। কারন ত্রিশটা বিশাল আলোর বল তার জন্যও আটকানো কষ্টকর হবে। কারন একটা তার প্যালেসের কোথাও লাগলেই পুরোটা শেষ। ড্রাকুলা এখানে টাইম স্পেল ব্যবহার করলো। কারন আমি নিজেই বুঝতে পারি নি ত্রিশটা বল হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেলো। আমি অন্যের টাইম স্পেলে ঢুকতে পারি না। তাই বুঝতে পারি নি কিভাবে করলো ড্রাকুলা। কিন্তু যতদূর আমার জানা, হয়তো ড্রাকুলা সময় আটকিয়ে সবগুলো লাইট বলকে টেলিপোর্ট করেছে অন্য কোথাও। কিংবা ধ্বংস করে দিয়েছে।
।।।
।।।
আমি ড্রাকুলার হাতের তালুতে কিছুটা ক্ষত দেখতে পারলাম। এটা দেখে বুঝতে পারলাম হয়তো সে ধরেছিলো একটা লাইট বল। যাইহোক ড্রাকুলা বলতে লাগলো,
.
–খারাপ ছিলো না। তোমার সবগুলো হাতের এই লাইট বল দিয়ে তো তুমি পুরো একটা শহর ধ্বংস করে দিতে পারবে।(ড্রাকুলা)
.
–টাইম স্পেল ব্যবহার করেছেন?(আমি)
.
–হ্যা। সেটা না হলে তো পুরো প্যালেস ধ্বংস করে দিতে।(ড্রাকুলা)
.
–আমি নিজেও জানি না এটা এতো ভয়ানক হবে।(আমি)
।।।
।।।
।।।
এখানে তেমন কেউ নেই, যাকে আমার ক্ষমতা দেখালে সমস্যা, তাই আমি পুরো ক্ষমতাতেই লড়তেছি ড্রাকুলার সাথে। এখনো অনেক কিছু বাকি। অনেক এন্জেল স্পেল আছে যেগুলো আমি ব্যবহার করতে পারবো, তবে কখনো ব্যবহার করি নি। আজকে পরিক্ষা করে দেখা যাক।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন