ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৫৮

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৫৮
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
ড্রাকুলা অনেক চালাক হলেও যদিও সে অন্যের মনের কথা না পরতে পারে তাহলে তেমন কিছু করতে পারে না। আমি ভেবেছিলাম ড্রাকুলা আমার প্রস্তাবে না করে দিবে, কিন্তু সেটা হলো না। হয়তো সে অর্থ তৈরীর ভেজালে যেতে চাই না। তাই হয়তো আমার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, আর আমার প্রস্তাব তার রাজ্যের জন্য অনেক সুবিধারও। কারন তার রাজ্যে তেমন নির্মাণের কোনো কর্মী নেই, বরং প্রজারা নিজেদের ঘর নিজেরা তৈরী করছে, যেটা রাজ্যের সুন্দর্য নষ্ট করছে। এক একজনের বিশ্রী রকম ঘর হচ্ছে, যেটা দেখতে একদমই মানায় না।


জেলিনার সাথে আমার চুক্তি হলো আমাদের অর্থ তাদের রাজ্যেও প্রধান অর্থ হবে, শুধু সেটার বিনিময়ে আমাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে নয়, বরং এই রাজ্যের পুরো এক বছরের নির্মাণ কাজ ফ্রিতে করে দিতে হবে, যেটা আমাদের রাজ্যের জন্য কিছুটা কষ্টকর হলেও আমি সেটাই রাজি আছি। কারন আমাদের রাজ্যে ডয়ারফসদের অভাব নেই। তাছাড়া এ্যালকোর্ট থেকে আরো অনেক ডয়ারফস আমাদের রাজ্যের দিকেই আসছে। তখন নির্মাণের কাজের জন্য শ্রমিকের অভাব হবে না। এখন ডয়ারফসরা এই রাজ্যে আমি দেখতে পায় নি, যেটা অনেক বড় ভুল করেছে ড্রাকুলা। যাইহোক এই রাজ্যে রানী এলিনাকেই সব হুকুম দিতে হয়, ড্রাকুলা কিছুই করে না। শুনেছি মাঝে মাঝে নাকি দুই একটা পরামর্শ দান করে শুধু। আর অন্য রাজ্যের সাথে মিটিং হলে কথা বলে, তাছাড়া প্যালেসের মধ্যেও তাকে দেখা যায় না সারাদিন।
।।
।।
যাইহোক জেলিনার সাথে আমার চুক্তি হয়ে গেলো। আর বাকি রাজ্যগুলোও পিছিয়ে থাকলো না। কারন বাকি রাজ্যগুলোকে আমি অর্থনৈতিক সাহায্য করতে চেয়েছি। প্রত্যেকটা রাজ্যকে এক মিলিয়ন টাকা আপাতোতো আমাদের রাজ্য থেকে দেওয়া হবে। যেটার ব্যবহার তারা রাজ্যে ছড়ানোর জন্য করবে। এবং বাকি অর্থ আমাদের কাছে পন্য বিক্রী করে তারা পাবে, যেটার ফলে সকল রাজ্যেরই লাভ হবে।
।।।
।।।
যাইহোক আমার প্রস্তাবে ভিঘ্ন ঘঠলো না সেটার জন্য ভালো লাগলো। আমার এই কাজে আমার বোন অনেকটা সাহায্য করেছে আমাকে। তার রাজি হওয়ার ফলে বাকি সকল রাজ্যের রাজা এবং রানীও রাজি হয়ে গেলো। আমি এখানে আসার আগে ভাবি নি তারা একটা রাউন্ড টেবিল তৈরী করেছে, যেখানে এ্যারসাকের রানী, ইগড্রোলিয়ার রাজা, হিমরারের রাজা, নতুন এজগার্ডের রানী, এবং জেলিনার রানী মেম্বার ছিলো। যেহেতু তাদের সবার সাথে চুক্তিতে এসেছি সেটার জন্য আমাদের কুইনকেও এই রাউন্ড টেবিলের সদস্য হতে হবে। আর আপাতোতো আমাদের এই ছয় রাজ্যের রাজা রানীদের মিলে যে রাউন্ড টেবিল তৈরী হলো এটাকে ড্রাকুলা নাম দিয়েছে, “টেবিল অফ সিক্স”। যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও এখানে আমার কোনো জায়গা নেই, তবে আমি পরামর্শ দাতা হিসাবে আমাদের কুইনের সাথে আসতে পারবো এখানে। যেমনটা ড্রাকুলা দাড়িয়ে আছে রানী এলিনার পাশে।
।।।
।।।
আমার কাজটা শেষ হওয়ার পর আমি সাথে সাথে মার্ডিলাতে চলে আসলাম। রানীকে সেখানে ঘঠে যাওয়া জিনিসের ব্যাপারে বললাম। আপাতোতো আমাদের কুইন সেখানে ছিলো না বলে রাউন্ড মিটিং স্থগিত হয়ে গেছে, যেটা এক সপ্তাহ সময় পরে আবার বসবে। তখন আমাদের কুইনকে যেতে হবে। আপাতোতো আমি প্যালেস থেকে বের হলাম এবং আমাদের রুক ব্লাক স্মিথের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম। তাকে আমি রাজ্যের ডয়ারফসদের প্রধান করে দিয়েছি, সকল ডয়ারফসদের কাজের বিষয়টা তাকেই দেখতে হয়। ডয়ারফসদের কাজের জন্য একটা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে, যেখান থেকে তারা তাদের কাজের জন্য টাকা পায় প্রতিদিন। যে বিষয়টার জন্য তারা অধিক কাজ করতেও আগ্রহী।
.
–রুক ব্লাক স্মিথ, আমার বিশজনের মতো ভালো ডয়ারফস লাগবে, যাদের জেলিনায় পাঠাতে হবে আজই।(আমি)
.
–ঠিক আছে মিনিস্টার স্যার। তবে জেলিনা রাজ্যে পাঠাতে হবে কেনো জানতে পারি?(রুক ব্লাক স্মিথ)
.
–হ্যা। জেলিনার সাথে চুক্তি হয়েছে, যেখানে আমাদের রাজ্যের মতো তাদের রাজ্যে নির্মানের কাজ করতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানও তৈরী করতে হবে যেগুলো আমাদের রাজ্যে তৈরী আছে।(আমি)
.
–ঠিক আছে মিনিস্টার স্যার। আমি এখনি বিশজনকে নিয়োগ করে দিচ্ছি।(ব্লাক স্মিথ)
।।।
।।।
রুক ব্লাক স্মিথ বিশজন ডয়ারফসদের নিযুক্ত করে দিলেন। যাদেরকে আমাদের বিশপ লুইস নিয়ে গেলো টেলিপোর্ট করে জেলিনাতে। আমি গেলাম না, কারন ব্লাক স্মিথের সাথে টাকার উপরে কাজ করতে হবে। এক একটা রাজ্যে এক মিলিয়ন টাকা করে দিতে গেলে অনেক টাকা তৈরী করতে হবে আমাদের। আর টাকা তৈরীর বিষয়টা আমাদের দুজনের মধ্যে গোপন রাখতে হবে এজন্য এখানে অন্য কারো সাহায্য আমি নিতে চেয়েছিলাম না। তবে এখন এতো পরিমান টাকা তৈরীর জন্য সাহায্যের প্রয়োজন হবেই। আমি আরো পাঁচজন ডয়ারফস নিয়ে আসলাম, যাদের উপরে মাইন্ড কনট্রোল স্পেল ব্যবহার করলাম। যেটার ফলে তারা আমার কনট্রোলে থাকবে যতক্ষন আমি চাইবো। এবং সেই সময়ের মধ্যে কি হবে তারা কিছুই মনে রাখবে না।
।।।
।।।
পুরো দুদিন কাজ করে আমরা আমাদের কাংখিত টাকা তৈরী করে ফেললাম। জেলিনা আমাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য নিবে না, তবে বাকি চার রাজ্যকে চার মিলিয়ন টাকা আমাদের দিতে হবে। সব টাকারই নোট তৈরী করা হয়েছে, যাতে লেনদেন এর সুবিধা হয় অনেক। টাকা তৈরী করতে তেমন সময়ের প্রয়োজন হয় না। তবে সমস্যা হয় সেটা হিসাব করতে। পুরো চার মিলিয়ন টাকার এক এক মিলিয়ন করে আমি গিয়ে এক একটা রাজ্যের প্যালেসে দিয়ে আসলাম। আমাদের কাগজের নোট টা ম্যাজিকাল। যার কারনে এটাকে ছিড়া গেলেও, আগুনে পুরানো কিংবা জ্বলে ভিজালে কিছুই হবে না।
।।।
।।।
যাইহোক আপাতোতো কাজ আমার শেষ, যেটা চেয়েছিলাম সেটাও হয়েছে। নিজেদের অর্থ সকল রাজ্যে চললে তাতে আমাদেরই লাভ হবে। রাজ্যের প্রসার হবে আমাদের সবচেয়ে বেশী। যদিও তাদের এতো সুবিধা দেওয়া ঠিক মনে হচ্ছে না। যাইহোক যা হয় সেটা দেখা যাবে।
।।
।।
দেখতে দেখতে আরো একটা মাস কেটে গেলো। এই এক মাসে আমাদের রাজ্যের চেহারা পুরো বদলে গিয়েছে, অন্য সকল রাজ্যের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কে হওয়ার ফলে আমাদের যে পন্য দরকার পরছে সেটা কিনে আনতে পারছি এখন। তাদের সাথে বানিজ্য করার ফলেই আমাদের রাজ্য আজ অনেকটা আগের পৃথিবীর মতো। যদিও এখনো পুরোপুরি হতে পারে নি, তবে সেরকম শীঘ্রই হয়ে যাবে। আমি প্রথমেই প্লান করেছিলাম আমাদের রাজ্য কিরকম হবে। সে অনুযায়ী প্রত্যেকটা ঘর সারিতে সাজানো রয়েছে, দুটো ঘর পর পর ফাকা রেখেছিলাম যেটা দিয়ে রাস্তা তৈরী হবে। এই কয়েকদিনে পুরো রাজ্য জুড়ে পাকা রাস্তা করা হয়েছে, যেগুলোতে রুক ব্লাক স্মিথের তৈরী যান চলাচল করে, যানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, যাতে সেটার মজা প্রজারাও নিতে পারে।
।।।
।।।
আমাদের সেনারও উন্নতি হয়েছে, আপাতোতো কিছু রুক বাড়িয়েছি। এ্যালকোর্ট থেকে কিছু ভাইকিংস, ভ্যালকেরী এবং কিছু বিস্টম্যানদের এনেছি যাদের আমি রাজ্যের রুক করেছি। আপাতোতো আমাদের রাজ্যে একশো রুক আছে, যাদের কাজ রাজ্যের সুরক্ষা করা। এরা যুদ্ধে সময় কখনো রাজ্যের বাইরে যাবে না। বরং রাজ্যের ভিতরে থেকে শত্রুদের হত্যা করবে।
।।।
।।।
তাছাড়া আমাদের আক্রমন সেনায় আড়াইশো নাইট আছে, যারা পাচঁ নাইট জেনারেল এর অধীনে আছে। আপাতোতো তিনজন বিশপ আছে। এছাড়াও আমাদের রাজ্যের সিমান অনেক বড় হয়েছে, সেই সাথে লোকসংখ্যাও এখন এক লক্ষের উপরে। তাদের মধ্য থেকে এক হাজার সাধারন সেনা নেওয়া হয়েছে যাদের আমি পন বানিয়েছি। একজন পনের ক্ষমতা আমি এখনি লক্ষ করি নি, তবে আমি বলতে পারি আমার থেকে ক্ষমতা পাওয়ার পর একজন পনের ক্ষমতা রানী এলিনার রাজ্যের একজন নাইটের সমান হবে।
।।।
।।।
।।।
আপাতোতো আমার কাজ হলো পন বারানোর। রাজ্যে আমি দশ হাজারের বেশী পন রাখবো, যারা যুদ্ধ করবে। এবং নাইট পরিস্থিতি খারাপ হলে এগিয়ে যাবে। যদইহোক বেশ কিছুদিন হলো আমি একজনের ক্ষমতা অনুভব করতে পারছি এন্জেল ফর্মে আসার পর থেকে। তার ম্যাজিক পাওয়ারও অনেক পরিচিত। আমাদের রাজ্যের আরেকটা বিশপ বানানো যাবে তাকে, তবে সমস্যা হলো তার ম্যাজিক পাওয়ার আসছে মাটির নিচ থেকে, মানে সে আন্ডারওয়ার্ল্ডে থাকে। আমার আন্ডারওয়ার্ল্ডে যাওয়া সুবিধার মনে হচ্ছে না। তারপরও অনেক কৌতহল বারছে। তাই আমি দেরী করলাম না। আমার এন্জেল ফর্মে আমি যে কোনো ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করে সেটার কাছেই সরাসরি পৌছে যেতে পারি। তাই দেরী করলাম না। যেখান থেকে আমি সেই ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করতে ছিলাম ঠিক সেখানে টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম। টেলিপোর্ট হয়ে সোজা একটা বিশাল বড় রুমের মধ্যে আসলাম। যেখানে চারপাশে মশাল জ্বলছে। মশালের আলোতে বিশাল রুম আলোকিত হয়ে আছে। আমি চারপাশ লক্ষ করতে লাগলাম। অনেক সুন্দর করে রুমটা বানানো হয়েছে। হয়তো এটা কোনো প্যালেসের কক্ষ হবে। আমার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো। তবে আপাতোতো বাইরে যেতে হলো না। কারন একদম মাঝখানে একটা ছোট পানির পুকুর রয়েছে, প্রথমে পানির পুকুর ভাবলেও পরে দেখতে পেলাম সেটা রক্তের পুকুর। যার মাঝখানে অনেকগুলো মেয়ে রয়েছে। সবাইকে গোল করে রাখা হয়েছে, যেখানে সবার হাত এবং পা কে একধরনের ম্যাজিকাল শিকল দিয়ে বন্ধী করে রাখা হয়েছে। আর আরেকটা মেয়েকে আলাদা ভাবে সবার থেকে উপরে এবং একদম মাঝখানে রাখা হয়েছে, যার পুরো শরীরই শিকল দিয়ে বাধা। এখানে পুরো আঠারো জনের মতো মেয়ে হবে, যারা এক একজন এক এক গোত্রের। দুজন এন্জেল রয়েছে তাদের মধ্যে, তাছাড়া বাকি সবাই সাকুবিচ এবং ডেভিল। মাঝখানের মেয়েটাকে ভালো করে লক্ষ করে দেখলাম সে জেসি।
।।।
।।।
কিন্তু তাদের এরূপ অবস্থা কেনো সেটা আমি বলতে পারি না। আমি এর আগেও জেসির গলায় একটা শিকল লক্ষ করেছিলাম, যেটার উপরে তেমন গুরুত্ব দেই নাই। তবে এখন এদেরকে দেখে মনে হচ্ছে, এখানের সবাইকে ডেভিল কিং এই শিকল গুলোর মাধ্যমেই কনট্রোল করে। আমি এন্জেল ফর্মে থাকায় আমি এসবকে এখন স্পর্শ করতে পারবো না। কারন এগুলো আমও এভাবে স্পর্শ করলে এখানের সবাই অনেক গুরুতর ভাবে লাইটনিং এর শক খাবে।
।।।
।।।
এই চেইন স্পেলের সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারনা আছে। এটাকে ডেভিল কিংরা ব্যবহার করতো কাউকে তার গোলাম করার জন্য। যেটা বিশেষ করে আগের সকল ডেভিল কিং মহিলাদের উপরে ব্যবহার করতো। একবার গলায় শিকল দিতে পারলেই সারা জীবনের জন্য সে ডেভিল কিং এর গোলাম হয়ে যাবে। আর এইখানে যে বিষয়টা হচ্ছে সেটা খুব সাংঘাতিক।
।।।
।।।
এই ছোট রক্তের পুকুরটাকে বলা হয় ব্লাড রিচুয়াল। যেটা দ্বারা ডেভিল কিং এর স্ত্রী নির্বাচন করা হয়। যাকে মাঝখানে রাখা হবে, সে আশেপাশের সকল মেয়ের লাইফ এনার্জি শোষন করবে। এতে করে চারপাশে থাকা সবাই মারা গিয়ে অত্যাধুনিক ক্ষমতা অর্জন করবে মাঝের জন। এটা অনেক পুরাতন এবং ভয়ানক পদ্ধতি। এটা দ্বারা ডেভিল কিং কি করতে চাচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। সে কি জেসিকে তার স্ত্রী বানাবে? কিন্তু সে যে স্পেল ব্যবহার করছে এটা অনেক ভয়ংকর। এটা সম্পূর্ণ হলে জেসি মারাও যেতে পারে, যেটা আমি কখনো হতে দিতে পারবো না। আমি এন্জেল ফর্মে কিছু করতে পারবো না। আর মানুষের ফর্মে যদি এই ব্লাডের মধ্যে পা দেই, তাহলে আমার শরীর থেকেও এনার্জি বের হয়ে জেসির কাছে চলে যাবে। এবং কিছুক্ষনের মধ্যে আমি মারা যাবো। তাই যা করতে হবে ভেবেচিন্তে করতে হবে।
।।।
।।।
আমি আমার মানুষের ফর্মে চলে আসলাম। এবং আমার পিছন থেকে গডহ্যান্ড বের করলাম। পুরো একশো হাত বের করলাম, এবং তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করলাম। এখন একশো হাত নিয়ন্ত্রন করতে পারি সহজেই, তবে এর বেশী নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। আমি এই গডহ্যান্ডের পুরো ব্যবহার এখনো জানি না। তবে চেক করে দেখা যাক এটা কি এই চেইনগুলোকে ভাঙতে পারে কিনা। আমার গডহ্যান্ড দিয়ে আমি প্রথমে জেসির চেইনে ধরে টান ছিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো সেটাকে ছিড়ার। তবে সেটা হলো না। এতো শক্ত শিকল গুলো যে গড্যান্ডের শক্তিতেও কাজ হবে না। আমি এরপর আমার হাতে এক্সোভিলিরা নিলাম। যেটা দিয়ে শিকল গুলোকে কাটার উদ্দেশ্য ছিলো। মেয়ে গুলো একটা স্লিপিং স্পেলের মধ্যে আছে। যার জন্য তারা ঘুমাচ্ছে। তাই কোনো চিন্তার বিষয় হবে বলে মনে হয় না। তবে হঠাৎ ই পিছন থেকে আওয়াজ হলো,
.
–আমার রাজ্যে, আমার সিংহাসনে এবং আমার হবু স্ত্রী কাছে কি করা হচ্ছে?(পিছন থেকে আওয়াজ আসলো)
।।।
।।।
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখতে পেলাম সেটা ডেভিল কিং নিজে দাড়িয়ে আছে। তার মাথায়ও একটা হুড, যার কারনে তার চেহারা দেখা যাচ্ছে না। মূলত তার চেহারা আমি আগের বারও তার সাথে লড়ার সময় দেখতে পায় নি। মুখের জায়গায় একদম কালো, মনে হয় না তার কোনো চেহারা আছে। যায়হোক ডেভিল কিং এর হাতে দ্যা ব্লাক সোর্ড দেখতে পেলাম। যেটা অনেকটা ভয়ানক ব্যাপার। সেটার একটা স্পর্শ এবং আমি সোজা সেই তলোয়ারের ভিতরে চলে যাবো বলে মনে হচ্ছে। তারপরও একটা রিক্স নেওয়া যায়। দ্যা ব্লাক সোর্ড কি করতে পারে সেটা তো দেখা যাবে। আমি আমার এন্জেল ফর্মে চলে আসলাম। ডেভিল কিং এর সাথপ এন্জেল কিং এর ফর্মেই লড়তে হবে, তাহলে আমার কিছুটা এডভান্টেজ থাকতে পারে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here