ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৬০

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৬০
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
এক সপ্তাহ সময় হলো আমি আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে এসেছি। ভাগ্য ভালো ছিলো সেদিন বেশী কিছু হয় নি। এমনও হতে পারতো আমি এখন ডেভিল কিং এর তলোয়ারের মাঝে থাকতাম। আমার এন্জেল ফর্মে থাকা অবস্থায় তার তলোয়ার আমার শরীরের প্রায় অনেকটা ম্যাজিক পাওয়ার শেষ করে দিয়েছে, যেখানে হাজার হাজার সেনা বানিয়েও আমার ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয় না এন্জেল ফর্মে। পুরো একদিন সময় লেগেছিলো আমার পুরো ম্যাজিক পাওয়ার সংগ্রহ করতে। আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে জেসি এবং বাকিদের গলার চেইন ক্যান্সেল করে আনলেও তারা স্লিপ স্পেলের মধ্যে ছিলো। যেটা ক্যান্সেল করার পরও এখনো তারা ঘুমিয়ে আছে। হয়তো ব্লাড রিচুয়াল শেষ না হওয়ার সাইড ইফেক্ট এটা। কিন্তু কে জানে, আমি একটা নতুন প্রতিষ্ঠানের কথা ভাবছিলাম। যদিও আমাদের শহরে কোনো অন্যায় হয় না। তারপর আমি একটা প্রতিষ্ঠান করতে চাচ্ছি আগের দুনিয়ার পুলিশ সেন্টারের মতো। বিষয়টা নিয়ে ভাবছিলাম তখনি খবর পেলাম জেসি এবং বাকি মেয়েগুলো ঘুম থেকে ফিরেছে। তাদের খেয়াল রাখছে আমাদের কুইন নিজেই। অবশ্য তাদেরকে প্যালেসে এনে রাখার পর প্রথমে কুইন অনেক রেগে গিয়েছিলো, হয়তো ভেবেছিলো আমি মনোরঞ্জনের জন্য তাদের এনেছি, কিন্তু জেসিকে আমার বোনের পরিচয় দেওয়ার পর থেকে কুইন নিজ থেকেই জেসি সেবা করছিলো বেশী করে। আমি বিষয়টা জানি না কেনো। অবশ্য আমার পরিবারের সাথে থর বাদে এখনো কেউ পরিচিত হয় নি। তাই হয়তো আমার বোনের পরিচয় দেওয়ায় কুইন তার যত্ন নিচ্ছে।
।।।
।।।
আমিও কাজ ফেলে টেলিপোর্ট হয়ে প্যালেসের মধ্যে চলে আসলাম। এখনল আমার এন্জেল ফর্মেই আছি আমি। তাই টেলিপোর্ট স্পেলই ব্যবহার করলাম। এক সেকেন্ডেই আমি যেখানে জেসি সেখানে চলে আসলাম। জায়গাটা খাওয়ার টেবিল আমি আশা করি নি এখানে থাকবে ও। রানী তার চেয়ারে বসে আসে চুপ চাপ। আর জেসি বসে খাচ্ছে তারই পাশে। বাকি মেয়েদের হয়তো অন্য জায়গায় রাখা হয়েছে, অবশ্য আমি ওদের আনার পর থেকে প্যালেসেই মেয়েদের দেখতে বলে বের হয়েছিয় আর ওদের দেখতে আসি নি।
।।।
।।।
জেসি বসে বসে বিশাল বড় মাংসের পিসের উপরে কামড় দিচ্ছিলো। ওর খাওয়াটা অনেকটা একমাস না খাওয়া অভাগীর মতো লাগছিলো আমার কাছে। তাই না হেসে পারলাম না। আমার হাসা দেখতে পেয়ে জেসি সাথে সাথে রেগে উঠলো এবং ওর হাতে খাওয়া মাংসের একটা হাড় আমার গলায় ধরলো। প্রথমে বুঝতে পারে নি আমি ওর পাশে ছিলাম। হয়তো এন্জেল ফর্মে আছি বলে। আমাকে দেখতে পেয়ে ছেড়ে দিলো এবং আবারো খেতে শুরু করলো।
.
–তাহলে তুই আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিস ডেভিল কিং এর থেকে।(জেসি একটা ষাড়ের বিশাল লেগপিসের উপরে কাপড় বসিয়ে দিলো এবং চাবাতে চাবাতে বলতে লাগলো)
.
–হ্যা ভাবলাম আমার সেনা তাতে অনেক বড় হবে।(আমি)
.
–কাজটা মনে হয় না ঠিক করেছিস। আমি জানি তোর আমার জন্য চিন্তা হচ্ছিলো। এজন্য আমাকে নিয়ে এসেছিস। কিন্তু শুধু আমাকে নয়। তুই ডেভিল কিং এর শক্তিশালী সেনার সব উনিশ জেনারেলকেও সাথে করে নিয়ে এসেছিস যাদের গোলাম করে রেখেছিলো ডেভিল কিং।(জেসি)
.
–কি ঔসব গুলো মেয়ে ডেভিল কিং এর জেনারেল?(আমি)
.
–হ্যা। এটার জন্য আমার মনে হয় ডেভিল কিং শীঘ্রই এই রাজ্যের সাথে যুদ্ধে আসবে। সে হয়তো দেরী করছে কারন নতুন জেনারেল খোজে আছে নিশ্চয় এখন।(জেসি)
.
–আসুক সমস্যা কোথায়। মার্ডিলা কোনো দুর্বল রাজ্য নয়। তাছা আমাদের সেনা অনেক শক্তিশালী বাকি সকল রাজ্যদের থেকে।(কুইন এলিহা)
.
–তোর এনার কি খবর রে?(জেসি)
.
–জেসি আমরা এখন কুইনের সামনে আছি। একটু ফরমালিটি দিয়ে কথা বললে ভালো হয়। আর তাছাড়া আমি একজন মিনিস্টার।(আমি)
.
–তুমি কি রানী এলিনার কথা বলছো? সে আমার মেঝো বোন। আমি কুইন এলিনার ছোট বোন এলিহা।(কুইন এলিহা)
.
–তুই তো দেখছি বাজি মেরে দিয়েছিস। একসাথে দুই বোন।(জেসি)

।।।
।।।
রানী মনে মনে রাগতেছে সেটা আমি বুঝতে পারছি। কারন তার সামনে এলিনার কথা বলছে এজন্য। এলিনা তো সবার সামনে বলে বেড়ায় আমাকে সে ভালোবাসে, বিশেষ করে এজন্য রানী রাগ করে। আমি জানি কুইন এলিহার মনের মধ্যেও আমার জন্য জায়গা আছে। তাই কাউকেই আমি কষ্ট দিতে চাই না। আমি আমার এন্জেল ফর্মে আছি, কিন্তু জেসি পাশে থাকায় আমি কুইনের সাথে কথা বলতে পারছি না। কারন ও যতো খাচ্ছে ওর শরীর দিয়ে ততো মারাত্মক ধরনের ম্যাজিক পাওয়ার বের হচ্ছে, যেটা আমাকে ভয় পায়াচ্ছে।
.
–তো কুইন বললো আমাকে তোর রাজ্যের বিশপ বানাতে চাস। আমি আপত্তি করবো না। তবে আমার রুলস থাকবে কিছু।((জেসি)
.
–হ্যা। বলো তুমি। আমি সব গুলো মেনে নিবো।(কুইন)
.
–প্রথমত আমি কোনো কাজ করতে পারবো না। কারন হ্যারিকে নিয়ে আমি ফিউচার প্লানিং করবো, এইবার কোনো সাকুবিচকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না আমাদের মাঝে, আর দ্বিতীয়ত এরকম খাবার প্রতিদিন লাগবে আমার।(জেসি)
.
–হ্যা বুঝতে পারছি এরকম পুরো বিশাল এক টেবিল খাবার কোনো পেয়ে খায় সেটা আজকে জানলাম।(আমি)
.
–আমার শর্তে রাজি আছোস কিনা বলেন মিনিস্টার স্যার।(জেসি)
.
–হ্যা।(আমি)
।।।
।।।
আমিও আমার কিংডম ক্রিয়েশন স্পেল ব্যবহার করলাম। যেটা দিয়ে বিশপ বানিয়ে দিলাম আমি জেসিকে। কেনো জানি না তবে ওকে বিশপ বানানোর পর আমার মাথা হালকা ঘুরান দিলো। আমি বুঝতে পারলাম না কিসের জন্য। হয়তো ডেভিল কিং এর সাথে লড়ার সময় আমার ম্যাজিক পাওয়ার হারিয়েছিলো অনেকটা সেজন্য, নাহলে হয়তো সবচেয়ে বেশী ম্যাজিক পাওয়ার লেগেছে জেসিকে বিশপ বানানোর পর।
.
–নে দুজনে প্রেম কর এখন আমি যায় হ্যারির কাছে।(জেসি)
।।।
।।।
জেসি উঠে চলে গেলো। আর আমি আর কুইন এক রুমে আলাদা। কুইন লজ্জায় লাল হয়ে গেলো আমার দিকে তাকিয়ে। যেহেতু আমি এন্জেক ফর্মে আছি তাই কুইন আমার সাথে একা থাকলে অনেক ভয় পাই। ভয় বলতে লজ্জাজনক ভয় পায়। এজন্য একা থাকলে তার সাথে বেশী কথা হয় না আমার। কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে কুইনই কিছু কথা বলতে চাচ্ছে। আমি বুঝতে পারলাম কুইন আমার বোন মানে জেসির সাথে ভালো সম্পর্ক করতে চাচ্ছে, যাতে আমি এলিনাকে রেখে তাকে বিয়ে করি। অবশ্য বিয়ের চিন্তা কাউকেই করার ইচ্ছা আমার আপাতোতো নেই। পরে দেখা যাবে সেটা।
।।।
।।।
আমি বুঝতে পারলাম জেসিকে বিশপ বানানোর ফলে আমার অনেক ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয়েছে, যেটা আগে কখনো হয় নি। বাকি বিশপেরা আমার এন্জেল পাওয়ারের পনেরো ভাগ পেয়েছে, তবে আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে আমার এন্জেল পাওয়ারের অর্ধেক জেসি পেয়েছে, হয়তো আমার মনের ভুল হবে। তারপরও জেসিকে বিশপ বানানোর পর থেকে ওর মাঝে আমি এন্জেল এবং ডেভিল দুই ধরনের ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করতে পারছি। বিষয়টা ভালো ভাবে একটু দেখতে হবে। যেহেতু এন্জেল ফর্মে অনেকটা দুর্বল লাগছে আমার, তাই আমি মানুষের ফর্মে চলে আসলাম। মানুষের ফর্মে এখন বেশীক্ষন আমার থাকা হয় না। আমার উড়তে সুবিধা হয় এন্জেল ফর্মে তাই সব সময় এন্জেল ফর্মেই থাকি। আমাকে আমার ম্যাজিক পাওয়ার আবারো সংগ্রহ করতে হবে বিশ্রাম নিয়ে।
।।।
।।।
আবারো একদিন বিশ্রাম নিতে হলো আমাকে, কারন জেসিকে বিশপ বানানোর ফলে আমার অনেকটা ম্যাজিক পাওয়ার শেষ হয়ে গেছে। মূলত স্পেলটা অনেক ম্যাজিক পাওয়ার শেষ করেছে ওকে বিশপ বানাতে, কিংবা অন্য কিছুও হতে পারে। আমি জেসির সাথে মেয়েগুলোকে নিয়ে আসার সময় জানতাম না তারা ডেভিল কিং এর জেনারেল ছিলো। তারা ঘুমের মধ্যে ছিলো বলে আমি তাদের ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করতে পারি নি। তবে আজ যখন এন্জেল ফর্মে এসেছি, তখনি তাদের ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করেছি, তারা যেহেতু ডেভিল কিং এর জেনারেল এক একজন, তাই শক্তিশালী তো হবেই। ডেভিল কিং হয়তো চাচ্ছিলো তার সকল জেনারেল এর ক্ষমতা জেসির মধ্যে দিয়ে জেসিকে শক্তিশালী একজন ডেভিল বানাবে এবং তাকে বিয়ে করবে। কিন্তু আমার জন্য তার সেই ইচ্ছা হলো না।
।।।।
।।।।
আমি বাকি মেয়েদের নাইট বানিয়ে দিলাম। তারা সবাই ডেভিল কিং এর থেকে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য আমাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, এবং আমাদের কুইনের আদেশ মানতে রাজি হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের রাজ্য এখন সেনার দিক দিয়ে অনেক উন্নত। তবে কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো আমাকে আরো উন্নত করতে হবে। তাই আমি আমার বোনের রাজ্য এজগার্ডে চলে গেলাম। যেটা আকাশে উড়ছে। থর তার মিওনির দিয়ে আমাদের যে শহর ছিলো, সেটাকে আকাশে উঠিয়ে দিয়েছে। এবং তার চারপাশ দিয়ে আমার দুই বোন এলেন এবং এলিন তাদের ড্রাগন ব্যারিয়ার তৈরী করেছে চারদিক দিয়ে। যার কারনে সেখানে একবার প্রবেশ করলে অন্য কোনো ম্যাজিক কিংবা ক্ষমতা কাজ করবে না। সেটা এতো শক্তিশালী এর আগে থরের মিওনির ও তার ক্ষমতা হারিয়েছিলো। যায় হোক আমি টেলিপোর্ট হয়ে সোজা এজগার্ডের প্যালেসে আসলাম। মূলত এখনো কোনো প্যালেস তৈরী হয় নি এখানে, আমাদের আগের বাসাটাকেই দালানের তৈরী করে সেটাকেই প্যালেসের রূপ দেওয়া হয়েছে। আমার বোন এলেন হলো এই রাজ্যের রানী। অবশ্য আমার বোন অনেক জ্ঞানী টাইপের। আমার থেকেও বেশী জ্ঞান তার মধ্যে আছে। আমি জানি না, হয়তো আমাদের বংশগত ক্ষমতাই একবার কোনো বই পড়লে সেটা কখনো ভুলবো না। যদিও আমি এদেরকে আমার পরিবার বলে মেনে নিয়েছি, কিন্তু আসলে তো এরা আমার পরিবার নয়। বরং আমি তাদের মৃত ছেলে যে আমার মতোই দেখতে তার শরীর কনট্রোল করছি। যদিও এই শরীরটা এখন আমার হয়ে গেছে, কিন্তু একটা প্রশ্ন আমার কাছে আছে। আমি অন্য কারো শরীরে প্রবেশ করতে পারবো? আমি তো ডেভিল কিং এর মতো আলাদা শরীর পাই নি। সে আমার সত্ত্বা হওয়ার পরও এই দুনিয়ায় আলাদা একটা শরীর পেয়েছে যেটা কারোরই না। কিন্তু আমি তো অন্যের শরীরে বাস করছি যেটা আমার না। তাহলে কি আমি অন্য কারো শরীরে প্রবেশ করতে পারবো। অবশ্য এসব চিন্তা পরে বৃদ্ধ হলে করা যাবে। আপাতোতো আমি যে জন্য এসেছি সেটা করতে থাকি। রানী আমার বোন হলেও তাকে সম্মান দিতে হয়। আমি হাটু গেড়ে সম্মান জানালাম, যেহেতু তার রাজ্যে আমি একজন মেহমান।
.
–কুইন অফ এজগার্ড এলেন, আমার সম্মান নিবেন।(আমি)
.
–এতো সম্মান জানাতে হবে না। তুমি আমার ভাই, নিজের বাসায় আসছো, তাই স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলো।(এলেন)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু কি করছো তুমি? একজন রানী হয়ে নিজে রান্না করছো?(আমি এলেনের রান্না দেখে বল্লাম)
.
–আমার রান্না ছাড়া নাকি থর খেতে পারে না। তাই আমাকেই রান্না করতে হয়। যতই হোক তার জন্য আমরা আজকে একটা স্বাধীন রাজ্য, ইগড্রোলিয়ার কোনো জুলুম হয় না আমাদের উপরে, আর তোমার উপদেশ মতো কাজ করে আমাদের রাজ্যও এখন উন্নতির দিকে, কেউ বসে নেই আর। সবাই চেষ্টা করছে উন্নত হওয়ার। আর এই সবের জন্য আমি থরকে ধন্যবাদ জানায়।(এলেন)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–তবে আমার রাজ্য চালানোর কোনো ইচ্ছা নেই, মন চাই আম্মা এবং এলিনকে নিয়ে তোমার রাজ্যে চলে যায়। কিন্তু একটা বড় কর্তব্য এখন আমার মাথায়। আমি যেহেতু রানী হয়েছি এই রাজ্যে, তাই আমাকে কষ্ট করতেই হবে এই রাজ্যের জন্য।(এলেন)
.
–ভালো কথা এলিন এবং আম্মা কোথায়?(আমি)
.
–আম্মা আগের মতোই গায়েব হয়ে যায়, তবে থর আম্মাকে খুজে বের করার চেষ্টা করছে। আর এলিন রাজ্যের সেনাদের ট্রেনিং দিচ্ছে।(এলেন)
.
–ও ভালো কথা। আমি এসেছিলাম আম্মাকে আমার সাথে আমাদের রাজ্যে নিয়ে যেতে।(আমি)
.
–কেনো আম্মা তো এখানেই ভালো আছে।(এলেন)
.
–আম্মার সাহায্য আমাদের দরকার। তাই তাকে আমাদের রাজ্যে নিয়ে যেতে চাই।(আমি)
.
–ঠিক আছে, আম্মা আসলে আম্মাকে বইলো সে যাবে কিনা।(এলেন)
.
–আমি জানি সে কোথায়, তাই এখনি তার কাছে যাচ্ছি আমি।(আমি)
।।।
।।।
যেহেতু আমার ম্যাজিক পাওয়ার এবং ক্ষমতা কোনোটাই কাজ করবে না এই এজগার্ডে ড্রাগন ব্যারিয়ারের ফলে, তাই আমি মানুষের ফর্মেই ছিলাম। টেলিপোর্ট হতে পারবো না তাই আমি সোজা সোজি সেই আন্ডারগ্রাউন্ড বেসমেন্টে চলে আসলাম যেখানে আগের বার এসেছিলাম। আর আম্মাকে এখানেই পেলাম আমি। আম্মা একটা কেমিক্যাল নিয়ে কাজ করছেন যেটায় তার মনযোগ। তবে আমার পায়ের শব্দ শুনে সে পিছনে তাকালো। প্রথমে অবাক হলো, কিন্তু পরে আমাকে জরিয়ে ধরলো।
.
–আম্মা কেমন আছেন?(আমি)
.
–ভালো বাবা তুমি তো একদমই আসো না আমাদের কাছে এখন। আমাদের কি ভুলে গেছো?(আম্মা)
.
–একটা রাজ্য চালাতে হলে অন্য কথা মনে থাকে না আম্মা।(আমি)
.
–আমি এসব করছি একথা কাউকে বলো না। সবাই অন্যরকম চিন্তা করবে। কারন এসব জিনিস বলতে কিছু নেই।(আম্মা)
.
–কেনো যেসব করছেন এগুলো তো অনেক সুন্দর জিনিস, যেটা অনেকের কাজে আসবে। এটা লুকানোর কি আছে। বরং আপনাকে এর জন্য সম্মান দেওয়া দরকার।(আমি)
.
–আমি ছোট থেকেই আজব আজব স্বপ্ন দেখতাম। দেখতাম আগের জন্ম নিয়ে, যেখানে আমি একটা সাইন্টিস্ট ছিলাম। নতুন জিনিস আবিষ্কার করতাম। প্রথমে আমি এসব কোনো কিছুতে গুরুত্ব দেই নি। তবে যেদিন আমি তোমার বাবার থেকে একটা বই নিয়ে পড়লাম সেটা পড়ার পর থেকে আমার মনে হলো আমার কাছে আগের দুনিয়ার স্মৃতি চলে এসেছে।(আম্মা)
.
–আগের দুনিয়া মানে পৃথিবীর?(আমি)
.
–তাহলে তোমারও সেই স্মৃতি মনে আছে? আমি জানতাম আমি একা নই। অনেকেই আছে যারা আগের দুনিয়া সম্পর্কে জানে।(আম্মা)
.
–আম্মা আপনি আমার সাথে আমার রাজ্যে চলুন, সেখানে গিয়ে আপনি আপনার সাইন্টিস্ট এর কাজ ভালো ভাবে শুরু করতে পারবেন।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here