ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ০৭

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৭
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
খাবার টেবিলের উপরেই রাখা ছিলো। সেটা খাওয়ার পরই আমরা দুজনেই ঘুমের দেশে তলিয়ে পরলাম। কালকে আরো একটা ভয়ঙ্কর দিন আসবে। জানি না কালকে কি মৃত্যুখেলায় আমাদের নামিয়ে দিবে। কিন্তু যা হবে সেটা কালকেই দেখা যাবে। আমি আপাতোতো আমার সেই আশ্চর্যজনক হাতগুলো সম্পর্কে স্বপ্ন দেখতে লাগলাম।
।।
।।
আমরা সবাই পরের দিন উঠলাম ঘুম থেকে। শরীর এতোটা ক্লান্ত ছিলো যে দুপুর থেকে পুরো রাত ঘুমের মাধ্যমেই কেটেছে। আমি আর হ্যারি ফ্রেস হয়ে নিলাম।
.
–জ্যাক আমাদেরকে এখন নাস্তা করতে যেতে হবে, আমার অনেক ক্ষুদা পেয়েছে।(হ্যারি)
.
–হ্যা আমারও অনেক ক্ষুদা লেগেছে।(আমি)
.
–তাহলে চলো আমরা ক্যান্টিনের দিকে যায়।(হ্যারি)
।।।
।।।
ক্যান্টিন আমাদের সবার খাবার খাওয়ার একটা জায়গা। সেখানে রান্না করার জন্য বেশ কিছু লোক থাকে। বিশেষ করে মানুষেরাই রান্নার কাজ করে থাকে। অন্য প্রানীদের থেকে মানুষেরাই সবচেয়ে ভালো খাবার তৈরী করতে পারে। এরজন্য সব ধরনের ক্যান্টিনের জন্য মানুষদেরই ঠিক করা হয়। আমি আর হ্যারি দুজনেই হাটতে হাটতে ক্যান্টিনের দিকে চলে আসলাম। আমরা ভিতরে বাকি তিনজনকেও দেখতে পেলাম।
.
–জ্যাক আর হ্যারি, এদিকে আসো তোমরা।(লুসানা)
.
–লুসি, এলিহা, লুসানা তোমরা ঠিক আছো তো?(হ্যারি)
.
–হ্যা। জ্যাকের সেই হিলিং পাওয়ারের মাধ্যমে আমরা সবাই ঠিক আছি।(লুসি)
.
–বলতে হবে কালকের দিনটা অনেক ভয়ঙ্কর ছিলো। কিন্তু সেখানে জ্যাক না থাকলে হয়তো আমরা বেঁচে ফিরতে পারতাম না।(এলিহা)
.
–হ্যা একদম।(লুসানা)
.
–যা হয়েছে সেটা নিয়ে আর ভাবা ঠিক হবে না আমাদের। বরং সামনে এর থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো শক্তিশালী হতে হবে আমাদের।(আমি)
.
–হ্যা। আমরা এমন শক্তিশালী হবো যে পুরো রাজ্যের মিলিটারি সেনা পর্যন্ত আমাদের ভয় পাবে।(হ্যারি)
.
–বেশী সময় নেই, একটু পরই কহিল স্যার আমাদের ট্রেনিং শুরু করবে। তাই তারাতারি করতে হবে আমাদের।(আমি)
।।।
।।।
আমরা সবাই একসাথে তারাতারি করে নাস্তা শেষ করলাম। আমি সাধারন খাবারই খেতে পছন্দ করি। আমাদের স্কুলে, কিংবা এখানে বেশী জাকজমকিয় খাবার পরিবেশন করে না। খুব সাধারন খাবারই দেওয়া হয়। আমি আপাতোতো দুটো রুটি এবং একটা ডিমের ওমলেট খাচ্ছি। হ্যারিও সেটাই খাচ্ছে। আর এদিকে এলিহা খাচ্ছে হলুদ চাউল সেদ্ধ সাথে কিছু লাল সস। লুসি এবং লুসানা মাশরুমের স্যুপ খাচ্ছে। আমি খাবার সম্পর্কে বেশী কিছু জানি না। আমার মেমোরিতে তেমন কোনো খাবারের তথ্য নেই। তাই একটারও নাম বলতে পারলাম না। তবে ওদের কাছ থেকে শুনলে হয়তো বলে দিলো, কিন্তু সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না আমি। আমাদের আবার ট্রেনিং এ যেতে হবে। খাবার শেষ করে আমরা হাটতে লাগলাম।
।।।
।।।
পাঁচজনই হেটে হেটে মাঠের দিকে যাচ্ছি। খোলা আকাশের নিচে ঘাসের উপরে আমার ট্রেনিং হবে। জায়গাটা একদম সুন্দর। ঘাসগুলো চারিদিকদিয়ে এমন ভাবে আছে যে মাটির চিহ্নও দেখা যাচ্ছে না। কেউ পরে গেলে তেমন আঘাত পাওয়া যাবে না। আমরা মাঠের মধ্যে দাড়িয়ে কহিল স্যারের জন্য অপেক্ষা করছি। জানি না কখন আসবে। বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর হঠাৎ কোথা থেকে টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসলো আমাদের কাছে। এসেই বলতে শুরু করলো,
.
–তো আজকে তোমাদের কোনো জায়গায় নেওয়া হবে না। বেশ কিছু সাধারন জ্ঞান তোমাদের বলবো। প্রথমত ম্যাজিক কি কেউ বলতে পারবে?(কহিল)
.
–আমরা বায়ু দেখতে পারি না, কিন্তু অনুভব করতে পারি, ঠিক ম্যাজিকও সেরকম আমরা ম্যাজিক দেখতে পারি না তবে এটা ব্যবহার করতে পারি স্যার।(হ্যারি)
.
–না এটা ম্যাজিকের সজ্ঞা নয়। বরং…(কহিল স্যার বলতে যাবে তখনি আমি হাত তুললাম)
.
–স্যার আমি বলতে পারি?(আমি)
.
–হ্যা জ্যাকসন বলো।(কহিল)
.
–আমাদের সারা শরীর দিয়ে ব্লাড চলাচল করে। তাদের চলাচলের জন্য কিছু রাস্তা রয়েছে। তারা সেসকল রাস্তা দিয়েই শুধু চলাচল করে। আর এই সকল রাস্তাগুলো শরীরের বেশ কিছু জায়গায় এক হয়েছে, সবমিলিয়ে শরীরের মধ্যে পনেরোটি জায়গা আছে যেখানে ব্লাড চলাচলের রাস্তা বেশী একত্রিত হয়েছে। এই পনেরোটি জায়গাকে পনেরো গেইট বলা হয়। এটা এক একজনের শরীরে আলাদা জায়গায় হতে পারে। শুধু আমরা নই, এই দুনিয়ার যত জীবিত প্রানী আছে সকলেই শরীরে এই পনেরো গেইট বিদ্যামান আছে। এই পনেরো গেইট থেকে প্রতিটা প্রানীর শরীরেই একটা অদ্ভুদ ধরনের এনার্জি তৈরী হয়, এটাকে আমরা আমাদের জীবন চলার পাওয়ার বলে থাকি। এই এনার্জি দিয়েই আমরা হাটাচলা, এবং নানা রকমের কাজ করে থাকি। প্রানীরা সময়ের সাথে আস্তে আস্তে বুদ্ধিমান হতে শুরু করায় এই শরীরের এনার্জিটা তারা আরো বিভিন্ন ধরনের কাজে লাগাতে শুরু করে। আস্তে আস্তে শরীরের এই এনার্জির নাম দেওয়া হয় ম্যাজিক পাওয়ার। সময়ের সাথে সাথে এই ম্যাজিক পাওয়ারের বিভিন্ন কাজ দেখা যেতে লাগলো, এছাড়াও বিভিন্ন গোত্রের প্রানীদের বিভিন্ন রকম ক্ষমতা দেখা দিতে লাগলো। এসব কিছুই হলো ম্যাজিক।(আমি)
.
–এটা তো মনে হয় আমি একটা বইয়ে পরেছিলাম। তারপরও অনেক সুন্দট ব্যখ্যা করেছো। আমার পরের প্রশ্ন গুলোর জবাবও এই প্রশ্নে দেওয়া হয়ে গেছে।(কহিল)
।।।
।।।
কিছুক্ষন একটা কাগজে কি জানি লেখলো কহিল স্যার। এরপর আবার আমাদের বলতে লাগলো,
.
–তোমাদের আগের দিনের লড়াই দেখে আমি মুগ্ধ। আমি ভেবেছিলাম হয়তো তোমরা মারা যাবে। তারপরও বলতে হবে কিছু দম ছিলো তোমাদের মধ্যে। আমরা যে ব্লাক আর্মি বানাতে চাচ্ছি তার জন্য তোমাদের সবাইকে অনেক কষ্ট করতে হবে। তোমাদের ট্রেনিং সেদিনই শেষ হবে যেদিন তোমরা এক আঘাতেই পুরো পাচহাজার সেনা মেরে ফেলতে পারবে।(কহিল)
.
–এক আঘাতে পাচ হাজার সেনা?(আমি)
.
–কেনো সেটা কি কারো জন্য সম্ভব নয়?(কহিল)
।।।
।।।
কহিল স্যার আমাদের সাথে সাথে টেলিপোর্ট করে আরেকটা জায়গায় নিয়ে আসলো। আমরা একটা পাথরের উপরে দাড়িয়ে আছি। আর নিচে যুদ্ধ হচ্ছে। আগের দিন যেরকম যুদ্ধ হচ্ছিলো সেরকম যুদ্ধই হচ্ছে আজকে। কিন্তু আজকে শত্রু পক্ষের সংখ্যা অনেক।
.
— যেহেতু আমাদের রাজ্যে ছোট শহর গুলোর সংখ্যা কয়েক হাজার, অনেক শহর একত্র হয়ে আমাদের নিয়ম অমান্য করে। তারা আমাদের মিলিটারি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। আর তার ফল এরকমই হয়। এখানে দুহাজারের মতো শত্রু আছে। যদি এরকম শত্রুদের একাই না হারাতে পারো তাহলে তোমাদের শক্তিশালী তো কোনোদিক দিয়েই বলা যাবে না।(কহিল)
।।।
।।।
হঠাৎ আমাদের মিলিটারি সেনারা পিছে চলে আসলো। আর কহিল স্যার পুরো শত্রুদের চারিদিক দিয়ে বরফের একটা বিশাল দেওয়াল বানিয়ে দিলো। পুরো দুহাজারের মতো শত্রু সেখানে বন্ধী হয়ে গেলো। দেওয়ালটা এতো মোটা যে তাদের অস্ত্র এবং ম্যাজিক দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না, বরফ একটু ভাঙলেই আবার সেখানে নতুন বরফ চলে আসে।
.
–দেখো আসল পাওয়ার কাকে বলে।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল স্যার এবার তাদের মাথার উপরে বিশাল একটা বরফের খন্ড বানালো। যেটা প্রতি মুহুর্তেই বিশাল হচ্ছে। পুরো দেওয়াল যতটা হয়েছিলো তার থেকেও চওড়া বরফের খন্ড বানিয়ে ফেললো যেটা হাওয়ায় ভাসছে। খন্ডটা কোনো সাগরে ফেললে দ্বিপের মতো দেখা যাবে হয়তো। এই খন্ডটা শত্রুদের উপরে পরলে তারাদের হাড় গুড়ো হয়ে যাবে। পুরো বরফের খন্ডটা সাথে সাথে তাদের উপরে প্রবল বেগে ছুরলো। আমরা সবাই শুধু তাকিয়েই রইলাম।
.
–দেখো আমি যদি একাই এভাবে দু হাজারদের মেরে ফেলতে পারি, তাহলে তোমাদের পাঁচজনকে তো অন্তত পাঁচহাজার একসাথে হারাতে হবে।(কহিল)
।।।
।।।
কহিল স্যার আমাদের আবার টেলিপোর্ট করে নিয়ে আসলো। এবং বলতে লাগলো,
.
–তাহলে ট্রেনিং আজকের মতো শেষ। আমি তোমাদের সময় দিচ্ছি একদিনের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। ব্লাক আর্মিতে থাকতে হলে এভাবে শত্রুদের জীবন নেওয়া শিখতে হবে, অবশ্য সেটা জেনারেলের অর্ডার অনুযায়ী হবে। চাইলে নিজেদের বাসায় চলে যেতে পারো। আর এখানে থাকতে হলে এইটা প্রতিদিনের অভ্যাস করে নিতে হবে।(কহিল)
।।।
।।।
সাথে সাথে কহিল স্যার টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। আমরা পাঁচজন একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। তারপর ধপাস করে ঘাসের উপরে বসে পরলাম।
.
–আমি কি দেখলাম সেটা বুঝতে পারছি না। তার এই বয়সেই সে একসাথে দুহাজার শত্রুদের সাথে সাথে মেরে ফেললো।(হ্যারি)
.
–আমাদের এখানে থাকতে হলে এভাবেই রোজ সবার জীবন নিতে হবে তাহলে?(এলিহা)
।।।
।।।
লুসি এবং লুসানা কিছু বলছে না। ওরা আতঙ্কে আছে এখনো সেটা দেখার পর থেকে।
.
–আমরা মিলিটারিতে প্রথমেই ভর্তি হয়েছি শক্তিশালী হওয়ার জন্য যদি এখন দুর্বল হয়ে যাও তাহলে তোমরা বাসায় চলে যেতে পারো।(আমি)
.
–আমি তো মোটেও দুর্বল হচ্ছি না। কহিল স্যারের সেই স্পেলটা দেখার পর থেকে আমি আরো উত্তেজিত হয়ে গেছি। জ্যাক আমরা দুজনো একসময় এরকম করে পুরো শত্রুদের হারিয়ে ফেলবো। আমি এখনি ফিল করছি সেটা।(হ্যারি)
.
–এটা আপাতোতো সাধারন শত্রুদের দল ছিলো। আমি আশা করছি কহিল স্যারের মতো আরো হাজার হাজার শত্রু আমাদের জন্য ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছে। আমাদেরকে যে করেই হোক শক্তিশালী হতে হবে।(আমি)
.
–হ্যা।(হ্যারি)
.
–লুসি এবং লুসানা তোমাদেরকে বলবো একটাবার ভালো করে ভাবার জন্য। আমি জানি তোমরা দুজন কোনো আক্রমনের স্পেল ব্যবহার করতে পারো না। কিন্তু সেদিন তোমাদের জন্যই আমরা এখন জীবিত আছি। আমি জানি আমরা পাঁচজন একসাথে থাকলে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবো।(আমি)
.
–হ্যা জ্যাক একদম ঠিক বলেছে।(হ্যারি)
।।।
।।।
লুসি এবং লুসানা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেলো এখন। আমরা সবাই গল্প করতে লাগলাম একসাথে। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, আমার সামনে এতো লোক মারা গেলো কিন্তু আমার মনের মধ্যে কোনো কিছু ফিল করি নি তাদের জন্য আমি। বরং তাদের মৃত্যু দেখে আমার মনের মধ্যে অনেকটা তৃপ্তুি পাচ্ছিলো। আমি জানি না এটা কিসের জন্য।
.
–কহিল স্যার আমাদের তেমন ট্রেনিং করলো না। তারমানে আমাদের নিজেদেরই ট্রেনিং করতে হবে।(হ্যারি)
.
–হ্যা বিশেষ করে আমার স্পেলের উপরে কাজ করতে হবে। হ্যারি আমি চাই তুমি আমার উপরে আক্রমন করো। একদম সিরিয়াস ভাবে আক্রমন করবে।(আমি)
.
–একদম সিরিয়াস?(হ্যারি)
.
–হ্যা। নাহলে আমার ক্ষমতা সম্পর্কে আমি সম্পূর্ন তথ্য পাবো না।(আমি)
.
–ঠিক আছে।(হ্যারি)
।।।
।।।
হ্যারি আসলেই সিরিয়াস হয়ে আমার উপরে আক্রমন করতে লাগলো। ওর এট্রিবিউট বায়ুর হওয়ায় বায়ুর বিভিন্ন স্পেল আমার দিকে ছুড়তে লাগলো। বিশেষ করে বেশ কিছু এয়ার ব্লেড আমার দিকে ছুড়েছে। এয়ার ব্লেড এতো ধারালো সেটা যে কোনো জিনিসই কেটে দিতে পারে, কিন্তু হ্যারি ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠে নি এয়ার ব্লেড পুরোপুরি ভালো করে ব্যবহার করার মতো। ওর গুলো ভয়ঙ্কর, কিন্তু টার্গেট মিশ হয়ে যায়। আমার হাত পায়ের সব বিভিন্ন অংশই কেটে গেছে ওর এয়ার ব্লেডে। আমি ভাবছিলাম হয়তো আমার হাতগুলো বের হবে পিঠ থেকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু বের হচ্ছে না সেগুলো। আমি সবটাই চেষ্টা করছি। আমার মনে হচ্ছে কোনো সিকরেট কোড আছে হাতগুলো বের করার। কিন্তু সবকিছু চেষ্টা করার পরও কোনো কিছু হচ্ছে না। এদিকে হ্যারি যত আক্রমন আমার দিকে করছে আস্তে আস্তে তা আরো শক্তিশালী এবং আমার দিকেই আসছে। আমাকে খুব সাবধানের সাথে সেগুলো থেকে সরে যেতে হচ্ছে। এয়ার ব্লেড খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু আমি সোজা ম্যাজিকই দেখতে পারি। এজন্য যেকোনো স্পেল আমার দিকে আসলে আমি সেটাকে স্পষ্ট দেখতে পাই, এতে আমার সরে যেতে সুবিধা হয় অনেক। কিন্তু এখন সেটাও সুবিধা হচ্ছে না। কারন হ্যারির এয়ার ব্লেড এখন আগের থেকে অনেক বড় আকার নিয়েছে। হ্যারি সেটা ছুরলে আমার দিকে অনেকটা জায়গা নিয়ে আসে। তাই সেটা থেকে সরে যাওয়া অসম্ভব আমার জন্য। একটা এয়ারব্লেড নিজ দিয়ে ছুরলো আমি লাফ দিয়ে সেটা থেকে সরে গেলেও আরেকটা সেই সময়েই উপর দিয়ে ছুরেছে হ্যারি, আর সেটা আমার মাথা বরাবরই আসছে। এখন এটা আমার মাথায় লাগলে মাথা দুটুকরো হয়ে যাবে। আমি আমার চোখ বন্ধ করে ফেললাম। আর তখনি আমি অনুভব করলাম আমার পিঠ দিয়ে কিছু একটা বের হয়েছে। আর এবার একটা হাতই বের হয়েছে। হাতটা হ্যারির এয়ারব্লেড থামিয়ে দিলো, এবং সাথে সাথে আরেকটা এয়ারব্লেড হ্যারির দিকেই ছুড়ে মারলো। কিন্তু আমি লক্ষ করলাম হ্যারির থেকে এটার ম্যাজিক পাওয়ার দ্বিগুন হয়ে গেছে। লুসি এবং লুসানা হ্যারির চারিদিক দিয়ে একটা ঢাল বানিয়ে দিয়েছে। তারা আমাকেও সাহায্য করতে চেয়েছিলো কিন্তু আমিই তাদের মানা করে দিয়েছিলাম। দুজনের ঢালও এয়ারব্লেডকে থামিয়ে রাখতে পারলো না। ঢালকে কেটে ভিতরে ঢুকে পরলো, আর তখনি এলিহা এর তলোয়ার দিয়ে এয়ারব্লেডটা কেটে দু টুকরো করে দিলো। আর সেটা তাদের দুজনের দুপাশ দিয়ে চলে গেলো।
।।।
।।।
আমি এই লড়াই থেকে বুঝতে পারলাম আমার ক্ষমতার সম্পর্কে। আমার আপাতোতো এই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনে নেই। এর জন্য আমার জীবন যখন একদম ঝুকির মুখে পরে তখন আমার শত্রুর সকল আক্রমন এটা তাদের দিকেই ফিরিয়ে দেই সেটার শক্তি দ্বিগুন করে। আর তখন আমার শরীর এবং আমার শরীরের সাথে অন্য কারো স্পর্শ লাগলে সকলেই একা একাই হিল হয়ে যাবে। ক্ষমতাটা অনেক কাজের। কিন্তু যদি এটা আমি নিজ ইচ্ছায় ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে আরো ভালো হতো।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
কেমন হয়েছে জানাবেন। বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করবেন। বুঝিয়ে দিবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here