ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ০৮

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৮
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি এই লড়াই থেকে বুঝতে পারলাম আমার ক্ষমতার সম্পর্কে। আমার আপাতোতো এই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনে নেই। এর জন্য আমার জীবন যখন একদম ঝুকির মুখে পরে তখন আমার শত্রুর সকল আক্রমন এটা তাদের দিকেই ফিরিয়ে দেই সেটার শক্তি দ্বিগুন করে। আর তখন আমার শরীর এবং আমার শরীরের সাথে অন্য কারো স্পর্শ লাগলে সকলেই একা একাই হিল হয়ে যাবে। ক্ষমতাটা অনেক কাজের। কিন্তু যদি এটা আমি নিজ ইচ্ছায় ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে আরো ভালো হতো। আমরা সকলেই ট্রেনিং করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম।
।।
।।
রাতের সময় সবাই ঘুমিয়ে পরেছে। আমি হাটতে হাটতে বাইরে চলে আসলাম। আমাদের যেখানে আনা হয়েছে জায়গাটা অনেক সুন্দর। চারিদিক দিয়ে সমুদ্র এবং তার মাঝে ছোট একটা দ্বীপ। এখানে সাধারন কোনো লোকজন বসবাস করে না। শুধু মাত্র মিলিটারিরাই এই দ্বীপটা ব্যবহার করে। আমি দ্বীপের সৌন্দর্য দেখতে লাগলাম। হাটতে হাতটে অনেকটা শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এখান থেকে সমুদ্রের পানি স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই দ্বীপের একটা জিনিস আমার খুব ভালো লেগেছে। সব জায়গাতেই বড় বড় ঘাস দেখা যায়। আমি ঘাসের উপরে বসে পরলাম। এবং রাতের পানি দেখতে লাগলাম। সমুদ্রের পানির উপরে আজ পাঁচটা চাদের আলো একসাথে পরেছে যার জন্য পানি একদম উজ্জল দেখা যাচ্ছে। পানিতে বিভিন্ন ধরনের প্রানীরা মনে আনন্দে খেলা করছে। অনেক প্রানী আছে যারা চাঁদের আলোতে শক্তিশালী হয়ে উঠে। আমাদের দুনিয়াতে মোট পাঁচটা চাদ রয়েছে৷ প্রথমে একটা চাদই দেখা যায়। কিন্তু প্রতি ছয়দিন পর পর এক একটা করে চাঁদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এভাবে চব্বিশতম দিনে পাঁচটা চাঁদ দেখা যায়। আবার একত্রিশ তম দিনে একটা চাঁদই দেখা যায়। আকাশে যেদিন চাঁদের সংখ্যা এবং আলো বেশী হবে সেদিন রাতের প্রানীদের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
।।।
।।।
আমি শুয়ে পরলাম ঘাসের উপরে। আমি জানি না কেনো? কিন্তু আমারও অনেক শক্তিশালী হওয়ার ইচ্ছা করছে। আপাতোতো এই দুনিয়াতে শক্তিশালী মানুষদের সংখ্যা অনেক কমই, ইতিহাসে কিছু সংখ্যক মানুষদের নাম উল্লেখিত রয়েছে যারা অনেক শক্তিশালী ছিলো। কিন্তু তারপরও মানুষদের এখনো সবচেয়ে ছোট চোখে দেখা হয়। আমি জানি না অন্যান্য গোত্রের সাথে মানুষের কি সমস্যা। সকল গোত্রই ঠিকমতো বসবাস করলেও মানুষদের বাকি গোত্রের কেউ দেখতে পারে না। আমার ইচ্ছা আমি ইতিহাসের শক্তিশালী লিজেন্ড যারা মানুষ ছিলো তাদের মতো শক্তিশালী হবো। এবং এই দুনিয়া থেকে মানুষদের অনেক উচু পর্যায়ে নিয়ে যাবো। আপাতোতো আমার যে অবস্থা তাতে কিছুতেই কিছু হবে না। যদি কোনো দিক দিয়ে আমি শক্তিশালী হতাম তাহলেই কাজ হয়ে যেতো। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আজকে তারাতে পুরো আকাশ ভরে গেছে। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা গোনার চেষ্টা করতে লাগলাম। আমি একটা বইয়ে পড়েছি এই দুনিয়ার বিশেষ কিছু জায়গা আছে যেখানে কেউ গেলে প্রচুর পরিমান শক্তি এবং নানা রকমের ম্যাজিকাল পাওয়ার অর্জন করতে পারে। এছাড়াও অনেক স্বর্ন, হিরাও পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত কয়েকটা জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে কিন্তু কিছু স্বর্ন মুদ্রা বাদে অন্য কোনো কিছু কেউ পায় নি।
।।।
।।।
আমার এখন মন চাচ্ছে সেই একটা জায়গায় যাওয়ার যেখানে গেলে আমি অনেক ক্ষমতা অর্জন করবো। আমি জানি না এটা সত্যি কিনা, কিন্তু যদি সত্যি সেখান থেকে ক্ষমতা অর্জন করা যেতো তাহলে অনেক ভালোই হতো। যায়হোক আমি পায়ের উপরে পা তুলে ঘাসের উপরে শুয়ে ছিলাম হঠাৎ কোথা থেকে একটা রংধনুর মতো আলো পরতে লাগলো আমার সামনে। আলোটা এতো উজ্জল যে আমি ভালো করে দেখতে পাচ্ছি না সেটার ভিতরে কি। আমি আস্তে আস্তে আমার হাত বারিয়ে দিলাম সেটার ভিতরে আমার হাত সহ আমি ভিতরে ঢুকে গেলাম। অনেকটা টেলিপোর্টেশন গেইটের মতো ছিলো জিনিসটা। আমাকে সোজা একটা অচেনা ভয়ঙ্কর জায়গাতে ফেলে দিলো এই অদ্ভূদ আলোটা। জায়গাটা অনেক অদ্ভূদ। চারিদিকে অন্ধকার হলেও পুরো জায়গার মধ্যে ম্যাজিক পাওয়ার ঘুরঘুর করছে। যেহেতু আমি ম্যাজিক দেখতে পারি তাই আশেপাশের ম্যাজিক পাওয়ার অনেকটা আলোর মতো কাজ করছে আমার জন্য। জায়গাটা দেখে অনেকটা গুহার মতো লাগছে। কিন্তু আমি জানি এখানে আমি কখনো আসি নি। আর নিজে আমি এখনো টেলিপোর্টেশন ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি না। তাই আমার মনে হচ্ছে অন্য কেউ আমাকে এখানে এনেছে। কিন্তু আমাকে এখানে আনার কারন আমি বুঝতে পারছি না। কিসের জন্য আনা হয়েছে সেটাও বুঝতে পারছি না। কিন্তু আমি ম্যাজিক পাওয়ার এর স্রোত দেখতে পাচ্ছি। পাওয়ারগুলো আমার সামনের দিক দিয়ে আসতেছে। তাই আমিও দেরী না করে সেদিকে যেতে লাগলাম। বুঝতে পারলাম এদিকে গেলেই আমি এই পাওয়ারের সোর্চের কাছে পৌছে যাবো। আমি ভাবি নি ম্যাজিক পাওয়ার আমাকে দেখার সুযোগ করে দিবে। কিন্তু এটা ভালোই কাজের একটা ক্ষমতা আমি সেটা বুঝতে পারলাম। অন্ধকারে অনেক কাজে দিবে। যাইহোক আমি সামনের দিকে হাটতে লাগলাম। অনেকটা ভয় করছে আমার এখন। যদিও আমার শেষ মুহুর্তে আমার পিঠের হাত বের হয়ে আমাকে রক্ষা করে, কিন্তু তার আগে যে ক্ষত গুলো আমার শরীরে হয় তাতে অনেক ব্যথা এবং কষ্ট পাওয়া যায়। আর এটা একটা গুহা বলা যায়না কোথা থেকে কোনো মারাত্মক প্রানী আমার উপরে আক্রমন করে দিতে পারে। আমি হাটতে হাটতে একটা ছোট পানির পুকুরের কাছে চলে আসলাম। পুকুরটা অনেক ছোট। কিন্তু ভালোই পরিস্কার পানি দেখতে পাচ্ছি আমি। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই পানির উপরেই একটা বিশাল লাল ড্রাগন দাড়িয়ে আছে। আমি অনেকটা ভয় পেয়ে গেলাম। আর যখন ড্রাগনটা জোরে চিৎকার করে উঠলো আমার তখন মনে হলো এই পুরো গুহা আমার উপরে এসে পরবে। আমি অনেক ভয় পেয়ে গেলাম। কারন ড্রাগনদের সবচেয়ে মারাত্মক প্রানী বলে জানা যায়।
।।।
।।।
অনেক আগেই দুনিয়ার সকল ড্রাগনরা প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার কারনে এক এক করে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগনরা বেঁচে যায় এবং তারা আবার তাদের বংশবিস্তার করতে শুরু করে, তখন ড্রাগনদের সংখ্যা খুবই কম ছিলো, তখন এই সুযোগে সকল গোত্রের লোকেরা মিলে ড্রাগনদের হত্যা করে এক এক করে। বিশেষ করে যারা সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলো তাদের হত্যা করতে পারে নি বরং ম্যাজিক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তাদের আটকে রাখা হয়। ধারনা করা হয়, দুনিয়াতে মোট ছয়টা ড্রাগন জীবিত আছে যাদেরকে বিভিন্ন গোপন জায়গায় সিল করে রাখা হয়েছে। তারা এতোটাই শক্তিশালী যে যদি তারা মুক্ত হয়ে যায় তাহলে এই পুরো দুনিয়ার সবাইকে মেরে ফেলতে পারবে।
।।।
।।।
আর আমি এখন একটা ড্রাগনের সামনে দাড়িয়ে আছি। যেহেতু এটার রং লাল, তাই আমি ধারনা করছি এটা লেজেন্ডারী ফায়ার ড্রাগন। বাকি সকল ড্রাগনদের মধ্যে সবচেয়ে রাগী এবং শক্তিশালী এই লাল ফায়ার ড্রাগন। এটা হয়তো আরো বিশ থেকে ত্রিশ হাজার বছর আগের কথা যখন ছয় ড্রাগনকে আটক করে রাখা হয়েছে, ধারনা করা হয় এতোদিনে সকল ড্রাগনই মারা গিয়েছে। কিন্তু আমার সামনে যে রেড ড্রাগন দাড়িয়ে আছে এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। ড্রাগনের চিৎকারে অনেকগুলো তরঙ্গ আমার দিকে এগিয়ে আসলো। আর সেটার আক্রমনে আমি গুহার একটা দেওয়ালের সাথে গিয়ে ধাক্কা খেলাম। ধাক্কা খেয়ে আমি বসে পরলাম। ডান হাতের অনেক ব্যথা পেলাম আমি ধাক্কা খাওয়ায়। এবার ড্রাগনটা কথা বলতে লাগলো,
.
–তাহলে ছয় হাজার বছর পর কেউ আমার সাথে দেখা করতে আসলো। কিন্তু সেটা আবার একটা সাধারন মানুষ।(এটা বলে ড্রাগনটা হাসতে লাগলো)
.
–আপনি কি সত্যি একটা ড্রাগন?(আমি)
.
–কেনো বাচ্চা আমাকে কি অন্য কিছু মনে হচ্ছে?(ড্রাগন)
.
–না মানে সকল ড্রাগনদের তো পরে যাওয়ার কথা ছিলো৷(আমি)
.
–ছোট বাচ্চা তুমি এগুলো মাথায় ঢুকবে না। তো কি মনে করে এখানে আসলে? অনেক বছর হয়ে গেছে লোকজনের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় আমি ভুলে গেছি।(ড্রাগন)
.
–ও আসলে।।(আমি আমার পাশে অনেকগুলো কঙ্কাল দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলাম)
.
–ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই। ঔগুলো তোমার মতো জীবিত ছিলো। তোমার মতো আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো। কিন্তু আমি তাদের খেয়ে ফেলেছিলাম রোস্ট করে।(ড্রাগন)
.
–কি????(আমি আরো জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম)
.
–আরে কি বলে ফেললাম। আমি তো ভুলেই গেছি তুমি ছোট বাচ্চা। তোমাকে ভয় দেখানো যাবে না। এদিকে আসো একটু আদর করে দি।(ড্রাগন)
.
–না আমি কাছে গেলে আপনি আমাকেও খেয়ে ফেলবেন।(আমি)
.
–আসলে প্লান সেটাই ছিলো কিন্তু কয়েক বছর আগে। এখন আমার অনেক বয়স হয়ে গেছে। আমার শরীরের ম্যাজিক পাওয়ার এখন আর আমার শরীরে থাকছে না। খুব শীঘ্রই আমি মারা যাবো।(ড্রাগন)
।।।
।।।
আমার ড্রাগনটার জন্য মায়া লাগলো। আমার ভয় অনেকটা কেটে গেলো। আমি কথা বলতে লাগলাম।
.
–আপনি এখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন নি?(আমি)
.
–করেছি অনেক। কিন্তু বাকি পাঁচজন ড্রাগনের থেকে আমার এই সিল(লক) সবচেয়ে শক্তিশালী। এজন্য বাকি পাঁচজন হয়তো এখন বাইরের দুনিয়াতে ঘুরে বেরাচ্ছে কিন্তু আমি এখনো এখানে বন্ধী আছি।(ড্রাগন)
.
–বাকি পাঁচজন বাইরে ঘুরে বেরাচ্ছে মানে? আমি তো এমন কোনো তথ্য শুনি নি।(আমি)
.
–ছোট বাচ্চা তুমি বুঝবে না এতো কথা। একটা সময় ছিলো যখন আমার মাথায়ও এসব ঢুকে নি, তখন এখানে আমার সাথে যারা দেখা করতে এসেছিলো আমি তাদের সবাইকে খেয়ে ফেলেছি। কিন্তু এই ভুল আর করা যাবে না।(ড্রাগন)
.
–আমি আপনার কথা বুঝতে পারছি না।(আমি)
.
–দেখো বাচ্চা। আমি এতো বছর যাবৎ এখানে আসা সকল প্রানীকে মেরে খেয়ে ফেলেছি। আমি জানি এখান থেকে মুক্ত হওয়ার একটাই রাস্তা ছিলো সেটা হলো যারা আমাদের ভাইবোনদের ধোঁকা দিয়ে মেরে ফেলেছে, আমাকে এখানে বন্ধী করেছে তাদেরই গোত্রের একজনের সাহায্য নেওয়া। কিন্তু আমার রাগ বেশী হওয়ায় আমি তাদের সাহায্য ছাড়ায় এখান থেকে মুক্ত হতে চেয়েছিলাম, তাই যত লোকই এখানে এসেছে তাদের আমি মেরে ফেলেছি, কিন্তু গত পুরো ছয় হাজার বছরের মধ্যে কেউ আসে নি। আমি এর মধ্যে আমার সকল রাগ ছেড়ে দিয়েছি। আমি জানি আমার এই আসল ফর্মে আমি আর বেশী দিন বাঁচবো না, তাই আমি আশায় ছিলাম শুধু একজনের এখানে আসার জন্য। অবশ্য আমি কোনো মানুষের আশায় ছিলাম না। তারপরও একজন মানুষ আসলে শক্তিশালী একজন মানুষ আসবে এই আশায় ছিলাম। কিন্তু শেষে একটা ছোট বাচ্চা আসলো, আর সেটা তুমি।(ড্রাগন)
.
–কি বললেন বেশী মাথায় ঢুকলো না। তবে এটা বুঝতে পারলাম আপনি সাহায্যের অপেক্ষায় ছিলেন আর ছয় হাজার বছর পর আমি এসেছি।(আমি)
.
–হ্যা। এখন আমি জানি না তোমাকে মেরে ফেললে পরে কেউ আসা পর্যন্ত বেচে থাকবো কিনা, তাই আমাকে তোমার সাহায্যই দরকার।(ড্রাগন)
.
–এখন বুঝতে পারতেছি। আপনি আমার সাহায্য নিয়ে এই গুহা থেকে বের হবেন। আর আমি সাহায্য না করলে?(আমি)
.
–খেয়ে ফেলা ছাড়া আমার উপায় নেই।(ড্রাগন)
।।।
।।।
আমি ড্রাগনের কথা শুনে ঢোক গিললাম। আমি জানি আমার যে বয়স, এবং ক্ষমতা এতে আমি একটা ড্রাগনের সাথে লড়তে পারবো না। এখানে সাহস দেখানোও ঠিক হবে না। আর ড্রাগনকে মুক্ত করাও আমার ঠিক হবে না। কিন্তু নিজের জীবন রক্ষা করতে হলে আমাকে শুনতে হবে ড্রাগনের কথা। আবার যদি আমি ড্রাগনটার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারি তাহলে আমি আগের থেকে আরো শক্তিশালী হয়ে যাবো। কি করবো সেটা ভাবতে লাগলাম
.
–তো কি করতে হবে আমাকে?(আমি)
.
–তেমন কিছু করতে হবে না। কিন্তু আগেই বলে দিচ্ছি, আমি কারো সাহায্য ফ্রিতে নি না। এই সিল না থাকলে আমার কোনো সাহায্যেরই প্রয়োজন হতো না। কিন্তু এখন এই ফর্মের সময় শেষ হয়ে আসছে তাই আমি আমাকে সাহায্যের বিনিময়ে তোমার একটা ইচ্ছা পূরন করে দিতে চাই। তোমার ইচ্ছা কি সেটা বলো?(ড্রাগন)
.
–যে কোনো ইচ্ছা?(আমি)
.
–হ্যা আমি এখন আমার শেষ ক্ষমতা ব্যবহার করবো। এটা দিয়ে আমি যেকোনো জিনিস তোমাকে দিতে পারবো। কি চাও তুমি বলো।(ড্রাগন)
.
–তাহলে আমি পাওয়ার চাই। আমি কোনো রকম ম্যাজিক এখনো ব্যবহার করতে পারি না। জানি না কেনো কিন্তু আমার দ্বারা ম্যাজিক ব্যবহার হয় না। আমার দুটো ক্ষমতা আছে যেটা আমি নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। কিন্তু আমাকে শক্তিশালী হতে হবে। শক্তিশালী হতে হবে আমার পরিবারকে রক্ষা করতে। মানুষেরা এই দুনিয়াতে তেমন সুখে নেই, আমি শক্তিশালী হতে চাই মানুষদের মান সম্মান বৃদ্ধি করার জন্য।(আমি)
.
–তোমার স্টাইল আমার পছন্দ হয়েছে। আশা করি কয়েক বছরের মধ্যেই আমাদের দেখা হবে। আমার নাম ইগড্রাসিল দ্যা মাইটি ফায়ার ড্রাগন। আমার শরীরের সবচেয়ে শেষ অংশ তোমার সংরক্ষনে দিয়ে যাচ্ছি, ভালো যত্ন নিবে বাচ্চা।(ড্রাগন)
।।।
।।।
হঠাৎ ড্রাগনটা জ্বলতে লাগলো। চারদিকে রংধনুর মতো আলো দেখা যাচ্ছে। আর আস্তে আস্তে ড্রাগনের আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো একদম ছোট হয়ে যাবে, কিন্তু না ড্রাগনের বিশাল শরীর একটা তলোয়ারে ট্রান্সফর্ম হয়ে গেলো। আর সেটা হাওয়ার মধ্য থেকে উড়ে ঠিক আমার দুই হাতে চলে আসলো। আমি এখনো বসে ছিলাম মাটিতে। তলোয়ারটা আমি ডানহাতে ধরলাম। ধরার সাথে সাথে আমার পুরো ডান হাতে আগুন জ্বলে উঠলো। অনেকটা জ্বলতে লাগলো, কিন্তু কিছুক্ষন পর ঠিক হয়ে গেলো। আমার ডান হাতে আমি লক্ষ করে দেখলাম লাল রঙের একটা ড্রাগনের ছবি আকা হয়ে গেছে সেখানে। হঠাৎ এই জায়গায় আবার আগের মতো একটা টেলিপোর্টেশন গেইট খুলে গেলো। আমি আবার আগের সেই জায়গায় চলে আসলাম যেখান থেকে আমি সেই গুহার মধ্যে গিয়েছিলাম। আমার হাতে তলোয়ারটা এখনো আছে। তলোয়ারের ব্লেড দিয়ে আগুন বের হচ্ছে। আমি পুরো আশ্চর্য এই তলোয়ার দেখে। কিন্তু একটা জিনিস আমার মাথায় আসলো না আমি ড্রাগনটাকে মুক্ত করলাম কিন্তু গেলো কোথায় সে? এই তলোয়ারের ভিতরে চলে গেলো না তো আবার,
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here