যে শ্রাবণে এলে তুমি পর্ব:৩৭

0
628

#যে_শ্রাবণে_এলে_তুমি💕💕
#পর্ব_37
#লেখনিতে_মৌসুমী

তাসিফ আমাকে বললো,
-নিরা তোমাকে ভালোবাসেনা।তুমি ভূল ধারণা নিয়ে বসে আছো,নিরা কেনো তোমাকে ভালো বাসবে নিরা ভালোবাসে আমাকে।
তাসিফের বলা এই কথা শুনে আমার বুকের ভিতর জ্বলতে শুরু করলো,রাগে মনে হচ্ছিলো তাসিফ নামের সামনে থাকা ছেলেটাকে মেরে ফেলি।কত বড় সাহস ,নিরা নাকি আমাকে ভালোবাসেনা,ভালোবাসে ওকে।আমি কঠিন চোখে তাসিফের দিকে তাকিয়ে বললাম,
-এসব মিথ্যে আমাকে বলে লাভ নেই,কারণ আমি জানি নিরা শুধু আমাকেই ভালোবাসে,আর কাউকে না।
-তুমি ভূল জানো ফারদিন,নিরা তোমার সাথে এমনিই টাইমপাস করে এর বেশি কিছুনা।নিরা শুধু আমাকেই ভালোবাসে তাকে দেখেই আমি বুঝতে পারি।আর আমিও নিরাকে সেই ছোট থেকেই ভালোবাসি।তাকে আমি বিয়ে করবো তাই তুমি আমাদের মাঝে আর আসবেনা।তুমি হয়তো খেয়াল করোনি,নিরা কিন্তু আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝেনা,আমি যা বলি নিরা আমার সব কথায় শোনে,আমার ওপর দিয়ে যাইনা।এই কদিনে ও তোমাকে একবারো ফোন করেছিলো কি?
-নাহ।
-তাহলেই বুঝো ও তোমাকে ভালোবাসে কি না।
আমি ভেবে দেখলাম আসলেই তো,এ কদিন আমি ফোন দিইনি বলে নিরাও কিন্তু আমাকে একবারো কল দেয়নি।তাসিফ আবারো বললো,
-আমি যদি এখন গিয়ে নিরাকে বলি নিরা তুই আমাকে ভালোবাসিস?সে কি বলবে জানো?
আমি জিঙ্গাসাসূচক চোখে তাকিয়ে আছি তাসিফের দিকে।তাসিফ বললো,
-নিরা বলবে,হ্যাঁ আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।সেটা সে বলতেই থাকে,আজ নতুন না।তুমি এসো আমার সাথে,তুমি দূরে থেকে দেখবে ,আমি নিরাকে গিয়ে বলবো এখন সেই কথা তাহলেই তুমি বুঝতে পারবে।
তাসিফের সাথে আমি গেলাম,নিরা যেখানে ছিলো সেখানে।আমি দূরেই দাড়িয়ে ছিলাম,তাসিফ গিয়ে নিরাকে ডাকলো এবং সাথে সাথে নিরা হাসিমুখে তাসিফের কাছে আসলো,তারপর তাসিফ আমার দিকে তাকিয়ে নিরার দিকে তাকালো এরপর নিরাকে বললো,
-নিরা তুই কি আমাকে ভালোবাসিস?নিরা কোনকিছু না ভেবেই তাসিফকে বললো,
-সে আর বলতে ভাইয়া,আমি তোমাকে খুব খুব খুব ভালোবাসি।
আমি সেদিন নিজের কানে নিরার বলা তাসিফকে সেই কথা শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।কি সুন্দর হাসি মুখে ,কোন দ্বিধা ছাড়াই নিরা বলে দিলো সে তাসিফকে ভালোবাসে।আমার চোখ দিয়ে সেই মুহূর্তেই নোনাজল বের হতে শুরু করেছিলো।জিবনে কখনো আমার চোখ দিয়ে এমন পানি ঝড়েছে কিনা আমি জানিনা।আমার বুকের বামপাশটা ব্যাথা করছিলো,নিশ্বাস নিতে পারছিলামনা,দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো,দিনের আলোতেও চারপাশটা অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিলো।সেই সময় আমার পাশে এসে দাঁড়ালো তাসিফ।আমার ঘাড়ে হাত দিয়ে বললো,
-শান্ত হও,ভেঙে পড়োনা,বুঝতে পারছি তোমার কষ্ট হচ্ছে কিন্তু এখানে কিছুই করার নেই।আমি নিরুপায়,আমিও নিরাকে খুব ভালোবাসি।আমি তোমাদের এই সম্পর্কের কথা যখন শুনলাম তখন আমারো খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
আমি এবার নিজেকে একটু শান্ত করে গম্ভীর গলায় তাসিফকে বললাম,
-কিভাবে জানলে?
-গাঁয়ে হলুদের দিন তোমাদের বাড়ি আসার পর আমি ছাদেই বসে ছিলাম।দেখলাম তুমি নিরাকে একভাবে দেখেই যাচ্ছো,দেখতে দেখতে একসময় তুমি আমার পাশের চেয়ারে এসে বসলে আর নিরার দিকেই তাকিয়ে থাকলে।বলা ভালো,আমি সব সময় নিরার দিকে নজর রাখি,ওর চারপাশে কে ওকে খেয়াল করছে সেটার দিকেও নজর রাখি।একসময় তোমার বন্ধু আসিফ আসলো,সে যখন কথা প্রসঙ্গে নিরার নাম বলল তখন আমি চমকে উঠি।আগে অবশ্য অবাক হয়েছিলামনা কারণ নিরাকে যে ছেলেই দেখে সেই ওরকম নজর দেয় তাই আমি ওতটা পাত্তা দিয়েছিলামনা।নিরার নাম শোনার পর আমি আসিফকে একসময় ডেকে জিঙ্গেস করি যে,নিরাকে সে চিনে কিভাবে আর তোমাকে ও ওসব কেনো বলছিলো তখন আসিফ আমাকে সব খুলে বলে।সব বলছিলোনা তবে আমি অনেক রিকোয়েস্ট করার পর ই বলে।তারপর আমার মাথা পুরাই খারাপ হয়ে গেছিলো কারণ নিরাকে আমি অনেকদিন থেকেই ভালোবাসি,তবে আজ ও ওকে জানাইনি অবশ্য।একদম আমি বিয়ের প্রস্তাব দিবো সেজন্য।এখন যেহেতু ও ছোট তাই আমার মনের কোন অনুভূতিই আমি ওর সামনে প্রকাশ করিনা।আমি সামনে মাসেই বিদেশ যাবো।বিদেশ থেকে এসেই ওকে আমি বিয়ে করবো।আর আমি জানি,খালা,খালু তাড়াতাড়ি ওর বিয়ে দিবেনা।তার আগে আমাদের জানাবে তাই চিন্তার কিছু নাই।
তাসিফ সেদিন আমাকে সেসব বলেই চলে গেছিলো।আর আমি এতটাই ভেঙে পড়েছিলাম যে সেদিন সেই মুহূর্তেই আমি আমার রুমে চলে আসি ।দরজা বন্ধ করে ফোন থেকে প্রথমেই সিমটা বের আলমারির ড্রয়ারে রেখে দিই।তার দু দিন পর ই আমি ঢাকা চলে আসি।কাউকে কিছুই জানায়না।শুধু আসিফকে বলেছিলাম আর বলেছিলাম কাউকে যেনো কখনো না জানায় এ বিষয়ে।এরপর আজ ক মাস ধরে একবারের জন্য ও রাজশাহী যাইনি।ফোনে আম্মা কান্নাকাটি করে আমি যাই না বলে।আমি কিভাবে যাবো সেখানে,সেখানে গেলেই নিরার কথা বেশি বেশি মনে হবে ,যা আমি চাই না।আর আম্মার কাছে শুনি নিরা নাকি প্রায় আমাদের বাড়ি আসে।আম্মাকে মামনি আর আব্বাকে বাবাই বলে ডাকে।আম্মা নিরার অনেক প্রশংসাও করে।আম্মার মুখে নিরা নামটা শুনেইতো আমার বুকের ভিতর যন্ত্রনা করে তাহলে নিরাকে দেখলে আমার কতটা কষ্ট হতে পারে সেটা আমি নিজেও জানিনা।আম্মাকে নিষেধ ও করতে পারিনা যে,নিরার নাম আমার কাছে নিওনা।আর আম্মা তো জানেইনা তার ছেলের মনের কথা।আজ অনেক কষ্ট হচ্ছিলো পড়তে বসেও ভালো লাগলোনা তাই কষ্টটাকে হালকা করার জন্য ডায়েরিতে এসব লিখছি।

পরের কয়েকটা পাতা ফাঁকা,নিরা চোখ মুছে আবার পাতা উল্টালো,সেখানে নিরার একটি ছবি,এরপর কয়েকটা পাতায় নিরার ছবি আটকানো।কখন কখন তুলেছে নিরাও বুঝেওনি।একটা পাতায় নিরার একটা ছোট ছবি তার পাশে লিখা,

“যে শ্রাবণে এলে তুমি”
“প্রথম দেখায় ভালোবেসেছিলাম আমি”
“ভালোবাসি আমি”
“ভালোবাসবো সারাজিবন আমি”
“শুধু তোমাকে,তোমাকেএবং তোমাকে”

শ্রাবণ মাস এলেই আমি নিজেকে আটকাতে পারিনা।তোমার কথা মনে পড়ে সারাক্ষণ।বৃষ্টি দেখলে প্রথম দেখার সময়টা চোখের সামনে ভেসে ওঠে।তখন নিশ্বাস আটকে যাই,তোমাকে দেখলে মনে হয় শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরে বলি,কেনো ঠকালে আমাকে,কেনো মিথ্যে ভালোবাসার অভিনয় করছিলে আমার সাথে?
আমি শান্তি পাই না।তোমাকে দেখলে এখন আমার ভিষণ রাগ হয় ,খুব রাগ।মাথা খারাপ হয়ে যাই।

নিরা কেঁদেই যাচ্ছে আর একটার পর একটা পাতা উল্টিয়ে যাচ্ছে।সেখানে ফারদিনের হাজারো বেদনার কথা লিখা।কতটা নিরাকে ভালোবাসে সেসব লিখা।নিরা একাই কষ্ট পেয়েছে এতদিন এটাই ভাবতো সে কিন্তু ডায়েরিটা পড়ে দেখছে ফারদিন তার থেকেও বেশি কষ্ট পেয়েছে তাকে ভালোবেসে।
অন্ধকার কাটতে শুরু করেছে।হালকা আলো দেখা যাচ্ছে চারদিকে।ফজরের আজান হয়ে গেছে।নিরা উঠে দাঁড়ালো ডায়েরিটা বন্ধ করে।রুমে গিয়ে দেখে ফারদিন নেই,মসজিদে নামাজে গেছে হয়তো।নিরা ডায়েরিটা রেখে দিলো যেখানে ছিলো তারপর ওয়াসরুমে গেলো,আগে গোসল করে নিলো ,সাথে সালোয়ার কামিজ নিয়ে গেছিলো তাই ভেজা কাপড় পাল্টিয়েই ওজু করে এসে নামাজে দাঁড়ালো।সারারাত কাঁন্না করার ফলে নিরার চোখমুখ ফুলে গেছে,মাথা ব্যাথাও করছে।নামাজ পড়ে উঠে দাঁড়াতেই দেখলো ফারদিন আসছে রুমে।মাথায় টুপি দেখে বোঝায় যাচ্ছে নামাজ পড়তে গেছিলো।ফারদিন তাকালোনা নিরার দিকে।নিরাকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে টুপিটা মাথা থেকে খুলে রাখলো তারপর বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো।নিরা একভাবে ফারদিনকে দেখেই যাচ্ছে।মনে মনে ভাবছে,তুমিই সেই,যাকে আমি আমার হৃদয়ের গভীর থেকে ভালোবেসেছি,তোমার জন্য কতরাত না ঘুমিয়ে কেটেছি,কতদিন না খেয়ে থেকেছি।কত ছেলেকে প্রত্যাক্ষাণ করেছি,এমনকি তুমি আমার স্বামি হয়া সত্বেও তোমাকে আমি মেনে নিতে পেরেছিলামনা।যদি জানতাম তুমিই সেই তাহলে কি আর তোমাকে এভাবে দূরে রাখতাম বলো?একবার বলেই দেখতে আমাকে,আমি কি বলি কিন্তু তুমি আমাকে বলোনি।আমাকে বছরের পর বছর কষ্ট দিয়েছো ,এখন তো আমার উচিত তোমাকে শাস্তি দেওয়া।কারণ তুমি আমাকে অনেক কাঁদিয়েছো।হ্যাঁ আমি ভালোবাসি তাসিফ ভাইয়াকে,তবে ভালোবাসা তো আর একরকম না ,ভালোবাসা অনেক রকম, আমি তাসিফ ভাইয়াকে ভাইয়ের মত ভালোবাসতাম।তাই আমি ভাইয়াকে বলতাম আমি তাকে ভালোবাসি।ভাইয়া হয়তো সেই ভালোবাসাকে অন্য চোখে দেখেছে,তা তো আর আমি জানতাম না।জানলে তখনি তাকে বুঝিয়ে দিতাম আমি তাকে কোন নজরে দেখি।

ফারদিনের চোখ পিটপিট করছে।ঘুমানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা,মনে হচ্ছে কেউ একজন তাকে গভীর চোখে দেখছে।সেটা যে নিরা সেটাও বুঝতে পারছে কারণ নিরা ছাড়া এই ঘরে কেউ নাই।দরজা বন্ধ।সে একচোখ মেলে তাকালো,দেখলো নিরা তাকে দেখছে,মনোযোগ দিয়ে দেখছে।সে আবার চোখটা বন্ধ করে নিলো।চোখ বন্ধ করে থাকতে থাকতে একসময় ফারদিনের চোখে তন্দ্রা চলে আসলো ।ঠিক তখনি ,ঠিক তখনি ফারদিন তার কপালে দুটি ঠোঁটের স্পর্শ অনুভব করলো।তখনি ওর ঘুমটা ছুটে গেলো,চোখ মেলে দেখলো নিরা আগের মত ই বসে আছে তার পাশে ।ফারদিন নিজেকে বুঝ দিলো সে স্বপ্ন দেখেছে।নিরা যে তার কপালে সত্যিই চুমু দিয়েছে সেটা ফারদিন বুঝলোই না।


নিরা আয়নার সামনে বসলো।সে চাই ফারদিন ঘুম থেকে উঠেই যেনো তাকে অন্যরকম দেখে তাই প্রথমে সে শাড়ি পড়ে নিয়েছে।নিজে নিজেই পড়েছে শাড়ি,চোখে দিলো কাজল,ঠোঁটে কিছুই দিলোনা শুধু একটু ভ্যাসলিন দিলো।নিরার কাছে সবসময় ভ্যাসলিন থাকে।এটা ঠোঁটে দিতে তার ভালো লাগে।মুখে হালকা ফেইস পাওডার দিয়ে নিয়েছে আগেই।হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে চুলগুলো খোপা করে মাথায় তুলে দিলো শাড়ীর আঁচল।নিরাকে দেখতে এখন একদম নতুন বৌ মনে হচ্ছে।নিরা জানে ফারদিনের আকাশি রঙ পছন্দ তাই সেও রঙেরি একটা শাড়ি পড়েছে সে।দেখতে মনে হচ্ছে একটা নীল আকাশের পরি।আয়নাতে নিজেকে দেখে নিলো ঘুরে ঘুরে।বেডের দিকে দেখলো ফারদিন এখনো ঘুমাচ্ছে।রুম থেকে বের হয়ে আস্তে করে দরজাটা ভিড়িয়ে রান্নাঘরে চলে আসলো নিরা।সেখানে নিহা নাস্তা বানাচ্ছে।নিরাকে দেখে নিহা একগাল হাসলো তারপর বললো,
-কি ব্যাপার? সকাল সকাল এতো সাজগোজ।
-আপু তুই ও আজ সাজবি এবং এক্ষুনি।ভাইয়া তো মনে হয় ঘুমাচ্ছে তাইনা?
-আমি সাজবো কেনো?
-ভাইয়াকে দেখানোর জন্য,ঘুম থেকে উঠে ভাইয়া তোকে দেখে চমকে যাবে।আজ আমরা দুইবোন দুইভাইকে চমকে দিবো।তোমার দেবর ও ঘুমাচ্ছে,ঘুম থেকে উঠে আমাকে দেখে সে চমকে যাবে ।যাও আপু আমি এখানে ততক্ষণ পড়োটা ভাজি।
-না তুই পারবিনা,আমি ভেজে তারপর যাচ্ছি।
-না না,ভাইয়া তখন উঠে যাবে,চমকানো যাবেনা তখন,তুমি যাওতো তাড়াতাড়ি বলেই নিরা ঠেলে নিহাকে রান্নাঘর থেকে বের করলো।
নিহা হাসতে হাসতে রুমে গেলো তারপর গোসল করতে ঢুকলো দ্রুত।
বাড়িতে এখনো কেউ রুম থেকে বের হয়নি।ফজিলা বেগম বাইরে বের হয়ে নিরাকে এমন সাজে দেখে অবাক,তারপর মুখে হাসি নিয়ে বললো,
-কিরে তুই আজ হঠাৎ সকালবেলা এই সাজ?
-তোমার ছেলেকে চমকাবো বলে।
-কি বলিস?
-ঠিক ই বলি,আপুকেও পাঠিয়েছি এভাবে সাজতে।
-কি বলিস?আমাকে বলিসনি কেনো এতক্ষণ?
-কেনো বললে কি করতে?
-আমিও সাজতাম।
-কি বলো?তো এখন যাও সেজে নাও,বাবাই কি জেগে আছে?না জানলে যাও সাজো গিয়ে।
-না তোর বাবাই আজ নামাজ পড়ে ঘুমাচ্ছে ,এখুনো উঠেনি মনে হয় ।যাই তাড়াতাড়ি আমিও নীল রঙের শাড়ি পড়ে একটু ফিটফাট হয়ে আসি,তোর বাবাইয়েরো নীল রঙ খুব পছন্দের।
-আচ্ছা তাড়াতাড়ি যাও,রেডি হয়ে আসো।

চলবে….

দুটো পর্ব দিলাম আজ,আজকের পর্বগুলো পড়ে কেমন লাগলো জানাতে ভূলবেন না।হ্যাপি রিডিং।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here