#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ২
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি স্বপ্ন দেখতে ছিলাম মনে হচ্ছে। এরকম কোনো কিছু আমার সাথে বাস্তবে হবে বলে মনে হয় না। বাস্তবে তো কোনোদিনও ভ্যাম্পায়ার থাকে না। মাথাটা এবার বেশী ব্যথা করতে লাগলো। আমি আমার সিটেই ঘুমিয়ে পরেছিলাম। চোখ খুলতেই মেয়েটার মুখ দেখতে পেলাম। ভয়ে আমি সরে বসলাম।
।।।
।।।
.
–কি হলো তুমি ভয় পাচ্ছো কেনো এতো?(এনা)
.
–না কিছু হয় নি। ট্রেন মনে হয় থেমে গেছে। তাহলে কি আমরা গন্তব্যে চলে এসেছি?(আমি)
.
–হ্যা।(এনা)
.
–ওকে।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি আমার ব্যাগ গুলো হাতে নিয়ে সোজা ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসলাম। ট্রেন স্টেশনের পিছনেই বিশাল বড় বড় পুরানো আমলের অনেক গুলো প্যালেসের মতো দেখতে ভবন। সব কিছু দেখে আমার হ্যারি পটার মুভির কথা মনে পরে গেলো। আমার মতো অবস্থা ওর ও হয়েছিলো। শুধু আমার সাথে একটু বেশী আজব জিনিস হয়ে গেলো। দূর আমার ভুল ভাবনা হয়তো এটা। হয়তো আমি স্বপ্ন দেখছি
।।।।
।।।।
স্টেশন টা এতোটা বড় ও না। কিন্তু খুব সুন্দর করে সাজানো। মনে হয় যে বানিয়েছিলো সব যত্ম করেই বানিয়েছিলো। পুরো দেওয়াল জুরে সাদা টাইলস দিয়ে বাধানো। আর সেই টাইলসের উপরে বিভিন্ন মনস্টার এর ছবি আঁকা। এতো নিখুত ছবি আঁকা যে দেখে বাস্তবই মনে হচ্ছে। আমি স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেলাম। সামনে কিছুটা খোলা জায়গা আর তারপরই লোচার্ট একাডেমী নামক পুরো বিশাল একটা কলেজ। কলেজের চারপাশ দিয়ে ঘন সবুজ বন রয়েছে। এমন জায়গায় এতো বড় একটা কলেজ রয়েছে। জায়গাটা মোটেও সুন্দর বলা যাবে না। বরং দেখলেই শরীরে কাটা দিয়ে আসে। আমার পা কাপতেছিলো ভয়ে। কারন আমি চারিদিকের মানুষ জন কে দেখে মোটেও স্বাভাবিক ফিল করছি না। তাদের মধ্য দিয়ে কেমন জানি একটা বিদঘুটে গন্ধ আসছিলো।
।।।
তারা আমার দিকেও কেমন করে যেনো তাকাচ্ছিলো৷ আমি সব কিছুর মধ্যে নিজেকে নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছি।
।।।
।।।
.
–কি হলো এখানে এভাবে দাড়িয়ে আছো কেনো?(পিছন থেকে এনা এসে বললো)
.
–আ।(আমি চিল্লিয়ে উঠলাম ভয় পেয়ে)
.
–মনে হচ্ছে তুমি খুব ভিতু।(এনা)
.
–ও তুমি।(আমি)
.
–তারাতারি ক্লাসে চলো। নাহলে প্রথম দিনের ক্লাসটা আমরা মিস করে ফেলবো।(এনা)
.
–হ্যা।(আমি)
।।।।
।।।।
আমার দুই হাতেই ব্যাগ। আর এনা আমার বাম হাতের কনুইতে ধরে টানতে টানতে নিয়ে যেতে লাগলো। আমার ভয় লাগছে অনেক। অনেক আজব একটা জায়গা। কিন্তু কেনো জানি জায়গাটা থেকে চলে যাওয়ার জন্য নিজের মনকে তৈরী করতে পারছি না। আমার ভিতরে থেকে কেউ একজন আমায় সাহস দিচ্ছে। আমার সাথে আজব জিনিস এর আগেও হয়েছে অনেক। কিন্তু আজকে বেশী হয়ে যাচ্ছে।
।।।।
।।।।
.
–তোমার রুম নং কতো?(এনা)
.
–রুম নং মানে?(আমি)
.
–আরে হোস্টেল এর রুম নং জিজ্ঞাসা করলাম।(এনা)
.
–আমি জানি না।(আমি)
.
–কি বলো তোমার এই কার্ডটা কোথায়?(এনা আগের কার্ডটা আবার দেখালো)
.
–কার্ড?(আমি পকেটে হাত দিয়ে একটা কার্ড পেলাম)
.
–এইতো এটা।(এনা)
.
–কিন্তু এটা আসলো কিভাবে আমার পকেটে?(আমি)
.
–এইটা তোমার মনস্টার আইডি কার্ড।(এনা)
.
–কি কার্ড?(আমি)
.
–মনস্টার আইডি কার্ড। আমি একজন ভ্যাম্পায়ার তাই দেখো আমার কার্ডে Vampire y লেখা।(এনা)
.
–মজা করছো তুমি তাইনা?(আমি)
.
–মজা করবো কেনো? দেখো তোমার কার্ডে তোমার তথ্য দেওয়া আছে।(এনা)
.
–আমি একজন মানুষ তাই আমার কার্ডে Human লেখায় থাকবে।(আমি কার্ডে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে হিউম্যান লেখা নেই)
.
–এটা কখনো সম্ভব না। একজন মানুষ কখনো এই জায়গায় আসতে পারে না। অনেক মনস্টার আছে যারা ছোট থেকেই মানুষদের জগতে বড় হয়। কিন্তু পূর্ন বয়স্ক হলে তাকে এখানে আসতে হয় পড়তে।(এনা)
.
–তাহলে আমি একজন মনস্টার? না এটা কখনো সম্ভব নয়।(আমি আমার ব্যাগ ফেলে দিলাম। তারপর হাতের দিকে তাকিয়ে রইলাম. কিভাবে আমি একজন মনস্টার?)
.
–তোমার মনস্টার আইডি কার্ডে লেখা A class classified। মানে তোমার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।(এনা)
।।।।।
।।।।।
আমি এনার কথা শুনে ভেঙে পরলাম। তাহলে কি সত্যি আমি একটা মনস্টার? কিন্তু কিভাবে? একজন মানুষের কাছে যা আছে তাই তো আমার আছে। বেশী কিছু তো নেই আমার। তাহলে এনা তো বললো এখানে মনস্টার ছাড়া কেউ আসতে পারবে না। হয়তো ভুলে আমি এখানে চলে এসেছি। আমাকে এখান থেকে বের হতে হবে এখন। কিন্তু কিভাবে এনা তো বললো এখানে মনস্টার ছাড়া কেউ আসতে পারবে না তাহলে তো আমার আশেপাশের সবাই মনস্টার। আমি যদি এখানে অস্বাভাবিক কিছু করি তাহলে তো আমার ঘাড় মটকে খাবে এরা। কিন্তু আমার মাথায় একটা জিনিস যাচ্ছে না। সবাই যদি মনস্টার হয় তাহলে এরা মানুষের মতো দেখতে কেনো। হয়তো এরা রূপ বদলাতে পারে। কিন্তু আমার আপন দাদা আমাকে এমন একটা জায়গায় আনবে কেনো। তাহলে কি সত্যি আমি একজন মনস্টার? কিন্তু কিভাবে আমার মাথায় তো কিছুই আসছে না।
।।।।
।।।।
.
–তুমি একজন A Class মনস্টার তাহলে।(এনা)
.
–A class মনস্টার মানে?(আমি)
.
–তুমি কি একদম ছোট থেকেই মানুষদের দুনিয়ায় ছিলে?(এনা)
.
–আমার আপন বাবা-মা কে আমি জানি না। আমার বাবা-মা যারা আমাকে বড় করেছে তারা নাকি আমাকে নদীতে কুড়িয়ে পেয়েছে।(আমি)
.
–ও এজন্যই তো তুমি কিছু জানো না। অবশ্য আমি অর্ধেক ভ্যাম্পায়ার আর অর্ধেক মানুষ। আমিও অনেকটা সময় তোমাদের দুনিয়াতে ছিলাম।(এনা)
.
–আচ্ছা?(আমি বলতে যাবো তার আগেই এনা বলতে শুরু করলো)
.
–এখানে দাড়ালে আমাদের দেরী হয়ে যাবে। তোমার কার্ডে দেওয়া তোমার রুম নং ১০৩। ছেলেদের হোস্টেলের ২য় তলার ৩ নং রুমটা তোমার।(এনা একটা মুচকি হাসি দিয়ে আমাকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো)
।।।।।।
।।।।।।
আমার মোটেও যেতে মন চাচ্ছে না। কিন্তু এই মেয়েটাকে যত দেখছি ততই ভালো লাগছে। ওর কথা শুনলে শুধু শুনতেই মন চাই। মেয়েটার গায়ের রং একদম ফর্সা। মুখটা অনেক মায়াবী। সাদা চোখের মধ্যে নীল রঙের দুটো মনি দেখা যায়। চুল গুলো ঘন কালো। সব চেয়ে ভালো লাগার জিনিস হলো ওর লম্বা চুল। মায়াবী কন্ঠ যে কোনো ছেলের মন গলিয়ে দিতে পারে।
।।।।
এনা আমাকে আমার হোস্টেল দেখিয়ে দিলো। আমাদের হোস্টেলের পিছনেই ওদের হোস্টেল। আমি রুমে গিয়ে ব্যাগ ট্যাগ সব কিছু রাখলাম। এনা মেয়েটার উপরে কেমন একটা মায়া চলে এসেছে। ওর মতো সুন্দর মেয়ে আমি কখনো দেখি নি। আর ওর কন্ঠটা শুনলেই মনটা গলে যায়। কিন্তু কিছুতেই মানতে পারছি না মেয়েটা একটা ভ্যাম্পায়ার। দেখতে তো পুরো মানুষের মতো৷ কোনো লক্ষন নেই ভ্যাম্পায়ার এর। শুনেছি ভ্যাম্পায়ার এর লম্বা লম্বা দুটো দাত থাকে। আমি তো ওর দাত দেখি নি। হয়তো ট্রেনে একা ছিলো বলে ভয় পেয়ে আমার কাছে মিথ্যা বলেছে।
।।।।
।।।।
আমি আমার শার্টটা খুললাম। গলার এক জায়গায় দুটো দাঁতের দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আয়নায়। কেমন কালো হয়ে গেছে সেখানে। এবার আর এনার কথা মিথ্যা বলে মনে হলো না। আসলেই ও একটা ভ্যাম্পায়ার। আমি আমার রুমের জানালাটা খুললাম। খুলেই অবাক হয়ে গেলাম। কারন জানালার ঔ পাশে মেয়েদের হোস্টেল। আর আমার জানালার সামনেই এনার রুম। এনা ও জানালা খুলেছে সে সময়ে। দুজনের টাইমিং একই সময়ে। এনা আমাকে দেখে অনেকটা লজ্জা পেলো কারন আমি খালি গায়ে দাড়িয়ে আছি। ওর লজ্জা পাওয়া দেখে আমিও লজ্জা পেলাম।
।।।।
।।।।
.
–তারাতারি রেডি হয়ে নিচে আসো। আর ২০ মিনিট আছে ক্লাস শুরু হওয়ার।(এনা)
.
–হ্যা।(আমি)
।।।
।।।
আমি বিছানার উপরে রাখা কলেজের ইউনিফর্ম পরে বেরিয়ে পরলাম। কাধে ব্যাগ নিয়ে চলে আসলাম নিচে। আমার আসার আগেই এনা দাড়িয়ে ছিলো নিচে। আমার আসার দিকে তাকিয়ে আছে এনা।
.
–কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?(আমি)
.
–না আসলে আমি অনেক খুশি আমার রুমের পিছনেই তোমার রুম।(এনা)
.
–হ্যা বলতে হবে দুজনের ভাগ্য অনেক ভালো।(আমি)
.
–হ্যা। চলো ক্লাসের দিকে যায়।(এনা)
।।।।
।।।।
আমি আর এনা দুজনেই আমাদের ক্লাসের ভবনের দিকে রওনা দিলাম। বিশাল বড় ক্যাম্পাস। এখানে সব ধরনের সুবিধায় আছে। ফুটবল মাঠ, ক্রিকেট মাঠ, বাস্কেটবল মাঠ। আমরা সবচেয়ে বড় ভবন টার দিকে রওনা হলাম। দূর থেকে দেখতে বিশাল গির্জার মতো লাগে। মাথার দিকটা চুচালো অনেক। আমাদের ক্লাস রুম প্রথম তলাতেই। তাই আমরা আমাদের ক্লাসের দিকে রওনা হলাম সোজা।
।।
এনার রুম আমার রুমের পিছনে এতে মোটেও ভালো লাগছে না। আমি শুনেছি ভ্যাম্পায়াররা রাতের বেলা বাদুরের মতো উড়তে পারে। তাহলে তো আমার রক্ত খাওয়ার জন্য সোজা উড়ে চলে আসবে। না না মোটেও জানালা খোলা যাবে না রাতে। জানালা খুললেই আমার সব রক্ত চুষে খেয়ে ফেলবে। আচ্ছা আমি শুনেছি ভ্যাম্পায়ার কামড় দিলে মানুষ ও নাকি ভ্যাম্পায়ার হয়ে যায়।(( আমি আমার গলায় হাত দিয়ে ভাবতে লাগলাম))। তাহলে তো আমি ও একটা ভ্যাম্পায়ার হয়ে যাবো। না এই টা হতে পারে না। আমি একজন ভ্যাম্পায়ার হতে পারবো না
।।।
।।।
সব ভাবতে ভাবতে ক্লাসের মধ্যে চলে আসলাম। ক্লাসের মধ্যে একজন স্যার আর একজন ম্যাডাম ল্যাকচার দিচ্ছিলেন। আমাদের দেখে বলতে লাগলেন।
.
–স্বাগতম। তোমাদের কার্ড দুটো দেখি।(স্যার আমাদের হাত থেকে আমাদের কার্ড নিলেন)
.
–তো মিস্টার জ্যাকসন ব্রিট আর মিস এলিনা কোয়াডার্ট তোমাদের দুজনের জায়গা ঔযে পিছনে।(স্যার আমাদের কার্ড আমাদের ফেরত দিয়ে বললো)
.
–ধন্যবাদ স্যার।(এনা)
.
–মিস্টার জ্যাকসন ব্রিট তাহলে তুমি A Class Classified মনস্টার। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারো। সব ধরনের সমস্যা সমাধান করে দিবো।(স্যার)
।।।।
।।।।
আমার নামটা কার্ডে কিভাবে জ্যাকসন ব্রিট হলো বুঝলাম না, হয়তো এটাই আমার আসল পরিচয়,
স্যারের কথাটা শুনে ক্লাসে থাকা সবাই আমার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে রইলো। আমার মনে হচ্ছিলো আমি রসগোল্লা আর ওরা সবাই মাছি। আমাকে খাওয়ার জন্য ওরা সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। আমি আর এনা আমাদের জায়গায় গিয়ে বসলাম। আমি বসলাম সবার পিছনে। আর আমার সামনে এনা বসলো।
.
–আচ্ছা এনা এই A Class classified মনস্টার মানে কি একটু বুঝিয়ে বলবা? এটা শোনার পর সবাই আমার দিকে ঔভাবে তাকিয়ে আছে কেনো?(আমি)
.
–দেখো মনস্টার দের এক এক টা বংশ থাকে। A class, B class, C class, D class এরকম করে বংশের নাম থাকে। সব বংশের মধ্যে A class বংশটা সবচেয়ে উচু। এদের মধ্যে রয়েছে সব ধনী, রাজা, বাদশা, বড় বড় সৈনিকদের বংশ। মান হিসাবে আবার তাদের এক একটা গোত্রে ভাগ করা হয়। আমরা ভ্যাম্পায়ার হলাম ভ্যাম্প গোত্রের। আমাদের গোত্রকে A class এর মধ্যে ৩য় মানের ধরা হয়। পুরো A class বংশের মধ্যে পাচঁ গোত্র আছে। এই পাচঁ গোত্রের মধ্য থেকে যদি কোনো পরিবার তার সন্তানকে এই মনস্টার জগৎ থেকে সরিয়ে রাখে তাহলে তাকে A class classified মনস্টার বলে। যেমন তুমি। আমাদের যে পাচঁ গোত্র আছে তাদের মধ্যেই তুমি একজন। শুধু সেটা তোমার মনস্টার ফর্মের উপরে ডিপেন্ড করবে তুমি কোন গোত্রের(এনা)
.
–তাহলে আমার গোত্র জানার জন্য আমাকে আমার মনস্টার রূপ জানতে হবে?(আমি)
.
–হ্যা। আর ওরা তাকিয়ে আছে কারন classified মনস্টার দের শরীর দিয়ে মানুষের রক্তের ঘ্রান পাওয়া যায়, বেশীরভাগ মনস্টার তাদের মেরে ফেলে,(এনা)
.
–কি?(আমি)
।।।।
।।।।
যাক আমার কোনো রূপ না থাকায় ভালো। এভাবেই থাকা ভালো। যদি আমার আসল রূপ একটা হাতি হয় তাহলে? কিংবা যদি একটা গাধাঁ হয় আমার আসল রূপ তাহলে কি হবে? না না আমি একজন মানুষ। আমি কোনো মনস্টার নয়। এরা সবাই শুধু মেয়াদ শেষ হওয়া নেশা সেবন করেছে যার জন্য এমন বক বক করছে। কিংবা আমিই হয়তো সেবন করে স্বপ্নে আছি। কিন্তু কোনো রূপ না থাকলেও তো ঝামেলা এরা আমাকে মামুষ ভেবে খেয়ে ফেলবে, তখনি আমাদের ক্লাসের ম্যাম কথা বলতে শুরু করলেন।
.
–দেখো তোমাদের প্রথমেই কলেজের কিছু রুলস বলে দি। সব সময় মনে রাখবা এগুলো,
১)কখনো কারন ছাড়া নিজের আসল মনস্টার রূপে পরিবর্তন হবে না কলেজ ক্যাম্পাসে। হলে ভয়ানক শাস্তি হবে।
.
২)কাউকে ভয় দেখানো যাবে না।
.
৩)এবং অবশ্যই তিনদিনের মধ্যে যে কোনো একটা ক্লাবে যোগ দিতে হবে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন ৩য় পর্বের জন্য