#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ০৫
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি প্রিন্সিপালের কথা বুঝতে পারছি না। সব ভুললেও আমার পরিচিত কিংবা জানা ব্যক্তির চেহারা কিংবা নাম আমি ভুলি নি। শুধু আমার সাথে ঘঠে যাওয়া ঘঠনা গুলো আমি ভুলে গেছি। যাইহোক ভুললেও আমি বুঝতে পারছি আমার স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। মিলিটারি সৈনিকের থেকেও শক্তিশালী পদে আমি যোগ দিতে পারবো। মনে পরছে না এটা আমার স্বপ্ন ছিলো কিনা, তবে মনে হচ্ছে এটাই ছিলো। যে করেই হোক আমাকে আমার স্বপ্ন পূরন করতে হবে।
.
–তো জ্যাক তোমার শরীর কি পুরোপুরি সুস্থ হয়েছে? আমি শুনেছিলাম তুমি অনেক গুরুতুর আহত হয়েছিলে।(প্রিন্সিপাল)
.
–আমি ঠিক আছি প্রিন্সিপাল স্যার। তবে জিজ্ঞেস করার জন্য ধন্যবাদ।(আমি)
.
–আমাকে এলেক্স স্যার বলতে পারো এখন থেকে। যেহেতু আমি তোমাদের পাচঁজনকে এখন থেকে ট্রেইন করবো।(এলেক্স)
.
–ওকে ঠিক আছে এলেক্স স্যার।(আমি)
.
–ওকে তাহলে উঠে পরো। আমরা ফিল্ড ট্রিপে যাচ্ছি এখনি।(এলেক্স)
.
–ফিল্ড ট্রিপ?(আমি)
.
–হ্যা। এটা অনেকটা আসল কাজ করার মতো। ফিল্ড ট্রিপের মধ্য দিয়ে নিজেদের কাজ সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারবে। এবং অনেক অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারবে।(এলেক্স)
.
–ওওও। স্যার কোথায় যাচ্ছি ট্রিপে?(আমি)
.
–তোমরা পাঁচজন খুবই গিফটেড। তাই যেখানেই নিয়ে যাবো আমি সিওর তোমরা সেটা ঠিকই হ্যান্ডেল করতে পারবে। আমি আমাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করছি আর তুমি গিয়ে তোমার বাকি টিম মেম্বারদের সাথে সাক্ষাত করো গিয়ে।(এলেক্স)
.
–ওকে স্যার।(আমি)
।।।
।।।
আমি স্যালুট দিলাম এবং তারপর বের হয়ে গেলাম রুম থেকে। আমার সামনেই এলেক্স স্যার টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। টেলিপোর্ট ম্যাজিকটা অনেক কাজের। বিশেষ করা যারা সময় বাঁচাতে চাই তাদের জন্য এটা আদর্শ একটা স্পেল। স্পেলটা শিখতে পারলে আমারও অনেক কাজে দিবে। একটা জিনিস আমার মাথায় আসছে না শুধু, আমি আমার আগের দিনগুলোর কিছুই মনে করতে পারছি না। আমি হেটে হেটে বের হচ্ছি এবং মনে করার চেষ্টা করতে লাগলাম। শত চেষ্টা করে শুধু এটুকু মনে পরলো যে আমার ব্যাগে তিনটা বই ছিলো। আর কিছু মনে করতে পারছি না। আমি কিরকম ছিলাম এটাও মনে করতে পারছি না। কিন্তু এলেক্স স্যারের কথা শুনে বুঝতে পারলাম আমি আমার সমস্ত ক্ষমতা গুলোকে গোপন রাখতেই পছন্দ করেছি এতোদিন। নিজের ক্ষমতা গুলো গোপন রাখতে চেয়েছি। জানি না কিন্তু আমার এরকমও মনে হচ্ছে যে আমার কোনো ক্ষমতা ছিলোই না, কিন্তু হঠাৎ কারো কাছ থেকে ক্ষমতা পাওয়ায় আমার মেমোরী মুছে গেছে আগের। সে যায় হোক আমার সমস্ত স্মৃতি মুছে যায় নি এজন্য আমি খুশি আছি। আমার এ পর্যন্ত পড়া সকল বইগুলোর জ্ঞান আমার মাথায় আছে। আর তাছাড়া আমার পরিচিত, জানা ব্যক্তিদেরকে ও আমি ভুলি নি। শুধু ভুলে গেছি আমার সাথে এ পর্যন্ত যা হয়েছে। আমি ভাবতে ভাবতে মাঠের মধ্যে চলে এসেছি। আমি যে রুমে ছিলাম সেটার ভিতর থেকে বের হয়েই মাঠ পরিস্কারভাবে দেখতে পেলাম। চারজন দাড়িয়ে আছে আমার বয়সেরই। তাদের মধ্যে শুধু আমি হ্যারিকে চিনি। তাছাড়া আর কাউকেই চিনি না আনি। বাকি তিনজনও মনে হয় অন্য ইউনিটের হবে। নাহলে আমার ইউনিটের হলে আমি একবার হলেও চেহারা দেখতাম। যাইহোক হ্যারিই কথা শুরু করে দিলো, প্রথমে আমার কাছে এসে আমার পিঠে একটা ঠাপ্পর মেরে নিলো,
.
–জ্যাক আমি প্রথমেই জানতাম তুমি সেদিন মিথ্যা বলেছিলে আমাকে।(হ্যারি)
.
–কি বলেছিলাম? আসলে আমি কিছুই মনে করতে পারছি না।(আমি)
.
–কি তারমানে আমাকেও ভুলে গেছো? আমরা সেদিন বন্ধু হলাম।(হ্যারি)
.
–না তোমাকে মনে আছে। কিন্তু তাছাড়া আমি বাকি সব কিছু ভুলে গেছি।(আমি)
.
–ওয়াও। অনেক ইন্টারেস্টিং তো। তাহলে আমি বুঝতে পেরেছি। তোমার ম্যাজিক ক্ষমতা এতো শক্তিশালী যে সেটা ব্যবহার করলে তুমি তোমার সাথে ঘঠে যাওয়া সব কিছু ভুলে যাও, আর এটার ফলে তুমি ধারনা করো তুমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারো না। কিন্তু জরুরী সময়ে সেটা ব্যবহার করতে পারো। জানো এরকম প্রথমবার দেখলাম আমি।(হ্যারি)
।।।
।।।
হ্যারি অনেক উত্তেজিত হয়ে বললো। আমি জানি না তবে হ্যারির কথাও ঠিক হতে পারে৷ হয়তো আমার ম্যাজিক আমার ব্রেইনের ক্ষতি করে। এখন থেকে আমার সাথে যা হবে তার সব কিছু আমার লিখে রাখতে হবে। এতে করে আমি কখনো ম্যাজিক ব্যবহার করে সব ভুলে গেলোও, লেখার তথ্য আমি ভুলবো না কখনো। হয়তো কাজে দিবে। যাইহোক এখানে হ্যারি বাদে বাকি তিনজন মেয়ে। তিনজন এক এক করে পরিচয় দিচ্ছে।
.
–আমার নাম এলিহা। আমি একজন ভ্যাম্পায়ার।(এলিহা)
.
–আমার নাম লুসি, আর ও আমার যমজ বোন লুসানা। আর আমরা দুজন ফেইরী।(লুসি)
.
–আমি জ্যাকসন। কিন্তু আমাকে জ্যাক বলতে পারো তোমরা। আর আমি একজন মানুষ।(আমি)
.
–আমি হ্যারি। আমি একজন ডেভিল।(হ্যারি)
.
–ওয়াও, একজন ডেভিল। এটা সচারচার দেখা যায় না। আমি তোমাকে দেখে এতোক্ষন মনে করছিলাম তুমিও আমার মতো মানুষ হবে।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি সাধারনত লুসি এবং লুসানার ডানা দুটো দেখছি। ফেইরীদের ডানা দুটো এন্জেলদের ডানা থেকেও অনেক সুন্দর হয়। আমি একটা কাল্পনিক বইতে পড়েছি একটা সময় ছিলো যখন এগারোটা দুনিয়া ছিলো, আর সেই এগারো দুনিয়ার মধ্যে ফেইরী ল্যান্ড নামের একটা দুনিয়া ছিলো, যারা মানুষদের অনেক পছন্দ করতো। তারা রাতের সময় মানুষদের দুনিয়ায় এসে মানুষদের ভালো স্বপ্ন দেখাতো। অবশ্য এই পুরো কাহিনীটা কাল্পনিক ছিলো, কিন্তু বইটাতে এইটুকুই লেখা ছিলো, যে লেখক ছিলো সে এটুকু লেখেই মারা গিয়েছিলো। কিন্তু আমার এই কাল্পনিক কাহিনীর পুরোটা জানার অনেক ইচ্ছা। ফেইরীদের ডানা দেখতে অনেকটা প্রজাপ্রতিদের মতোই হয়। একদম স্বচ্ছ হয় ওদের ডানা দুটো। আর অনেক রঙেরও হয় সেগুলো। আমি যে কাল্পনিক গল্প পড়েছিলাম, সেখানে ফেইরীদের আকার অনেক ছোট হয়। কিন্তু তারা যদি কোনো মানুষের ভালোবাসা পেয়ে যায় তাহলে তারা মানুষের আকার ধারন করতো। যেহেতু আমাদের দুনিয়ায় এরকম হয় না তাই বলা যায় সেই কাহিনী গুলো একদম কাল্পনিক ছিলো। কাল্পনিক থাকার পরও আমি কাহিনী গুলোর উপরে অনেক টান লক্ষ করতে পারি আমি।।
।।
।।
যাইহোক আমরা গল্প করছিলাম এমন সময় এলেক্স স্যার চলে আসলো আমাদের কাছে। তার সাথে আরেকটা ছেলে রয়েছে। বয়সের দিক দিয়ে আমাদের সমানই হবে৷ কিন্তু একজন অফিসারের ইউনিফর্ম পরে আছে সে। সৈনিকেরা সবুজ সবুজ এক ধরনের ইউনিফর্ম পরে, আর অফিসাররা সাদা ইউনিফর্ম পরে। আমরা এখনো ট্রেনিং এ। পাচ বছর আমাদেরকে হলুদ ইউনিফর্ম পরতে হয়েছিলো। কিন্তু এলেক্স স্যারের সাথের যে ছেলে অফিসার আছে তার হাতে কয়েকটা কালো ইউনিফর্ম দেখতে পেলাম।
.
–তোমাদের পাঁচজনের টিমের নাম হবে ব্লাক আর্মি। শুরুটা তোমাদের পাচজনকে দিয়েই হবে। এরপর তোমরা নিজেরাই তোমাদের ইচ্ছামতো লোক রিক্রুট করতে পারবে। যেহেতু তোমাদের টিমের নাম হবে ব্লাক আর্মি, তাই তেমাদের জন্য আমি কালো ইউনিফর্ম সিলেক্ট করেছি।(এলেক্স)
.
–ইয়েস স্যার।(আমরা সবাই)
.
–এই হলো অফিসার কহিল। তোমাদের ট্রেইন করতে অফিসার কহিলও সাহায্য করবেন।(এলেক্স)
.
–স্যার একটা প্রশ্ন?(হ্যারি)
.
–হ্যা হ্যারি?(এলেক্স)
.
–অফিসার কহিল স্যার এতো কম বয়সে অফিসার হলো কিভাবে?(হ্যারি)
.
–যেহেতু তোমরা জানো তোমরাই প্রথম যাদেরকে মিলিটারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার আগে এরকম ছিলো না। একজনের ক্ষমতা এবং তার পরিবারের ক্ষমতা হিসাবে একজন লোককে পদ দেওয়া হতো।(এলেক্স)
.
–ওওও বুঝতে পেরেছি। তাহলে তো স্যার কহিল অনেক গুরুত্বপূর্ন একজন লোক।(হ্যারি)
.
–নাও এবার জামা গুলো সবাই নিয়ে পরে ফেলো। আমি পাঁচ মিনিট সময় দিবো।(কহিল)
.
–ঠিক আছে স্যার।(আমরা সবাই)
।।।
।।।
আমরা সবাই কহিল স্যারের কাছ থেকে জামা নিলাম। তারপর নিজেদের রুমের দিকে গেলাম। লুসানা, লুসি এবং এলিহা তিনজনই এক রুমে থাকবে। এবং আমি আর হ্যারি একরুমে। আমি অবশ্য খুশি হয়েছি কারন আমার মেমোরী এর মধ্যে হ্যারি ছাড়া আমার কোনো বন্ধু পাচ্ছি না খুজে আমি। হয়তো এখন আমার আরো তিনজন বন্ধু হয়ে যাবে। আমি আর হ্যারি ড্রেস চেন্জ করতে লাগলাম। আমাদের রুমের টেবিলের উপরে দুটো বই আছে। এখানে মিলিটারির সকল রুলস আছে। ভাবলাম রাতে এসে পরা যাবে। কিন্তু আবার কি মনে করে হাতে নিয়ে নিলাম আমারটা। বের হওয়ার সময় আমার ব্যাগটা চেক করে নিলাম। ব্যাগের মধ্যে তিনটা বই ঠিকই আছে। আমার সব কিছু ঘঠে যাওয়ার মধ্যে শুধু এটুকু মনে আছে আমার কাছে তিনটা বই ছিলো। জানি না এই বই তিনটা কিসের, কোথা থেকে এসেছে, কিন্তু অনেক গুরুত্বপূূর্ণ কিছু হবে। আমরা সবাই আবার ফেরত আসলাম মাঠের মধ্যে৷ এখানে কহিল আর এলেক্স স্যার দাড়িয়ে আছেন।
.
–স্যার আমার একটা প্রশ্ন আছে।(লুসি)
.
–হ্যা লুসি জিজ্ঞেস করো?(এলেক্স)
.
–আমাদের ব্লাক আর্মি কার থেকে অর্ডার নিবে?(লুসি)
.
–হ্যা এটা অনেক ভালো প্রশ্ন। ব্লাক আর্মি সরাসরি জেনারেলের আদেশে চলবে। আর যেহেতু আমাদের দ্বিতীয় এবং তিতীয় প্রিন্সেস সকল মিলিটারী রাইট পেয়েছে তাই তাদের থেকেও অর্ডার আসতে পারে।(এলেক্স)
.
–ওওও।(আমি)
.
–হ্যা। আর কারো প্রশ্ন আছে?(এলেক্স)
.
–না।(লুসি)
.
–তাহলে ঠিক আছে, অফিসার কহিল আমাদের টেলিপোর্ট করে নিয়ে যাও।(এলেক্স)
.
–জ্বী স্যার।(কহিল)
।।।
।।।
অফিসার কহিল একটা টেলিপোর্ট স্পেল ব্যবহার করলো। এটা সোজা আমাদের টেলিপোর্ট করলো না, বরং আমাদের সামনে একটা গেইট বানিয়ে দিলো। আর আমাদের সেই গেটের ভিতরে যেতে হলো। আমি অবাক হলাম যে আমাদের বয়সী একজন টেলিপোর্ট স্পেল ব্যবহার করতে পারে। অবশ্য কোনো ক্ষমতাশালী পরিবারের হবে সে, তাই তো এতো কম বয়সেই এতো ভালো স্পেল ব্যবহার করতে পাচ্ছে।
।।
।।
অফিসার কহিল আমাদেরকে টেলিপোর্ট স্পেলের মাধ্যমে একটা অচেনা জায়গায় নিয়ে আসলো। আমরা প্রথমে বুঝতে পারি নি জায়গাটা। কিন্তু দূরে একশো থেকে দুইশোজনের মতো সৈন্য নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করছে। ভালো করে লক্ষ করে দেখলাম আমাদের মিলিটারি সৈনিকগুলো লড়ছে সাধারন লোকদের সাথে।
.
–সামনে যাদের দেখতে পারছো, তারা হলো এক হাজার বারো তম শহরের ব্যক্তিরা। তারা আমাদের রাজ্যের বিরুদ্ধে চলে গেছে। দেখতেই পাচ্ছো আমাদের সেনাদের অবস্থা সেখানে ভালো না। তোমাদের পাঁচজনের কাজ কি এখানে সেটা হয়তো বুঝতে পারছো।(এলেক্স)
.
–এতো লোকদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে তো স্যার আমরা মারা যাবো।(হ্যারি)
.
–দেখো তোমরা পাচজনই শক্তিশালী হতে চেয়েছো। আর ব্লাক আর্মির একজন মেম্বার হতে হলে মৃত্যুকে ভয় করা যাবে না। যদি ভয় পেয়ে থাকো তাহলে বাসায় চলে যেতে পারো।(কহিল)
।।।
।।।
অফিসার কহিলের কথা শুনে কিছু বলতে পারলাম না। এখান থেকে চলে গেলে আর মিলিটারির মুখ দেখতে পাবো না। আর তখন হয়তো হ্যারির মুখও দেখতে পাবো না আর। আমার একটাই বন্ধু ওকে হারাতে চাই না আমি।
.
–স্যার আমি রাজি।(আমি)
.
–আমরাও রাজি স্যার।(বাকি সবাই)
.
–একটা জিনিস বলে রাখি। তোমাদের অবস্থা সেখানে খারাপ হলেও কিন্তু আমাদের কোনো সাহায্য তোমরা পাবে না। আমরা তখনি একশন নিবো যখন তোমাদের পাঁচজন মারা যাবে।(এলেক্স)
।।।।।
।।।।।
আমরা সবাই ঢোক গিললাম। আবারো নতুন মৃত্যুখেলায় আমাদের নামিয়ে দিলো। আগের বার মজা করলেও এবার হয়তো সত্যই বলছে। জানি না আমাদের এখন কি হবে, কিন্তু চেষ্টা করতে হবে জীবিত থাকার। আমরা পাঁচজন মিলে এগিয়ে গেলাম সামনে। আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া দেখে বাকি সকল সেনারা পিছে চলে গেলো। বাকি সকল লোকেরা আমাদের দেখে অবাক হলো। অবাক হওয়ার কথায়, আমাদের মতো কম বয়সী বাচ্চাদের যুদ্ধ ক্ষেত্রে দেখলে যে কেউ অবাক হবে। আমি দাড়িয়ে রইলাম। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না এখন। কারন আমি নিজেই জানি না আমি কি ধরনের ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারি। আমার এট্রিবিউট কি সেটাও মনে পরছে না। আমার স্মৃতি শক্তির জন্য অনেক সমস্যা হচ্ছে এখন। আমি সঠিক একটা ধারনা করে ফেললাম এখান থেকে বেঁচে ফেরার সম্ভবনা আমাদের মাত্র পাঁচ পার্সেন্ট। কারন আমাদের সামনে মোট আশি নব্বই জনের মতো লোক দাড়িয়ে আছে। আর এদের কাছে বিভিন্ন ধরনের হাতে বানানো অস্ত্রও আছে। শুধু অস্ত্র না বরং তারা ম্যাজিকও ব্যবহার করছে। আমরা এতোটাও শক্তিশালী না যে এক সাথে সব গুলো লোকের সাথে লড়তে পারবো। এক একজন হয়তো দুজনের সাথে কোনোভাবে লড়তে পারবো, তাছাড়া অনেক কষ্ট হবে। কিন্তু এলেক্স স্যারের অর্ডার না শুনলে আমাদের সবাইকে বাসায় চলে যেতে হবে। এই দুনিয়াটা এমন যেখানে দুর্বল হলে কোনো দামই দিবে না। এখানে ঠিক মতো জীবিত থাকতে হলে শক্তিশালী হতে হবে। আমাকেও শক্তিশালী হতে হবে। আমি আমার আম্মার এক মাত্র ছেলে। আমার বাসায় দুটো বোনও আছে। আমাকে তাদের সবাইকে রক্ষা করতে হলে অনেক শক্তিশালী হতে হবে। আর আমি নিশ্চয় আমি এলেক্স স্যারের অর্ডার মতো আপাতোতো চললে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবো।
।।।
।।।
আমরা পাঁচজনই দাড়ালাম অধীক সংখ্যক শত্রুর সামনে। জানি না এদের অপরাধ কি। কিন্তু যেহেতু আমরাও রাজ্যের একটা সেনার অংশ হবো, তাই সকল রাজ্যের শত্রুরাই আমাদের শত্রু এখন থেকে। নিজের জীবন পরোয়া না করে আমরা দাড়িয়ে পরলাম শত্রুকে মোকাবেলা করার জন্য। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো আমরা বাচ্চা ভেবে কথা বলবে আমাদের সাথে। কিন্তু তারা সেটা না করে সোজা আমাদের উপরে আক্রমন করতে লাগলো। তারা সোজা তীর ছুরলো আমাদের দিকে। তাদের তীর ঠিক আমাদের দিকে আসতে লাগলো। আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। মাথায় ঠিকই আসলো একটা ঢাল বানানোর কথা কিন্তু আমি বানাতে পারলাম না সেটা। ঢালের কাজটা লুসি আর লুসানা করে দিলো। ওরা দুজনই একটা ঢাল বানিয়ে দিলো গার্ড স্পেল ব্যবহার করে৷ সকল তীর আটকে গেলে তিনটা তীর ঢাল ভেঙে দুটো আমার দু পায়ের হাটুতে লাগলো, আরেকটা এলিহার হাতে লাগলো। আমার পায়ের হাটুতে তীর লাগাতে আমি একদম মাটিতে পরে গেলাম। আমি বুঝতে পারছি না কি করবো এখন। হ্যারি আমার হাটু এবং এলিহার হাত থেকে তীর গুলো টেনে বের করলো। আর লুসি এবং লুসানা আমাদেরকে হিল করে দিচ্ছে। লুসি বলতে লাগলো,
.
–আমার আর লুসানার স্পেল গুলো সাধারনত সাহায্য করার। লড়াই তে আমরা সরাসরি আক্রমন করতে পারবো না। তবে আমাদের জন্য ঢাল এবং হিলিং ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবো আমরা দুজন।(লুসি)
.
–আমি আক্রমন করতে পারবো ওদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তাদের সংখ্যার জন্য সমস্যা।(হ্যারি)
.
–আমিও সাহায্য করতে পারবো আক্রমনে। আমি সাধারনত কাছাকাছি লড়াই করি আমার হাত পা এবং তলোয়ার দিয়ে। আর আমার ম্যাজিক গুলো তেমন শক্তিশালী না।(এলিহা)
.
–আর জ্যাককে নিয়ে এখানে একটু সমস্যা হবে। আমাদের ওকে একটু সময় দিতে হবে ওর স্পেল ব্যবহার করার জন্য। আমি আগের বার ওর ম্যাজিক দেখতে পারি নি। কিন্তু আমি সিওর ওর ভুলে যাওয়া মেমোরী তারাতারি ফিরে আসবে। কিন্তু জ্যাক আমি জানি তোমার প্লান আমাদের জিততে অনেকটা কাজে দিবে।(হ্যারি)
.
–ওকে আমি প্লান বানিয়ে দিচ্ছি। যেহেতু হ্যারি ম্যাজিক দিয়ে ফাইট করবে, তাই এলিহা সামনে থাকবে। এলিহা যাদের পাবে তাদের সাথে লড়াই করবে। আর সে সুযোগে বাকি সব লোকেরা এলিহাকে আক্রমন করতে চাইবে। আর তখনি লুসি এবং লুসানা এলিহার চারদিক দিয়ে একটা ঢাল বানিয়ে দিবে, আর তখন হ্যারি ওর সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেল দিয়ে ঔখানে আক্রমন করবে। এলিহা তো একজন ভ্যাম্পায়ার তাই সে উড়তে পারবে, যখন হ্যারি ওর স্পেল ঔখানে ফেলবে তখন এলিহা ওর ডানা দিয়ে উপরে উড়ে যাবে।(আমি)
.
–একটা প্রশ্ন? হ্যারি তো এখনি একটা স্পেল ঔখানে ছুড়তে পারে, তাহলে আমাকে ঔখানে যেতে হবে কেনো?(এলিহা)
.
–হ্যারি এখন একটা ঔখানে ছুরতে পারে, কিন্তু সমস্যা হলো তাতে শত্রু বুঝে যাবে আমাদের আক্রমনের কথা। আর তুমি যদি ঔখানে গিয়ে ওদের খেয়াল তোমার উপরে রাখো তাহলে ওরা এদিকে নজর দিবে না। আর তখন হ্যারির স্পেলের বিরুদ্ধে ওরা কিছু করতে পারবে না।(আমি)
.
–হ্যা এটাই সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট প্লান। আমি জানতাম জ্যাক তুমি নিশ্চয় ভালো একটা প্লান সাজেস্ট করবা। ঠিক আছে চলো আমরা সবাই এটাই করি।(হ্যারি)
.
–লুসি এবং লুসানা এই প্লানে তোমাদের কাজই সবচেয়ে বেশী ভয়ানক। একটু ভুল করলেই এলিহার জীবন যেতে পারে। তাই তোমাদের টাইমিং একদম ঠিক হতে হবে। ঢাল একদম সেই সময় বানাবে যখন সবাই এলিহাকে আক্রমন করবে একসাথে।(আমি)
.
–ঠিক আছে।(লুসি)
।।।
।।।
মনে হয় ওরা বুঝে গেছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করবো। প্লান বানিয়ে দিলাম যেখানে আমি বাদে সবারই কাজ থাকবে। সবাই নিজেদের সব কিছু করবে তাহলে কি আমি বসে বসে সেটা দেখবো? না সেটা হতে পারে না। আমাকেও কিছু একটা করতে হবে।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। ঝড়ের জন্য কারেন্ট চলে গিয়েছিলো । তাই লেইট হয়ে গেলো। তারপরও একটু বড় করে লেখার চেষ্টা করেছি 😊😊😊