#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ১১
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
প্যালেসের মধ্যে আমার এক সপ্তাহ সময় কেটে গেলো। এর মধ্যে আমি এখানের অনেক তথ্য সম্পর্কে জেনেছি। মূলত জেনারেলের সাথে আমার কথা হয়েছে। তার কথা মতে, তিনি হলেন রাজার ছোট ভাই। যেহেতু তে রাজ্যের প্রিন্স ছিলো তাই তাকে কম বয়সেই বিয়ে করতে হয়েছিলো। সেই বিয়েতে তার কোনো ইচ্ছা ছিলো না, কিন্তু তখন সে তার বাবার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারে নি। তারপর তার দেখা হয় আমার আম্মার সাথে। আমার আম্মাকে ভালোবেসে ফেলে সে। কিন্তু গোপন রাখে তার প্রথম বিয়ে এবং নিজের পরিচয় সম্পর্কে। আমার আম্মাকে নিয়ে সে পালিয়ে যায় এবং বিয়ে করে ফেলে। কিন্তু আমার জন্মের কিছুদিন আগেই আমার আম্মা জেনারেলের সব তথ্য জানতে পারে, এবং সে তাকে তার জীবন থেকে একদম তারিয়ে দেই। এরপর জেনারেল রয়েল প্যালেসে চলে আসেন। এবং আমাদের ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। দেখতে দেখতে সে জেনারেল হয়ে গেলো। যেহেতু আমার আম্মা তাকে আমাদের কাছে আসতে দিবে না, তাই জেনারেল প্লান করেছে আমাদেরই তাদের কাছে নিয়ে আসবেন। এজন্য মিলিটারি স্কুলের ব্যবস্থা করে প্রথমে আমাকে এখানে এনেছে। এরপর সে চেষ্টা করবে আম্মা এবং আমার দুই বোনকে এখানে আনার।
।।।
।।।
তার কাহিনীতে সেন্টিমেন্টাল রয়েছে কিন্তু আমিও মেনে নিতে পারছি না সে আমাদের সাথে এতো বড় প্রতরনা করবে। তার একটা পরিবার থাকা সত্যেও সে আমার আম্মার জীবন নষ্ট করেছে। মানলাম আমরা তার জন্যই এই দুনিয়াতে জন্ম নিয়েছি কিন্তু আমি তাকে এটার জন্য ক্ষমা করতে পারবো না। আমার মন জয় করার জন্য জেনারেল অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমি তাকে কোনো পাত্তাই দেই না। তার একটা কথায়, সে আমার মুখে বাবা ডাক শুনতে চাই। কিন্তু তাকে বাবা বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। প্যালেসে আমি সুন্দর জীবন কাটাচ্ছিলাম। কারন আমি অনেক ধরনের বই পড়তে পারি প্যালেসের মধ্যে। রাজ্যের বেশীরভাগ বই প্যালেসের লাইব্রেরীতে পাওয়া যায়। লাইব্রেরীটাও বিশাল। বইয়ের অভাব নেই এখানে। আমি প্রথম দিন থেকেই লাইব্রেরীতেই সময় কাটায় আমার। প্যালেসের অন্যান্য কাজে আমার কোনো নজর নাই। আমার জন্য একজন গার্ড বরাদ্দ করা হয়েছে যে কিনা আমার খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে। লাইব্রেরীতেই আমার খাওয়া, দাওয়া, ঘুম হয়। এভাবেই আমি এক সপ্তাহ সময় কাটিয়েছি। কিন্তু আজকে আমার আর লাইব্রেরীতে বসে থাকতে মন চাচ্ছে না। এখানে আমাকে কোনো মিলিটারি নিয়ম মানতে হয় না। তবে একটা জিনিস আমি খেয়াল করেছি। কহিল স্যারের নজর বেশ কিছুদিন আমার উপরেই আছে। মাঝে মাঝে লাইব্রেরীতে এসে আমার সাথে দেখা করে যায়। কিন্তু কোনো কথা বলে না। কহিল হচ্ছে জেনারেলের প্রথম স্ত্রীর দ্বিতীয় সন্তান। বড় জনের নাম আখিল। আর ছোট একটা মেয়ে আছে, নামটা আমার জানা হয় নাই। আখিল বর্তমানে প্রিন্সেস এলিনার রয়েল গার্ডের পদে আছে। প্রিন্সেস এর সকল নিরাপত্তার কাজ তার। আমি এখনো উপরে যায় নি। আমাকে অনেকবার বলা হয়েছিলো উপরে যেতে। কিন্তু আমি লাইব্রেরীতেই থাকতে পছন্দ করি তাই উপরে এখনো আমার যাওয়া হয় নি।
।।।
।।।
আজকে আমি বের হয়েছি প্যালেস থেকে। দূরে আমি প্রিন্সেস এলিনা এবং সাথে বড় আরেকটা মেয়েকে দেখতে পেলাম। হয়তো সেটা প্রথম প্রিন্সেস হবে। যায়হোক আজকে আরআমার ভালো লাগছে না তাই আমি বের হয়েছি আমার ব্যাগ এবং ভিরুদা নিয়ে। আজকে আমি ক্যাপিটাল ঘুরে দেখবো। শুধু বই পরে আমি ক্যাপিটাল সম্পর্কে ধারনা পাবো না। আমাকে নিজ চোখেও দেখতে হবে। আমার ট্রেনিংও শুরু করতে হবে। সেটা আমি প্যালেসে করতে পারবো না। আমাকে নিজেই শক্তিশালী হতে হবে এখন। প্যালেসের সামনের দেওয়াল পার হলাম টপকিয়ে। কারন গেইটের সামনে অনেক গার্ড আর আমি চাই না কেউ আমাকে দেখুক আমি বের হচ্ছি। মনে হচ্ছেও না কেউ দেখেছে।
।।।
।।।
আমি টপকানোর পর হাটতে হাটতে শহরের দিকে যেতে লাগলাম। হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার পিছনে হাটছে। আমার মনে হলো কেউ আমাকে দেখে ফেলেছে দেওয়াল টপকানো, তাই আমার পিছে আসছে। আমি পিছে ঘোরার পর অনেক অবাক হলাম। কারন পিছনে প্রিন্সেস এলিনা দাড়িয়ে আছে। রাজ্যের দ্বিতীয় প্রিন্সেস আমার পিছনে এটা দেখে অনেক অবাক হলাম। মুখটা ঢেকে রাখলেও তার ড্রেসের জন্য আমি সহজেই চিনতে পেরেছি। অবশ্য আমার মুখটা সেই প্রথম থেকেই ঢাকা একটা মাস্ক দিয়ে। এখনো আমার চেহারা দেখে নি কেউ প্যালেসের মধ্যে। শুধু কহিল ছাড়া। আমি এখন প্রিন্সেস এর সাথে কথা বলার জন্য এগিয়ে গেলাম না। কারন আমি তার গার্ডের থেকে পিটুনি খেতে চাই না। আমি আবার আমার মত চলতে লাগলাম, কিন্তু প্রিন্সেস আমাকে ফলো করেই যাচ্ছে। এটা একদম ঠিক হবে না। প্রিন্সেস কেনো আমার পিছু নিচ্ছে সেটা আমি বুঝতে পারছি না। যায়হোক আমি আমার মতো হাটতে লাগলাম। আমি অনেকটা সামনে এসে ডান দিকে একটা ছোট অন্ধকার গলির ভিতরে ঢুকে গেলাম। এবং সেখানে দাড়িয়ে দেখতে লাগলাম প্রিন্সেস কি করে সেটা দেখতে। প্রিন্সেস আরো কিছুটা এগিয়ে একটু দাড়ালো, আমাকে হারিয়ে ফেলছে তাই কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না। কিন্তু হঠাৎ তাকে একটা স্পেল ব্যবহার করতে দেখলাম আমি। কিসের স্পেল আমি বুঝলাম না, কিন্তু আমি যে গলির দিকে দাড়িয়ে ছিলাম ঠিক এখানে এসে আমার সামনে দাড়ালো। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম.
.
— আপনি আমাকে পেলেন কিভাবে?(আমি)
.
–ও এটা সহজ ছিলো। এটাকে ফাইন্ডিং স্পেল বলে, যেটা আমাকে আমার পরিচিত যে কাউকে খুজতে সাহায্য করে।(প্রিন্সেস)
.
–কিন্তু আমি তো আপনার পরিচিত না।(আমি)
.
–এটা কাউকে আমি একবার দেখলেই কাজ করে। আর কে বললো তুমি আমার পরিচিত না। তোমার বাবা তো আমার বাবারই আপন ভাই। সেই দিক দিয়ে আমরা পরিচিত।(প্রিন্সেস)
.
–আমার কোনো বাবা নেই। আর আমরা পরিচিতও না। আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। আপনি প্যালেসে চলে যান। গার্ড দেখলে ঝামেলা হবে।(আমি)
.
–প্যালেস থেকে আমার বের হওয়া নিষিদ্ধ। তাই তোমার পালানো দেখে আমিও বের হয়ে এসেছি। এখন আমি যাবো না প্যালেসে।(প্রিন্সেস)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি প্যালেসে না যান। যেখানে মনে হয় সেখানে যান। কিন্তু আমাকে ফলো করবেন না।(আমি)
.
–আসলে আমি প্যালেসের বাইরে কিছুই চিনি না। যেতে হলে আমার গার্ড সাথে যায় তখন কিছুই দেখা হয় না আমার। তাই একা কোথাও গেলে আমি হারিয়ে যাবো।(প্রিন্সেস)
.
–দেখুন অন্য কাউকে। আমাকে একা রাখুন।(আমি)
.
–এমন কেনো তুমি। এতো সুন্দরী একটা মেয়ে তোমার সাহায্য চাচ্ছে শহরটা ঘোরার জন্য, কিন্তু তুমি মানা করছো
অন্য কেউ হলে তো এক কথাতেই রাজি হয়ে যেতো।(প্রিন্সেস)
.
–দেখুন আমাকে একা ছেড়ে দিন।(আমি)
।।।
।।।
আমি হাটতে লাগলাম গলির ভিতর দিয়ে। আর তখন প্রিন্সেস আমাকে বলতে লাগলো,
.
–ঠিক আছে আমি আমার মতো যাচ্ছি, প্যালেস থেকে গার্ড যখন দেখবে আমরা দুজনই প্যালেসের মধ্যে নেই, তখন গার্ড আমাদের খুজতে আসবে, আর আমি তখন বলে দিবো তুমি আমাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এসেছিলে।(প্রিন্সেস)
.
–আমি এটা কখনো করি নি।(আমি)
.
–কিন্তু তারা এটাই মেনে নিবে।(প্রিন্সেস)
।।।
।।।
প্রিন্সেস এর কথাও ঠিক। সে গার্ডদের যা বলবে তারা সেটাই মেনে নিবে। আমি আমার জীবন ঝুকির মুখে রাখতে চাই না। আর জেনারেল আমাকে নিজের ছেলে দাবী করলেও রাজার আদেশ থাকলে আমাকে ঠিকই মরতে হবে, আর প্রিন্সেসকে কিডন্যাপ করা অনেক বড় অন্যায়। যদিও করি নাই, তারপরও নাম আমার উপরে আসবে। আমি বুঝতেছি না কি করবো।
.
–আচ্ছা ঠিক আছে আসুন আপনি আমার সাথে।(আমি)
.
–দেখছো কিভাবে কথা শোনাতে হয় সেটা আমি ভালো করেই জানি, তো তোমার কি মনে হয় সিংহাসন কি আমি পাবো?(প্রিন্সেস)
.
–দেখুন এসব জিনিসে আমি কিছুই জানি না। সিংহাসন, প্যালেস এসবের মধ্যে আমার কোনো আগ্রহ নেই। তাই আমি বলতে পারছি না।(আমি)
.
–ও তা তুমি কি করতে চাও?(প্রিন্সেস)
.
–আমি শক্তিশালী হতে চাই। এমন শক্তিশালী হতে চাই যে আমি আমার আম্মা এবং দুই বোনকে সবসময় সুরক্ষা করতে পারি।(আমি)
.
–ও।।। আচ্ছা জ্যাক, তুমি কি রাতে কোনো আজব স্বপ্ন দেখো?(প্রিন্সেস)
.
–হঠাৎ এই প্রশ্ন প্রিন্সেস?(আমি)
.
–এমনি, আমি তো রোজই অনেক আজব স্বপ্ন দেখি। বুঝতে পারি কিসের স্বপ্ন দেখি। কিন্তু একটা নাম সবসময় আমার স্বপ্নে দেখতে পাই, আর একটা চেহারা সব সময় আমার চোখে ভাসে।(প্রিন্সেস)
.
–ওওও।(আমি)
.
–তোমার মাস্কটা খুলবে একটু?(প্রিন্সেস)
.
–কিসের জন্য? দেখবেন আপনার স্বপ্নের সেই লোকের সাথে আমার চেহারা মিলে নাকি? কখনো মিলবে না। আমি সাধারন একজন মানুষ, যে কিনা কোনো ম্যাজিক স্পেল ব্যবহার করতে পারে না, সে কখনো কোনো প্রিন্সেস এর স্বপ্নে দেখা দিবে না।(আমি)
.
–ওওও।(প্রিন্সেস)
।।।
।।।
কথায় কথায় আমি প্রিন্সেসকে প্যালেসের গেইটের সামনে নিয়ে এসেছিলাম। কেউ খেয়াল করে নি ভিতর থেকে। কারন গেইটের সামনে তেমন গার্ড ছিলো না এখন। কিন্তু খেয়াল খুব তারাতারিই করবে। প্রিন্সেস আমার উত্তরে মন খারাপ করে মাথা নিচু করে তাকিয়ে রইলো। আমি এই সুযোগে পাশ কেটে চলে গেলাম। আমাকে হয়তো গার্ড খেয়াল করে নি। কিন্তু প্রিন্সেসকে এতোক্ষনে ঠিকই খেয়াল করেছে তারা। আমি এবার দৌড়ে চলে আসলাম একদম শহরের মধ্যখানে। আমি শুধু ক্যাপিটাল সম্পর্কে বইয়েই পড়েছি। আজ প্রথম নিজের চোখে দেখতে পেলাম। ভালোই বড় বড় বাসা রয়েছে চারিদিকে। শুধু বাসা নয় চারিদিকে বিভিন্ন গোত্রের লোকেরা রয়েছে। বেশীরভাগ বিস্টম্যান এবং ডয়ারফসদেরই আমি দেখতে পাচ্ছি। আশে পাশে বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। খাবার এবং অস্ত্রের দোকানই সবচেয়ে বেশী। আমি কি থেকে কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। প্রথমত ক্ষুদা লেগেছে। কিন্তু কিছু কেনার মতো অর্থ আমার নেই। আপাতোতো আমাকে কিছু টাকা অর্জন করতে হবে। আমার জেনারেলের ক্ষমতার উপরে পরে থাকলে লাভ হবে না। নিজের জীবন নিজেকেই ধরতে হবে। দুই বছর এখানে থাকতে হবে সেটা বলেছিলো, দুইবছর আমার অর্থেই আমাকে ক্যাপিটালে থাকতে হবে। আমি সামনে একটা ঘোড়ার যান দেখতে পেলাম যেটার কাঠের চাকা মাটির গর্তে আটকে গেছে। লোকটা তার যানের মধ্যে কিছু ফল বহন করছে। সে একা ধাক্কিয়ে উঠাতে পারছে না। তাই আমি গিয়ে একটু সাহায্য করলাম। দুজনের ধাক্কার ফলে উঠে গেলো,
.
–ধন্যবাদ তোমাকে। বলতে হবে মানুষ হয়ে এইটুকু বয়সে ভালোই জোর আছে তোমার শরীরে। কষ্ট করে যাও অনেক শক্তিশালী হতে পারবে।(লোকটা একজন বিস্টম্যান)
।।।
।।।
আমার হাতে দুটো আপেল দিলো লোকটা।
.
–ধন্যবাদ ফলের জন্য। আমাকে একটা সাহায্য করবেন?(আমি)
.
–হ্যা বলো।(লোকটা)
.
–এখানে আমি কিভাবে উপার্জন এবং সেই সাথে শক্তিশালীও হতে পারবো?(আমি)
.
–অনেক কাজই আছে ক্যাপিটালে, তবে তোমার পিঠের তলোয়ার দেখে মনে হচ্ছে তোমার জন্য আর্কাইব ভালো হবে।(লোকটা)
.
–আর্কাইব?(আমি)
.
–আর্কাইবে যোগ দিকে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় মিশন দিবে তারা, সেগুলো পূরন করলে তারা তোমাকে অর্থ দিবে।(লোকটা)
.
–ও তাহলে রাস্তাটা দেখাবেন আমাকে।(আমি)
.
–ঔযে লাল কাপড় দেখতে পাচ্ছো ঔটাকে ফলো করো। ঔটাই আর্কাইব হল।(লোকটা)
.
–ধন্যবাদ।(আমি)
।।।
।।।
আমি আপেল দুটো খেয়ে লাল কাপড় ঝুলানো উচু বাসার দিকে যেতে লাগলাম। আর্কাইব আমার ধারনা করা মতে আসলে অনেক বড়। আমি একটা বইয়ে আর্কাইব সম্পর্কে পড়েছি। আর্কাইব মূলত একটা সংস্থা যারা সাধারন লোকদের সাহায্য করে। এখানে বিভিন্ন শহরের লোকেরা এসে বিভিন্ন ধরনের মিশন এবং অর্থ দিয়ে যায়, এবং আর্কাইবের বোর্ডে সেটা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এবং যারা আর্কাইবের সদস্য তারা সে মিশনগুলো শেষ করে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারে। এটা আমার জন্য ভালো একটা জায়গা হবে আয়ের জন্য। আমি অর্থও উপার্জন করতে পারবো, আবার শক্তিশালীও হতে পারবো। এখানের বেশীর ভাগ মিশনই হয় বন্য পশু শিকার করা যেগুলো সবার ক্ষতি করে। অনেক হিংস্র ম্যাজিকাল বিস্টও রয়েছে তাদের মধ্যে। আমি ভিতরে গিয়ে রেজিস্টার করে ফেললাম। অবশ্য এখানে দশ বছরই সর্বোনিম্ন বয়স যোগ দেওয়ার জন্য। আর আমি সেটার জন্য অনেক লাকি। দুটো মাঝারি সাইজের মেমথ(হাতির মতো দেখতে কিন্তু তার থেকেও দ্বিগুন সাইজের সেগুলো) শিকার করার মিশন পেয়েছি। মেমথ গুলো ক্যাপিটালের বাইরে যেসব লোক যায় সবাইকে মেরে ফেলে, তাই তাদের শিকার করা এখন জরুরী, অবশ্য আর্কাইবের তথ্য এটা। কিন্তু আমি জানি মেমথ গুলোর দুটো বিশাল শিং থাকে যেটা খুবই মূল্যবান হয়, আর এটার জন্যই তাদের শিকার করা হয়। আমার ও কিছু করার নাই এখন, এটা ছাড়া আমার বয়স অনুযায়ী আর কোনো মিশন নেই। অনেক মিশনই পরে আছে আরো, কিন্তু তারা আমাকে সেসব মিশন নিতে দিবে না, কারন আমার বয়স কম।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য।