#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৩৮
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
থরের সাথে আমি উড়ে যাচ্ছি অনেক স্পিডে। জানি না কোথায় ড্রাকুলার হোটেল রয়েছে। অবশ্য এখন আর হোটেল বলা যাবে না। সেটা একটা প্যালেস। আর সেটাই হয়তো ড্রাকুলার নতুন রাজ্যের ক্যাপিটাল হবে। যাইহোক থরের সাথে আমি উড়ে যাচ্ছিলাম এমন সময় থরের মিওনির হঠাৎ থেমে গেলো। আমি আর থর একদম নিচের দিকে পরতে লাগলাম। কি হলো কিছু বুঝতে পারলাম না। দুজন অনেক স্পিডে নিচে পরছি তখনি থর বলতে লাগলো।
.
–এই জায়গায় কিছু একটা আছে যেটার কারনে মিওনির উড়তে পারছে না।(থর)
.
–এটা কি ভালো খবর নাকি খারাপ?(আমি)
.
–অবশ্য খারাপ। এতো উপর থেকে পরছি, হাড় তো আমার কয়েকটা ভাঙবে। কিন্তু তোমার কি হবে সেটা নিয়ে ভাবছি।(থর হেসে বললো)
.
–এখন মজা করার সময় না।(আমি)
।।।
।।।
থর হেসে যাচ্ছে। এদিকে আমরা দুজনেই অনেক স্পিডে নিচের দিকে পরছি। নিচে পরলে আমার অবস্থা খারাপ হবে সেটা বোঝায় যাচ্ছে। তাই আমি বাম হাত দিয়ে ভ্যালির তলোয়ার বের করলাম। এবং সেটা দিয়ে মাটি থেকে উপর পর্যন্ত একটা পানির টর্নেডো বানালাম। যেটার উপরে আমরা পরার পরে ঘুরতে ঘুরতে মাটিতে আস্তে নেমে গেলাম।
.
–আমি তো ভাবছিলাম আমাদের অবস্থা এখানেই শেষ।(থর তার মিওনির উঠিয়ে বলতে লাগলো)
.
–হ্যা। আমার জন্য বেঁচে গেলেন।(আমি)
.
–আমি বুঝতে পারছি না, মিওনির কে তো আমি উঠাতে পারছি। কিন্তু মিওনির এর ভিতর আমার ক্ষমতা যাচ্ছে। এটা একদম সাধারন হয়ে গেছে।(থর)
।।।
।।।
থর তার মিওনিরকে উল্টিয়ে উল্টিয়ে দেখতে লাগলো। আর এদিকে ভ্যালি এবং ইগো আমাকে বলতে লাগলো,
.
–জ্যাক আসে পাশে আমি ড্রাগনদের ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাচ্ছি।(ভ্যালি)
.
–তারমানে এখানে ড্রাগন ব্লেড আছে?(আমি)
.
–যে ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পারছি তাতে বলা যাচ্ছে এখানে স্কাই ড্রাগন রাইকুয়া এবং থান্ডার ড্রাগন বোল্ট রয়েছে।(ইগড্রাসিল)
.
–আচ্ছা। ধন্যবাদ তোমাদের।(আমি)
.
–একটু সাবধানে থাইকো। এই পুরো শহরটা দুই ড্রাগনের ব্যারিয়ার দিয়ে ঘিরা রয়েছে। এখানে ড্রাগন স্পেল ছাড়া সাধারন কোনো ম্যাজিক পাওয়ার কাজে দিবে না।(ভ্যালি)
.
–আচ্ছা।(আমি)
।।।
।।।
ভ্যালি এবং ইগড্রাসিলের কথা শুনে বুঝতে পারলাম আমরা একটা খারাপ জায়গায় এসে গেছি। যেখানে আসা আমাদের ঠিক হয় নি। দুটো ড্রাগনের ব্যারিয়ার থরের মিওনিরকে ও সাধারন হাতুড়ি বানিয়ে দিয়েছে। থর তার মিওনির নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আমাদের কথা শুনতে পারে নি। আমি থরের কাছে গেলাম। এবং ড্রাগনদের ব্যাপারে সব কিছু এক এক করে থরকে বলতে লাগলাম। যাতে ব্যাপারটা সে বুঝতে পারে।
.
–ও তাহলে এই কথা, সকল ড্রাগন মারা গিয়েছে, শুধু শক্তিশালী ছয় ড্রাগন বেঁচে আছে তাউ আবার সেটা অস্ত্র হয়ে।(থর)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–এরকম একটা অস্ত্র তো আমারও দরকার। মিওনির এর অযোগ্য কখনো হয়ে গেলে হয়তো সেটাই আমার কাজে দিবে।(থর)
.
–এতো সহজ নয়।(আমি)
.
–কেনো তুমি তো বললে কেউ তোমার অস্ত্র উঠাতে পারবে না। কিন্তু আমি তো তখন দুটোই তোমার কাছে এনে দিলাম।(থর)
।।।
।।।
আগের বিষয়টা আমি খেয়াল করি নি আসলেই আমি প্রিজনের মধ্যে আটকা থাকার পরে থর আমার ব্যাগসহ দুটো তলোয়ার আমার হাতেই তুলে দিয়েছিলো। যেটা আমি বাদে কেউই ব্যবহার করতে পারি না। আমি সবকিছু চেক করার জন্য থরের হাতে ভিরুদাকে তুলে দিলাম। ঠিকই থর উঠাতে পারলো, কিন্তু থরের হাতে সেটা সাধারন একটা তলোয়ার। যার মধ্যে কোনো ক্ষমতা নেই।
অবশ্য এটার লজিক আমি নিজেও দিতে পারছি না। ইগড্রাসিল এবং ভ্যালির ব্যাপারে কিছু বলি নি যে তারা আমার সাথে কথা বলতে পারে, তাই আপাতোতো তাদেরকে জিজ্ঞেস করতেও পারবো না। যাইহোক আমরা আগাতে লাগলাম।
।।।।
।।।।
আমরা একটা শহরের উপরে পরেছি, মূলত খোলা একটা মাঠের উপরেই পরেছি উপর থেকে। কিন্তু এটা একটা শহর। বিশেষ করে অনেক গরীব একটা শহর। আমরা জনগনের এলাকায় আসার পরই বুঝতে পারলাম এই শহরের অবস্থা সেরকম ভালো না, যেরকমটা অন্যগুলোর ছিলো। এখানের লোকজন মূলত অন্যরকম। তার একে অপরকে দেখতে পারে না। খাবারের অনেক অভাব এখানে। আমরা যেটার উপরে পরেছি সেটা খাবার চাষ করার মাঠ। কিন্তু অলসতার কারনে কেউ চাষ করে না এখন। আর সেটার জন্য এখানে লোকজন খাবারের অভাবেও থাকে সব সময়। জায়গাটা কিছুটা পরিচিত মনে হলেও আমি সঠিক মনে করতে পারছি না। আমি আর থর হাটছি শহরের বাসাবাড়ির মধ্য দিয়ে। সব লোকজন কিরকম আজব লুক নিয়ে দেখছে আমাদেরকে। আমার গায়ে দামী একটা পোষাক, আর থরের শরীরে আগের দুনিয়ার পোষাক যেটা এরা কখনো দেখে নি। এক হিসাবে কিছু কিছু লোকের চাউনি দেখে বুঝতে পারলাম তারা লুটতে চাচ্ছে আমাদেরকে। যাইহোক আমাদের বেশীদূর যেতে হলো না। আমার দেখা হয়ে গেলো একজন মহিলার সাথে, যাকে দেখার পর আমি বুঝতে পারলাম আমি এখন কোথায় আছি। আমি এখন আটশো দুই নং শহরে আছি। যেটা কিনা আমার নিজেরই শহর। এখানেই আমার জন্ম হয়েছে। যাইহোক সামনে আমার আম্মা দাড়িয়ে আছে। সে আমাকে দেখা মাত্রই বলতে লাগলো,
.
–জ্যাক তুমি কখন আসলে?(আম্মা)
.
–এইতো মাত্র।(আমি)
.
–আমরা তো আশায় ছিলাম যে তুমি আমাদের সাথে আরো আগে দেখা করতে আসবে, কিন্তু….(আম্মা)
.
–আমি সকল কিছু ভুলে গিয়েছিলাম যেটা আমার সাথে হয়েছিলো, শুধু আমার চেনা লোকদের মুখের ছবি এবং পড়া বই বাদে আমার কিছুই মনে ছিলো না।(আমি)
.
–ওওও বুঝতে পেরেছি, তাহলে সে তোমার উপরে মেমোরী কন্ট্রোল স্পেল ব্যবহার করেছিলো। আপনি কে? নিশ্চয় জ্যাকের পার্টনার?(আম্মা)
.
–আমার নাম থর। আমি পার্টনার না। অনেকটা জ্যাকের মাস্টার।(থর হাসতে হাসতে বললো)
.
–ওও।। আচ্ছা জ্যাক চলো বাসায় যাওয়া যাক তাহলে। এলেন এবং এলিন তোমাকে দেখে অনেক খুশি হবে।(আম্মা)
.
–হ্যা। আমিও তাদের সাথে দেখা করতে চাই।(আমি)
।।।
।।।
যদিও তাদের সাথে কাটানো আমার কোনো স্মৃতি মনে নেই। তারপরও আমি শুধু এইটুকু জানি আম্মার এবং দুটো বোন রয়েছে। এই মেমোরীর ব্যাপারটা আজব। আমার আগের দুনিয়ার স্মৃতি ফিরে আসলেও এখানে ভুলে যাওয়া গুলো আসছে না। যাইহোক আমি আম্মার সাথে হেটে হেটে যাচ্ছি। সাথে থরও আসছে। আম্মার সাথে আমার কথা হওয়ার পর বুঝতে পারলাম সেরকম টান নেই আমাদের মাঝে। কিন্তু কেনো এটা বুঝতে পারছি না। সন্তানদের প্রতি একটা টান থাকে মাতার সেটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু এতোদিন পর আমাকে দেখতে পেয়েও আমি সেরকম কোনো টান দেখতে পেলাম না। যাইহোক আমি আমার দুই বোনদের নিয়েও একই মনোভাব করতে ছিলাম। কিন্তু দুজন আমাকে দেখার পরই ঝরিয়ে ধরলো।
.
–জ্যাক এতোদিন পর আমাদের কথা মনে পরলো তোমার?(দুই বোন)
.
–আমি বলতে পারছি না কে কোনজন?(আমি)
.
–কেনো এখান থেকে যাওয়ার আগেই তো তোমাকে বলে দিয়েছিলাম আমাদের মধ্যে কোনটা কে? থাক আবার বলছি আমি এলিন এবং ও এলেন।(এলিন)
.
–ওওওও।(আমি)
।।।
।।।
দুজনের সাথে অনেকক্ষন গল্প করতে লাগলাম। থর কি করবে বুঝতে পারছে না। চুপচাপ বসে আছে। আম্মা কোথায় গেছে বুঝতে পারছি না। আমাদের এখানে দিয়ে সে উধাও হয়ে গেছে। এখনো তার কোনো খবর নাই। এদিকে আমি এলেন এবং এলিনকে আমার স্মৃতি হারানোর ব্যাপারে বলে দিয়েছি।
.
–দুইবার তোমার স্মৃতি হারায় কিভাবে?(এলেন)
.
–জানি না। হয়তো আমার মেমোরীতে লোড বেশী হয়ে যায়।(আমি)
.
–কেনো তোমার মতো তো আমাদের দুজনের ক্ষমতা রয়েছে এক বার কোনো জিনিস পড়লে মুখস্ত হওয়ার। আমাদের সাথে তো এরকম হয় না।(এলিন)
.
–কি তোমাদের কাছেও আছে?(আমি)
.
–হ্যা। এটা আমাদের পরিবারের জন্মগত ক্ষমতা।(এলেন)
.
–ওওও।(আমি)
.
–আচ্ছা আমাদের আম্মা কি করেন এখানে?(আমি)
.
–কেনো হঠাৎ এই প্রশ্ন?(এলেন)
.
–না তার ছেলে এতোদিন পর তার কাছে আসলো দেখা করতে, কিন্তু সে এখানে না থেকে কোথায় উধাও হয়ে গেলো।(আমি)
.
–আম্মা এরকম ছিলো না। কিন্তু তোমার জন্মের পর থেকে সে পুরো পাল্টে গেছে।(এলেন)
.
–আমার জন্মের পর থেকে?(আমি)
.
–হ্যা। ক্যাপিটালে যেহেতু ছিলে তারমানে জেনারেল এর সাথে নিশ্চয় দেখা হয়েছে তোমার?(এলিন)
.
–হ্যা। সে অনেকটা কথাও আমাকে বলেছে।(আমি)
.
–হ্যা। তিনি আমাদের বাবা। বিষয়টা তোমার থেকে আম্মা গোপন রাখতে বলেছিলো।(এলিন)
.
–কি হয়েছিলো তাদের মাঝে?(আমি)
.
–সেটা আমরাও জানি না। হঠাৎ তোমার জন্মের কিছুদিন আগেই সব কিছু বদলে যায়।(এলিন)
.
–তোমাদের কথা কিছুই আমি বুঝতে পারছি না।(আমি)
.
–যেদিন আম্মা জানতে পারলো যে তার আরেকটা বাচ্চা হবে, কিছুদিন সে অনেক খুশি ছিলো। আগে অনেক স্বাভাবিকও ছিলো সে। কিন্তু হঠাৎ যখন বাবা চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে, তখনি আম্মা পুরো পাল্টে যায়। আমাদের সাথে সেরকম কথা বলে না। এবং একা একায় তার সবটা সময় পার করতে শুরু করে।(এলিন)
.
–কি করে এটা দেখো নি তোমরা?(আমি)
.
–চেষ্টা করলেও আম্মা কোথায় যায় সেটা আমরা কখনো বের করতে পারি নি। সে সব সময় টেলিপোর্ট স্পেল ব্যবহার করে চলে যায়। তাকে আমরা এই পুরো শহর খুজেও দেখেছি কিন্তু এখনো বের করতে পারি নি সে কোথায় যায়।(এলেন)
.
–ওওও(আমি)
.
–অনেক মিস্ট্রিয়াস তোমার আম্মা জ্যাক।(থর)
.
–হ্যা।(আমি)
।।।
।।।
হঠাৎ একটা ভূমিকম্প শুনতে পেলাম। বাইরে থেকে কিছু একটা ফিল করতে পারলাম। আমি এবং থর সোজা দৌড়িয়ে বাসা থেকে বের হলাম। সামনের বাসা পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। এবং সেই ধ্বংসের মধ্যে দাড়িয়ে আছে একটা হুড পরা মেয়ে। তাকে দেখে বুঝতে পারলাম সে জেসি। আজকে সে হুড টা নামিয়ে ফেললো। ওর চেহারা আমি আজকে একদম ক্লিয়ার ভাবে দেখতে পাচ্ছি। সেই একই চেহারা, একই লুক। সবই একরকম। আমি দাড়িয়ে ছিলাম। আমাকে দেখে কিছুটা হেসে দিলো।
.
–ওয়াও। দেখো কে এখানে? আমার ভাই জ্যাক এবং থর।(জেসি)
.
–তাহলে এটা জেসি?(থর)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–জেসি তুমি যে অন্যায় করেছো সেটা থেকে বেঁচে যাবে এটা ভেবো না। তারপরও আমি ধন্যবাদ তোমাকে এতো সুন্দর একটা দুনিয়া তৈরীর জন্য।(থর)
.
–থর এটা কিরকম কথা?(আমি)
.
–যদিও দুঃখ লাগছে আমার এজগার্ডের জন্য। কিন্তু সমস্যা নাই আমি এখানেই আমার এজগার্ড তৈরী করে নিবো।(থর)
.
–এটা কোনো কথা। এখানে আমরা একন হিরো। আর সামনে জেসি এখন ভিলেন। আমাদের লড়তে হবে।(আমি)
.
–আমার মিওনির এখন কাজ করছে না এজন্য আমি আউট। পুরো ময়দান এখান তোমার।(থর শিষ দিতে দিতে এক পাশ কেটে হেটে যাচ্ছে)
।।।
।।।
আমি বুঝতে পারলাম থর লড়াই এ যেতে চাচ্ছে না। ওর কাজ কর্ম দেখে মনে হচ্ছে ভয় পাচ্ছে জেসিকে দেখে। জেসির ম্যাজিক পাওয়ারও হাই লেভেল এজন্য ভয় করাই কথা।
.
–তাহলে এখন আমি আর তুমি ভাইয়া?(জেসি)
.
–একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি?(আমি)
.
–হ্যা।(জেসি)
.
–কে আপনি? আমাকে ভাই বলছেন?(আমি চাইছি না জেসি জানুক আমার আগের দুনিয়ার স্মৃতি মনে পরেছে)
.
–নাটক করে লাভ কি? থর এখানে মিওনির হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে তোমার পাশে। এরমানে তো ঠিকই বোঝা যাচ্ছে তোমার স্মৃতি ফিরে এসেছে।(জেসি)
.
–যাক তাহলে নাটক করে লাভ হবে না। তো কি করতে এসেছো এখানে?(আমি)
.
–আগে বলো রাগ করে আছো নাকি আমার উপরে?(জেসি)
.
–আগের দুনিয়াতে কি হয়েছে সেটার কোনো কিছু এটার সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে এখানে যা হবে তার সাথে সম্পর্কিত হবে। তাই এখানে খারাপ কিছু করলে সেটার জন্য রাগ তো করবোই।(আমি)
.
–ওওও এই বাসার জন্য আমি দুঃখিত। আসলে টেলিপোর্ট হয়ে উপরেই উড়ছিলাম। কিন্তু আমার ম্যাজিক কাজ করা বন্ধ হয়ে গেলো। তখনি নিচে পরে গেলাম। এবং বাড়ি ভেঙে গেলো।(জেসি)
.
–আমি অনেক আগে থেকে লক্ষ করছি তুই আমার পিছনে লেগে আছিস। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই তোকে দেখতে পাই। এবার আমাকে দিয়ে কি চাস?(আমি)
.
–আমি তোকে দিয়ে কিছু চাই না ভাইয়া, মূলত আমি যেটা চেয়েছিলাম সেটা আমি পেয়েই গেছি। কিন্তু এখানে আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে আগে কিংবা পরে তুই চলে আসছিস।(জেসি)
.
–তোর মুখে ভাইয়া ডাক এখন কেমন জানি লাগে।(আমি)
.
–হ্যা লাগবেই, এখন আমাদের দুজনেরই নতুন পরিবার আছে। নতুন উদ্দেশ্য আছে।(জেসি)
.
–তাহলে আমি যেটা বুঝতে পারছি এখানে কিছু একটা উদ্দেশ্যের জন্য এসেছিস?(আমি)
.
–হ্যা। একজন ডেভিল হওয়ায় আমার মন, শরীর সব কিছু আমার ডেভিল কিং এর। আর তার আদেশ আমাকে মানতেই হবে।(জেসি)
.
–কি চাচ্ছে ডেভিল কিং?(আমি)
।।।
।।।
হঠাৎ তখনি একটা লাইটনিং স্পেলের মতো কিছু একটা জেসিকে আঘাত করলো। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম থর আঘাত করেছে। যেহেতু থরকে গড অফ থান্ডার বলা হয়। তাই লাইটনিং এর ক্ষমতা তার কাছেই থাকা উচিত। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে লক্ষ করলাম আমার দুই বোন। একজনের কাছে একটা ধনুক রয়েছে, যেটা দিয়ে ম্যাজিকাল লাইটনিং তীর বের হয় সুতা টান দিলে। আর আরেকজন এর কাছে রয়েছে দুটো মাঝারি সাইজের তলোয়ার, যেটার হাতল একটা লম্বা চেইন দিয়ে বাধা। সে তার দুটো তলোয়ার থেকে একটা তলোয়ার ছুড়ে মারলো জেসির দিকে। তলোয়ারটার সাথে একদম জড়ো বাতাস যাচ্ছিলো, যেটা সামনের সকল কিছু উড়িয়ে নিচ্ছিলো। জেসি শরীরে ছুড়িটা আঘাত করবে তার আগে সে পিছ দিক দিকে ব্যাক ফ্লিপ করলো অনেকগুলো। এবং সর্বশেষ ব্যাকফ্লিপ অনেক উচু করে পিছনের একটা গাছের খুটির উপরে দাড়িয়ে পরলো। আমি এখন বুঝতে পারলাম আমার দুই বোনের কাছেই রয়েছে দুটো ড্রাগনের ক্ষমতা।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন। একটা প্রশ্ন সবার জন্য, জ্যাক তার গডহ্যান্ডের কয়টা হাতকে নিজের মন মতো যে কোনো আকার দিতে পারে?